গল্প:- লাভ_স্টোরি_Session_২ পর্ব:-(০২)

0
1209

গল্প:- লাভ_স্টোরি_Session_২ পর্ব:-(০২)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav

!!
কাছে যেতেই তসিবার কান্না আরো বেরে গেলো আমি তো অবাক আরে যে মেয়েটা সারাক্ষন হাসি খুশি থাকে সেই মেয়েটা কিনা এমন করে কান্না করছে কেনো? কাছে গিয়েই বলি,,
আমি: কি হলো এখানে এসব কি হচ্ছে এত কান্না কাটির শব্দ হচ্ছে কেনো?

আব্বু: সৌরভ তুই এসিছিস?
আমি: হ্যা বলেন কি বলবেন?
আব্বু: আগামীকাল তুই তসিবা কে নিয়ে মার্কেটে যাবি তসিবার নতুন কিছু কাপড় লাগবে কারন সামনে মাসে বাড়ীতে অনুষ্টান আছে আর তসিবার কোনো ভালো কাপড় নেই।

আমি: তসিবার সাথে আমি যেতে পারবোনা তসিবা মার্কেটে গেলে আপুকে সাথে নিয়ে যাক। আমি যেতে পারবোনা আর তাছারা আমার আগামীকাল একটা পার্ঠিতে যেতে হবে বিকালে,,
তসিবা: দেখলেন আব্বু আমাকে কোথাও সাথে নিয়ে যেতে চায়না বলে আবার শুরু কান্না!

আব্বু: তসিবা মা তুমি কান্না থামাও আমি বলছি সৌরভকে! তাও তসিবা কান্না থামাচ্ছেনা তখনি কান্না করতে করতে বলে,,,
তসিবা: আপনি বলবেন কেনো ওনি নিজে থেকে আমাকে নিয়ে যাবে বলে আবার কান্না শুরু!

আমি: ওকে নিয়ে যাবো এবার একটু নেকা কান্নাটা থামাও। তখনি কান্না থামিয়ে খুশিতে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো সবাই ওর কান্ড দেখে হাসতেছে!
আব্বু: আমরা কিন্ত সবাই এখানে আছি তসিবা!

তসিবা: তাতে কি হয়ছে? আমি তো আমার স্বামী কে জড়িয়ে আছি। অন্য কাওকে তো জড়িয়ে ধরিনি? বলে লজ্জা মুখটা লাল করে আমার বুকে মুখ লুকিয়ে রাখছে। আমার ইচ্ছে করছে ছারিয়ে দেয় একটা থাপ্পড়। কিন্ত কিছু করতে পারবোনা এখানে বাসার সবাই আছে তবে রুমে যাই তারপর আজ বুঝাবো আমাকে জড়িয়ে ধরার মজা!

আপু: তসিবা কিন্তু জিতে গেছে আব্বু?
আব্বু: হ্যা তসিবা জিতে গেছে তসিবা বলো তোমার কি লাগবে মা!
আমি: কি জিতে গেছে একটু জানতে পারি?
আব্বু: তসিবা আমাকে বলছে তুই নিজে থেকে রাজি হবি তসিবাকে মার্কেটে নিয়ে যেতে। আমার তুকে বলতে হবেনা যে তুই তসিবাকে সাথে করে নিয়ে যাবি। আর তুই সত্যি রাজি হয়ে গেলি!

আপু: আব্বু ভাই আমার দিন দিন বউ পাগল হয়ে উঠছে!
আব্বু: একদম ঠিক বলছিস তুই এখন বলো তসিবা তুমি কি চাও!
তসিবা: আমার এখন কিছু লাগবেনা যদি কিছু লাগে পরে চেয়ে নেবো। এখন চলেন সবাই খাবার খাবেন,,
আমি: এবার ছারো বাজিতে জিতে গেছো আর ধরে রাখতে হবেনা সবাই চলে গেছে।

তসিবা: আমি বাজি জিতার জন্য আপনাকে জড়িয়ে ধরছিনা কিন্তু। আমি বাজি ধরছি যাতে করে আপনাকে একটু জড়িয়ে ধরতে পারি বুঝলেন?
আমি: তুমি যে কেমন মেয়ে আমি ভালো করে জানি। তবে আগামীকাল তোমাকে যে কি করবোনা তা তুমি চিন্তা করতে পারবেনা। বলে খাবার টেবিলে চলে আসলাম এসে রাতের খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম। আমি রুমে বসে প্রিয়ার সাথে ভিডিও কলে কথা বলছি। তখনি তসিবা রুমে আসছে এসে দেখে আমি ভিডিও কলে কথা বলছি। চুপ করে বালিশটা নিয়ে সুফায় চলে গেলো আমি কিছু বলিনি। প্রিয়ার সাথে কথা বলছি তখনি তসিবা উঠে এসে আমার ঠোটে এক কিস বসিয়ে দিলো। ছারছে না আমি অনেক কষ্ট ছারালাম আমার হাত থেকে মোবাইল নিয়ে প্রিয়াকে মন মত বকে দিলো।

তসিবা: এই তোর লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই অন্যের স্বামীর সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে। তের মা তখনি আমি তসিবার হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে এক থাপ্পড় সাথে সাথে মাটিতে পরে গেলো তসিবা।
আমি: প্রিয়া প্লিজ তুমি কিছু মনে করো না তুমি তো সবকিছু জানোই তাইনা?
প্রিয়া: হ্যা জানি আমি কিছু মনে করিনি।
আমি: ঠিক আছে আগামীকাল সন্ধায় দেখা করবো বলে কলটা কেটে দিলাম। তখনি দেখি তসিবা নিছে শুয়ে আছে।

আমি ডাকছি কোন সারা দিচ্ছেনা মাথটা উঠিয়ে দেখি তসিবির ঠোট কেটে রক্ত বের হচ্ছে। আর অজ্ঞান হয়ে গেছে তারাতারি করে কোলে করে খাঠের উপড় শুয়ে দিলাম। গালে একেবারে অাংগুলের ছাপ পড়ে গেছে। সত্যি বলতে তসিবা অনেক সুন্দর, গ্রামের মেয়ে বলে এতটা সাজ গুজ করেনা! তবে যদি একটু সাজে তাহলে পরীরা ফেল করবে। তবে এতে আমার কোন সমস্যা ছিলনা সমস্যা হচ্ছে তসিবা বেশি একটা পড়ালেখা করেনি। মাত্র নাইন পর্যন্ত পড়ছে কথা তেমন একটা গুচিয়ে বলতে পারেনা।আমি তুলা দিয়ে ওর ঠোটের রক্ত মুছে দিতেছি, তখনি তসিবার চোখ মেললো মানে জ্ঞান ফিরে আসছে। সাথে সাথে খাঠের উপড় থেকে উঠে যেতে লাগলো আর তখনি আমি তসিবার হাত ধরে ফেলি,,,

তসিবা: আজকের পর থেকে আপনি আর আমার হাত ধরবেননা। কথাটা মাথায় রাখবেন বলে দিলাম, ছারেন বলে টান মেরে আমার কাছ থেকে হাতটা ছারি চলে গেলো।
আমি:- কি হলো তসিবা এমন করে চলে গেলো কেনো? এর আগে তো আমি কতবার থাপ্পর দিয়েছি। কখনো এমন করনি আমার সাথে? তাহলে আজ এমন করলো কেনো? করুক তাতে আমার কি যেখানে খুশি সেখানে যাক। আমার কি বলে আমি খাঠের উপড় শুয়ে পড়লাম। আর কখন ঘুমিয়ে পড়লাম ঠিক মনে নেই সকালে ঘুম ভাংছে কারো ঘন নিশ্বাসে। তাকি দেখি তসিবা আমার বুকের উপড় শুয়ে আছে চেহারাটা ঠিক ভালো করে দেখা যাচ্ছেনা।

কারন চুল গুলো চেহারাটার উপড় পড়ে আছে। আমি জারি মেরে উঠে পড়লাম তসিবা শুয়ে আছে কি মেয়েরে বাবা এখনো উঠেনি। এখন চুল গুলো সরে গেছে মুখটা একদম ছোট দেখাচ্ছে। আমি ভালো করে চুল গুলো সরিয়ে দিলাম। তবে তসিবা অনেক সুন্দর যদি একটু সুন্দর করে সাজুগুজু করে তাহলে পরীরা তসিবার সামনে কিছুনা। তবে একটা সমস্যা তসিবা বক বক বেশি করে আমি তাকিয়ে দেখছি তসিবার গালে হাতের ছাপ পড়ে আছে। রাতে থাপ্পরটা অনেক জুড়ে দিয়েছি তখনি,,

তসিবা: এমন করে কি দেখছেন হ্যা?
আমি: তুমি এখানে কেনো?
তসিবা: কোথায় থাকবো শুনি?
আমি: সুফায় থাকবে তুমি খাঠের উপড় আসলে কি করে?
তসিবা: আমি খাঠের উপড় আসছি কি করে আপনি নিয়ে আসছে রাতে আমাকে?
আমি: বাজে কথা বলবেনা সত্যি করে বলো খাঠের উপড় আসলে কেনো?
তসিবা: মনে পড়ছে আমি কাল রাতে অনেক ভয় পাইছিলাম। তাই খাঠের উপর এসে শুয়ে ছিলাম তবে এখন থেকে আমি খাঠের উপড় থাকবো?
আমি: জ্বি না তুমি সুফায় ঘুমাবে এখন তুমি এখানে বসো!

তসিবা: কেনো আমার কি কোন কাজ নাই নাকি?
আমি: না নাই তবে আমি না আসা পর্যন্ত তুমি কোথাও যাবেনা। বলে দিলাম আমি নিছে গিয়ে ফ্রিজ থেকে বরফ আর মলম নিয়ে আসলাম রুমে। দেখি তসিবা বসে আছে আমি কাছে গিয়ে গালে বরফ ঢলে মলম লাগিয়ে দিলাম,,

তসিবা: যেহেতু কষ্ট পান আমার কিছু হলে তাহলে থাপ্পড় মারার কি দরকার শুনি?
আমি: কাল তুমি প্রিয়ার সাথে এমন ব্যবহার করলে কেনো?

তসিবা: কাল তো কিছু বলিনি আর যদি কোনোদিন ভিডিও কল করে তাহলে ওকে আমি মেরে ফেলবো। কত বড় সাহস আমার স্বামীর সাথে কথা বলে আপনি শুধু আমার। যদি আর কোনোদিন কথা বলে তারপর দেখাবো কত ধানে কত চাল।

আমি: নিজের সিমানা টুকু বজায় রেখে কাজ করো তানা হলে বিপদে পড়বে। বলে ফ্রেশহতে বাথরুমে চলে গেলাম ২০ মিনিট পড়ে ফ্রেশহয়ে বেড় হলাম দেখি তসিবা রুমে নেই। আমি ফ্রেসহয়ে নিছে নামলাম দেখি সবাই নাস্তা করছে। আর তসিবা ওদের সবাইকে পরিবেশন করছে আমি গিয়ে হাল্কা নাস্তা করে চলে আসলাম অফিসে। কিছু কাজ করলাম দুপর বারোটা বাজে তখনি প্রিয়া কল করছে রিসিব করলাম।

প্রিয়া: সৌরভ আজ সন্ধায় দেখা করবো আমরা কথাটা মনে রেখো কিন্তু?
আমি: ওকে দেখা করবো তখনি কলটা কেটে দিলো, আমি আবার কাজে মন দিলাম। কিছুক্ষন পড়ে দেখি তসিবা হাজির অফিসে তবে আজ হালি হাতে অাসছে এসে আমার রুমে ঢুকে লেপটব অফ করে বলছে,,

তসিবা: চলেন আজ আমি আপনাকে নিয়ে সারাদিন ঘুড়া ঘুড়ি করবো বলে আমার হাত ধরে টানছে,,
আমি: সত্যি তুমি কি বলতো তুমি মানুষ নাকি অন্য কিছু। কত অপমান করি তাও তুমি আমার পিছু ছারোনা আচ্ছা কি করলে আমার পিছু ছারবে একটু বলবে?

তসিবা: আমাকে ভালোবাসলে ছেরে দেবো?
আমি: তা কোনদিন সম্বব হবেনা এখন আমি কোথাও যাবোনা। তুমি গাড়িটা নিয়ে যাও আমি মতি মিয়াকে বলে দিতেছি,,
তসিবা: তা হবেনা আপনি সাথে যাবেন আমি এখন বিউটি পার্লারে যাবো। তারপর একটা রেস্টুরেন্ট দুপরের খাবার দুজনে একসাথে খাবো। তারপর মার্কেটে গিয়ে কেনা কাটা করে বাসায় যাবো বুঝলেন এবার চলেন,,

আমি: তবে সন্ধায় তুমি একা বাড়ীতে যাবে আমি যাবোনা।
তসিবা: আগে তো আমরা যাই বলে আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। অফিসের সবাই তাকিয়ে আছে আমার দিকে আমার কিন্তু খারাপ লাগছেনা। তারপর গাড়িতে বসলাম আমরা দুজনে,,

আমি: তসিবা তোমার সিট বেল্টা লাগিয়ে নাও!
তসিবা: আমি লাগাতে পারিনা আপনি লাগিয়ে দেন!
আমি: তুমি একটা কাটুন তোমাকে বাদিয়ে রাখতে হবে ফ্রেমে। দাও সিট বেল্টা লাগিয়ে আসতে ছিলাম তখনি গালে কিস করে দিলো। কি করলে তুমি কিস করলে কেনো?

তসিবা: গিফট দিলাম
আমি: কিসের গিফট?
তসিবা: আমার সিট বেল্টা লাগিয়ে দিয়েছেন তাই আর আমি কোনো কিছু বাকি রাখিনা,,
আমি: তোমার এই সস্তা গিফট তোমার কাছে রাখো। আমার উপর প্রবাব ফেলাতে এসোনা বলে গাড়িটা চালাতে শুরু করলাম।

তসিবা: আমার কিস আপনার কাছে সস্থা মনে হয় ঠিক আছে আর কোনদিন কিস করবোনা!
আমি: না করলে আমার জন্য ভালো বলে গাড়িটা থামালাম একটা পার্লারের সামনে। আমি গাড়ী থেকে নেমে গেছি তসিবা গাড়ীর ভীতরে বসে আছে কি হলো নামবেনা নাকি গাড়ীর ভীতর থাকবে?

তসিবা: সিট বেল্টা খুলতে পারছিনা তাই!
আমি: দাও আমি খুলে দেতিছি বলে খুলে দিলাম তসিবা বের হয়ে পার্লারের ভীতর ঢুকলো। আমি বাহিরে দাড়িয়ে আছি। প্রাই এক ঘন্টা হয়ে গেলো এখনো বের হচ্ছে না তসিবা। আমি আরো ২০ মিনিট অপেক্ষা করলাম কিন্ত বেড় হচ্ছে, তাই একটু ভীতরে গিয়ে দেখবো কি? না থাক আরেকটু অপেক্ষা করি অনেক্ষন হয়ে গেলো তাও বের হচ্ছেনা। তাই ভীতরে ঢুকলাম দেখি তসিবা ভীতরে কোথাও নেই। আরে মেয়েটা গেলো কোথায়? একটা মেয়েকে জিজ্ঞেসা করলাম তসিবা নামে কেও আসছে কিনা?

মেয়ে: ওনিতো কখন বেরিয়ে গেছে।
আমি: মানে তাহলে তসিবা গেলো কোথায়? আর এখন আমি কোথায় খুজবো মেয়েটাকে? To be continue,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে