অবাধ্য অনুভূতি পর্ব-০৪ | Golpo poka love story

0
2419

@অবাধ্য অনুভূতি
#পর্ব_০৪
#লেখিকা_আমিশা_নূর

“কী হলো চটপটি?”
“আমি সমুদ্র’কে সব সত্যি কেনো বলবো?”
“কারণ সমুদ্র’কে সব সত্যি না বললে তোমার চাকরি কাট করতে আমার দু’মিনিটও লাগবে না।”

এ কথায় সূচনা চুপ হয়ে গেলো।তার চাকরি চলে গেলে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে।তার চেয়েও বড় কথা বাড়ির খরচ চালাবে কে?তার মায়ের যথেষ্ট বয়স হয়েছে।স্কুলের সামান্য পেনশনের টাকা দিয়ে তো আর সংসার চালানো যাবে না।আর সূচনা জানে ওপাশের ব্যাক্তির ক্ষমতা কতো লম্বা!তাই সূচনা ওপাশের ব্যাক্তির কথা মেনে নিলো।তখন সে ব্যাক্তি বললো,”তারপর দেখবে সমুদ্র-ভূমিকা’র সংসার জমে উঠবে।”

“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

এ কথায় সূচনা বুকে চিনচিন ব্যাথা অনুভব করলো।সমুদ্রের পাশে ভূমিকার নামটা শুনলে যে তার বুক ফেটে যায়।কিন্তু কী করার?সমুদ্রের তো এখন বৈধ ভাবে শুধুই ভূমিকার!

শীতল কন্ঠে সূচনা বললো,”সমুদ্র’কে সবটা কখন জানাতে হবে?”
“আগামী কাল।আই মিন আগামর কাল ওদের বাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠান হচ্ছে।এন্ড তোমারা সেখানে অবশ্যই যাচ্ছো।তখন সমুদ্র’কে সবটা জানাবে।”
“ঠিক আছে।কিন্তু এসবের পেছনে আপনার কী লাভ?”
“ভূমিকা’র ভালো থাকাটা আমার সবচেয়ে বড় লাভ।”
“হুয়াট ভূমি..?”
“রিলাক্স চটপটি।এতো মাথা কাটাচ্ছো কেনো?মাথার চুল তো অল্পদিনেই পরে যাবে।”
“স্টপ দিস ননসেন্স!ক্লিয়ালি…”
“এসবের পেছনে আমার নিজেরও স্বার্থ আছে।যেটা তুমি সময় হলে জানতে পারবে।”

এটুকু বলে কল কেটে দিলো।সূচনা দ্বিতীয় বার আর ট্রাই করলো না।কারণ সে জানে ওপাশের মানুষটা একবার যেটা বলে সেটা করেই।

সূচনা ডুব দিলো তার পুরাতন ডায়েরির পাতায়।যেখানে সময়টা ছিলো শরৎকাল!শরৎ আমাদের মাঝে বিভিন্ন উৎসবের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে।তেমনি যেনো সূচনা,সমুদ্র ও ভূমিকা’র ত্রিভুজ জীবনে প্রেমের ঢেউ এনেছিলো।

বিকেল তখন পড়ন্ত!ভূমিকা-সূচনা বারান্দায় বসে কিসমিস খাচ্ছে।রান্না ঘরে পায়েসে’র জন্য রাখা কিসমিস সূচনা তার মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিয়ে এসেছে।বেশ কিছু মজার কথা বলছে দু’জনে।আর ক্ষানিক বাদে খিলখিলিয়ে হেঁসে উঠছে।তাদের হাসিতে প্রকৃতি’তেও যেনো মেতে উঠে।চারপাশে’র দেয়াল যেনো তাদের হাসিটা খুব উপভোগ করছে।তাদের কথার মাঝখানে ভূমিকা’র সেলফোন বেজে উঠলো।ভূমিকা তাকিয়ে দেখলো ‘মাইশা’ নামটা স্কিনে ভাসছে।সে কল রিসিভ করে লাউডস্পিকারে রাখলো।তখন উপাশ থেকে ভেসে আসলো মাইশা নামে কন্যা’টির ন্যাকা কান্নার আওয়াজ।তখন তার কান্নার কারণ আন্দাজ করে ভূমিকা বললো,”মিলনের সাথে ঝগড়া করেছিস?”

ভূমিকার কথায় সূচনা হু হু করে হেসে উঠলো।তার হাসির শব্দ শুনে মাইশা রেগেমেগে বললো,”বান্দর সূচনা,একদম হাসবি না।”

মাইশা’র ধমকে সূচনা চুপ রইলো।তখন মাইশা শান্ত হয়ে বললো,”আমার কাজিন আছে না?রাফসান?ওর সাথে কফি খেতে যাওয়ায় মিলন খুব রাগ করেছে।”

আদেশের স্বরে ভূমিকা বললো,”মিলন যেটা পছন্দ করেনা সেটা করিস কেনো?বেয়াদব!”
“আরে আমার কী দোষ?ও এতো করে বলছিলো তাই আর কি।এখন মিলনের রাগ কীভাবে ভাঙ্গাবো বল।কল রিসিভ করছে না এখন।”

মাইশা’র কথা শুনে ভূমিকা-সূচনা কিছুক্ষণ ভাবলো।তারপর সূচনা বললো,”আচ্ছা,মিলনকে মেসেজ তো করতে পারিস?”
“হ্যা।তো?”
“ভূমিকা তোর কাছে কিছু ছন্দ আছে না?প্রেমময়?”
“তো?” [ভূমিকা]
“তো তুই মাইশা’কে এখন তোর কিছু ছন্দ দিবি।যেগুলা দিয়ে প্রকাশ হবে মাইশা মিলনকে ভালোবাসে।”

সূচনা’র বুদ্ধি বাকি দু’জনের পছন্দ হলো।তখন মাইশাকে উদ্দেশ্য করে ভূমিকা বললো,”ওসব ভাবতে আমার একটু সময় লাগবে।তোকে আমি মেসেজ করে দিবো।”
“আচ্ছা দিস।কিন্তু আমার ৫৬ নাম্বারে মেসেজ করিস।”
“ঠিক আছে।”

তখন সূচনা গিয়ে ভূমিকা’র ডায়েরি নিয়ে আসলো।ভূমিকা’র যখন থেকে বুদ্ধি হয়েছে তখন থেকে ডায়েরি লিখে।একটা ডায়েরি’তে তার কিছু অনুভূতি’র ছন্দ আর একটাতে তার জীবন কাহিনি।

“সামান্য রাগ কী পারে আমাদের ভালোবাসা শেষ করতে?
কেনো এতো দূরে যাও,ভূল বুঝে?
পারি না তো সইতে!
ভালোবাসি গো প্রিয়,
বড্ড ভালোবাসি!

শরৎ’র স্নিগ্ধ হওয়ায় খোঁজে পাই তোমায়,
কাশফুলে’র নরম তুলতুলে ছোঁয়ায় খোঁজে নিও আমায়!

প্রিয়,
পারো না সবটা ভূলে গিয়ে
আবার তোমার প্রেয়সীকে আপনে জড়িয়ে নিতে?”

সবটা লিখে ভূমিকা ৬৫ নাম্বারে মেসেজ করে দিলো।তারপর মাইশা’র নাম্বারে আবার কল করলো কিন্তু ওপাশ থেকে রিসিভ হলো না।তাই ভূমিকা ফোনটা বারান্দা’র চেয়ারে রেখে বাড়ির ভিতর চলে গেলো।তখন শুরু হলো শরৎের লোভ দেখানো বৃষ্টি।বৃষ্টির শব্দ শুনে ভূমিকা বাইরে বেরিয়ে এলো।বৃষ্টি হচ্ছে ভূমিকা’র দূর্বলতা।সে মনে করে বৃষ্টি’র পানিতে সকল কষ্ট,ধোঁয়াশা ভূলে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।ভূমিকা ততক্ষণ পর্যন্ত বৃষ্টিতে ভিজলো যতক্ষণ না পর্যন্ত বৃষ্টি থামলো।

“হাচ্চু,সূ..হাচ্চু..”
“ভিজলি কেনো বৃষ্টিতে?মা কে বলে দিচ্ছি।মাআআ..উমম উমম..”

ভূমিকা তার বোনের মুখ চেপে ধরলো।এখন যদি আমিশা আলম বৃষ্টিতে ভেজার কথা জানতে পারে তাহলে তুলকালাম কান্ড শুরু করবে।যেটা এই মুহুর্তে ভূমিকা চায় না।ভূমিকা বৃষ্টিতে ভিজলেই তার সর্দি-জ্বর হয়।কিন্তু তারপরও বৃষ্টিতে ভিজতে তার বেশ লাগে।সূচনা’কে খাবারের লোভ দেখিয়ে ভূমিকা মুখ বন্ধ করে দিলো।

রাত তখন নয়টা।ভূমিকা নিজের গায়ে শাল জড়িয়ে পড়ার টেবিলে পড়ছে।ভূমিকা’র শাল জড়ানোর কারন হলো তার শরীর কাঁপছে।ভূমিকা বেশ বুঝতে পারছে তার রাতে জ্বর আসবে।

হঠাৎ সূচনার ফোন বেজে উঠলো।সূচনা এখন পাশের বাড়িতে গেছে তার মায়ের সাথে।কিন্তু মোবাইল ফোনটা ভূমিকা’র কাছে রেখে গেছে।ভূমিকা মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখলো মাইশা’কে মেসেজ করা নাম্বারটা।বিকেলে ভূমিকার সিম কার্ডে ব্যালেন্স না থাকায় সে সূচনার মোবাইল থেকে মেসেজ করেছিলো।

ভূমিকা মাইশা মনে করে কলটা রিসিভ করলো।তখন ওপাশ থেকে কর্কশ কন্ঠে শুনা গেলো,”তোমাকে কতোবার বলবো মিসকাত?তোমার সাথে আমার ব্রেকআপ হয়ে গেছে এন্ড তুমি এখন ম্যারিড।ফারদার এমন মেসেজ করলে কিন্তু আমি তোমার হাসবেন্ডকে জানিয়ে দিবো।”

ওপাশ থেকে পুরুষ কন্ঠে এসব কথা শুনে ভূমিকা ভড়কে গেলো।এটা তো মাইশা’র নাম্বার।তাহলে ছেলে আসলো কোথা থেকে?ভূমিকা নাম্বার ভূল হয়েছে মনে করে মাইশা’র দেওয়া নাম্বারটা মিল করলো।তখন দেখলো মাইশা’র দেওয়া নাম্বারের লাস্ট ডিজিট ৫৬।আর তার মেসেজ করা নাম্বারের লাস্ট ডিজিট ৬৫।তখন ভূমিকা নিজের ভূল বুঝতে পেরে ওপাশের ব্যাক্তির উদ্দেশ্য বললো,”আমি মিসকাত নই।ভূল করে আমার ফ্রেন্ডের জায়গায় আমি আপনাকে মেসেজ করেছি।”

শীতল সে কন্ঠ স্বর সমুদ্রের কর্ণ অবধি আসতেই সে থমকে গেলো।কিছুটা গলা ভাঙ্গা আর টানটান ছিলো স্বরটা।কিন্তু সমুদ্রের মনে হলো এই প্রথম সে কোনো নারী’র নিখুঁত কন্ঠস্বর শুনলো।সেই শীতল কন্ঠ সমুদ্রের রাগকে সেকেন্ডে হওয়ায় নিরুদ্দেশ করে দিলো।এতো ভালো শুনতে কারো কন্ঠস্বর হয়?নাকি ভাঙা কন্ঠস্বরে এমনটা মনে হচ্ছে সমুদ্রের?

“হ্যালো?শুনতে পারছেন আমার কথা?”মেয়েটির কথায় সমুদ্রের ঘোর ভাঙ্গলো।এতোক্ষণে সে বুঝতে পারলো এইটা তার এক্স মিসকাতের কন্ঠস্বর নয়।সমুদ্র নিজের উত্তেজনা কমিয়ে বললো,” ও হ্যাঁ,সরি আসলে আমি ভূল….”
“ঠিক আছে।আমি বুঝতে পারছি।ভূলটা আমার ছিলো।”
“আপনি কী মেসেজটা অন্য কাউকে দিচ্ছিলেন?”
“আমার ফ্রেন্ডকে।”
“ওহ।কিন্তু অনুভূতি দিয়ে লিখাটা বেশ মনোমুগ্ধকর!”
“ওহ।ধন্যবাদ।”

এবার দু’পাশে ব্যাক্তি চুপ করে রইলো।সমুদ্র আর কী জিজ্ঞেস করবে তা খোঁজে পাচ্ছে না।ভূমিকা নিজ থেকেও কথা বলছে না।তখন ভূমিকা ভাবলো কল কেটে দেওয়া উচিত।তাই সে বললো,”ওকে।বাই!”

অপরিচিত একটা মেয়ে যখন বাই বলে তখন তাকে আটকানোর ক্ষমতা কারো থাকে না।তাই সমুদ্র চুপচাপ বাই বলে তাকে যেতে দিলো।কিন্তু সমুদ্র বুঝতে পারলো তার অবাধ্য অনুভূতি’র রাণী হবে ওপাশের মেয়েটি।শরৎ’র পুকুরের স্বচ্ছ পানিতে থাকা শুভ্র শাপলার হাসি কেনো যেনো সমুদ্রের মনে হলো ও পাশে থাকা প্রেয়সীর হাসি’র মতো।

সূচনা ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে এলো।তখন সে ভূমিকা’র ভূলের সুযোগ নিয়েছিলো।কিন্তু কে জানতো ভূমিকাও সমুদ্রকে ভালোবাসবে?তাহলে তো সূচনা আগেই দূরে সরে আসতো।তবে এখন যে অনেকটা ধেরি হয়ে গেছে।অনেকটা!
.
.
“সমুদ্র,তুমি আজকে ফ্যাক্টেরিতে গেছিলে?”

নয়ন হক অর্থাৎ সমুদ্র তার বাবা’র কথা শুনে খাওয়া থামিয়ে দিলো।সমুদ্রের সামনে সবার হাটু কাঁপে কিন্তু এই মানুষটার সামনে সমুদ্রের হাঁটু কাঁপে।প্লেটে থাকা শুকনো সাদা ভাত নাড়তে নাড়তে সমুদ্র উত্তর দিলো,”হ্যাঁ।”

“কিন্তু তুমি তো এক সপ্তাহের জন্য ছুটি নিয়েছিলে।”
“নিয়েছিলাম।কিন্তু সেই ছুটি কোনো দরকার নেই।”

সমুদ্র কথাটা বললো ভূমিকা’র দিকে কড়া দৃষ্টিতে তাকিয়ে।ভূমিকা তার দৃষ্টি নামিয়ে নিলো।নয়ন হক কঠিন কঠিন কন্ঠে বললো,”কাল তোমাদের জন্য বৌভাতে অনুষ্ঠান করা হয়েছে।আশা করি আগামী কাল বাড়িতে থাকবে।”

সমুদ্র তার বাবার কথার উপর আর কিছু বলার সুযোগ পেলো না।নয়ন হক তার খাবারের প্লেটে পানি ঢেলে বললেন,”ড্রেজার্ট রুমে পাঠিয়ে দিয়ো তাঞ্জুর মা।”

নয়ন হক নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালেন।তার পর পরই সমুদ্রের মেজ চাচাও উঠে গেলেন।তাদেরকে উঠতে দেখে তিহান মন্তব্য করলো,”ইন্না-লিল্লাহ!বড় আব্বু কী রাগ করলো?”

তিহানের কথায় রাফিয়া তাদের হাতে খোঁচা দিয়ে ফিসফিস করে বললো,”তুমি একটু চুপ থাকতে পারো না?”

কথা বলার সাথে রাফিয়া ইশারায় সমুদ্রের দিকে তাকাতে বললো।তিহান সেদিকে দৃষ্টি তাক করে নিজের মাথা নিচু করে নিলো।সমুদ্রের চেহেরা লাল হয়ে আছে।বাড়ির সবাই নয়ন হক’কে যেমন ভয় পাই তেমন সমুদ্রকেও ভয় পাই।কারো কথায় কান না দিয়ে সমুদ্র খাওয়া শেষ করে রুমে চলে গেলো।

তখন সবাই দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললো।মিহু’র ইচ্ছে করছে খুশি গান করতে।কিন্তু খাওয়ার সময় গান করা বারণ বলে সে নিজের ইচ্ছে’কে ধমিয়ে রাখলো।ভূমিকা খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে সবকিছুই খেয়াল করছিলো।এবাড়ির নিয়ম রীতি সে হালকা বুঝে নিয়েছে।


ভূমিকা প্লেটে করে পুডিং নিয়ে রুমে প্রবেশ করলো।তখন সে দেখলে সমুদ্র তার ফোন নিয়ে কিছু একটা করছে।আর মুখে স্পষ্ট রাগের ছাপ।ভূমিকা প্রথম থেকে সমুদ্রকে ভয় পাই।তাই এখনো ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলো,”কী করছেন?”

ভয়ার্ত কন্ঠস্বরে সমুদ্র বুঝলো এটা ভূমিকা।সমুদ্রের সাথে ভূমিকা’র যতবারই কথা হয়েছে সবসময় ভয়েই বলে।তাই ভূমিকা’র কন্ঠস্বর তার মুখস্থ।

বিরক্তকর ভাবে সমুদ্র মোবাইল ফোন ভূমিকা’র দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,”পাসওয়ার্ড দাও।”
“মানে?”

সমুদ্র ভূমিকা’র দিকে কয়েকপা এগিয়ে গিয়ে রাগান্বিত স্বরে বললো,”বাংলা কথা বুঝো না?তোমার মোবাইলের পাসওয়ার্ড’টা দাও।”

ভূমিকা ভড়কে গিয়ে তাড়াতাড়ি পাসওয়ার্ড দিয়ে দিলো।সমুদ্র তার থেকে কয়েক ইঞ্চি লম্বা।তাই ভূমিকা দেখছে না সমুদ্র কী করছে।ভয়ার্তভাবে আবারো জিজ্ঞেস করলো,”কী করছেন?”

সমুদ্র এক পলক তাকালো অগ্নি দৃষ্টিতে।এতেই ভূমিকা’র জানার ইচ্ছে মাঠিচাপা হয়ে গেলো।তবুও সে নিজের চোখ-কান খোলা রাখলো।

[চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে