ক্রাশ যখন বর Season_3Part_40/41/42

0
2583

ক্রাশ যখন বর Season_3Part_40
Writer-Afnan Lara

শিশির মিউজিয়াম থেকে বের হতেই মায়ের ফোন আসলো,বাবা নাকি খুব অসুস্থ,,
শিশির আর তনু দেরি না করে বাংলাদেশে ফিরার জন্য তৈরি হলো,
দুজনেই বসে আছে বিমানে,,শিশিরের মন খারাপ,
তনু-বাবা ঠিক হয়ে যাবে,টেনশন করিয়েন না
রাতে দুজনেই বাংলাদেশে এসে গেলো,,শিশির দেরি না করে হসপিটাল গেলো সোজা,বাবার নাকি হার্ট attack হইসে,,
শিশির-কি এমন ঘটসে যে বাবার এই অবস্থা হলো,,
মা-মীম একটা ছেলেকে পছন্দ করে ছেলে পাত্তা দেয় না দেখে বিষ খাইতে নিসিলো
শিশির মীমকে চড় মারতে যাবে তনু আটকালো,,
তনু-কি করতেছেন কি
শিশির গিয়ে চেয়ারে বসলো মাথায় হাত দিয়ে
মা শিশিরকে বুঝাচ্ছে,,
তনু-মীম তুই আমাকে বলস নাই কেন
মীম-ওরে আমি অনেক ভালোবাসি
তনু-আচ্ছা বাবা সুস্থ হোক,আমি ঠিক করে দিব
মীম-ওকে ভাবী
বাবার জ্ঞান ফিরেছে,,
কয়েকদিন পর বাবাকে হসপিটাল থেকে ছাড়া হলো,,
মীম ফোন নিয়ে শিশিরকে ছবি দেখালো
শিশির-চেনা চেনা মনে হচ্ছে,কোথায় যেন দেখেছি
তনু রান্নাঘরে কাজ করতেছে,কারন আজ ছেলের পরিবার আসবে,,শিশিরদের background এর কথা শুনে আর মীমকে দেখে নাকি ছেলের পছন্দ হইসে,
শিশির বাবাকে যখন বললো ছেলে মীমকে বিদেশ নিয়ে যাবে বাবাও রাজি হলো
তনু নাস্তা রেডি করে রেখে গোসল করতে গেলো,
গোসল করে একটা বেগুনি রঙের শাড়ী পরলো,,
বাথরুম থেকে বের হতেই তনু দেখলো শিশির ইয়া বড় হা করে তাকিয়ে আছে
তনু-কি?
শিশির-Crush!
তনু-?এতদিন আমার crush ছিল আর এখন আমি উনার crush,বাহ ভালোতো
তনু চুল ঝেড়ে চলে যেতে নিলো শিশির হাত ধরে আটকালো,,
তনু-??
শিশির তনুর মাথায় ঘোমটা দিয়ে দিলো,
শিশির-হুম এখন আমার বউ বউ লাগতেছে,
ছেলেরা এসে গেসে,তনু তাড়াতাড়ি মীমকে সাজিয়ে নিয়ে গেলো,
তনু চোখ তুলে তাকিয়ে ছেলেকে দেখে অবাক হয়ে গেলো,আরে এটা তো বিদেশি সেই ছেলেটা!!
ছেলেটা তনুর দিকে মুচকি হেসে তাকিয়ে আছে
তনু থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,
ছেলেটা মীমের দিকে একবার ও তাকাচ্ছে না
শিশির ছেলেটাকে প্রশ্ন করলো,ছেলেটা তনুর দিকে তাকিয়ে উত্তর দিচ্ছে,তনু রুমে চলে আসলো,
শিশির-মা আমি আসতেছি
শিশির-কি হলো তনু,শরীর খারাপ?
তনু-নাহ আসলে
মা শিশিরকে ডাকলো,শিশির চলে গেলো,,
ছেলের পরিবার নাকি ফোন দিয়ে জানাবে
মীম খুশিতে লাফাচ্ছে,,
তনুর মন খারাপ,বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে,এতবড় co incident হয় কি করে
শিশির তনুকে জড়িয়ে ধরলো, তনু চমকে উঠে তাকালো পিছনে
শিশির সেদিকে খেয়াল না করে তনুকে কোলে তুলে নিয়ে গেলো,শিশির তনুকে ছুঁয়ে দিচ্ছে তনুর খবর নাই
শিশির-কি হইসে তনু?
তনু-ঐ ছেলেটাকে আমি আমেরিকা দেখেছি,
শিশির -হুম,আমার ও মনে পড়সে,ভালই ছেলেটা,,পছন্দ হইসে আমার
তনু-ছেলেটা ভালো কিনা খবর নিয়ে দেখিয়েন
শিশির-হইসে বাদ দাও
শিশির তনুকে ধরে শুইয়ে দিয়ে ওর মুখ টিপে ধরে থুতনিতে চুমু দিলো,তারপর কপালে,তনুর গলা চাঁদের আলোয় স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে,শিশির সেদিকেই তাকিয়ে আছে,তারপর সেখানে নাক ঘষতেই তনু কেঁপে উঠলো,,
তনু শিশিরের কাঁধ খামছে ধরে আছে,,শীত করতেছে হঠাৎ করে,,শিশির চাদর টেনে নিলো♥
পরেরদিন সকালে ছেলেটার পরিবার জানালো তাদের মেয়ে পছন্দ হয়নি,
মীম তো কাঁদতে কাঁদতে শেষ,
তনু মীমকে সামলাচ্ছে,,মীমের ফোনে একটা কল আসলো,মীম রিসিভ করে কেঁদে দিলো,,
ছেলেটা ফোন দিসে,,তনুকে দিতে বললো
মীম তনুকে দিলো ফোন
ছেলেটা-একটা শর্তে আমি মীমকে বিয়ে করবো
তনু-কি শর্ত
ছেলেটা-তুমি শিশিরকে ডিভোর্স দিবে,আমি তোমাকে বিয়ে করে নিয়ে যাব,,মীমকে বেশি টাইম দিব না,তোমাকেই দিব
তনু বারান্দায় আসলো
তনু-ওহ আচ্ছা,,ডিভোর্স??জানস কত কাঠখড় পুড়িয়ে আমি শিশিরকে পাইসি??ও আমার crush, অনেক কষ্টে ওরে বিয়ে করসি আর তুই ওরেই ডিভোর্স দিতে বলস???আর মীম??তুই মীমকে ডিজার্ভ করস না,মীম তোর থেকেও ভালো ছেলে পাবে,আমরা খুঁজে বের করবো,,
তনু লাইন কেটে রেখে চলে আসলো
মীম-কি বললো?
তনু-বললো তুমি যাতে মন খারাপ না করো,তোমাকে বুঝাতে,ওর চেয়েও ভালো ছেলে পাবা তুমি
মীম-???
তনু রুম থেকে বের হতেই শিশির তনুর হাত ধরে রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো,,
তনু-কি হইসে
শিশির-আমি বারান্দাতে থেকে সব শুনেছি,,ছেলেটাকে তুমি কি আগ থেকে চিনো?
তনু-আমাকে disturb করসে আমেরিকাতে,বলসিলাম আপনাকে
শিশির-ছাড়ব না আমি ওরে,বাই দ্যা ওয়ে,আমাকে বিয়ে করতে তোমার কাঠখড় পোড়াতে হইসে?
তনু-হুম
শিশির-কি করসেন আপনি?
তনু-কত নফল নামাজ পড়সি,তায়াজ্জুত নামাজ পড়সি,রোজা রাখসি,তারপর পাইসি আপনারে
শিশির-ওহ তাই বুঝি,তো এখনও কি আপনার crush আমি?
তনু-হুম,কোনো সন্দেহ আছে নাকি??
শিশির-ভাবতে দাও
তনু শিশিরের চুল টেনে ধরলো,,শয়তান ছেলে,এখনও আমাকে chance দিবে কি দিবে না ভাবতেছে
শিশির তনুকে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে চেপে ধরলো,,
শিশির-chance তো সেদিনই দিয়ে দিসি
তনু শিশিরের চুল,,ঠোঁট,চোখ,নাক দেখতেছে,মনে হয় যেন এই প্রথম দেখতেছে
শিশির তনুর চাহনি দেখে অবাক হয়ে গেসে,মেয়েটা এমন কেন,,এমন ভাবে দেখতেছে যেন আমাকে আজ নতুন দেখতেছে,,
শিশির-এভাবে দেখ কেন তুমি
তনু-আমার বর তাই
শিশির-দেখে কি হবে
তনু-১২টা বাচ্চা হবে
শিশির-দেখাদেখি তেই?
তনু শিশিরকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে হাসতে হাসতে চলে যেতে নিলো আর দুম করে নিচে পড়ে গেলো
শিশির -বেশ হইসে,ইদানিং এত পড়ে যাও কেন??
তনু-?দূর্বল হয়ে গেসি,জামাই আদর কম করে তাই
শিশির-ওহ আচ্ছা,,কম??তুমি এত কিছু জানসো কোথা থেকে
তনু-আপনার মুখ দেখলেই romance এর সংজ্ঞা চলে আসে
শিশির-?????হাসাইলা
শিশির তনুকে উঠালো ধরে,,
মা ডাকতেছে,মীম নাকি অজ্ঞান হয়ে গেসে,,শিশির তাড়াতাড়ি doctor ডাকলো,,
doctor -কিছু খায়নি তাই দূর্বল হয়ে জ্ঞান হারিয়েছে,সমস্যা নাই
তনু-আপনি ভালো দেখে একটা ছেলে খুঁজেন
শিশির-হুম,
রাতে শিশির অফিস থেকে এসে দেখলো রুম অন্ধকার,দরজা খুলে ঢুকতেই মনে হলো বাদুড়ের মত কিছু এসে পিছন থেকে লাফ দিয়ে জড়িয়ে ধরে পিঠে উঠে গেসে
শিশির ভয় পেলো না
তনু-এই মিঃ ভয় পাও নাই
শিশির-আমার বাসার বাদুড়রে আমি চিনি
তনু-ভয় পাও নইলে কামড়ে দিব
শিশির-আউচ আমি ভয় পাইসি???
তনু-হালুম
তনু করচ করে কামড় দিয়ে দিলো শিশিরের কানে
শিশির-বাদুড় হালুম করতে এই 1st শুনলাম???
তনু-?কচু,ধুর
তনু নামতে গিয়ে দুম করে নিচে পড়ে গেলো
শিশির-doctor এর কাছে নিয়ে যেতে হবে যখন তখন পড়ে যাওয়ার জন্য
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



ক্রাশ যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_41
শিশির-শুনো আমাকে মালয়েশিয়া যেতে হবে
তনু-ওয়াও,আমি প্যাকিং করতেছি
শিশির-না,আমি একা যাব,তোমার ভিসা করতে লেট হবে,আর আমাকে আজই যেতে হবে
তনু-কিহ,কতদিন?
শিশির-২০/২৫দিন
তনু-নাহ আমি থাকতে পারবো না
শিশির-সরি বউ,কি করবো,আজ রাতেই রওনা দিতে হবে,
তনু কেঁদে দিলো শিশিরকে জড়িয়ে ধরে
শিশির-বাবু চলে আসব তাড়াতাড়ি

তনু সোফায় বসে কাঁদতেছে আর চোখ নাক মুছতেছে আর শিশির জামা কাপড় গুছাচ্ছে
তনুর কান্না থামতেছেই না
শিশির ব্যাগ রেডি করে এসে ওর পাশে বসলো,,
হাত দিয়ে গাল মুছে দিলো তনুর,ওকে টেনে কাছে নিয়ে আসলো
তনু-সরুন কথা কমু না
শিশির-কাজের জন্য যেতে হচ্ছে
তনু-হুহ
শিশির তনুর গলায় চুমু দিলো,ওকে আরও কাছে টানতেই তনু উঠে বারান্দায় চলে গেলো,
শিশির গিয়ে ওকে গ্রিলের সাথে চেপে ধরলো পিছন থেকে
তনু-ঢং দেখাতে হবে না
শিশির তনুর চুলে মুখ ডুবিয়ে নিলো,তনু হাত দিয়ে সরাতে যাবে ওর হাত ধরে ফেললো শিশির,
শিশির-ভালোবাসতে দাও,২০/২৫দিন পারবো না
তনুর গলায় নাক লাগাতেই তনু কেঁপে উঠলো,,
শিশির তনুকে নিজের দিকে ফিরিয়ে কোলে তুলে নিলো,বিছানায় নিয়ে গেলো,তনুর মুখে একটুও হাসি নেই,বারবার নেশার চোখে শিশিরকে দেখছে,মনে হচ্ছে শিশির ওকে ছেড়ে আজীবনের জন্য চলে যাবে
শিশির তনুর ঘাড়ে গলায় আদর করছে আর তনু চোখ বন্ধ করে অনুভব করছে শিশিরকে,,মন বলতেছে যেও না শিশির
তনুর ঠোঁটে প্রানভোরে চুমু দিলো শিশির,শিশিরের নিজের কাছেই মনে হচ্ছে যেন হাজার বছর দেখা হবে না,
রাত ১টা বাজে,,২টাই বের হবে শিশির,
তনু শিশিরের বুকে ঘুমিয়ে আছে,শিশিরের বুকের চামড়া শক্ত করে ধরে,
শিশির-তনু
তনু-যেতে দিব না
শিশির-বাচ্চামি করিও না তনু
তনু শিশিরকে ছেড়ে উঠে চলে গেলো
শিশির শার্ট নিয়ে পড়ে মা বাবাকে বলে আসলো,তনু বারান্দায় কাঁদতেছে,
শিশির তনুর হাত ধরে দরজা পর্যন্ত আনলো
তনুর চোখ ছলছল করতেছে,শিশির তনুর কপালে চুমু দিয়ে চলে গেলো,
তনু দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছে,যতদূর পর্যন্ত শিশিরের গাড়ী দেখা যায়,
শিশির চলে গেলো,তনু শিশিরের একটা ছবি নিয়ে জড়িয়ে ধরে বিছানায় শুতেই ঘুম এসে গেলো,
পরেরদিন সকালে তনু উঠেই ফোন চেক করলো,নাহ শিশিরের খোঁজ নেই,
দুপুরের দিকে শিশির ফোন দিলো সে মালয়েশিয়াতে পৌঁছেছে,
শিশির সারাদিন কাজ করতে করতে শেষ,খাওয়ার ও টাইম পায় না,এদিকে তনু ফোন দিলে শিশিরকে ঠিকমত লাইনে পায় না
তনুর সারাদিন মন খারাপ থাকে,মায়ের সাথে কথা বললেও দিন ভালো যায় না তনুর,,
কবে যে শিশির আসবে
ইদানিং তনুর শরীরটা খুব খারাপ,কিছু খেতে মন চায় না,
মা জোর করে খাওয়ায় তাও বমি করে দেয় তনু,,
তনুর একদিন সন্দেহ হলো সে pregnant নইতো,কিন্তু কিভাবে, আমি তো পিল খেয়েছিলাম,
তনু শিশিরকে জানানোর জন্য ফোন দিলো কিন্তু শিশির কাজের জন্য ফোন রিসিভ করতে পারলো না,
মা-তনু কিরে তোর গায়ে যে খুব জ্বর,চল হসপিটালে যাই
তনু-নাহ মা আমি ঠিক আছি
মা আর জোর করলো না,
তনু pregnancy এর কথা ভুলে গেলেও বমি করলেই আবার মনে আসে,তো একদিন pregnancy test করালো,,নেগেটিভ আসছে,একটা দাগ ঘাড়ো,একটা দাগ হালকা দেখা যাচ্ছে,তার মানে নেগেটিভ হবে মেবি,হুম,pregnant হলে ঘাড়ো হতো,
তনু শান্তিতে বিছানায় গেলো,শিশির ফোন দিলো,তনু গিয়ে রিসিভ করলো
শিশির-কি হইসে?তুমি ঠিক আছো?কাজের জন্য তখন ধরতে পারি নাই
তনু-নাহ, এমনিতেই,
শিশির ভিডিও কলে তনুকে দেখলো,তারপর কাজে চলে গেলো,রাতে তনুর অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গেলো,বমি করতে করতে শেষ,,শেষে সোফায় ঘুমিয়ে পড়লো,
কাঁথা ছাড়াই
সকালে এত জ্বর আসলো যে সোফা থেকে উঠতেও তনুর খুব কষ্ট হচ্ছিলো
মা দেখতে এসে টেনসানে পড়ে গেসে,
একজন মহিলা doctorকে শিশিরের বাবা নিয়ে আসলেন
doctor -আমি ঔষধ লিখে দিসি,খাওয়াবেন,আর হ্যাঁ তনু, তুমি কি pregnant?
তনু-নাহ,চেক করসি,একটা দাগ হালকা আরেকটা ঘাড়ো
doctor -আরে এটা পজিটিভ ও হতে পারে,তুমি হসপিটালে গিয়ে আবার test করাও
মা খুশিতে হাসতেছে
তনু-মা আমি pregnant না,আমার হিসেব আছে,পিল খেয়েছিলাম আমি
মা-তাহলেও সমস্যা নাই,test করে নিস
কয়েকদিন হয়ে গেলো,তনুর আর test এর কথা মনে নেই,,
বিছানায় শুয়ে আছে,সকাল ১১টা বাজে
শিশির চুপিচুপি বাসায় ঢুকলো,,
বুয়া দরজা খুলেছে,শিশির মানা করলো যাতে না বলে
শিশির মা বাবাকে দেখে এসে তনুর রুমের দরজা খুললো,তনু ঘুমাচ্ছে,,
শিশির তনুর কানের কাছে নাক লাগাতেই তনু ভয়ে উঠে বসলো
শিশিরকে দেখে খুশিতে তনু শিশিরকে জড়িয়ে ধরলো
শিশির-surprise!!!!
তনুর খুশি দেখে কে
শিশির-এই তোমার গায়ে এত জ্বর কেন,আর আমাকে বলোনি কেন
তনু-অল্প বেশি না
শিশির -ঔষধ খাচ্ছো?
তনু-হুম,ভালো হয়ে যাবে
তনু বিকালে কফি বানিয়ে বারান্দায় আনলো,শিশিরের হাতে কফির মগ দিলো,,
কফি খাচ্ছে আর দুজনে গল্প করতেছে
হঠাৎ তনুর মাথা ঘুরে উঠতেই নিচে পড়ে যেতে নিলো শিশির ধরে ফেললো,তনু অজ্ঞান হয়ে গেসে,
শিশির তনুকে বিছানায় এনে শীঘ্রই doctor কে ফোন দিলো
doctor -আমি তো সেদিন ও বলসি যে test করান,উনার হাবভাবে মনে হয় উনি pregnant
শিশির-কিহ??
শিশির মায়ের দিকে তাকালো
মা-তনু বলসে আমারে সে pregnant না
শিশির-আচ্ছা,আমি আজ ওরে নিয়ে হসপিটালে test করাই আনবো
দুপুরের দিকে তনুর জ্ঞান আসলো,,
শিশির ব্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে তনুর দিকে
তনু-কি হইসে
শিশির-তুমি pregnant আর আমি আজ এতদিন পর জানলাম?কেন?
তনু-নাহ pregnant না
শিশির-যাই হোক,test করাও নি কেন
তনু-ভুলে গেসিলাম
শিশির-রেডি হয়ে নাও,হসপিটালে যাব
দুজনেই হসপিটালে বসে আছে,test করাতে নিয়ে গেলো তনুকে
রিপোর্ট রাতে দিবে
গাড়ীতে তনু দুবার বমি করসে
মা-একি তনুর কি হইসে
শিশির-বমি করতে করতে দূর্বল হয়ে গেসে
শিশির তনুকে কোলে তুলে নিয়ে গেলো
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


ক্রাশ যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_42
রাতে যখন তনু চোখ খুললো,দেখলো মা বাবা,শিশির মীম হাসি মুখে তাকিয়ে আছে,,,
তনু উঠে বসলো
শিশির তনুর হাতে রিপোর্ট দিলো
তনু চেক করে দেখলো সে গর্ভবতী
তনু কিছুক্ষনের জন্য অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো রিপোর্টের দিকে
মা-আমি আজ অনেক খুশি,
মা তনুর কপালে চুমু দিলো,জড়িয়ে ধরলো তনুকে,
তারপর আস্তে আস্তে সবাই চলে গেলো
শিশির তনুর গা ঘেঁষে বসলো
শিশির-তা আপনি না এত তাড়াতাড়ি বাবু নিবেন না?
তনু-ভুলে কনসিভ করসি,
শিশির-its ok,,আমি তোমার খেয়াল রাখবো তুমি পারবে সব,,don’t worry
শিশির তনুকে বাবুর পিক দেখাচ্ছে শুয়ে শুয়ে
তনু-আচ্ছা যদি টুইন বেবি হয়?
শিশির-তোমার এই ছোট্ট পেটে ২টা বাচ্চা হবে না
তনু-?
শিশির -থাকো আমি বাজার করে আনি,তোমার এখন প্রচুর খেতে হবে
তনু-আজ না,কাল যাইয়েন,আজ আমার সাথে থাকুন না প্লিস,,
শিশির-ওকে,
শিশির ঘুমাচ্ছে,তনু চুপিচুপি বুয়ার কাছে গেলো
তনু-বুয়া,তোমার বাসার ঐদিকে তো কাঠবাদাম গাছ আছে,আমার জন্য কয়েকটা আনিও,,,জমজ হলে ভালো হয়
বুয়া-আইচ্ছা
পরেরদিন শিশির বাজার করতে চলে গেলো
বুয়া বাদাম কেটে এনে তনুর হাতে দিলো,,তনু টিভি দেখতে দেখতে সব বাদাম খেয়ে নিলো
তনু-ইস,জমজ ছিলো কিনা দেখতে ভুলে গেসি,ধুর!
তনু শিশিরকে ফোন দিয়ে বললো জমজ কলা আনতে
শিশির ইচ্ছে করে আনে নাই,কারন জমজ বাচ্চাতে তনুর মতন বাচ্চারই ক্ষতি হবে
শিশির বাজার করে এনে বুয়ার হাতে দিলো,
তনু-আনছেন?
শিশির-জমজ তো পেলাম না
তনু-?ওওহ
তনু চলে গেলো
মা তনুর সাথে গল্প করতেছে,মা তনুকে অনেক বুঝালো যে দুটো বাচ্চা বহন করা অনেক কঠিন,এমন পাগলামো যেন না করে
তনু তাও বুঝতেছে না
তনু-কবে আলট্রা করাবে?
শিশির-এখন যাই চলো??পেটের নাড়িভুড়ি দেখা যাবে
তনু-?
শিশির কথা বলতে বলতে তাকিয়ে দেখলো তনু হা করে ঘুমাচ্ছে,কাল সারা রাত ঘুমাতে পারে নি,খালি বমি করসে,,
শিশির তনুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো,,আর মুচকি হেসে দিলো,সে বাবা হতে চলেছে,,
রাতের দিকে তনু উঠে বসলো
তনু-এই যে আমি বাইরে হাঁটতে যাব
শিশির-না একদম না,হালকা শীত পড়তেছে,তোমার জ্বর বেড়ে যাবে
তনু-যাব!
শিশির কি আর করবে, তনুর হাত ধরে বের হলো,,ফাঁকা রাস্তা দিয়ে হাঁটতেছে
তনু-আচ্ছা এখন যদি গুন্ডা attack করে?
শিশির-আমি বাঁচাবো তোমাকে
তনু-বাবুর নাম কি রাখবো?
শিশির-S আর T দিয়ে একটা নাম খুঁজো(পাঠক পাঠিকারা খুঁজুন,সেই নাম রাখবো আমি)
তনু-S দিয়ে একজনের নাম,T দিয়ে আরেকজনের নাম
শিশির-তুমি এত সিউর কেমনে যে বাবু টুইন হবে
তনু-আমার মন বলতেছে
শিশির-কচু
শিশির আইসক্রিম কিনে দিলো তনুকে,
তনু আইসক্রিম শেষ দিয়ে আবার তাকিয়ে রইলো
শিশির-কি?
তনু-আরেকটা?
শিশির আরেকটা কিনে দিলো তনুকে
পার্কের সিটে বসে আছে তনু শিশির,তনু শিশিরের কাঁধে মাথা রেখে আইসক্রিম খাচ্ছে
শিশির-জানো আমি কখনও ভাবিনি যে নাতাশা নয় তনু আমার ওয়াইফ হবে,জীবনে কল্পনাও করিনি আমার ভাগ্যে কার নাম লিখা আছে,,
তনু-সেদিন আপনার সাথে আমার প্রথম দেখা maybe আল্লাহর ইচ্ছা ছিলো
শিশির-হুম,
তনু-আর আপনি আমাকে পাত্তা দেননি ?
শিশির-?অচেনা মানুষকে পাত্তা কেন দিব
তনু শিশিরের হাতে চিমটি কাটলো,
শিশির-চলো এবার যাই
তনু-ওকে
কিছুদূর হাঁটতেই শিশির বুঝলো তনুর হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে,শিশির তনুকে কোলে তুলে নিলো,,বাসায় আনার পর ঔষধ খেয়ে শুতেই তনুর ঘুম এসে গেলো,,
দুটি বাচ্চা হাসতেছে,,হঠাৎ একটা রক্ত মাখা হাত এগিয়ে আসতেছে,মুখটা খুব চেনা,,শিশিরের মতন দেখতে,,সে এসে বাচ্চা দুটির গলা টিপে ধরতেই তনু চিৎকার দিয়ে উঠে গেলো
তনু-আমার বাচ্চা,,
তনু পাশে শিশিরকে দেখলো না
উঠে গিয়ে রুম থেকে বের হতেই দেখলো শিশির মা বাবার সাথে কথা বলতেছে,
তনু দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছে,স্বপ্নে দেখা সেই হাত,,একদম সেম,ঘড়িটাও,
মা-কিরে তনু,আয়য় বস
শিশির তনুর দিকে তাকালো
কেন জানি তনুর খুব ভয় করতেছে শিশিরকে দেখে,পাশে বসতেই শিশির তনুর হাত ধরলো,তনু কেঁপে উঠলো
শিশির-এত তাড়াতাড়ি উঠে গেলা?
তনু-এমনিতেই
তনু উঠে চলে গেলো,,
শিশির রুমে এসে দেখলো তনু ঘুমিয়ে গেসে,
পরেরদিন শিশির ভোরে উঠে অফিস চলে গেলো,,অনেক কাজ,,
শিশির কাজ করতে করতেই হঠাৎ দেখলো কতগুলো ছেলে এসে ওর রুমের ভিতর ঢুকে গেলো
শিশির-কে??রহিম চাচা,টিপু!!
বিদেশি ছেলেটা এসে দাঁড়ালো,ওর লোকেরা সবাইকে আঁটকে রেখেছে
শিশির-কি???এই নাটকের মানে কি?
(ছেলেটার নাম অমি)
অমি-তোমার বউ তো pregnant তাই না?
শিশির-নাহ
অমি-ওহ তাই,,ওরে কল দিয়ে এখানে আসতে বলো,,
শিশির-বেরিয়ে যাও ফল ভালো হবে না,
ছেলেটা শিশিরকে ফোন দেখালো,একটা ভিডিও,যেখানে মীমকে চেয়ারে বেঁধে বসিয়ে রাখা হইসে,,
অমি-বউরে ডাকো নইতো কি করবো ভাবতে আমার সময় লাগবে না,,
শিশির অমিকে মারতে যেতেই ৩জন মিলে শিশিরকে আটকে ধরলো,
অমি শিশিরের ফোন শিশিরের হাতে ধরলো,,লাইভে মীম কে দেখালো,,মীমের দিকে গুলি ধরে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে,,
শিশির চুপচাপ ফোন দিলো,মেসেজ করতে চেয়েছিলো কিন্তু অমি তা বুঝতে পেরে মীমের কাছে থাকা ছেলেটিকে ইশারা করতেই ছেলেটা মীমকে ২টা থাপ্পড় মারলো
মীম কাঁদতেছে
শিশির আর উপায় না পেয়ে তনুকে ফোন দিলো,
শিশির-তনু রিসিভ করিও না
তনু গোসল করে বের হলো,,ফোন গিয়ে রিসিভ করলো,
তনু-হুম বলেন
শিশির-তনু!
অমি চোখ রাঙালো
শিশির-আমার অফিসে আসো
তনু-এখন??কেন?
শিশির-আসো
তনু-ঠিক আছে
তনু রেডি হয়ে মাকে বলে বের হলো,,শিশিরের অফিসে গিয়ে দেখলো দারওয়ান নেই,কেমন খালি খালি লাগতেছে,
তনু-সবাই গেলে কই?
শিশির দোতলায় দাঁড়িয়ে তনুর দিকে তাকিয়ে আছে,৩জনে ওকে ধরে আছে,ওর মুখে কস্টিব লাগানো,
তনু অফিসের ভিতরে ঢুকতেই সাথে সাথে একটা ছেলে দরজা লাগিয়ে ফেললো,
তনু-(নতুন stuff নাকি)
তনু শিশিরের রুমের দিকে গেলো,,হাসি মুখে দরজা খুলে ঢুকে দেখলো শিশিরকে কয়েকটা ছেলে ধরে আছে
তনু-একি,শিশির,আপনারা কারা,ওকে ছাড়ুন
অমি-ছেড়ে দাও
তনু শিশিরকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়ালো
শিশির শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,
অমি তার একটা লোককে দিয়ে এক গ্লাস জুস শিশিরের দিকে এগিয়ে দিলো
শিশির গ্লাসটা হাতে নিয়ে তাকিয়ে আছে,,
তনু-কি হচ্ছে এসব শিশির??
চলবে♥

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে