Sunday, October 5, 2025







Love At 1St Sight Season 3 Part – 24

Love At 1St Sight
~~~Season 3~~~

Part – 24

writer-Jubaida Sobti

কানে শ্রোতের আওয়াজ ভেসে আসছে,
ঠান্ডা বাতাসে স্নেহা মুড়িয়ে যাচ্ছে রাহুলের বুকে,

রাহুল স্নেহাকে তার দিক ফিরিয়ে জড়িয়ে নিলো… স্নেহা চোখ বন্ধ করে খামছে ধরে আছে রাহুলের জ্যাকেট,রাহুল ধীরেধীরে স্নেহার ঠোটের স্পর্শ ত্যাগ করলো… মাথার উপর ঝাপিয়ে দেওয়া স্নেহার ওড়নাটি সরিয়ে স্নেহাকে গায়ে মুড়িয়ে দিলো,এবং আস্তে আস্তে আংগুল দিয়ে স্নেহার মুখে স্লাইড করে চুলগুলি সরিয়ে দেই,

স্নেহা ধীরেধীরে চোখ খুলে রাহুলের দিক তাকাতেই দেখে রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে থাকিয়ে আছে ,স্নেহা লজ্জা পেয়ে একটু হেসে রাহুল থেকে ছুটে…দৌড়ে ভেতরে চলে যাচ্ছিলো…সাথে সাথে রাহুল পেছন থেকে স্নেহার হাত ধরে আটকিয়ে ফেলে, স্নেহা জোড়ে জোড়ে শাস ফেলছে…

রাহুল : নিঝুম,নির্ঘুম, রাতের ঐ কালো ছায়া,

– [ চেঁচিয়ে ] স্নেহা!

[ স্নেহা অবাক হয়ে ফিরে তাকালে ]

রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে ] আপনার ঠোটের ছোয়াতে ভালো লাগা এ কি মায়া, [ স্নেহা ব্লাশিং ]

রাহুল : [ স্নেহার কাছে এসে,] নিবুনিবু বাতাসে, ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা আভাসে, কুয়াশায় ভরা আকাশে,

[ স্নেহা একটু মুচকি হেসে দেই রাহুলের কান্ড দেখে ]

রাহুল : চাঁদনী বসে আছে তার সূর্যের আশায়, আর স্নেহা ডুবে আছে তার রাহুলের ভালোবাসায় [ বলেই মুখটা কাছে এনে স্নেহার নাকের সাথে নাকটা লাগিয়ে দেই ]

[ স্নেহা ব্লাশিং হয়ে হেসে দেই ]

রাহুল : [ হেসে ] ওকে… ভেতরে চলো এইখানে ঠান্ডা, [ বলেই স্নেহাকে নিয়ে ভেতরের দিক এগুচ্ছে ] এত্তো কেয়ারলেস্ কেনো স্নেহা তুমি?..একটা সুয়েটার পড়ে আসতে পারতে,

স্নেহা : [ থেমে গিয়ে ] রাহুল! আমার না একটা কল করা দরকার!

রাহুল : কাকে?..

স্নেহা : ওদের..আ..আই মিন…

রাহুল : [ হেসে ] অও! Understand! আচ্ছা চলো ভেতরে গিয়েই করো!

স্নেহা : ওকেই!

দুজনেই ভেতরে গিয়ে লিভিং সোফায় বসে, স্নেহা মোবাইল বের করে জারিফাকে কল দিলো,

জারিফা : [ ফোন রিসি্ভ করে ] ওহো! স্নেহা.. মেরি জান! আমাদের কথা মনে আছে বুঝি?..

স্নেহা : [ ফিসফিসিয়ে ] Shut-up জারিফা! আচ্ছা শোন! তোরা আছিস নাকি বাসায় চলে এসেছিস?..

জারিফা : আ..এক..এক্সুলি [ মুখে হাত দিয়ে ফিসফিসিয়ে ] আমি না রিদোয়ানের সাথে বাইরে এসেছি!

স্নেহা : [ একটু হেসে ] ওহ! আচ্ছা, ওকে তাহলে,

জারিফা : [ চেঁচিয়ে ] আচ্ছা শোন!

স্নেহা : হ্যা! বল..

জারিফা : একটু রাহুলকে দে!

স্নেহা : [ হেসে রাহুলকে ফোন এগিয়ে দিয়ে ] জারিফা!

রাহুল : [ হেসে,স্নেহা থেকে ফোন এগিয়ে নিয়ে লাউডস্পিকারে দিয়ে স্নেহার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ে, ] ইয়েস্ মেরি আধি ঘারওয়ালি!

জারিফা : [ এক্সাইটেড হয়ে ] ওহো! জিজাজি, কি সুইট সুইট ভয়েস্ আসছে…

রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে থেকে ] এক্সুলি! আমি না একটু আগেই সুইট খেয়েছি তাই সুইট ভয়েস আসছে!

[ স্নেহা লজ্জায় ব্লাশিং হয়ে অন্যদিক ফিরে যায় ]

জারিফা : [ মুখে হাত দিয়ে ফিসফিসিয়ে ] বাই দ্যা ওয়ে! জিজু.. আমি না সব ডিটেলে নিবো… কিন্তু!

রাহুল : হোহ-হো [ বলে চেঁচিয়ে হেসে উঠে ]

[ স্নেহা হুট করেই রাহুল থেকে ফোনটা কেড়ে নিয়ে কেটে দেই ]

রাহুল : আরে স্নেহা! [ বলেই স্নেহার কোল থেকে মাথা তুলে বসে ] ও ডিটেল চাইছিলো! কেটে দিলে কেনো! [ চোখ মেরে ]

স্নেহা : [ আড় চোখে রাহুলের দিক তাকিয়ে ] যেমন আপনি তেমন ও! একফুটা ও লাজলজ্জা নেই আপনাদের!

রাহুল : [ স্নেহার পেছনে সোফার উপর হাত রেখে স্নেহার গায়ের সাথে লেগে বসে ] সো্ লজ্জা কিভাবে পাই?… [ বলেই স্নেহার কাধের দিক মুখ এনে স্নেহার চুলের স্মেল নিতে লাগলো ]

স্নেহা : [ হেসে মাথা সরিয়ে ] রাহুল! আমার আরেকটা ফোন করা বাকি আছে!

রাহুল : ওকে ওকেই!….[ বলেই সোজা হয়ে বসে ]

[ স্নেহা একটু হেসে মার্জানের মোবাইলের কল দেই! ]
________________________________

এইদিকে,
মার্জানের ফোনে রিং বেজে উঠায়!

মার্জান : [ হালকা হালকা চোখ খুলে আসিফের দিক তাকিয়ে ] হো..হোয়াটে..মিউজিক… হ্যা?..[ চেঁচিয়ে ] ডিস্…ডিস্গাষ্টিং মিউজিক…

আসিফ : [ হেসে ] তোমার ফোনেই বাজছে! ফোন ধরো!

মার্জান ফোন হাতে নিতে গেলে হঠাৎ হাত থেকে পিছলে ফোন নিচে পড়ে যায়, এদিক ওদিক খুঁজতে লাগলো সে!

আসিফ : ওয়েট! [ বলেই লাইট জালিয়ে দিয়ে ] এইবার নাও…

[ মার্জান ফোনটা দেখে ও আর নিচ্ছে না.. ]

আসিফ : আরে কি হলো! ফোন বাজছে তো…উঠাও..

মার্জান : No…[ চেঁচিয়ে ] আপনি আমার কক..কথা শুনেছেন?..আম..আমি ..কেনো শুনবো?.. [চেঁচিয়ে ] শুশ..শুনবো না…[ বলেই সি্টে হেলান দিয়ে ঢলে পড়ে ]

[ আসিফ বিরক্তি হয়ে জোড়ে একটি শাস ফেলে আবার ড্রাইভ করতে থাকে ]
________________________________

এইদিকে, স্নেহাকে চিন্তিতো দেখে,

রাহুল : হেই! কি হয়েছে?..

স্নেহা : [ সে্ড এক্সপ্রেশন নিয়ে ] মাম..মার্জান…কতোবার ফোন দিচ্ছি…রিসি্ভই করছে না!

রাহুল : [ হেসে ] রিলেক্স স্নেহা! আরে এটার জন্য এভাবে চেহেরা বানিয়ে আছো কেনো…হয়তো কোনো কারণে বিজি্ আছে তাই রিসি্ভ করতে পারছে না..

স্নেহা : কিক…কিন্তু রাহুল ও যতোই বিজি্ হোক এক রিং পড়তেই ফোন রিসি্ভ করে ফেলে!

রাহুল : ওকে ওয়েট!…আমি দেখছি! [ বলেই রাহুল পকেট থেকে ফোন বের করে আসিফকে কল দেই ]

আসিফ : [ ফোন রিসি্ভ করে ] হ্যা! রাহুল বল?…

রাহুল : আসিফ! মার্জান তোর আশেপাশে আছে?..

আসিফ : আশেপাশে না…আমার গাড়ীতেই আছে!

রাহুল : তোর গাড়ীতে?..আচ্ছা ড্রপ করে দিচ্ছিস?.. [ স্নেহা অবাক হয়ে রাহুলের দিক তাকালো ]

আসিফ : [ ফিসফিসিয়ে ] ইয়ার! She fully drunk!

রাহুল : [ অবাক হয়ে ] হোয়াট?..

স্নেহা : কি হয়েছে রাহুল?..

আসিফ : আই থিংক ফার্ষ্ট টাইম খেয়েছে!

রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] স্নেহা! মার্জান কি আগে কখনো ড্রিংক করেনি?…

স্নেহা : হোয়াট রাহুল পাগল নাকি?..এসব খাওয়া তো দূরের কথা ছুয়ে দেখেনি কখনো!

রাহুল : আচ্ছা ওকে তুই একটু খেয়াল রাখ…আমরা আসছি!

আসিফ : ওকে! [ বলেই ফোন রাখে ]

স্নেহা : কি হয়েছে রাহুল?..

রাহুল : তেমন কিছুইনা! মার্জান ড্রিংক করেছে…ডোন্ট ওয়ারি! আসিফ ওকে বাড়ী পৌছে দিচ্ছে…

স্নেহা : [ শকড হয়ে ] ড্রিংক করেছে?.. মার্জান?…

রাহুল : [ হেসে ] রিলেক্স স্নেহা!

স্নেহা : কিক..কিন্ত ও তো এসব খাইনা…[ বলেই উঠে দাঁড়িয়ে গিয়ে ] আচ্ছা রাহুল চলেন আমরা তাড়াতাড়ি যায়…

রাহুল : [ দাঁড়িয়ে স্নেহার হাত ধরে ] হ্যা আমরা যাচ্ছি স্নেহা! কিন্তু…তুমি রিলেক্স থাকো!

– ওকে?..

[ স্নেহা মাথা নাড়ালো ]

রাহুল : আচ্ছা তুমি বসো..আমি এক্ষুণি আসছি…

[ বলেই স্নেহাকে সোফায় বসিয়ে দিয়ে রাহুল বেড়িয়ে ড্রাইবারকে শিপ ঘুড়িয়ে নিতে বললো… ]

একঘন্টা পরেই শিপ পাড়ে এসে পৌছায়,

রাহুল স্নেহাকে নিয়ে শিপ থেকে নেমে হেসে হেসে গাড়ীতে উঠে,

রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে গাড়ী স্টার্ট দিতে দিতে ] স্নেহা!

স্নেহা : [ আড়চোখে রাহুলের দিক তাকিয়ে ] স্টপ!…আর হাসবেন না…বলেদিলাম…

রাহুল : [ কিটকিটিয়ে হেসে ] স্নেহা!সামান্য শিপ থেকে নামতে এভাবে ভয় পেতে আমি তোমাকেই দেখেছি ফার্ষ্ট! [ বলেই আবার হাসতে থাকে ]

স্নেহা : ভয় পাবো না?..মাঝে যে পানি দেখা যাচ্ছিলো! যদি পিছলে পড়ে যায়!

রাহুল : কেনো পড়বে! হাত তো আমিই ধরেছিলাম! [ বলেই স্নেহার দিক তাকালো ]

[ স্নেহা আর কোনো জবাব না দিয়ে একটু ব্লাশিং হয়ে অন্যদিক ফিরে গেলো, রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে গাড়ী ড্রাইভ করতে শুরু করে দিলো, ]

কিছুক্ষণ পর,

স্নেহা : আপনাকে বারবার বলেছি এইদিকে তাকিয়ে ড্রাইভ করবেন না! সামনের দিক ফোকাস্ রাখুন! [ রাহুল হেসে উঠে ]

স্নেহা : [ ইমোশনাল হয়ে ] আর এমনিতেই আমাদের তাড়াতাড়ি যাওয়া দরকার! নাজানি মার্জান কি হালে আছে,

রাহুল : এক্সকিউজ মি! আমার ফ্রেন্ড এমন না! ওকে ?..

স্নেহা : [ একটা জোড়ে শাস ফেলে ] স্টপ ইট! রাহুল আমি ওটা মিন করিনি…

রাহুল : [ হেসে..উঠে ] ওকে ওকে আই জাষ্ট কিডিং,

– আচ্ছা! তোমার তাড়াতাড়ি পৌছানো চাই রাইট! সো্ লেটস্ গো [ বলেই রাহুল গাড়ীর স্পিড বাড়িয়ে আরো জোড়ে চালাতে লাগলো ]

স্নেহা : [ শকড হয়ে ] কিক..কি করছেন আপনি?..এতো ফার্ষ্ট ড্রাইভিং করছেন কেনো রাহুল?..

রাহুল : [ হেসে, মিউজিক ছেড়ে দিয়ে ] গান শুনো চোখ বন্ধ করে!আশেপাশে তাকিওনা…

স্নেহা : [ রেগে,মিউজিক বন্ধ করে দিয়ে ] আপনি আসলেই একটা! [ বলেই চুপ হয়ে যায় ]

রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহার দিক তাকিয়ে ] বলো?..আমি আসলে একটা?.. ইডিয়ট?.. রাব্বিশ? ইউজলেস?… [ কিটকিটিয়ে হেসে সোজা তাকিয়ে ] স্নেহা! You know আমি যেটায় হই,যেমনি হই…তোমারিতো!

স্নেহা : [ মনে মনে ব্লাশিং হয়ে জানালার দিক ফিরে গিয়ে ] আমার ভয় করছে!

[ রাহুল একটু হেসে ড্রাইভ কিছুটা স্লো করে দিয়ে চালিয়ে এসে পৌছালো,এবং স্নেহার বাসার গেইটের সামনে আসতেই আসিফের গাড়ী চোখে পড়লো,]

রাহুল : এটা তো আসিফের গাড়ীই মনে হচ্ছে!

[ বলেই রাহুল তার গাড়ী এগিয়ে নিয়ে আসিফের গাড়ীর পেছনে পার্ক করে রাখে, স্নেহা তাড়াহুড়ো করে নেমে দৌড়ে এগিয়ে যায়, রাহুল নামতেই দেখে আসিফ ও গাড়ী থেকে নেমে তার দিক এগিয়ে আসছে ]

রাহুল : হেইই!

আসিফ : [ কপালে হাত দিয়ে ] কি মসি্বতরে বাবা!

রাহুল : [ হেসে পকেটে হাত দিয়ে ] কি হয়েছে?..

আসিফ : বললাম নামো তোমার বাসায় এসে পড়েছি! আর ও বলে,খালি পায়ে নামবে না, আমি বললাম তাহলে জুতা পড়ে নামো, [ জোড়ে একটি শাস ফেলে ] আবার বলে জুতা পড়লে নাকি পা চুলকাচ্ছে! তারপর আমি আবার বললাম তাহলে খালি পায়েই নামো! তারপর ও কি বললো জানিস?..

রাহুল : [ হেসে ] হো..হোয়াট?…

আসিফ : কেনো আপনি আমার জুতা চুরি করে নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য?..

রাহুল : [ কিটকিটিয়ে হেসে ] সো্ ফানি ইয়ার!

[ বলেই আসিফকে নিয়ে মার্জানের দিক এগিয়ে আসে এবং দেখে মার্জান পা বটে গুটিসুটি হয়ে সিটের উপর বসে আছে ]

স্নেহা : আরে মার্জান কি হলো বাসায় যাবি না?..

মার্জান : ইয়েস্ বাব…বাসায় যাবো! আচ্ছা আমার বাসা…কোথায়?…

স্নেহা কোনো জবাব না দিয়ে মার্জানকে হাত ধরে টেনে বের করতে চাইলে মার্জান তার মাথা স্নেহার কাধে ঢলে দেই! স্নেহা বুঝতে পারলো..মার্জান উঠে দাড়ানোর শক্তিটাও হারিয়ে ফেলেছে, জোড়ে একটি শাস ফেলে হঠাৎ,পাশফিরে তাকাতেই দেখে আসিফ এবং রাহুল হেসে হেসে কান্ড দেখছে,

স্নেহা সে্ড হয়ে রাহুলের দিক তাকালে রাহুল হেসে এগিয়ে আসে এবং স্নেহাকে সরে যেতে বলে, স্নেহা রাহুলের কথা মতো সরে দাঁড়ায়, রাহুল মার্জানের পাশে এসে হাটু ভেংগে আধ বসা হয়ে বসে,

রাহুল : [ হাত তুলে ইশারা করে ] হেইই বেবি!

মার্জান : [ রাহুলের দিক ফিরে ] হাইইই! [ বলেই আবার সি্টে মাথা ঢলে দেই ]

রাহুল : ঘুম পাচ্ছে?..

মার্জান : হুমম! [ বলেই চোখ বন্ধ করে ফেলে ]

[ রাহুল হেসে উঠে দাঁড়িয়ে আসিফকে চোখ দিয়ে ইশারা করলো যাতে মার্জানকে কোলে তুলে নেয়!]

আসিফ : [ চেঁচিয়ে ] আর ইউ মেড?..আমার মাথা অলরেডি চলে গেছে ওর ডোন্ট টাচ্ মি,ডোন্ট টাচ্ মি বলে বলে চেঁচানোতে!

স্নেহা : [ রাহুলের দিক এগিয়ে এসে ফিসফিসিয়ে ] অনেক তো বডি দেখাচ্ছিলেন! আব…আই মিন..আপনিই তুলে নেন না!

রাহুল : আরে ওকে তুলে নিতে আমার কোনো প্রবলেম নেই! [ মার্জানের দিক চোখ দিয়ে ইশারা করে ফিসফিসিয়ে ] ও ফ্রি আছে, [ আসিফের দিক ইশারা করে ] ওই ও ফ্রি আছে..সো্ [ বলেই স্নেহাকে চোখ টিপ মারলো ]

স্নেহা : [ হেসে রাহুলের মাথায় বাড়ি দিয়ে ] আর ইউ ক্রেজি রাহুল?..

রাহুল : ইয়েস্! আচ্ছা তুমি ওর দিক খেয়াল রাখো আমি আসছি! [ বলেই তেডি স্মাইল দিয়ে আসিফের দিক এগিয়ে যায় ]

আসিফ : দেখ রাহুল তুই যদি আবার ও সে্ইম কথাটা বলতে আসিস না…তাহলে আম সরি! যা!

রাহুল : [ আসিফের কাধে হাত দিয়ে জড়িয়ে ] আরে দোস্ত বোঝার চেষ্টা কর! এভাবে এতো রাতে মেয়েটাকে একা রেখে তো আর চলে যেতে পারবো না…আর আমার চেয়েওতো এসব ব্যাপারে তোর ইমোশনাল বেশী…

আসিফ : আচ্ছা?..এখন তুই আমাকে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করা বন্ধ কর!

রাহুল : আরে ব্লাকমেইল করবো কেনো? সিচুয়েশন বুঝাচ্ছি তোকে! [ বলেই আসিফকে ধাক্ষিয়ে গাড়ীর দিক পাঠিয়ে দেই ]

[ আসিফ একটা জোড়ে শাস ফেলে রাহুলের দিক তাকায়, আবার নাক ফুলিয়ে মার্জানকে কোলে নেওয়ার জন্য হাত বাড়ালো, ]

মার্জান : হেইইই ইউ! আই টোল্ড ইউ না! ডোন্ট টাচ্ মি!

[ আসিফ রাগান্বিতভাবে রাহুলের দিক তাকালো, রাহুলের হাসি আসাতে সে তাড়াতাড়ি অন্যদিক ফিরে যায়, ]

স্নেহা : [ আসিফের দিক এগিয়ে এসে ] আ…আপনি! জোড় করে তুলে নিন! আব..আই থিংক শি ইজ আউট অফ সেন্স তাই এমন… [ বলেই মুখ গোমড়া করে ফেলে স্নেহা, তা দেখে আসিফ মার্জানকে জোড় করেই কোলে তুলে নিলো ]

রাহুল : ওয়াও! [ with tedi smile ]

আসিফ : [ নাক ফুলিয়ে ] ওয়েট আমি আসি! [ বলেই এগিয়ে ভেতরে চলে গেলো ]

স্নেহা দৌড়ে আগে গিয়েই দরজা খুলে দিলো, আসিফ রুমে ঢুকে মার্জানকে খাটে শুয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছিলো!

হঠাৎ,

স্নেহা : থেংক্স!

আসিফ : [ হেসে ] দ্যাটস্ ওকে! নো প্রবলেম! [ বলেই চলে যাচ্ছিলো হঠাৎ আবার থেমে গিয়ে স্নেহার দিক তাকিয়ে ] আ…এক কাজ করো,ওকে লেবুর শরবত, অর তেঁতুলের শরবত বানিয়ে খাইয়ে দাও নাহলে অর্ধেক ঘুম থেকে উঠে আবার বমি করতে থাকবে….

[ স্নেহা মাথা নাড়ালো ]

আসিফ : গুড নাইট!

স্নেহা : গুড নাইট,

[ চলে গেলো আসিফ, স্নেহা মার্জানকে বালিশ ঠিক করে শুয়ে দিয়ে গায়ে কম্বল টেনে দিয়ে, দরজা বন্ধ করতে গেলো হঠাৎ মনে পড়লো সে তো রাহুলকে বাই ও বলেনি! আর রাহুলের ফোন নাম্বারটাও নেই যে ফোন করে গুড নাইট বলবে, তাড়াতাড়ি দরজা খুলে আবার শিরি দিয়ে নিচে নেমে আসতেই দেখে রাহুল গেইট দিয়ে ঢুকছে.. স্নেহা হেসে দৌড়ে রাহুলের দিক এগিয়ে গিয়ে জোড়ে জোড়ে শাস ফেলে হাপাতে থাকে, ]

রাহুল : [ স্নেহার কান্ড দেখে হেসে,] এত্তো মেহনত গুড নাইট বলার জন্যে?..

[ স্নেহা ব্লাশিং হয়ে হেসে উঠে রাহুলের কথা শুনে ]

রাহুল : [ হাত দিয়ে স্নেহার মাথা কাছে টেনে কপালে একটি চুমু খেয়ে ] গুড নাইট!

স্নেহা : গুড নাইট! [ With blushing ]

[ রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহার দিক কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে চলে যাচ্ছে, স্নেহা ও ব্লাশিং হয়ে পাশ ফিরে দু-তিন কদম এগুতেই হঠাৎ আবার থেমে গিয়ে পেছন ফিরে তাকায়, সাথে সাথে রাহুল ও ফিরে তাকালো…]

স্নেহা : [ দৌড়ে রাহুলের দিক এগিয়ে এসে ] এক..এক্সুলি..

রাহুল : নাম্বার [ with tedi smile ]

[ স্নেহা অবাক হয়ে রাহুলের দিক তাকালো ]

রাহুল : 01827****** এটাইতো তোমার নাম্বার তাই না?…

স্নেহা : [ শকড হয়ে মাথা নাড়িয়ে ] হ্যা..এট…এটাই! আপনি কিক…কি করে?…

রাহুল : শকড হওয়ার কিছু নেই! You know আই লাভ ইউ স্নেহা! [ With tedi smile ]

স্নেহা : [ ব্লাশিং হয়ে ] ওকে বায়!

রাহুল : বায়! [ বলেই গেইট দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছে ]

[ স্নেহা ও হেসে ভেতরের দিক চলে যাচ্ছিলো,হঠাৎ কানে ভেসে এলো কেউ বলছে..পুরো বিল্ডিংটাই বাজারের মেয়ের আড্ডাখানা বানিয়ে রেখেছে! স্নেহা তাড়াতাড়ি ফিরে তাকালে দেখে দাড়োয়ান ঐদিকটাই কোনায় চেয়ারে বসে আছে, ]

দারোয়ান : কি দেখছেন?..১২টায় বিল্ডিং এর গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়! নিয়মটা জানেন না?.. এতো রাতে কই গেলেন টাকা কামাইতে নাকি?…

স্নেহার চোখের পানি টলমল করছে রাগে,

দারোয়ান : এমন টাকা কামানো এই বিল্ডিং এ চলবে না! অন্যদিক বাসা খুজো! বুঝলা… [ বলতেই হঠাৎ দারোয়ান চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে ঢোগ গিলতে থাকে, তা দেখে স্নেহা পাশ ফিরে গেইটের দিক তাকাতেই থমকে যায়, ]

স্নেহা : রার..রাহুল!

রাহুল চোখ রাংগিয়ে দারোয়ানের দিক তাকিয়ে আছে, এবার স্নেহা বুঝতে পারলো তার মানে রাহুল সব শুনতে পেয়েছে…তাই রাগান্বিত লাগছে,
স্নেহা দারোয়ানের দিক একবার রাহুলের দিক একবার তাকিয়ে যাচ্ছে..কি করবে কিছুই মাথায় আসছে…নাজানি রাহুল কি করে বসে!

হঠাৎ, স্নেহা খেয়াল করলো রাহুল দারোয়ানের দিক এগিয়ে যাওয়ার জন্যই পা বাড়াচ্ছে,

স্নেহা : [ তাড়াতাড়ি দৌড়ে গিয়ে রাহুলের হাত ধরে ] আব..রার রাহুল! কাল ভার্সেটিতে দেখা হচ্ছে..তাহলে ওকে..গুগ..গুড নাইট!

[ রাহুল কোনো জবাব না দিয়ে স্নেহার হাত ধরে টেনে নিয়ে দারোয়ানের দিক এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ালো ]

দারোয়ান : সালাম! স্যার! [ বলেই ঢোগ গিলতে লাগলো ]

রাহুল : দেখে তো মনে হচ্ছে ওর সমান তোর ও ছেলেমেয়ে আছে!

দারোয়ান : জিজ! জি স্যার! দুই মাইয়া একটা ছোড়া!

রাহুল : [ নাকফুলিয়ে রেগে জোড়ে দারোয়ানের গালে একটা চড় মেরে ] তাহলে তোর মেয়েরা ও লেইট লাইটে কোনো ছেলের সাথে বাসায় ঢুকলে ওকে ও বাজারের মেয়ে বলবি?..

[ স্নেহা শকড হয়ে মুখে হাত দিয়ে দেই! ]

দারোয়ান : [ গালে হাত দিয়ে ডলতে ডলতে ] না স্যার! ভুল হইয়া গেসে্

রাহুল : [ দারোয়ানের কলার ধরে কাছে টেনে আরেক গালে চড় দিয়ে ] কেনো?..বল?.. ভুল কেনো হবে?..ও বাজারের মেয়ে হতে পারলে তোর মেয়ে হতে পারবে না কেনো?..

[ বলেই আবার মারতে লাগলো ]

স্নেহা : [ ঘাবড়ে গিয়ে তাড়াতাড়ি রাহুলের হাত ধরে আটকিয়ে ] রাহুল! নো্

[ বলেই রাহুলের জ্যাকেট ধরে টেনে সরিয়ে আনলো ]

স্নেহা : ওকে রাহুল! রিলেক্স…ভুল হয়ে গেছে ওনার..

রাহুল : [ নাকফুলিয়ে দারোয়ানের দিক তাকিয়ে ] Listen আগেও একবার ওয়ার্নিং দিয়েছিলাম! আর এটা লাষ্ট ওয়ার্নিং!

দারোয়ান : ভুল হয়সে্ স্যার আর হবে না!

রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] বাসায় যাও!

স্নেহা : [ মাথা নাড়িয়ে ] হুম! কিক..কিন্তু আপনি আবার প্লিজ! এসব..

রাহুল : [ জোড়ে একটি শাস ফেলে স্নেহার দিক তাকিয়ে ] ওকে! করবো না প্রমিস্!

– বাসায় যাও!

দারোয়ান : [ স্নেহার দিক এগিয়ে এসে ] আসেন মেডাম আমি দিয়া আসি…

রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] হেইই! স্টপ ওকে! ওভার একটিং করবি না আমার সামনে [ দাত কিলিয়ে ] ইডিয়ট! দেখলেই ইচ্ছে করছে আরো কয়েকটা দি…[ বলেই আবার মারতে এগিয়ে যেতে চাইলে স্নেহা রাহলের জ্যাকেট টেনে ধরে রাখে ]

স্নেহা : ডোন্ট ডো দিস্ রাহুল! প্রমিস্ করেছেন আমাকে!

রাহুল আর কিছু না বলে ফুফিয়ে জোড়ে জোড়ে শাস ফেলতে লাগলো, স্নেহা তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক

হঠাৎ, রাহুল, স্নেহার হাত ধরে টেনে উপরে নিয়ে গিয়ে দরজা খুলে স্নেহাকে ঘরের ভেতরে ঢুকিয়ে দেই, স্নেহা রাহুলের দিক ফিরে তাকিয়ে দেখে রাহুলের চোখেমুখে এখনো রাগ ভেসে আছে!

স্নেহা : [ রাহুলের হাতের উপর হাত রেখে একটু হেসে ] এইভাবে রেগে আছেন কেনো!

রাহুল : [ ফুফিয়ে অন্যপাশ ফিরে গিয়ে ] রেগে নেই! আচ্ছা ডোর অফ করে ভেতরে যাও! ঘুমিয়ে পড়ো! রাত অনেক হয়েছে! [ স্নেহার কাধে হাত রেখে ] বাই! [ বলেই চলে যাচ্ছিলো ]

স্নেহা : রাহুল! [ বলেই রাহুলের হাত ধরে রাখে, রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে কাছে এসে দাঁড়ালো ]

[ স্নেহা রাহুলের জ্যাকেটের শোল্ডারের দিক ঝেড়ে দিয়ে ঠিক করে টেনে ধরে রাহুলের একদম কাছে এসে দাঁড়ায় ]

স্নেহা : [ কাদো কন্ঠে নিচের দিক তাকিয়ে থেকে ] সস..সত্যি রাহুল এভাবে গেলে আমার রার..রাতে ঘুম আসবে না…

[ রাহুল রাগ কন্ট্রোল করে..একটু হেসে দু-হাত দিয়ে স্নেহার মাথা তুলে কপালে একটি চুমু দেই! সাথে সাথেই স্নেহার চোখ থেকে গড়িয়ে পানি পড়লো,]

রাহুল : [ স্নেহার চোখের পানি মুছে দিয়ে দু-চোখের উপর চুমু খেয়ে ] এবার?.. আসবেতো ঘুম?..

স্নেহা : [ হেসে মাথা নাড়ালো ] নাহ!

রাহুল : [ কনফিউজড হয়ে ] তাহলে?..

[ স্নেহা তেডি স্মাইল দিয়ে আংগুল দিয়ে ইশারা করলো ]

রাহুল : অও! [ বলেই তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহাকে জড়িয়ে ধরে ] Now ওকে?..

স্নেহা : ইয়েস্ [ মাথা তুলে ] আচ্ছা ঠিকাছে এবার! যান…নাহলে কাল ভার্সেটিতে লেইট হয়ে যাবেন!

রাহুল : ওকে ওকে! বাই

স্নেহা : বাই [ রাহুল চলে গেলো ]

[ স্নেহা ডোর অফ করে রুমে গিয়ে খাটে বসে রাহুলের সাথে কাটানো মোমেন্ট গুলো মনে করছে আর ব্লাশিং হচ্ছে,]

[ হঠাৎ, প্রায় কিছুক্ষণ পর দরজায় বেল বেজে উঠলো ]

স্নেহা : [ মনে মনে ] এতো রাতে আবার কে হতে পারে?..আই থিংক জারিফাই হবে,

[ বলেই এক্সাইটেড হয়ে উঠে গিয়ে দরজা খোলার জন্য দূরবীন দিয়ে তাকাতেই স্নেহা শকড হয়ে যায়, ভয়ে বুকটা কেপে উঠলো স্নেহার, ]

স্নেহা : [ মনে মনে ] দারোয়ান ?. উনি আবার কেনো এলো?.. মার্জানকে ডাকবো… কিন্তু ওর তো সেন্সই নেই! রার…রাহুল…উফফ! রাহুলের নাম্বারই তো নেই!
জারিফা ও এখনো আসলো না…

[ এসব ভাবতেই বেলটা আবার বেজে উঠলো, স্নেহা ঘাবড়ে উঠে ] জাজ…জারিফাকে ফোন দিবো.. না…নাহ ওকে ডিষ্টার্ব করা ঠিক হবে না… থাক স্নেহা! পজিটিভ ভাব..হয়তো উনি কোনো কাজে এসেছে… [ বলেই স্নেহা ঠিকটাক হয়ে ধীরেধীরে দরজাটা খুললো ]

চলবে…

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ