গল্প:-লাভ_স্টোরি_Session_2 পর্ব,,, (৮)

0
1140

গল্প:-লাভ_স্টোরি_Session_2 পর্ব,,, (৮)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
!!
আমাকে হুমকি দিয়ে চলে গেলো তসিবার এত বড় সাহোস আজ ওর একদিন কি আমার একদিন। আসুক আজ রুমে একা পেয়ে নেই তারপর বুঝাবো আমাকে হুমকি দেওয়ার মজা কি। আমি প্রিয়াকে অনেক বার কল করছি কিন্তু কল ঢুকছেনা। প্রিয়ার নম্বারটা বন্ধ করে রাখছে নিশ্চয় তসিবা প্রিয়াকে অনেক খারাপ কিছু বলছে। একটু পর তসিবার আম্মু এসে আমাকে বলছে,,,

শ্বাশুড়ি: সৌরভ বাবা নাস্তা করতে আসো?
আমি: আসছি আপনি যান। কি ব্যপার তসিবার আম্মু আমাকে নাস্তা করতে ডাকছে কেনো? তসিবা কোথায় গেছে? আর তসিবার ভাবি কই ওনি কি বাড়ীতে নেই নাকি। এই কথা গুলো ভেবে আমি নাস্তার টেবিলে আসলাম। এসে নাস্তা করতেছি তখনি,,,
তসিবা: জামাইকে পেয়ে আমাকে ভুলে গেলে বাহা ভালো আমি যে তোমাদের মেয়ে এই কথাটা ভুলে গেলে নাকি?

শ্বাশুড়ি: কোথায় গেছিলি তুই সারা বাড়ী খুজলাম কোথাও পেলামনা আয় নাস্তা করবি।
তসিবা: কোথায় আবার এখানে তো ছিলাম তবে আমরা দুজনে আজ একটু বেরহবো আমাদের গ্রামটা দেখার জন্য। তসিবা এসে নাস্তার টেবিলে আমার পাশে বসেছে।
আমি: আন্টি একটা কথা জিজ্ঞেসা করবো।
তসিবা: আন্টি বলেন কেনো মা বলেন?
আমি: তুমি এতো বেশি কথা বলো কেনো? আমার যেইটা ভালো লাগে ঐটা আমি ডাকবো।
তসিবা: তাই বলে আপনি আন্টি বলবেন?

শ্বাশুড়ি: তসিবা হচ্ছেটা কি? একদম চুপ একটা কথা বলবিনা। বাবা সৌরভ তোমার যা ভালো লাগে তাই বলো। এখন বলো কি কথা বলতে চাইছো তুমি?
আমি: ভাবি কোথায় ওনাকে দেখছিনা যে?
তসিবা: ভাবির কথা বলছেন, ভাবি তো ওনার বাপের বাড়ীতে গেছে। ভাবির একটা রাজ পুত্র আসছে আর প্রথম সন্তান নাকি বাপের বাড়ীতে হয় তাই ওনি গেছে। আমার একটা রাজকন্যা হবে ঠিক আমার মত সুন্দর।

শ্বাশুড়ি: তা কবে হবে শুনি একটু এখনো কি এসব কিছু নিয়ে ভাবছোস তোরা? তখনি,,,
আমি: ঠিক আছে আমি রুমে যায় বলে চলে আসতেছি তসিবার দিকে একটু তাকালাম দেখি তসিবার ফর্সা চেহারাটা কালো হয়ে গেছে কথাটা শুনে। তসিবা কিছু না বলে আমার পিছু পিছু রুমে চলে এসে আমাকে বলছে,,,

তসিবা: আর কইদিন গেলে লোকে বলবে। আমার সমস্যা আছে তাই কোনো সন্তান হয়না।
আমি: কেনো এই কথা বলবে? আর কইদিন পড়ে তুমি রানাকে বিয়ে করবে তখন তো তুমি মা হতে পারবে।
তসিবা: তা ঠিক বলছেন তবে এখন রেডি হয়ে নেন আমরা দুজনে একটু বের হবো।
আমি: যাবো তো পড়ে আগে বলো তুমি প্রিয়াকে কি বলছো। সকাল থেকে প্রিয়ার মোবাইল অফ করে রাখছে কেনো? তোমাকে কত বার বলছি প্রিয়ার সাথে খারাপ ব্যবহার না করতে তাও তুমি কেনো করো খারাপ ব্যবহার?

তসিবা: ওর লজ্জা করেনা আমার স্বামীর সাথে কথা বলতে একবার কাছে পাই তারপর ওর বারোটা বাজাবো এখন চলেন আপনি আমার সাথে।

আমি: আজকের মত ক্ষমা করে দিলাম আর যদি কোনদিন আমার মোবাইলটা ধরো তাহলে খবর আছে বলে দিলাম। চলো তুমি কোথায় যাবে আমি আর তসিবা রাস্তা দিয়ে হেটে যায়তেছি আর গ্রামের যাকে সামনে পাচ্ছে তার সাথে দাড়িয়ে কথা বলতে থাকে। তবে আমার অনেক শুনাম করছে সবার কাছে।
তসিবা: জানেন গ্রামের সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসে। তাই তো সবাই আমাকে দেখে অনেক খুশি হয়ছে।

আমি: বুঝতে পারতেছি তুমি সারা গ্রামে কতটা ফেমাস ছিলে। আর কতক্ষণ সময় লাগবে তোমার বান্ধবীর বাড়ীতে যেতে?
তসিবা: আরেকটু সময় লাগবে?
আমি: আচ্ছা ঠিক আছে একটু হাটার পর তসিবা বলে,,,
তসিবা: এসে পড়েছি চলেন বাড়ীর ভীতরে যায়।
আমি: হ্যা চলো তসিবা তুমি আমাকে কোথায় নিয়ে আসলে? আমি বাড়ীর ভীতরে ঢুকে হা হয়ে তাকিয়ে রইলাম তসিবার দিকে। আর বলছি তুমি আমাকে কোথায় নিয়ে আসলে তসিবা? তুমি না বলছো তোমার বান্ধবীর বাড়ীতে যাবে? কিন্তু তুমি তো আমাকে তোমার ভাবির বাসায় নিয়ে আসছো?

তসিবা: হ্যা ভাবি তো আমার সবচেয়ে ভালো বান্ধবী। আর আমি বাড়ীতে আসছি ভাবির সাথে দেখা করবোনা তা কি করে হয়।
আমি: ভালো করছো তবে আগে আমাকে বলা ওচিত ছিলো তোমার। তখনি ভাবি আমাদের দেখছে,,
ভাবি: তসিবা তোরা কখন আসলি? আমাকে একটা কল করতি আমি চলে যেতাম বাড়ীতে।
তসিবা: হ্যা,, তুমি অসুস্থ শরীর নিয়ে চলা ফেরা করো। আর আমি সুস্থ শরীর নিয়ে বাড়ীতে বসে থাকি। বলো ভাবি তুমি কেমন আছো? তোমার রাজপুত্র কবে আসবে শুনি?

ভাবি: খুব তারা তারি আসবে রাজপুত্র। সৌরভ তুমি কেমন আছো? বউকে নিয়ে কবে যে গেলে আর কোনো খবর নেই তোমার।
আমি: ভালো আছি ভাবি তো আপনার শরীর কেমন আছে?
ভাবি: ভালো আছি,, ভীতরে আসো তোমরা।
আমি: হ্যা চলেন। আমি আর তসিবা ঘরের ভীতরে গেলাম,, তারপর ভাবির সাথে বসে অনেক্ষন কথা বলাম। দুপুরে আমরা খাওয়া দাওয়া করলাম আমি রুমে একা বসে আছি তখনি,,

ভাবি: সৌরভ তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে। তবে তসিবার সামনে বলা যাবেনা এক কাজ করো তুমি সময় করে আমাকে কল করো একটা।
আমি: কি কথা বলেন। এমন সময় তসিবার আগমন।
তসিবা: কি ব্যপার আমার বান্ধবীর সাথে কি কথা হচ্ছে শুনি? আমার নামে কি নালিশ করছেন ভাবির কাছে?
আমি: বলছি তোমার মাথাটায় যে গন্ডগুল আছে তা ভাবিকে বলছি। জানেন ভাবি কাল রাতে তসিবা আমাকে খাঠের উপর থেকে ফেলে দিয়েছে।
তসিবা: একদম মিথ্যা কথা বলছে ভাবি। আচ্ছা ঠিক আছে আজ রাতে মজা দেখাবো।
আমি: ভাবি দেখছেন আপনার সামনে বলছে কিন্তু
ভাবি: হয়ছে এখন ঝগরা বন্ধ করো তোমরা।
তসিবা: ঠিক আছে করলাম।

আমি: ঠিক আছে আমরা এখন যায়। তারপর ভাবির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম আমরা। তবে ভাবি কি কথা বলবে একটু জানতে খুব ইচ্ছে করছে।
তসিবা সারা রাস্তায় বক বক করে আসছে। তবে এখন আর আমার খারাপ লাগছেনা ভালোই লাগছে। তসিবা আমার হাতটা জড়িয়ে ধরে হাটছ। আর বক বক করছে একটু সন্ধা হয়ে গেছে।
তসিবা: দেখুন জোনাকি পোকা গুলো কি সুন্দর আলো দিতেছে। একটা জোনাকি পোকা ধরি দেখবেন কি সুন্দর। তসিবা জোনাকি পোকার পিছু পিঠু ছুটছে ওর দুষ্টমি গুলো আমার এখন অনেক ভালো লাগছে। আমি দেখি তসিবা অনেক দুর চলে যায়তেছে। তারা তারি করে দৌরে গিয়ে তসিবাকে ধরে ফেলি।

আমি: কি করছো তুমি পাগল হয়ে গেছো নাকি? কোথায় চলে আসছো দেখছো। চলো জোনাকি ধরতে হবেনা।
তসিবা: জোনাকি না নিয়ে আমি জাবোনা।
আমি: তসিবা সন্ধা হয়ে গেছে। আর এইটা গ্রাম শহর নয় যে তুমি রাতে রাস্তায় ঘুরবে। চলো আমার সাথে বলে তসিবার হাত ধরে টেনে নিয়ে আসলাম বাসায়। তসিবার মনটা অনেক খারাপ আমি বুঝতে পারছি।তোমার কি মন খারাপ?

তসিবা: মন খারাপ হলে আপনার কি? একটা জোনাকি পোকা ধরতে দিলেন না।
আমি: এই নাও তোমার জোনাকি পোকা।
তসিবা: আপনি কিভাবে ধরলেন? আমি কত চেষ্টা করলাম কিন্ত একটাও ধরতে পারলাম না।
আমি: নাও এখন তোমার মন ভালো হয়ছে?
তসিবা: হ্যা,, উম্মা।
আমি: এইটা কি হলো?
তসিবা: গিফট দিলাম,, চলেন ফ্রেশ হবেন।
আমি: হ্যা আসছি তুমি যাও।
তসিবা: না আমার সাথে যাবেন আসেন বলে তসিবা আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে আসছে আমি কিছু বলিনি কারন আমার অনেক ভালো লাগছে আমি ফ্রেশহতে বাথরুমে ঢুকলাম তখনি,,, তসিবা বাহির দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো। একটু পর ফ্রেশহয়ে বের হবো দেখি দরজা লক করা।

আমি: তসিবা একটু শুনবে। কোনো সারা শব্দ নেই। আমি অনেক গুলো ডাক দেওয়ার পর তসিবা উত্তর নিছে।
তসিবা: কি হলো ডাকছেন কেনো?
আমি: দরজাটা বাহির দিয়ে লক করলে কেনো? তারা তারি খুলে দাও বলছি তানা হলে ভালো হবেনা কিন্তু।
তসিবা: আগে বলেন আমাকে ভালোবাসেন আমাকে আপনার বউ হিসাবে মেনে নিবেন তারপর দরজা খুলে দেবো তানা হলে আপনি আজ বাথরুমে বসে থাকেন।

আমি: তসিবা এবার কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে আমি কিন্তু আন্টিকে ডাক দেবো তারা তারি করে দরজাটা খোলে দাও।
তসিবা: আম্মুরা কেও বাড়ীতে নেই ওনারা চাচার বাসায় গেছে। আপনার কাছে একটা অপশন আছে আমাকে বউ হিসাবে মেনে নিন।
আমি: ঠিক আছে আমি দরজাটা ভেংগে ফেলবো, বলে লাথি দিতেছি তখনি তসিবা দরজাটা খুলে দিলো। আমি বের হয়ে একটা থাপ্পড় মারলাম তুমি কবে বুঝবে শুনি? কিছু জিনিস আছে জোর করে পাওয়া যায়না। বলে বাসা থেকে বেড়িয়ে গেলাম। তসিবা কান্না করে গিয়ে রুমের দরজা লাগিয়ে দিলো। হঠাত মনে পড়লো ভাবির কথা মনে পড়ে গেলো। আমি ভাবিকে কল করলাম রিং হতে রিসিব করলো।
ভাবি: সৌরভ বলো।
আমি: ভাবি আপনি আমার সাথে কি কথা বলবেন বলছিলেন।
ভাবি: হ্যা,, তোমার সাথে কি তসিবা আছে।
আমি: না ভাবি তসিবা নেই।
ভাবি: তাহলে শুনো তসিবার ব্যপারে বলছি তসিবা অনেক ভালো মেয়ে তসিবা সবসময় হাসি খুশি থাকে কিন্তু ওর একটা সমস্যা আছে।
আমি: ভাবি কি সমস্যা বলেন।

ভাবি: তেমন কোনো সমস্যা না। তবে তসিবা যদি অনেক কষ্ট পায় তাহলে নিজেকে শেষ করে দিতে চায়। তসিবা এমনিতে কারো কথা কষ্ট পাইনা যদি একবার রাগ করে কষ্ট পাই তাহলে নিজেকে শেষ করে দিতে চাই।
আমি: ভাবি কি বলেন আপনি।
ভাবি: হ্যা,, আমি ঠিক বলছি তসিবা তার ইন্টার ফাইনাল পরিক্ষা দিবে। তখন আমার শ্বশুড় তসিবাকে বলছিলো তসিবার খালার বাসা থেকে পরিক্ষা দিতে। কিন্তু তসিবা রাজি হয়নি। তখন আমার শ্বশুড় তসিবাকে একটা থাপ্পড় দিয়েছিলো। তারপর তসিবা দা দিয়ে ওর পা কেটে ফেলছে।

আমি: ভাবি তসিবা কি পড়া লেখা করছে?
ভাবি: হ্যা তসিবা অনার্সে ভর্তি হয়ছিলো তখনি তোমার সাথে বিয়ে হয়ে গেছে।
আমি: ভাবি ধন্যবাদ আপনাকে এখন আমি রাখি কলটা কেটে দিলাম। তখনি মনে পড়ে গেলো তসিবাকে চর দিছিলাম যে তারা তারি করে বাসায় গেলাম গিয়ে দেখে রুমের দরজা লাগানো। আর তসিবার বাবা মা এখনো আসেনি আমি তসিবাকে ডাকছি কিন্ত তসিবা কোনো উত্তর দিচ্ছেনা। তারপর দরজাটা ভেংগে রুমের ভীতরে ঢুকে দেখি। তসিবা নিছে পড়ে আছে হাত দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। To be continue,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে