গল্প:-বউ_পাখি পর্ব:-(০৫

0
2251
গল্প:-বউ_পাখি পর্ব:-(০৫) লেখা_AL_Mohammad_Sourav !! নিজের স্ত্রী যখন অন্য ছেলেদের সাথে নাছা নাচি করে তখন বুঝা যায় বুকের বা পাশটা কেমন করে? ইচ্ছে করছে তসিবাকে গিয়ে কানের নিছে দুইটা থাপ্পড় দিয়ে জিগেস করি এতটা সাহোস পেয়েছে কোথায়? কিন্তু না এখানে কিছু বলা যাবে না আমি বাজিতে হেরে যাবো আর তসিবাকে আমার বউ হিসাবে মেনে নিতে হবে। লিজা:- সৌরভ তুমি চুপচাপ হয়ে গেলে কেনো? এই সৌরভ কথা বলছো না কেনো? (লিজা আমাকে হাত নাড়া দিয়ে বলছে,,) আমি:- হ্যা কি বলছো? লিজা:- কোথায় হারিয়ে গেলে চলো আমরা কেক কাটবো। আমি:- হ্যা চলো লিজাকে নিয়ে কেক কাটতে উপরে গেছি। তসিবা নিছে ওদের সাথে নাছতেছে আমার সব ধ্যান তসিবার দিকে বার বার যাচ্ছে। তারা তারি করে কেকটা কাটিয়েছি লিজাকে দিয়ে। লিজা কেক আমাকে খায়িয়ে দিয়েছে আমিও লিজাকে। তখনি রাসেদ এসে বলে,,, রাসেদ:- সৌরভ তোর সাথে যে মেয়েটা এসেছে। আমি:- হ্যা ওর নাম তসিবা কেনো কি করছে? রাসেদ:- মেয়েটাকে জিসান ও তার বন্ধুরা অনেক ডিস্টার্ব করছে। মেয়েটার ওরনাটাটা নিয়ে গেছে আর কি বাজে বিহিব করতেছে। আমি:- কি জিসানের এত বড় সাহোস বলে দৌরে নিছে এসে দেখি তসিবা দুই হাত ধরে জিসান জোর করে নাচাচ্ছে। আমি কাছে গিয়ে তসিবাকে টান মেরে আমার কাছে নিয়ে এসেছি। জিসান:- সৌরভ ওকে নিলি কেনো দে আরেকটু নেছে নেই। আমি:- জিসান ওর ওরনাটা দিয়ে দে। জিসান:- না দিলে কি করবি? আমি:- কি করবো মানে বলে ওর নাকে এক ঘুশি দিয়েছি। তোর সাহোস হলো কি করে ওর ওরনাটা নিতে বলে লাথি কিল ঘুশি দিতেছি। ওর বন্ধুরা এদিকে ওর মার খাওয়া দেখে এগিয়ে আসতেছিলো আর রাসেদ ওদের বাধা দিয়েছে। জিসানের কাছ থেকে তসিবার ওরনাটা নিয়ে শরীরে জড়িয়ে দিয়ে এক থাপ্পড় দিয়েছি তসিবাকে। থাপ্পড় খেয়ে তসিবা ঢলে নিছে পরে যেতে ছিলো। তসিবাকে আমি ধরে ফেলছি তখনি একটা মেয়ে এসে বলে,, মেয়ে:- ওকে থাপ্পড় দিয়েছেন কেনো এমনিতেই জিসান ওকে জুড় করে ড্রিংক্স করিয়েছে। তখনি তসিবা ভমি করে দিয়েছে আমার শরীরের উপর। দেখছেন তো মেয়েটা মনে হয় প্রথম এসেছে ক্লাবে। লিজা:- সৌরভ তুমি ওকে কেনো নিয়ে এসেছো বলতো? আমার বাথডে পার্ঠিটাকে বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। আমি:- লিজা এখন তাহলে আমি যাই। তসিবার কিছু হলে আব্বু আমাকে অনেক বকা দিবে। রাসেদ:- সৌরভ মেয়েটা কে রে তোর সম্পর্কে কি হয়? আমি:- সম্পর্কে তো তখনি আমাকে থামিয়ে লিজা বলে,,, ওর খালাত বোন গ্রামে থাকে ঢাকার শহর ঘুরে দেখতে এসেছে। (মনে মনে বলি লিজা তোমার ভাগ্যটা ভালো তসিবা এখন ঠিক নেই যদি থাকতো তাহলে বুঝতে ও আমার কি হয়।) রাসেদ:- তোর খালাত বোনটা তো অনেক সুন্দর আছে। যদি তুই কিছু মনে না করিস তাহলে আমি কি ওর সাথে প্রেম করতে পারি। আমি:- রাসেদ কি বলেছিস প্রেম তখনি রাসেদ বলে,,, রাসেদ:- আরে রাগ করছিস কেনো মানে আমি যদি ওকে বিয়ে করতে চাই এতে তোদের কোনো আপত্তি আছে নাকী? লিজা:- আরে এ তো সূখের খবর তাহলে তো তসিবা কপাল খুলে যাবে। আমি:- লিজা তুমি একটু চুপ থাকো রাসেদ আমি তসিবাকে নিয়ে গেলাম। আজকের মত এখানে পার্ঠির সমাপ্তি করা হলো। লিজা তুমি একা যেতে পারবে নাকী ড্রপ করে দিবো? লিজা:- আমি গাড়ী নিয়ে এসেছি যেতে পারবো। আর শুনো কাল বিকালে কফি সপে দেখা করবে। তোমার সাথে আমার জুরুরী কিছু কথা আছে। আমি:- ঠিক আছে লিজা চলে গেছে ওর বান্ধবীদের নিয়ে। আমি তসিবাকে উয়াশ রুমে নিয়ে ওর মুখ ভালো করে পানি দিয়ে দুয়ে দিয়েছি। একটা জিনিস আজকে খেয়াল করেছি তসিবার নিছের ঠোটে ছোট করে একটা কালো তিল আছে। তিলটা ছোট কিন্তু অনেক বড় একটা আকর্ষন করছে আমাকে। আমার ব্যালেজারটা খুলে নিয়েছি তসিবাকে কুলে নিয়ে ক্লাব থেকে বেড়িয়ে গাড়ীতে নিয়ে এসে বসিয়ে দিয়েছি। আমি গাড়ীটা চালাচ্ছি আর তসিবার দিকে তাকিয়ে আছি। লিজার থেকে তসিবা হাজার গুন দেখতে ভালো শুধু কথা গুলি গুচিয়ে বলতে পারে না। ঘন্টা খানেক পার বাড়ীতে এসেছি। গাড়ীটা পার্কিং করে তসিবাকে কুলে নিয়ে বাসার ভীতরে ঢুকছি,,, আপু:- কি রে ভাই তসিবার কি হয়ছে? আমি:- কিছু না ঘুমিয়ে গেছে তাই আমি আর ডাক দেয়নি কুলে নিয়ে চলে এসেছি। আপু:- ভাই তো দেখি আমার পুরা বউ পাগল হয়ে গেছে। যাক আমি অনেক খুশি হয়েছি তুই অনেক লাকী তসিবার মত একটা বউ পেয়েছিস। আমি:- হ্যা বলছে আচ্ছা আমি যাই ওকে কাল থেকে কম খেতে বলবেন আগের থেকে ওজন বেশি হয়ে গেছে। কুলে নিয়ে রাখতে অনেক কষ্ট হয় আমার। আপু:- বারে তসিবা তো একদম স্লিম আছে তাও তোর কাছে বারি মনে হয়। ঠিক আছে বলবো মনে হয় তসিবা এই কথা শুনলে খাওয়া দাওয়া একদম বন্ধ করে দিবে। আমি:- থাক তাহলে আর বলতে হবে না। আপু আমার কথা শুনে হাসতেছে আমি তসিবাকে নিয়ে রুমে এসেছি। ওকে খাঠের উপর শুয়ে দিয়ে আমি উঠে যাবো তখনি তসিবা গলার চেইনের সাথে আমার সাটের বুতাম লেগে আছে। আমি চেইনটা ছাড়িয়ে ওর কপালে একটু আদর করে দিয়ে শাওয়ার নিতে চলে গেছি। শাওয়ার শেষ করে রুমে এসে সুফায় শুয়ে এক ঘুম দিয়েছি। সকালে ঘুম ভাঙ্গছে একদম আপুর ডাকে,,,, আপু:- তসিবা শুনছো উঠো অনেক বেলা হয়ে গেছে। ভাই আজকে অফিসে যাবি না উঠ আব্বু তো অফিসে চলে গেছে। আমি:- হ্যা আপু উঠতেছি। আমি উঠে দরজাটা খুলে দিয়েছি। আপু:- তসিবা কোথায়? আমি:- শুয়ে আছে। আপু:- নাস্তা করবে কখন ওকে ডেকে দে। আমি:- ঠিক আছে। আপু চলে গেছে আমি তসিবাকে ডাক দিয়েছি তসিবা আমার ডাক শুনে উঠে গেছে। নাস্তা করে এসে আবার ঘুমাও আপু ডাকছে আজকে তোমার খবর আছে। তসিবা:- কেনো আমি কি করেছি? আমি:- মনে নেই নাকী তোমার কাল রাতে ছেলেদের সাথে নাছের কথা আর ড্রিংক্সের কথা? তসিবা:- আপনি সব বলে দিয়েছেন? আমি:- তো কি করবো তা না হলে তোমাকে তারাবো কি করে আমার জীবন থেকে। তসিবা:- ছিঃ আপনি এতটা নিছু মনের মানুষ আমার ভাতেও অবাক লাগছে যে আপনাকে আমি ভালোবাসতেছি। আজকে থেকে আপনার প্রতি আমার আর ভালোবাসা থাকবে না। যা দেখবেন সবটা অভিনয় বুঝতে পারছেন? আমি:- হ্যা আমি নিছু মনের মানুষ আমাকে ভালোবাসতে হবে না আমাকে ভালোবাসার জন্য তো লিজা আছে। দেখি সরো আর আজ থেকে তুমি আমার সাথে কথা বলবে না। তসিবা:- ঠিক আছে বলবো না। আজ বুঝতে পারছি সেইদিন যদি আমার জানুর কথা শুনতাম তাহলে আজ এতটা কষ্ট পেতে হতো না আমার। আমি:- সেইদিন শুনোনি তো কি হয়ছে আজ থেকে শুনবে তাহলে হবে। তসিবা:- হ্যা শুনবো তা আপনাকে বলতে হবে না। তসিবা খাঠের উপর থেকে নামার সময় পরে যেতে ছিলো আমি ওকে ধরে ফেলছি। তসিবা হাতটা ছাড়িয়ে বলে,,, আজকের পর থেকে আমার উপর আপনার কোনো অধিকার নেই আর আমাকে ভূল করেও কোনো দিন স্পর্শ করবেন না বলে দিলাম। আমি:- সরি ভূল হয়ে গেছে আপনাকে ধরার জন্য ওকে মিস তাহলে আপনি নিছে গিয়ে আম্মু আর আপুর বকা গুলা শুনার জন্য রেডি হন আমি অফিসে গেলাম। তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি বেড়িয়ে এসেছি আমার পিছু পিছু তসিবা এসেছে,,, আম্মু:- কিরে সৌরভ এত দেরি হলো কেনো? আমি:- ঘুমিয়ে ছিলাম আচ্ছা তাহলে আমি যাই বাহিরে আমার এক ক্লাইন্টের সাথে মিটিং আছে ঐ খানে লাঞ্চ করবো। আম্মু:- নাস্তা করে নে এখন তারপর অফিসে যাস। আর তসিবা কাল রাতে তোমার কি হয়েছিলো। তসিবা আমার দিকে তাকিয়েছে আমি মুচকি হেসে চলে আসতেছি তখনি তসিবা দৌরে গিয়ে আম্মুকে বলতেছে,,, তসিবা:- আম্মাজান আমার ভূল হয়ে গেছে জীবনেও আর এসব চায়পাশ খাবোনা। তসিবা নিজেই সব কিছু বলছে আপু আর আম্মু তসিবার দিকে তাকিয়ে হাসতেছে আর আমি অফিসের জন্য রওনা দিয়েছি। আজকে বাইক নিয়ে অফিসে চলে এসেছি,,, আব্বু:- সৌরভ গতকাল রাতে নাকী ক্লাবে মারা মারি করেছিস? আমি:- আপনাকে কে বলছে এই কথা? তখনি চেয়ে দেখি জিসানের আব্বা আর জিসান আব্বুর অফিসে বসে আছে। আব্বু:- সৌরভ আমি চাইনা এই নিয়ে আর কোনো জামেলা হোক তাই তুই জিসানকে সরি বলে দে। আমি:- কিন্তু আব্বু জিসান তো তসি,, তখনি থামিয়ে দিয়েছি। কারন আব্বু যদি যেনে যায় তসিবাকে ক্লাবে নিয়ে গেছি আর ওর সাথে ওরা এমনটা করছে তাহলে আমাকে ওল্টা বকা দিবে। আব্বু:- কি হরো চুপ করে গেছিস কেনো? আমি:- জিসান সরি তখন জিসান আমাকে সরি বলছে। জিসানের আব্বা আমার আব্বুর সাথে হ্যান্ডসীপ করে হাসি মুখে বেড়িয়ে গেছে। আব্বু:- আজকের পর থেকে তুমি রাতের বেলা বাসা থেকে বের হবে না। যাও এখন গিয়ে কাজে মন দাও। আমি:- ঠিক আছে এসে আমার কাজে মন দিলাম। আজকে আসছি অফিসে দেরি করে একটু কাজ করতেই বেলা ২টা বেজে গেছে। আব্বুকে বলে বের হয়েছি ক্লাইন্টের সাথে দেখা করবো বলে। বাহিরে এসে সোজা ক্লাইন্টের কাছে এসেছি ওনার সাথে কাজ গুলো শেষ করেছি। মিস্টার সাজেদ:- চলেন মিস্টার সৌরভ লাঞ্চ করবো। আমি:- চলেন ওনাকে নিয়ে রেস্টুরেন্ট ঢুকে বসেছি। ওনি মেনু কার্ড দেখে অডার করেছে। ওনার সাথে আবার একটে মেয়ে কলিক ছিলো। আমি খাবার খাচ্ছি এমনি পেছনে থেকে কেমন একটা হাসির শব্দ ভেশে এসেছে শব্দটা ঠিক তসিবার কন্ঠের মত। আমি পেছনে তাকিয়ে তো পুরাই অবাক তসিবা একটা ছেলের সাথে বসে হাসা হাসি করছে তাও আবার রেস্টুরেন্টে। সাজেদ:- সৌরভ খাবার খান। আমি:- হ্যা খাচ্ছি খাবারটা তারা তারি করে শেষ করে বাড়ীতে আপুকে ফোন করেছি রিসিব করতেই আপুকে বলি তসিবা কোথায়? আপু:- তসিবা তো তোর জন্য খাবার নিয়ে অফিসে গেছে। কেনো তসিবা এখনো অফিসে যায়নি? তখনি ফোনটা কেটে দিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি তসিবা আর ঐ ছেলেটা বসে আছে। আমি:- মিস্টার সাজেদ তাহলে এই কথা রইলো। ওনাকে বিদায় করে আমি তসিবার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছি তসিবা আমাকে দেখে এমন ভাব করছে মনে হচ্ছে জীবনে এই প্রথম আমাকে দেখছে। আর কোনো দিন দেখেনি আমাকে এমন ভাব করে ছেলেটার সাথে বসে আছে। তসিবা তুমি এখানে কেনো আর ছেলেটা কে? তসিবা:- সরি আপনি আমাকে বলছেন আপনি কে? আমি:- মানে তুমি আমাকে চিন্তে পারোনি আমি তোমার স্বা,,,( না থাক যদি তসিবা বাজি জিতার জন্য এমন অভিনয় করে) তসিবা:- কি হলো বলেন আপনি আমার কে? এই জাহেদ আসো আমরা যাই যতসব ফালতু মানুষ এখানে আসে কোথায় থেকে বলে তসিবা চলে গেছে। আমি:- সমস্যা নেই অভিনয় করবে করো আমি বের হয়ে অফিসে চলে এসেছি। অফিসে ঢুকে তো আমার চোখ কপালে উঠে গেছে আরে তসিবা তো অফিসে তাহলে ঐ মেয়েটা কে ছিলো? To be continue,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে