Ex গার্লফ্রেন্ড যখন অফিসের বস পর্বঃ০৯

0
3920

Ex গার্লফ্রেন্ড যখন অফিসের বস ❤
লেখকঃ শ্রাবন
পর্বঃ ০৯

.
সকালে আজ একটু তারাতাড়ি উঠলাম।
কারন আজ আমাদের ঢাকা ফিরতে হবে।

আমি সব কিছু ঠিকঠাক করে নিলাম।
এরপর খাবার অডার করব ঠিক
তখনই জান্নাত এর ফোন
জান্নাত- ভাইয়া গুড মরনিং
আমি- হুম গুড নাইট (মজা করে)
জান্নাত- ওই তুই মজা করিস কেন??
আমি- সরি
জান্নাত- হুম খাবার অডার করে খেয়ে নে।
আমি- হুম। তুইও
জান্নাত- হুম। আমরা খেয়ে রেডি হইতেছি।
আমি- ওকে বায়। টুট টুট টুট করে কেটে
দিলাম।

খাবার অডার করে খেয়ে নিলাম। এরপর আমি বাইরে এসে গাড়িতে অপেক্ষা করতে লাগলাম।
আমি ড্রাইভার এর সাথে কথা বলতে লাগলাম—
আমি- আংকেল আপনার ম্যাম এর বর কি করে??
ড্রাইভার – হাহাহাহা
আমি- হাসেন কেনো??
ড্রাইভার- আপা মনি এখনো বিয়ে করে নাই।
আমি- কিহ???(অবাক হয়ে)
ড্রাইভার- হুম।
আমি- আংকেল আপনি ম্যাম এর বাসায় কয় বছর ধরে চাকরি করেন??
ড্রাইভার- প্রায় ৩ বছর।
আমি- অহ…..(তার মানে এই লোক কিছু জানে না।) মানে বাপ্পিতো বলছিল ৪ বছর আগের কথা যখন শিমলা এর বিয়ে ঠিক হয়।
আমি ভাবতে লাগলাম তার মানে শিমলার বিয়ে ভেঙ্গে গেছে। এর কিছুক্ষণ পরে
জান্নাত আর ম্যাম এলো।
আমি চুপ করে গারিতে বসে পরলাম।
আগের জায়গায়। কানে হেডফোন দিয়ে
গান শুনতেছি। আর বাইরে তাকিয়ে আছি।
জান্নাত আর ম্যাম কথা বলতেছে। আমি কিছুই শুনতেছি না। কারন কানে হেডফোন। আর কোন ইচ্ছেও নেই।

আজ একটা জিনিস ভেবে খুব অবাক
হচ্ছি। কারন ম্যাম আজ একটাও বাজে
কথা বলে নাই। জান্নাত আছে সেই জন্য
মনে হয় খারাপ ব্যাবহার করে নাই।
আমি এইসব ভাবতেছিলাম আর গাড়ি
তার আপন গতিতে চলতেছে।
দীর্ঘ ৭ ঘন্টা জার্নি করার পরে ঢাকায়
এলাম।
আমি আর জান্নাত আগে নেমে গেলাম।
আর ম্যাম গাড়ি নিয়ে চলে গেল।

আমি আর জান্নাত রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে
খাবার খেয়ে নিলাম। (বাইরে থেকে নয়ে এসেছি)
এরপর আমি আমার রুমে গিয়ে দিলাম
এক ঘুম। সন্ধ্যায় জান্নাত এর ডাকে ঘুম
ভাংল।
এরপর ফ্রেশ হয়ে দুজনে গল্প করতে লাগলাম।
জান্নাত- ভাইয়া…..
আমি- হুম।
জান্নাত- ভাইয়া…..
আমি- হুম কি বলবি বল??
জান্নাত- ভাইয়া আমার একটা জিনিস চাই?
আমি- কি জিনিস বল??
জান্নাত- আগে বল দিবি?
আমি- হুম দিবো বল
জান্নাত- আগে প্রমিজ কর।
আমি- ওকে প্রমিজ।
জান্নাত- ঠিক আছে ভাইয়া পরে চেয়ে নিবো।
আমি- ধুর তুই যে কি বলিস আর কি করিস তুই ছারা আর কেউ বুজে না।
জান্নাত- হাহাহাহা।

এইরকম কিছু কথা বলে জান্নাতকে পড়াতে বসালাম। ওকে কিছুক্ষণ পড়িয়ে আমি ঘুমিয়ে গেলাম।

সকালে জান্নাত তুলে দিল ঘুম থেকে।
আমি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে বের হয়ে গেলাম।
জান্নাত এর স্কুল নেই আজ। তাই ও যাবে না আমার সঙ্গে।

অফিসে——-
রহিম- কি ভাই এই দুই দিন কেমন মজা করলেন??
আমি- হুম ভালো।
রহিম- হুম বুজি বুজি সব বুজি।
আমি- ভাই কি বুজো তুমি?
রহিম- এই যে আপনি আর ম্যাম দুজনে গেলেন সিলেটে।
আমি- রহিম?….
রহিমকে আর কে পায়। সে সোজা তার ডেস্কে চলে গেছে এক দৌরে।

আমিও হাসতে হাসতে চলে এলাম আমার ডেস্কে। আসলে রহিম ছেলেটা খুব রসিক। তাই আমি ওকে কিছু বলি না।

কিছুক্ষণ পরে ম্যাম এর ডাক।
আমি- ম্যাম আসব??
ম্যাডাম- হুম আসুন।
আমি- জি ম্যাম বলুন.???
ম্যাডাম- আমার সাথে চলুন। এই বলে ম্যাম বাইরে চলে এল। আমিও পিছু পিছু চলতে লাগলাম।
ম্যাম তার গাড়িতে উঠল। আমি বাইরে দারিয়ে আছি।
ম্যাডাম- আপনিও আসুন।
আমি- জি ম্যাম।

গাড়িতে আমি ম্যাম আর ড্রাইভার।
আমি- ম্যাম আমরা কই যাচ্ছি??
ম্যাডাম- চুপ করে বসে থাকুন।
আমি- চুপ…..

কিছু সময় পরে আমরা একটা শপিং মলের সামনে এলাম। আমি তো অবাক ম্যাম আমায় এখানে নিয়ে এল কেন??
আমি চুপ করে আছি। কারণ কিছু বললেই বকবে?

ম্যাডাম- আপনি কি এখানে দাঁড়িয়ে থাকবেন না ভিতরেও আসবেন??
আমি- জি ম্যাম চলুন।

ভিতরে এসে ম্যাম অনেক খুজে কিছু জামা কিনল মেয়েদের।
এরপর দুইটা শার্ট কিনল। আমি ভাবলাম তার বয়ফ্রেন্ড এর জন্য হয়তো।
ভাই পুরা ৩ ঘন্টা ধরে শপিং করল।

সেখান থেকে গাড়ি করে একটা হোটেল এর সামনে এসে থামল।
আমি ভাবলাম ম্যাম এর খুদা লাগছে তাই
সে খাবে।
ম্যাডাম- আসুন আমার সাথে।
আমিও যেতে লাগলাম।
জানি কিছু বলতে গেলেই ঝারি দিবে তাই আমি চুল?

আমি আর ম্যাম একটা বেঞ্চে বসলাম।
ম্যাম খাবার অডার দিলো।
কিন্তু এগুলো তো আমার প্রিয় খাবার। আমি তো অবাক। এগুলো আমি আর শিমলা লাষ্ট ৬ বছর আগে খেয়েছিলাম। মনটা খারাপ হয়ে গেল।
ম্যাডাম- কি হলো খাচ্ছেন না কেন?
আমি- হুম….

( ইনি কি ম্যাম না অন্য কেউ?? সেই সিলেট থেকে এই পর্যন্ত কোন বাজে বিহিব করে নাই।)
খাবার আগে আমি আমার কলিজাকে ফোন দিলাম।
আমি- আপু….
জান্নাত- হুম ভাইয়া
আমি- তুই খেয়ে নে।
জান্নাত- হুম ভাইয়া।
আমি- ওকে মাই লিটিল সিস্টার।
এরপর আমি খেতে শুরু করলাম।

অপরদিকে শিমলা—-
হুহ আমায় তো কোন দিন এইভাবে বলত না যে জানু খেয়ে নাও। আর জান্নাতকে ধুর। দেখ কি করে খাচ্ছে পুরা সেই আগের ৬ বছর আগের মত করে। ?)

আমি মনে মনে এ কি ঝামেলায় পরলাম নিজেও খাচ্ছে না আর আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

এবার ম্যাম বুজতে পেরে নিচু হয়ে খেতে লাগল। আমরা খেয়ে সোজা অফিসে চলে এলাম।
বিকাল ৩ টা বেজে গেছে।
আমি ডেস্কে বসে আছি৷ আর খেয়াল করতেছি শিমলা আমায় বার বার দেখতেছে। আমি- ??

রহিম- কি ভাই ভাবিকে নিয়ে কই গেছিলেন??
আমি- ????
রহিম- এক দৌরে চলে গেল।
রহিম পারেও বটে।

এরপর ছুটির সময় সকলে চলে যাচ্ছে। আমিও বের হব। আজ কাজের চাপ নেই। ঠিক তখনই ম্যাম এর কেবিনে ডাক।
আমি ভাবলাম নিশ্চিত একগাদা ফাইল দিবে তাই ডাকতেছে। এই সব ভাবতে ভাবতে রুমের সামনে গিয়ে।
আমি- ম্যাম আসব।
ম্যাডাম- হুম আসুন।
আমি- ম্যাম কিছু বলবেন।
ম্যাডাম- হুম। এইগুলো নিন।
আমি- এইগুলো তে কি??(শপিং এর সেই ব্যাগ)
ম্যাডাম- এইগুলো জান্নাত কে দিবেন।
আমি- ম্যাম জান্নাত এর এগুলো লাগবে না।
ম্যাডাম- অই তোকে বলছি তুই দিবি।(রেগে আগুন)
আমি- ওকে (ভয়ে ভয়ে)
ম্যাডাম- ???(লুকিয়ে হাসতেছে)

আমি আর কিছু না বলে বেরিয়ে এলাম।
অপরদিকে ফোনে ——
শিমলা- জান্নাত??
জান্নাত- হুম আপু বলো
শিমলা- তোমার ভাইয়ার কাছে আমি তোমার জন্য কিছু জামা দিয়েছি। পছন্দ হয় কিনা বলো??
জান্নাত- আপু তুমি দিবে আর পছন্দ হবে না??
শিমলা- হুম। আর একটা কথা ছিল?
জান্নাত- হুম বলো
শিমলা- আসলে?
জান্নাত- আপু বল আমি কাউকে বলব না?
শিমলা- আসলে আমি তোমার ভাইয়ার জন্য দুইটা শার্ট কিনেছি তুমি দিয়ে দিয়ো।
জান্নাত- ওহ এইবার বুজছি। আপুউউউ????
শিমলা- কিছু না বলে লজ্জায় ফোন কেটে দিলো।
আর জান্নাত ভাবে আপু তুমি যে ভাইয়াকে পছন্দ কর তা আমি জানি।
আর এদিকে শিমলা ধুর জান্নাতও না শুধু শুধু লজ্জা দেয়?

আমি বাসায় এসে কলিং বেল বাজাতেই জান্নাত দরজা খুলে দিলো।
জান্নাত- ভাইয়া আপু তোকে কি দিয়েছে আমায় দে??
আমি- কিহ তুই কিভাবে জানলি??
জান্নাত- (এইরে বুজে ফেল্ল নাকি) না। আসলে..
আমি- কি আসলে আসলে করছিস??
জান্নাত- ভাইয়া আসলে আপু সিলেটে বসে বলছিল আজ কিছু দিবে তাই…
আমি- হুম এই নে ধর….
জান্নাত- হুম ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি- হুহ।।।।
জান্নাতকে শিমলার দেওয়া ব্যাগটা দিয়ে ফ্রেশ হতে গেলাম।
ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে দেখি জান্নাত ওই ব্যাগটা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি- কিরে কি হয়েছে??
জান্নাত- ব্যাগটা ধরিয়ে দিল।
আমি- কি এতে??
জান্নাত- খুলে দেখ।
আমি- খুলে দেখি শিমলা যে দুইটা শার্ট কিনেছিল মার্কেটে গিয়ে সেই শার্ট দুটো।
জান্নাত- ভাইয়া আপু এগুলো তোকে দিয়েছে।
আমি- কিহ..????
জান্নাত- হুম।
আমি- আমি কেন এগুলো নিব।
জান্নাত- ভাইয়া নিয়ে নে না প্লিজ।
আমি- না। আমি নিব না।
জান্নাত- প্লিজ ভাইয়া। প্লিজ প্লিজ প্লিজ
আমি- কি আর করারা নিয়ে নিলাম। অনিচ্ছা শর্তেও।
জান্নাত- ধন্যবাদ ভাইয়া।(গালে একটা চুমু দিয়ে)
আমি- পাগলি একটা।
জান্নাত- হুহ। এই বলে চলে গেল।

আমি ভাবতে লাগলাম শিমলা আমায় কেন শার্ট দিলো? আমায় নিয়ে হোটেল গিয়ে খাবার খাওয়ালো কেন?? ধুর কিছুই মাথায় আসতেছে না। ঘুমিয়ে পরলাম।

ঘুম থেকে উঠে জান্নাত কে বলে একটু বাইরে বের হলাম। এরপর রিয়ার আর বাপ্পির সাথে ফোনে কথা বললাম। চলে গেলাম আড্ডা দেওয়ার স্থানে। কিছু সময় গল্প করতে লাগলাম।

অপরদিকে শিমলা———-

শ্রাবন কে এই অবস্থায় আমি দেখতে পাব ভাবতেই পারি নি। আমি তো ভেবেছিলাম অর বিয়ে হয়ে গেছে। কিন্তু না। ও বিয়ে করে নি। কারন ও আমায় ভালোবাসে। কিন্তু ও এইখানে কেন? ওর পরিবারের সকলে কই?? আর ও এত বদলে গেল কিভাবে.???
একদিক দিয়ে ভালো হয়েছে। আমি ওকে যেভাবে দেখতে চেয়েছিলাম ও এখন ঠিক সেইভাবে তৈরি হয়েছে।
আগে তো ছিল বখাটে নাম্বার ওয়ান। কিন্তু এখন সে কি ভদ্র। রাগ করলেও কিছু বলে না। উফ আমার তো ভাবতেই অবাক লাগতেছে।
আমি ওর সাথে খারাপ আচরন করেছি কারন আমি তো ভেবেছিলাম ও বিয়ে করে ফেলেছে। এটা আমার খুব বড় অন্যায় হয়েছে। নাহ কালকেই শ্রাবন এর কাছ থেকে ক্ষমা চাইতে হবে।

আর সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে আমায় বাগেরহাট যেতে হবে। শ্রাবনে আর আমার পুরনো সেই শহরে। কারন ওখানেই লুকিয়ে আছে আমার প্রশ্নের উত্তর।
নাহ আর কিছু ভাবতে পারতেছি না। মাথা ব্যাথা করতেছে। তারচেয়ে বরং টিভি দেখি।

এদিকে——-
আমি কিছু সময় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসার দিকে যাচ্ছি। কারন জান্নাত ফোন করে যেতে বলছে।

বাসায় এসে আমি আর জান্নাত রাতের খাবার খেয়ে নিলাম।

এরপর জান্নাতকে নিয়ে পড়তে বসলাম।
পড়াশোনার ফাকে–
জান্নাত- ভাইয়া??
আমি- হুম বল।
জান্নাত- আমার না একটা জিনিস চাই?
আমি- কি জিনিস।
জান্নাত- আমার একটা ভাবি চাই..(??)
আমি- কিহ..????
জান্নাত- হুম।
আমি- ওকে ভেবে দেখব।
জান্নাত- হুম। আমার ভালো ভাইয়া।
আমি- হুম। এখন পড়।

এভাবে জান্নাতকে পড়িয়ে আমি ঘুমাতে গেলাম।
আজ আর কিছু চিন্তা করলাম না। আর তেমন কোন কাজও নেই তাই ঘুমিয়ে পরলাম।

সকালে——-
জান্নাত ঘুম থেকে তুলে দিল।
আমি ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে নিলাম।
(আমাদের রান্না বুয়া করে দিয়ে যায়। আপু সব পারে না। তাই বুয়া আসে)

এরপর আমি জান্নাতকে ওর স্কুলে রেখে চলে গেলাম অফিসে।

আমি ডেস্কে বসে আছি। কোন কাজ নেই।
কি জানি ম্যামের কি হল। আমায় আগে সবসময় কাজের পেশারে রাখত আর এখন হাহাহা। পুরো পাগল একটা।

ম্যামের ডাক পরল।
তাই আমি ম্যামের কেবিন এর সামনে গিয়ে।
আমি- ম্যাম আসব?
ম্যাডাম- হুম আসুন।
আমি- জি বলেন কি বলবেন??
ম্যাডাম- আমার পিছু পিছু আসুন।
আমি- ওকে।

উফ আজকেও সেই কাহিনি।
গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন যায়গা ঘুরল।
শুধু আমি একটা বলদের মতো তার সাথে সাথে ঘুরে বেরাচ্ছি।
কেমন যেন আমি তার বফ।

এরপর লাষ্ট টাইমে এলাম একটা পার্কে —
আমি- মনে মনে ম্যাম যতই আমায় নিয়ে ঘুরুন না কেন? আমি আর আপনারা ফাদে পা দিচ্ছি না।
ম্যাডাম- শ্রাবন??
আমি- (কত বছর পরে এই ডাকটা শুনলাম। খুব ভালো লাগতেছে। কিন্তু আমায় নরম হলে চলবে না।)
ম্যাডাম- কি হল তুমি কথা বল না কেন?
আমি- পিছনে তাকালাম। কিন্তু কেউ তো নেই। তাহলে কাকে তুমি বলে??
ম্যাডাম- এই বুদ্ধু আমি তোমাকে বলছি?
আমি- সরি ম্যাম। আপনি আমায় তুমি করে কেন বলেন?
ম্যাডাম- তো কি করে বলব??
আমি- আপনি।
ম্যাডাম- কেন? নিজের বফ কে কেউ তুমি করে বলে?
আমি- কিহ?? কে আপনার বফ?
ম্যাডাম- তুমি আমার বফ। তাই তোমায় আমি তুমি বলব।
আমি- দেখুন আমি আপনারা অফিসের সাধারণ একজন কর্মচারী। তাই আপনি করে বলুন প্লিজ।
ম্যাডাম- শ্রাবন আমি সরি। প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দেও। আমি না বুজে তোমার সাথে ওই ব্যাবহার গুলো করেছি।
আমি-…..
ম্যাডাম- প্লিজ ক্ষমা করে দেও। (বসে পরে)
আমি- ওকে ক্ষমা করে দিলাম।
ম্যাডাম- তাহলে তুমি করে বলতে হবে।
আমি- কিন্তু…
ম্যাডাম- কোন কিন্তু নয়।
আমি- ওকে চেষ্টা করব।
এরপর কিছু সময় ঘুরে চলে এলাম অফিসে।
আপনারা কি ভাবতেছেন? আমি শিমলাকে ক্ষমা করে দিয়েছি? একদমই না। আমি যেত টুকু কষ্ট পেয়েছি সেইগুলা ওকে দিয়ে তারপর ক্ষমা করব।

অফিসে আসার পরে শিমলা আগে তার
কেবিনে চলে গেল। আর আমি পরে ঢুকলাম। ঠিক তখন—
রহিম- কি ভাই?? কেমন চলছে?
আমি- রহিম?? তুমি কিন্তু..
রহিম- ভাই সব বুজি..
আমি- কি বুজ??
রহিম- এই যে আপনার আর ম্যামের প্রেম কাহিনি….
আমি- তবেরে….
রহিম- এক দৌরে পালাল।
আমি আমার ডেস্কে চলে এলাম।

হাতে কোন কাজ নেই তাই ফেসবুকে ঢুকলাম। কিছু সময় পরে শিমলার ডাক–
আমি- ম্যাম আসব??
ম্যাডাম- না…
আমি-….. (আবার শুরু হল নাকি?)
ম্যাডাম- তোমার ল্যাপটপ নিয়ে তার পরে আস।
আমি- ওকে( উফ বাচলাম। আমি তো ভাবছিলাম সেই আগের স্থানে চলে গেছে)

আমি ল্যাপটপ নিয়ে ম্যামের রুমের সামনে গিয়ে….
আমি- ম্যাম আসব??
ম্যাডাম- হুম….
আমি- ম্যাম এই যে….(এগিয়ে দিলাম। ল্যাপটপ)
ম্যাডাম- আমার ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করতেছে..
আমি- (একি ইনি আমার ফেসবুকে ঢুকে কেন??) ম্যাম এটা কি করতেছেন??
ম্যাডাম- একদম চুপ…
আমি-…..
এরপর দেখলাম ম্যামের আইডি আনব্লক করে দিলো। কি মেয়েরে বাবা। এরপর মেসেজ চেক করল। কিছু পেল না।

ম্যাডাম- হুম এবার তুমি সোজা বাসায় চলে যাও।
আমি- কেন অফিস তো এখনো বাকি?
ম্যাডাম- তোমায় যেতে বলছি যাও।
আমি- ওকে।

বাহ খুব ভালো লাগতেছে। তারাতাড়ি ছুটি পেয়ে। বাসায় চলে এলাম।
বেল বাজাতেই জান্নাত দরজা খুলে দিল।

অপরদিকে………

চলবে…????

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে