অন্তর্দহন প্রণয় ২ পর্ব-০৬

0
1860

#অন্তর্দহন_প্রণয়
#দ্বিতীয়_খন্ড
৬।
সুরাইয়া সাত্তার ঊর্মি
❌(কপি করা নিষেধ) ❌

কোনো এক বিকেলেতে…
ধবরে তুমি হাত..
হাটবো পায় পায়..
শব্দ হবে রিনিঝিনি নূপুরের..
তোমার পায়..
চারিদিকে ঘন কালো মেঘ ঘিরবে..
শব্দ করে বাদ্য-যন্ত্রের মতো
গুড় মুড় গুড় মুড় …
পাখি ফিরবে ঘরে..
মানব ছাড়বে রাস্তা..
আধাঁর নামবে, নামবে মুষলধারে বৃষ্টি।
ভিজবো আমি আর তুমি..
ডুবে যাবো মিষ্টি ভালোবাসায়….

আকাশে আজ মেঘের কান্না। শীতের আরোপ। টিপ টিপ বৃষ্টিতে সেই আরোপ থেকে মুক্ত পেতে চাইছে যেন। বাহিরের আঁধার, তাল মিলিয়েছে। বৃষ্টির ঠান্ডা পানির বিন্দু ফোঁটা প্রবেশ করছে মাস্টার বেডরুমটিতে। খোলা জানালার বড় পর্দা ফড়ফড় শব্দ করে উড়ছে। মিষ্টি কিছু ফুলে ঘ্রাণে ঘর ভর্তি…। জয়নব টিপ টিপ করে চোখ খুললো। শরীরটা তার ভিষণ ব্যথা। মনে হচ্ছে ১০০ টা চাবুকের আঘাত পড়ছে সারা গা জুড়ে। জয়নব ধীরে ধীরে উঠে বসলো। কানের মাঝে ভেসে এলো কিছু কথা গান । পুরোনো কিছু স্মৃতি পাতা উল্টালো। চোখের কোনে জল টলমলে ভড়িয়ে গেলো। এই তো না সেদিন, কাছের মানুষটির মুখ থেকে এমন কিছুই শব্দই না শুনে ছিলো সে। কিশোরী বয়সটা তো এই ছন্দে ঢুবে ছিলো তার মন প্রাণ। কিন্তু সেই ব্যক্তটি যে তখন হারিয়ে গেছিলো। তার পত্র প্রেমিকের প্রথম দেখার সময় টা এখনো মনে আছে জয়নবের। কলেজ ফাঁকি দিয়ে লুকিয়ে চলে এসেছিলো ব্রীজে। কিন্তু সেদিন সেই মানুষটি এলো না। এর পর…. ধোয়াশার মতো মিশে গেলো। জয়নব পুরোনো স্মৃতি ভেবেই চোখের কোনে ছলাৎ ছলাৎ করে উঠলো সচ্ছ নোনা জল। জয়নবের কিছুক্ষণ আগেই জ্ঞান ফিরেছে। নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করে সে জ্ঞান হারাবের আগেই কি হয়েছিলো, সব ধীরে ধীরে বুঝতে পারলো ।

ঠিক তখনি খেয়াল করলো তার বা পাশের সোফা টায় কেউ বসে আছে। জয়নব ভালো করে তাকালো। আলো আধাঁরি খেলার মাঝে চিন্তে বিন্দু মাত্র অসুবিধা হলো যে সামনের ব্যক্তিটি কে… জয়নবের কেন জানি ভয় লাগলো। জানালা দিয়ে বয়ে আসা শীতল হাওয়া শরীরের মাঝে লাগতেই লোম যেন দাঁড়িয়ে গেলো জয়নবের। এক মুহূর্তে মনে হলো তার ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে হাত পা.. জমে গেছে জিব৷ তবু-ও বহুত কষ্টে বিছানা ছেড়ে মাটিতে পা ফেললো। ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে যেতে বলল,

” ডা. আদর… ইট’স ইউ?”

ব্যক্তিটি কথা বলল না.। কিন্তু জয়নবের মনে হলো এক তীক্ষ্ণ চোখ জোড়া তার শরীরের ভিতর বাহির ছেদ করে চলে যাচ্ছে। তার উপস্থিতি কিছু ভয়াবহ অনুভূতির সৃষ্টি করছে। জয়নব থেমে গেলো। কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে আবার বলল,

” আদর…!”

এই পর্যায় রুমটির ভিতরে ঝলমলে করে উঠলো আলোর রাশি…। হঠাৎ আলোয় জয়নব চোখ মেলে তাকাতেই পাড়লো না… আর যখন তাকালো? সামনের ব্যক্তিটির মুখ নিজে নুয়ে রাখা। জয়নবের এ পর্যায় ভয় করতে লাগলো। গলা যেন শুকিয়ে যেতে লাগলো। মনে মনে ভাবলো,

” আদরের উপস্থিত এভাবে তো আমাকে কখনো কাঁপায় নি? তাহলে? সে কি আদর না??”

জয়নব শুকনো ঢুক গিললো। নিরবতার বিরাজমান। তবুও যেন জয়নবের ঘন শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ তীব্র। এবার ব্যক্তিটি নিজেই তাকালো সরাসরি। চোখে মুখে ঠান্ডা। জয়নব সোজাসোজি লোকটির চোখেরর দিকে তাকালো। সাথে সাথে দু কদম পিছিয়ে পড়লো। ভয়ে রীতিমতো হাত পা কাঁপতে লাগলো। বিড়বিড় করে বলল,

” এ- তো আ… দরের ভাই…!”

জয়নবকে এভাবে কাঁপতে ব্যক্তিটি কথা বলল,

“জান? আর ইউ স্ক্যারেড?”

জয়নব চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইলো সামনের ব্যক্তিটি ঘন কালো কুচকুচে চোখ জোড়ায়…! সে কি বলবে? কি করবে? বুঝতে পাড়ছে না। তার মনে পড়ছে বার বার… এই চোখ জোড়া যে পরিচিত। খুব কাছে থেকে দেখেছে এই চোখ জোড়া…হঠাৎ কিছু মনে পড়লো। বুকের মাঝে ধক করে উঠলো জয়নবের। হালকা চিৎকার করেই বলল,

” ইউ ইউ আর ন’ট আদর?”

ব্যক্তিটি হাসলো। হাত দুটি সোফার দু পাশে রেখে আরাম করে বসলো। মুচকি হাসি দিয়ে বললো,

” সো, হো আ’ই অ্যাম?”

ব্যক্তিটির কন্ঠে তাচ্ছিল্য মাখা। জয়নবের ভয়ে এদিকে গা হীম। সারা শরীর জুড়ে হয়ে আসচ্ছে অসাড়। মনে পড়ছে বার বার হোস্টের প্রথম রাতের সেই চোখ জোড়ার কথা… সেই তীক্ষ্ণ কন্ঠের বলা কিছু কথা….,

” তুমি আমার অন্ধকার রাজ্যের রাণী!”

জয়নব এবার পিছিয়ে যেতে লাগলো ভয় মিশ্রীত কন্ঠে বলল,

” ইউয়ান…!”

ইউয়ান হাসলো। বলল,,

” ওহো বেবি গার্ল ইউ নো মি?”

জয়নব এবার পালাবার জন্য পিছনে ফিরে এক দৌড় লাগালো। এবং দরজা খোলা চেষ্টা করলো। কিন্তু.. কিন্তু দরজা লকড। পিছন থেকে আবারো ভেসে এলো ইউয়ানের কন্ঠ,

” সিলি গার্ল? তুমি পালাতে পারবে না!”

জয়নব চেষ্টা চালিয়ে গেলো। তার মনে হতে লাগলো এই জায়গায় বেশিক্ষণ থাকলে মরে যাবে মাথা ফেটে। সে চিৎকার করে ডাকতে লাগলো,,

” সামবডি হ্যাল্প’স মি। প্লিজ ওপেন দ্যা ডোর। আন্টি, আন্টি হ্যাল্প। আদর? হোয়ার আর ইউ? প্লিজ হ্যাল্প প্লিজ!”

কিন্তু কোনো রেসপন্স করলো না কেউ। শুধু শোনা গেলো দূরে কোথাও ডেকে উঠা শিয়ালের হাঁক। জয়নব কাঁদতে লাগলো। বাড়ি দিতে দিতে হাতে ছাল তুলে ফেললো। কিন্তু এলো না সাহায্যের জন্য। ঠিক তখনি পিছন থেকে জয়নবের কোমল কোমর শক্ত করে জড়িয়ে নিজের বুকের সাথে লাগিয়ে নিলো ইউয়ান। তার স্পর্শ গায়ে লাগতেই জয়নব থেমে গেলো। কাঁপতে কাঁপতে পিছনে ফিরতে চাইলো তখনি কানের কাছে ভেসে এলো ইউয়ানের গরম শ্বাস আর তার গলা,

” কেউ আসবে না এখানে সিলি গার্ল!”

জয়নব থমকে গেলো কিছুক্ষণ। তার পরেই ছুটতে চাইলো। বাঁধণ হারা হতে চাইলো। কিন্তু পারলো না। হেরে গেলো। ইউয়ানের কন্ঠ আবার ভেসে এলো,

” তোমার আদর তোমার কাছে পৌঁছাতে পারবেনা জান। এখানে শুধু ইউয়ানের রাজ৷ ”

জয়নব মুখ খুললো,

” আমাকে যেতে দিন! ”

ইউয়ান হাসলো,

” সিলি গার্ল। তোমাকে কাছে পেতে এত এত ছক কসলাম যেতে দেবো বলে? নো।”

জয়নব ফুপিয়ে উঠলো,

” আদর? আদর কই?”

” সে তো মাটির তলায়!”

জয়নব চকিতে তাকালো। লাল লাল চোখ নিয়ে প্রশ্ন বিদ্ধ করল,

” আপনি নিজের ভাইয়ের সাথে কি করেছেন?”

“তেমন কিছু না যাষ্ট লুকিয়ে রেখেছি!”

জয়নব অবাক হয়ে বলল,

” এমন কেন করছেন? আমাকেই বা কেন আটকে রেখেছেন? ”

এ পর্যায় বাধন মুক্ত হলো জয়নব। ইউয়ানের চোয়াল আরো শক্ত হলো। হাতের মুঠো শক্ত করে বন্ধ করে বলল,

” আমার তোমাকে চাই জান!”

জয়নবের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পাড়লো। চেঁচিয়ে বলল,

” ভুলে যাবেন না আমি আপনার ভাইয়ে স্ত্রী। ”

ইউয়ান হাসলো। জয়নব ইউয়ানের হাসি দেখে কেঁপে উঠলো। ভয়ংকর সেই হাসি। ইউয়ান আবারো জয়নবের কাছে আসতে লাগলো আর জয়নব ভয়ে পিছিয়ে যেতে লাগলো। ইউয়ান এগিয়ে যেতে যেতে বলল,

” ইউ আর মাইন। সেই প্রথম থেকে। যখন থেকে তোমাকে আমি দেখেছি। ভালো আমি তোমাকে বেসেছি। কাছে আমি তোমার গিয়েছি। তোমার শরীরের রক্ত আমি টেষ্ট করেছি। মধ্যে থেকে আদর এসে আমার জিনিসকে কেড়ে নিয়ে চলে গেলো? আর আমি বুঝি তা বসে বসে দেখবো? নাহ্। এই দেখো তোমাকে আমি আমার কাছে নিয়ে এসেছি। এবার তুমি হবে আমার স্ত্রী। ”

জয়নব থেমে গেলো। পিছনে মস্ত বড় দেয়াল বাঁধা দিলো তাকে। ইউয়ান মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়লো জয়নবের।আঙুল দিয়ে স্লাইড করতে লাগলো জয়নবের নাম মুখ আর ঠোঁট জয়নব ভয়ে আধ মরা যেন। ইউয়ান আবার বলল,

” তুমি খুব সুন্দর জান!”

জয়নবের গা ঘিন ঘিন করে উঠলো। ইউয়ানকে ধাক্কা দিয়ে নিজ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়ে বলল,

” আপনি নিকৃষ্ট জীব। ”

ইউয়াস হাসতে লাগলো হো হো করে। এতে জয়নব ঘাবড়ে গেলো। ইউয়ান আবারো জয়নবের গা ঘেসে দাঁড়িয়ে পড়লো। জয়নবের চিবুক টেনে বলল,

” ইয়েস! আই এ’ম! জানো আমি যখন প্রথম তোমায় দেখি? সেদিন ভেবেছিলাম তোমার বোন রুফাইদার মতো-ই তোমার ব্লাডের স্বাদ হবে। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম তোমার ব্লাডে এক তীক্ষ্ণ ঝাঁঝালো ধাক আছে। যা মাথায় চড়ে বসে। ভেবেছিলাম রুফাইদার শরীরের মাংস আমি টেষ্ট করবো, কিন্তু মাঝখানে আদর এসে ওকে বাঁচিয়ে নিলো। শালা কখনো এমন করে নি জানো? যেই তুমি এলো আদর পাল্টে গেলো। ছেড়ে দিলো সব৷ কিন্তু আমি? আমি ওর মতো বেকুব নই। তাই তো ও আজ মাটির তলায়… আর তুমি আমার বাহু ডোরে আবদ্ধ! ”

জয়নবের কান যেন ফেঁটে যাবে এবার। সে ভয়ে ভয়ে বলল,

” তার মানে আদর এসবের মাঝে ছিলো না?”

” নাহ্! বেচার তোমাকে প্রতিবার বাঁচিয়েছে।”

জয়নবের মন এবার ভার হয়ে গেলো। চোখের সামনে ভেসে এলো আদরের মুখটি। জয়নবের চোখ থেকে অজানতেই গড়িয়ে পড়লো জল। তীক্ষ্ণ ধাঁরালো কিছু নিজের গলায় অনুভব করতেই জয়নবের ধ্যান ভাঙ্গলো। জয়নব বুঝলো ইউয়ান তার গলায় কামড় বসিয়েছে। জয়নব চিৎকার করে উঠলো,

” আহ্….!”

তীব্র ব্যথায় জয়নবের মনে হচ্ছে মরেই যাবে। জয়নব যখন আর লড়াই করতে না পেরে পাশে থাকা ফুলদানি নিয়ে ইউয়ানের মাথায় বাড়ি বসালো। ইউয়ান চিৎকার করে মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো। এদিকে জয়নবের কলারবন থেকে গড় গড় করে ব্লাড বেড়িয়ে যেতে লাগলো। জয়নব নিজেও মাটিতে বসে পড়লো। চোখের সামনে সব ঘোলা দেখতে লাগলো। এক পর্যায় জ্ঞান হারিয়ে ফেললো।

পরবর্তী যখন জ্ঞান ফিরলো, তখন যেন আসমানের চাঁদ হাতে পেলো। জয়নব দেখলো ঘরে কেউ নেই অথচ বন্ধ দরজাটা সটান করে খোলা। জয়নব এক ছুটে বেড়িয়ে গেলো। নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে দৌঁড়াতে লাগলো। ঠিক তখনি একটি আওয়াজ হলো জয়নবের ভিতর থেকে। জয়নব থেমে গেলো। শরীরের ভিতরে কোনো ডিভাইস মনে হলো এক্টিভ হয়ে গেছে। আর
সেখান থেকে ভেসে আসচ্ছে,

” কাম ব্যাক জান… আদারওয়াইজ আই কিল আদর!”

জয়নবের পা অচল হয়ে গেলো। ঢুকরে কেঁদে উঠলো। এবং নিজে থপ করে বসে পড়লো। পিছন থেকে ধীরে পায়ে এগিয়ে এলো কেউ। যার ছায়া জয়নবকে ঢেকে দিলো। জেন গিলে নিলো জয়নবকে তার ভিতরে…. ইউয়ান এগিয়ে এসে জয়নবের সামনে হাটু গেরে বসলো। মিষ্টি হেসে বলল,

” তুমি পালাতে পারবে না জান। যেখানেই যাবে, আমি ঠিক এভাবেই জেনে যাবো। জানো কেনো? কারণ তোমার ভিতরে একটা চিপ আমি লাগিয়েছি তুমি যখন যেখানেই থাকবে না কেন… আমি বুঝে যাবো!”

জয়নব অঝড়ে কেঁদে যেতে লাগলো। কান্না রত কন্ঠে বলল,

” কি চাইছেন আপনি আমার কাছে। কেন এসব করছেন?”

ইউয়ান জয়নবের মাথার চুলে আলতো ভাবে হাক বুলিয়ে দিতে দিতে বলল,

” ম্যারি মি!”

জয়নবের কান্না থেমে গেলো। সারা শরীরে টগবগ করে উঠলো রক্ত। ঠাস করে এক চর বসিয়ে দিলো ইয়ানের গালে। ইউয়ান চোখ বন্ধ করে ফেললো। ফর্সা গালে লাল হাতে দাগ স্পষ্ট। জয়নব চেচিয়ে বলল,

” আপনি কতটা নির্লজ্জ। নিজের ভাইয়ের বউকে বিয়ে করতে চাইছেন? আদর জানলে আপনাকে আস্তো রাখবেনা। ”

ইউয়ান নিজের গালে হাত বুলিয়ে বলল,

” আই ডোন্ট কেয়ার। তুমি কার বউ। তুমি এখন শুধু আমার।”

জয়নব ইউয়ানকে আরেকটা থাপ্পড় মারতে নিলো। রাগে তার গা কাঁপছে। কিন্তু ইউয়ান ধরে ফেললো জয়নবের হাতের কব্জি এবং জোরে মোচড় দিলো। জয়নবের ব্যথায় মাথা ঘুরে উঠলো। ইউয়ান বিশ্রী হেসে বলল,

” ডোন্ট টু ড্যায়ার বেবস। ডোন্ট! আমি আদর নই যে, তোমার এসব সহ্য করবো। সো স্টোপ।”

বলেই জয়নবকে কোলে তুলে নিলো। এবং আগের রুমে এনে বিছায়া বসিয়ে দিলো। জয়নব কাতর কন্ঠে প্রশ্ন করলো,

” প্লিজ ট্যাল মি, আদর কোথায়?”

ইউয়ান জয়নবের খুব কাছে চলে এলো। কানের কাছে মুখ নিয়ে একটা গভীর চুমু বর্ষণ করলো। জয়নব শিউরে উঠলো। ইউয়ান ফিসফিস করে বলল,

” ব্ল্যাক হোল!”

জয়নব কিছুই বুঝতে পারলো তাকিয়ে রইলো শুধু ড্যাব ড্যাব করে…….ইউয়ান চলে গেলো। কিন্তু জয়নব নিশ্চুপ। বাকরুদ্ধ। মাথায় ঘুরছে হাজার রহস্য, হাজার প্রশ্ন। সব থেকে বড় কথা….

” ডা. আদর কই? আর এই ব্ল্যাক হোলের রহস্য কি?”

চলবে,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে