কবে হলো ভালোবাসা পর্ব-১২ এবং শেষ পর্ব

0
832

#কবে_হলো_ভালোবাসা
#তাশফিয়া_রহমান_মাটি (লেখিকা)
#পর্ব :১২(অন্তিম)

(কপি করা নিষেধ)
প্রতিটা গানের লাইন যেন, দীবার মনে নতুন নতুন অনুভূতি সৃষ্টি করলো।
পলকবীহিন এক দৃষ্টিতে, তাকিয়ে আছে দিবস এর দিকে।
গান শেষ করতেই দিবস এর সাথে চোখাচোখি হলো । হতেই চোখ সরিয়ে নিলো দীবা।

তিশু হঠাৎ বলে উঠলো
তিশু: দিবস এর ভেতরে হারিয়ে গেলি নাকি?
– কি সব বলিস! আমি কেনো হারাতে যাবো। বিশেষ যার জন্য গান করলো দেখ সেই হারাবে।
দীবার কথার মাঝে এক অন্যরকম উদাসীনতা, অভিমান ছিল।

তিশুর সাথে কথা বলতে বলতে খেয়াল করেনি, দিবস ওর পাশেই বসে আছে।
হঠাৎ কেউ হালকা কাশি দিতেই, পাশে তাকিয়ে হতভম্ব হয়ে গেলো দিবসকে দেখে!
অবাক হয়ে বললো
– আপনি কখন এলেন?
দিবস মৃদু হাসি দিয়ে বললো
দিবস: যখন আমাকে নিয়ে জেলাস হয়েছো ঠিক তখন।
– আমি জেলাস! জীবনেও না।
দিবস: ওকে তো আমার বিশেষ মানুষের জন্য গানটি কেমন হয়েছে?
– আমি কেনো বলবো? আমি তো আপনার বিশেষ কেউ না।
দিবস এমন কোন উওর আশা করেছিলো মনে মনে।
দিবস: তুমি আমার বিশেষ মানুষ, হলে কি তুমি খুশি হতে?
দীবার কেমন জানি রাগ হচ্ছে, কারণটা নিজের কাছেও অজানা।
-সরেন তো আমার কাছে আসছেন কেন? আপনার বিশেষ মানুষের কাছে যান।
দিবস মিটিমিটি হেসে বললো
দিবস: ওকে, তুমি যখন এত করে বলছো, তখনতো যেতেই হবে।

দিবস চলে যেতেই দীবার চোখ দিয়ে, অটোমেটিক পানি পরলো।
মনে মনে বললো
-চলে যেতে বললাম বলে, সত্যিই চলে যেতে হবে!

তিশু: কি হয়েছে বাবু কান্না করছিস কেনো?
দীবা কেনো কাদছে নিজেও জানেনা। মুখে বললো
– চোখে কি যেনো পরেছে।

এরপর আরো কিছু গান হলো । তারপর দীবা দের নাম বলা হলো
দীবার ভীষণ নার্ভাস লাগছিলো ,ঠিক তখন কোথায় থেকে দিবস পাশে এসে দাড়ালো।
দিবস: ডান্স ভালো হওয়া চাই, বেস্ট অফ লাক। অন্য কোন চিন্তা না। এখন শুধু ডান্স এ কনসেনট্রেড করো।
দীবাও বাধ্য মেয়ের মতো মাথা নাড়লো হ্যাঁ বোধক।

দীবা ও দিবস, আকাশ ও তিশু আরো দুটি কাপল রেডি হয়ে দাড়লো। মিউজিক এর অপেক্ষা।
গান শুরু হলো

Dil Dooba Dil Dooba Neeli Aankhon Mein Yeh Dil Dooba
Mehbooba Mehbooba Bas Yeh Jaanle Mehbooba
Dil Dooba Dil Dooba Neeli Aankhon Mein Yeh Dil Dooba
Mehbooba Mehbooba Bas Yeh Jaanle Mehbooba
Aashiq Hoon Deewana Hoon Tere Liye Kuch Bhi Kar Jaaonga
Ishq Mein Tere Jeeta Hoon Tere Liye Hi Mar Jaaonga

Main Tere Jhase Mein Naa Aaonge O Re Deewane Jaa
Kyon?
Aisi Waisi Bana Ke Baatein Mujhe Naa Tu Uljha
Loot Jaaonga Mitt Jaaonga Dil Tera Jeeth Ke Dikhlaonga
Peecha Na Chodonga Chahe Jitna Tadpa
Dil Dooba Dil Dooba Neeli…..
গানের তালে তালে ডান্স করলো খুব সুন্দর। নাচের মাধ্যমে আরো কাছাকাছি এলো দীবা ও দিবস। দুজনের হার্ট বিট সমান তালে বাড়ছে। ডান্স
শেষ হতেই উচ্চ করোতালির শব্দ শুরু হলো।

দীবা ও তিশু ফ্রেশ হওয়ার জন্য, ওয়াশরুম এ গেলো।
তিশু মুখ ধুতেই হঠাৎ ওর কল এলো।
তিশু: দোস্ত কল আসছে একটু কথা বলি তুই একা থাকতে পারবি ? নাকি আমি থাকবো?
-না তুই যা, বেশি সময় লাগবে না । আসছি আমি।
তিশু- ওকে।
তিশু চলে যায়, এদিকে দীবা মুখে পানি দিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে সামনে যেতেই আচলে টান অনুভব করলো, ভাবলো কিছুর সাথে হয়তো বেধেছে, তাই ভালো মন নিয়ে পেছনে তাকাতেই ,অবাক হয়ে সাথে একরাশ ভয় এসে ধরা দিলো মনে!
অস্পষ্ট উচ্চারণ করলো
– ফা ফা হাদ!
ফাহাদ জঘন্য হাসি দিয়ে বললো
ফাহাদ: হুম নামটা মনে আছে তাহলে।
দীবা ভয়ে পিছিয়ে যেতে চাইলেও পারছে না।
দীবার ভয় পাওয়া মুখ দেখে ফাহাদ বলে উঠলো
ফাহাদ: সেলিব্রেটি দিবসের সাথে এত কি তোমার?
– সেটা আপনাকে কেনো বলবো? হু আর ইউ?
ফাহাদ: হাহ একসময় আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল ছিলে ,আর আজ চিনতে চাইছো না।
দীবা নিজেকে শক্ত করে বললো
– ঠিক বলেছেন তখন পাগল ছিলাম। কিন্তু এখন সুস্থ পুরোপুরি।

ফাহাদ: বেশি কথা শিখেছো। তা এসব কথা কি দিবস শেখালো ?
-দিবসকে নিয়ে আপনি কথা কেনো বলছেন বারবার?
ফাহাদ: কেনো তোমার এত গায়ে লাগছে কেনো? এসে থেকে দেখছি ঐ সেলিব্রেটি দিবস এর আশেপাশে খুব ঘুরছো । তাকেও কি আমার মতো তোমার মনে ধরেছে নাকি?
– ভুল বললেন, আপনাকে আমার মনে ধরেনি । আপনি আমার জীবনের একটা ভুল মাএ আর কিছু না। আর দিবস এর আশেপাশে থাকি বা তাকে আপনার কথার মতো যদি মনে ধরে তাতে আপনার কি?
ফাহাদ: দিবসের এর পিছনে ঘুরে তোমার কোন লাভ হবে না। ও একজন সেলিব্রেটি ও তোমার মতো বেকডেটেড মেয়েকে কখনো বিয়ে করবে না। আর আমিও করবোনা।
দীবার অজান্তেই চোখে পানি এসে গেছে।অপমান জিনিসটা বরাবরই সহ্য হয় না।

ফাহাদ আবার বললো
ফাহাদ: দিবসের পেছনে ঘুরে কোন লাভ নেই, তার থেকে আমার কাছে আসো একটু আদর করি।
বলেই দীবার কাছে আসতেই ,নাকে হঠাৎ ঘুষি খেয়ে ছিটকে পরে গেলো।
আচমকা এমন হওয়ায় থমকে গেলো দীবা!
সামনে তাকিয়ে দীবার মুখে হাসি ফুটলো। কোন কিছু না ভেবে দিবসকে জাপটে ধরলো। দিবস কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পরলেও দীবাকে আলতো হাতে আগলে ধরতেই ফুপিয়ে কেদে উঠলো দীবা।
দিবস বললো
দিবস: দীবানিশি কান্না না ,আর আমি এসে গেছি তো।
ফাহাদ উঠে বলে চিৎকার করে উঠলো।
ফাহাদ: দীবা তোর মতো বাজে মেয়ে আমি আর দেখিনি।
দিবস হালকা হাতে দীবাকে একটু দূরে সরিয়ে চিৎকার করে বললো
দিবস: আমার দীবানিশি সম্পর্কে আর একটা বাজে শব্দ বের করলে, মুখ ভেঙে দিতে এক সেকেন্ডও লাগবে না।
ইতিমধ্যে সবাই জড়ো হয়ে গেছে।
তিশু এগিয়ে আসতে দীবা জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলো।

ফাহাদ বললো
ফাহাদ: দীবার সাথে কি এমন সম্পর্ক ? যে আমার গায়ে হাত তুললে নাকি অবৈধ … বলতেই আবার ঘুষি পরলো ফাহাদ এর মুখে,
দিবস নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে, জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো।
দীবা ফুপিয়ে কেদে যাচ্ছে।
এদিকে আশেপাশের সবাই নানা রকম বাজে কথা বলছে দীবার নামে।

ডিপার্টমেন্ট এর প্রধান এসে বললো দিবসকে
:কি সমস্যা দিবস ?দীবার সাথে তোমার কি সম্পর্ক?
দিবস নিজেকে কন্ট্রোল করে দীবার দিকে একঝলক তাকিয়ে বললো
দিবস: দীবা ইজ মাই ফিয়োঞ্চি। আগামী পরশু আমাদের বিয়ে।
দীবা যেনো আকাশ থেকে পরলো!দীবা ভাবতে থাকলো দিবস এসব কেনো বলছে, দিবস এর জীবন এ তো বিশেষ মানুষ আছে, তাহলে এসব কেনো বলছে, আমার সম্মান বাচাতে কি এসব বলছে, আমার জন্য দিবস এর লাইফ নষ্ট হোক তা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারবোনা। এসব ভাবনার মাঝেই স্যার বলে উঠলেন
:দীবা দিবস যেটা বলেছে সেটা কি সত্যিই?
দীবা কি বলবে বুঝতে না পেরে দিবস এর দিকে তাকাতেই, দিবস চোখের ইশারায় বললো হ্যাঁ বলতে।
দীবার চোখ দিয়ে পানি পরলো সাথে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বোঝালো।
ভার্সিটির সবাই ভীষণ সারপ্রাইজড হলো। কারো মুখে কোন কথা নেই।
ফাহাদ যেনো বেশি হতভম্ব হয়ে গেলো ! ও ভাবতেই পারেনি দিবস এর মতো সেলিব্রেটি ,
দীবার মতো বেকডেটেড মেয়েকে বিয়ে করবে!

দিবস ফাহাদ এর দিকে তাকিয়ে ,বাকা হেসে সবার উদ্দেশ্যে বললো
দিবস: আগামী পরশু সবার ইনভাইট থাকলো আমাদের বিয়েতে, আশা করবো সবাই আসবেন।
বলেই দীবার হাত ধরে চলে গেলো গাড়িতে।

গাড়িতে দীবাকে বসিয়ে দিবস ফোনে কাউকে বললো
দিবস: আগামী পরশু মানে পরশু। সব এরেঞ্জ যেনো হয়। বলে ফোন কেটে গাড়িতে উঠলো। দীবা নিরব দর্শক এর মতো সব খেয়াল করলো।
দিবস ড্রাইভ করতেই দীবা বলে উঠলো
– আপনি এসব কেনো বললেন? আমি চাই না মনের বিরুদ্ধে গিয়ে আমাকে বিয়ে করে ,আপনার লাইফটা নষ্ট করেন কি হলো কিছু তো বলেন? এটি সারাজীবনের এর বিষয় আপনি বুঝতে পারছেন?
দিবস নিশ্চুপ। দীবার একটা কথারো জবাব দিলো।
দীবাও যখন কোন উওর পেলো না দিবসের থেকে, তখন হাল ছেড়ে জানালার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে অশ্রু বিসর্জন করতে লাগলো।
দিবস সবটাই খেয়াল করলেও কিছু বললো না।

দীবার ফুফুর বাড়ির সামনে গাড়ি থামাতে, দীবা গাড়ি থেকে নেমে ভেতরে গিয়ে ভীষণ অবাক হলো !কারণ দীবার মা বাবা ভাই এসেছে। কি মনে করে পেছনে ঘুরে দেখলো দিবসও তার সাথে বাড়িতে ঢুকেছে।

হঠাৎ দীবার বাবা বলে উঠলেন
দীবার বাবা: আমার দীবা মা দেখতে দেখতে কত বড় হয়ে গেছে। যে বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো।
দীবা সাথে সাথে থমকে গেলো!
দিবস খুব নরমাল রয়েছে, অথচ দীবা অস্থির হয়ে যাচ্ছে। তাই সামনে বাবলিকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে ডেকে কাছে এনে জিজ্ঞাসা করলো
– বাবলি বাবা বিয়ের কথা কেনো বলছে?
বাবলি বেশ অবাক হয়ে বললো
বাবলি : তোমার আর দিবস এর, আই মিন দিবস ভাইয়ার বিয়ের কথা হচ্ছে।
দীবা অবাক হয়ে গেলো সবাইকে দিবস কখন কীভাবে জানালো !আর সবাই মেনে কীভাবে নিলো কিছু বুঝতে পারলো না।

দিবস এর পরিবারের সবাই এখানে। নিজের পরিবার দিবস এর পরিবার মিলেমিশে যেনো এক পরিবার হয়ে উঠেছে। সবার খুশি দেখে দীবা নীরব থাকলো।

মাঝে কেটে গেছে একদিন দিবসের সাথে কোন যোগাযোগ হয়নি দীবার।

আজ বিয়ে ড্রিম ওয়েভার কমিউনিটি সেন্টার এ বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।
পার্লার থেকে সাজানো হয়েছে আজ দীবাকে ।
রেড ভেলভেট এর শুধু সোনালী স্টোন এর কাজে ভরপুর লেহেঙ্গা পরেছে।
মাথায় ওড়না, সবরকম মেক আপ করেছে আজ। একদম লাল টুকটকে বউ লাগছে।
অপরদিকে দিবস সোনালী শেরওয়ানি সাথে সোনালী ওড়না, ম্যাচিং নাগরায় অসাধারণ লাগছে।

দুজনকে পাশাপাশি বসানো হলেও ,পর্দা দেওয়া ছিল। মাঝে বিয়ে পরানোর পর পর্দা সরিয়ে দিয়ে, দিবস দীবার ঘোমটা দেওয়া ওড়না সরায় । দুজনের দৃষ্টি দুজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

খুব ভালো ভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে বাসায় আসলো রাত ১২ টায়। দীবাকে দিবস এর রুমে বসিয়ে দিয়ে গেছে।
দীবার মনে হাজারো প্রশ্নের ঝড় চলছে, যার উওর কেবল দিবস এর কাছেই আছে। এসব ভাবনার মাঝেই হঠাৎ দরজা আটকানোর শব্দ কানে আসতেই দীবা নড়েচড়ে বসলো।
হঠাৎ হাতে কারো ছোয়া পেয়ে সামনে তাকিয়ে দেখলো দিবস ,তার হাত ধরে কিছু বলার আগেই হাত ধরে সোজা দাড় করিয়ে নিজে হাটু গেড়ে বসলো।
যা দেখে দীবা অবাক হলো! দীবাকে আরো অবাক করে দিবস বললো
দিবস: ভালোবাসি দীবানিশি।
– কেনো শুধু মিথ্যা বলছেন?
দিবস: সত্যিই ভালোবাসি ।আর এই কথাটা আজ কালই জানাতাম তোমাকে, কিন্তু এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে ভাবতে পারিনি। আমি তোমার ফ্যামিলির কাছে আমার মা বাবার মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব আগে দিয়েছি। আমি জানতাম তাদের মতামত তোমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাইতো গত পরশু তারা বিয়ের ডেট ফিক্সড করতে এসেছিলো, কিন্তু আমি তাড়াহুড়ো করায় আজই বিয়েটা হয়েছে।
দীবা অবাক হয়ে যাচ্ছে, তার অগোচরে এত কিছু হয়েছে অথচ সে জানেনা।

-#কবে_হলো_ভালোবাসা ?
দিবস: সত্যি বলতে আমাদের যখন প্রথম দেখা হয়েছিলো। ভীষণ রাগ হয়েছিলো তোমার উপর, কিন্তু ধীরে ধীরে তোমার সাথে মজা করতে করতে, কীভাবে কখন #কবে_হলো_ভালোবাসা আমি জানি না। শুধু জানি তোমার চোখের পানি আমার অন্তর এ রক্ত ক্ষরণ সৃষ্টি করে। সেদিন যখন ফাহাদ নামক বাজে ছেলেটার জন্য তুমি কেদেছিলে। তোমার তো বাইরে অশ্রু বিসর্জন হয়েছিলো ,কিন্তু আমার তখন ভেতরে রক্ত ক্ষরণ হয়েছিলো।
দীবার চোখের পানি অঝোরে ঝরে চলছে।
দীবা ভাবছে এত ভালোবাসে অথচ কখনো বুঝতে দেয়নি। এসব ভাবনার মাঝেই দিবস আবার বললো
দিবস: আমি জানি না তুমি আমাকে ভালোবাসো কিনা, কিন্তু আমি সত্যিই তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আমি আমার মনে তোমাকে অনুভব করতে পেরেছি, তুমি আমার কখনো কাছে আসার চেষ্টা করোনি, কিন্তু তুমি না চাইতেও আমার মনের কাছে চলে এসেছো। আমি তোমাকে বলেছিলাম, দিবস এর মনের কাছে যে আসতে পারবে সে দিবস এর মনের মানুষ। তুমি আমার মনের মানুষ।
দীবা ফুপিয়ে বললো
– তাহলে সেদিন যে বললেন আপনার বিশেষ মানুষের জন্য গান। কে এই বিশেষ মানুষ?
দিবস হাসলো বললো
দিবস: তুমি আমার বিশেষ মানুষ দীবানিশি।
দীবা হঠাৎ বলে উঠলো
– সত্যি বলতে আপনাকে আমার প্রথম একদম সহ্য হতো না। খুব রাগ লাগতো, কিন্তু কিছু দিন যাবৎ আপনি আমার সাথে কথা না বললে, কেমন জানি অস্থির লাগতো, ঐ যে বিশেষ কারো জন্য বলেছিলেন এটা শুনেও খুব কষ্ট হচ্ছিলো । এগুলোকে যদি ভালোবাসা বলে তবে আমিও আপনাকে ভালোবাসি।
দিবস তৃপ্তিময় হাসলো।
– আজকাল আপনি আমার সাথে মজা না করলে আমার দিন টায় কেমন নিরামিষ মনে হয়। আমিও জানি না কখন কীভাবে #কবে_হলো_ভালোবাসা । কিন্তু আমি ও আপনাকে অনেক ভালোবাসি।
দিবস খুব মনোযোগ দিয়ে দীবার কথাগুলো শুনে উঠে দাড়িয়ে দীবার চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো
দিবস: এইযে চোখের পানি মুছে দিলাম, আর কখনো এ চোখে পানি আসতে দিবো না।
দীবা মিষ্টি হাসলো।
দিবস আলতো করে দীবার কপালে ভালোবাসার পরশ দিলো।
দীবা চোখ বন্ধ করতেই ,দিবস শক্ত করে দীবাকে জড়িয়ে ধরলো। শুরু হলো তাদের জীবনের নতুন পথচলা।

সমাপ্ত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে