Love_at_1st_sight??? Part : 5

0
6947

Love_at_1st_sight???
Part : 5

writer-Jubaida Sobti

ছেলেটি : Cool baby, আমিতো একা ধাক্ষা খায়নি অনিও খেয়েছে, অনিও তো সরি বলেনি।
মার্জান : আজব তো, আপনার কি ওকে দেখে মনে হচ্ছে ও আপনাকে ইচ্ছা করে ধাক্ষা দিবে..
ছেলেটি : Excuse me! what do u mean, আপনি কি বলতে চাচ্ছেন আমাকে দেখতে ইচ্ছা করে ধাক্ষা দেওয়ার মতো ছেলে লাগছে,
মার্জান : দেখেতো তাই মনে হচ্ছে,
স্নেহা : ওকে ওকে,মার্জান স্টপ, সরি ভাইয়া আসলে খেয়াল করিনি।
মার্জান : তুই কেন সরি বললি, হ্যা! ও সরি বলেছে তুকে হে?…?
ঠিক ঐসময় ছেলেটির পাশে আরো কিছু ছেলে আসে এবং বলে What happen bro?.. any problem,
মার্জান : পুরা কলেজটাই গ্যাংগ গ্যাংগ করে ভরাই রাখছে। প্রবলেম এর কি আর শেষ আছে,?
ঠিক ঐসময় রাহুল কলেজ থেকে বের হয়ে পার্কিং এর দিকে যাচ্ছিলো,
তখন ছেলেটি রাহুল কে ডাক দিলো….
ছেলেটি : Hey bro! what’s up.. তোর সাথেই দেখা করতে এসেছি।
রাহুল ছেলেটির দিকে ফিরে তাকাতে একসাথে স্নেহার দিকে ও চোখ যায়।
ছেলেটি গিয়ে রাহুলকে ঝড়ায় ধরলে ও রাহুল ছেলেটিকে ধরেনি,…
রাহুল : (রেগে)sameer, it’s ur last warning..
স্নেহা,শায়লা, মার্জান সবাই অবাক হয়ে যায় এই ছেলেটিই সামির,
অবাক হওয়ারি কথা কারন তারা কলেজে নতুন সামিরকে এর আগে কখনো দেখেনি,
সামির : Don’t worry bro! I promise… আসলে না বুঝে করেছে ওরা,
ওদের আমি মেরেছি অনেক,তুই চিন্তা করিস না,
শায়লা : মার্জান অনেক হয়েছে…চল এবার
শায়লা মার্জানকে টেনে নিয়ে চলে যাচ্ছিলো,…
হঠাৎ করে সামির বলে উঠলো.. hey guys wait..আমার কথা শেষ হয়নি।
সামির রাহুলকে আঙুল দিয়ে স্নেহার দিকে ইশারায় দেখিয়ে বললো,
সামির : bro! who is she… new may be আগেতো দেখিনি ? ধাক্ষা লাগলো তাই সে আমাকে সরি বললো, (হেসে) I lyk it…
সামিরের কথা শুনে রাহুলের রাগ যতটুকু ছিলো তার চেয়ে বেশি বাড়ছে,
সামিরের কথা গুলো স্নেহারা শুনছে না, কিন্তু আঙুল এর ইশারা করাতে বুঝতে পারছে সামির রাহুলকে এখন ঘটা ঘটনাটি বুঝাচ্ছিলো,
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকাতে রাহুল স্নেহাকে মাথাদিয়ে ইশারা করছে চলে যেতে,
স্নেহা ও আর কিছু না বলে চলে যায়।
মার্জান : এই বদমাইশটাই সামির, ইচ্ছা করছে আমিও রাহুলের গ্রুপ এ যোগ দিয়ে,,সামিরটারে ইচ্ছা মতো কিছু ধোলায় করি,?
শায়লা : তুই না খুব বাড়াবাড়ি করিস মার্জান, ধাক্ষা দিয়েছে তো কি হয়েছে,এভাবে হয়ে থাকে, আর তুই জানিস না এসব ছেলেদের একটা বলবি আর ওরা দশটার একশন নিবে।
মার্জান : দেখ আমি কিন্তু সব সহ্য করতে পারি কিন্তু ইপ্টিজিং মোটেও না।?
শায়লা : তো তুই কি বুঝাতে চাচ্ছিস ছেলেটা তোকে নেক্সট টাইম পেলে কিছু করবে না,
মার্জান : তুই আমাকে চ্যালেঞ্জ করছিস?.. হে?… ওকে আমি তোকে চ্যালেঞ্জ করলাম। ছেলেটা আমাকে কিছু করতে পারবে না।?
শায়লা : এতো কনফিডেন্স?..?
মার্জান : হ্যা কিন্তু ঐটার জন্য আমায় স্নেহাকে একটু ইউস করতে হবে।
স্নেহা : আমাকে…? আমি বাবা মারপিট পারিনা। এসব আমাকে দিয়ে হবে না।?
শায়লা : মার্জানের দিকে তাকিয়ে ওওও তো এবার বুঝলাম এতো কনফিডেন্স কি জন্যে,
মার্জান, জারিফা, শায়লা সবাই হেসে উঠে স্নেহার দিকে তাকিয়ে স্নেহা কিছুই বুঝলো না…
মার্জান : আরে বাবা তুই মারপিট করবি কেন? আমাদের জিজু আছে না ?
স্নেহা : মার্জান তুই কিন্তু বেশি করছিস
স্নেহা বাসায় গিয়ে… ফ্রেশ হয়ে…শুয়ে থাকে… স্নেহার মা হঠাৎ রুমে এসে বলে
স্নেহা একটা প্রস্তাব এসেছে তোর জন্য ছেলে লন্ডনের সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার।
তুই যদি চাস কথা বলতে পারি,
স্নেহা : মা বললাম না আমার বিয়ে নিয়ে তোমাদের টেনশন করতে হবে না। আমি এখন বিয়ে করবো না,?
মা : তুই কি কাউকে পছন্দ করিস নাকি??
স্নেহা : কি যে বলো মা,
করলে কি তোমায় বলতাম না।?
মা : না এ কয়েকদিন তুই একা একা রুমে থাকছিস। কেমন যেন চেঞ্জ হয়েছিস লাগছে তাই বলছি। শোন এটা মনে রাখবি আমি কিন্তু তোর মা। তুই আমার থেকে হয়েছিস।
স্নেহা : (হেসে) আচ্ছা যাওতো মা। আর ডং করিওনা পড়তে হবে আমায়।
মা চলে গেলে স্নেহা মনে মনে হাসে আর রাহুলের কথা ভেবে ভেবে (blushes)
পরদিন কলেজ গেলে স্নেহা ক্লাসে ঢুকার সময় হটাৎ পেছন থেকে হাত ধরে টেনে রাহুল সেইম ক্লাস টাই নিয়ে যায়।ক্লাস আগে থেকেই খালি ছিলো… আজ।
স্নেহা : (অবাক হয়ে) কি হলো! আর আপনি এইভাবে এন্ট্রি করেন কেনো যেন!
রাহুল : (স্নেহার কাছে এসে) যেন কি?..
স্নেহা : নিচের দিকে তাকিয়ে কিছু না।?
রাহুল : আচ্ছা স্নেহা একটা কথা জিজ্ঞেস করি…
স্নেহা : হুম,?
রাহুল : আমার জায়গায় যদি তোমাকে অন্য কোনো ছেলে এভাবে টেনে আনতো তাহলে ও কি তুমি এমন behave করতে??
স্নেহা : না তো…?
রাহুল : ওহ রিয়েলি!? (with তেডি স্মাইল) so আমার সময় আলাদা কেনো,
স্নেহা : ( কাপা গলায়) কারন আপনি দেখতে ভয়ানক।?
রাহুল : what!?
স্নেহা : না হয়তো কি, আপনি যেভাবে তাকান আমার দিকে অন্যরা ঐভাবে তাকায় নাকি,?
রাহুল : Oh really ? (with তেডি স্মাইল)
(রাহুল আবার স্নেহার কাধের উপর দেওয়ালে এক হাত দিয়ে দাঁড়ায়, স্নেহা চলে যেতে চায়লে রাহুল বাকি হাতটা ও দেওয়ালে দিয়ে স্নেহাকে আটকে ফেলে,)
স্নেহা : দেখেন আমাকে যেতে দেন আমার ফ্রেন্ডসরা ওয়েট করছে আমার জন্য,…?
বলতেই হঠাৎ মার্জান রুমে ঢুকে পরে,
রাহুল তাড়াতাড়ি দেওয়াল থেকে হাত সরিয়ে পকেটে হাত দিয়ে দেই।
মার্জান : চোখে হাত দিয়ে ??eeeeehhhhh সরি সরি.. আমি কিন্তু কিছু দেখিনি।
স্নেহা : মার্জান তুই,…
মার্জান : আমিতো তো তোকে খুজছিলাম, তাই…
(দুষ্টুমির ভংগিতে) জিজু ? আমি কিন্তু কিছু দেখিনি…?
রাহুল একটা তেডি স্মাইল দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে পরলো..
মার্জান স্নেহাকে গিয়ে ঝড়ায় ধরলো…
আর বলতে লাগলো
বেষ্ট অফ লাক বান্ধবী… তোদের দুজনকে দারুন মানাবে,
স্নেহা লজ্জায় (blushes)
ঐদিকে রাহুল যে ছেলে গুলোকে পাহারা দিতে বলেছে তাদের উপর গিয়ে রেগে গেলো
তাদের বলেছিল রাহুলের পারমিশন ছাড়া কাউকে যাতে ভেতরে ঢুকতে না দেই। ( কিন্তু মার্জান যখন দূর থেকে দেখলো রাহুল স্নেহাকে টেনে নিয়ে রুমটাই ঢুকে পরলো তখন মার্জান ছেলেগুলোকে মিথ্যে বলে,) রাহুল মার্জানকে ফোন দিয়ে আসতে বললো বলে সে ঢুকে পরে।
রাহুল তাদের থেকে কথাটি শুনে আর কিছু বললো না,
আর মনে মনে হাসতে লাগলো,
স্নেহা এলো প্রেক্টিস রুমে,
স্নেহাকে দেখে নেহার মাথা ৯৯ডিগ্রি গরম হয়ে যায়।
মিস : স্নেহা তুমি প্রেক্টিসে কম আসো কেন এভাবে কি কমপ্লিট করা যাবে?
স্নেহা : সরি মেম।?
মিস : ইটস ওকে,, and don’t missed it again.
রাহুল বার বার স্নেহার দিকে তাকায়? আর নেহা মনে মনে জ্লতে থাকে।
রাহুল : নেহা তুই বিয়ে কবে করবি।
নেহা : যখন তুই চাস,
রাহুল : ওহ করে ফেল,আর আমাদের তাড়াতাড়ি আংকেল ডাকটা শুনতে দে।?
নেহা : What! ?
তাদের কথা শুনে শায়লা আর স্নেহা দুজনে হেসে উঠে।
নেহা : অনেক হাসি পাচ্ছে তাই না,তোমাদের..??.?
Shameless peoples?
… এইখানে যতক্ষন থাকবো মাথা পেইন করবে,…
নেহা গিয়ে মেম কে বলে আজকের প্রেক্টিস অফ করে দেয়।
রাহুল নেহার কান্ড দেখে হাসতে থাকে,
নেহা সবার কাছে সেরা হলে ও রাহুলের কাছে তার কোনো মূল্য নেই।?
মিস প্রেক্টিস রুম থেকে চলে যাওয়ার পর,
রাহুল : স্নেহা তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো
স্নেহা : জি বলেন!?
রাহুল চুপ করে থাকাতে শায়লা বুঝতে পারে রাহুল শায়লা আছে তাই কিছু বলতে পারছে না।
শায়লা : স্নেহা তুই আয় তাহলে আমি যাচ্ছি।?
স্নেহা : না তুই থাক কই যাচ্ছিস।?
রাহুল : ও বলছে না ও সামনে যাচ্ছে,…? I mean নিশ্চয় ওর কোনো কাজ আছে।
শায়লা হেসে বেরিয়ে যায়।
স্নেহা : দেখেন আমি বলে দিচ্ছি কিন্তু আমার কাছে আসবেন না যা বলার ঐ দিক থেকেই বলুন।
রাহুল স্নেহার কথা শুনে আরো কাছে আসে এবং স্নেহার কোমোরে হাতদিয়ে আরো কাছে টেনে নেই।
রাহুল : আর যদি আসি তাহলে,
স্নেহার আর কোনো শব্দ বের হচ্ছে না।  
(চলবে)।।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে