Your Lover পার্ট- ৩+৪

0
2666

#Your_Lover
#লেখা_ইভানা
#পার্ট_৩+৪

“”ঠাসসসসস্ ঠাসসসস্””
-তোর লজ্জা করে না এই মুখ নিয়ে আমার সামনে আসতে? আর কতো ছেলেদের নিয়ে খেলবি।
-আয়ান তুমি এসব কি বলছো? তোমার মাথা ঠিক আছে।
তৃষা বললো,
-তোমার মতো খারাপ মেয়েকে আয়ান এখনও সহ্য করে মাথা ঠিক রেখে কথা বলছে।
-আমাদের মধ্যে তুমি একদম কথা বলতে আসবে না।
-তুই নষ্টামি করতে পারবি আর কেউ বললেই দোষ? তোর সাথে কিছু দিন একটু ভালো ভাবে কথা বলছি বলে ভেবে নিয়েছিস তোকে আমি ভালোবাসি?
-আরে আমাকে একটু বলবে আমি কি করছি? আর আমাকে ভালোবাসো না?
-এই আয়ান চৌধুরীর ভালোবাসা পাওয়া এতো সোজা না। নে দেখ তুই কি কি করেছিস।
আয়ান কিছু ছবি ইভার গায়ে ছুড়ে মেরে বলে,
-দেখ তুই কি করছো? এবার কি বলবি তুই এসব করিস নি?
ছবিগুলো দেখে ইভার চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে। এসব দেখার আগে মরে গেলে ভালো হতো। ছবি গুলোতে দেখা যাচ্ছে অন্তরঙ্গ ভাবে রাইয়ানের সাথে জড়িয়ে আছে। কিন্তু এটা তো অসম্ভব। রাইয়ানকে বরাবর ইভা এভয়েড করে গেছে তাহলে এসব কি করে হলো। আর আয়ান সব কিছু জানা সত্বেও এসব বিশ্বাস করলো।
-কি হলো বল তোকে এসবের পরও বিশ্বাস করবো?
-আমি এসব করি নি।
-আমার চোখের সামনে থেকে সরে যা।

ইভার কিছু না বলে কাঁদতে কাঁদতে কলেজ বেরিয়ে যেতে লাগলো তখন লামিসা আর ঈশিতার সঙ্গে দেখা হলো,,
-কি রে তুই কই যাচ্ছিস? (লামিসা)
-বাসায় যাবো। (ইভা)
-তোর কি হয়েছে দোস্ত? তোর চোখ মুখের এমন অবস্থা কেনো? (লামিসা)
ইভা আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলো না। ওদের জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো।

-ইভু তোর কি হয়েছে খুলে বল? (ঈশিতা)

-রাস্তায় সবাই দেখছে, রেস্টুরেন্টে গিয়ে কথা বলি। (লামিসা)
কলেজের পাশে রেস্টুরেন্টে আছে সেখানে গিয়ে ওরা বসলো।।
একটা ছেলে এসে বললো,
-আফা কি খাইবেন কন?
-আজকে আমরা কিছু খাবো না। (লামিসা)
-ক্যান আফা?
-বাসা থেকে খেয়ে আসছি, ক্লাস এখন নাই তাই আসছি (ঈশিতা)
-ওহ্ আইচ্ছা।
ছেলেটা চলে যাওয়া পর ইভা আজকের সব ঘটনা ওদের খুলে বলে । খুব কান্না কাটি করছে।
-শান্ত হ। কিছু একটা রহস্য আছে তার জন্য আয়ান ভাইয়া তোর সাথে এমন করেছে (ঈশিতা)
-তাই বলে এসব কি করে বিশ্বাস করলো? (ইভা)
– প্যচ প্যচ কান্না না করে রাইয়ান কে ধরতে পারিস নি যে ও কেনো এমন করছে? (লামিসা)
-তুই নরম হয়ে থাকিস বলে সবাই তোকে পার পেয়ে বসে(ঈশিতা)
-দাড়া আমি সানভিকে কল করে দেখি ও এসবের কিছু জানে কি না?(লামিসা)
সানভি কলেজে ঢুকবে তখন লামিসা কল করায় কলেজে না গিয়ে রেস্টুরেন্টে আসে। লামিসা সব কিছু সানভিকে বলে৷ সানভিও বিশ্বাস করতে পরছে না যে আয়ান এমন করতে পারে। ইভা তো এখনও কেঁদে যাচ্ছে।
– লক্ষ্মী বনু তুই কাঁদিস না। সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে (সানভি)
-কি ঠিক হবে ভাইয়া?আমি সবার কাছে কতো খারাপ হয়ে গেছি( ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিলো আর কিছু বলতে পারলো না)
-তোমরা ওকে বাসায় নিয়ে যাও। আমি আয়ানের সাথে কথা বলে দেখছি(সানভি)

ঈশিতা, ইভা,লামিসা বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলো।
আয়ান রাইয়ানের সাথে কথা বলছে তখন সানভি উপস্থিত হয়ে শুনে,
-এবার বিশ্বাস হলো তো? (রাইয়ান)
-হ্যাঁ (আয়ান)
-আয়ান তুই এসব কি বলছিস? তুই এই ফালতুটার কথা বিশ্বাস করে খুব বড় ভুল করবি (সানভি)
-তোর বোনকে বিশ্বাস করে ভুল করেছি ,(আয়ান)
-তোর বোন বলে ইভা ধোয়া তুলসীপাতা হবে তা ভাবিস না (রাইয়ান)
-মুখ সামলে কথা বল রাইয়ান (সানভি)
-যা বলছি ঠিক বলছি (রাইয়ান)
-এই তুই এখন থেকে যা তো (সানভি)
রাইয়ান বাকা হাসি দিয়ে চলে গেলো।

-দোস্ত তুই আমাকে ভুল বুঝিস না, আমি যা করছি সব মাথা ঠান্ডা রেখে বুঝেশুনে করেছি (আয়ান)
-কেনো কি এমন হয়েছে যার জন্য ইভার সাথে খারাপ আচরণ করলি (সানভি)
-তুই চল আমার সাথে (আয়ান)

ইভা বাসায় গিয়ে রুমের দরজা লক করে শুয়ে পরলো। চোখের পানি কোনো বাধা মানছে না। আয়ান কথা দিয়েছিলো যেকোনো পরিস্থিতিতে ইভার পাশে থাকবে, ভুল বুজবে না তাহলে আজ কেনো এমন করলো? এতো দিন কি সব কিছু ভালোবাসার অভিনয় ছিলো?

ইভার ফোনে আননোন নাম্বার থেকে একটা মেসেজ আসে “” আয়ান তোমাকে ভালোবাসে না। ওর মিথ্যা ভালোবাসার জালে তোমাকে ফাঁসিয়েছে। তুমি চাইলে তোমাকে আমি অাপন করে নিবো “”

“”কোনো একটা রহস্য আছে তাই না””?????

চলবে,,,

#Your_Lover
#লেখা_ইভানা
#পার্ট_৪

মেসেজটি দেখে ইভা ফোন অফ করে অজস্র কান্নায় ভেঙ্গে পরলো। খুব মনে পরছে আয়ানের সাথে প্রথম দেখা হওয়া।
কলেজের প্রথম দিন নবীন বরন অনুষ্ঠানে অনেক বেশি এক্সাইটেডের জন্য ঘুম থেকে উঠতে লেট হলো। তাড়াহুড়ো করে কলেজে উদ্দেশ্য বেরিয়ে পরে আর পরোনের সাজ ছিলো পিংক কালারের থ্রি-পিস, হালকা লিপস্টিক, কানে ঝুমকো। কলেজে গিয়ে দেখে সবাই বসে পরেছে। লামিসা, ঈশিতা, রাহি ওদের খুঁজতে আছে কিন্তু ওরা যে কোথায় বসে আছে এতো লোকের মাঝে তা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। একটা মেয়ে এসে বললো,
-ফাস্ট ইয়ার নাকি?
-হুম
-এটা তোমার জন্য (একটা গোলাপ ফুল দিলো)
-আমার জন্য কেনো?
-বড় আপু হিসাবে এটা আমি তোমাকে দিতেই পারি।
-ধন্যবাদ আপু।
-আপু সামনে সিট খালি আছে ওখানে গিয়ে বসো।
-না আপু। আমি আমার ফ্রেন্ডের সাথে বসবো।
-এখানে আর কোনো জায়গা ফাঁকা নেই তো কোথায় বসবো বলো?
-তাও ঠিক চলুন কোথায় বসার জায়গা আছে।

স্টেজের সামনের সিটে ইভাকে বসার জায়গা দিলো। ওর ফ্রেন্ডা ওর পিছনের সিটে বসে আছে। পাশের কাউকে চিনে না বলে খুব আনইজি ফিল করতেছে। তাও কিছু করার নেই বসতে হবে।

স্যারদের লেকচার দেওয়া শেষ তারপর সিনিয়ররা একে একে লেকচার দিচ্ছে তার মধ্যে আয়ান ছিলো। ইভা তো হা করে তাকিয়ে আছে, যেমন সুন্দর দেখতে তেমন সুন্দর কথা বলার স্টাইল। পাশে বসে থাকা মেয়েরা বলছে, দেখ দেখ ছেলেটা কি সুন্দর তাই না! স্যারদের লেকচার শুনতে খুব বিরক্ত লাগছিলো কিন্তু এই ছেলেটার লেকচার অনেক ভালো লেগেছে। আরও অনেক কথা বলেছে৷
ভাষন পর্ব শেষ হওয়ার পর সবাইকে একটা রজনীগন্ধা আর গোলাপের স্টিক দিচ্ছে কিন্তু ইভাকে রজনীগন্ধার সাথে সাতটা গোলাপ দিচ্ছে।
-একি আপু আমাকে এতোগুলা গোলাপ দিলে?
-ভালোবেসে দিলাম আর হ্যাঁ কলেজে কখনও কোনো সমস্যা পরলে আমাকে ডেকো।
-কিন্তু আপু,,,,
-কোনো কিন্তু না। তোমার নাম কি তা জানা হলো না?
-ইভা, তোমার নাম কি?
-নওশিন।
-আমার ফোন নাম্বার টা নেও ০১৭********
-ওকে।

ইভা কিছুক্ষন ফ্রেন্ডের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় রওনা করবে তখন সানভি এসে বলে,
-কি রে কলেজে প্রথম দিন এসে প্রোপজ পেলি?
-না রে, একটা আপু দিয়েছে।
-তুই যে বলদী তা কি এখনও সে বুঝে নাই?
-কে বুঝবে? আর আমাকে তোর বলদী মনে হলো কেনো?
-তুই আমার বলদী কেন হবি, তুই তো আয়,,,,,,,
-কিহ্?
-কিছু না চল তোকে বাড়িতে দিয়ে আসি?
-সব সময় খালি আজেবাজে কথা।
-কথা কম বলে বাইকের উপর উঠ।
-না আমি তোর সাথে যাবো না।
-উঠবি নাকি ফুপিকে কল করে বলবো, তুই ছেলেদের সাথে ডেটিং করতেছো।
-যা বল
-ওকে বোনটি তোর কথা আমি না শুনে পারি নাকি, পরে কেলানি খেলে আমার দোষ না।
-হয়ছে, তোকে ফোন করতে হবে না এবার চল।

সানভি ইভাকে বাসায় পৌছে দিলো। কলেজে প্রথম দিনে যা হয়েছে তা সব ইভার আম্মু আর ছোট বোনকে বলে নিজের রুমে গেছে তখন ফোনটা বেজে উঠে। আননোন নাম্বার তাই প্রথম বার রিসিভ করলো না দ্বিতীয় বার রিসিভ করতে ওপার থেকে পরুষ কন্ঠে বলে,
-আসসালামু আলাইকুম
-ওয়ালাইকুম সালাম। কে আপনি?
-ভালোবাসার সাত গোলাপ।
-কিহ্
-কিছু না, আসল কথা বলি তুমি কালকে থেকে কলেজে হিজাব পরে যাবে।
-আজব তো?কে আপনি?
-ইউর লাভার
-মানে কি?
-এতো কিছুর মানে তোমাকে বুঝতে হবে না। যা বলছি তা করলে হবে
-আপনার কথা শুনতে আমার বয়ে গেছে।
-আমার কথা না শুনলে খুব খারাপ হবে।
-কি খারাপ হবে আমিও দেখে নিবো বলে ইভা কল কেটে দিলো।
ধুর এসব কিছু ফালতু ছেলেদের জন্য সব ছেলেদের বদনাম হয়। সানভি ভাইয়া, সীফাত ভাইয়া এরা কতো ভালো এদের বদনাম কেউ কোনো দিন করতে পারবে না আর এইসব ধ্যাত ব্ল্যাকলিসটে নাম্বারটা রেখে দেই।

আয়ান ইভার বাসার রাস্তার মোড়ে গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে সানভির জন্য কিন্তু ওর দেখা নাই। কিছুক্ষণ পর এসে,
-সরি দোস্ত তোকে ওয়েট করানোর জন্য, একটা কাজে গিয়ে ছিলাম
-লামিসাদের বাসা কোথায় সেটা দেখতে গিয়েছিলি আর কি কাজ থাকবে?
-এই জন্যই তুই আমার বেষ্ট দোস্ত, তোকে কিছু বলে দিতে হয় না সব বুঝে যাস।
-হ্যাঁ, শালা
-আমি তোর শালা হলাম কবে থেকে?
-আজকে থেকে।তোর এতো কিউটের বস্তা বোন আছে আগে বলিস নি কেনো তাহলে কোন জন্মে শালা হয়ে যেতি।
-তুই ইভার প্রেমে পরেছিস নাকি?
-শুধু প্রেম না ভালোবেসে ফেলেছি।
-তা বুঝলাম কিন্তু ওরে বাসায় পৌঁছে দিতে বললি কেনো?
-তুই তো জানিস রাইয়ান কেমন ছেলে আর ওর সাথে ছেলেগুলো ওদের খারাপ ইঙ্গিত করেছে। রাস্তাঘাটে কি করে বসে তাই তোকে বাসায় পৌঁছে দিতে বলছি,,,,
-কিন্তু তুই কতোদিন এভাবে দেখে রাখবি।
-যতো দিন আয়ান চৌধুরী বেঁচে আছে ততোদিন ইভাকে বৌ হিসেবে আর লামিসাকে বোন হিসেবে দেখে রাখবো। আর তুই তো আছিস আমার কলিজার দোস্ত।
-ওল্লে বাবা লে, যে আয়ান মেয়ের দিকে তাকাতো না কোনো মেয়েকে পাত্তা দিতো না আর সে এখন প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে
-তোকে শালা বানানোর ইচ্ছে ছিলো তা পূরন হলো।

ওরা দুজনে কথা বলে যে যার বাসায় চলে যায়।

রাত১০টা দিকে আয়ান ইভাকে কল দিলো বাট নাম্বার ব্ল্যাকলিসট। অন্য নাম্বার দিয়ে কল করে,
-কি গো সোনা পাখি তুমি আমার নাম্বার ব্ল্যাকলিসটে রেখেছো কেনো?
-ব্ল্যাকলিসটি নাম্বার রাখে কেনো তাও জানেন না?
-জানি তো তাই অন্য নাম্বার দিয়ে কল করেছি কিন্তু তুমি জানোনা যে আমার শত শত নাম্বার আছে তাই এটা ব্ল্যাকলিসটে রেখো না।
-আপনার কি খেয়েদেয়ে কোনো কাজ নেই আমার পিছে কেনো পরে আছেন?
-আমি তোমার সামনে বা পিছে পরে নেই শুধু তোমার প্রেমে পরেছি।
-অসহ্য।
আরও অনেক কথা বলে ঘুমিয়ে পরে। সকালে কলেজে রওয়া করে তখন ইভা গাড়ির লুকিং গ্লাসে দেখে পিছে একটা বাইক ফলো করে, হেলমেট পরে থাকায় মুখ দেখতে পায় না।

কলেজে ঢুকতে একটা পিচ্চি ছেলে এসে বলে,
-আপু এটা তোমার জন্য।
-এটি কি আর কে দিয়েছে?
-ওই যে ভাইয়াটা দিয়েছে
আসেপাশে কোনো ভাইয়কে দেখতে পেলাম না।
-কই এখনে কেউ নেই
-একটু আগেই ছিলো।
পিচ্চিটা প্যাকের দিয়ে দৌড় দিলো আর কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারলাম৷
দুটো ক্লাস করে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলো। চাওমিন আর কোকাকোলা ওর্ডার করলো। সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছে তখন ইভার চোখ গেলো পেপার দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা,চোখে সানগ্লাস পরে আছে একটা ছেলের দিকে। অনেক টা সময় ধরে এভাবে তাকিয়ে আছে। খাওয়া শেষ করে বিল দিতে গিয়ে,
-ম্যাডাম আপনার টাকা দেতে হবে না। এই রেস্টুরেন্টের মালিক আপনার থেকে টাকা নিতে বারন করেছে?
-মালিক কে? আর কেনো বা আমার থেকে টাকা নিবে না?
-এসবের কিছু আমি জানি না।
-আপনি কাজ করেন আর আপনি জানেন না এটা কেমন কথা? আর আমি একা টাকা দিচ্ছি না আমরা চার জন মিলে দিচ্ছি।
-আপনারা চার জন দিবেন নাকি দশ জন দিবেন তা আমার জানান দরকার নেই৷ টাকা রাখতে পারবো না শুধু এতোটুকু জানি।
টাকা নিয়ে চলে এসছি। আমারা সাথে কে এসব করছে কিছু বুঝতে পারছি না ধুর ভাল্লাগে না।
বাসায় গিয়ে প্যাকেটা খুলে দেখে দশটা হিজাব সাথে অনেক পিন, বরুজ রয়েছে। হিজাবে সবগুলো কালার সুন্দর। তার চয়েজ আছে বলতে হবে। গতো কাল যে কল করেছিলো সে এস করেছে জানি তাকে একটা দেই,
-হ্যালো সুইটহার্ট, আমি জানতাম আমাকে কল দিবে
-আপনি কি করে জানলেন?
-ম্যাজিক। বলো তোমার হিজাবগুলো চয়েজ হয়েছে
-হ্যাঁ আপনারা চয়েজ অনেক সুন্দর।
-কালকে থেকে হিজাব পরে কলেজে যাবে।
-আমার সামনে এসে যদি এসব বলতে পারেন তাহলে আপনার কথা শুনবো।
-সময় মতো সামনে আসবো।
-আপনি কেনো এমন করেন?কি চাই?
-চাওয়াটা পরে বুঝে নিবো। এখন রাখছি।

যাহ্ বাবা কোনো কথাই তো বলতে পারলাম না। মানুষটা কেমন জানি অদ্ভুত।
এভাবে কিছুদিন কেটে যায়। প্রতিদিন দু তিন বার ইভাকে আয়ান কল করে। ইভা খেয়াল করে মাঝে মাঝে আয়ান ওর আশেপাশে থাকে কিন্তু খারাপ কোনো উদ্দেশ্য দেখে না বলে কিছু বলতে পারে না।

কলেজে থেকে সিনিয়র -জুনিয়ররা মিলে কক্সবাজার ট্যুরে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। যারা যাবে তাদের নাম লিস্টে করেছে। ইভার নাম লিস্টে দেখে আয়ান মুচকি হাসি দিয়ে সানভিকে বলে,,,,
-এবার ইভাকে ভালোবাসার কথা জানানোর সময় এসেছে আর কোনো লুকোচুরি না।

চলবে,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে