আমার তুমি পর্ব-১৮

0
1515

#আমার_তুমি
#লেখিকাঃনওশিন_আদ্রিতা
#পার্টঃ১৮
,
,
,
,
ঘুমন্ত নওশিন কে দেখে আকাশের মনের মাঝে অজনা সুখের ঢেউ খেলছে।হাত দিয়ে আলতো করে মাথায় হাত বুলাতে শুরু করে

আকাশঃসরি মায়াপরিটা না আমি সেদিন ওইভাবে বের হতাম না আমার এক্সিডেন্ট হতো আর না আমি তোমার থেকে এতো গুলো দিন দূরে থাকতাম।তুমি মনে করো আমি সেদিন তোমার অতীত শুনে চলে গেছিলাম উহু সেদিন তোমার অতীত শুনে না নিজের উপর রাগে সেখান থেকে চলে গেছিলাম ভাইয়ের ভালোবাসায় এতোটা অন্ধ হয়ে গেছিলাম যে তোমার সে করুন অবস্থা তোমাকে হস্পিটিলাইন্ডড করা ছিলো কিন্তু আমি সেগুলো দেখলাম ই না উলটা তোমাকে ঘৃণা করতে শুরু করলাম।
এই সব ভাবতেই নিজের উপর রাগ উঠছিলো তোমার কান্না সহ্য হচ্ছিলোনা তাই চলে গেছিলাম কিছুক্ষনের জন্য কিন্তু বুঝি নি এতোকিছু হয়ে যাবে (নওশিনের কপালে ঠোঁট ছোয়ায়ে)

নওশিন ঘুমের মাঝেই আকাশের দিকে ফিরে তার কোমর জোরায় ধরে পেটে মুখ গুজে আবার ঘুমে তলিয়ে পরে।

আকাশ নওশিন কে একটু সরায়ে তার পাশে শুয়ে পরে নওশিনকে আলতো করে জরায় ধরে ঘুমায় পরে।

——-

ঈশান এক নজরে তাকায় আছে আকাশের দিকে। রামিসা মুখ নিচু করে চোখের পানি ফেলছে। ব্যান্ডেজ করা শেষ হলে উঠে যেতে নিলেই ঈশান রামিসার হাত ধরে।রামিসা ঈশানের দিকে অভিমানি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।

ঈশানঃযেটা বললাম সেটা মাথায় রাখিস পিচ্চি (নরম সুরে)
রামিসাঃতুমি মনে হয় ভুলে যাচ্ছো আমি কে আমি রামিসা মেহজাবিন রামিসা চৌধুরী । আর চৌধুরী রক্ত কেমন তুমি খুব ভালোই করেই চিনো ঈশান ভাইয়া।চৌধুরীর বাঘিনী একবার যা চায় তা করেই ছাড়ে আমি ব্যতিক্রম হবো ভাবলা কি করে। তুমি আমার জেদ না তুমি আমার সেই নেশা যেটাতে আমি আসক্ত তুমি আমার সেই অনুভূতি যেটা আমাকে ভালোবাসা বুঝতে শিক্ষিয়েছে। তোমাকে ছাড়ছিনা আমি তুমি আমার #আমার_তুমি।

কথা গুলো বলেই সেখান থেকে চলে যায় রামিসা। রামিসা যাওয়ার পর পর ঈশান নিজের ব্যান্ডেজ করা হাত টা সামনে আনে

ঈশানঃকেন বুঝতে চাচ্ছিস না পিচ্চি আমি যে আগুনে প্রতিনিয়ম দগ্ধ হচ্ছি সে আগুনে আমি তোকে পুরতে দিতে পারিনা। পুরো ১০টা বছর আমি যাকে ভালোবেসে এসেছি তাকে অন্যর বউ হয়ে রাত কাটাতে দেখেছি।পুনরায় ভালোবাসার আগুনে পুরার ক্ষমতা আমার নেই রে।(ভারি নিশ্বাস নিয়ে ব্যান্ডেজ টা খুলে ফেলতে লাগে।কিন্তু কি মনে করে আর খুলে না রেখে দেয়।)

রামিসা দরজা বন্ধ করে। দরজার সাথে পিঠ ঠেকিয়ে বসে পরে। কিছুক্ষন আগের কথা মনে পরতেই হাউমাউ করে কেদে উঠে সে।

কিছুক্ষন আগে,,,
রামিসা ঈশানের হাতের রক্ত পরিষ্কার করছিলো এমন সময় ঈশান বলে উঠে

ঃআমাকে ভালোবাসিস?

ঈশানের এমন কথায় থমকে যায় রামিসা হাত আপনা আপনি থেমে যায়। গাল দুইটা লজ্জায় রক্তিম আভা ধারণ করে।ঈশান এর কিছু সময়ের জন্য চোখ জোড়া আটকে যায় কিন্তু পরক্ষনেই নিজেকে শক্ত করে বলতে শুরু করে।

ঈশানঃ ভালোবাসা বলতে কিছুই হয়না।তুই এখনো অনেক ছোট এই সব এর পিছনে না ঘুরে পড়াশুনাই ফোকাস কর। আমার দ্বারা তোকে ভালোবাসা সম্ভব হবেনা।কারন আমি আমার স্বপ্ন বধূকে ভুলতে পারবোনা।এইসব শুধু তোর আবেগ জেদ। ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে পিচ্চি

কথা গুলো একদম বুকে যেয়ে কাটার মতো বিধেছিলো রামিসা।ভালো নাই বা বাসুক কিন্তু তার ভালোবাসা কে আবেগ নাম দেওয়া টা কি তার উচিৎ হলো।তার ভালোবাসা তার স্বপ্নবধূর প্রতি সেটা আসল আর রামিসার টা আবেগ কথাটা যেনো রামিসাকে আরও বেশি কষ্ট দিচ্ছিলো।

_______

আরুশি এক ধ্যানে তাকায় আছে আরিয়ানের নগ্ন বুকের দিকে কেমন যেনো নেশা লাগছে তার। কারো বুকেও বুঝি এতোটা নেশা থাকে। আরুশির হাত আপনমনেই চলে যায় আরিয়ানের লোম বিহীন বুকটার দিকে ।

আরুশি একবার শুনেছিলো তার দাদীর থেকে। যে ছেলের বুকে নাকি লোম নাই সে ছেলে নাকি বড্ড পাষান হয়।এই জন্য বুঝি আরিয়ান ও পাষান উহু সবার বেলায় না শুধু তার বেলায়। তার বেলায় যতো কঠোরতা যতো রাগ যতো অভিমান

আরুশি রাগে অভিমানে লোভে আরিয়ানের বুকে কামড় দেয়। আরিয়ান ঘুমের ঘোরেই আহ করে উঠে যা বড্ড আনন্দ দেয় আরুকে।সে এবার মুখটা হালকা উচু করে আরিয়ান এর গলায় মুখ ডুবায়ে লিক করা শুরু করে আবার মাঝে মধ্যে কামড় ও মেরে দেয়। আরিয়ান এতো জালাতনের পরে ঘুমিয়ে থাকা সম্ভব হলোনা রাগী চোখে আরুর দিকে তাকালো। কিন্তু সেদিকে কি আরু ম্যাডামের ধ্যান আছে। সে তো এখন আরিয়ান নামক মানুষ টার নেশায় নেশাক্ত।

আরিয়ানঃকি শুরু করলি এইসব ঘুমানো বাদ দিয়ে। কালকে হস্পিটালে যেতে হবে ত
আরুশিঃএহ আইসে কালকে হস্পিটালে যেতে হবে আর এদিকে যে নিজে আমাকে জ্বালালো আমাকে ছুয়ে দিলো সেটা বুঝি কিছু না আর আমি একটু ছুলেই দোষ। ছুবো না আর (অভমানী কন্ঠে পাশ ফিরে শুয়ে পরে।

আরুশি অন্য দিকে ঘুরায় চাদর টা সরে যায় নগ্ন গলা আর পিঠ দেখে আরিয়ান পুনরায় বেসামাল হয়ে যায়। চাদরে নিচ দিয়ে আরুশির নগ্ন পেটে হাত দিয়ে নিজের দিকে টেনে নেয়।পুনরায় এক জোড়া কোপত কোপতি প্রেমের সাগরে হারিয়ে যায়।।।

_______

রহমান মঞ্জিলের সামনে দাঁড়িয়ে পুরো বাড়ির ছবি তুলে নেয় আবিদ।

আবিদঃবেবি গার্ল ছোট বেলায় তেমন একটা মজা পায়নি বাট এখন পাবো কারন তখন তুমি ছিলে ১২ বছরের কিউট বাচ্চা আর এখন ১৮ বছরের হট বেবি গার্ল।
সেদিন তো তোর ভাই আর তোর ওই পুরানো আশিক তোকে তাদের বাসায় নিয়ে গেছিলো সব সময় তোর আশেপাশে ঘুরঘুর করতো তাই তুই বেচে যেতি বাট এবার তোকে কে বাচাবে(শয়তানী হাসি দিয়ে)আই এম কামিং বেবি গার্ল

নওশিন ভয়ে কেপে আকাশ কে শক্ত করে জরায় ধরলো ঘুমের মাঝেই।

ঃএকা একাই ভোগ করবি বুঝি (বাকা হেসে একটা ছেলে আবিদের কাধে হাত দিয়ে)

আবিদঃউফফ দোস্ত যা আমার তা তোর। এটাতে আবার বলার কি আছে (ছেলেটাকে হাগ করে)

_______

ঘুম ভাংগতেই আগেকারা মতো নিজেকে কারো শক্ত বাধনে দেখে মনের মাঝে প্রশান্তির হাওয়া বয়ে গেলো।খুব মিস করেছে নওশিন এই ছোয়া এই বাধন। মুখ তুলে ঘুমন্ত আকাশ কে দেখে থমকে যায়।কপালে শুভ্ররাঙ্গা ব্যন্ডেজ দেখে চমকায় কালকে রাতে খেয়াল করনি।কালো চুল গুলো ব্যান্ডেজের উপর সুন্দর করে ছড়িয়ে আছে।

লাল ঠোঁট জোড়া আরও গাঢ় রঙ ধারণ করেছে।খুব ইচ্ছা করছে নিজের ঠোঁট জোড়া দিয়ে ওই ঠোট টাকে আলতো করে ছুয়ে দিতে।ঠোঁট টা আকাশের ঠোঁটের কাছে এনেও আবার ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু আকাশ সেটা হতে দেয় না। নিজের শক্ত হাত জোড়া নওশিনের চুলের ভাজে ঢুকিয়ে তার ঠোঁট জোড়া দখল করে নেয়।

____

নওশিন গোসল করে এসে চুল মুছতে লাগলে আকাশ ছো মেরে টাওয়াল টা নিয়ে নিজে চুল মুছতে শুরু করে দেয় আসতে আসতে করে আদ্রি চুল গুলো মুছতে যেয়ে আয়নায় চোখ পড়তেই বাকা হাসে আকাশ।নওশিন চোখ বন্ধ করে আকাশের আদর ভোগ করছে

আকাশঃসুইটহার্ট রাতে তো আমি কিছুই করলাম না তবুও সকাল সকাল গোসল ব্যাপার কি বাই এনি চান্স আমার ঘুমের সুযোগ নিয়ে আমার ভার্জিনিটি শেষ করে দেও নি তো। বউ তুমি এতো খারাপ

আকাশ এর এমন বুদ্ধিহীন কথা শুন ভ্রু কুচকালো।
নওশিনঃ আপনার মাথা।এক বাচ্চার বাবা হতে চলেছে সে নাকি ভার্জিন যতোসব

আকাশঃএই বউ ক্ষেপো কেনো গো তুমি জানোনা।,,,,,,

আকাশ নিজের কথা কম্পিলিট করবে তার আগেই ফোন বেজে উঠে আর আকাশ ফোনের স্ক্রীনে নামটা দেখে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে যায় নওশিন পিছন থেকে ডাক দিলেও শুনেনা।।।

চলবে!

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে