গল্প:-বউ_পাখি পর্ব:-(০৯)

0
2184
গল্প:-বউ_পাখি পর্ব:-(০৯) লেখা_AL_Mohammad_Sourav !! এত শর্ত মেনে আমি আপনার সাথে সংসার করতে পারবো না। আর সবচেয়ে বড় কথা আমার সাথে কেও কোথাও যেতে পারবে না। আমি যেখানে যাবো একা যাবো তবে আমি আপনার বাকী সব শর্তে রাজি আছি। (তসিবা) আমি:- তোমার মতলব কি বলো তো? তসিবা:- কোনো মতলব নেই আমি আপনাকে ভালোবাসি আর আপনি আমাকে ভালোবাসবেন বাছ। আমাকে আপনি এদানিং একটু বেশী সন্দেহ করছেন। আমি:- সন্দেহজনক কাজ করলে তো সন্দেহ করবো তাই না। এত কথা বলার সময় নেই তুমি আমার শর্ত মত কাজ করবে কি না বলো? তসিবা:- বলছি তো সব শর্তে রাজি আছি তবে আমার সাথে কাওকে আমি নিবো না। তবে আপু চাইলে আমার সাথে যেতে পারবে অন্য কেও না। আমি:- আপু কেনো যাবে তোমার সাথে? আব্বু আম্মু আমি আপনাদের সবাইকে একা চাঞ্জ দিয়েছি এখন আপনারা বলেন কি করবো? আব্বু:- তসিবা তুমি ওর সব শর্ত রাজি হয়ে যাও প্লিজ আমি তোমাকে সব কিছুতে সাহায্য করবো। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর তসিবা বলে,,, তসিবা:- ঠিক আছে আমি রাজি আছি তবে এখন থেকে ওনি আমাকে বউ পাখি বলে ডাকবে আর রোজ অফিসে আমি ওনার জন্য খাবার নিয়ে যাবো। আমি:- ঠিক আছে এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। তাহলে এখন আমি একটু বের হয় কাজ আছে আমার। তসিবা:- কোথায় যাবেন আপনি? আমি:- যেখানে যাচ্ছি তোমাকে বলাটা প্রয়োজন মনে করি না। তসিবা:- আপনার প্রয়োজন থাক বা না থাক আমার প্রয়োজন আছে। আমার স্বামী কোথায় যাবে কি করবে সব কিছু আমার জানা দরকার আর এইটা আমার অধিকার। আমি:- যখন তোমাকে সব কিছুর অধিকার দিবো তখন থেকে আমি নিজেই বলে যাবো। দেখি এখন আমাকে যেতে দাও আমার জুরুরী কাজ আছে। আর এতটা অধিকার ফালাইবার আইসো না পরে সব অধিকার চলে যাবে। দেখি সরো আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে বাসা থেকে বেড়িয়ে লিজাকে ফোন করেছি রিং বাজার কিছুটা পর রিসিব করছে,,, লিজা:- সৌরভ কেমন আছো? আমি:- হ্যা ভালো আছি তোমাদের বাসায় আমি আসতেছি চাচার সাথে আমার কথা আছে। ফোনটা কেটে বাইক নিয়ে চাচার বাড়ীতে গেছি ভীতরে ঢুকে দেখি লিজা বসে আছে। সাথে লিজার ভাবি ছিলো আমাকে দেখে লিজা উঠে আমাকে বসতে দিয়েছে,,, লিজা:- সৌরভ কি কথা বলবে আব্বুর সাথে আর আজকে চুক্তির কাগজে সাইনটা করে দিবে কিন্তু। আমি:- চুক্তির কাগজটা রেডি করেছে? তখনি লিজার রাহাত ভাই রুম থেকে বেরিয়ে আসতে আসতে বলছে আব্বু তুমি যেই ভাবে রেডি করতে বলছো আমি সেই ভাবে রেডি করেছি সৌরভ যদি সাইন করে তাহলে সব কিছু লিজার নামে হয়ে যাবে। আব্বু সৌরভ কত বোকা লিজাকে যে আমার শালার সাথে বিয়ে দিয়েছি সে এইটা এখনো জানে নি। তবে লিজা তো আজকে অনেক বড় লোক হয়ে যাবি কি বলিস লিজা কথাটা বলতে বলতে সামনে এসেছে আমি বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছি,,,, রাহাত ভাই:- সৌরভ তুই কখন এসেছিস? আমি:- এসেছি অনেক আগেই তবে আপনাদের সাথে কেনো আব্বু যোগাযোগ রাখেনা আজকে বুঝতে পারছি। লিজা তুমি এতটা নিছু মনের মানুষ ছিঃ লিজা:- সৌরভ তুমি শুধু শুধু আমাকে ভূল বুঝতেছো আমি কিছুই জানি না, তখনি একটা ছেলে লিজার রুম থেকে বেরিয়ে এসে বলে,,, লিজা আজকে তাহলে আমরা ঘুরতে যাবো কারন আজ তো সৌরভের সাথে ফাইনাল কাজ করা হয়ে যাবে। আমি:- বা হা লিজা বা হা দারুন আমার ভাবতেও অভাক লাগছে তোমার জন্য আমি তসিবাকে এত কষ্ট দিয়েছি। তখনি চাচা বলে,,, চাচা:- সৌরভ যেহেতু এত দূর এসেছো তাহলে তো সাইন করে দিতে হবেই। আর আমার কাছে তোমার আর লিজার কিছু ভিডিও আর ফোন রেকটিং আছে। যদি তুমি সাইন না করো তাহলে সব কিছু মিডিয়ার হাতে দিয়ে দিবো। আর তোর নামে মান হানির মামলা করবো। আমি:- আমাকে বোকা পেয়েছেন আমি বলদ আমাকে ভয় দেখাবেন আর আমি ভয় পেয়ে যাবো। যান যা করার করেন আর আমি আপনাদের পথের ভিক্ষারী করে ছাড়বো এইটা আমার দাদার বাড়ী এখানে আব্বুর ভাগ আছে। এতদিন আব্বু আমার জন্য কিছুই বলেনি এখন বলবে কারন আমি নিজেই বলবো বলতে। লিজা:- সৌরভ তুমি কাজটা মুটেও ঠিক করছো না আমার সাথে এর পরিনাম ভালো হবে না তুমি এর জন্য অনেক কিছু মাশুল দিতে হবে। আমি:- ঠিক আছে আমিও দেখবো তুমি আর তোমার পরিবার কি করো। দেখা হবে চিন্তা করিও না। লিজাকে কথা গুলি বলে বাসা থেকে বেরিয়ে বাইকটা নিয়ে আসতেছি তখনি দেখি লিজা আর আপু রিক্সা করে যাচ্ছে। আমি ওদের ফলো করতে থাকি রিক্সটা একটা রেস্তোরার সামনে গিয়ে নামছে। আপু তসিবাকে নিয়ে এখানে কেনো এসেছে মনের মাঝে হাজারো প্রশ্ন তৈরি হয়ে গেছে। বাইকটা পার্কিং করে হেমলেট পড়ে ভীতরে ঢুকে দেখি ঐ ছেলেটার হাতে আপু একটা ব্যাগ দিয়েছে আমি তো পরাই অভাক এই ছেলেটা তো সেই ছেলেটা যার সাথে প্রায় তসিবাকে দেখি তাহলে আপুর সাথে ছেলেটার সম্পর্ক কি? না এভাবে আর টেনশন নিতে পারবো না যাই ওদেরকে গিয়ে সরা সরি ধরি যখনি তারা হুরা করে সামনে যাচ্ছি আর তখনি ছেলেটা পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে গেছে আমাকে আপু আর তসিবা দেখে চমকে উঠছে,,, আপু:- আরে ভাই তুই এখানে? তসিবা:- আপনি এখানে? আমি:- হ্যা আমি কিন্তু আপু তুই এখানে কেনো? আর ঐ ছেলেটা কে যাকে তুই ব্যাগ দিয়েছিস? তসিবা:- আপনাকে বলছি না ও আমার জানু। আমি:- তসিবা তুমি আমাকে অনেক বোকা বানিয়েছো আর নয়। আপু তুই বলবি ছেলেটা কে আর তসিবার সাথে পরিচয় হলো কি করে? আপু:- বলছি তুই আগে বাসায় চল প্লিজ ভাই। আমি:- ঠিক আছে চল আপু আর তসিবাকে নিয়ে বাইকে বসেছি। তসিবা মাঝে বসেছে আপু পেছনে আমি বাইক চালাচ্ছি। তসিবা আমাকে জড়িয়ে ধরে রাখছে,,, তখনি রাস্তায় দুইটা মেয়ে হেটে যাচ্ছে আর তসিবা বলে,, তসিবা:- আপু আমি এখন থেকে ওদের মত কাপড় পড়বো আর মর্ডান ভাবে চলবো তাহলে সব ছেলেরা আমার পিছু ঘুর ঘুর করবে। আমি:- হ্যা ভালোই হবে আর অনেক ছেলের সাথে ঘুরতে পারবে যা খুশি তাই করতে পারবে। বাইক চালিয়ে বাড়ীর সামনে এসেছি,,, আপু:- সৌরভ তুকে যেই কথা গুলি বলবো সেই গুলি কারো সাথে বলতে পারবি না কিন্তু আর তসিবাকে কিন্তু কিছুই বলতে পারবি না। আমি:- আগে তো শুনি বলো ঐ ছেলেটা কে আর ওর সাথে কিসের সম্পর্ক? আপু:- রুজিকে চিনিস তো? আমি:- হ্যা তোর ননদ রুজি কেনো ওর কি হয়ছে? তখনি আপু মোবাইলটা আমাকে এগিয়ে দিয়েছে আমি তাকিয়ে অভাক হয়ে গেছি। সাথে সাথে অন্য দিকে তাকিয়ে নিয়েছে,,,, ছিঃ রুজি এতটা নিছে নামতে পারছে ওর বর জানলে ওকে ঘর থেকে না সোজা খুন করে ফেলবে। আপু:- ছেলেটা রুজির সাথে প্রেম করতো আর রুজিকে ভূলিয়ে বালিয়ে এমন কাজ করেছে। রুজি আমাকে বলছে আর আমি কোনো উপায় না পেয়ে তসিবার সাথে সেয়ার করছি তসিবা ছেলেটার কাছ থেকে অনেক কিছু উদ্দার করছে। ঐ দিন রেস্টুরেন্টে আমিও ছিলাম আর রাতে রাস্তায় আমিও ছিলাম তুকে দেখে আমি সরে যাই। বলছে ১ লক্ষ টাকা দিলে আমাদের মুল মেমোরিটা দিবে কিন্তু এখন অব্দি ৫০০০০ হাজার টাকা দিয়েছি। আমি:- তাহলে ছেলেটাকে তোমরা ঢেকে আনবে বলবে বাকী টাকা দিবে এরপর যা করার আমি করবো। তসিবা:- ছেলেটা আসবে না কারন ও যেখানে বলে সেখানে যেতে হয়। আর ছেলেটা আমাকে বলে আমি যদি এক রাত ওর সাথে থাকি তাহলে সব কিছু দিয়ে দিবে। আমি:- কি এত বড় সাহোস ঠিক আছে কালকে ছেলেটাকে ফোন করে বলবে সব টাকা দিবে ও যেখানে বলবে সেখানে যাবো। আর হ্যা রুজিকে বলবে কালকে আমাদের সাথে থাকতে। আপু:- সৌরভ তোর দুলাভাই যেনো কিছু জানতে না পারে কেমন। আমি:- ঠিক আছে, আপু এই কথা গুলি তোদের আরো আগে আমাকে জানানোর দরকার ছিলো। আপু:- আমি তো বলতে চাইছি কিন্তু তসিবা বলছে ও পারবে তাই তো কাওকে বলিনি। আমি:- ও তো এখনো ভালো করে হাটতে শিখিনি তাহলে এত কিছু পারবে কি করে? আচ্ছা তাহলে আজকের রাতটা যাক কাল সকালে ওকে ফোন করে যেনে নিবে কেমন। আমরা বাসার ভীতরে এসে সোজা রুমে চলে এসেছি। আমি রুমে বসে কিছু কাজ করতেছি এমনি তসিবা এসে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে গালে কিস করে বলে,,, তসিবা:- আমাকে তো অনেক সন্দেহ করছেন এভার তো দেখলেন আপুর জন্য আমি করেছি এসব। আমি:- তুমি আমাকে ছাড়ু তারপর বলছি,, তসিবা:- ছাড়বো কেনো আর কি বলছেন? আমি:- শর্তে আগে জিতে নাও তারপর আর তোমার জানুটা কে এটা আমার জানতে হবে। তখনি তসিবা আমাকে ছেড়ে দিয়ে তুতলাতে তুতলাতে বলে,, তসিবা:- কোন জানু? আমি:- মনে নেই তোমার আর বাড়ীতে যাবার পর তোমার মোবাইলে যে মেসেজ করে বলেছে রাতে পুকুর পাড়ে যেতে তা না হলে সব কিছু বলে দিবে। সেই জানুটার কথা বলছি তুমি কি ভাবছো আমি তোমাকে এত সহজে মেনে নিবো? তখনি তসিবা চেহারাটা কালো করে নিয়েছে,,, তসিবা:- শর্ত জিতা লাগবো না আমি এমনিতেই চলে যাবো আপনার জীবন থেকে আমি জানি আপনি আমাকে মেনে নিবেন না। আমি:-ঠিক আছে চলে গেলে চলে যাবে তাতে আমার কি? এখন সরো আমি ঘুমাবো তসিবাকে ছাড়িয়ে আমি খাঠের উপর শুয়ে পরেছি তসিবাও আমার পাশে শুয়ে পরেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি তসিবা সাজু গুজু করছে আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আমি শুয়া থেকে উঠে ফ্রেশ হতে গেলাম ফ্রেশ হয়ে এসেছি তসিবা কফি হাতে দাঁড়িয়ে আছে,, তসিবা:- আপু ছেলেটাকে ফোন করেছে বলছে আজকে সন্ধায় মর্ডান ক্লাবে যেতে তবে আমাকেও নিয়ে যেতে বলছে। আমি:- কেনো তোমাকে নিয়ে যেতে বলছে কেনো? তসিবা:- আমি কি করে বলবো? আমি:- ঠিক আছে, আমি রেডি হয়ে অফিসে চলে এসেছি আর কিছু বন্ধুদের ফোন করেছি আর মর্ডান ক্লাবের ম্যানেজারকে ফোন করে কিছু কথা বলে দিয়েছি। অফিসের ৫ দিনের কাজ জমা ছিলো তাই কিছুটা বিজি থেকে কাজ গুলি শেষ করেছি। বিকাল ৫টার দিকে তসিবা ফোন করেছে,,, তসিবা:- আপুর সাথে কি আমি আসবো? আমি:- ঠিক আছে তবে সাবধানে আমি না আশা পর্যন্ত তুমি ভীতরে ঢুকবে না আপুকে নিয়ে। তসিবা:- ঠিক আছে উম্মা কিস করে দিয়েছে,,, আমি:- এই এই কিস করলে কেনো তখনি ফোনটা কেটে দিয়েছে আমি কাজ গুলো শেষ করে সবাইকে ফোন দিয়েছি সবার সাথে ঠিক ঠাক করে নিলাম। বাইকটা নিয়ে সোজা মর্ডান ক্লাবের সামনে এসেছি দেখি আপু তসিবা আর বোরকা পরে রুজি দাঁড়িয়ে আছে। আমি ওদের ফোন করে বলেছি ভীতরে ঢুকতে আপু ওদের নিয়ে ভীতরে ঢুকেছে আমি ওদের পিছু পিছু গেছি। দেখি ঐ ছেলেটা আপুকে দেখে উপর থেকে ইশারা করেছে আপু উপরে যাচ্ছে রুজিকে নিছে রেখে যেতে বলছি। আমি পিছু পিছু গেছি যখন আপু আর তসিবাকে নিয়ে একটু রুমে ঢুকছে তখনি ভীতর থেকে দরজাটা লাগিয়ে দিয়েছে,,,,, To be continue,,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে