এবং স্ত্রী পর্ব-২৫+২৬

0
1193

#এবং_স্ত্রী
#পর্ব_২৫
#Jannatul_Ferdos

রাগে গিজ গিজ করছে নিরুপমা। ব্যাটাকে যতোটা বলদ ভেবেছিল তার থেকে ও বেশি চালাক সে।কিভাবে তাকে ধোরে ফেলল।জীদে মাথার চুল টেনে ছিড়তে ইচ্ছা করছে তার।কিন্তু তার পরেই হাসিতে লুটোপুটি খাচ্ছে সে।উৎস এবার বেশ জব্দ হয়েছে।ফিরে তো যাবে ঠিকি তবে শাস্তি এখনো বাকি হুহ।কতোগুলো দিন সে মুসকানকে ছেড়ে ছিল কিন্তু আদৌ কি ছেড়ে ছিল?এইবার দ্বিতীয় দফা হাসে নিরুপমা। সে বাসা থেকে চলে এসে যে এই বাড়িতে আছে উৎস ও প্রবীর খান বাদে তনিমা ও প্রেমা জানত।ইভেন প্রেমা মাঝে মধ্যেই মুসকানকে নিয়ে নিরুপমার সাথে দেখা করতে আসত।তাই তো সে মুসকানের জন্য চিন্তা কম করতো।না হলে এতোদিন মুসকানকে রেখে থাকা নিরুপমার সাধ্য ছিল না।উৎস এগুলার কিছুই বুঝতে পারে নাই।নিরুপমা হাসির মধ্যে উৎসের কর্কশ কণ্ঠের ডাক শুনতে পেলো নিরুপমা..
“নিরুপমা আর কতোক্ষণ লাগবে
নিরুপমা এবার মুখ বেকিয়ে বলে..
” নিরুপমা আর কতোক্ষণ লাগবে হুহ ঢং।এমন ভাব করছে আমাকে ছাড়া এক মূহুর্ত ও থাকতে পারছে।মনে চাচ্ছে কুচি কুচি করে কেটে নদীর জ্বলে ভাসিয়ে দেয়।নিরুপমা গজ গজ করে ট্রলি নিয়ে বের হয়।দেখেই বোঝা যাচ্ছে নিরুপমা খুব বিরক্ত ।উৎস নিরুপমার এমন চেহারা দেখে মিটিমিটি হাসে।নিরুপমার চোখ তা এড়ায় না।সরু চোখ করে উৎসের দিকে তাকায়।যে চোখের ভাষা আহ ব্যাটা খাচ্চোর খালি একবার বাড়িতে চল তোর কি অবস্থা করি খালি দেখ।উৎস নিরুপমার এমন ভাষা বুঝতে পেরে বুকে থুথু নেয়।নিরুপমা মুখ বেকিয়ে বাইরে চলে আসে।উৎস দিলরুবার থেকে বিদায় নিয়ে বাইরে আসে।দিলরুবা নিরুপমা চলে যাওয়ায় কান্না করে দেয়।বড্ড মায়া হচ্ছে মেয়েটার জন্য।
উৎস বাইরে এসে দেখে নিরুপমা গাড়িতে বসে নক কামড়াচ্ছে।উৎস বেশ ভালোই বুঝতে পারছে যে তার কপালে বৃহস্পতি, শুক্র, শনি কোনোটাই বাকি থাকবে না।নিরুপমা যা জিনিস তাকে পিটিয়ে আবার উগান্ডায় না পাঠিয়ে দেয়।উম না উগান্ডা না নিরুপমা উৎসকে এর থেকে ও বাজে জায়গায় পাঠাবে তা হলো নেপচুন যেখানে উৎসের আর বসবাস করা লাগবে না।এমনিতেউ শহীদ হয়ে যাবে।উৎস কোনো রকম দোয়া দুরুদ পড়ে গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট করে।সারা রাস্তা নিরুপমা একটা কথা ও বলেনি নক কামড়েছে শুধু।ডান হাতের পাঁচ আঙুলের বোধহয় নক আর অবশিষ্ট নেই।উৎস কয়েকবার কথা বলতে গেলে এমন ভাবে তাকিয়েছে যেন নক বাদ দিয়ে উৎসকে কামড়ে ধোরবে সে।উৎস ভয়ে আর সাহস করে ডাকে না তাকে।
বাসায় ঢুকতে না ঢুকতেই প্রেমা দৌড়ে এসে নিরুপমাকে জড়িয়ে ধোরে।দুজনে কুশল বিনিময় করে নিরুপমা তনিমা বেগমের কাছে যায়।তনিমা বেগম অশ্রুশিক্ত চোখে নিরুপমা মুখে হাত বুলিয়ে কপালে চুমু খায়।প্রবীর খান রুমে ছিল।নিরুপমা চুপি চুপি গিয়ে প্রবীর খানের চোখ দুহাত দিয়ে বন্দি করে ধোরে।প্রবীর খান ঠাওর করতে পারে না কে।হাত ছাড়িয়ে নিরুপমাকে দেখে জড়িয়ে ধোরে কান্না করে দেয়।এরপর মাথায় হাত বুলিয়ে বলে…
“আমার ছেলেটার উপরে রাগ করে চলে গেলি।কিন্তু তোর ছেলেটার কথা চিন্তা করলি না রে মা?একবার ও ভাবলি না তোর এই বুড়ো ছেলেটা তোকে খুঁজবে তোর জন্য কাঁদবে।
নিরুপমা প্রবীর খানের দুহাত মুঠোবন্দি করে নিজে ও কাঁদে।
” আমাকে ক্ষমা করে দিন বাবা।
“মায়ের উপরে কখনো কি রাগ করে থাকা যায়?আমি বোধ হয় তোকে সুখী করতে পারলাম না রে নিরু তাই না?
” ছি ছি এ কি কথা বলছেন বাবা আপনি?আপনি আমাকে এ বাড়ির বউ করে না আনলে যে আমার মা আমাকে অন্য কোনো বুড়ো লোকের কাছে আমাকে বিয়ে দিয়ে দিত।সেখানে তো আমার জীবন নরক হয়ে যেত।আপনি নিজেকে দায়ী মন করবেন না একদম।
“মুসকানের সাথে দেখা করেছিস?
” না এখনো করে নি।বোধ হয় ঘুমোচ্ছে।
“আচ্ছা গিয়ে আগে মেয়েকে কোলে নে।তারপর রেস্ট কর।আমার মেয়ে এসে গেছে আর আমার কোনো চিন্তা নেই।
” আচ্ছা আমি আসি…নিরুপমা মুচকি এসে রুম থেকে বের হয়।নিরুপমার ধারণা ঠিক।মুসকান ঘুমোচ্ছে।নিরুপমা প্রেমার রুমে গিয়ে মুসকানের মুখে আলতো করে ঠোঁট ছুয়ে দেয়।কতোদিন পর আবার সে মুসকানকে বুকে জড়িয়ে ঘুমাবে।
ফ্রেশ হতে নিরুপমা তার রুমে যায়।কিন্তু রুমে গিয়ে যেন সেই তাজ্জব বোনে যায়।দরজা খুলতে না খুলতেই মাথার উপরে গোলাপ ফুলের পাপড়ি পরে।পুরো রুমে আলো জ্বলে উঠে নিরুপমার সামনে বরাবর লেখা “Welcome to your home mam”
সাথে দুইহাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে আছে উৎস।নিরুপমা চোখ পানিতে ভিজে এসেছে।তার মনে হচ্ছে সে স্বপ্ন দেখছে।কিচ্ছুক্ষণ পরেই স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে।কিন্তু না এগুলা স্বপ্ন না এগুলা বাস্তব।কিন্তু এটা যদি স্বপ্ন হয় এমন স্বপ্ন সে বারবার চায়।আর যদি বাস্তব হয় সারাটা জীবন এই বাস্তবাকে ঘিরে বাঁচতে চায়।নিরুপমা উৎসের ভালোবাসা পাওয়ার প্রথম ধাপ পার করে ফেলেছে। সে আর এক মূহুর্ত দেরি না করে দৌড়ে উৎসকে জড়িয়ে ধোরে। এই বুকে যে কতটা শান্তি আছে উৎস হয়তো জানে না।নিরুপমা এই শান্তি মিশ্রত বুকে আজীবন থাকতে চায়।উৎস নিরুপমাকে জড়িয়ে ধোরা অবস্থায় বলে..
“আমাকে কি ক্ষমা করেছো নিরুপমা?
নিরুপমা উৎসকে তৎক্ষনাৎ ছেড়ে দিয়ে বলে..
” কেউ যদি মনে করে আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়ে এই বাড়িতে এসেছি আর তাকে জড়িয়ে ধরেছি তাহলে সে ভুল ভাবছে।এই বাড়িতে এসেছি আমার মেয়ের জন্য আর তাকে জড়িয়ে ধোরেছি নিজের মানসিক শান্তির জন্য। এর বেশি কিছু নয়।সে যা ভুল আর অন্যায় করেছে তার ক্ষমা হয় না।
নিরুপমা কথাটি বলেই ওয়াশরুমে গিয়ে ধরাস করে দরজা বন্ধ করে দেয়।উৎস মাথা চুলকাতে থাকে..
“না এই মেয়ে সহজে পটবে না।কিযে করি।যা মনে হচ্ছে নিরুপমাকে পটাতে জ্বীন ভাড়া করে আনতে হবে।ইদানীং ফেসবুকে সে প্রায় দেখছে মেয়েটা পটাতে জ্বীন ভাড়া দেওয়া হয়।সে ও না হয় একটা জ্বীন ভাড়া করে নিবে… উৎসের এমন গভীর ভাবনায় উৎস নিজে ও হাসে।নিরুপমার মতো সে ও বোধ হয় পাগল হয়ে গেছে।
আর অন্যদিকে নিরুপমা ওয়াশরুমে বসে হাসিতে লুটোপুটি খেতে শুরু করে।নিরুপমা যখন কথা গুলো বলছিল উৎসের মুখ দেখার মতো ছিল।
” বাবা উৎস নিরুপমাকে তো চিনো নাই।নরম হয়ে থাকলে কি হবে আমি যে কি জিনিস তা তুমি হারে হারে টের পাবা হুহ।কথা আছে “শক্তের ভক্ত নরমের যম”…

চলবে!।

#এবং_স্ত্রী
#পর্ব_২৬
#Jannatul_Ferdos

নিরুপমার অপেক্ষায় উৎস বসে আছে।সেই যে ওয়াশরুমে গেল আর বের হওয়ার নাম গন্ধটি নেই। আর ওইদিকে নিরুপমা ও কি কম ফাজিল?ইচ্ছা করেই বের হচ্ছে না।সে খুব ভালো করেই জানে উৎস নিজের ওয়াশরুম রেখে বাড়ির অন্য কোনো ওয়াশরুমের যাবে না।উৎস বসে বসে এটম বম হচ্ছে।এখনো ফ্রেশ হতে পারে নি সে।ফ্রেশ না হয়ে চেঞ্জ ও করবে না।
“নিরুপমা নিরুপমা হলো তোমার?এবার কিন্তু ভিষণ রাগ হচ্ছে আমার।
নিরুপমা এবার ভেবে দেখলো আসলেই অনেক সময় ধরে সে উৎসকে বসিয়ে রেখেছে এবার বের হওয়া দরকার।কিন্তু এখন পরেছে আরেক মুসিবতে।নিরুপমা প্রায় অনেকটাই ভিজে গেছে।সে তো তার শাড়ি ও আনে নাই এখন কি করবে?উৎসকেই বলতে হবে।নিরুপমা কোনোরকম সাহস জুগিয়ে দরজা হাল্কা করে খুলে উৎসকে ডাক দেয়..
” এইযে শুনছেন?
“এতোক্ষণ পরে বের হয়ে আবার ওখানে কেন দাঁড়িয়ে আছো?বাইরে আসো
” ইয়ে মানে শুনেন না
“বলো
” আমি না আমার শাড়ি আনতে ভুলে গেছি।আমার ট্রলি থেকে একটা শাড়ি বের করে দিবেন?
উৎস প্রথমে কিছু বলল না তারপর কি ভেবে শাড়ি বের করে নিরুপমার দিকে এগোতে লাগল।নিরুপমা শাড়ি ধরতেই উৎস নিরুপমাকে ধাক্কা দিয়ে ওয়াশরুমের মধ্যে নিজে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।নিরুপমা বড় বড় ঢোক গিলে উৎস এবার তাকে আস্ত গিলে খাবে।
“আ আয়াপ্নি না মানে আপনি ভিতরে আসলেন কেন?আ আমি তো বের হচ্ছিলাম
উৎস কোনো কথা না বলে নিরুপমাকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধোরে শাওয়ার ছেড়ে দেয়।নিরুপমা ভিজে যায়।আর উৎস নিরুপমাকে দুহাত দিয়ে দেওয়ালের মাঝে বন্ধি করে রাখে।নিরুপমাকে খুব স্নিগ্ধ লাগছে।উৎসের কেমন জানি মাতাল মাতাল লাগছে নিরুপমাকে দেখে।মেয়েটা সুন্দর শুধু সুন্দর না ভয়ংকর সুন্দর।নিরুপমার ভিতরে এক অদ্ভুত মায়া আছে যা উৎসের চোখে পড়ে নি এতোদিন।নিরুপমা উৎসের দিকে দৃষ্টি স্থীর রেখে তাকিয়ে আছে।বোঝার চেষ্টা করছে ওই চোখে তার জন্য কি আছে?ভালোবাসা নাকি করুনা?
উৎস ধীরে ধীরে নিরুপমা মুখ বরাবর এগোতে থাকে নিরুপমা চোখ বন্ধ করে নিলে উৎস নিরুপমার কানের কাছে ফিসফিস করে বলে আমাকে এতো অপেক্ষা করানোর ফল এটা।নিরুপমা চোখ খুলে ছানাবড়া হয়ে যায়। এই মানুষটা এতো বদ এতো পাজি সে জানত না।
” আপনি
“হুসসসসসস চেঞ্জ করে নাও
” আপনি না গেলে চেঞ্জ করব কিভাবে?
“আমার সামনেই করো…উৎস নিরুপমাকে চোখ মেরে বলে
” নো ওয়ে।আপনি যাবেন এইখান থেকে?
“উহু এক পা ও নড়ছি না
” আপনি যদি না যান আমি এভাবে ভেজা অবস্থায় এইখানে বসে থাকব
“থাকো আমার কি?সাথে আমি ও থাকব
” প্লিজ যান না
“উহু
” প্লিজ
“শর্ত আছে
নিরুপমাকে অসহায় লাগছে এখন খুব
” কি শর্ত
“মুসকানতো ঘুমিয়ে আছে আর উঠবে না বোধহয় আজকে প্রেমার কাছেই থাক।
” কেন ও প্রেমার কাছে কেন থাকবে?এতোদিন পর আমার মেয়েকে কাছে পেয়েছি ও আমার কাছে কেন থাকবে না?
“তাহলে যে এতোদিন পর আমার মেয়ের মাকে আমি কাছে পেয়েছি সে কেন আমার কাছে থাকবে না….উৎস কথাটি বলে জিভে কামড় দেয়।মুখ ফসকে কথাটি বলে ফেলেছে।সে এভাবে বলতে চায় নি।নিরুপমা চোখ ছোট করে উৎসের দিকে তাকায়।তার হাবভাব ভালো লাগছে না নিরুপমার।
” কি বললেন ঠিক বুঝলাম না
“বোঝা লাগবে না।কথা একটাই আজকে মুসকান প্রেমার কাছে থাকবে ব্যাস।চেঞ্জ করে রুমে আসো

উৎস রুমে গিয়ে চেঞ্জ করে নেয়।নিরুপমা ও চেঞ্জ করে আসে। এর মধ্যেই প্রেমা খেতে ডাকতে আসে।উৎস বলে তারা একটু পরই আসছে।
আজ কতোদিন পর আবার সকলে একসাথে খাবে।তনিমা বেগম নিরুপমার জন্য চিংড়ি মাছের মালাইকারী রান্না করেছেন। নিরুপমার অনেক বেশি পছন্দের।আজ আর নিরুপমার নিজে হাত খাওয়া লাগল না তনিমা বেগম নিজের পাশে বসিয়ে নিরুপমাকে খাইয়ে দেন।মাঝে মধ্যে প্রেমা ও একটু ভাগ বসায়।উৎস চোখ পিট পিট করে শুধু সব দেখছে।রাগে শরীর জ্বলছে তার।
” বাহ আমার মায়ের তো শুধু দুই মেয়ে তার তো কোনো ছেলে নাই।তার দিকে নজর কেন দেবে?
“ওই হতচ্ছাড়া আমার মেয়েদের দিকে নজর দিস না তো…প্রবীর খান বলেন
” হ্যা এখন তো আমি হতচ্ছাড়া আর তোমার বউ যে তোমার দুই মেয়েকে খাইয়ে দিচ্ছে তার বেলায়?
প্রবীর খান এবার উৎসের কান মুলে দেন
“আহ বাবা লাগছে তো
” লাগার জন্যই তো দিছি।ওই ব্যাটা ওই আমার বউ তোর কি হয় রে বেয়াদব কোথাকার
নিরুপমার সামনে এমন অপমান উৎস মেনে নিতে পারছে না।শেষমেষ নিজের বউয়ের সামনেই কানমলা খেতে হবে এটা উৎস ভাবে নাই।না এ তো ঘোর অন্যায়।উৎসের মতো একটা ইনোসেন্ট, শান্ত, ভদ্র,ভালো ছেলের অপমান?এ তো পুরুষ জাতি মেনে নেবে না।
“এতো কি ভাবছিস আয় তোকে খাইয়ে দিচ্ছি..তনিমা বেগম বললেন।
নিরুপমা এতোক্ষণ উৎসের করুণ দশা দেখে মিটিমিটি হাসছিল।ভিষণ বেকায়দায় পড়েছিল উৎস।আচ্ছা এইযে কি সেই উৎস?যে উৎস সবসময় গম্ভীর হয়ে থাকত। নিরুপমাকে সহ্য করতে পারত না।অপমান করতো এমনকি গায়ে ও হাত তুললো?আসলে একটা শোকে মানুষ কি না হয়ে যেতে পারে।নিরুপমার ভালো লাগছে সে আবার আগের উৎসকে সবার মাঝে ফিরিয়ে আনতে পেরেছে।এইটাই তার বড় প্রাপ্তি।

চলবে!

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে