গল্প:- বাল্য কালের বউ সিজন ২ পর্ব:-(৬)

0
1343

গল্প:- বাল্য কালের বউ সিজন ২ পর্ব:-(৬)
লিখা:- সোহরাব আল ইসলাম

নিজের বরকে তুমি ভাইয়া বলতে পারো তাহলে
আমি তোমাকে আন্টি বললে সমস্যা কোথায়?
আমাকে ভাইয়া বলার মজা হারে হারে টের পাবে
আন্টি কোথাকার। আহা কি আনন্দ আঁকাশে
বাতাশে। নাছতে নাছতে বাথরুমে গেছি ফ্রেশ
হতে এমনি নিহা এসে বলছে,,
নিহা:- ভাইয়া আম্মু আপনার জন্য খাবার পাঠিয়েছে।
আমি:- তাই বুঝি টেবিলে রেখো।
নিহা:- ভাইয়া আপু এসেছে তোমার সাথে কথা
বলবে বলে।
আমি:- আমি এখন ফ্রেশ হব কথা বলতে পারবো
না। তোমার আপুকে বলো আমি কোন আন্টির
সাথে কথা বলবো না।
নিশি:- ঐ তুই আজকে বাহিরে আয় তোর একদিন কি
আমার একদিন। আজকে তোর মাথা ফাটাবো
তোর চোখ তুলে ফেলবো।
আমি:- আন্টি আপনি গিয়ে আপনার বরের সাথে এই
রাগটা দেখান। নিহা আন্টিকে বলো চলে
যেতে।
নিহা:- ভাইয়া তুমি না আপুকে ভালোবাসো তাহলে
আন্টি বলে ডাকছো কেন? তখনি,,
নিশি:- কি এই হাদা রাম আমাকে ভালোবাসে?
নিহা:- হাদারাম বলছো কেন? আল ভাইয়া তোমার
জন্য কত কষ্ট করছে। আমি তো আল ভাইয়ার
প্রেমে পড়ে গেছি।
আমি:- নিহা আমি কখন বলেছি তোমাকে যে আমি
এই আন্টিকে ভালোবাসি? আমার বউ হবে
দেখতে অনেক সুন্দর পেটে তিল থাকবে। চুল
গুলা কমড় ছারিয়ে যাবে। হাসিটা অনেক সুন্দর হবে।
কন্ঠটা একদম শুনলে সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে। আর
দেখতে একদম পরীর মত হবে।
নিহা:- আপুর তো সবই ঠিক আছে, আচ্ছা আমি
গেলাম তোমরা ঝগড়া করো।
আমি:- নিহা তোমার সাথে আন্টিকে নিয়ে যাও।
নিশি:- আমার বয়ে গেছে তোর রুমে থাকতে।
আমি:- হ্যা তা ঠিক বলছো ওকে যাও গিয়ে মদের
বতলে চুমুক দাও। আর কোন সারা শব্দ পাইনি মনে
হয় চলে গেছে। আমি ফ্রেশ হয়ে বের
হয়েছি না রুমে কেও নেই। কাপড় পড়ে নিহার রাখা
খাবারটা খেয়ে নিলাম। বাহা আন্টির হাতের রান্নার
প্রশংসা করতে হবে। তবে নিশিকে রাগাতে হবে
আজকে একটু এখন যাই একটু নিশিকে রাগিয়ে আসি, খাবার
শেষ করে প্লেটটা হাতে করে নিচে নেমে
এলাম।
আন্টি:- বাবা সোহরাব তুমি একটা কাজ করে দিবে?
আমি:- জ্বি আন্টি বলেন কি কাজ করতে হবে?
আন্টি:- এখন নই আগামী কাল তুমি নিশির বাথডেতে
সব নিজের হাতে করবে। নিশি আমাকে বলছে
তুমি যেন সব নিজের হাতে করো।
আমি:- ও এই কথা ঠিক আছে চেষ্টা করবো। আন্টি
আপনার হাতের রান্নার জবাব নেই। আপনি অনেক
ভালো রান্না করতে পাবেন।
আঙ্কেল:- আচ্ছা সারাক্ষন তুমি মমতার এত প্রশংসা
করো কেন?
আমি:- তাতে আপনার এত ফাটে কেন? আন্টি
দেখছেন আপনার প্রশংসা একদম সহ্য করে পারে
না। আমি আপনার প্রশংসা করি তার জন্য আমাকে কি
বলে?
আন্টি:- আরে বাবা দ্বাড়াও আসলে আমার প্রশংসা
ওনার সহ্য হয়না। এই তুমি তোমার কাজে যাও।
নিশি:- আম্মু আমি একটু বের হচ্ছি।
আন্টি:- এখন আবার কোথায় যাবি?
নিশি:- আমার বান্ধবীর বাসায় আজকে ওর গায়ের
হলুদ।
আন্টি:- একা যাবার দরকার নেই, সোহরাবকে বল
এসে তোকে নিয়ে যেতে।
নিশি:- ফোন করেছি বলছে আসতে একটু দেরি
হবে ওর হাতে কাজ আছে।
আন্টি:- তাহলে আলকে সাথে নিয়ে যা।
নিশি:- দরকার নেই আমি একা যেতে পারবো।
আমি:- আন্টি গতকাল রাতে কি হয়ছে জানেন, রাতে
একা বের হয়ছে একটা মেয়ে তারপর আর বাসায়
আসেনি ছেলেরা তুলে নিয়ে গেছে।
আন্টি:- হ্যা তা আমিও শুনেছি, নিশি তুই আলকে
সাথে নিয়ে যা। আর তানা হলে সোহরাবের জন্য
অপেক্ষা কর।
নিশি:- ঠিক আছে আল ভাইয়াকে সাথে নিয়ে
যাবো। আল ভাইয়া আসেন আপনি আমি বাহিরে
গাড়ীতে অপেক্ষা করতেছি।
আমি:- হ্যা আমি রেডি হয়ে আছি, আন্টি আপনাকে
অনেক ধন্যবাদ। নিশি মেম চলেন?
নিহা:- ভাইয়া আসার সময় আমার জন্য চকলেট
আইসক্রিম নিয়ে আসবেন কিন্তু?
আমি:- ঠিক আছে, নিশি আর আমি দুজনে বাহিরে
এসেছি। নিশি মেম বাইকে করে যাবেন?
নিশি:- না আমি গাড়ীতে করে যাবো।
আমি:- ঠিক আছে চলেন, আমি গাড়ী ড্রাইব
করতেছি, নিশি পাশে বসে আছে। নিশিকে বার বার
তাকিয়ে দেখতেছি।
নিশি:- এমন ভাবে কি দেখতেছেন ভাইয়া? গাড়ীটা
এক্সিডেন্ট করবেন তো? আর আমাকে
দেখে লাব নেই আমার তো বিয়ে হয়ে
আছে। এক কাজ করতে পারি আপনার জন্য আমার
একটা বান্ধবী সেট করে দিতে পারি।
আমি:- বুঝতে পারছি আন্টি, থাক দরকার নেই। আমার
নিজের জিনিস নিজেই খুঝে নিব। আন্টি আপনি একটু
বলিয়েন কি করে যেতে হবে।
নিশি:- আমি আন্টি তাইনা বলে আমার গলা টিপে
ধরছে। আমাকে আন্টি ডাকার মজা আজকেই
বুঝাবো।
আমি:- আরে মেম কি করছেন গাড়ী এক্সিডেন্ট
করবো তো? কে শুনে কার কথা আমি গাড়ীটা
সাইট করে থামিয়ে দিয়ে নিশিকে কাতু কুতু দিতে
লাগলাম। নিশির যখন ছোট বেলা রাগ উঠতো তখন
আমি কাতু কুতু দিলে ওর রাগ কমে যেত।
নিশি:- এই আপনি কি করছেন? আমাকে সুরসুরি
দিতেছেন কেন?
আমি:- সুরসুরি দিলে তো আপনার রাগ কমে যাবে।
নিশি:- আপনি কি করে জানলেন আমার রাগ উঠলে
সুরসরি দিলে রাগ কমে যায়?
(এখন কি বলবো)
আমি:- নিহা বলেছে, তবে আপনার পেটের তিলটা
একটু বেশি সুন্দর মেম।
নিশি:- নিহাটা আপনাকে দেখি সব বলে দিচ্ছি, গাড়ীটা
বামে মুড় করে রেখে দিন।
আমি:- ঠিক আছে, গাড়ীটা বামে মুড় করেছি। নিশি
মেম আপনার ঠোটের লিপজেল নষ্ট হয়ে
গেছে।
নিশি:- সব আপনার জন্য হয়ছে এখন কি করবো?
আমি:- কিছুই করতে হবে না বলে নিশিকে ধরে
ওর ঠোটের লিপজেল মুছে দিয়েছি।
নিশি:- এইটা কি করলেন?
আমি:- এদিকে আসেন টিসু দিয়ে ভালো করে
মুছে দেয়। সত্যি বলতে আপনাকে এখনি বেশি
সুন্দর লাগছে। নিশি চুপ করে আমার দিকে তাকিয়ে
আছে। আমি নিশির ঠোট মুছে দিলাম। দুজনে
নেমে পাশা পাশি হেটে বাড়ীর ভীতরে
গেছি। আচ্ছা আজকে আপনার বান্ধবীর গায়ের
হলুদ আগামী কাল আপনার বাথডে আবার ওর বিয়ে
তাহলে এক দিনে দুইটা অনুষ্টানে এটেন করবেন
কি করে?
নিশি:- এইটা আপনার চিন্তা না করলে হবে। এখন
চলেন ভাইয়া আমরা ভীতরে যাই।
আমি:- হ্যা চলেন আন্টি, তখনি নিশি আমার গলা টিপে
ধরতে চাইছে। আমি একটু সোজা হয়েছি তখনি
নিশি আমার বুকের মাঝে এসে গেছে। আর
সেই সুঝুগে আমি নিশিকে জড়িয়ে ধরেছি। নিশি
নিজেকে ছারিয়ে আমাকে থাপ্পড় দিয়েছে আমি
চোখ বন্ধ করে নিয়েছি কিন্তু থাপ্পড়টা আমার
গালে পড়েনি। আমি চোখ মেলে চেয়ে
দেখি নিশির হাতটা লিজা ধরে রাখছে। আরে এখানে
লিজা আসলো কোথায় থেকে পেছনে
চেয়ে দেখি আব্বু আম্মু সহ পরিবারের সবাই
দাড়িয়ে আছে।

চলবে,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে