ওয়ারদূন আসরার পর্ব-০৩ | বাংলা রোমান্টিক ভালোবাসা গল্প

0
1364

#ওয়ারদূন_আসরার
#লাবিবা_ওয়াহিদ
“০৩”

——————————-

যীনাত চুপ করে ছাদে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। হয়তো আকাশের তারার ভিরে নিজের ভাইকে খুঁজে যাচ্ছে। যীনাতের ছোটবেলার স্বভাব এখনো কাটেনি। ছোটবেলায় যখন দাদী মারা গেছিলো সে আকাশের যেকোনো একটা তারার সাথে বেশ বকরবকর করতো আর আজ এক তারার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে,”উমমম…. হ্যাঁ ওই তারাটা বেশি ঝলমল করছে এর মানে আমার ফুয়াদ ওই তারাটাই! কেমন আছিস ভাই? ভালো তো থাকবি-ই কিভাবে আমাকে একা ফেলে চলে গেলি। জানিস ভাই আমি ভালো নেই। এই সমাজ টা বড্ড স্বার্থপর রে। এই সমাজ বিপদে কারো পাশে দাড়াতে নয় উল্টো কথার খোটায় মেরে ফেলতে পারে। কেন আমাকে একা ফেলে চলে গেলি? আমাকেও তোর সাথে নিয়ে যেতি আমি যে আর পারিনা এসব যন্ত্রণা সহ্য করতে।”
বলেই ডুকরে কেঁদে উঠে যীনাত।

এইদিকে,,

– দাদু আসবো?

দেবনাথ দেব পত্রিকা পড়ছিলেন এর মাঝে কেউ ডাকতেই দরজার দিকে তাকায়। দরজায় জাইফ দাঁড়িয়ে। দেবনাথ দেব পত্রিকা ভাজ করতে করতে বলে,”এসো এসো পারমিশন নেয়ার কি আছে?”

দাবনা দেবের অনুমতি পেয়ে জাইফ দাদু পাশে গিয়ে বসলো। দেবনাথ দেব জিজ্ঞেস করে,”কিছু বলবে?”

– জ্বি দাদু। আসলে একটা বিষয় নিয়ে অনেকটা কনফিউজড।

– কোন বিষয়?

– তুমি আমাকে কেন কখনো কোনো পূজো বা আমাদের রীতিতে থাকতে দাওনি?

দেবনাথ দেব তখনই মুখ টা গম্ভীর করে ফেলে এবং বলে,”তুমি কি কখনো এগুলো পালন করেছো যে আমায় এটা বলছো?”

জাইফ মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলে,”ইয়ে মানে আমার তো এগুলোতে ইন্টারেস্ট নেই কিন্তু তবুও তুমি…”

– তোমার যেমন ইন্টারেস্ট নেই তাই তোমায় বসতেও দেইনা বুঝেছো? আমি পছন্দ করিনা কোনো কিছুতে জোর করা।

দুজনের মাঝে নিরবতা। কিছুক্ষণ পর নিরবতা ভেঙে জাইফ বলে,”একটা কথা তোমাকে বলতে চাই দাদু, আসলে আমার কেন জানি ইসলাম ধর্মের প্রতি টান অনুভব হয়। কিন্তু কেন সেটা আমি আজও বুঝিনি আর….”

– আর….

জাইফ মাথা নিচু করে বলে,”আমি নামাজ শিখে মাঝে মধ্যেই লুকিয়ে নামাজ পড়ি।”

কথাটা শুনে দেবনাথ দেব আশার আলো দেখতে পেলো। দেবনাথ দেব হেসে বলে,”তুমি যে কি করেছো তা তোমার ধারণার বাইরে। আমি যে এতোদিন এটাই চেয়েছিলাম। গুড জব মাই সান!”

জাইফ ভেবেছিলো তার দাদু তাকে বকবে কিন্তু এর উল্টো টা যে হবে তা কখনো জাইফ ভাবতেই পারেনি।

এমন সময়ই দেবনাথ দেবের ফোনে কল আসে। তিনি রিসিভ করে বলে,”হ্যালো!”

————————–

– কখন?

—————————

– বাহ বেশ ভালো তাহলে এখন কি করনীয়?

—————————-

– ওকে আমি নিয়ে আসছি, জ্বি, ঠিক আছে বাই।

বলেই দেবনাথ দেব খুবই আনন্দিত হয়ে ফোন রাখলো এবং জাইফকে তাড়া দিয়ে বললো,”জাইফ রেডি হয়ে নেও আমাদের এক জায়গায় যেতে হবে।”

– আমি রেডিই আছি দাদু চলো তুমি।

তারপর দুজন একসাথে নিচে নামে। নিচে নামতেই মল্লিকা দেবী একটা পূজোর থালা নিয়ে জাইফের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং বলে,”আজ তোর মঙ্গলের জন্য শিব ঠাকুরের পূজো দিয়ে এসেছি বাবা আয় তোকে চন্দন টা দিয়ে দি।”

বলেই মল্লিকা দেবী চন্দন দিতে এগিয়ে আসলে জাইফ দু’পা পিছিয়ে গেলো এবং অনেকটা অস্বস্তিতে পড়ে গেলো। দেবনাথ দেব জাইফের অস্বস্তি বুঝতে পেরে মল্লিকা দেবী কিছুটা কঠোর হয়ে বলে,”বউমা আমাদের কাজ আছে যেতে দাও আর তুমি জানো না এসবে জাইফের অস্বস্তি হয় তবুও কেন বারবার ওকে অস্বস্তিতে ফেলো? তুমি তো ওর মা তোমার তো বোঝা উচিত।”

– হ্যাঁ আমি তার মা! মা হয়ে কি করে সন্তানের খারাপ চাই আপনিই বলুন? আমার ছেলেটার যদি কোনো বিপদ ছুঁতে না পারে তার জন্যই তো…

দেবনাথ দেব আর কিছু বলতে না দিয়ে জাইফকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে! কথায় কথা বাড়বে যা দেবনাথ দেব চায়না। দেবনাথ দেব চলে যেতেই মল্লিকা দেবী আঁচলে নিজের চোখ মুছে। দূর থেকে কমলা দেবী সবটা দেখে কোমড়ে আঁচল গুজে বলে,”দেখসোস নি তোর শোউড়ের লম্বা পা, এই ছ্যাড়া রে কহনো পুজার মন্ডবে বইতে দিলো না তো দিলোই না আবার কয় অস্বস্তিতে পড়ে। ক্যা বে আ্যরাও তো কতো বছর ধরে এগুলা পালন করে আসছি আগো তো কিছুই হয়না তইলে এমান নাডকের কি আছে! অমঙ্গল গোওও অমঙ্গল! ঠাকুক তুমি ঠাডা ফেলাও আ্যই উইটা যাই।”

রিকেশ দেব শিড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলে,”ওগো কমলা বউ আমার তুমি উইঠা গেলে আমার কি হইবো?আমি যে তোমারে ছাড়া বাচতে পারুম না। আর তুমি সক্কাল সক্কাল এমন চিল্লাও ক্যা? তোমার সোয়ামির ঘুম ভাঙি গেছে এহন তুমি কিতা শাস্তি তোমার ঘাড়ে লইবা?”(কিছুটা মজার সুরে)

– ওই তুই একদম মোরে বউ কইবি না আই খালি আর জাইফের বউ তুই আমাগো মইদ্দে বাম হাত ঢুকাস ক্যারে?

– নিজেকে তোমার আঁচলে বাধার ল্যাইগা কমলা বউ!

– হ্যাহ ঢং!

বলেই কমলা দেবী নিজের ঘরে চলে গেলো আর রিকেশ হেসে দিলো। রিকেশের এমন ফাইজলামি দেখে মল্লিকা দেবী বলে,”এমন করে কেন জ্বালাস? উনি তো আমাদের গুরুজন।”

– গুরুজন বলে আমার ভাইকে যা ইচ্ছা তাই বলবে নাকি? তাইতো এমন করি আর জানো মা ঠাকুমার সাথে মজা নিতে বেশ ভালো লাগে।

– হ্যাঁ হয়েছে এখন আয় খেয়ে নিবি।

– জাইফ কোথায়?

– তোর দাদুর সাথে কোথায় যেনো গেলো।

– ওহ আচ্ছা! তাহলে খেতে দাও আমার অফিসে জরুরি মিটিং আছে।

★অবশেষে আসলো যীনাতের ২২তম জম্মদিনের আগের দিন★

সকাল থেকেই বাড়িতে অনেক তোড়জোড় খেয়াল করেছে যীনাত। কিন্তু সবাই কি নিয়ে এতো আয়োজন করছে সেটাই বুঝতে পারছে না। মাগরিবের নামাজ শেষে ছোট চাচী যখন তাকে কিছু পোশাক দিয়ে গেলো তাতে যীনাতের বুঝতে বাকি নেই আবারও সবাই তার বিয়ের প্ল্যানিং করছে। ব্যাপারটা ভেবে যীনাতের মাথায় রাগ চড়ে গেলো। সে একটা বোম ফাটাবে ভেবে নিচে চলে গেলো। মেইন দরজার দিকে চোখ যেতেই দেখলো একটা ছোট্ট ফুটফুটে বাচ্চা তার দিকে তাকিয়ে আছে। অল্প সময়ই বাচ্চাটার জন্য যীনাতের মায়া জম্মে গেলো আর ওমনেই বাচ্চাটা চলে যাচ্ছে আর যীনাত বাচ্চাটার পিছে পিছে গেলো কারণ সে একবার হলেও বাচ্চাটাকে কোলে নিবে বলে ঠিক করেছে। এভাবে প্রায় দূরে আসতেই পেছনে খুব জোরে কিছু ফাটার শব্দ হলো আর সেই শব্দ শুনে যীনাত তাড়াতাড়ি পিছে ফিরে তাকায়। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে বাড়িতে যা দেখে যীনাতের চোখ বেয়ে কয়েক ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে। আপনজন এভাবে তাকে ছেড়ে যাবে ভাবতেই চিৎকার দিয়ে উঠে। বাচ্চাটার দিকে আর খেয়াল নেই যীনাতের।এমন সময়ই দেবনাথ দেব জাইফ আর হুজুর যীনাতের সামনে এসে হাজির হয়। যীনাত জোরে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির দিকে যেতে নিলে হুজুর জোর করে আটকে রেখে বলে,”এভাবে যেয়ো না যীনাত জীবনটা বড্ড কঠিন। কিছু পেতে হলে অনেক কিছু হারাতে হয়। এটা জীবন মৃত্যুর খেলা! এখানে এভাবে হেরে গেলে চলবে না। ”

যীনাত যেনো কোনো কথাই শুনছে না। তার চোখে হাজারো স্মৃতি ভেসে উঠছে আর বারবার আব্বাজান, আম্মাজান, চাচী, চাচা বলে চেঁচাচ্ছে। এভাবে আপন মানুষ গুলো কি করে তাকে ছেড়ে চলে গেলো? হে আল্লাহ কার কি ক্ষতি করেছি যার জন্য সবসময় প্রিয় মানুষ গুলোকে হারাতে হচ্ছে?

যীনাতের অবস্থা দেখে এবার জাইফের চোখ বেয়েও কয়েক ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে একটা মেয়ে তার সবকিছু হারিয়ে ফেলেছে। মেয়েটাকে ছায়া দেয়ার মতো কেউ যে রইলো না।

হুজুর তড়িঘড়ি করে বলে উঠে,”যীনাত এদিকের বিষয় পরে দেখা যাবে এখন তুমি আমার সাথে এসো। আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি।”

– কিসের কয়েক ঘন্টা? এখানে আমার পরিবার শেষ হয়ে গেছে আর আপনি বলছেন “বিষয়!” কি করে পারছেন এভাবে বলতে হুজুর?

– দেখো যীনাত তোমার পরিবারের মতো আমিও যেকোনো সময়ে তাদের হাতে মারা পড়তে পারি। তাই বলছি তাড়াতাড়ি আমার সাথে মসজিদে এসো হাতে বেশি সময় নেই।।

একপ্রকার জোর করেই হুজুর আর জাইফ যীনাতকে মসজিদে নিয়ে গেলো। যীনাতের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। শেষে উপায় না পেয়ে হুজুর একটা চিঠি যীনাতের হাতে দিয়ে বলে,”নেও এটা পড়ো তোমার বাবার লেখা শেষ চিঠি।”

যীনাত কাঁপা কাঁপা হাতে চিঠি টা নিলো এবং খুবই করুণ সুরে বলে,”এটাতে কি লেখা হুজুর?”

– জানিনা হয়তো তার শেষ কিছু ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

যীনাত এবার চিঠিটা পড়ে। পড়ার পর যীনাত একদম নিশ্চুপ হয়ে যায় শুধু অবাধ্য চোখ থেকে দু’এক ফোটা পানি বেরোলো। তারপর চিঠিটা বুকে জড়িয়ে পাথরের মতো হয়ে বলে,”আমার এখন কি করবো হুজুর? আমি…”

যীনাতকে কিছু বলতে না দিয়ে হুজুর বলে,”তোমাকে এই মুহূর্তে বিয়ে করতে হবে! বেশি সময় নেই যীনাত যা করার জলদি করো।”

– কাকে?

– জাইফকে! যে তোমার পাশে বসে।

যীনাত জাইফের দিকে না তাকিয়েই বলে,”যা করার করুন।”

যীনাত যেনো বেচে থাকাটাই ভুলে গেছে। কোন এক অদৃশ্য দেয়ালের কারণে আজ তার মৃত্যুর পথ টা খোলা নেই। হয়তো আত্নহত্যা মহাপাপ তাই! নইলে সে যে কবেই পরাপারে পারি দিতো।

চিঠিতে লেখা ছিলো,
“মা আমি তোর বাবা ফয়েজ। চিনেছিস আমায়? হয়তো চিনে নিবি আমার লেখা দেখে। যখন চিঠিটা তোর হাতে থাকবে তখন হয়তো আমি এই দুনিয়ায় থাকবো না। তুই একদম ভেঙে পড়বি না মা। আমার কিছু ইচ্ছে ছিলো জানিস হয়তো পূরণ হবে না তবুও তোকে বলছি। তোর সামনে অনেক বিপদ মা, তুই যখনই চিঠিটা পাস না কেন তোর ২২ বছর পূরণের আগে যে করেই হোক তুই বিয়ে কর নইলে তোর আশেপাশে যারা আছে এবং থাকবে তারা সবাই-ই ধ্বংস হয়ে যাবে। তুই কি চাস তোর জন্য অন্যরা প্রাণ হারাক? কখনো নিজের জেদকে প্রশ্রয় দিবি না, যা করবি বিবেক দিয়ে ভাববি এবং ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিবি। কারণ তোর আগমন বিপদে শুধু তোর বিবেক-বুদ্ধিই তোকে সাহায্য করবে। আমি জানি আমার মেয়ে অনেক ধৈর্যশীল এবং বুদ্ধিমতি। পারলে বাবাকে ক্ষমা করে দিস! জানিস তো পৃথিবীটা বড্ড স্বার্থপর, নিজেদের স্বার্থের জন্য তারা সব করতে পারে। আমি এখনো জানিনা কে আমাদের এবং তোর পরম শত্রু। তবে এইটুকু বলবো তোর ভাইকেও খুন করা হয়েছে এবং আমাকে/আমাদের! পরীক্ষা তোর মা, বুদ্ধিমত্তার সাথে সব জয় কর এবং শত্রুদের কঠিন শাস্তি দে। আল্লাহ তোর সহায় হোক তোকে তোর বিপদে সাহায্য করুক সেই দোয়া-ই করি। এখন আমার শেষ ইচ্ছে পূরণ কর মা ২২তম জম্মদিনের আগে বিয়েটা সেরে ফেল তোর হুজুরের সাথে যোগাযোগ করে। তিনি উত্তম ছেলেকেই তোর জীবনসঙ্গিনী করবে সেই আস্থা আছে আমার। বিবাহিত জীবনে সুখী হ! ভালো থাকিস নিজের খেয়াল রাখিস আর হ্যাঁ আবারো বলছি কোনো পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়বি না কখনো মনে রাখবি আল্লাহ আছেন পাশে।

ইতি তোমার
আব্বাজান!

অবশেষে ফয়েজের ইচ্ছায় যীনাত এবং জাইফের বিয়ে সম্পন্ন হলো। হুজুর জোরে আলহামদুলিল্লাহ বলে উঠে। বাইরে থেকে দেবনাথ দেবও শুনতে পায় এবং মলিন হাসি দেয়। যীনাত অন্যমনস্ক হয়ে বলে,”হুজুর!”

– হ্যাঁ যীনাত বলো।

– শেষবারের জন্যও কি কাউকে দেখতে পারবো না?(ছলছল চোখে)

যীনাতের কথায় যেনো হুজুর এবং জাইফ দু’জনেরই কলিজা কেঁপে উঠে। সত্যিই তো মেয়েটা আজ বড্ড অসহায়। শেষবারের জন্যেও পরিবারের কাউকে একবারের জন্যেও দেখতে পারলো না। বুকটা চিনচিন করছে বেশ। আল্লাহ কেন পুরো পরিবারটা কেড়ে নিলেন আপনি? বেচারী মেয়েটার যে কোনো দোষই নেই।

নিকেশ ম্যানশনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে দেবনাথ দেব, জাইফ এবং যীনাত(আনমনে)। যীনাত যেনো কোনো পাথরের মূর্তি হয়ে আছে। যে যেভাবে বলছে সে সেভাবেই চলাফেরা, কাজ করছে। সে যে নিজের মধ্যে নেই। দেবনাথ দেব আর জাইফের সাথে একটা মেয়ে দেখে কমলা দেবী দরজার সামনে এসে বলে,”কি করে দাদা এই আবার কোন ল্যাঙ রে অইয়া আইসোস হ্যানে।”

– ল্যাঙ কোন ধরণের ভাষা দিদি মেয়ে বলো আর ওকে ভেতরে ঢুকতে দাও মেয়েটা অনেক ক্লান্ত।

– না আর দাদা। আগে আই জানমু এই ছোকড়ি কে তারপর তোগো ভিত্রে আওয়ার অনুমতি দিমু।

মহিলাটির কথা শুনে এতোক্ষণে যীনাতের ধ্যান ভাঙে। সামনে তাকিয়ে দেখে একজন বয়স্ক মহিলা যে কিনা সাদা সুতি শাড়ি বাঙ্গালী স্টাইলে পড়া। মাথায় বউদের মতো ঘোমটা। পিছে দেখতে পায় একজন মহিলা। সকলের পোষাক আষাক দেখে যীনাত বেশ ভালোই বুঝেছে সে হিন্দু কোনো পরিবারে এসেছে। যীনাত অবাক হলো না কারণ সে আগে থেকেই জানতো সে এখানে আসবে। হয়তো তার তাদের সাথে কিছুদিন অস্বস্তি হবে কিন্তু পরে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। তবে যীনাত একটা টু’শব্দও করলো না।

– আহ কমলা বউ তুমি এতো প্রশ্ন ক্যান করো? আগে ঢুকতে তো দাও তারপরে যা মন চায় জিগাও উফফ পা তক ব্যথা হয়ে গেলো আমার।

জাইফের কথায় যীনাত জাইফের দিকে তাকালো আবার চোখ সরিয়ে বুড়ির কাহীনি দেখায় মনোযোগী হলো।

কমলা দেবী….

——————————-

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে