গল্প:-নব_বধূয়া পর্ব:-(০৫)

0
3660
গল্প:-নব_বধূয়া পর্ব:-(০৫) লেখা_AL_Mohammad_Sourav !! তসিবা যে এই বাড়ীর বউ হওয়ার যোগ্য না এই ছবি গুলি দেখলে তার প্রমান। সৌরভ তুই আমাকে কথা দিয়েছিস প্রমান দিতে পারলে তসিবাকে ডির্ভোস দিয়ে আমার পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করবি। এখন আমি ছবি সহ প্রমান দিয়েছি অন্য ছেলের সাথে দাঁড়িয়ে হেসে কথা বলছে আর ছেলেটা ফুল দিয়েছে তসিবা সেই ফুলটা নিয়েছে,,, আমি:- আম্মু ছবি গুলি কে তুলছে? আম্মু:- যেই তুলছে তা যেনে তুই কি করবি? তসিবা তুমি প্রথম দিন কলেজে গিয়ে ছেলেদের সাথে বসে আড্ডা দিয়েছো। আবার ছেলেটা তোমাকে ফুল দিয়েছে তুমি সেই ফুলটা হাতে নিয়েছো। (তসিবা আমার দিকে অভাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে কি বলবে কিছু খুঁজে পাচ্ছে না। তখন তসিবা কিছুটা চুপ থেকে বলে,,,) তসিবা:- দেখুন ছবিটা কে তুলছে আমি বুঝতে পারছি তবে ছেলেটা ফুলটা আমার হাতে দিয়ে বলছে আমার বান্ধবীকে দিতে। আর ছেলেটা আমার একটা ফ্রেন্ড এমনটা কলেজে হয়ে থাকে। আম্মু:- আমাকে বোকা পেয়েছো কলেজে এমনটা হয়ে থাকে। হয় তুমি কলেজ যাওয়া বন্ধ করবে নয় তুমি আমার ছেলের জীবন থেকে চলে যাবে? আমি:- আম্মু এতটা কঠোর হলে কি করে হবে তসিবা যদি তোমার মেয়ে হত তাহলে তুমি এমনটা বলতে পারতে? আম্মু:- সৌরভ তুই চুপ থাক তোর আপু কি এমনটা করে? তসিবা:- আমার দুইটা চাই পড়া লেখা আর সংসার। আম্মাজান আপনি আমাকে এভারের মত ক্ষমা করে দিন। আসলে আমি বুঝতে পারিনি যে এই ফুলটা নেওয়াটা অনেক বড় ক্ষতি হবে। আম্মু:- তুমি কি বলছো আমাকে আম্মাজান,,, মা তসিবা তুমি আরেক বার বলো না আম্মাজান। তসিবা:- আম্মাজান আম্মাজান,,, (চেয়ে দেখি আম্মু মোবাইলটা হাতে নিয়ে ঠাসস করে আঁচার মেরে ভেঙ্গে বলে,,,) আম্মু:- আজকের মত তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম এর পর যদি এমন কোনো কিছু পাই তাহলে তোমার বাবা মাকে ডেকে এনে তোমাকে ওদের সাথে পাঠিয়ে দিবো। আর কলেজ থেকে আসতে তোমার এত দেরি হলো কেনো? আমি:- আম্মু আমি তসিবাকে সাথে নিয়ে একটু ঘুরতে গেছিলাম। আম্মু:- তোর অফিস তো সন্ধা ৬টা ছুটি হয় তাহলে বাকী সময় তসিবা কোথায় ছিলো? আমি:- আজকে অফিস থেকে তারা তারি বের হয়ে এসেছি তসিবাকে ফোন করে আমি ডেকে নিয়ে গেছি। ভাবি:- সৌরভ তুমি যত তোমার বউকে বাচাও না কেনো সে একদিন তোমাকে ঠকাবে। আমি:- ভাবি আপনি চুপ থাকেন আম্মু আমি রুমে গেলাম আমার ক্লান্ত লাগছে আর তসিবা তুমিও এসো। তসিবাকে নিয়ে রুমে এসেছি তসিবা রুমে ঢুকে আমাকে বলে,,, তসিবা:- ধন্যবাদ আমাকে বাচিয়ে দেওয়ার জন্য।
আমি:- আচ্ছা তুমি আমাকে একটা কথা বলবে? তসিবা:- হ্যা বলেন কি কথা? আমি:- তুমি কাওকে ভালোবাসো?(তখনি একটা মুচকি হেসে বলে,,,) তসিবা:- হ্যা অনেক ভালোবাসি ওকে ছাড়া থাকাটা আমার অনেক কষ্ট হয়ে যাবে। ( তসিবা কথা গুলি বলে ফ্রস হতে চলে গেছে আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। তসিবা লাভার আছে? তাহলে আমি কেনো তসিবাকে ভালোবাসতে যাবো থাক দরকার নেই ওকে ভালোবাসার। মন খারাপ করে সুফায় শুয়ে আছি কিছুক্ষন পর তসিবা এসেছে,,,) আমি:- তার জন্য তুমি বিয়ের দিন কবুল বলোনি? তসিবা:- মানে কিসের জন্য? আমি:- তোমার লাভার আছে তার জন্য। তসিবা:- বলতে পারবো না তবে মনে হয় এমনটা কিছু একটা হবে। যান আপনি ফ্রেস হয়ে আসেন আপনার আম্মু না হলে আবার নিছে গেলে বকা জকা করবে। আমি:- তুমি যে দিন মা হবে সে দিন বুঝবে মা কি জিনিস। আচ্ছা তুমি সহ্য করবে তোমার ছেলের বউ অন্য ছেলেদের সাথে বসে আড্ডা দিবে ফুল দেওয়া নেওয়া করবে। আর তোমার ছেলেকে কষ্ট দিবে? তসিবা:- ঐ মেয়ে কে তো আমি কিক মেরে নগদে বের করে দিবো। আমি:- তাহলে আমার আম্মুর উচিত ছিলো তোমাকে কিক মেরে বের করে দিতে। কিন্তু আম্মু তোমাকে এখনো কিক মারেনি কারন আম্মু অনেক ভালো। তসিবা:- আপনিও আমাকে সন্দেহ করলেন? আমি:- সন্দেহ নয় কথাটা তোমাকে বললাম। তুমি একবার আম্মুর জায়গায় নিজেকে দাড় করাও তাহলে হবে। তোমার পরীক্ষার কত দিন বাকী আছে? তসিবা:- ২মাস ২০ দিন কেনো? আমি:- তার মানে এই কিছু দিন তুমি আমার বউয়ের অভিনয় করবে। এর পর তোমার স্বপ্ন পরুন হবে তখন তুমি চলে যাবে তোমার ভালোবাসার মানুষের কাছে? তসিবা:- হ্যা অনেকটা এ রকম হবে। আচ্ছা আপনি ফ্রেস হয়ে আসেন আমার খিদা লাগছে। আমি:- তুমি যাও আমি আসতেছি,,, তসিবা:- হ্যা যাই আর আপনার আম্মু আর ভাবি মিলে আমার বারোটা বাজাক। আপনি আসলে আমি খেতে যাবো। আমি:- ঠিক আছে, আমি ফ্রেস হতে চলে এসেছি কিছুক্ষণ পর তসিবা দরজা টুকা দিতেছে,,, তসিবা:- তারা তারি করেন এতক্ষন লাগে ছেলেদের ফ্রেস হতে? (দরজা খুলে বের হয়েছি,,,) মেয়েদের তো এত সময় লাগে না আপনি এতক্ষন কি করছেন? আমি:- ফ্রেস হতে গেছি ৩ মিনিট সময় হয়নি এমনি শুরু করেছো? তোমার যদি এত খিদা লাগে তুমি গিয়ে খেয়ে নাও। তসিবা:- আপনাকে ছাড়া নিছে যেতে আমার ভয় করে আসেন তো বলে আমাকে টেনে নিয়ে এসেছে,,, আমাদের দেখে ভাবি বলে,,,, ভাবি:- শ্বাশুমা তসিবাকে বলে দেন এখন সে নব বধূয়া নয়। আজ ১০ দিন হয়ে গেছে এখন থেকে আমার সাথে বাড়ীর সংসারের কাজে হাত লাগাতে। আম্মু:- বড় বউ তুমি এত কথা বলো কেনো আমি তো কাজ ভাগ করে দিয়েছি আর কাল সকাল থেকে তসিবা সবার জন্য নাস্তা তৈরি করবে। তসিবা তুমি রান্না করতে পারবে তো? তসিবা:- হ্যা পারবো, (বাহ বউ আমার কাজের আছে রান্না করতে পারে যাক তাহলে আম্মুর বকাটা কিছুটা কমবে। তখনি আমার বরাবর এসে রিয়া বসেছে বসেই আমাকে চোখ টিপ দিয়েছে,,,) রিয়া:- আমি একটা মুভি দেখেছি বউ আর বর দুজনে আলাদা ভাবে থাকে। আর সবার সামনে অভিনয় করে আসলে ওদের মাঝে কোনো সম্পর্ক নেই। আমি:- হ্যা এমন টা তো আমি রোজ রাতে দেখি,,,(তখনি আমার দিকে তসিবা চোখ বড় বড় করে তাকিয়েছে,, আর সবাই এক সাথে বলে,,,) মানে কি দেখিস তুই? আমি:- হ্যা মানে মুভিটা,,, তখনি রিয়া আমাকে পায়ে পা লাগাচ্ছে টেবিলের নিছ দিয়ে,, আমি পা টেনে এদিকে নিয়ে এসেছি তাও লাগাচ্ছে তখনি জুড়ে কিক মারতে ছিলাম আর সেইটা তসিবার পায়ে গিয়ে লেগেছে,, তসিবা:- কি হচ্ছে আমাকে লাথি দিলেন কেনো? আমি:- মানে তুমি সরি আমি পা বাড়াতে ছিলাম। তসিবা চুপ করে খেয়ে নিয়েছে আমি বসে আছি,,, তসিবা উঠে রুমে যাবে তখনি,,,, দেখি তসিবা মাথা ঘুরে নিছে পড়ে গেছে আমি খাবার রেখে তসিবা বলে চিৎকার দিয়েছি,,,,, To be continue,,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে