একটি পানকৌড়ির গল্প…..  ৯. 

0
3044

একটি পানকৌড়ির গল্প…..

৯.
আফতাব হোসেন তার চেম্বারে বসে ঝিমুচ্ছিলেন। রশীদ আলমের আসার কথা ১০ টায় কিন্তু এখনো আসেননি। কোনো সমস্যা হলো নাকি? রোগী দেখাও শুরু করতে হয়। রোগী দেখা শুরু করলেন আর রশীদ আলম আসলেন তখন একটা ঝামেলা সৃষ্টি হবে। সিরিয়ালের ব্রেক কেউই করতে চাননা। এসিস্ট্যান্ট কে ডেকে বললেন
– রোগী পাঠাও।
রোগী দেখা শেষ করে বের হবেন এইসময় রশীদ আলম এসে হাজির। হায়েস্ট ১০ মিনিট লেট হতে পারে তাই বলে এতো সময় লেট?
ডাক্তারের বিরক্তির চাহনিতে বুঝতে পারলেন রশীদ আলম যে এতোটা দেরি করা ঠিক হয়নি তার। তার আসার ইচ্ছা ছিলোনা। এই মেয়ের জন্য তার অনেক অশান্তি সংসারে। এই মেয়েকে তার কেনো যেন হঠাৎ করেই অসহ্য মনে হচ্ছে।
আফতাব হোসেন তার সামনের চেয়ারে বসতে বললেন। আফতাব হোসেন অনিচ্ছাসত্ত্বেও বললেন
– আপনার প্রথম স্ত্রীকে আমার সামনাসামনি দেখা খুব দরকার।
রশীদ আলম অস্বস্তি নিয়ে বললেন
– সেটা সম্ভব না। আমি তাকে কীভাবে আপনার কাছে নিয়ে আসবো?
– আমি তো বলিনি আপনি নিয়ে আসবেন। আমি বলেছি আমার দেখা,কথা বলা খুব প্রয়োজন। আপনি ঠিকানা দিন আমি একটা ব্যবস্থা করে নিবো।
– সম্ভব না।
– দেখুন রশীদ সাহেব আপনার মেয়ের সমস্যার সমাধানের জন্য তার জন্মদাত্রী মায়ের সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন। বুঝতে পারছেন কী বলেছি?
– ঠিকানা আমি বলছি আপনি লিখুন।
ঠিকানা লিখে আফতাব হোসেন শান্তস্বরে বললেন
– আপনি সময়ের জ্ঞান কম রাখেন মনে হচ্ছে।
– বুঝলাম না ঠিক।
– আপনাকে বুঝতে হবেনা। এখন আসতে পারুন।
রশীদ আলম চলে যাচ্ছিলেন, আফতাব হোসেন বললেন
– আপনার প্রথম স্ত্রীর নাম কী?
রশীদ আলম কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন
– রিনি।
নামের উচ্চারণে বুঝতে পারলেন, মানুষ কে ভুলে যাওয়া খুব কঠিন।
আফতাব হোসেনের নিজের মধ্যে অপরাধ বোধ জাগলো, নামটা জিজ্ঞেস করা ঠিক হয়নি। কিন্তু না করেও তো উপায় ছিলোনা।
বিকালের দিকে হাঁটতে হাঁটতে ওই ঠিকানায় পৌঁছে তো গেলেন কিন্তু দারোয়ান কি তাকে ঢুকতে দিবেন? বাড়ির মূল গেটের সামনে এভাবে একজন অপরিচিত কে হাঁটাহাঁটি করতে দেখে দারোয়ানের মনে সন্দেহ জাগলো। চোর, ডাকাত নাকি?
গেট না খুলেই ভেতর থেকে অচেনা লোকটাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন
– এই বাড়ির সামনে এতো ঘোরাঘুরি কীসের শুনি?
আফতাব হোসেন বিনয়ের সাথে বললেন
– আমি রিনি ম্যাডামের সাথে দেখা করতে এসেছি।
দারোয়ান সরু চোখে তাকিয়ে আফতাব হোসেন কে পা থেকে মাথা অবদি দেখে নিলেন।
– আপনি কে?
– আমি একজন সাইক্রিয়াট্রিস্ট।
শার্টের পকেট থেকে নিজের ভিজিটিং কার্ড দারোয়ানের হাতে দিয়ে বললেন
– বিশ্বাস না হলে দেখতে পারেন। কার্ডে আমার ছবিও দেয়া আছে।
দারোয়ান কার্ড নিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে গেলেন। আফতাব হোসেন একটু আশার আলো খুঁজে পেলেন। এবার যদি একটু কাজ হয়।
অনেকক্ষণ যাবত দাঁড়িয়ে থাকতে তার ভালো লাগছেনা কিন্তু ফিরে যেতেও ইচ্ছে করছেনা। প্রায় ১৫ মিনিট পর, আফতাব হোসেন ঘড়িতে সময়ের হিসাব রাখছিলেন, দারোয়ান ফিরে এসে মূল গেট খুলে দিলেন।
– সোজা গিয়ে হাতের ডানে দরজা খোলা আছে। ওই দরজা দিয়ে ঢুকলেই ড্রয়িংরুম। ড্রয়িংরুমে অপেক্ষা করতে হবে আপামনি আসবেন।
আফতাব হোসেন বিনয়ের সাথে বললেন
– আপনাকে ধন্যবাদ।
দারোয়ান বা এসব বাড়ির কেয়ার টেকার, কাজের লোকদের সাথে ভালো ব্যবহার করে সম্পর্ক তৈরি করতে হয়। তাহলে অনেক ভেতরের খবর সহজেই পাওয়া যায়। আফতাব হোসেন এইজন্যই এতোটা বিনয়ী আচরণ করছেন। যদিও তিনি সবার সাথেই ভালো ব্যবহার করার চেষ্টা করেন।
বেশ সুন্দর করে সাজানো ড্রয়িংরুম। এতো বড়লোকদের বাড়িঘর অবশ্য এভাবেই সাজানো থাকে। তার স্ত্রীরও এরকম বাড়ির খুব সখ। কখনো প্রকাশ করেনা কিন্তু তিনি বুঝতে পারেন। বেশ কিছুক্ষণ পর ট্রে হাতে নিয়ে ৩০-৩২ বছর বয়সী একজন নারী এসে ড্রয়িংরুমে ঢুকলেন। বেশ সুন্দরী কিন্তু মুখে হাসি না থাকায় কেমন যেন লাগছে। আফতাব হোসেনের সামনে রাখা টি টেবিলে ট্রে রেখে ডান পাশের সোফায় বসে বললেন
– চা ঠান্ডা হচ্ছে।
আফতাব হোসেন খেয়ালই করেননি ট্রে তে চা আর কয়েক রকম মানে তিন রকমের বিস্কুট আছে। এই এক কাপ চা দিয়ে এতো রকমের বিস্কুট খাবেন কীভাবে? এই বিস্কুট গুলো খাওয়ার জন্য অন্ততপক্ষে ১ কেজি চায়ের মগ লাগবে।
আফতাব হোসেন চায়ের কাপ নিয়ে বললেন
– আমি ড. আফতাব হোসেন। আপনার সাথে জরুরি কিছু কথা বলার আছে। আপনি রিনি ম্যাডাম তো?
হাসার চেষ্টা করে বললেন
– হ্যাঁ আমি রিনি।
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে আফতাব হোসেন তার প্রথম প্রশ্নটি করলেন
– আপনার প্রথম স্বামীর নাম রশীদ আলম?
– হ্যাঁ, প্রথম বলতে ওই লাস্ট। আর বিয়ে করিনি।
– আপনার একটা মেয়ে আছে ফারিয়া তাই না?
– আমার মেয়ে আছে তবে ফারিয়া না ওর নাম।
আফতাব হোসেন খেয়াল করলেন রিনি তেমন বিব্রতবোধ করছেন না। বেশ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের উত্তর গুলো দিচ্ছেন।
– তাহলে ওর নাম কী?
– আমি আর রশীদ ওর নাম রেখেছিলাম রাদিয়া। হয়তোবা ওর দাদী নাম চেঞ্জ করেছেন।
লাস্টের কথাটা বলার সময় রিনির চোখে ঘৃণা স্পষ্ট দেখতে পেলেন আফতাব হোসেন।
– সংসার ছেড়ে আসার কারণ?
রিনি বললেন
– চা টা শেষ করে কথা বলুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ভালো লাগবেনা।
আফতাব হোসেনের চা খাওয়া শেষ হবার পর রিনি বলতে শুরু করলেন
– রশীদের জুয়া খেলার অভ্যাস ছিলো। বিয়ের আগে থেকেই জানতাম। বিয়ের পর এবং আগে অনেক চেষ্টা করেছি ছাড়ানোর, ও ছাড়েনি। মেয়েটা যখন আমার পেটে তখন ওর জুয়া খেলার কারণে অনেক দেনা হয়েছে জানতে পারলাম। ওর মা বাবা অতোটা জানতেন না। মেয়েটা হবার পর দেনাদাররা বাসায় আসা শুরু করলেন। খুব খারাপ পরিস্থিতি। প্রায় না খেয়েই থাকতে হতো আমাকে। মেয়েটাও দুধ পাচ্ছিলো না। ওর মা সব দোষ আমার আর আমার মেয়ের ঘাড়ে দিলেন। আমি আসার পরে নাকি তার ছেলে জুয়া খেলায় মেতেছে। আর মেয়ে হচ্ছে অলক্ষী। তাই জন্ম নেবার সাথে সাথেই বাবার ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। সারাদিন কানের কাছে এই এক কথা!
মেয়েটাও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। কী করবো বুঝে উঠতে না পেরে বাবাকে ফোন দিলাম। লজ্জাসংকোচ ছেড়ে বাবার কাছে টাকা চাইলাম। টাকার এমাউন্ট টা যদি কম হতো। রশীদ ১৫ লাখ টাকা দেনা ছিলো। বাবা এমনিতেই আমার উপর রাগ ছিলেন তার অমতে বিয়ে করেছি বলে।
টাকা দিতে রাজি হলেন কিন্তু শর্ত জুড়ে দিলেন।
– ওই সংসার ছেড়ে চলে আসতে হবে। মেয়েকেও রেখে আসতে হবে। অনেক কান্নাকাটি করে বোঝালাম মেয়েকে রেখে আসতে পারবোনা।
বাবা রাজি হলেন।
তাই করলাম মেয়েকে নিয়েই চলে এলাম। ওকে ছেড়ে আসতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো কিন্তু আমার মেয়েটাকেও তো বাঁচাতে হবে।
রিনির গাল ভিজে উঠেছে চোখের জলে। মেয়েটা সুস্থ হয়ে উঠছিলো। ওকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। তখন ওর বয়স কতো মনে পড়ছেনা।
রশীদ আমার কাছ থেকে মেয়েটাকে জোর করে নিয়ে গেলো। আমি কিছুই করতে পারিনি।
আফতাব হোসেন বললেন
– আপনার বাবা তো পারতেন কোর্টে গিয়ে মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে।
– বাবা রাজি হলেন না। সুইসাইড করতে গেলাম তাতেও না।
– আপনি রশীদ আলমের কাছে ফিরে যেতে পারতেন৷
– আমি ওকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছিলাম।
– আপনি কি জানেন আপনার মেয়েটা অনেক দিন যাবত অসুস্থ?
– হ্যাঁ, জানি। লিমা আমাকে সব জানিয়েছে।
– তার সাথে আপনার কীভাবে পরিচয়?
– লিমা নিজেই ওদের বিয়ের ৩ মাস পরে এসেছিলো।
– ফারিয়াকে নিয়ে আসতো না?
– না, ও কখনোই আনতো না। আমি অনেক অনুরোধ করতাম। তবে ও রাদিয়াকে অনেক আদর করে এজন্য এখন আর বলিনা। আর রাদিয়া আমাকে ঘৃণা করে। আমিই লিমাকে সাইক্রিয়াট্রিস্ট এর কাছে নেয়ার কথা বলেছিলাম।
– মেয়ের জন্য খারাপ লাগেনা?
রিনি মুচকি হেসে বললেন
– অভ্যস্ত হয়ে গেছি। দূর থেকে মেয়েটাকে দেখি। আমার মতোই নাকি হয়েছে।
আফতাব হোসেন নিজেও অবাক হলেন, সত্যিই তো মেয়ে তো পুরো মায়ের মতোই দেখতে।
– ড. আফতাব হোসেন আমার মেয়েটাকে যেমন করেই হোক বাঁচান। ওর মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ। লিমা ওকে বেশ খেয়াল রাখে কিন্তু জন্ম তো আর দেয়নি।
– ঠিক বুঝলাম না।
রিনি বললেন
– মেয়েটাই আমার সব এখন। রশীদ তো আমাকে চিনতেই পারলোনা। মেয়েটা আমার কাছে থাকলে হয়তোবা এমন হতোনা। ওর মা খুব খারাপ মহিলা। আমার রাদিয়াকে বেশ আজেবাজে কথা শোনায়। আমি এখনো বেঁচে আছি ওই মেয়েটার জন্যই। ওর কিছু হয়ে গেলে আমি ঠিক থাকতে পারবোনা।
– লিমার বাড়ি কোথায়?
– ও তো গ্রামের মেয়ে। গ্রামের নামটা মনে পড়ছেনা। আপনার নাম্বার টা দিয়ে যান আমি ফোনে জানিয়ে দিবো। আর কিছু মনে করবেন না আমার এখন একটু বের হতে হবে। আপনি রাতে খেয়ে যাবেন।
– নাহ, অন্য একদিন। আজ আমি উঠি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
– আপনাকেও ধন্যবাদ দিবো যদি রাদিয়া আগের মতো হাসিখুশি বাবু হয়ে যায়।
রিনি একিটু শব্দ করেই হাসলেন। আফতাব হোসেন খেয়াল করলেন
– এখন তাকে খুব নিখুঁত সুন্দরী মনে হচ্ছে।
সন্ধ্যার দিকে চেম্বারে রোগী দেখা শুরু করলেন আফতাব হোসেন। আজকাল মনে হচ্ছে মানসিক রোগীর সংখ্যা বাংলাদেশে বাড়ছে। বাড়ছেনা, আগেও ছিলো শুধু লোকে পাগল বলবে বা সাইক্রিয়াট্রিস্ট এর অভাবেই কেউ প্রকাশ করতো না। এ দেশের প্রত্যেকটা পরিবারে অন্ততপক্ষে একজন অস্বাভাবিক মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে। কিন্তু তারা প্রকাশ করবেনা। লোকে বলবে – ওই বাড়ির অমুক বদ্ধ পাগল। ওই বাড়ির ছেলের সাথে মেয়ে বিয়ে দেয়া যাবেনা বা ওই বাড়ির মেয়েকে বিয়ে করা যাবেনা তাহলে বংশে পাগলের রক্ত চলে আসবে। মানুষ গুলো কী বাজে মানসিকতার! একজন অস্বাভাবিক মানুষকে সুস্থ তো হতে দিবেই না বরং আরো অসুস্থ বানিয়ে ছাড়বে।
রাতে বাসায় ফিরে বেশ আরামে  ঘুম দিলেন। রেহান টিয়াপাখি টা নিয়ে বেশ ব্যস্ত থাকে। টিয়াপাখিটা অবশ্য ওকে একদমই পছন্দ করেনা। একটু হাত দিয়ে রেহানা ধরতে গেলেই ঠোঁট দিয়ে হাতের চামড়ায় কামড় বসিয়ে দেয়। তারপরও রেহানা হাল ছাড়েনি। লেগেই আছে। আফতাব হোসেন বেশ হেসেছেন বিষয়টা নিয়ে। তার স্ত্রী এখনো আগের মতো হাসিখুশি আছে।
লিমার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নেয়া দরকার কিন্তু এতো সময় তার হাতে নেই। আবার যাওয়াটা খুব দরকার।
রেহানাকে জিজ্ঞেস করলেন
– বলোতো কী করি?
রেহানা ভাজি প্লেটে দিয়ে বললেন
– কোন বিষয়ে?
– ফারিয়ার দ্বিতীয় মা, লিমার সম্পর্কে পুরোটা জানা দরকার। কিন্তু ওর বাবার বাড়ি গ্রামে। আমার সময় হচ্ছেনা পুরো ১ দিনের জন্য।
– শুক্রবার যাও।
– অনেক দেরি হয়ে যাবে। এর মধ্যে মেয়েটার বড় কোনো ক্ষতি হলে?
– এক কাজ করো তোমার এসিস্ট্যান্ট কে পাঠিয়ে দেও। ও তো তোমার সাথে থাকতে থাকতে এসব বিষয়ে পটু হয়ে গেছে।
– তারপরও।
– আর মোবাইলের যুগ। যা জানার দরকার বা প্রশ্ন করা দরকার মোবাইলে বলে দিবা। আচ্ছা ওর যে আসল মা সে কেমন?
– ভালোই তো মনে হলো। সব বলবো তবে এখন না। এখন আমি নিজেই জানিনা কী কারণে ফারিয়ার এরকম সমস্যা হচ্ছে।
পরিবার, আশেপাশের পরিবেশ সবকিছুই একজন মানুষের উপর প্রভাব ফেলে। সেটা নেতিবাচক বা নীতিবাচক দুটোই হতে পারে।
আফতাব হোসেনের মোবাইলে অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসলো। আফতাব হোসেন মনে মনে ভাবলেন রিনি ম্যাডাম হবেন।
ফোন রিসিভ করে বললেন
– রিনি ম্যাডাম বলছেন নাকি?
– হ্যাঁ। লিমার বাবার বাসার ঠিকানা টা লিখুন।
ঠিকানা লিখে রাখার পর আফতাব হোসেন কিছু বলতে যাবেন তখন রিনি বললেন
– ঠিকানা যে আমি দিয়েছি এটা যেন ফাঁস না হয়। বুঝতে পারছেন?
– হ্যাঁ।
ফোন কেটে গেলো নাকি রিনি কেটে দিলেন আফতাব হোসেন ঠিক বুঝতে পারলেন না।
ফারিয়া আবারও সেই স্বপ্নটা দেখছে। বারবার চেষ্টা করছে স্বপ্নটা যেন না দেখে ঘুমের ঘোরে। রাজা রাণীর গল্পের কথা কিন্তু হচ্ছেই না। সেই একই স্বপ্ন, একই অনুভূতি!
অসহ্যকর ভীষণ অসহ্যকর!
চলবে…….!
© Maria Kabir