গল্প:-বিয়ের_বন্ধন_Session_২ পর্ব:-(০২)

0
1113

 

গল্প:-বিয়ের_বন্ধন_Session_২ পর্ব:-(০২)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
!!
বাবা ডাক শুনার আমার অনেক ইচ্ছে আর আপনাকে স্পর্শ করলে তো ঘেচাং করে দিবেন আর আমি কোনো দিন বাবা ডাক শুনতে পারবোনা তাই তো আপনাকে পড়ে যেতে দেখে ধরিনি তখনি তসিবা বলে,,,

তসিবা:- আরে আপনি কেমন বর আপনার এত সুন্দর বউটা নিছে পড়ে আছে আর আপনি কি`না আমাকে রেখে চলে যাচ্ছেন? যদি আমার কোমড়টা ভাংগে তাহলে নিরঘাত আপনার বাবা ডাক শুনা থেকে আপনাকে বিরত রাখবো বলে দিলাম।

আমি:- মানে কি আমি তো আপনাকে স্পর্শ করিনি তাহলে কেনো বাবা ডাক শুনতে পারবোনা?

তসিবা:- আমার কমোড়টা ভাঙ্গলে তো আমি মা ডাক শুনতে পারবোনা, আর আপনি বাবা ডাক শুনবেন তা কি করে হয়?

আমি:- কেনো আপনাকে কি কেও ঘেচাং করে দিয়েছে নাকী?

তসিবা:- ঐ ওল্টা পাল্টা কোনো কিছু বললে একদম সত্যি ঘেচাং করে দিবো। এমনিতেই আমার কোমড়টা বুঝি ভেংগে গেছে, কোথায় এখন এসে আমাকে টেনে তুলবে তা`না ওনি এসেছে বাবা ডাক শুনতে। কি হলো দাঁড়িয়ে কি দেখছেন আমাকে এসে টেনে তুলেন।

আমি:- যেহেতু অনুমতি দিয়েছেন সেহেতু স্পর্শ করতে পারি। (তসিবাকে টেনে তুলেছি তসিবা খাঠের উপর বসেছে) আচ্ছা আপনি কি বেশি ব্যাথা পেয়েছেন?

তসিবা:- আগে হাতটা ছাড়েন।

আমি:- স্যরি এই ছেড়ে দিয়েছি এবার বলেন?

তসিবা:- আমি যদি এখন আপনাকে একটা আঁছার দিতে পারতাম তাহলে বুঝতেন আমি কেমন ব্যাথা পেয়েছি। আপনার একটুও দয়া হলোনা আমার প্রতি আমি পড়ে গেছি তাও আমাকে ধরেন নাই।

আমি:- আপনি তো বলছেন ভুল করে যদি স্পর্শ করি তাহলে ঘেচাং করে দিবেন আর আমি কোনো দিন বাবা ডাক শুনতে পারবোনা।

তসিবা:- এখন থেকে যদি আমি পড়ে যাই তাহলে আমাকে ধরবেন তা`না হলে শুধু বাবা ডাক না জীবনে আর কারো ডাক শুনতে পারবেন না।

আমি:- মানে?

তসিবা:- একদম খুন করে ফেলবো আর আমি অন্য একটা ছেলের সাথে বিয়ে করে সংসার করবো। এখন আপনি আমার সামনে থেকে যান তা`না হলে সত্যি খুন করবো। আর কি আপনি আপনি করে বলেন আমি আপনার কম করেও ৫–৬ বছরের ছোট হব তুমি করে বলেন বলে দিলাম।

আমি:- ঠিক আছে! আচ্ছা আপনাদের বংশের কেও কি জেল হাজতে খুনের আসামি আছে নাকী?

তসিবা:- তবেরে সত্যি সত্যি খুন করবো বলে আমার দিকে এগিয়ে আসতে চায়ছে আর আমি সোজা দৌড়ে বেড়িয়ে এসেছি বাহিরে।

আমি:- কেমন মেয়েরে কথায় কথায় খুন আর ঘেচাং করতে চাই। মনে হচ্ছে বেশি একটা সুবিধার হবে না একটু সাবধানে থাকতে হবে ঐ মাইয়ার কাছ থেকে তখনি আম্মু এসে বলে,,,

আম্মু:- সৌরভ কি বিড় বিড় করছিস তসিবা কোথায়?

আমি:- নাহ তেমন কিছুনা আর তসিবা মনে হচ্ছে ফ্রেস হতে গেছে উয়াশ রুমে।

আম্মু:- ও আচ্ছা, আর শুন তসিবা কিন্তু অনেক ভালো একটা মেয়ে ওকে সারা জীবন সূখে রাখবি আমাকে কথা দে? ( সারা জীবন সূখে রাখবো মানে এই মাইয়া তো কোথায় কথায় খুন করবে আর মনে তো হচ্ছে আজকে কলেজে গেলে বয়ফেন্ডের সাথে পালাবে। মনে মনে কথা গুলি ভাবছি তখনি আম্মু বলে) কিরে কি ভাবছিস বল তসিবাকে সূখে রাখবি?

আমি:- হ্যা রাখবো যতদিন আমার কাছে থাকবে ততদিন।

আম্মু:- আমি তসিবার মাকে কথা দিয়ে এসেছি তুই তসিবাকে অনেক সূখে রাখবি আর তুই আমাকে কথা দিয়েছিস আমি এবার নিশ্চিন্তে থাকতে পারবো।

আমি:- আম্মু তুমি কোনো চিন্তা করোনা আমি তসিবাকে অনেক সূখে রাখবো দেখো তসিবা খুব ভালো থাকবে। তখনি দেখি তসিবা সাদা একটা লেহেঙ্গা পড়েছে মনে হচ্ছে আসমান থেকে সাদা আপছাড়া নেমে আসতেছে আমি হা হয়ে তাকিয়ে আছি তখনি তসিবা এসে আমার থুতাতে আস্তে করে ধাক্কা দিয়ে বলে।

তসিবা:- এমন করে তাকিয়ে আছেন কেনো মশা ঢুকবে তো?

আমি:- আম্মু তুমি দেখছো তোমার বউ কি বলে?

আম্মু:- তসিবা তো ঠিক বলছে হা হয়ে আছিস কেনো?

আমি:- তুমি তসিবার পক্ষ নিলে?

তসিবা:- তাহলে কার পক্ষ নিবে? আম্মাজান আপনার কাছে একটা জিনিস চাইবো আপনি আমাকে অনুমতি দিবেন?

আম্মু:- হ্যা মা বলো কি চাও?

তসিবা:- আমাকে পড়া লেখা করার অনুমতি দিবেন প্লিজ! তখনি আব্বু এসেছে আর বলছে,,,

আব্বু:- মানে তুমি পড়তে চাও তাহলে তো খুশির খবর আমাদের ইচ্ছে তুমি লেখা পড়াটা চালিয়ে যাও। রুজির মা তোমার বউমা তো তোমাকে অনেক সম্মান করে দেখছি।

আম্মু:- হ্যা তা তো করবেই কারন তসিবা তো আমার মেয়ে তাইনা। আর শুনো তসিবা সৌরভ যদি তোমাকে কোনো সময় কোনো কারনে কষ্ট দেয় তাহলে আমাকে বলবে আমি ওর কান টেনে ছিড়ে দিবো কেমন। এসো এখন খাবার খাবে,, সবাই মিলে খাবার টেবিলে গেছি তসিবা আমার পাশে বসেছে আমি ইচ্ছে করে ওর পায়ে লাথি দিয়েছি ছোট করে।

তসিবা:- আম্মাজান আপনার ছেলে আমার পায়ে লাথি দিয়েছে। ( তসিবার কথা শুনে আপু দুলাভাই, আম্মু আব্বু, সবাই আমার দিকে তাকিয়েছে আমি সাথে সাথে মাথা নিছের দিকে দিয়ে সোজা দৌর।)

আমি:- এমন মাইয়া আমি জীবনে কম দেখছি একটু রোমান্টিকতা করতে চায়ছি আর সোজা আওট করে দিয়েছে। ঠিক আছে আমিও প্রতিশুধ নিবো শুধু সময়ের অপেক্ষা বাহিরে এসে একা একা রাস্তায় হাটতেছি হঠাত মনে পড়েছে মোবাইলটা তো বাসায় রেখে এসেছি যদি মিস রেনু ফোন করে আর তসিবা রিসিব করে তাহলে আজকে আমার কান গুলি আম্মু সত্যি সত্যি ছিড়বে। তাড়াতাড়ি করে বাড়ীতে গেছি গিয়ে দেখি সবাই এক সাথে বসে আছে নিচে যাক বাচা গেলো রুমে গিয়ে দেখি আমার মোবাইলটা ফ্লোরে পড়ে আছে আর প্রতিটা পাস আলাদা আলাদা হয়ে আছে আমার মোবাইলটার এই অবস্থা কে করেছে? তসিবা বলে জুড়ে ডাক দিয়েছি তখনি সবাই এসে হাজির হয়েছে বাড়ীর সববাই সহ তসিবা।

আম্মু:- কিরে এত জুড়ে চিৎকার দিয়ে তসিবাকে ডাকছিস কেনো?

আমি:- আমার মোবাইলটার এই অবস্থা কে করেছে?

আম্মু:- তোর রুমে তো আমরা কেও এখন আসিনি আর তসিবা তো নিছে ছিলো?

আমি:- আম্মু আমি মজা করছিনা তুমি একদিনে তসিবাকে মাথায় তুলে নিয়েছো তসিবাকে জিজ্ঞেস করো কেনো আমার মোবাইলটা ভাঙ্গছে? তসিবা তুমি আমার মোবাইলটা ভাঙ্গছো কেনো বলো?

তসিবা:- আমি কখন আপনার মোবাইলটা ভাঙ্গছি আপনি নিজেই ভেংগে আমার নাম দিতেছেন। আমি বুঝতে পারছি আপনি আমাকে বউ হিসাবে মেনে নিতে পারেন নাই তাই তো বিয়ের প্রথম দিনে আমার নামে এত বড় একটা মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন বলে কান্না শুরু করে দিয়েছে,,,

আমি:- তুমি কান্না করলে যে তোমাকে ক্ষমা করে দিবো তা কি করে ভাবলে? তখন তসিবা আরো জুড়ে কান্না করতে লাগলো আরে কি মেয়েরে অনেক শিয়ানা বলতে হবে। তসিবার কান্না দেখে এবার উল্টা আমার উপর সবাই রাগ করতে শুরু করেছে আর যার যার মত করে বকা জকা করে গেছে আমি বসে চুপচাপ শুনেছি। এখন তো দেখছি আমি বাড়ীতে বউ আর তসিবা এই বাড়ীর ছেলে সবাই চলে গেছে আমি মোবাইলের পাস গুলি হাতে নিয়ে বসে আছি কিছুক্ষণ পর তসিবা এসে বলে,,,

তসিবা:- ছোট চাচা এসেছে আমাদের নিতে আব্বাজান বলছে আপনাকে রেডি হয়ে নিছে যেতেন।

আমি:- তোমার সাথে আমি যাবোনা তুমি একা চলে যাও।

তসিবা:- ঠিক আছে তাহলে থাকেন পরে ঠেলা সামলিয়েন কেমন এই বলে তসিবা যেতে ছিলো আমি তসিবার হাত ধরে বলি,,,

আমি:- কোথায় যাচ্ছো আমি তো মজা করে বলছি এখুনি রেডি হয়ে আসতেছি।

তসিবা:- আমার হাত ধরেছেন কেনো ছাড়েন হাত (আমি হাতটা ছেড়ে দিয়েছি) এর পর নিজেকে কন্ট্রোল করে রাখবেন আর ভালো ছেলের মত তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে নেন আজ থেকে আপনার মুভি দেখা শুরু।

আমি:- মানে কিসের মুভি?

তসিবা:- বলে দিলে তো মুভি দেখতে চাইবেন না। তাড়াতাড়ি নিছে আসেন আর ২০ মিনিটের বেশি সময় হলে ঠেলার জন্য তৈরি থাকেন।

আমি:- তুমি যাও আমি আসতেছি! রেডি হয়ে নিছে গেছি সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে।

আব্বু:- সৌরভ সাবধানে থাকিস আর নিজের যত্ন নিস কেমন?

আমি:- আরে এমন ভাবে বলছেন মনে হচ্ছে আমি শ্বশুড় বাড়ীতে ঘর জামাই থাকতে যাচ্ছি।

আপু:- হ্যা তুই তো ঘর জামাই থাকবি তার জন্যই তো তসিবাকে তোর সাথে বিয়ে দিয়েছে।

আমি:- মানে কি জাতা বলছিস আপু?

আপু:- হ্যা ভাই তার জন্য তসিবাকে তোর সাথে বিয়ে দিয়েছে,, আব্বু আম্মু তোমরা কিছু বলছোনা কেনো?

আম্মু:- তসিবা তোর আব্বুর বস্ এর মেয়ে! তোর চাকরির জন্য তসিবার আব্বু ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে ছিলো তসিবাকে বিয়ে করে ওদের বাড়ীতে ঘর জামাই থাকতে হবে সেই চুক্তির বিত্তিতে টাকাটা দিয়েছে। তুকে কথাটা বলেনি কারন তুই সব যেনে যদি বিয়েতে রাজি না হস তাই সবটা লুকিয়ে রাখা হয়ছে তোর কাছ থেকে।

আমি:- তাই তো বলি সবাই তসিবার পক্ষে কথা বলে কেনো? আচ্ছা যদি ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে দেয় তাহলে কি তসিবা আমাদের বাড়ীতে থাকবে?

আব্বু: নাহ তেমন কোনো সুযোগ নেই তবে তসিবা যদি ইচ্ছে করে তোর সাথে আমাদের বাড়ীতে থাকে তাহলে থাকতে পারবি। এখন কথা কম বলে যা আমি আর তোর মা কিছু দিন পর পর তুকে গিয়ে দেখে আসবো কেমন।

আমি:- যেনে বুঝে আমার সাথে এমন একটা কাজ করলেন এই জন্য তো বলি হঠাত করে সবাই আমাকে এতটা ভালোবাসতে আরম্ভ করছে কেনো? আচ্ছা তাহলে আপনাদের কে দেখা শুনা করবে?

আব্বু:- তোর ভাবি আর ভাইয়া আছে তো ওরা আজকে চলে আসবে বাড়ীতে আমাদের সাথে থাকবে এখন থেকে। আর তোর আপু তো আছেই আমাদের মাঝে মাঝে খুঁজ খবর নিবার জন্য। আচ্ছা যা ভালো থাকিস আর শুন চুক্তিতে লিখা আছে তসিবা চাইলে তোকে দিয়ে সব রকম কাজ করাতে পারবে কিন্তু তুই কোনো কিছুই করাতে পারবিনা।

তসিবা:- আপনার নেকামি শেষ হলে চলেন আমার এসব একদম সহ্য হচ্ছেনা,, আব্বা আম্মা তাহলে আসি আপনারা আমার জন্য দুয়া করবেন আমি যেনো সূখে থাকি।

আব্বা:-

আমি:- ঠিক আছে ভালো থাকবেন আর আমার জন্য দুয়া করবেন। চাচা শ্বশুড়ের সাথে আমরা দুজনে গাড়িতে বসেছি। আমি মন খারাপ করে বসে আছি ঘন্টা খানেকের মধ্যে তসিবাদের বাড়ীতে চলে এসেছি। গাড়ি থেকে নেমে দুজনে বাড়ীর ভীতরে ঢুকেছি

শ্বশুড়:- সৌরভ কেমন আছো তোমার বাবা মা সবাই ভালো আছে?

আমি:- হ্যা ভালো আছে। বসে ওনাদের সাথে কথা বিনিময় করে নিলাম।

শ্বাশুড়ি:- তসিবা সৌরভকে তোর রুমে নিয়ে যা! তসিবা উঠে ওর রুমে যাচ্ছে আমি পিছু পিছু যাচ্ছি রুমে ঢুকতেই তসিবা বলে।

তসিবা:- শুনেনন এখন থেকে আপনি তাই করবেন আমি যা করতে বলবো। রাত ১০টার আগে বাসায় চলে আসবেন, আর রাতে ফ্লোরে ঘুমাবেন আর আমাকে কোনো প্রশ্ন করতে পারবেন না।

আমি:- ঠিক আছে তাই হবে।

তসিবা:- আর আব্বু আম্মুর সামনে আমার সাথে খারাপ আচরন করবেন।

আমি:- কিন্তু কেনো?

তসিবা:- বলছিনা প্রশ্ন করা চলবেনা তাও বলি কারন ওদের চোখে আপনাকে আমি খারাপ ছেলে হিসাবে তৈরি করবো। আপনি কি ভাবছেন আমি আপনার সাথে সংসার করবো আপনাকে ডির্ভোস দিয়ে আমার জানুকে বিয়ে করবো এখন থেকে খেলা শুরু এই কথা গুলি বলে তসিবা চলে যাচ্ছে আর আমি পা বাড়িয়েছি আমার পায়ের সাথে তসিবার পা লেগে পড়ে যাচ্ছে আমি ধরে নিয়েছি,,

আমি:- সাবধানে মিস তসিবা পড়ে যাবে তো? তুমি আমাকে যতটা বোকা ভাবছো আমি এতটা বোকা নই। তবে আমি তোমাকে বলে দেয় তুমি আমাকে কি কষ্ট দিবে দাও মাত্র তো এক বছর তোমার যন্ত্রা গুলি সহ্য করবো তারপর কি করবে মিস তসিবা ইসলাম। মিস তসিবা ইসলাম এমন না হয়ে যায় তুমি আমাকে ভালোবাসতে শুরু করো আর আমি তোমার কাছ থেকে চলে যাই দূরে অনেক দূরে! আমি কথা গুলি বলে রুম থেকে বেড়িয়ে এসেছি আর তসিবা আমার দিকে অভাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।To bee continue,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে