Devil love part 9
writer_কাব্য_মাহমুদ
–কাব্য তানিশার হাত ধরে নিয়ে চলে গেল
।
কাব্যঃ খুব ভালো লাগল না কথা গুলো বলতে,কী ভেবে ছিলে তুমি,আমাকে অপমান করবে আর আমি সেটা মেনে নেব মিস তানিশা ইসলাম(তানিশাকে সোজা গাড়িতে বসিয়ে,ড্রাইভ করতে শুরু করে দিয়েছে কাব্য,,কিন্ত কাব্য পুরো রেগে খুব দ্রুত গাড়ি চালাচ্ছে, যা দেখে তানিশার ভয়ে মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না)
।
কাব্যঃ কী হলো কথা বলছ না কেন??খুব মনে পড়ছে বুঝি ডেভিল এর কথা”’
.
তানিশাঃ (কাব্যর দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে) আপনি কীভাবে জানলেন আমি উনার কথা ভাবছিলাম??
।
কাব্যঃ (কাব্য গাড়ি ব্রেক করে তানিশার দিকে অবাক হয়ে তাকাল) তারমানে আমি এতক্ষন যা কথা বললাম তুমি একটাও শোননিই(দাঁতে দাঁত চেপে)
।
তানিশাঃ না ম্মান্নে(থতমত খেয়ে)
।
কাব্যঃ না মানে কী(জোরে ঝাড়ি দিয়ে)
।
তানিশাঃ না মানে হলো না,আমি আপনার কথা ভেবে কী করব?? কে হোন আপনি আমার(রেগে গিয়ে) (হায় হায় এ তুই কী বলে ফেল্লি তানিশা,””মুখে হাত দিয়ে”””,এবার এই বজ্জাত এর হাড্ডি, বেটা লুচু তোরসাথে কী করবে??
।
কাব্যঃ আমি তোমার কে হয় তাইনা???
।
তানিশাঃ না মাাানেেেে
।
–কাব্য তানিশার আর কোন কথা না শুনে গাড়ি চালু করে সোজা বাসাই চলে আসল তানিশাকে নিয়ে,,কিন্ত এটা অন্য বাসা যেখানে আবির থাকে,সাধারণ তারা এখানে কোন পরিবেশ পাই না বলে আর থাকে না।,,,কাব্য তানিশাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হাত ধরে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গেল,
।
তানিশাঃ (হায় আল্লাহ এই জল্লাদ কী এখানে নিয়ে এসে আমাকে পরটার সাথে খাবে??এখন আমি কী করব??,”””বিড়বিড় করে””””)
।
কাব্যঃ সমস্যা নেই আমি তোমাকে খাব না,কিন্ত অনেক কিছু শেখাব
।
তানিশাঃ মানে?? আপনি আমার কথা কীভাবে শুনলেন
।
কাব্যঃ মানেটা নাহয় নিজের চোখেই দেখ,আর যেভাবে বলছ আমি কেন যে কোন কেউ শুনতে পাবে।
।
–তানিশা তো কাব্যর কথা শুনেই ভয় পেয়ে গেছে,কী শেখাতে চাই তাকে?
–কাব্য তানিশাকে সোজা তার রুম এ নিয়ে যাই,
।
কাব্যঃ এখন থেকে তুমি এখানেই থাকবে(বিছানার উপর ফেলে দিয়ে)
।
তানিশাঃ মানে(অবাক দৃষ্টিতে)
.
কাব্যঃ মানে তুমি আমার একমাত্র বউ,moreover তোমাকে তো আমার বাসা ও সব কিছু জেনে নিতে হবে,তাই তোমাকে আমি এইখানে নিয়ে আসলাম
।
তানিশাঃ আমি আপনাকে বিয়ে করব না আর কতবার বলব, আর আপনার কোথাই কী আছে তা আমি জেনে কী করব(জোরে ঝাড়ি মেরে)
।
কাব্যঃ সেটা দেখা যাবে(ডেভিল এর মতো হাসি দিয়ে)
।
কাব্যঃ আচ্ছা তুমি থাকো, আমি আবিরকে ফোন দিই ও মনে হয় অফিস এর কাজে ব্যাস্ত (বলেই বারান্দায় এসে আবিরকে ফোন দিল)
।
আবিরঃ হ্যালো
।
কাব্যঃ হুম কেমন আছিস?
।
আবিরঃ যেমন রেখেছিস’
।
কাব্যঃ মানে??
।
আবিরঃ মানে বুঝিস না,সারাদিন সব আমাকে করতে হয়,আর তুই বসে বসে আড্ডা দিস★
।
কাব্যঃ আচ্ছা ওসব কথা এখন শুনার মোড নেই,,,আচ্ছা শোন আমার একটি কাজ করে দিতে পারবি!!
।
আবিরঃ বল কী কাজ, আর আমার সাথে আবার অনুমতি নেওয়ার কী আছে?
।
কাব্যঃ আমার কিছু Guard লাগবে, আর আমি এখন তোর বাসাই আছি””
।
আবিরঃ কী?????(অবাক হয়ে)
।
কাব্যঃ (তারপর আবিরকে কাব্য তানিশার ব্যাপারে সবকিছু বলে) এই সব হয়েছে,,তো আমার কিছু guard লাগবে এই মেয়েকে পাহারা দেওয়ার জন্য,কারণ আমি তো কোন কাজে বাইরে যেতে পারি, তখন যদি পালিয়ে যাই। তাই আর কী, এখানে শুধু আমি আর ও থাকব,,আর তুই কিছু দিন আমার বাসাই থাক, any problem??
.
আবিরঃ না না আমার আবার কী প্রব্লেম (আবির কথাটি হেসে বল্ল,কারণ সে বুঝতে পারছে কাব্য এখন কোন mode এ আছে) আচ্ছা এখন কী ওদের পাওয়া যাবে??
।
কাব্যঃ না পাওয়ার কথা আমি শুনতে চাই না,,দরকার হয় ৫গুন টাকা দিয়ে নিয়ে আই`|
।
আবিরঃ আচ্ছা আর কিছু বলা লাগবে না,, আমি সবাইকে এক্ষনিই জানিয়ে দিচ্ছি?
।
কাব্যঃ জানিয়ে না, তুই এক্ষনিই ওদের পাঠিয়ে দে(ঝাড়ি মেরে)
।
আবিরঃ আচ্ছা আচ্ছা ২ঘন্টার ভিতরেই তারা পৌছে যাবে কোন চিন্তা করিস না,আমি বলে দিচ্ছি?
।
কাব্যঃ হুম alright,
।
–ভাবছেন এতো তাড়াতাড়ি Guard কোথাই পাবে
আসলে কাব্য+আবির কলেজ থেকে ভার্সিটি পর্যন্ত মাথা উঁচু করে চলেছে,,সব দিক থেকে পারফেক্ট জুটি ছিল তাদের বন্ধুত্ব, তাই তারা সকল দিক থেকে পারফেক্ট আর মারামারি ইত্যাদি তো সেইসব লাইফে করবেই,তাই সকল লোক তাদের হাতে করে রেখেছে, যেন যখন ইচ্ছা ডাক দিলেই চলে আসতে পারে।
।
।
কাব্যঃ dear কি এতো ভাবছ??(তানিশার পাশে বসে)
।
তানিশাঃ দেখুন আপনি আমাকে এখানে নিয়ে এসে কী করবেন,তার থেকে বাসাই দিয়ে আসেন আমি বিয়ে করব,,
।
কাব্যঃ (আবার কোন ধরনের খেলা করবে আমাকে নিয়ে তানিশা আর কোন খেলা খেলতে পারবে না) নাহ,বিয়ে যখন করবই তখন এখানে থেকেই আমরা সব কিছু শিখে নেব?
।
তানিশাঃ মানে???(জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে)
।
কাব্যঃ মানে এই যে আমরা এখানে থেকেই, রোম্যান্স সহ সকল প্রকার জিনিসগুলো শিখে নেব(মুচকি হেসে)
।
তানিশাঃ নাহ এসব এখন না,
।
কাব্যঃ তো কখন?.
।
তানিশাঃ বিয়ের পর?
।
কাব্যঃ তাই নাকি,বাহ্ আমার বউয়ের ভিতরেও তো অনেক রোমান্টিক আছে?
।
তানিশাঃ (রোমান্টিক না ছাই, তুই কী করে বুঝবি চান্দু আমি কি করতে চাই?,মনে মনে)
।
কাব্যঃ(আমি তো সবই বুঝি dear তুমি কি ভাব)
আচ্ছা ওসব কথা থাক এখন,,যাওতো কিছু রান্না করো আমি সকল প্রকার সবজি অর্ডার দিয়ে দিচ্ছি,নতুন বউ বলে কথা, তাই বউ এর হাতের কিছু না খেলে হয়,,???
।
তানিশাঃ কীহহহহহ আমি রান্না করব, কোনদিনও না,আমি কী আপনার কাজের বুয়া নাকি যে রান্না করত্ততে
।
—- বাকিটা বলতে না দিয়ে, কাব্য তানিশার মুখ বন্ধ করে দিয়েছে, মানে বুঝেন নাই,জ্যাম-পাউরুটি কিস যাকে বলে,,,দীর্ঘ ২-৩মিনিট পর কাব্য তানিশাকে ছেড়ে দিয়ে
.
কাব্যঃ রান্না না করলে সারাদিন এটা খেয়ে থাকব,কী বলো??(মুচকি হাসি দিয়ে)
।
তানিশাঃ (তানিশা তো পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে)
।
কাব্যঃ এই কী হয়েছে তোমার?(কাছে যে গায়ে হাত দিয়ে)
।
তানিশাঃ (ধ্যান ভেঙে) না কিছু না(ঝাড়িঁ দিয়ে) আপনি পেয়েছেন কী যা ইচ্ছে তাই করছেন আমার সাথে, আমি কী মানুষ না,আমাকে কী বাচতে দেবেন না আপনি??
।।
কাব্যঃ (রেগে গিয়ে) কী বোঝাতে চাইছো তুমি??
।
তানিশাঃ বোঝাতে চাইছি যে আপনি আপনার মুখ এর সাথে আমার মুখ লাগাচ্ছেন কেন??রুচি বলে কী আপনার ক্কক অওঅঅপ(বলেই মুখ আটকে নিল,এ আমি কী বলছি, এই কথার জন্যই সেদিন যা হয়েছিল,আবার যদি হয়,না না)
।
কাব্যঃ কী আবার বলো?
।
তানিশাঃ না কিছু না,(এক দৌড় এ দরজার কাছে) আর হ্যা আপনি সব কিছু নিয়ে আসুন আমি রান্না করে দিচ্ছি(তোমাকে আজ সারাদিন এর খাওয়া খাওয়িয়ে দেব চান্দু,একবার দেখ ich tanisha kiya kiya kar chakte hey??)
.
কাব্যঃ আচ্ছা ঠিক আছে(কী ব্যাপার আবার কী করতে চাইছে এই মেয়ে, এতো সহজেই রান্না করতে চাইল,এতো পাজির পাজি বলার কথা না কিছু তো একটা করবেই, ,”””রেগে গিয়ে”””)
।
–কাব্য ফোন হাতে নিয়ে তার পরিচিত শপ থেকে সব অর্ডার দিল,,,
,,
চলবে,,,,,