আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ পর্ব-০৩

0
480

#আমার_শহরে_তোমার_আমন্ত্রণ
#পর্ব৩
#Raiha_Zubair_Ripte

-“ কি ব্যাপার চাচি চিত্রা কে দেখছি না কেনো? কাল রাতেও দেখলাম না আজ সকালেও দেখছি না যে?

ডাইনিং টেবিলে বসতে বসতে কথাটা বলে রায়ান। রায়ানের মা রিক্তা বেগম গ্লাসে পানি ঢালতে ঢালতে বলে-

-“ চিত্রা তো বাসায় নেই। ও তৃষ্ণা দের বাসায় গেছে।

রায়ান পরোটা মুখে নিতে নিতে বলে-

-“ একাই গেছে নাকি?

রিয়া তার মেয়েটাকে নিয়ে চেয়ারে বসতে বসতে বলে-
-“ না ফুপি আসছিলো তৃষ্ণা কে নিয়ে। সন্ধ্যার দিকে চিত্রা কে নিয়ে গেছে।

চিত্রার মা চয়নিকা বেগম রান্নাঘর থেকে চায়ের কাপ টা নিয়ে এসে সোফায় বসে থাকা ভাসুর রাসেল আহমেদ ও স্বামী সাহেল আহমেদ কে দেয়। সাহেল আহমেদ স্মিত হেসে স্ত্রীর হাত থেকে চায়ের কাপ টা নেয়। দিনটা তার স্ত্রীর হাতের চা দিয়ে শুরু না করলে চলে না। রাসেল আহমেদ চা টা নিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠে-

-“ রায়ান সাভারের এনাম মেডিকেলের পাশে যে জায়গাটা আছে সেটা নিয়ে কতদূর আগালে?

রায়ান তার বাবার দিকে চেয়ে বলে-
-“ উনাদের বুঝাচ্ছি বাবা কিন্তু উনারা ঐ জমি বিক্রি করতে নারাজ।

রাসেল আহমেদ চায়ের কাপ টা সশব্দে টি-টেবিলের উপরে রাখলো। চোখমুখ শক্ত করে বলল-
-“ নারাজ মানে কি! উনাদের কোনো ধারনা আছে তার ঐ দশ শতাংশ জমির জন্য আমার ফ্যাক্টরির উপর কি প্রভাব পড়ছে।

রায়ান মেয়েকে কোলে নিয়ে সোফায় গিয়ে বাবার সামনে বসে বলে-

-“ ঐ জায়গাটা তাদের নয় বাবা। জায়গা টা তার মেয়ের নামে। মেয়েকে গিফট হিসেবে দিয়েছে ভদ্রলোক। আর তার মেয়ে ইতালি থাকে। তার মেয়ে না করে দিছে সে বিক্রি করবে না ঐ জায়গা টা।

-“ আশ্চর্য বুঝি না ঐ দশ শতাংশ জায়গায় কি এমন তৈরি করবে তারা? তাদের ঐ জায়গার জন্য আমার ফ্যাক্টরির কাজ বন্ধ হয়ে আছে। আমার ঐ জায়গা টা চাই এট এনি কস্ট।
-“ চেষ্টা তো করছি সব আমার উপর ছেড়ে দাও কেনো? তোমার আদরের ছেলেটাকে বলো এবার আমাদের সাথে ব্যাবসার হাল ধরতে। তাকে বলো এই জমি কিনে দিতে তাহলে সে কোম্পানির ৪০%শেয়ার পাবে।
রাসেল আহমেদ ছেলের পানে চেয়ে অবাক হয়ে বলে-
-“ পাগল হয়েছিস নাকি,রাফি এই ব্যাবসার কিচ্ছু বুঝে না সে কিভাবে কি করবে!

-“ তাকে দেশে আসতে বলো। কয়েক দিন অফিসে যাওয়া আসা করলে শিখে যাবে। তুষার ও তো ওর বয়সী ছেলেটা কে দেখছো ফুফার সাথে থেকে থেকে
একজন বিজনেস ম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলছে অলরেডি। আর তোমার ছোট ছেলেকে দেখো আমরা গায়ে গতরে খেটে রোজগার করি আর সে সেই টাকা দিয়ে দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়ায়। এই জমির ব্যাপারে আর আমার সাথে কথা বলবা না।

কথাটা বলে মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে রায়ান বেরিয়ে যায় অফিসে। বাপ ছেলের কথা এতোক্ষণ চুপচাপ শুনছিলো সাহেল আহমেদ। তার এই বিজনেস নিয়ে অতো ইন্টারেস্ট নেই। সে মাস শেষে তার লভ্যাংশ পায় শুধু। আর তাছাড়া তার বনানী তে ছয় তলার দুটো ফ্লাট আছে সেখান থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে তার ও তার স্ত্রী মেয়ের ভবিষ্যতে স্বাচ্ছন্দ্যে চলবে। ছেলে নেই দেখে তার এসব বিজনেসের প্রতি আগ্রহ কমে গেছে। তার যা আছে তাতে মেয়ের জন্য এনাফ।

-“ ভাই রায়ান তো ভুল কিছু বলে নি। তোমার বয়স হচ্ছে রায়ানের পক্ষে তো একার সম্ভব না এতো বড় বিজনেস টার সবদিক সামলানো। আর আমি তো এসব বিজনেসের ধারে কাছেও যাবো না খুব প্রয়োজন ছাড়া। রাফিকে ফোন দিয়ে বুঝাও সে বড় হয়েছে কয়েক দিন পর বিয়ে করবে। সে যদি এখন এভাবে উড়নচণ্ডীর মতো ঘুরে বেড়ায় তাহলে কি চলে বলো? মাথা ঠান্ডা রেখে বুঝাবা রাফি কে।

কথাটা বলে উঠে চলে যায় সাহেল আহমেদ। রাসেল আহমেদ চিন্তায় পড়ে যায়। তার ছোট ছেলে অনেক ত্যাড়া, ছোট ছেলেটা হয়েছে ভাই সাহেলের মতো। বিজনেসের ধারে কাছেও আসতে চায় না। এক ভাই আমেরিকায় বউ বাচ্চা নিয়ে সেটেল্ড হলো আরেক ভাই থেকেও না থাকার মতো। উপায়ন্তর না পেয়ে ছোট ছেলে রাফিকে ফোন লাগায় রাসেল আহমেদ।

_____________________

ইতালির এক হোটেলের বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে এক মেয়ে। হাতে তার কফির মগ,চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। হাতে থাকা ফোনটা বেজে উঠায় ফোনের স্কিনে তাকিয়ে দেখে বাংলাদেশ থেকে ফোন এসেছে। মুহূর্তে ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো। ফোন রিসিভ করে কানে নিতেই ওপাশ থেকে ভেসে আসলো-

-“ হ্যালো অধরা।
-“ হ্যাঁ মা বলো।

মিসেস আয়েশা রহমান একবার সামনে বসা থাকা স্বামীর দিকে চেয়ে আবার চোখ সরিয়ে নিয়ে বলে-
-“ কেমন আছো?
-“ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।তোমরা কেমন আছো?
-“ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। শোন না একটা কথা বলার ছিলো।
-“ হুম বলো।
-“ আমাদের ইতালি যাওয়ার সব প্রসেস তো শেষ বলছিলাম কি মেডিকেলের পাশের জায়গা টা বিক্রি করে দিয়ে দেই। আমার তো আর বিডি তে থাকছি না জমি তো এখানেই পড়ে থাকবে তো বিক্রি করে দেই?

মুহূর্তে অধরার হাসি মুখ চুপসে গেলো।

-“ না মা কখনই না। আমি বিডি আসছি মাস খানেকের মধ্যে। তোমাদের ইতালি আসতে হবে না। ঐ জায়গায় আমি ডুপ্লেক্স বানাবো। আমার স্বপ্নের বাড়ি গড়বো ওখানে।

আয়েশা রহমান বিরক্ত হলো মেয়ের কথা শুনে।
-“ পাগল হয়েছো নাকি ইতালি থেকে বিডি আসবে মানে!
-“ আমি পাগল হই নি। আমি বিডি আসছি ঐ জমি সংক্রান্ত কোনো কথা যেনো আর না বলা হয়। ওটা আমাকে দেওয়া হয়েছে আমার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। সেটার মালিকানা আমি,ঐ জমি আমি সেল করবো না।

কথাটা বলে অধরা ফোন কেটে দেয়।আয়েশা রহমান তার স্বামীর পানে চেয়ে বলে-
-“ দেখলে তোমার মেয়ে বিডি চলে আসছে।

আশরাফুল রহমান তপ্ত শ্বাস ফেলে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলে-
-“ আমি আগেই বলছিলাম অধরা ঐ জমি বিক্রি করবে না। তাহলে কেনো শুধু শুধু মেয়েটাকে ঐ জমি সংক্রান্ত খোঁচাও? দেশে আসছে ভালোই হয়েছে আমার ও বিডি ছেড়ে ইতালি যেতে মন সায় দিচ্ছিলো না। ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরছে চিন্তা মুক্ত হলাম।

কথাটা বলে আশরাফুল রহমান চলে যায় নিজের রুমে। আয়েশা রহমান ঠাই বসে রইলো সোফায়। মেয়ে তার ভীষণ জেদি এবার দেশে এসে কি করবে কে জানে।

সকাল সকাল রোদের আলো চোখে পড়তেই ঘুম ভেঙে যায় চিত্রার। আড়মোড়া ভেঙে ঘুম থেকে উঠে বসে। ফোন হাতরে সময় দেখে নেয় নয়টা চল্লিশ বাজে। পাশে তাকাতেই দেখে তৃষ্ণা নেই। মেয়েটা কখন উঠলো? উঠেছেই যখন তখন ডাকলো না কেনো। কথাগুলো ভেবে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয়। ওড়না টা জড়িয়ে রুম থেকে বের হয়ে বসার রুমে যায়। তৃষ্ণা সোফায় বসে টিভি দেখছে। চিত্রা তৃষ্ণার পাশে বসে ফোন স্ক্রোল করতে করতে বলে-

-” কি রে কখন উঠছিস,ডাক দিলি না যে?

তৃষ্ণা টিভি থেকে মুখ ঘুরিয়ে চিত্রার পানে চেয়ে বলে-
-“ আমি নিজে থেকে উঠতে চাই নি মা ডেকে উঠিয়েছে। আমি না থাকলে মা রান্না করবে কি করে তার হেল্পার হিসেবে বসে আছি এখানে। একটু পর ডাকবে আর বলবে এটা নিয়ে যা ওটা নিয়ে আয়।
-“আহারে আমার তৃষ্ণা পাখির কি কষ্ট। একটা কাজের লোক রাখলেও তো পারিস।
-“ তোর কি মনে হয় কাজের লোক নাই,খালা কয়েক দিনের ছুটিতে গ্রামে গেছে, আর সেই সুযোগে আমার মা আমাকে খাটাচ্ছে।
-“ তোর ভাইকে বিয়ে করা বিয়ে খাই,তোর ও আর খাটাখাটুনি করতে হবে না।

কথাটা বলে রান্না ঘরের দিকে যায় চিত্রা। তানিয়া বেগম কে হাতে হাতে সাহায্য করে দেয়। রান্না শেষে খাওয়া দাওয়া করতে বসলে চিত্রা বলে উঠে-
-“ ফুপি তুষার ভাইয়া খাবে না?
তানিয়া বেগম খাবার বেড়ে দিতে দিতে বলে-
-“ তুষার আসবে কই থেকে ও তো বাসায় নাই। ও তো সিলেটে তোর ফুফার সাথে।

চিত্রা প্লেটে থেকে খাবার মুখে দিতে দিতে বলে-
-“ না তুষার ভাইয়া তো কাল রাতে বাসায় ফিরছে।

তানিয়া বেগম চিত্রার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ কিহ তুষার বাসায় ফিরছে রাত্রে?
-“ হ্যাঁ তৃষ্ণা ও তো জানে। কিরে তৃষ্ণা ফুপি কে বলিস নি?
তৃষ্ণা অবাক হয়ে বলে-
-“ আরে আমি কিভাবে জানবো? ভাইয়া তো আব্বুর সাথে সিলেট। দু তিন দিন দেরি হবে আসতে।
-“ ভাইয়ার রুমে গিয়ে দেখে আসো ভাইয়া আছে কি নাই। আমি রাতে নিজে ভাইয়াকে নুডলস রান্না করে দিছি।
তানিয়া বেগম তৃষ্ণা কে তুষারের রুমে গিয়ে দেখতে বললো তুষার আছে কি না। তৃষ্ণা মায়ের কথা মতো সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে তুষারের রুমে গিয়ে দেখে রুম ফাঁকা। তড়িৎ গতিতে নিচে নেমে এসে বলে-
-“ কই ভাইয়ার রুম তো পুরো ফাঁকা।

চিত্রার স্পষ্ট মনে আছে রাতে তুষার এসেছিল। তাহলে এখন কই তিনি।
-“ ভাইয়াকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করে দেখ সে সত্যি আসছিলো।
তানিয়া বেগম চিত্রার কথা মতো তুষার কে ফোন দিতে নিলে তৃষ্ণা বাঁধা দিয়ে বলে-
-“ আরে মা শুধু শুধু ভাইয়াকে ফোন দিয়ে কাজে ডিস্টার্ব করার কি কোনো দরকার আছে? আর ভাইয়া যদি আসতো তাহলে কি আমাদের সাথে দেখা করতো না তুমিই বলো? আর চিত্রা তুই মনে হয় ভুল স্বপ্ন দেখছিস। ভাইয়া আসার আগে আমাদের জানিয়ে আসে। আর ভাইয়ার ফেরার কথা আব্বুর সাথেই।
-“ আশ্চর্য তৃষ্ণা আমি মোটেও স্বপ্ন দেখি নি। আমি নিজের হাতে ভাইয়াকে কষ্ট করে নুডলস রান্না করে দিছি তোকে ডেকেছি তুই নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিলি।
-“ আচ্ছা আচ্ছা চুপ কর দু’জনে আগে খেয়ে নে। তুষার আসলে আমাকে জানাতো।
চিত্রা কিছু বলতে গিয়েও বললো না। চুপচাপ খেতে নিবে এমন সময় সদর দরজায় চোখ যেতেই দেখে তুষার হেঁটে আসছে। চিত্রা ভ্রু কুঁচকে বলে-

-“ ফুপি ঐ টা তুষার ভাই না? নাকি আমি ভুল দেখতেছি।

তনয়া বেগম দরজার পানে চেয়ে দেখে সত্যি তুষার আসতেছে। তৃষ্ণা তুষারের দিকে চেয়ে বলে-
-“ ওটারে তো ভাইয়ার মতোই লাগে।
তুষার বাড়িতে ঢুকে সবাইকে নিজের দিকে এভাবে হা করে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভ্রুকুটি করে বলে-

-“ এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো তোমরা সবাই আমার দিকে? কিছু হয়েছে নাকি?

তৃষ্ণা বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে কোমড়ে দু হাত গুঁজে বলে-
-“ ভাইয়া তুমি কখন আসছো?

তুষার সোফায় বসে শার্টের কলার পেছনের দিকে ঠেলে দিয়ে বলে-
-“ কাল রাতে আসছি কেনো?
-“ কাল রাতে আসছো অথচ আমি আর মা জানলাম ও না।
-“ নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিলি জানবি কি করে।
-“ ও না হয় নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল কিন্তু আমি? আমাকে কেনো ডাকলি না?

তুষার একবার চিত্রার দিকে তাকিয়ে ফের মায়ের দিকে তাকায়।
-“ তুমি ঘুমিয়েছিলে তাই ডাকি নি। বাট এটা নিয়ে এতো কথা কেনো হচ্ছে?
-“ না এমনি চিত্রা বারবার বলছিলো তুই এসেছিস আমি আর তৃষ্ণা উল্টো বলেছি তুই সিলেটে আছি।
-“ হ্যাঁ ছিলাম সিলেটে কাল কাজ শেষ হওয়ায় চলে আসছি। আর আব্বু কাল আসবে।
-“ ওহ্ আয় তাহলে খেতে বস।

তুষার সোফা থেকে উঠে বলে-
-“ না খাবো না তেমাদের খাওয়া শেষ হলে এক কাপ কফি আমার রুমে পাঠিয়ে দিয়ো।
কথাটা বলে সিড়ি বেয়ে উপরে চলে যায় তুষার। চিত্রা তৃষ্ণার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বলে-
-“ কি রে আমি স্বপ্ন দেখতেছিলাম? দেখলি তো নিজের চোখে।
-“ হ্যাঁ দেখলাম।

তানিয়া বেগম রান্না ঘরে গিয়ে কফি বানিয়ে কফির মগ টা চিত্রার সামনে দিয়ে বলে-
-“ চিত্রা কফি টা একটু তুষার কে দিয়ে আয়।
চিত্রা কফির মগ টা নিয়ে মাথা নাড়িয়ে চলে যায়। তুষারের রুমে সামনে এসে দেখে দরজা চাপানো। দরজাটা হালকা ফাঁক করে বলে-
-“ ভাইয়া আসবো?
মিনিট দুয়েকেও যখন কোনো উত্তর আসলো না ভেতর থেকে তখন চিত্রা আর উত্তরের অপেক্ষা না করে ভেতরে ঢুকে পড়লো। খাটের পাশে থাকা টেবিল টায় কফির মগটা রাখে। হঠাৎ একটা পিকের উপর চোখ যায় চিত্রার। মেয়েলি পিক যার শুধু হাত দেখা যাচ্ছে। চিত্রার কৌতূহল হলো পিক টা দেখার। পিকটার দিকে হাত বাড়াতেই পেছন থেকে ভেসে আসলো-
-“ কি করছো ওখানে?
চিত্রা পেছনে ঘরতেই দেখে তুষার সাদা একটা টাওয়াল পড়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ভরকে যায় চিত্রা।
-“ আপনার কফি নিয়ে আসছি।
তুষায় একবার কফির দিকে তাকিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে –
-“নক করে আসতে হয় কারো রুমে ঢোকার আগে।
-“ আমি নক করেছিলাম কিন্তু কোনো জবাব পাই নি তাই..
-“ তাই ঢুকে পড়বে রুমে! আমার রুমের ভেতর নেক্সট টাইম যেনো আর না দেখি।
-“ ফুপি বলেছিল বলে এসেছি।
-“ মা বললেও আর আসবে না আমার রুমে। যতক্ষণ না আমি অনুমতি দিবো।
চিত্রা আর কিছু বললো না। তুষার কে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। তুষার তপ্ত শ্বাস ফেলে কফির পেছনে থাকা ছবিটা ড্রয়ারের ভেতর রেখে দেয়।

(নোট টা পরবেন সবাই। ফাস্ট পর্বে আমি রায়ান আর রিয়ার ছেলে বেবি দিয়েছিলাম সেটা এডিট করে মেয়ে বানিয়ে দিয়েছি। আর সেকেন্ড পর্বে যেখানে নামের কনফিউশান ছিলো রায়ান রায়হান নিয়ে সেটা রায়ানের নামই রায়হান আহমেদ রায়ান যেটা আমার ফল্ট হয়েছে ভেঙে না দেওয়ায়। রায়ান বা রায়হান দিয়ে সংলাপ দিলে বুঝে নিবেন তারা দুজন এক ব্যাক্তিই)

#চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে