The unlimited love Part-13 Season 02

0
2561

#The_unlimited_love💖
#Season_2
#Part_13
#Writer_Nusrat

আদনানের এক ফ্রেন্ড জুবায়ের অনেক্ষন ধরে সামান্তাকে দেখছে৷ আর সেটা কেউ না ফলো না করলেও আদনান করছে৷ আদনান এগিয়ে গেলো জুবায়েরের দিকে৷

“হেই ব্রো ওদিকে কী দেখছিস?
.
“না আসলে,,আচ্ছা এই মেয়েটা কে রে ভাই? কী সুন্দর দেখতে৷ কী মায়াবী চেহারা৷ একটু পটিয়ে দেনা ভাই৷
.
“ওদিকে নজর দিস না৷ ওটা আমার জন্য বুক করা৷ তুই বরং অন্যদিকে নজর দে৷
.
“কীহ!!!ও তাহলে তোর,,
.
হ্যা যেটা বুঝেছিস সেটাই৷
.
কিছুক্ষন পর আয়েশা নিচে এলো৷এতো মানুষ দেখে তার চোখ ছানাবড়া৷

“এই যে তোমরা কী বিয়ে বাড়িতে এসেছো??
আয়েশার কথা শুনে সবাই আয়েশার দিকে তাকালো৷ আয়েশা মাথায় দুদিকে ঝুঁটি বেঁধেছে৷ মুখ ফুলিয়ে কোমড়ে দুই হাত দিয়ে কথাটা বললো সে৷

আদনানের ফ্রেন্ড মাহফুজ আয়েশার নমুনা দেখে দাঁত বেড় করে হেসে ফেললো৷

“এই যে দাঁত বেড় করছো কেনো?দাঁত ভেঙে দিবো৷

আয়েশার কথা শুনে মাহফুজ তারাতাড়ি তার মুখ বন্ধ করলো৷ আদনানের আরেকফ্রেন্ড আবির বলে উঠলো,,

“আরে ভাই দেখ দেখ কীরকম গরুর মতো শিং বেঁধেছে৷ পুরাই গরু লাগছে৷ একটা লেজ থাকলে আরও ভালো হতো৷

“আচ্ছা আমাকে মনে হয় গরুর মতো লাগছে আর তুমি যে কবুতরের মতো চুল খাঁড়া করেছো তাতে তোমায় বান্দরের মতো লাগছে৷ আয়েশার কথা শুনে আবির হেহে করে হেসে দিলো৷

“আচ্ছা খুকি জীবনেতো শুনিনি কবুতরের চুল আছে৷ তুমি কোথায় কবুতরের চুল দেখলে৷
.
“আমি দেখেছি বলেই বলেছি৷ এবার বলো তোমরা কী বিয়ে বাড়িতে এসেছো৷
.
না না আমরাতো বন্ধুর বাড়িতে এসেছি৷ বিয়ে বাড়ি কেনো আসবো৷
.
তাহলে চা খেয়ে চলে যাও৷বিয়ে বাড়িতে গেলে ভাত খেতে হয়৷
.
কেন গ তোমাদের বাড়িতে ভাত নেই৷ আমরাতো ভাত খেয়েই যাবো৷ তুম এতো কিপ্টু কেনো৷
.
ওটা কিপ্টু নয় কিপ্টা হবে৷
.
আরে আমিতো আদর করে কিপ্টু বললাম৷ আর তুমি তাহলে স্বীকার করছো যে তুমি কিপ্টা৷
.
আমি মোটেও কিপ্টা নই৷ তোমরা সবাই কিপ্টা৷ জানোনা কারও বাসায় গেলে চিপস, চকলেট নিয়ে যেতে হয়৷ এসব না নিয়েই খাম্বা গুলো চলে আসছে৷
.
ঠিকাছে এরপর তোমাদের বাসায় আসলে চিপস আর চকলেটের দোকান সহ নিয়ে আসবো৷ আর আমাদের যে ভাত খাওয়াবে ওটার জন্য খুঁটা দিয়ো না৷ তাহলে যে মনে অনেক বড় ধাক্কা লাগবে গ৷
.
আচ্ছা ঠিকাছে ঠিকাছে এতো করে যখন বলছো তাহলে আমি খুঁটা দিবোনা৷ কিন্তু হ্যা এটা মনে রাখবে যে আমি কত দয়ালু৷ তোমাদের মতো ভিখারিদের খাবার দিয়েছি৷ হুহ
.
আচ্ছা আচ্ছা মনে রাখবো৷ এখন তুমি আসতে পারো৷
আয়েশা চলে গেলো৷ আবির আদনানের দিকে তাকিয়ে বললো,,
ভাই তোর বোন শেষমেশ আমাদের ভিখারি বানিয়ে দিলো৷

আমি প্রত্যেকদিন ওর জ্বালানো সহ্য করি এবার তোরা একটু সহ্য কর৷ ও একটু বেশিই পাকনামি করে কিছু মনে করিসনা৷

★★★★★

আরুহি আর রিংকি সবাইকে ডেকে লাঞ্চ করার জন্য ডাইনিংয়ে নিয়ে গেলো৷ সামান্তা কিচেনেই দাঁড়িয়ে আছে৷ আরুহি ওকে আদনানদের সাথে বসতে বললো কিন্তু সামান্তা গেলোনা৷ চুলায় একটা পাতিল বসিয়ে দিয়ে পানি ঢাললো৷ নুডলস্ বানিয়ে খাবে সে৷

“একি সামান্তা তুমি ডাইনিংয়ে যাও লাঞ্চ করবেতো৷
.
না মামনী আমি লাঞ্চ করবোনা৷ আমার নুডলস্ খেতে খুব ইচ্ছে করছে তাই নুডলস্ই খাবো৷।

খাওয়ার মধ্যেই আদনানের মুঠোফোন বেজে উঠলো৷ জুই কল করেছে৷

“হ্যালো জুই৷
.
হ্যা আদনান তুমি একটু এয়ারপোর্টে আসতে পারবে৷
.
এয়ারপোর্টে!! কিন্তু কেনো৷
.
একচুয়েলি আমি বিডিতে চলে এসেছি৷ তুমিতো বলেছিলে আমাকে নিতে আসবে তাহলে আজ আসবেনা৷??
.
ঠিকাছে আমি আসছি৷
.
কী রে আদনান জুই কী বললো৷
.
ও বিডিতে চলে এসেছে৷ ওকে আনতে যেতে হবে৷ আমি খেয়েই চলে যাবো৷ বেশি সময় তো লাগেনা জাস্ট ২৫ মিনিট৷ তোরাও ওয়েট করিস ওকে দেখে তারপর যাবি৷

আদনান খাবারটা খেয়ে ওর বন্ধুদের রেখেই চলে গেলো৷সামান্তা কিচেন থেকে সব দেখছে৷ আর নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করছে৷

কে এই জুই যার জন্য ভাইয়া উনার বন্ধুদের ফেলেও চলে গেলো৷ সেদিন তো এই মেয়েকেই জানু বেবি বলেছিলো৷ আর এই মেয়েইতো আমাদের বাড়িতে থাকবে এখন থেকে৷ভাইয়ার কী সত্যি এই মেয়ের সাথে এফেয়ার আছে৷

★★★★
সামান্তা বিকেলে ছাঁদে ওর ফুল গাছে পানি দিচ্ছে৷ আদনান ফুলের টব গুলো সামান্তার জন্য এনেছিলো৷ অনেকদিন ধরে যত্ন নেওয়া হয়না তবে আজ একটু যত্ন নেওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে তাই সে পানি দিচ্ছে৷ সামান্তা বার বার ছাঁদ থেকে নিচে উকিঁ দিয়ে দেখছে আদনান আসছে কী না৷ ১ ঘন্টা হতে চললো তবুও আসছেনা সে৷ সামান্তার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আদনান চলে এলো৷ সাথে জুইও আছে৷ সামান্তার চোখ ছলছল করছে৷

চলবে,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে