My_Mafia_Boss পর্ব-.৫

0
6107

My_Mafia_Boss পর্ব-.৫
Writer:Tabassum ড়িয়ানা

হঠাৎ স্নিগ্ধার খেয়াল হলো রুহী পাশে নেই। মিস জেনিফারকপ ডাকলো স্নিগ্ধা ম্যাম ‌!!!কি হলো স্নিগ্ধা? জেনিফার জিজ্ঞেস করলেন। রুহী নেই।নেই মানে কি বলছো?কই গেল ও জেনিফার আঁৎকে উঠলেন। সবাই মিলে খুঁজতে লাগলো রুহীকে।কই চলে গেল মেয়েটা?নিজের ওপর রাগ হচ্ছে স্নিগ্ধার।চোখ খুলে রুহী সামনে একজন কালো পোশাক পরিহিতা লোক গুলোকে দেখতে পায়।বার বার ঢোক গিলছে ও।বববিশ্বাস করেন আআমি কিচ্ছু করেনি।লম্বা লোকটি বসে পড়লো ruhir পাশে।লোকটি বেশ হ্যান্ডসাম মুখ ভর্তি কালো চাপ দাড়ি আছে।লোকটির চোখ দুটো দেখে বুঝাই যাচ্ছে ভীষন রেগে আছে সে।এখানে কেন হঠাৎ জিজ্ঞেস করে বসলো সে।আআমি হাহারিয়ে গেগেছি।লোকটি তার দলের লোক গুলিকে বলল ruhi ke উঠাতে।আ আমি কিছু করিনি তো ভয়ে কেঁদেই দিবে ruhi।রোয়েন তার একটি হাত বাড়িয়ে দিলো স্নিগ্ধার দিকে। ruhi একবার রোয়েনের দিকে তাকাচ্ছে তারপর ওর হাতের দিকে।ভয় পাচ্ছে রোয়েনের হাত ধরতে।কি হলো উঠো সারাদিন শুয়ে থাকবা এখানে? ধমক দিয়ে বলল রোয়েন।রুহী হাত বাড়ানোর আগেই ওকে কোলে তুলে নিলো রোয়েন।রুহী মাথা নিচু করে রেখেছে।ভয়ে বুক ধড়ফড় করছে।লোকটি যদি ওকে নিয়ে মেরে ফেলে?
রোয়েন মেয়েটিকে একবার আড় চোখে দেখলো।এক অদ্ভুত মোহ কাজ করছে ওর।সাদা জামা সাদা চুড়ি পুরো মায়াবতী লাগছে মেয়েটিকে।মেয়েটিকে যদি নিজের কাছে রাখতে পারতো। মেয়েটিকে চাই ওর।যেকোনো মূল্যে চাই।একরাতের জন্য হলে ও দরকার।তবে একটা কেন হাজারটা রাত কাঁটিয়ে দিতে পারবে মায়াবতীর সাথে।সামনে কিছু ওর বয়সী মেয়ে আরেকজন মহিলা কে দেখে বুঝতে দেরি হলো না রোয়েনের যে মেয়েটিও ওদেরই একজন।তাই কোল থেকে নামিয়ে দিয়ে মেয়েটির বাহু চেঁপে ধরলো যা দেখেছো নিজের মধ্যে রেখো নাহলে পিস্তল দেখিয়ে বলল বুঝোইতো।জি ক কাউকে ববলবো না।হুহ রুহীর হাত ছেড়ে পিছনে ফিরে চলে গেল রোয়েন।দলের লোক গুলো কে বলল এই মেয়ের সম্বন্ধে সকল তথ্য আমার চাই As soon as possible.

রুহী!!! সবাই দৌড়ে এলো কই চলে গেলে?আর লোক গুলো কে ছিলো? জেনিফার জিজ্ঞেস করলেন।কিছু বলতে চেয়ে ও পারলোনা রুহী।তারা আমাকে পথ দেখিয়েছে।হুম কই চলে গিয়েছিলে?সরি ম্যাম আর হবেনা রুহী বলল।হুম চলো মেয়েরা।স্নিগ্ধা রুহীকে এটা ওটা জিজ্ঞেস করতে লাগলো। কিন্তু বেচারী রুহী কিছুই বলতে পারছেনা।মানুষগুলোকে মারার দৃশ্য ওর মনে গেঁথে গেছে।কোনোমতেই সরাতে পারছিলো না।
আফজাল রায়ান কি দোষ করেছে যে তোমার বোনের মেয়ের সাথে ওর বিয়ে দেয়া যাবেনা?দোষ ও করেনি করেছে ওর চোখ।তোমার ভাইয়ের ছেলের নজর খারাপ।কতোটা বাজে দৃষ্টি রুহীর দিকে দিচ্ছিলো সেটা আমি দেখেছি। ওহে হো তার বোনের মেয়ে দুধে ধোঁয়া তুলসী পাতা। রুহী নুহাশের দিকে তাকায় থাকেনি হাসাহাসি করেনি নুহাশের সাথে চিৎকার করে বলল আনিলা বেগম।আনিলা মুখ সামলে কথা বলো ও একদমই এমন না। নুহাশকে ও ভাইয়ের মতো মানে।এহহহ ভাইয়ের মতো মানে মুখ ভেংচি দিয়ে বলল আনিলা বেগম।
রুহীরা এতিম খানায় ফিরে এলো।ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লো।চোখ বন্ধ করতেই সে নৃশংস দৃশ্যটি চোখের সামনে উঁকি দেয়। সারারাত ছটফট করতে করতে কেঁটে গেল।
সোনিয়া নামের মেয়েটি সামনে বসে আছে রোয়েনের।খুব ছোট্ট জামা পড়ে আছে রোয়েন কে আকর্ষন লাগানোর জন্য।কিহলো স্যার এতো ভাবছেন কি রানের কাপড় সরাতে লাগলো সোনিয়া।রোয়েন ধপ করে কাপড় ধরে ফেলল Don’t do this.সোনিয়ার হাসি মাখা মুখ নিমিষে অন্ধকার হয়ে গেল কি পেয়েছিস হ্যা এভাবে এতক্ষন বসিয়ে রেখেছিস তামাশা করার জন্য?
রোয়েন উঠে দাঁড়ালো এতো সাহস কি করে হলো তোর রোয়েন আহমেদ কে তুইতামারি করে বলার। হাতের পিস্তল টি মেয়েটির দিকে তাঁক করলো রোয়েন।এক্ষুনি বেরিয়ে যা নাহলে একটা বুলেট মিস যাবেনা। মেয়েটি রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বেরিয়ে গেল।
রুহীর পাশে শুয়ে আছে।হঠাৎ রুহীর কানের দিকে চোখ পড়লো স্নিগ্ধার। রুহী তোর কানের দুল কই?কানের দুল কই মানে কানেই তো(কানে হাত দিলো রুহী)কানের দুল একটি নেই।কই আমার কানের দুল?খুঁজতে লাগলো বিছানায়। নিজের চুলে হাত বুলালো কিন্তু নেই।সাদা জামাটিতে খুঁজলো কিন্তু নেই।রুহীর মা মারা যাওয়ার সময় তার মেয়েকে দিয়ে গিয়েছিলেন।কানের দুলটিই ছিলো মায়ের একমাত্র স্মৃতি।হাঁটু গেড়ে বসে কাঁদতে লাগলো রুহী।শেষ স্মৃতিটিকে রাখতে পারলোনা ও।
রোয়েন কোটটি খুলে ফেলার সময় কি যেন একটা পড়লো।অাঁধারে জ্বলজ্বল করছে।বস্তু টিকে হাতে উঠালো রোয়েন। একটি স্বর্নের কানের দুল বেশ পুরোনো।সম্ভবত মায়াবতীর কানের দুল।

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে