MEANINGLESS LIFE PARTNER Part-08

0
1613

#MEANINGLESS_LIFE_PARTNER (অর্থহীন জীবন সঙ্গী)
পর্ব:8
#লেখিকা_Arshi_khan

(DESPERATELY NEED YOUR LOVE:তোমার নিদারুণ ভালোবাসার প্রয়োজন)

সকালের সোনালি রোদের উত্তাপ পুরো রুম কে মরুভূমিতে পরিণত করেছে।এদিকে মাথা ব্যাথার কারণে আর ঘুম ও আসছেনা।বেশ রাতেই ঘুমানোর কারণে এখন মাথা ব্যাথা করছে।এখন উঠে গরম গরম এক কাপ চা খেলেই মাথা টা হালকা হয়ে যাবে আর মাথা ব্যাথা ও চলে যাবে।ঘুম থেকে উঠে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস হয়ে নিলাম। ওয়াশরুম থেকে বের হতেই দেখি রুত আমার খাটের উপর বসে আমার ফোন নিয়ে কি যেন করছে!আমি আস্তে করে বেডের পেছনে থেকে গিয়ে ওকে আমার সাথে জড়িয়ে ধরতেই যাব হঠাৎই আয়েশার আগমন এ আমি হতভম্ব হয়ে পিছিয়ে গেলাম।(মনে মনে আয়ান)

রুতবা ভাবি তোমার কথা হল?আরে ভাইয়া তুমি ভাবির পেছনে কি করো?(আয়েশা আয়ান এর উদ্দেশ্য)

আমি আসলে হয়েছে কি!(আমতা আমতা করে আয়ান)

না কথা হয়নি। হলে আসছি তুই যা।(রুতবা আয়েশার উদ্দেশ্য)

আচ্ছা যাচ্ছি। আর আম্মু ডাকছে একটু জলদি এসো।(বলেই চলে গেল আয়েশা)

কি আয়ান ভাই আমার পেছনে কি করছ তুমি?(রুতবা দাড়িয়ে কোমর এ হাত দিয়ে)

আমি ঝড়ের গতিতে ওর সামনে এসে ওকে আমার সাথে চেপে ধরলাম। দুই হাত দিয়ে ওর কোমর আর দুই পা দিয়ে ওর পা। ও হঠাৎই এমন কান্ডে আমার দিকে বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়েই আছে।আমি ওকে আরেকটু কাছে টেনে হাতের বাধন টা আরেকটু শক্ত করলাম।
কি রুত পাখি এমন ফুরুত ফুরুত করে উড়ো কেন?কালকে রাতে আমার ঘুম হারাম করে পালানোর শাস্তি এখন দিলে কেমন হয় বলতো?(আয়ান মুচকি হেসে)

দেখ আয়ান ভাই এইসব ফালতু কথা বলবেনা।আর যখন তখন আমাকে এমন করে ধরবেনা।আমার কেমন কেমন যানি লাগে?এখন ছাড় আমি আম্মুর কাছে যাব।(রুতবা আয়ান এর বুকে হাত দিয়ে ধাক্কা দিয়ে)

রুত একটা কথা বলি?(আয়ান রুতবার ঠোঁটের দিকে তাকিয়েই)

কি?(আয়ান এর চোখের দিকে তাকিয়েই রুতবা)

ভালোবাসি খুব। (আয়ান রুতবার গালে এক হাত দিয়ে)

হুম। (রুতবা আস্তে করে)

আচ্ছা যাও।(রুতবাকে ছেড়ে সরে বসে আয়ান)

আয়ান ভাই। (আয়ান এর একটা হাত ধরে রুতবা)

হুম (আয়ান রুতবার হাতের দিকে তাকিয়ে)

আমাদের বিয়ের সময় কি হয়নি?(রুতবা মাথা নিচু করে)

হয়তো হয়েছে।তবে আমি বলেছিলাম যেদিন আমার বউ বুঝবে এক কাথার নিচে ঘুমালেই বেবি হয়না সেদিন আমি আমার রুতকে কাছে টেনে নিব।আর আমি এখন বিয়ে করলে অবশ্যই নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারব না।তাই আগে আমার জানতে হবে আমার বউ কতটা বুদ্ধিমান হয়েছে।(রুতবার হাত টা একটু শক্ত করে ধরে আয়ান)

আমাকে আম্মু ডাকে আয়ান ভাই। ছাড়(রুতবা লজ্জা মিশ্রিত কন্ঠে)

ধরতে পারলাম কই?(আয়ান রুতবার হাত ছেড়ে)

আমি একেবারেই এখানে এসেছি আয়ান ভাই। আমি আর একা ফিরতে চাইনা।আমার বাবার বাড়ি আমি আর একলা যাবনা আয়ান ভাই কথাটা মাথায় রেখ।(বলেই ঘর থেকে বেরিয়ে নিচে চলে আসলাম রুতবা)

আয়েশার বিয়েটা হোক তারপর তোমার ব্যবস্থা করব রুত পাখি।আমার মনের পিনজিরাতে আমার রুত পাখিকে বন্ধি করে রাখার ব্যবস্থা খুব শীঘ্রই করব।
আমি একটা গেঞ্জি পরে নিচে নেমে আসলাম।সকালের ব্রেকফাস্ট করে একটু ডাইনিং রুমে বসলাম। আব্বু এসে বলল তাদের সাথে বিয়ের বাজার করতে যেতে।আমি ও উঠে চললাম আব্বুর ও বোনের জামাই দের সাথে বাজার এর উদ্দেশ্য। গত সাত বছরে জিনিস এর দাম মনে হল আকাশ পাতাল তফাত। আগামী দিন গুলোতে আরো কয়েকশ গুন দাম বাড়বে বোঝাই যাচ্ছে। তাইতো প্রবাসীদের এত্ত কষ্টের পর ও সেই টাকা দিয়ে বড় যৌথ ফেমেলির চলতেও হিমশিম খেতে হয়।বাজার করে বাড়ি ফিরতে বিকাল চারটা বেজে গেল। আমি আমার হাতের জিনিস ডাইনিং এ রেখে চললাম আমার রুমে।আমার রুম দুইতালাতে বানানো হয়েছে।যাইহোক আমি একটা টাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুম চলে গেলাম। গরমে ঘেমে একাকার অবস্থা। তাই ফ্রেস হওয়ার পর একেবারেই গোসল সেরে নিলাম। যেহেতু শুধু টাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুম গেছি তাই সেই টাওয়াল দিয়ে এই শরীর মুছে নিলাম। আর টাওয়াল পেঁচিয়ে বেরিয়ে আসলাম। আসতেই দেখি রুত একটা গ্লাস হাতে দাড়িয়ে আছে।ওর সামনে এমনে বের হয়ে আমার এই লজ্জা লাগছে।ও আমার দিকে হা করে তাকিয়েই আছে।আমি তাই জলদি আলমারির থেকে একটা শার্ট বের করে পরে নিলাম।
এখানে কি কর?(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য)

তোমার জন্য শরবত বানিয়ে এনেছি।নাও খেয়ে খাবার খেতে আস।(রুতবা মুখ ঘুরিয়ে)

এত্তক্ষণ হা করে তাকিয়ে এখন অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে লাভ কি?সবতো দেখেই ফেলছ।(আয়ান রুতবার কাছে এসে)

বেশি কথা না বলে পেন্ট পর। নাহলে তোমার ইজ্জতের বারোটা বাজায় দিব ফাজিল লোক। (রুতবা দাঁতে দাঁত চেপে)

তাই না।আসো কাছে আসো দেখি কিভাবে ইজ্জতের বারোটা বাজাও।(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য ডেভিল লুক দিয়ে )

শরবত নিবা নাকি খেয়ে ফেলব?(রুতবা মুখ ভেংচি কেটে)

খাও মানা করছে কে?(পেন্ট পরতে পরতে আয়ান)

অসভ্য লোক আমার সামনে পেন্ট পরতে কে বলেছে তোমাকে?(রুতমা ঘুরে দাড়িয়ে)

এত্ত লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই।কয়েকদিন পর (আয়ান রুতবার সামনে এসে থেমে গিয়ে )

আস্তাকফিরুল্লাহ মার্কা কথা বার্তা বল কেন আয়ান ভাই?(রুতবা আয়ান এর দিকে ঘুরে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে)

যা সত্যি তাই বললাম।এত্ত ভাব নেওয়ার কি আছে?(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য)

তোমার মাথা গেছে।নাও তোমার শরবত টা খাও তারপর খেতে আস।(রুতবা আয়ান এর হাতে শরবত ধরিয়ে নিচে চলে গেল)

হাহাহা।
ওর কান্ডে মাঝেমধ্যেই প্রচুর হাসি পায়।শরবত টা খেয়ে আবার নিচে আসলাম দুপুর এর খাবার খেতে।খাবার খেয়ে রুমে আসলাম একটু রেস্ট করব বলে।এখন বাজে বিকাল পাচঁটা।এখন একটু ঘুমালে সাতটার মধ্যেই উঠতে পারব।সেই ভেবেই ঘুমিয়ে পড়লাম। কিন্ত ঘুম ভাঙ্গল মিষ্টি একটা ঘ্রাণ এ।মেয়েদের শেমপুর ঘ্রাণ আমার নাকে কেন লাগছে।হাল্কা ভাবে সারা মুখে কারো হাত বুলানো তে ঘুমটা আরো হাল্কা হয়ে গেল। হঠাৎই কানে ফিসফিস শব্দে ঠোঁটের কোনে হাল্কা মৃদু হাসি খেলে গেল। আমার সামনে বসা/শুয়ে থাকা রমনির কান্ডে মনে আরেকটু রোমান্স খেলে গেল। আমি নিশ্চুপ থেকে তার বলা ফিসফিস করা কথা গুলো শুনে যাচ্ছি। আমার প্রতি তার অভিযোগ এর শেষ নেই যেন।এ অভিযোগ এর ভান্ডার এ কালেও শেষ হবে বলে মনে হয়না।আমি আস্তে করে চোখ খুলতেই দেখি রুত আমার সামনে বসে আমার চুলে হাত বুলিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেও থেমে সরে যেতে চাইল।আমি ওর হাতটা টেনে আমার উপর ওকে ফেলে দিলাম।ও সাথেসাথেই চোখ বন্ধ করে নিল।
চুন্নি লুকিয়ে লুকিয়ে আদর করছ কেন?যখন আমি সামনের থেকে আদর করতে যাই আমাকে অসভ্য বল।এখন তোমাকে কি বলা উচিত?(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য)

ছাড়।(চোখ বন্ধ করেই রুতবা)

কেন?কাছে আশার আগে মনে ছিলনা যে আমার কি হতে পারে তোমাকে কাছে পেলে বা তোমার কি হবে এর পরে?(আয়ান রুতবার ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে)

না।আমি এসব ভেবে তোমার সামনে আসিনি আয়ান ভাই। (রুতবা চোখ বন্ধ রেখে)

রোমান্স এর মধ্যেই সব সময়ই পানি ঢেলে দাও কেন রুত?(আয়ান হতাশ কন্ঠে)

কি করলাম আমি আবার?(রুতবা চোখ বড় করে)

আমি তোমার হাজবেন্ড হোই ভাইনা।তাই আয়ান ভাই আর বলবা না।এখন যাও দুই কাপ কফি বানিয়ে আন। তোমার সাথে কফি পান করা উপভোগ করতে চাই এখনি।(আয়ান উঠে বসে)

হুম। (রুতবা উঠে হাটা দিল)

রুত।(আয়ান)

হুম।(দাড়িয়ে রুতবা)

এরপর আমার কাছে এভাবে আসলে আমি কিছু একটা করে বসব।তখন আমাকে দোষারোপ করতে পারবেনা।আর বিশেষ করে আমার সামনে আসলে ওরনা ভাল মতো গলাতে দিয়ে আসবে।(আয়ান নিজের চুল ঠিক করতে করতে)

এত্ত দিকে নজর দিতে বলছে কে লুচ্চু বেটা?(কোমর এ হাত দিয়ে রুতবা)

ওরনা ছাড়া আমার সামনে আসতে বলছে কে লুচ্চু মহিলা?(আয়ান রুতবার হাত ধরেই)

ছাড় বলছি।(দাঁতে দাঁত চেপে রুতবা)

তোমাকে ধরলেই বল ছাড় ছাড় ছাড় কেন হে রমনী মাঝে মাঝে ধরো ধরো ও তো বলতে পারো ।(চোখ টিপ দিয়ে আয়ান)

আয়ান ভাইইইইই তুমি একটা বদ লোক, অসভ্য লোক, খারাপ লোক, লুচ্চু লোক।(রুতবা আয়ান এর উদ্দেশ্য হালকা চিৎকার করে)

তাই বুঝি।তাহলে আসো এত্ত গুলো উপাধি গুলো সব পূরণ করে ফেলি।(রুতবাকে কাছে টেনে আয়ান)

সরো।(বলেই আয়ান এর পেটে ধাক্কা দিয়ে ঘর ছেড়ে দৌড়ে বেরিয়ে আসলাম)

ও বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর আয়েশা এসে কফি দিয়ে গেল। রুত আর এমুখো হবে বলে মনে হচ্ছে না।বেচারি ভয় পেয়েছে। কফি খেতে খেতে রুতবার কথা মনে করে কিছুক্ষণ হাসলাম আর ওর অভিযোগ গুলোর কথা মনে পড়তে লাগল।কফি খাওয়ার পর নিচে এসে সবার সাথে আড্ডা দিলাম তারপর রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে আসলাম। এভাবেই হাসিমজা খুনসুটি তে কেটে গেল পুরো চারদিন।আজকে আয়েশার হলুদ সন্ধা। সব মেয়েরা আজকে লাল জামদানি শাড়ি পরেছে আর ছেলেরা হলুদ পাঞ্জাবী।কাজের চাপ এ রুতকে দেখার সুযোগ আর হয়ে উঠেনি।আয়েশাকে হলুদ দেওয়ার সময় আমাকে আর রুতকে একসাথে পাঠানো হলো। সেই সময়ই আমি আমার বাচ্চা বউ কে দেখে ছোট খাট হার্ট এটাক করে বসলাম। আহা বাংলা শাড়ি সাথে হালকা মেকাপ আর খোপাতে গোলাম ফুলের সমারহ।এতেই যেন আমার বাচ্চা বউ কে পরিপূর্ণ রমনি লাগছে।ওকে এই মুহূর্তেই কাছে পাওয়ার নিষিদ্ধ একটা বাসনা কাজ করতে লাগল। কিন্ত এটা যদিও নিষিদ্ধ না কারণ রুত আমার বিয়ে করা বউ। তবুও পুরোপুরিই ওকে বিয়ে না করে কাছে টানার বাসনা আমার কাছে কেন যানি নিষিদ্ধ মনে হচ্ছে। তবে ওকে এই মুহূর্তেই আমার খুবই কাছে চাই।তা এক মুহূর্তের জন্য এই হোক না কেন। আয়েশার হলুদ দেওয়ার শেষ হলে খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা করা হল। খাবার দেওয়ার সময়ই আমি রুতবাকে খাওয়ার পর আমার রুমে যাওয়ার কথা বললাম।সাথেসাথেই ও ব্রু কুচকে তাকাল।কথাটা বলে আমি এক দন্ড ও দেরি না করে সবাইকে খাবার পরিবেশন করে দিলাম। খাওয়ার পর নাচ গান এর অনুষ্ঠান শুরু হল।আমার খাবার টা আমি না খেয়ে আমার রুমে নিয়ে আসলাম। রুত পাখির হাতে খাওয়ার শখ জেগেছে।এখন ও আসলেই হল।(আয়ান মনে মনে)

কি যে ঝামেলাতে ফেলে না আয়ান ভাই। এত্ত মানুষের চোখের অগোচরে দুইতালা তে আশা তাও আয়ান ভাই এর রুমে কত্তটা লজ্জার ও কি বুঝেনা?গ্রামের মানুষ তো আর এটা জানেনা আমি ওর ছোট বেলার বউ। যদি দেখে আমি ওর রুমে ওর সাথে একা তাহলে হাজার টা অপবাদ দিয়ে তারপর আমাদের কথা শুনবে।কিন্ত গত চারদিন ওর সামনে যাইনা।এখন ওর এত্তটা করুন আভাস আমার মনকেও উতলা করে তুলেছে।আমি ওযে চাই আমার আয়ান ভাই আমাকে সর্বদা ভালোবাসুক।এসব ভাবনার মধ্যেই আস্তে করে উপরে চলে এসেছি।তারপর আয়ান ভাই এর রুমে ঢুকে গেট লক করতেই হঠাৎই রুমের লাইট অফ হয়ে গেল। আমি এখন ও গেটের সামনেই দাড়ানো। হঠাৎই আয়ান ভাই আমার সামনে এসে আমাকে তার সাথে জড়িয়ে ধরল। আমি তার বুকে মাথা থাকায় তার বুকের ধুকধুক শব্দ কানে বাজতে লাগল। তার শরীরের স্ট্রং পারফিউম এর ঘ্রাণ আমার নাকে লাগতেই আমার হাতের মুঠি শক্ত হয়ে গেল।
আয়ান ভাই?(রুতবা কাপা কন্ঠে)

হুশশশ রুত আই নিড ইউ বউ। (আয়ান রুতবার কপালে কপাল ঠেকিয়ে)

এখন ও সময় আশে নাই আয়ান ভাই। (আয়ান এর থেকে দুরে সরে রুতবা)

জাস্ট একটু রুত(আয়ান রুতবার হাত ধরে আবার কাছে এনে)

প্লিজ আয়ান ভাই আর কিছুদিন। (আয়ান এর গালে হাত দিয়ে রুতবা)

ওকে সরি।খাবার এনেছি খাইয়ে দাও।
বলেই লাইট অন করে ওর হাত ধরেই বেডের উপর বসিয়ে দিলাম। ওর হাতে খাবার প্লেট দিয়ে আমি মাথা নিচু করে রাখলাম। ওর দিকে তাকালে আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারব না।ও ধীরে ধীরে আমাকে খাবার খাইয়ে দিতে লাগল। খাওয়ার পর ও ওয়াশরুম থেকে হাত ধুয়ে এসে আমার জন্য পানি দিল।আমি পানি খেয়ে দাড়িয়ে গেলাম বের হব বলে।
ফ্রেস হয়ে নিচে যাও।শাড়ি পরে থাকলে গরম লাগবে।(সামনের দিকে তাকিয়েই আয়ান)

আয়ান বিয়ের ব্যবস্থা করো জলদি।(রুতবা কাপা কন্ঠে)

যাও আমি পরে নামছি।(আয়ান অন্য দিকে ঘুরে)

আমি বের হতে গিয়েও আবার ওর কাছে ফিরে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম আর আস্তে করে উচু হয়ে ওর ওধরে আমার ওধর চেপে ধরলাম। ও যেন অনেক সাধনার পর কিছু একটা আকড়ে ধরল।ওর ভালোবাসার প্রথম আক্রমণ গুলো কত্তটা পিপাশাময় তা বোঝানো মুশকিল। অনেকটা সময় কেটে গেল। ও ধীরে ধীরে আমার ওধর ছেড়ে আমার বুকে মাথা রেখে আমাকে জড়িয়ে বেডে বসে পড়ল। আর ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে গেল।
আমি যাই তাহলে!(রুতবা চোখ বন্ধ করেই)

কিছুক্ষণ থাক।(আয়ান শান্ত কন্ঠে)
কেটে গেল আরো কিছুক্ষণ এরপর ওকে ছেড়ে দিতেই ও আস্তে করে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল। আমি নিজের চুল গুলো ঠিক করে ওয়াশরুম থেকে মুখটা ধুয়ে নিলাম। তারপর আবার নিচে চলে আসলাম। রাতের হলুদ খুব সুন্দর মত হয়ে গেল। পরের দিন বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান ও খুব সুন্দর মত হয়ে যাওয়ার পর একটু রেস্ট নিতে উপরে আসলাম। ফ্রেস হয়ে রুমে আসতেই দেখি টেবিল এর উপর এককাপ কফি রাখা আছে।সাথে ছোট চিরকুট তাতে লেখা।
আয়ান ভাই তুমি আমাকে দেখলে এমন করো বলে তোমার সামনে আসতে আমার কলিজা শায় দেয়না কিডনি লাফালাফি করে, হার্ট বিট উড়তে শুরু করে দূর কি লেখছি তা বুঝতে পারছিনা।কফি দিলাম খেয়ে রেস্ট নাও ইতি তোমার বাচ্চা বউ।
হাহাহা আরেকবার কাছে এসো ভয় দূর করে দিব একেবারে রুত পাখি।(আয়ান মনে মনে)

**********(চলবে)***********

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে