গৃহযুদ্ধ পর্ব-১১

0
1151

#গৃহযুদ্ধ পর্ব ১১
____________
_______________

কি বলিস! তুই আমার বৌ এর সাথে! না না, আর যাই হোক এটা আমি সহ্য করতে পারবোনা।
সামনের দাঁতগুলো বের করে কাব্য বলে, আচ্ছা তোর বউ বাদ,
তাহলে প্লানটা অন্যরকম করি,
রেশমিকে মেরে ফেলার ব্যবস্থা করি স্পটেই,
আর সুপ্তিকে তুলে নিয়ে আসি।
– ওকে ডিল ডান।
বলে হ্যান্ড শেক করে দুজনেই। কাব্যর কাছ থেকে আপাতত চলার জন্য কিছু টাকা ধার নিয়ে রফিক সাহেব সেদিনের মত চলে যায়।
কাব্য বেশ সতর্কতার এবং বুদ্ধির সাথে একটা নীল নকশা তৈরি করে।
আন্ডরওয়ার্ল্ড এর পেশাদার খুনী মিরাত এবং তার দলবলের সাথে বেশ কয়েকবার বৈঠক ও সম্পন্ন করে কাব্য৷ অতিবাহিত হয়ে যায় বেশ কয়েকটি দিন।
.
.
.
ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে মণিকা ভাবী।
রোহানের সাথে তার খাতিরটা বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। হাসপাতাল থেকে ফেরার পরে মণিকা ভাবী এই প্রথম আবার রান্নাঘরে গেলো৷ আজকে আগে থেকেই রোহানকে বলে রেখেছে, তার জন্য স্পেশাল কিছু আইটেম রান্না করবে। রোহান ও একদম প্রস্তুত খাওয়ার জন্য। গলার সাথে রুমাল পেচিয়ে লম্বা একটা জুব্বা পড়ে সেই সকাল থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। অপেক্ষা করছে, কখন তার ডাক পড়বে! মণিকা ভাবিও বেশ মনোযোগ দিয়ে রান্না করছেন।
তার কিচেনে নতুন সাউন্ড বক্স লাগানো হয়েছে। তিনি সাউন্ড বক্সে গান ছেড়ে হালকা নাচতে নাচতে রান্না করেন। প্রফেশনাল শেফ দের মত কড়াইয়ে রাখা মাংস ছুড়ে দেন উপরে। তারপর নিজে হালকা একটু ডান্স মুভ করে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে মাংসগুলো কড়াই দিয়ে ক্যাচ ধরেন। রান্না যে উপভোগ করার জিনিস সেটা মণিকা ভাবীর ডান্স মুভ যে দেখবে একমাত্র সে ই বুঝতে পারবে।
অনেক কষ্ট করে রান্না শেষ করার পরে মণিকা ভাবি রোহানকে তলব করে।খুশিতে ছুটতে ছুটতে চলে আসে রোহান।
ডায়নিং রুমে ঢুকে দেখে সারি সারি খাবার সাজানো আছে তার জন্য।
দেখে মনে হচ্ছে একজায়গায় বসে সব খাবার শেষ করা যাবে না।
পুরো ডায়নিং টেবিলের চারপাশের চেয়ারে ঘুরে ঘুরে বসে তাকে খাবার শেষ করতে হবে।
মনিকা ভাবি নিজেও কিছু খায়নি। সে রোহানের মুখোমুখি চেয়ারে বসে। দুজনেই খেতে শুরু করে। মণিকা ভাবীর এক প্লেট খাবার শেষ হতে না হতেই রোহান বেশ কয়েক প্লেট খাবার সাবার করে ফেলে। মণিকা ভাবি একটু অবাক হয়। রোহান তার দিকে তাকিয়ে বলে, খাবার এত্ত মজা হয়েছে যে ইচ্ছে করছে আজ সারাদিন বসে খাই। মণিকা ভাবী রোহানের কথার উত্তরে বলে,
খাবার তো সব তোমার জন্যই। খেতে থাকো।
রোহান কথা না বাড়িয়ে খাওয়ায় মনোযোগ দেয়।
দেখতে দেখতে টেবিলের সব খাবার শেষ হয়ে আসে।
মাথা তুলে মণিকা ভাবীর দিকে তাকিয়ে রোহান বলে, ভাবী আর কি কিছু নেই খাওয়ার জন্য?
মণিকা ভাবী একটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরে যায়। সে ভেবেছিলো খাবার অনেক বেঁচে যাবে। কিন্তু হলো বিপরীত। রোহান তো আরো চাচ্ছে। সে রোহানের দিকে তাকিয়ে বলে,
আমার শরীর খারাপ তো! তাই কম করে রান্না করেছিলাম। কিছু মনে করো না।
তবে তোমার প্রিয় চা আছে। তুমি একটু বস। আমি চা বানিয়ে আনি।
বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে চায়ের ছুতো দিয়ে দ্রুত রোহানের সামনে থেকে উঠে যান মণিকা।
কিচেনে গিয়ে নিজের উপর রাগ ঝাড়তে থাকেন কিনি! কি বেইজ্জতিটাই না হলেন!মেহমানের সামনে দেয়া খাবার শেষ হয়ে গেলো আরো খেতে চাইলো কিন্তু সে দিতে পারলো না!
মন ভরা আফসোস নিয়ে মণিকা ভাবী খুব সুন্দর করে মালাই চা বানালো। গরুর দুধের ক্ষীর দিয়ে বানানো চায়ের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়লো আশে পাশেও।
নিজের মনকে শান্তনা দিলেন মণিকা ভাবী নিজেই। অন্তত জমপেশ একটা চা বানিয়ে খাওয়ানো যাবে রোহানকে।
মাঝারি সাইজের একটা কাপে চা ঢেলে সুন্দরভাবে ডেকরেশন করে মণিকা ভাবী নিয়ে আসে রোহানের জন্য।
কিন্তু এসে দেখে ডায়নিং টেবিলের চেয়ারটা শূন্য পড়ে আছে। কোথাও কেউ নেই৷ মণিকা ভাবী গালে হাত দিয়ে বসে দুঃখে দু’ফোঁটা চোখের জল ফেললেন।

তখন মণিকা ভাবী চা আনার জন্য কিচেনে যেতেই রোহান দ্রুত উঠে চলে আসে নিজের বাসায়।
এতক্ষন ধরে মণিকা ভাবীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অধিকাংশ খাবার জুব্বার নিচে চালান করে দিয়েছে সে। কাজটা মোটেই সহজ ছিলোনা। তবে আগে থেকেই প্রিপারেশন নিয়ে রেখেছিলো রোহান। তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী খাবারগুলো শরীরের সাথে আটকে রাখা ছোট ছোট ব্যাগে প্যাক করে নিতে বেশি একটা সমস্যা হয়নি তার।
বাসার ফ্রিজে খাবারগুলোকে সংরক্ষন করে রোহান একটা জামা গায়ে চাপিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
.
.
.
.
রেশমি পাশে থেকে সুপ্তিকে অনুপ্রেরণা দিতে দিতে আস্তে আস্তে ওর মানসিক অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক করে তোলে।তবে অবসর সময়ে সুপ্তি প্রচুর ডিপ্রেশনে ভুগতে শুরু করে। ও ঠিক করে নিজের জন্য একটা চাকরি খুঁজে নিবে। অন্য একটা পরিচয়ে নিজেকে গড়ে তুলবে। রেশমি সুপ্তিকে বুঝায়, সুপ্তির কোন জব করার দরকার নেই, কারণ রেশমির বর্তমানে যে পরিমান অর্থ-সম্পদ আছে, তা দিয়ে এরকম বিশজন সুপ্তির খরচ বছরের পর বছর চালাতে কোন সমস্যা ই হবে না।
কিন্তু সুপ্তি তার সিদ্ধান্তে অনড়। সে নিজে খুব ছোট করে হলেও কিছু একটা করতে চায়। এমনিতেও ব্যস্ত থাকাটা তার জন্য জরুরী। ব্যস্ততা, সাময়িক সময়ের জন্য হলেও মানুষকে অনুভূতির জাল থেকে মুক্ত রাখে।
রেশমি তার নিজের বিজনেসের একটা অংশে সুপ্তিকে বসাতে চাইলে সুপ্তি রেশমির সে প্রস্তাবও নাকচ কর দেয়।সুপ্তির মতে অতি আপনজনদের সাথে টাকা কিংবা কাজের সম্পর্ক রাখা উচিৎ নয়। কোন না কোন সময় অবিশ্বাসের ছায়া নেমে আসে, ঝামেলা হয়।
সুপ্তি দূরবর্তী কোন এলাকায়, কোন একটা অফিসে জব করবে বলে জানায় রেশমিকে। রেশমিও নিরুপায় হয়ে সুপ্তিকে আর আটকায় না,বরং সুপ্তিকে নিজের গাড়িতে চাপিয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানির ওউনারদের কাছে নিয়ে যায়৷ ওর জবের ব্যপারে কথা বলে, সিভি জমা দিয়ে আসে।খুব দ্রুত কোন একটা জব ম্যানেজ হয়ে যাবে, আশাবাদী হয়ে ওঠে দুজনেই।
বাড়ি ফেরার পথে রেশমি লক্ষ করে গত দু’দিনের মত আজও একটা কালো রঙ এর গাড়ি তাদের গাড়ির পেছনে পেছনে আসছে। একই ঘটনা দুবার ঘটলে মানা যায় সেটা কো- ইন্সিডেন্স।কিন্তু তিনবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি মানে কোনো একটা ঝামেলা আছে। রেশমি কালো গাড়িটার দিকে নজর রেখে, রাস্তার পাশে নিজের গাড়িটি পার্ক করে। রেশমির ধারণা ই ঠিক। কালো গাড়িটা ওদেরকে ফলো করছে, এজন্য রেশমির গাড়ির একটু পেছনে এসে কালো গাড়িটিও থেমে যায়৷ যখন আবার রেশমি তার গাড়িটি চালানো শুরু করে, কালো গাড়িটিও রেশমিদের পেছন পেছন চলতে শুরু করে।
বেশ চিন্তায় পরে যায় সুপ্তি এবং রেশমি দুজনেই।
রেশমির ধারণা, রফিককে বাসা থেকে বের করে দেয়ায় হয়ত ও-ই ষড়যন্ত্র করে কোনো লোক পাঠিয়েছে।
সিদ্ধান্ত নেয় ৯১১ এ কল দিয়ে ইমার্জেন্সি হেল্প নেয়ার।
ইমার্জেন্সি হেল্পলাইনে কল দেয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই সাইরেন বাজাতে বাজাতে পুলিশের গাড়ি চলে আসে। পুলিশের গাড়ির সাইরেনের প্যাঁ পু আওয়াজ শুনতেই ইউটার্ণ নিয়ে উল্টোদিকে চলে যায় ব্লাক কালারের গাড়িটি। যখন পুলিশ এসে সুপ্তিদের গাড়ির সামনে পৌঁছায়, সুপ্তি এবং রেশমি পুরো ঘটনা পুলিশদের খুলে বলে। তারা একটা ডায়েরিতে সবকিছু লিপিবদ্ধ করে সেদিনের মত চলে যায়।
নিরাপদে ঘরে ফেরে সুপ্তি এবং রেশমি।
আশ্চর্যজনক ভাবে সেদিন রাতেই সবগুলো টেলিভিশনের সংবাদে একটা দুর্ঘটনার নিউজ প্রচারিত হয়। হাইওয়েতে কালো রঙ এর একটা মাইক্রোবাস এক্সিডেন্ট করেছে।
মাইক্রোবাসে থাকা দু’জন ব্যক্তির একজন ও বেঁচে নেই। পুলিশ এটাকে এক্সিডেন্ট না বলে পরিকল্পিত হত্যা বলে প্রচার করছেন। কারণ মাইক্রোতে থাকা দুজন ব্যক্তিরই মাথা আলাদা অবস্থায় পেছনের সিট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷
এমন ভয়ানক অবস্থা দেখে রেশমি এবং সুপ্তি দুজনেই বেশ ভয় পেয়ে যায়৷ তারা দুজনে আঁচ করতে পারে, কোন একটা ঘোর বিপদের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই।
.
.
.
ক্লান্ত-শ্রান্ত দেহ নিয়ে মাঝরাতের দিকে বাসায় ফেরে রোহান।
মণিকা ভাবী তার দরজার সামনেই দাঁড়ানো ছিলো।
রোহানকে দেখে অভিমানের সুরে বললো, রোহান তুমি আমাকে না বলে কোথায় চলে গেছিলে বলোতো!
রোহান মণিকা ভাবীর দিকে তাকিয়ে বলে, ভাবী একটু কাজ ছিলো বাইরে। রোহানের পেছনে ৫/৬ জন ছোট ছোট ছেলেদের দেখে জিজ্ঞেস করে, তোমার পেছনে এরা কারা?
রোহান উত্তর দেয়,
এই এলাকার ই ছোট ছোট পিচ্চি পাচ্চা। সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় টো টো করে, কেউ কেউ ভিক্ষা করে।
আসলে বাসাটা অগোছালো হয়ে আছে তো,তাই ভাবলাম ওদের দিয়ে পরিষ্কার করিয়ে রাখবো । বিনিময়ে দু-চার পয়সা দিয়ে বিদায় দিব।
– তুমি আমাকে বলতে পারলে না রোহান! তোমার বাসা আমি গিয়ে পরিষ্কার করে দিয়ে আসতাম!
– না থাক ভাবী আপনি অসুস্থ। রেস্ট নিন।আপনি সুস্থ না থাকলে প্রতিদিন মজার মজার রান্না কে খাওয়াবে! কালও কিন্তু আপনার বাসায় খাব ভাবী।
মণিকা ভাবী হেসে উত্তর দেয়, আচ্ছা।
– আমি তাহলে আসি ভাবি।
বলে রোহান নিজের ফ্লাটের দিকে পা বাড়ায়
রোহানের সাথে ওর বাসায় প্রবেশ করে ছোট ছেলেগুলো ও।
সেদিন রাতে সবাই মিলে একত্রে ভুড়িভোজ করে। রোহান সবার মাঝে একটা টেন্ডেন্সি দেখতে পায়, সবাই খুব কম করে খাচ্ছে। প্যাকিং করে বাসায় নিয়ে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ সবার। অবাক হয় রোহান! এটুকু বয়সেই নিজের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি কত দায়িত্ববোধ এদের।
.
.
.
.

একটা নিরিবিলি পার্কে মুখোমুখি হয়ে বসে আছে রেশমি এবং রোহান।
রোহানের বক্তব্য,
সুপ্তিকে সে নিজের কাছে রাখতে চায়।
রেশমি সাফ জানিয়ে দিয়েছে সুপ্তিকে কিছুতেই রোহানের কাছে যেতে দিবেনা।
সেদিনের কথাগুলো মনে পড়লে এখনো রোহানকে মারতে ইচ্ছে করে রেশমির।
রোহান বললো,
ঐদিন যে কথাগুলো বলেছিলাম সেজন্য আমার একটুও আফসোস নেই। বা হবেওনা। কারণ সুপ্তির নিজের সিকিউরিটি নিয়ে ভাবা উচিৎ ছিলো।
জেনেশুনে কেউ যদি বাঘের খাচায় প্রবেশ করে সেটার দায়ভার কে নিবে?
আমাদের সমাজটা এখন জানোয়ারে পরিপূর্ণ। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই পুরুষরা নারীলোভি। নারীদের ভোগ্য পণ্য মনে করে। এটা সৃষ্টির শেষ পর্যন্ত থাকবে।
নিজের সতর্কতা নিজের কাছে। ধর্ষণ হওয়ার পেছনে নৈতিক অবক্ষয় যেমন দায়ী, নিজেদের অসতর্কতাও একইভাবে দায়ী।
– তোমার মধ্যের গোড়ামি এখনো যায়নি। তুমি ওকে তোমার কাছে নেয়ার পর এসব বিষয়ে খোটা দিলে ও কতটা কষ্ট পাবে জানো?
– খোঁটা দিলে যদি ওর গা থেকে ধর্ষণের দাগ মুছে যেত৷ তাহলে দিতাম।
কিন্তু যা হওয়ার তা হয়ে গেছে,চাইলেও পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমি তাই ওকে পাস্ট নিয়ে কোনো কথা শুনাবো না।
– আচ্ছা, যেহেতু তোমার স্ত্রী ও। আমি বাঁধা দিয়ে রাখার কেউ না। নিয়ে যেও ওকে বুঝিয়ে। এমন একটা ভাব করবে যেন তুমি ওকে অনেক খুঁজে তারপর পেয়েছো।ওকে ছাড়া এতদিন কষ্টে ছিলে।
– আচ্ছা৷ সুপ্তিকে নাহয় আমার কাছে নিয়ে রাখলাম।
কিন্তু তুমি? তোমার ও তো ঘোর বিপদ। তোমাকে সবটাই খুলে বললাম, যেসকল লোক তোমাদের পেছনে লাগানো হয়েছে ওরা খুবই বিপদজনক।
– আমাকে একটা কথা বলো তো! তুমি এসব জানো কিভাবে?
– সুপ্তি তোমার কাছে আছে এটা জানার পর থেকে আমি গোপনে সব সময় সুপ্তির উপর নজর রেখেছি। ওর আপডেট জেনেছি।
– তুমি কেমন মানুষ আমি সত্যি ই বুঝছিনা। তোমাকে আমার একটু আগেও জুতাপেটা করতে মন চাচ্ছিলো। এখন চাচ্ছেনা।
– রোহান কথাটা শুনে একটু অপমান বোধ করে।
সুপ্তিকে বলে,
যাই হোক, তোমাকে একটা ভালো বুদ্ধি দেই। তুমি কয়েকদিন আমাদের বাসায় থাকো। সুপ্তির এমন অবস্থায় তোমাকে ওর পাশে খুব প্রয়োজন। তারপর পাসপোর্ট, ভিসা রেডি করে দ্রুত দেশত্যাগ করো।
তোমার জন্য এটাই সবথেকে ভালো হবে।
রেশমি মুচকি হেসে, আচ্ছা বলে রাজি হয়ে যায়।
আরো কিছুক্ষন কথাবার্তা শেষে রেশমি বিদায় নেয়।
রোহান পার্কের ঘাসের উপরে শুয়ে পরে। আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবে,
চকলেটের মত পৃথিবীর সব মানুষ মুখোশের মোড়কে মোড়ানো।
সুপ্তিকে ব্যবহার করে রেশমি কত বড় একটা দান মেরে দিলো!
বেচারা রফিক সাহেব, বুঝতেও পারেনি কিছু। অসৎ লোকেরা সহজেই ফাঁদে পরে। রফিক সাহেবও পড়েছেন নিজ দোষেই।
কে বেশি দোষী!
যে ফাঁদ পেতেছে সে! নাকি যে নিজ দোষে ফাঁদে পড়েছে সে!
বিষয়টা নিয়ে জটিল চিন্তাভাবনায় মগ্ন হতে হবে। একটা সিগারেট ধরিয়ে চারপাশের পরিবেশ ধূমায়িত করে তোলে রোহান। আধ্যাত্মিক লেভেলে চিন্তাভাবনা করার জন্য এমন পরিবেশ বেশ জরুরী।
.
.
.
চলবে…
লেখকঃ
হাসিবুল ইসলাম ফাহাদ।
পর্ব ১০-

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে