Gangstar In Love Part-12+13

0
3330

#Gangstar In Love🖤🥀___A psycho love story””

#Writer; Tamanna Islam

#part__12

🍁🍁
.
.
.
.
.
.
.
.
সকালে🌞…….

আব্রাহাম; বাপি, আমি অফিসে যাচ্ছি (সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে) আর অয়ন তুই ও চলে আসিস

অয়ন; আচ্ছা ঠিক আছে ঠিক আছে (খেতে খেতে)

আবির আহমেদ; আরে কিন্তু কিছু তো খেয়ে যা

আব্রাহাম; না বাপি আমি পরে অফিস থেকে কিছু খেয়ে নিবো,, এখন আমি যাই। নিজের খেয়াল রেখো

আবির আহমেদ; আচ্ছা সাবধানে যাস।

আব্রাহাম বাড়ি থেকে চলে আসলো। কিন্তু অফিসে না গিয়ে সে তার কটেজে চলে গেলো যেখানে আইরাত রয়েছে। বেশ কিছুক্ষন ড্রাইভ করার পর আব্রাহাম কটেজে এসে পড়লো। বাসায় গিয়েই আব্রাহাম ড্রোইং রুমে দাড়ালো এবং রুবিনা কে ডাকতে লাগলো…

আব্রাহাম; রুবিনা,, রুবিনা

রুবিনা; জজজি স্যার (ছুটে এসে)

আব্রাহাম; তোমার ম্যাম কোথায়?

রুবিনা; সসস্যার, আইরাত ম্যাম কাল যে রুম লক করে ভিতরে ঢুকেছে আর তো বাইরে আসেনি। আমি অনেক চেষ্টা করেছি,, অনেক ডেকেছি ম্যাম কে কিন্তু ম্যাম বের হয় নি

আব্রাহাম; Ohh No, কাল একটু বেশিই rude behave করে ফেলেছি আমি আমার জানপাখির সাথে। না জানি কিছু উলটা-পাল্টা করে ফেললো না তো।

এই বলে আব্রাহাম দৌড়ে উপরে চলে গেলো। আব্রাহাম গিয়ে দেখলো রুম ভিতরে থেকে লোক করা। আব্রাহাম কয়েকবার knock করলো দরজাতে কিন্তু খোলার নাম নেই।

আব্রাহাম; আইরাত Baby girl, plz open the door… আমি কাল একটু বেশিই বাজে ব্যবাহার করে ফেলেছি তোমার সাথে, যা করা আমার মোটেও ঠিক হয় নি। আইরাত প্লিজ দরজা খুলো জান
………………………………………………..

আব্রাহাম; জানপাখি এমন করে না, প্লিজ দরজা খোল baby আর এমন হবে না I am sorry plz forgive me একটা বার দরজা খোল
………………………………………………..

আব্রাহাম; (এবার আব্রাহামের রাগ উঠে গেলো কারণ অনেক ধাক্কানোর পরেও আইরাতের দরজা খোলার নাম নেই) আইরাত I am telling you for the last time…. Open the door আইরাত আমি কিন্তু দরজা ভেংে ফেলবো
……………………………………………….

আব্রাহাম আর কিছুই না বলে এক লাথি দিয়ে দরজা ভেংে ফেললো। আব্রাহাম হুড়মুড় করে ভিতরে ঢুকে পড়লো। এবং যা দেখলো তাতে আব্রাহাম পুরোই অবাক। আইরাত কাল যেমন ছিলো এখনো তেমনই আছে। কাল কে আব্রাহাম রুমে যে ভাংচুর করেছিলো এখনো ঠিক তেমন ভাবেই সবকিছু ভেংে পড়ে আছে আর আইরাত গুটিসুটি মেরে বিছানার এক কোণে ঘুমিয়ে আছে, গভীর ঘুম। আইরাতকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে কাল রাতে অনেক কেদেছে সে,, চোখের নিচে দাগ স্পষ্ট। আব্রাহামের আইরাতকে দেখে বেশ মায়া লাগলো। আব্রাহাম ধীর পায়ে আইরাতের দিকে এগিয়ে গেলো আইরাতের পাশে বসলো। আইরাতের দিকে বেশ কিছুটা ঝুকে আব্রাহাম বলতে লাগলো…….

আব্রাহাম; I am sorry জানপাখি i am really sorry। আমার তোমার উপর এতো টা রেগে যাওয়া উচিত হয় নি। সব সবকিছু আমার জন্য হয়েছে। Sorry

এই বলে আব্রাহাম আইরাতের কপালে চুমু একেঁ দিলো। আইরাতকে কোলে তুলে নিলো আব্রাহাম,, এবং যাওয়ার সময় সার্ভেন্ট কে বলে গেলো

আব্রাহাম; ১০ মি. এর মধ্যে যেন এই রুম ক্লিন হয়ে যায় ওকে।

সার্ভেন্ট; জি স্যার

আব্রাহাম আইরাতকে কোলে তুলে নিয়ে অন্য রুমে চলে গেলো। সাবধানে আইরাতকে বিছানাতে শুইয়ে দিলো। আইরাতের কপালের উপর এসে পরা ছোট ছোট চুলগুলো আলতো করে সরিয়ে দিলো। আব্রাহাম বার বার sorry বলতে লাগলো এবং ঠোঁটে বার বার চুমু খেতে লাগলো। আর আইরাত তো গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
আব্রাহাম আইরাতের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কিছুক্ষণ পরেই আইরাতের ঘুম ভেংে গেলো। আইরাত চোখ মেলতেই দেখলো আব্রাহাম তার দিকে অপলোক ভাবে তাকিয়ে আছে। আইরাত ধীরে ধীরে চোখ মেলে পুরো রুম টা একবার দেখে নিলো। আইরাত উঠে বসলো। মাথা টা কেমন যেন ঝিম ঝিম করছে তার।

আব্রাহাম; Baby girl খুম ভাংলো তাহলে। পুরো ১৩ ঘন্টা ঘুমিয়েছো তুমি ।

আইরাত; আআআপনি এখানে কখন, কিকিভাবে?

আব্রাহাম; যাহ বাবা সবকিছু ভুলে গেলে নাকি, আচ্ছা সব ভুলো ঠিক আছে কিন্তু আমাকে ভুলে যেও না তাহলেই হবে (মেকি হাসি দিয়ে)

আইরাত; আমি চাই না আপনার চেহারা দেখতে কিন্তু জানি না কেনো প্রতিবার চোখ খুললেই সবার আগে আপনাকে দেখতে হয়

আব্রাহাম; দেখতে হবে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত দেখতেই হবে জান। Btw তাড়াতাড়ি উঠে পড়ো কাল থেকে কিছুই মুখে তুলো নি তুমি আমি যেভাবে রেখে গিয়েছিলাম সেভাবেই আছো। উঠো ফ্রেশ হও আমি খাবার আনছি।

আইরাত; আমি আব……..

আব্রাহাম; Shusssssssssssssss…. একদম চুপ কোন কথা না (আইরাতের ঠোঁটে আংুল দিয়ে)। ইদানিং অনেক বেশি বক বক করো তুমি। আর যদি খাওয়া নিয়ে কিছু বলেছো তো আমি কিন্তু উল্টো পথে বেশ ভালো করেই খাওয়াতে জানি। এখন কি তুমি চুপচাপ খাবে নাকি আমি কিছু করবো??!!

আইরাত; এই যে পাগল,, কে জানে না খেলে কখন আমাকেই মেরে ফেলে। না বাবা থাক আমি এতো সহজে মরতে চাই না এর থেকে ভালো খেয়ে নিই (মনে মনে)

আব্রাহাম; Good, নিজের ভালো পাগলেও বুঝে আর তুমিও বুঝতে পেরেছো

আইরাত;মনে মনে কথা বল্ব শান্তি নেই…………………

আব্রাহাম; না নেই।

আইরাত বিছানা থেকে দ্রুত নেমে ফ্রেশ হতে চলে গেলো। আব্রাহাম আইরাতের জন্য খাবার আনতে গেলো। আইরাত ফ্রেশ হয়ে আব্রাহাম কে রুমে দেখলো না এতে একটু ভালো লাগলো আইরাতের। কিন্তু তার কয়েকমিনিট পরই আব্রাহাম রুমে এলো ট্রে তে করে খাবার নিয়ে। আব্রাহাম রুমে ঢুকে দেখলো আইরাত তার চুল বাধছে। আব্রাহাম আর এক মূহুর্ত দেরি না করে আইরাতের পিছনে দাঁড়িয়ে গেলো। আব্রাহাম আইরাতের পেট চেপে ধরে নিজের দিকে টেনে নিলো,, আইরাতের কাধের চুলগুলো সরিয়ে নিজের থুতনি আইরাতের কাধে রাখলো। আইরাতের ঘারে নাক ঘসতে ঘসতে আব্রাহাম বলে উঠলো……..

আব্রাহাম; আমার সামনে কখনোই নিজের চুল বাধবে না ওকে। তোমাকে, তোমার চুলকে দেখার অধিকার শুধুই আমার বুঝলে। তাই কখনোই আমার সামনে চুল বাধবে না। আজকে এমন করেছো করেছোই এর পর থেকে যেন এমন না হয় বুঝলে।

আইরাত যেন পুরা পাথর হয়ে গিয়েছে,, নড়াচড়া করছে না কোন কথা বলছে না, আব্রাহাম আইরাতের মাথার কাটা টা খুলে দিলো,, আইরাতের চুলগুলো ঝড়ঝড় করে পিঠের উপর ছড়িয়ে গেলো। আব্রাহাম আইরাতের চুলে মুখ গুজে দিলো। এরে আইরাত কিছুটা কেপে উঠলো। কিছু সময় পর আব্রাহাম আইরাত কে ছেড়ে দাঁড়ালো।

আব্রাহাম; Baby come খেয়ে নাও,, কিছুই খাওয়া হয় নি। এদিকে আসো আমি খাইয়ে দিচ্ছি।

আইরাত কিছু বলছে না, সে সেখানেই ঠাই দাঁড়িয়ে আছে। এবার আব্রহাম উঠে গিয়ে আইরাত কে টেনে নিজের সামনে বসিয়ে দিলো। আব্রাহাম আইরাতের মুখের সামনে খাবার তুলে ধরলো

আব্রাহাম; হা করো
আইরাত;……………….
আব্রাহাম; বেশি নেকামি না করে হা করো

আইরাত আর কিছু না বলে খেয়ে নিলো চুপচাপ। কারণ জানে যে বেশি খাবো না খাবো না করলে কপালে শনি, রবি, সোম সবই আছে।

আব্রাহাম আইরাত কে খাইয়ে দিলো। খাওয়া শেষে আব্রাহাম আইরাত কে নিজের সামনে ঠাই বসিয়ে দিলো এবং গালে হাত দিয়ে তাকিয়ে থাকতে লাগলো

আইরাত; কি হলো, এভাবে তাকিয়ে থাকার কি আছে?
আব্রাহাম; দেখছি
আইরাত; কি
আব্রাহাম; তোমাকে
আইরাত; প্রথম দেখছেন নাকি,, এতো দেখার আছে
আব্রাহাম; ও তুমি বুঝবে না

আব্রাহাম এবার হুট করেই আইরাতের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো। আইরাত কি করবে কিনা করবে বুঝছে না। আব্রাহাম আইরাতের কোলে মাথা রেখে আরামে শুয়ে থাকতে লাগলো

আইরাত; আপনি তো বালিশেও শুয়ে থাকতে পারেন নাকি
আব্রাহাম; হ্যাঁ, বালিশে শুয়ে থাকতে পারি কিন্তু তোমার কাছে যতো টা শান্তি পাওয়া যাবে তা আর কোথাও পাবো না। এবার চুপ করে থাকো তো।

আইরাত বুঝলো যে একে হাজার বলেও লাভ নেই তাই চুপ করে রইলো। কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকার পর আব্রাহাম বলল………

আব্রাহাম; জানপাখি, জানো খুব ভালোবাসি তোমাকে খুব। প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেও না কখনো তাহলে আমি তুমিহীন মরেই যাবো। তোমার মাঝে আমি প্রথম আমার বেচে থাকার কারণ খুজে পেয়েছি আমাকে একা ফেলে রেখে প্লিজ দূরে যেও না। থেকে যাও না আমার কাছে। ভালোবাসি,অনেক ভালোবাসি আইরাত

কথা বলতে বলতে আব্রাহামের চোখের কোণে পানি জমে গেল। আইরাতের কেন জানি আব্রাহামের প্রতি অনেক মায়া হতে লাগলো। কিন্তু পরোক্ষনেই তার প্রতি আব্রাহামের অত্যাচারের কথা মনে পড়ে গেলো আইরাতের। এবং আইরাত চেতে উঠলো। এক ঝটকাতে আব্রাহাম কে নিজের থেকে সরিয়ে দিলো।

আইরাত; হাহা,, হাসালেন আপনি। যে ছেলে কোন মেয়ের সম্মান করতে পারে না,, তুলে এনে নিজের কাছে বন্দি করে রাখে সে ভালোবাসে তাও আবার আমাকে। আমি থাকবো না আপনার কাছে। আপনাকে আমি ভালোবাসি না আর কখনো ভালোবাসতেও পারবো না বুঝেছেন আপনি।

আব্রাহাম হাহা করে হেসে উঠলো খুবি ভয়ংকর ভাবে হেসে উঠলো। যা শুনে আইরাতের শরীরের রক্ত হীম হয়ে গেলো। আব্রাহাম পাগলের মতো করে হাসছে। একসময় হাসি থামিয়ে আব্রাহাম দুহাত দিয়ে মাথা চেপে ধরলো। আসলে মূলত আব্রাহাম তার রাগ টাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে এভাবে হেসে কেননা সে আইরাতের সাথে যা করেছে তা আর সেই পুনরায় রিপিট করতে চাচ্ছে না। কিন্তু আব্রাহাম আইরাতের দিকে রাগি চোখে তাকালো। আইরাত পারছে না কান্না করে দিতে। সে ভাবছে কাল তার সাথে যা হয়েছে আজ ও কি তাই হবে নাকি

আইরাত; এই মরেছে আবার আমি তাকে রাগিয়ে দিলান এখন, এখন যদি তিনি আবার আমাকে,,,, এই না না না না কি সব ভাবছি আমি আল্লাহ এই বারের মতো বাচিয়ে নাও না প্লিজ ( মনে মনে)

আব্রাহাম; কিভাবে আমার থেকে দূরে থাকতে পারো আমি তাই দেখবো মিস. নুজাইফা বিনতে আইরাত।
সামনে তোমার জন্য খুব বড়ো একটা Surprise ওয়েট করছে, যা তুমি কল্পনাও করতে পারবে না বেবি। So get ready for that (ডেভিল স্মাইল)

আব্রাহাম হন হন করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো এবং রুবিনা কে আইরাতের উপর কড়া নজর রাখতে বলে গেলো।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
In নীড় মহল……

আশরাফুল আহমেদ; অফিসার, আমার মেয়ের কোন খোজ পেলেন আপনারা?

অফিসার; স্যার, আমরা আমাদের বেস্ট ট্রাই করছি আপনার মেয়ে কে খুজে আনার

আশরাফুল আহমেদ; কি, এখনো আপনারা চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন। অফিসার যদি আমার মেয়ে সহি-সালামত আমার কাছে না ফিরে আসে তাহলে আপনাকে অকালে আপনার চাকরি আর জীবন দুটোই হারাতে হবে, mind it

এই বলে আশরাফুল আহমেদ রাগে গজগজ করতে করতে ফোন কেটে দিলো। মেয়ের চিন্তা যেন তাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আব্রাহাম তার অফিসে বসে আছে আর হাতে গ্লোব নিয়ে ঘুরাচ্ছে। ভাবতে ভাবতে সে তার বাপি কে ফোন দিলো।

আব্রাহাম; বাপি, আমি ভাবছি যে আইরাত কে আজই আমাদের বাসায় এনে পড়ি

আবির আহমেদ; আরে হ্যাঁ হ্যাঁ এতো অনেক ভালো কথা,, তুই বাবা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আইরাত মাকে নিয়ে আয়। আরে আমি ও তো দেখবো আমার পুত্রবধূকে তাই না

আব্রাহাম; বাপি আমি কাল ই আইরাত কে আমাদের বাসায় নিয়ে আসবো

আব্রাহামের যেন খুশির সীমা নেই। অবশেষে,, অবশেষে আইরাত আব্রাহামের হতে যাচ্ছে।

রাতে,,,,,,,

আব্রাহাম আইরাতের কাছে গেলো এবং গিয়ে দেখলো আইরাত জানালার দিকে ঘুরে বসে আছে, দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে ওর মন খারাপ। আব্রাহাম মুচকি হেসে আইরাতের কাছে গেল। রুমে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে আইরাত পিছনে ঘুরে তাকালো।

আব্রাহাম; Baby girl, তোমার জন্য একটা breaking news আছে।
আইরাত;………………..
আব্রাহাম; Guess what?!
আইরাত;………………..
আব্রাহাম; আচ্ছা থাক আমি ই বলে দিচ্ছি কিছুদিন পর “”আমাদের বিয়ে””

আব্রাহামের কথা শুনে যেন আইরাতের মাথায় আকাশ ভেংে পড়লো। সে ভেবে পাচ্ছে না কি করবে আর কি বলবে। আইরাত পুরোপুরি Shock.

আব্রাহাম; আরে আমি তোমাকে এতো সুন্দর একটা news দিলাম আর তুমি এভাবে statue হয়ে বসে আছো। Come on yaar কিছু তো বলো

আইরাত; ককককি বববলছেন আআপনি। বিবিবিয়ে মামানে কার বিয়ে কিসের বিয়ে

আব্রাহাম; আরে আরে এতো ঘাবরে যাচ্ছো কেন। আমি বলেছি “আমাদের বিয়ে,, আব্রাহাম+আইরাতের বিয়ে”

আইরাত; অসম্ভব, এটা একদম অসম্ভব। আমি কখনোই আপনাকে বিয়ে করতে পারবো না কখনোই না।

আব্রাহাম; কেন, কারণ কি? আমি কি দেখতে খারাপ নাকি! ( দুহাত ছড়িয়ে)

আইরাত; দেখুন বুঝেও অবুঝ এর মতো আচরণ করবেন না। আমি না ই আপনাকে ভালোবাসি আর না ই আপনাকে বিয়ে করতে পারবো।

আব্রাহাম; দেখো চাপাচাপি করে তো লাভ নেই বিয়ে তো তোমাকে আমায় ই করতে হবে। জানপাখি দেখো আমি তোমাকে জোর করে বিয়ে করতে চাচ্ছি না কিন্তু যদি তুমি আমাকে তা করতে বাধ্য করো তাহলে আমি তাই করবো। So, প্লিজ নিজের বিপদ নিজে ডেকে এনো না,, ভালোই ভালোই রাজি হয়ে যাও।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
🍁চলবে~~~~

#Gangstar In Love🖤🥀___A psycho love story””

#Writer; Tamanna Islam

#part__13

🍁🍁
.
.
.
.
.
.
আইরাত; আপনি একটা কথা মাথায় রাখুন আমি মরে যাবো তবুও আপনাকে বিয়ে করবো না,, শুনেছেন আপনি করবো না।

আব্রাহাম; Right now, i am not interested to argument with you… আর সময় ই বলে দিবে যে কে কাকে বিয়ে করে

আব্রাহাম রুম থেকে বেরিয়ে পড়লো। আইরাত তো রাগে ফেটে পরছে। নিজের চুল নিজেরই এখন ছিড়তে ইচ্ছে হচ্চে তার। রেগে আইরাত হাতের সামনে যা পাচ্ছে তাই ভেংে ফেলছে। আব্রাহাম কটেজ থেকে ফিরে এলো। ড্রাইভিং সিটে বসে কানে এয়ার পড লাগিয়ে ড্রাইভ করতে লাগলো। আব্রাহাম রাশেদ কে ফোন দিলো

আব্রাহাম; রাশেদ, আমার হাজার খানেক ক্যাকটাস গাছ লাগবে!
রাশেদ; ক্যাকটাস গাছ? কিন্তু কেন স্যার,, ওই গাছগুলোতে অনেক বিশ থাকে স্যার। একবার গায়ে ফুটলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর ব্যাথার কথা তো না বললাম
আব্রাহাম; Yeah, i know that, but i need that..
রাশেদ; ওকে স্যার পেয়ে যাবেন আজ রাতের মধ্যেই
আব্রাহাম; Good… Btw রাশেদ, আশরাফুল আহমেদ এর খবর কি?
রাশেদ; স্যার, কে তার ঔষধের কারখানা পুড়িয়ে দিয়েছে উনি তাকে দিন রাত এক করে খুজছেন।
আব্রাহাম; হাহা ভালো তো, খুজতে দাও দেখি বের করতে পারে কি না। রাশেদ, এই এলাকায় যতো কালো টাকার ব্যাবসা আছে তার সব Information চাই আমার within 1 hour ok?!
রাশেদ; জি স্যার পেয়ে যাবেন।

আব্রাহাম গাড়ি ঘুরিয়ে চৌধুরী ভবনের দিকে নিয়ে গেলো।

অয়ন; ওই দেখো জামাই এসে গেছে

আব্রাহাম; Wait, what!

আবির আহমেদ; আরে অয়ন এখন থেকেই তোর বিয়ে নিয়ে পরে গেছে, তোর বিয়ে তে এই করবে সেই করবে

অয়ন; আরে করবো না, এক মাত্র ভাই এর বিয়ে বলে কথা। আর আমার অবশ্য একটা প্লেন আছে যে হবু ভাবির কোন বোন বা বান্ধবী থাকলে আমার সুবিধা হতো আর কি😇

আব্রাহাম; 😡😡

অয়ন; 🤐😒

আব্রাহাম; বাপি, আমি কাল আইরাত কে বাসায় নিয়ে আসবো। তো…….

আবির আহমেদ; তো আমরা আমাদের মেয়ে কে বরণ করে আনতে পারবো তা নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না

আব্রাহাম; না মানে

আবির আহমেদ; হয়েছে হয়েছে আর না মানে ইয়ে
মানে করতে হবে না রুমে গিয়ে রেস্ট নে কাল অনেক কাজ আছে

আব্রাহাম; হ্যাঁ বাপি

আব্রাহাম সিড়ি বেয়ে ওপরে চলে গেলো। ফ্রেশ হয়ে খেয়ে দেয়ে ল্যাপটপে কাজ করতে লাগলো। সেই সময় রাশেদের ফোন আসলো।

আব্রাহাম; হ্যাঁ বলো
রাশেদ; স্যার, হাজার ক্যাকটাস পেয়ে গেছি
আব্রাহাম;Great…. কি করতে হবে যানো তো!
রাশেদ; জি স্যার
আব্রাহাম; Then go do it
রাশেদ; ওকে স্যার

আব্রাহাম ফোন রেখে দিল। এবং এক সময় ঘুমিয়ে পড়লো।

পরেরদিন সকালে🌞………..

আব্রাহাম রেডি হয়ে নিলো। white colour জিংস্ , white colour শার্ট, Sky blue colour জেকেট & shoes, হাতে ব্রেন্ড watch, Silky চুল 🥰 বেস রেডি হয়ে গেলো আব্রাহাম। নিচে নেমে এলো।

আব্রাহাম; বাপি, বাপি
অয়ন; আরেএএএ ওয়াহহহহহ, এইটা কি আমার দাদাভাই নাকি, আজ অনেক বেশিই Handsome লাগছে তোকে
আব্রাহাম; Thank u thank u
আবির আহমেদ; আব্রাহাম বাবা বাইরে যাচ্ছিস?
আব্রাহাম; হ্যাঁ বাপি, আমি আইরাতের কাছে যাচ্ছি
আবির আহমেদ; যা জলদি যা,, তাড়াতাড়ি আইরাত মাকে বাড়ি নিয়ে আয়
আব্রাহাম; আচ্ছা বাপি আমি যাই

আব্রাহাম বের হয়ে পড়লো আইরাত কে আনার উদ্দেশ্যে। আব্রাহামের মনে শুধু এখন এক্টাই কথা বার বার আসছে আর তা হলো যে করেই হোক আইরাতকে তার হতেই হবে, আইরাতকে তার আপন করে নিতেই হবে। আইরাত শুধুই আব্রাহামের।
গাড়ি চালাতে চালাতে আব্রাহাম কটেজের সামনে এসে দাড়ালো। মুখে ভুবন ভুলানো হাসি নিয়ে আব্রাহাম ওপরে চলে গেলো। আর যেতেই যা দেখলো তাতে আব্রাহাম থ মেরে গেলো। দেখলো যে আইরাত রুমের সব জানালার পর্দা একসাথে বাধছে। আব্রাহাম এভাবে যে রুমে ঢুকে পড়বে তা আইরাতের ভাবনার বাইরে ছিলো। আইরাত আসলে এখান থেকে পালানোর জন্য সব কাপড় একসাথে বাধছিলো কিন্তু আব্রাহাম যে এসেই একদম আইরাত কে হাতে নাতে ধরে ফেলবে তা জানা ছিল না। আইরাতের চোখ তার কোটর থেকে বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম। আইরাতের আত্না টা কেমন যানি চমকে উঠলো। দোয়া–দরুদ যা আছে সব পড়তে লাগলো আইরাত। মনে হচ্ছে এখন ই কোন একটা তুফান উঠবে। আব্রাহাম ধীরে ধীরে ভিতরে প্রবেশ করলো,, আইরাতের দিকেই সে একাধারে তাকিয়ে আছে যেন এখনই কাচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে। আইরাতের তো যায় যায় অবস্থা। কয়েকটা শুকনো ঢোক ও গিললো। আব্রাহাম দাতের চোয়াল শক্ত করে আইরাতের দিকে এগোতে লাগলো। আইরাত ভয়ে চোখ খিচে বন্ধই করে ফেললো।

কিন্তু না হলো তার পুরো উল্টো টা। আব্রাহাম আইরাতের কাছে গিয়েই ফিক করে হেসে দিলো। পেট ধরে হাসতে লাগলো। আইরাত হুহুহাহা হাসির শব্দে পিট পিট করে চোখ খুললো। এবং সামনে তাকিয়ে দেখলো আব্রাহাম হেসে কুটি কুটি হচ্ছে। এবার আইরাত একদম বোকা বনে গেলো। আব্রাহাম পেট ধরে বিছানাতে বসে হাসছে। আইরাত এবার চোখ ছোট ছোট করে আব্রাহামের দিকে তাকালো।

আইরাত; এএএভাবে হাহাহাসার কি হলো?
আব্রাহাম; Oh god, baby girl like seriously!
আইরাত;……………………………
আব্রাহাম; তুমি এক একটা কাজ যে করো না। হায় আল্লাহ,, কাজ করার আগে নিজের আশে-পাশে কোথায় কি আছে তা তো একবার খেয়াল করা উচিত তাই না জানপাখি
আইরাত; ককককি বলতে চাচ্ছেন আপনি?
আব্রাহাম; Baby girl, তোমার রুমের সামনে করিডোর রয়েছে, আর আমি জানি যে তুমি যদি পালানোর চেষ্টা করো তাহলে তুমি প্রথমে এখান থেকেই ট্রাই করবে। যদিও এখান থেকে পালানোর উপায় আর নেই,, নেই বলতে আমি রাখি নি। তাও তুমি পালানোর চেষ্টা করেছো,, ওয়াহহহ আমার বউ এর দেখি অনেক কনফিডেন্স। জানপাখি, এবার এক কাজ করো তুমি একটু তোমার করিডোর থেকে নিচের দিকে উকি দাও।
আইরাত;…………………………
আব্রাহাম; আরে কি হলো যাও, যাও।

আইরাত ধীর পায়ে করিডোরের দিকে গেলো। তারপর হালকা ঝুকে নিচের দিকে তাকালো। নিচের দিকে তাকিয়ে আইরাতের চোখ ছানাবাড়া। আইরাত যেন অবাকের উপর অবাক হয়ে গেলো গায়ে কাটা দিয়ে উঠলো।। আইরাত নিচের দিকে তাকিয়ে দেখলো সব ইয়ায়া বড়ো বড়ো ক্যাকটাস গাছ। করিডোরের নিচেই অনেক বড়ো বাগান আর সেই পুরো বাগান জুড়ে রয়েছে এই ক্যাকটাস গাছ,, একদম ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একবার নিচে লামলেই শেষ। আইরাতের তো আগেই ভিষণ ভয় লাগতে লাগলো। গাছের কাটা গুলো যেন চাকুর ধার কেও হার মানাবে। এগুলো যদি কোনভাবে কারো গায়ে ফুটে এবং বিশ শরীরের ভিতরে চলে যায় তাহলে সোজা হসপিটালে। আইরাত নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলো ঠিক তখনই আব্রাহাম পিছন থেকে এসে আইরাত কে ধাক্কা দিলো। আইরাত ভয়ে অনেক জোড়ে চিল্লিয়ে উঠলো। আব্রাহাম সাথে সাথে আইরাত কে টেনে নিজের সাথে লাগিয়ে দিলো এবং পেট চেপে ধরলো। আইরাতের কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলতে লাগলো

আব্রাহাম; জানপাখি তুমি নিজেকেও ততোটা ভালো করে চিনো না যতোটা আমি তোমাকে চিনি। আমি জানতাম যে তুমি একদিন না একদিন এখান থেকে পালানোর চেষ্টা অবশ্যই করবে,, আর আমার কেন যেন মনে হলো যে গতকাল যেহেতু তোমাকে আমাদের বিয়ের কথা বলেছি তো তুমি আজই হয়তো পালানোর কথা মাথায় আনবে তো তাই আমার এই ব্যাবস্থা করা। কি করবো জান বলো আমি তো তোমাকে এভাবে যেতে দিতে পারি না তাই এমন করলাম। আমি তোমার ক্ষতি চাই না কিন্তু তুমি যদি আমার থেকে দূরে যাওয়ার বা আমার কথার অবাধ্য হওয়ার চেষ্টা করেছো তো তাহলে প্রথমে তোমাকে মারবো পরে নিজে মরবো বুঝলে বেবি।

আইরাতের গলা দিলে কোন কথা নামছে না। আব্রাহাম মাথা তুলে আইরাতের দিকে তাকালো, দেখলো আইরাত বড়ো বড়ো চোখে নিচে তাকিয়ে আছে। আব্রাহামের অনেক হাসি পাচ্ছে কিন্তু এখন হাসা যাবে না। আব্রাহাম আইরাত কে ভিতরে নিয়ে আসলো এবং বলতে লাগলো

আব্রাহাম; Baby girl দেখো অযথা এখান থেকে পালানোর ব্যার্থ চেষ্টা করো না কারণ আমি এখান থেকে তোমার পালানোর সব রাস্তা অফ করে দিয়েছি। And for your kind information আমি তোমাকে বলে দেই যে এই পুরো বাসাতে CCTC camera লাগানো আছে

আইরাত আব্রাহামের দিকে আহত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আব্রাহাম আইরাতের দিকে বুঝতে পারলো যে সে কি ভাবছে,, আব্রাহাম তাড়াতাড়ি বলে উঠলো

আব্রাহাম; আরে না না,, তুমি যা ভাবছো তা মোটেও না আমি শুধু তোমার রুমে লাগিয়েছি র পুরো বাসাতে। ওয়াসরুমে না। এতো টাও অভদ্র নই আমি। আর এখন হোক কিছুক্ষণ পর হোক অভদ্রতামি তো আমি করবোই তাও তোমার সাথে আমার বউ এর সাথে।

আইরাত; কি শুরু করেছেন কি আপনি। কি এক কখন থেকে বউ বউ বউ লাগিয়ে রেখেছেন। কে বউ কার বউ। আমি কখনোই আপনার বউ হতে পারবো না আর না ই আপনাকে নিজের হাসবেন্ড হিসেবে মেনে নিতে পারবো। কোন বিয়ে হবে না আমি বিয়ে করবো না আপনাকে। আরে আপনাকে তো আমি ঠিকমতো চিনি ও না। আর কোন ভদ্র ঘরের ছেলে যে এমন করে একটা মেয়ে কে বন্দী করে রাখবে না তা আমি জানি। পারবো না পারবো না আমি আপনাকে বিয়ে করতে।

আব্রাহাম চাইছে না রাগ করতে তাই নিজেকে যথেষ্ট সামলে নিয়ে আস্তে করে উঠে গিয়ে আইরাতের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। আব্রাহাম আইরাতের গালগুলো নিজের দুই হাতের ভাজে নিয়ে নিলো, কপালে অতি যত্নে একটা চুমু একে দিলো। আইরাতের প্রচুর বিরক্তি লাগতে লাগলো তবুও কিছুই বলতে পারছে না।

আব্রাহাম; জানপাখি, আমরা এক জায়গায় যাবো, তাই ফ্রেশ হয়ে সুন্দর করে রেডি হয়ে এসো। আমি মেয়েদের পাঠিয়ে দিচ্ছি।

এই বলে আব্রাহাম আইরাতে কে ছেড়ে চলে যেতে নিলো। কিন্তু আইরাত পিছন থেকে হাল্কা চিল্লিয়ে আবার বলতে লাগলো

আইরাত; আপনি কি বুঝেন না। শুনেন নি আমি কি বলেছি,,পারবো না আমি আপনার হতে। আর কোথাও যাবো না আমি। আমি আমার পাপার বাড়িতে যাবো

আব্রাহাম আর কিছু না বলে অগ্নিচোখে আইরাতের দিকে তাকালো। বেস এইটুকুই যথেষ্ট ছিলো আইরাতের জন্য। আইরাত নিমিষেই ভিজা বিড়াল হয়ে গেলো। আর কিছু না বলে সোজা ওয়াসরুমের ভিতরে চলে গেলো। আইরাত চলে গেতেই আব্রাহাম বাকা মুচকি হাসি দিলো। আইরাত ওয়াসরুমের ভিতরে গিয়ে যেন প্রানে বাচলো। বেশ কিছুক্ষন পর আইরাত ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে পড়লো। রুমে এসেই আইরাত ২জন মেয়ে কে দেখতে পেলো। আইরাত কিছুটা কপাল কুচকালো।

আইরাত; কে তোমরা?
২জন মেয়ে; মেডাম আমাদের আব্রাহাম স্যার পাঠিয়েছে। আপনাকে রেডি করানোর জন্য
আইরাত; এই না না তোমরা যাও আমি কোন রেডি টেডি হবো না
২জন মেয়ে; মেডাম প্লিজ জেদ করবেন না নইতো স্যার আমাদের অনেক বকবে ইভেন স্যার আমাদের চাকরি ও খেয়ে দিতে পারেন। মেডাম প্লিজ
আইরাত; আল্লাহহহ উঠাইয়া নেও আমারে তুমি। এই কোন পাগলের পাল্লায় পরলাম আমি। সবসময় মানুষকে ভয়ের উপরে রাখে (মনে মনে)

আইরাত; আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে রেডি করো আমাকে।

আইরাত এক রাশ বিরক্তি নিয়ে বসে পড়লো এবং মেয়েরা তাকে রেডি করিয়ে দিতে লাগলো। অবশেষে কাজ শেষ হলো।

আইরাত একটা আকাশি কালারের চুড়িদার পরেছে। হাতে সাদা-নিল কালারের চুড়ি, চোখে গাঢ় কাজল, চুল গুলো ছেড়ে দেওয়া, কানে ঝুমকা এক কথায় অসম্ভব সুন্দরী লাগছে আইরাত কে। আইরাত উপর থেকে নিচে নামতে লাগলো। আব্রাহাম দরজায় দাঁড়িয়ে ফোনে কার সাথে যেন আলাপ করছিলো কারো শব্দ পেয়ে পিছন ফিরে তাকালো, দেখল যে আইরাত নেমে আসছে। আব্রাহাম কথা শেষ না করেই ফোন কেটে দিলো। আব্রাহাম আইরাতের দিকে তাকিয়ে আছে যে আছেই। চোখ সরানোর নাম নেই। নাম নেই বলতে আব্রাহাম চাইছে না চোখ সরাতে। আব্রাহাম চাইছে সময় টা যেন এখানেই থেমে যায়। এক ঘোর লাগা নয়নে আব্রাহাম তাকিয়ে আছে। আইরাত যত সামনে এগিয়ে আসছে আব্রাহামের হ্রদ স্পন্দন ততো বাড়ছে। আইরাত কে দেখে আব্রাহাম তার বুকের বাম পাশে হাত রেখে দিলো। আব্রাহামের এমন চাহনি দেখে আইরাতের বেশ অসস্থি লাগতে লাগলো। আইরাতের মনে হচ্ছে কোথাও কিছু হয়েছে তাই বার বার নিজের চুল আর জামা ঠিক করছে,, আইরাত দেখলো আব্রাহাম সেই একই ভাবে তাকিয়ে আছে। এবার আইরাত দুবার গলা খাকারি দিল। আব্রাহামের ঘোর কেটে গেলো এতে। আব্রাহাম আইরাতের দিকে এগিয়ে গেলো। আব্রাহাম আইরাতের কোমড় জড়িয়ে ধরে নিজের একদম কাছে টেনে নিলো। নেশা লাগানো কন্ঠে বলতে লাগলো

আব্রাহাম; দেখো প্লিজ এভাবে আমার সামনে বার বার এসো না আমি মরেই যাবো। নিজেকে সামলাতে পারি না এভাবে দেখতে তোমায়। Out of control হয়ে পরি। তুমি এভাবেই আমাকে সেই প্রথম দিন থেকে ঘায়েল করে যাচ্ছো। আইরাত বেবি প্লিজ এবার তো থামো। ভালোবাসি, অনেক ভালোবাসি।

আইরাত এবার আব্রাহামের দিকে মুখ তুলে তাকালো।আব্রাহাম মুচকি হেসে আবার আইরাত কে বলতে লাগলো

আব্রাহাম; জানপাখি, আমরা আমাদের বাড়িতে যাচ্ছে। মানে তোমার হবু শশুড় বাড়ি। সেখানে আমার বাপি-ভাই আছে। আর এভাবে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই তোমাকে যেতেই হবে। আর শুনো তুমি যদি সেখানে গিয়ে উলটা পালটা কিছু করেছো বা আমার কথার বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেছো তাহলে মনে রেখো আমার থেকে খারাপ আর কেও হবে না। সেখানে বাপি যা বলবে তুমি তা মেনে নিবে। ভুলেও বাপি যেন না জানতে পারে যে আমি আমার বউ কে তুলে এনেছি। আর আমি তোমাকে যেমন ভালোবাসি ঠিক তেমনই আমার বাপি-ভাই কেও ভালোবাসি তো প্লিজ কোন পাগলামি করবে না…. Is that clear baby girl?!

আইরাত; হুমম (হাল্কা ভাবে মাথা নেড়ে)

আব্রাহাম আইরাতের হাত ধরে বাড়ির বাইরে নিয়ে এলো। গাড়িতে বসিয়ে দিলো। আইরাত পুতুলের মতো বসে সব শুধু দেখে যাচ্ছে।

আইরাত; আমরআ কোথায় যাচ্ছি?
আব্রাহাম;………….মুচকি হাসি…………..
আইরাত; কি হলো কিছু বলছেন না যে, যাচ্ছি কোথায় আমরা?

আব্রাহাম আর কিছু না বলে ডন্ট কেয়ার একটা ভাব নিয়ে সিটি বাজাতে লাগলো। আইরাতের প্রচুর রাগ হতে লাগলো। আইরাত আর কোন কথা না বলে দুহাত ভাজ করে মুখ ফুলিয়ে বসে রইলো
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আব্রাহাম গাড়ি চালাতে চালাতে চৌধুরী ভবনের সামনে চলে এলো। প্রথমে নিজে নেমে এলো তারপর আইরাত কে নামিয়ে আনলো। আইরাত অবাক হয়ে সব কিছু দেখছে ।

আইরাত; আব…. আমরা
আব্রাহাম; আমরা আমাদের বাড়িতে। এবার কথা কম Let’s go jaan….

আব্রাহাম-আইরাত বাড়ির ভিতরএ যেতে লাগলো। আইরাত মুগ্ধ দৃষ্টিতে বাড়ি দেখছে। দুপাশে অনক সুন্দর বাগান, বাগানের মাঝখানে সুন্দর বড়ো ঝর্ণা। সেখান থেকে ঝরঝর করে পানি পরছে। আর এই সবকিছুর ঠিক মাঝখানে রয়েছে সুন্দর বাড়ি। আইরাত-আব্রাহাম বাড়ির সামনে এসে পড়লো। আব্রাহাম কলিং বেল চাপ দিলো। আব্রাহামের বাপি দরজা খুলে দিলো। আবির আহমেদ এর মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠেছে। আব্রাহাম তার বাপি কে দেখা মাত্রই জড়িয়ে ধরে।

আব্রাহাম; বাপি, This is the girl i love…
আইরাত আব্রাহামের বাপি আবির আহমেদ কে দেখলো। আইরাতের কেমন যেন চিনা চিনা লাগতে লাগলো কিন্তু তবুও কিছু না বলে চুপ করে রইলো

আবির আহমেদ; আমার ছেলের পছন্দ আছে বলতে হবে, মুখের মায়া যেন চাঁদটা কেও হার মানাবে।
আব্রাহাম; হ্যাঁ বাপি, আব্রাহাম আহমেদ চৌধুরীর বউ বলে কথা। নাও সরো দেখি ভিতরে তো যেতে দিবে।
আবির আহমেদ; এই দাড়া দাড়া কোথায় যাচ্ছিস।
আব্রাহাম; বাপি আবার কি
আবির আহমেদ; আরে আমার লক্ষি এসেছে আমার ঘরে বরণ তো করতে দে
আব্রাহাম; হুমম হুমম করো যতো ইচ্ছে। আচ্ছা আমার গুনধর ভাই টা কোথায়?
আবির আহমেদ; আছে, আসছে

আবির আহমেদ; অয়ননননন, বরণের ডালা টা তাড়াতাড়ি এদিকে নিয়ে আয়
অয়ন; এইতো বাপি এসে গেছি

আব্রাহাম; আইরাত জানপাখি, এই হচ্ছে আমার ওয়ান এন্ড অনলি ভাই অয়ন আহমেদ চৌধুরী। আর তোমার হবু দেবর সাহেব

অয়ন; আহহহহহ হয়েছে হয়েছে তোর বলতে হবে না আমি আমার সুইট, কিউট ভাবির সাথে নিজে পরিচিত হয়ে নিতে পারবো।

এইসব কিছু যেন আইরাতের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। কি করবে সে কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না। অবশেষে বরণ করা শেষ হলো

আবির আহমেদ; নে নে বরণ শেষ এবার তাড়াতাড়ি বউমা কে নিয়ে ভিতরে আয় তো

আব্রাহাম আইরাত কে নিয়ে ভিতরে চলে গেলো।
আইরাত বাড়িতে আসায় সবার মাঝে খুশির বন্যা বয়ে গেলো
.
.
.
.
.
🍂চলবে~~~~

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে