অনিয়ন্ত্রিত মন পর্ব-০৪

0
691

#অনিয়ন্ত্রিত_মন
#jannat_Nur
#চতুর্থ_পর্ব

এই বিয়েটা তোমার করতেই হবে, তুমি না করলে আমরা এটা মানবো না কি? ভেবেছ তোমার সিদ্ধান্তই সব। আকবরকে বিয়ে করার জন্য তুমি পাগল হয়েছিলে তারপর আমরা রাজি হয়ে তোমাকে সেখানে বিয়ে দিয়েছি। এখন তো সেখানে সংসার করতে পারলে না বাচ্চাটাকে নিয়ে আর কতদিন ভাইয়ের ঘরে পড়ে পড়ে খাবে, বিয়ে করে সংসারী হও।

বড় ভাবী সায়মার কথা শুনে মরিয়ম বলল, ভাবী তুমি সবসময় খাবারের খোটা দাও, আমি কি তোমাদের সংসারের সব খাবার খেয়ে উজার করে ফেলছি। আমার এখন বিয়ে করতে ইচ্ছা করছে না আমাকে কিছুদিন সময় দাও তারপরে ভেবে দেখবো।

” তুই বললেই হলো নাকি এমন ভালো ছেলে হাতছাড়া করলে পরে আর পাওয়া যাবে না। তোর ভাই ভাবী যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাই হবে। মামুন তুই লুৎফরকে জানিয়ে দে আগামী শুক্রবারে মরিয়মের আমার সঙ্গে তার বিয়ে হবে।

” বাবা তুমি এটা কি বলছো আমি এখন বিয়ের জন্য প্রস্তুত না। তোমরা আমাকে জোর করে বিয়ে দিবে?

মরিয়মকে ধমক দিয়ে তার মা ফিরোজ বেগম বললো, তুই আর বেশি কথা বলবি না। তোর কথা অনেক শুনেছি এত ভালো ছেলে পেয়েছি এই ছেলেকে হাতছাড়া করতে বলছিস! দেখবি লুৎফরের সঙ্গে তুই সুখী হবি।

” মা আমার ছেলেকে রেখে আমি সুখী হতে পারব না। প্লিজ তুমি আমাকে বুঝ আমার সন্তানটাকে মা হারা করে দিও না।

মরিয়মের ছোট ভাই সুমন বলল, আরে তুই বারবার কি বলছিস, ভাই তো লুৎফর ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছে সে তোর ছেলে সহই তার বাড়িতে নিয়ে যাবে। তারপরেও তুই এত বাড়তি কথা বলছিস কেন? চুপচাপ সবাই যা বলছে মেনে নে। সবসময় ভালো সুযোগ আসে না, লুৎফর ভাই অনেক ভালো মানুষ। লুৎফর ভাই তার প্রথম স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসতো, দেখবি তোকেও ততটা ভালবাসবে। আর সে নিজের মুখে বলেছে তোর সন্তানকে সে নিজের ছেলের মত মানুষ করবে। এরপরেও তুই বিয়ে করতে রাজি বুঝছিস না, রাজি না হলে এই বাড়িতে থাকতে পারবি না। তখন তুই কোথায় যাবি তোর ছেলেকে নিয়ে।

মরিয়মের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে, সবাই যতই বলুক লুৎফর তার ছেলেকে মেনে নেবে তার মন সায় দিচ্ছে না। কেন জানি তার বারবার মনে হচ্ছে তার সন্তানের থেকে সে দূরে সরে যাবে। পপি মরিয়মের কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, এরকম জিদ করে বসে থেকো না। সব মানুষ সমান না, প্লিজ তুমি রাজি হয়ে যাও। আমার মন বলছে লুৎফর ভালো ছেলে তোমার ছেলেকে তোমার কাছ থেকে আলাদা করবে না। আর আমরা আছি তো, আমাদের সঙ্গে কথা দিয়ে লুৎফর কথা না রাখলে সেটা আমরা দেখব।

আর কিছু করার থাকলো না মরিয়মের রাজি হওয়া ছাড়া। সে চোখের পানি মুছতে মুছতে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল, তোমরা যখন চাচ্ছো রাজি হলাম, তবে আমার ছেলেকে আমার সঙ্গে নিয়ে যাব। এই কথাটা তোমরা ওই লোকটাকে ভালো করে বলে দিবে।

” আচ্ছা ঠিক আছে আমি তাকে আবারো বলে দেবো এটা নিয়ে তোর ভাবতে হবে না। তাহলে আব্বা লুৎফরকে আমি এখনি ফোন করে জানিয়ে দিচ্ছি।

অনেক খুশি হয়ে কথাটা বলল মামুন, মামুনের কথা শুনে তার বাবা বললো হ্যাঁ এখনই তাদেরকে জানিয়ে দে।

লুৎফরকে কল দিতেই কল রিসিভ করল লুৎফরের মা। মামুন তাকে সালাম দিয়ে জানিয়ে দিল বিয়েতে তারা রাজি আছে। এটা শুনে লুৎফরের মা অনেক খুশি হলো এবং ফোনটা লুৎফরের কাছে দিলো।

” আসসালামু আলাইকুম মামুন ভাই আমি অনেক খুশি হয়েছি, তাহলে বিয়েটা আগামী শুক্রবারে সেরে ফেলি! আমি বড় কোন অনুষ্ঠান করবো না, ঘরোয়া পরিবেশে আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে বিয়ে করতে চাই।

” হ্যাঁ আমরাও চাচ্ছি আগামী শুক্রবারে বিয়েটা হয়ে যাক আর এত মানুষকে জানানোর দরকার কি। নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের ভেতরে কয়েকজনকে দাওয়াত দিয়ে বিয়েটা হয়ে যাক। আচ্ছা আপনাকে যা বলতে চেয়েছিলাম। মরিয়ম কিন্তু তার বাচ্চাটাকে তার সঙ্গে নিয়ে আপনার বাসায় থাকবে। নাহলে সে রাজি হতে চাচ্ছিল না, প্লিজ ভাই আপনি এই ব্যাপারটা দেখবেন।

” আরে এটা নিয়ে আপনার ভাবতে হবে না আমি সবকিছু ঠিক করে নেব। তাহলে ওই কথাই রইল এখন ফোন রাখছি।

বিয়েতে রাজি হবার পর মরিয়মের আদর যত্নের অভাব নেই। তার দুই ভাই বউ তাকে অনেক আদর যত্ন করছে বিশেষ করে সায়মা তার রাইয়ানকে বারবার কোলে নিচ্ছে আর বলছে, দেখবে এইবার রাইয়ান বাবার আদর পাবে। ওই নির্দয় আকবর আলী এ নিষ্পাপ শিশুটাকে বাবার আদর থেকে বঞ্চিত করল কখনো বাবার অধিকার নিয়ে সামনে এসে দাঁড়ালো না। এখন দেখবে রাইয়ান বাবার আদর পেল না বলে তোমার আর আফসোস হবে না। লুৎফর অনেক ভালো মানুষ সে তোমার ছেলেকে নিজের ছেলের মতই আদর যত্নে বড় করবে।

সায়মার এমন ভালো মানসিকতার কথা শুনে মরিয়ম মনে মনে হাসে, আর ভাবে, ভাবী মানুষের রূপ কিভাবে পাল্টে যায় সেটা আপনাকে দেখে বুঝলাম। আপনি কি ব্যবহার করলেন এই কতদিন, আমার ছেলের সঙ্গে আমার সঙ্গে। আমার ছেলেটাকে তো একবারের জন্য কোলে নিয়ে দেখলেন না। আর আজকে যখন আমার ধনী ঘরে বিয়ে ঠিক হল আপনি সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেলেন। এখন আপনার কথা শুনে বোঝাই যাচ্ছে না আপনি আমার ছেলেটাকে দুই চোখে দেখতে পারতেন না আর আমাকে সহ্য করতে পারতেন না।

” কি হলো মরিয়ম চুপ করে আছো কেন আমি কি মিথ্যা বলছি নাকি! তোমার তো আফসোস ছিল তোমার ছেলেটা বাবার আদর পেল না। এখন অন্তত খুশি হও এভাবে মুখ গোমরা করে রাখে কেউ। আর তিন দিন পর তোমার বিয়ে, এত বড় বাড়িতে বিয়ে হচ্ছে এতে তোমার খুশি হওয়ার কথা। জামাইয়ের কাছে যা চাইবে তাই পাইবে। শুনলাম লুৎফর ভাই তোমাকে সোনার গহনা দিয়ে সাজিয়ে নিবে, অন্তত ৫ ভরি সোনার গহনা দিবে। তুমি কতটা লাকি দেখছো? আর পাঁচ ভরি সোনার গহনা এখন পর্যন্ত আমি চোখেই দেখলাম না।

” ভাবি আগেই কিভাবে খুশি হই, দেখি আমার ছেলেটাকে সে তার নিজের ছেলে হিসাবে মেনে নেয় কিনা। যখন দেখব আমার ছেলেটাকে নিয়ে আমি একসঙ্গে থাকতে পারছি তখনই আমি খুশি হবো। আর সোনা গহনা এগুলোর প্রতি আমার লোভ নেই আমার ছেলেটা আমার সঙ্গে থাকলেই হল।

সায়মা আর কিছু বলল না মুখ টান মেরে চলে গেল মরিয়মের সামনে থেকে। আত্মীয়স্বজনদের ভেতর এতদিন যারা মরিয়মকে দেখে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করত বাঁকা বাঁকা কথা বলতো, ভালো ঘরে মরিয়মের বিয়ে ঠিক হয়েছে জামাই বড় ব্যবসায়ী এটা শোনার পর সবাই মরিয়মকে এসে তোয়াক্কা করে কথা বলছে। এমন একটা ভাব দেখাচ্ছে যেন সবাই মরিয়মের শুভাকাঙ্ক্ষী।

আজকে মরিয়মের বিয়ে, লুৎফর সাড়ে ৫ ভরি সোনার গহনা নিয়ে এবং দামি শাড়ি নিয়ে উপস্থিত হয়েছে মরিয়মদের বাড়িতে। লুৎফরের সঙ্গে মাত্র কয়েকজন লোক এসেছে বরযাত্রী হিসেবে। মরিয়মের পরিবার অনেক খুশি কিন্তু এই বিয়েতে মরিয়ম খুশি হতে পারলাম না, তার মনে অজানা ভয় এই বুঝি ছেলেটাকে হারাতে হচ্ছে। বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে মরিয়মকে এবার গাড়িতে উঠিয়ে দেওয়া হবে, মরিয়ম তার ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে আছে তাকে ছাড়া সে কিছুতেই গাড়িতে উঠবে না। পপি এসে জোর করে মরিয়মের কোল থেকে রাইয়ানকে কেড়ে নিল। মরিয়ম উচ্চস্বরে বলে উঠলো।

” ছোট ভাবী তুমি আমার ছেলেকে নিলে কেন আমি তাকে ছাড়া যাব না।

” আজকের দিনটা অন্তত ছেলেটাকে রেখে যাও, লুৎফর বলছে লোকজন তোমাকে দেখতে আসলে কি বলবে, বলবে একজনকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছে সঙ্গে দুই বছরের একটা বাচ্চা। তাই আজকে রাইয়ানকে তোমার সঙ্গে করে নিতে না করেছে লুৎফর। পরবর্তীতে আসলে রাইয়ানকে নিয়ে যাবে বলছে।

” না ভাবী এমনটা কথা ছিল না, আমি আমার ছেলেকে ছাড়া যাবো না।

মরিয়মের মা মরিয়মের গালে থাপ্পড় মেরে বললেন, সব কিছুতেই বেশি বুঝিস আমি আছি না! আমি এ কয়েক দিন তোর ছেলেকে রাখতে পারবো, সে তো আমার কাছে থাকেই। এত ভাবতে হবে না তুই যা লুৎফর তো বলেছে রাইয়ানকে তোদের সঙ্গে রাখবে তাহলে এতো ভাবছিস কেন?

” মা তুমি বুঝতে চেষ্টা করো আমার ছেলেকে আজকে যদি রেখে যাই আর কখনো হয়তো রাইয়ানকে ওই বাড়িতে নিতে পারবো না।

একদম চুপ, যা গাড়িতে ওঠ সব সময় বেশি বুঝে। কথাটা বলতে বলতেই জোর করে গাড়িতে তুলে দিল শফিকুল ইসলাম। পরিবারের চাপের মুখেই বিয়ে করে ছেলেকে রেখে শ্বশুর বাড়িতে যেতে হলো মরিয়মকে। তার চোখ দিয়ে অঝরে পানি ঝরছে বুকটা ফেটে যাচ্ছে কষ্টে। মরিয়মদের বাড়ি থেকে লুৎফরের বাড়ি প্রায় ২০ কিলোমিটার। রাত এগারোর দিকে গাড়ি এসে থামল লুৎফরের বাড়ির সামনে। বউকে বরণ করে নেওয়ার জন্য লুৎফরের মা বোন এবং বড় ভাবী এগিয়ে আসলো। মরিয়মকে দেখে সবাই অনেক খুশি হল। সবাই বলতে থাকলো লুৎফরের আগের বউয়ের চেয়ে এই বউ বেশি অনেক সুন্দর। এক মহিলা বলেই ফেলল লুৎফরের বয়স মোটামুটি অনেক হয়েছে তবুও এই অল্প বয়সী অবিবাহিত মেয়ে বিয়ে দিল লুৎফরের কাছে। ওই মহিলার কথার সাথে তাল মিলিয়ে আরেকজন বলল আজকাল বয়সটা কেউ দেখেনা টাকাটাই সবাই দেখে। হয়তো মেয়ের মা বাবা ছেলের টাকা দেখে এমন একটা মেয়েকে লুৎফরের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছে। মেয়েটার চেয়ে বয়সে অনেক বড় হবে লুৎফর। কম করে হলেও ১৮-১৯ বছরের বড় হবে এটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে।

দুজন মহিলার কথোপকন শুনে মরিয়ম এটা ভালোভাবে বুঝতে পারল সে যে বিবাহিত এবং এক সন্তানের মা এই কথা লুৎফর তার বাড়ির মানুষদের কাছে গোপন করেছে। মরিয়ম ভাবছে, তাহলে আমার ছেলের কি হবে আমি কি আমার কাছে এনে রাখতে পারব না। কি সর্বনাশ করলাম আমি। আজকেই আমার এই লোকটার সঙ্গে কথা বলতে হবে, কেন সে সবাইকে বলেছে আমি অবিবাহিত আমার সন্তানের কথা কেন এখানে বলা হয়নি।

নতুন বউকে দেখে বাড়ির সবাই এবং প্রতিবেশীরা অনেক খুশি। রাত প্রায় একটা বাজে মরিয়মের রুমে খাবার নিয়ে আসলো তার ননদ চুমকি। চুমকি খাবার রেখে পাশে বসে হাসি মুখে বললো।

” ভাবী আপনি দেখতে অনেক সুন্দর, একদম আমার মনের মত একটা ভাবী পেলাম। আপনি যে ভাইয়াকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন এতে আমরা সবাই খুব খুশি হয়েছিলাম। আপনার পিকচার দেখে তো আম্মু অনেক পছন্দ করেছে।

মরিয়ম ভাবলো, এখন আমার বলা দরকার আমার বিয়ে হয়েছিল এবং বাচ্চা আছে, তাই সে চুমকিকে বলল।

” আপনারা কি জানেন আমি যে ডিভোর্সি এবং আমার একটা দুই বছরের ছেলে সন্তান আছে?

মরিয়মের কথা শুনে অবাক হয়ে গেল চুমকি, সে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে মরিয়মের দিকে। চুমকির এভাবে তাকানো দেখে মরিয়ম বুঝতে পারছে লুৎফর তার বিয়ে এবং সন্তানের কথা লুকিয়েছে এ বাড়িতে। কাউকে বলেনি কেন, সে এমনটা কেন করল।

” ভাবী আপনি কি আমার সঙ্গে ফান করতেছেন? কি বলছেন আপনি! আমরা জানি আপনি অবিবাহিত তাহলে আপনি ডিভোর্সি হবেন কিভাবে আর আপনার সন্তানই থাকবে কিভাবে।

চুপ করে রইল মরিয়ম, সে আর কিছু বলল না অপেক্ষা করতে থাকলো লুৎফরের সঙ্গে কথা বলার জন্য।

চুমকি চলে যাবার কিছুক্ষণ পরে লুৎফর এসে রুমে ঢুকলো। এসে খাবার শেষ করা না দেখে মরিয়মকে বলল, কি ব্যাপার তুমি এখনো খাবার শেষ করো নাই! রাত তো শেষ হয়ে যাচ্ছে খেয়ে নাও তাড়াতাড়ি।

” আমার গলা দিয়ে খাবার নামবে না আপনি কেন এমনটা করলেন! কেন মিথ্যা বললেন আমার সঙ্গে এবং আপনার বাড়ির সঙ্গে?

” কি হয়েছে তুমি এভাবে কথা বলছ কেন?

” আমি যে বিবাহিত এবং এক সন্তানের মা এটা আপনাদের বাসায় লুকিয়েছেন কেন? আপনার বোন তো জানে আমি অবিবাহিত, কেন এমনটা করলেন? আর আমাকে কি কথা দিয়েছিলেন আমার ছেলেকে আপনার বাড়িতে সঙ্গে এনে রাখবেন সেটাই যদি করতে চাইতেন তাহলে আপনার বাড়িতে সবকিছু আগে থেকেই বলতেন। সবকিছু যখন বলছেন না তাহলে বুঝা যাচ্ছে আপনি আমার ছেলেকে কখনো সঙ্গে রাখতে চাইবেন না।

” তুমি আমাকে ভুল ভাবছো, হ্যাঁ আমি আমার বাসায় বলিনি তুমি ডিভোর্সি বা তোমার একটা সন্তান আছে। এটা বললে আমার বাসায় কেউ রাজি হতো না তাই আমি এটা লুকিয়েছি। আর তোমার ছেলেকে আমাদের সঙ্গে রাখবো তুমি ভেবোনা, কালকে আমি আমার পরিবারের সবার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব, আমাকে বিশ্বাস করো আর খাবারটা খেয়ে নাও।

” আপনার পরিবার যদি এই কথা শোনার পর আমাকে মেনে না নেয় এবং আমার ছেলেকে এখানে থাকতে দিতে রাজি না হয় তখন কি করবেন?

” সবকিছু ম্যানেজ করার দায়িত্ব আমার তুমি এটা নিয়ে ভেবো না। দেখবে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। নাও খাবারটা খেয়ে নাও, আমি তো বলছি সব ঠিক হবে প্লিজ কান্না করো না। আজকে আমাদের বিয়ের প্রথম রাত এভাবে কান্না করলে আমার ভালো লাগবে না।

লুৎফর মরিয়মের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে কিন্তু মরিয়মের গলা দিয়ে খাবার নামতে চাচ্ছে না গলায় আটকে যাচ্ছে। তার জীবনটা কেন এমন হলো এই হিসাব মেলাতে পারছে না মরিয়ম।

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে