গল্প:- বাল্য কালের বউ সিজন ২ পর্ব:–(৮)

0
1387

গল্প:- বাল্য কালের বউ সিজন ২ পর্ব:–(৮)
লিখা:- Shohrab AL Islam

রুমে বন্ধি থাকলে তো সব কিছু গন্ডগোল হয়ে যাবে? আর সবার কাছে ধরা খেয়ে যাবো। আর যদি এখন ধরা খায় তাহলে কপালে শনির দশা আছে। যে করে হোক রুম থেকে বের হতে হবে। কি করি এখন আরে এই জানালা দিয়ে তো পালাতে পারি। হ্যা তাই করতে হবে বলে জানালার গ্রীল খুলে নিলাম। জানালা দিয়ে নিচে নেমে সোজা আমাদের বাড়ীতে এসেছি।

আম্মু:- কিরে এতদিন পর কোথায় থেকে এসেছিস?

আমি:- কোথায় আবার একটু বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গেছিলাম।

আব্বু:- রিতার গায়ের হলুদে আমাদের অপমান করে শান্তি হয়নি?

আমি:- কার গায়ের হলুদ?

আব্বু:- রিতার মনে হচ্ছে তুই নামটা প্রথমবার শুনেছিস?

আমি:- আরে রিতার গায়ের হলুদ হলো কবে? (আমার কথা শুনে আব্বু আম্মু সহ সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে।)

আম্মু:- যাক বুঝতে পারছি যা রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে আয়।

আমি:- আমার কাজ আছে জুয়েলের বোনের বাথডে পার্ঠিতে যেতে হবে। সাথে প্রিয়াকে নিয়ে যেতে বলছে।

প্রিয়া:- সত্যি বলছো ঠিক আছে আমি রেডি হয়ে আসছি। প্রিয়া আমার সাথে বের হবে বলে খুশিতে লাফাচ্ছে।

আমি:- হ্যা চলো এত বেশি সাজগুজ করতে হবে না। প্রিয়াকে নিয়ে তারা তারি করে বেড়িয়ে পড়েছি। নিশিদের বাড়ীর কাছে এসে দেখি জুয়েল দাঁড়িয়ে আছে।

জুয়েল:- দেখ সোহরাব সব কিছু ঠিক করে ম্যানেজ করিস ভাই।

আমি:- শালা তুমি যদি প্রিয়াকে ম্যানেজ না করতে পারো? তাহলে তোমার কপালে খারাপি আছে। জুয়েলকে বুঝিয়ে প্রিয়াকে নিয়ে বাড়ীর ভীতরে ঢুকেছি তখনি,,,

প্রিয়া:- এই মেয়েটা এখানে কেন?

আমি:- আজকে তো ওর বাথডে তাই এখানে। আর ওনি হচ্ছে জুয়েলের বোন।

প্রিয়া:- আমি এখুনি চলে যাবো বলে প্রিয়া আমার হাত ধরে বাহিরে দিকে টেনে নিয়ে আসতেছে।

নিশি:- আরে মেম কি করছেন চলে যাচ্ছেন কেন? আসলে আমি বলছি ভাইয়াকে আপনাকে সাথে নিয়ে আসতে। প্লিজ আজকে আমার বাথডে আপনি আমার সাথে এমন করবেন না।

প্রিয়া:- ঠিক আছে! আমি আর প্রিয়া দুজনে ভীতরে গিয়ে বসছি।

নিশি:- ভাইয়া আপনারা এখানে বসেন আমি এখুনি আল ভাইয়াকে ডেকে আনতেছি।

আমি:- আমাদের কাজ আছে আপনি কেক কাটবেন কখন? আমরা চলে যাবো।

নিশি:- এই তো এখুনি একটু বসেন প্লিজ।

প্রিয়া:- হ্যা আলকে নিয়ে আসেন আমারো খুব ইচ্ছে ওনাদের দুজনকে এক সাথে দেখবো। তখনি আমি জুয়েলকে ইশারা দিয়েছি।

আমি:- হ্যা তাহলে নিয়ে আসেন। আর প্রিয়া চলো আমরা একটু হেটে বাড়ীটা দেখি।

প্রিয়া:- হ্যা চলো তাই করি। আমি প্রিয়াকে নিয়ে হাটতেছি তখনি একজন সরবতের গ্লাস নিয়ে যাচ্ছে আর জুয়েল পেছন থেকে এসে ঐ লোকটাকে ধাক্কা দিয়েছি। আর সেই লোকটা সব সরবত প্রিয়ার গায়ের উপর এসে পরে গেছে। আর সব কাপড় নষ্ট হয়ে গেছে প্রিয়ার।

আমি:- আরে কি করছেন চোখে দেখতে পাননি বলে প্রিয়ার কাপড় জেরে দিতেছি। প্রিয়া চলো আমরা বাসায় চলে যাই।

প্রিয়া:- হ্যা তাই করি চলো, আমি জুয়েলকে চোখ মেরেছি। নিশি এসে আমাদের কাছে দুঃক্ষ প্রকাশ করছে।

নিশি:- সরি সরি আসলে ওনি দেখতে পায়নি। একটু দাড়ান এখনি আমি আল ভাইয়াকে নিয়ে আসছি।

আমি:- দেখো প্রিয়ার কি অবস্থা এখানে একটুও থাকা সম্বব না! আমরা এখন আসি, নিশি বাধা দিতে চাইছে কিন্তু প্রিয়াকে নিয়ে সোজা বেরিয়ে আসলাম।

প্রিয়া:- সোহরাব আজকে চলো আমরা লং ড্রাইবে যাই।

আমি:- আগে তোমার কাপড় চেন্জ করতে হবে। চলো বাসায় যাই প্রিয়াকে নিয়ে আবার বাসায় এসেছি।

প্রিয়া:- তুমি কিন্তু কোথাও যাবে না কিন্তু?

আমি:- হ্যা কোথাও যাবো না। প্রিয়া তারা তারি করে উপরে গেছে আমি বেরিয়ে আসতেছি এমনি আম্মু বলে,,

আম্মু:- দ্বারা সোহরাব আর কত দিন এভাবে ডাবল রোল চলবে?

আমি:- আম্মু আমার সাথে কেন এমনটা করলেন বলেন? আমি তো বেশি কিছুই চাইনি চেয়েছি নিশিকে তাহলে কেন এমনটা করলেন?

আম্মু:- প্রিয়া অনেক ভালো মেয়ে তোকে অনেক সূখে রাখবে।

আমি:- আম্মু আমার সূখের দরকার নেই আমার ভালোবাসার দরকার। যাকে দেখে নিজের মনের অনুবতি আসেনা তার সাথে সারা জীবন কি করে থাকবো? যাক যা করছেন ভালোর জন্য করেছেন। আমি গেলাম যেহেতু আপনি মা তাই এত সহজে সব কিছু বুঝে গেছেন। তাই আপনার কাছে অনুরুদ কাওকে কিছু বলিয়েন না।

আম্মু:- আমাকে ক্ষমা করে দিস বাবা আয় আমার বুকে আয়। আম্মু আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিয়েছে।

আমি:- আম্মু আমি নিশিকে ছারা বাজতে পারবো না। নিশির বিয়ে ঠিক করে ফেলছে কিছু দিন পর নিশির বিয়ে হয়ে যাবে। আম্মু তুমি আব্বুকে কিছু বলোনা প্লিজ।

আম্মু:- ঠিক আছে কিছু বলবো না, তোকে আরো অনেক কিছু বলার আছে আগে তুই নিশির বিয়েটা ভেঙে নিশিকে নিয়ে সোজা বাড়ীতে চলে আয়।

আমি:- ঠিক আছে! তাহলে আপনি এদিকটা সামলিয়ে নিয়েন। আম্মুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তারা তারি করে নিশিদের বাড়ীতে চলে আসলাম। এসে বাইকটা ঠিক করে রেখে রসি দিয়ে বেয়ে জানালার ভীতর দিয়ে রুমে গিয়ে জানালার গ্রীলটা লাগিয়ে রুমে বসে আছি। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি রাত ১১:৩০ বাজে আমি গিয়ে দরজায় কন্ক করতেছি। তখনি দরজাটা খুলে গেছে চেয়ে দেখি নিশি রাগী চোখে তাকিয়ে আছে।

নিশি:- এই আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন?

আমি:- রুমে শুয়ে আছিলাম। তোমার বাথডে বলে আমাকে তুমি বাহির দিয়ে ভীতরে আটকিয়ে রাখবে? আমাকে বললে পারতে তাহলে আমি আগেই বাড়ী ছেরে চলে যেতাম।

নিশি:- একদম চালাকি করবেন না? আচ্ছা আপনার ভাই ভাবি কোথায়?

আমি:- ভাবির বাপের বাড়ীতে গেছে। ওনারা আসতে কিছু দিন দেরি হবে।

নিশি:- চালাকি করা হচ্ছে আমার সাথে? আমি জানি আপনি সব নাটক করছেন?

আমি:- দেখি সরেন আন্টির কাছে আগে আপনার নামে বিচার দিয়ে আসি।

নিশি:- একবার তুমি একবার আপনি বুঝতে পারছি। এই নেন আপনার জন্য কেক নিয়ে এসেছিলাম।

আমি:- অনুষ্টানের সময় দরজা বন্ধ করে রাখছে আবার এখন কেক নিয়ে এসেছে। যান আপনার কেক আপনি খান আমি খাবো না। দেখি সরেন আমি নিচে যাবো।

নিশি:- কেক তো আপনাকে খেতে হবে বলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে খাটের উপর ফেলে দিয়ে আমার বুকের উপর এসে বসেছে। আমার গলা টিপে ধরেছে।

আমি:- আরে কি করছেন ছারেন মরে যাবো তো? কে শুনে কার কথা নিশি জোর করে আমাকে কেক খায়িয়ে দিয়েছে।

নিশি:- আমি যা বলি তাই করি বুঝতে পারছেন? তবে আমার কেন জানি মনে হয় আপনিই সোহরাব আর আপনি আল।

আমি:- মনে নিয়ে বসে থাকেন? তবে আমার বুকের উপর থেকে উঠেন। এত বাজে কেক জীবনেও খায়নি। তারা তারি করে ব্রাশ করতে হবে। (নিশিকে একটু রাগাবার জন্য বলেছি)

নিশি:- কি এত বড় কথা বলে আমাকে আবার গলা টিপে ধরছে। ঠিক তখনি নিহা এসে বলে,,

নিহা:- বাহা অনেক সুন্দর তো বলে কিছু ছবি তুলে নিয়েছে।

নিশি:- নিহা ছবি তুলছিস কেন?

নিহা:- আম্মুকে দেখাবো বলে।

আমি:- নিহা জানু আমার এমনটা করেনা দাও মোবাইলটা আমি ছবি গুলা ডিলেট করে দেয়।

নিহা:- দিতে পারি তবে আমার কিছু শর্ত আছে। আর সেই গুলা এখুনি পালন করতে হবে।

নিশি:- কিসের শর্ত আর কি পালন করতে হবে?

নিহা:- আল ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরতে হবে। আমার সামনে কিস করতে হবে। আর ঐ ভাইয়াকে না এই আল ভাইয়াকে বিয়ে করতে হবে।

নিশি:- কি এত বড় কথা? দ্বারা তোকে দেখাচ্ছি বলে নিশি উঠে নিহার দিকে যাচ্ছে তখনি নিশি আমার বুকের মাঝে পরে গেছে। আর নিহা তখন আরো কিছু ছবি তুলছে।

নিহা:- কি মজা জড়িয়ে ধরছে আল ভাইয়াকে।

আমি:- আমাকে জড়িয়ে ধরার শখ তাহলে বলো আমি নিজেই ধরবো। আর অন্য কাওকে বিয়ে করার কি দরকার আমাকে বিয়ে করতে পারো। যখন মন চাইবে তখনি জড়িয়ে ধরতে পারবে।

নিশি:- কি তোমাকে জড়িয়ে ধরার শখ আর তোমাকে বিয়ে করতাম। আমি এখুনি আম্মুকে বলতেছি বলে আম্মু বলে নিশি চিৎকার দিয়েছে আর তখনি আমি নিশির ঠোটে কিস করে বসেছি। নিশি নিজেকে ছারিয়ে আমাকে থাপ্পড় দিয়েছে ঠিক তখনি আন্টি রুমে প্রবেস করে দেখে নিশি আমার বুকের উপর বসে আছে।

চলবে,,,,,
কোন ভূল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে