কে কোথায় যায়? পর্ব ৫

0
830

কে কোথায় যায়? পর্ব ৫
———‘তুই কি ভোরকে ভালোবাসিস দোস্ত?’
প্রশ্নটা শুনে চমকে গেল রুদ্র। কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,
——-‘কি-কিসব ব-বলতেছিস দোস্ত?’
নীহারিকা ভরসার হাত রাখলো রুদ্রের কাঁধে।মিষ্টি হেসে বললো,
——–‘রুদ্র,আমি কি তোর বন্ধু নই?আমার কাছ থেকে লুকাচ্ছিস?তুই কি জানোস তুই ঠিকমতো কিচ্ছু লুকাতে’ই পারিস না।’
রুদ্র এ বিষয়ে আবার নাকোচ করলো।নীহারিকা এবার রেগে গেল।রাগে গজগজ করতে করতে বললো,
——–‘বলবি না শালা?ভোরকে গিয়ে আমি বলতেছি। দাঁড়া!’
রুদ্র নীহারিকার হাত দু’টো নিজের হাতের মুঠোয় নিল।চোখ বন্ধ করে দ্রুততার সহিত বললো,
——–‘তাকে দেখার পর মনে অজানা ঢেউ বয়!চোখ শুধু ওকেই দেখতে চায়!সারা শরীর যেন শিহরিত হয়, যদি এটাকে ভালোবাসা বলে তবে আমি ওকে ভালোবাসি!’
নীহারিকা নির্বিকার গলায় বললো,
——-‘তাইলে ওরে বল গিয়া!’
রুদ্র নাকোচ করলো।নীহারিকা বিরক্তসুরে জিজ্ঞেস করলো,
——-‘ক্যান?’
রুদ্র ঢোক গিলে বললো,
——-‘সময় সুযোগ বুঝে কথা বলবো!তুই কাউরে এইসব বলিস না!’
নীহারিকা ছোট্ট করে বললোঃ’ওকে’
রুদ্র প্যান্টের পকেটে হাত রাখলো।বারান্দায় আসলে ঘন অরণ্য দেখা যায়!এদিকটা শহরের অভিশাপ থেকে বেঁচে আছে।সকালে আসলে পাখ-পাখালির ভিড়ে নিজেকেই ভোলা যায়, রাত ঝি ঝি পোঁকার ডাক,আর শুকনো ডালের অন্য ডালের সংর্ঘষণ স্পষ্ট শুনা যায়। চারিদিকে শান্ত বাতি!প্রকৃতির আত্মজ একটা গন্ধ এসে তাকে বেষ্টন করছে। সে নিজের দৃষ্টি নিবদ্ধ করলো এক জোড়া লক্ষ্মী পেঁচার দিকে|নির্বিকার গলায় বললো,
——‘দোস্তু,আমাদে­র শুভা’টা বড় হইয়া গেছে।তার কাউরে পছন্দ হয় না?’
নীহারিকা ঠোঁঠ উল্টিয়ে বলে,
——-‘জানি না রে!’
রুদ্র বারান্দার রেলিং এ হাত দিয়ে নীহারিকার দিকে তাকালো।
——‘দোস্তু শুভা যদি আমাদের এসব বলে না তাইলে কি হয়?জিগাইস ওরে সে কারে ভালোবাসে।’
নীহারিকা রুদ্রকে তাড়া দিয়ে বললো,
——-‘বলবো নে!চল আড্ডা দিতে যাই।’
বন্ধুমহলের সবাই জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে!হঠাৎ তামিমের চোখ পড়লো রুদ্র ও নীহারিকা দিকে।
তাচ্ছিল্যের সুরে বললো,
——-‘আফনাডের পার্তোনাল কাত কি তেস?’
নীহারিকা তামিমের পাশে বসে পড়লো!তামিমের গালে চিমটি মেরে বললো,
—–‘হুম শেষ!’
রাফি ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো,
——‘তা কি কথা বললি?’
রুদ্রও ভ্রু কুচকিয়ে বললো,
——–‘তোরে ক্যান বলুম?’
শুভা মাঝ থেকে জোরে বলে উঠলো,
——‘দোস্তুরা!এত্ত­দিন পর সব্বাই এক হলাম।চল না,কোথাও ঘুরে আসি!’
রাফি লাফ মেরে বললো,
——‘কই থাইক্যা?’
ভোর ও রুদ্র সমস্বরে বলে উঠলো,
——‘বান্দরবান!’
তামিম দাঁত কেলিয়ে বললো,
——‘আমরা তো বান্দরবানের কিছুই চিনি না।তবে ক্যামনে যামু?’
রুদ্র প্রশান্তির হাসি হেসে বললো,
——-‘আমার এক ভন্ডু আছে। সে বাংলাদেশের সব স্থানের মিনিমাম জ্ঞান রাখে!ওরে বলি?’
শুভা ভ্রু কুচকে বললো,
——‘ভন্ডু না বন্ধু?’
রুদ্র চুল খাড়া করতে করতে বললো,
——‘ধরে নে দুটাই!আচ্ছা কল দিবো ওরে যে ও আমাদের সাথে এই ট্রিপে যায়?’
সবাই এক স্বরে বললো,
——‘দে’
চলবে…..
©ইভা আহমেদ চৌধুরী
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে