Devil love part 10

0
4670

Devil love part 10
#writer_কাব্য_মাহমুদ


–তানিশা নিচে এসে সোজা রান্নাঘর এ প্রবেশ করে!!

তানিশাঃ মনে তো হচ্ছে এই হরর বাড়িতে কেউ থাকে না, কিন্ত এতো জিনিস কে ব্যাবহার করে??কে রান্না করে এখানে যে সব কিছু এতো ভালোভাবে সাজানো??

-তানিশা রান্নার সকল জিনিস খুজছে আর বুঝে নিচ্ছে যে কোনটা কোথাই,কাজ করতে করতে, দরজার বেল বেজে উঠল””””

তানিশাঃ এই উল্লুক ভাল্লুক বাসাই আবার কে আসল??(তানিশা দরজার কাছে যেয়ে দরজা খুলতেই অজ্ঞান হওয়ার অপেক্ষা,তানিশা তার সামনে দেখতে পাই অনেক গুলো লোক কিন্ত সামনে যে আছে তার হাতে বন্দুক রয়েছে?

তানিশাঃ ক্কক্কায়াব্ব্য কাব্য(জোরে চেচিয়ে)

লোকগুলোঃ আরে আরে ম্যাডাম ভয় করছেন কেন?? ভয় এর কিছু নেই,,স্যারই আমাদের এখানে আসতে বলেছে…..

কাব্যঃ কী হয়েছে (সিড়ি দিয়ে দ্রুত নেমে)

তানিশাঃ এরা কারা???(লোকগুলোদের উদ্দেশ্য করে)

কাব্যঃ ooh আপনারা চলে এসেছেন,ভিতরে আসুন””আর তানিশা ভয়ের কিছু নেই এরা আজ থেকে এখানেই থাকবে(তানিশাকে উদ্দেশ্য করে)

তানিশাঃ কিন্ত কেন???

কাব্যঃ সেটা পরে দেখতে পাবে….এখন যাও নিজের কাজে,কিছুক্ষণ পর সব এসে যাবে(তানিশা আর কিছু না বলে চলে গেল)

—লোকগুলো ভিতরে প্রবেশ করে

একজন গার্ডঃ hi sir আমি তামিম এদের সবাইকে আমিই কন্ট্রোল করব(সোফাই বসে)

কাব্যঃ ooh,,, আচ্ছা তাহলে সকল দায়িত্ব আপনার কীভাবে সেফটি রাখবেন সব আপনিই দেখবেন।

তামিমঃ কিন্ত স্যার আমার কাকে গার্ড দেব??

কাব্যঃ ওইযে ওই মেয়েকে দেখছ তাকে,,

তামিমঃ what??? এটা কী করে সম্ভব স্যার, ও তো একটা পিচ্চি মেয়ে, ওই মেয়েকে আবার Guard দেওয়া লাগে??

কাব্যঃ হুম দেখতে পিচ্চি কিন্ত পুরো বজ্জাত,,,

তামিমঃ স্যার ইনিকে তো আপনিই ঠিক করতে পারবেন

কাব্যঃ আমি তো সবসময় বাসাই থাকব না, আর ওর সাথে সারাক্ষণ থাকতে পারব না,,একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন যেনো ও বাসার বাইরে যেতে না পারে এটাই আপনাদের কাজ

তামিমঃ ok.sir ,

কাব্যঃ হুম,, ok নিজ নিজ কাজে চলে যাও!!

—বাসার বাইরে সবাই নিজের নিজের একটি অবস্থান করে দাঁড়িয়ে পড়ল

–কিছুক্ষন পর অর্ডার করা সকল পণ্য দিয়ে গেল,,

তানিশাঃ বজ্জাত, খচ্চর আমাকে জেনো কাজের বুয়া পেয়েছে,বিয়ে করবে ভালো কথা তাই বলে নিজের বউকে এভাবে কাজ করাবে, একটুও মায়া নেই, এতটুকু বাচ্চার উপর এভাবে অত্যাচার করে(পাইচারি করতে করতে) আর এতো গুলো সবজি আমি কী করে কী করব, আম্মুনিই গো তুমি কেনো আমাকে রান্না শিখালে না(ন্যাকা কান্না)

–আর ওইদিকে কাব্য সব দাঁড়িয়ে দেখছে আর মিটমিট করে হাসছে,,


কাব্যঃ কী ব্যাপার আমার বউ এর রান্না করা কী হয়েছে(রান্না রুম এ প্রবেশ করে)

তানিশাঃ বেটা নেংটি ইদুর,ডাইনোসর, মুখ পুড়া হাতি,পচা কেচো
ক্যাবলা, মূর্খ, তারছিড়া, কোথাকার সব সময় শুধু devil গিরি করা(বিড়বিড় করে)

কাব্যঃ কী বললে(রেগে গিয়ে)

তানিশাঃ ক্কই কিচ্ছহু না তো(ভয় পেয়ে) এই বেটা খচ্চর কী করে আমার মনের কথা বুঝে নেই(মনে মনে)

কাব্যঃ আমি সব বুঝতে পারি(দাঁতে দাঁত চেপে)

তানিশাঃ ইহহহ(তাড়াহুড়ো করে রান্নার কাজে লেগে গেল)

–কাব্য চেয়ার টেনে বসে

কাব্যঃ আচ্ছা আমার বউ কী কী রান্না করতে পারে??

তানিশাঃ আপনি জেনে কী।করবেন??(এন্যাকন্ডা তোকে আজ লাল পিপড়া বানাব,,বলেই মুচকি হাসি দিল)

কাব্যঃ (যত যাই করো dear প্রথমে তুমিই সব খাবে তারপর আমি, মনে মনে)

—সকল কিছু করতে করতে রাত হয়ে গিয়েছে,রান্না শেষে তানিশা সব কিছু রেডি করছে,

কাব্যঃ বাহ্, আমার বউ এর হাতের রান্নার সুগন্ধ তো আমার বউ এর মতোই হয়েছে

তানিশাঃ (একটু হেসে,,,,বুঝবা চান্দু কেমন লাগে)

তানিশাঃ আচ্ছা আপনি খাওয়া শুরু করুন আমি সব ঠিক করে দিয়েছি,,,আর একটি রিকুয়েস্ট রাখবেন?

কাব্যঃ রিকুয়েস্ট এর কী আছে, বলে ফেল??(দাঁড়িয়ে)

তানিশাঃ আসলে (ওড়না পেচিয়ে পেচিয়ে)

কাব্যঃ বলে ফেল(খাবার টেবিলে বসে)

তানিশাঃ হয়েছে কী,আমার না একটু মা+বাবার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করছে,সারাদিন তাদের সাথে আর কোন কথা হয় নি তো তাই আর কী!!

কাব্যঃ ওহ তো আমি কী করতে পারি??কাল সকালে নাহয় তাদের আসতে বলি??

তানিশাঃ না না,বলছিলাম আপনার ফোনটি একটু দেওয়া যাবে আমি just ২মিনিট কথা বলে দিয়ে দেব(রিকুয়েস্ট করে)

কাব্যঃ এতে আবার রিকুয়েস্ট করার কী আছে?? আমার সব জিনিসই তো তোমার, (ফোন বের করে) এই নাও

তানিশাঃ thank you (বলেই চলে গেল)
.
—তানিশা কাব্যর থেকে দূরে সরে গিয়ে,তার বাবা-মার কাছে ফোন দেই


তৌহিদঃ (ফোন রিসিভ করে) হ্যালো

তানিশাঃ হ্যালো বাবা?

তৌহিদঃ হ্যারে মা বল”

তানিশাঃ বল মানে??তোমার মেয়ে কেমন আছে কোন খবর নেবে না?(অবাক হয়ে)

তৌহিদঃ খবর নিয়ে কী করব, আমি জানি আমার জামাই তোমাকে কখন ও খারাপ রাখবে না?
.
আসমাঃ কে খারাপ আছে দেখি(তানিশার মা এসে)
.
তৌহিদঃ এই দেখো গিন্নি তোমার মেয়ে ফোন করেছে।

আসমাঃ তাই দেখি(ফোন নিয়ে)

আসমাঃ হ্যারে মা কেমন আছিস??

তানিশাঃ খুব ভালো আছি খুব এতো ভালো আছি যা তোমরা কোনদিন শোননি,, এটা তোমরা কী করলে মা, আমাকে এই কোন ডেভিল এর হাতে তুলে দিলে,ও আমার উপর অনেক অত্যাচার করছে(ন্যাকাকান্না করে)

আসমাঃ এমন করে বলছিস কেনো?? আর ও কী করেছে??

তানিশাঃ ও তোমার মেয়ের উপর নির্যাতন করেছে মা (কান্না করে) (ডাহা মিথ্যা কথা)

আসমাঃ কীহ এটা কীভাবে সম্ভব, এ হতে পারে না কোনদিন ও না(অবাক হয়ে)

তানিশাঃ কী হতে পারে না,আমি কালই বাসাই চলে যাব,

আসমাঃ ( কী ব্যাপার তেমন কোন সমস্যা হলে তো ও এখনই চলে আসতে চাইতো,মনে মনে)

তানিশাঃ কী হলো কথা বলছ না কেন??

আসমাঃ আমি তোর বাবার সাথে কথা বলে দেখছি,আচ্ছা তুই রাখ

তানিশাঃ হুম( তানিশা ফোন কেটে দিয়ে পেছনে তাকিয়ে একটা বড় ধরনের শক্ খাই,,কারণ পেছনে কাব্য পুরো রেগে vampire হয়ে গেছ,তানিশার সকল কথা কাব্য পেছন থেকে শুনেছে কিন্ত তানিশা সেদিকে কোন খেয়ালই ছিল না)

তানিশাঃ আপ্পপ্পপ্নিইইই এক্ষানে(ভয়ে তো বেচারি শেষ )

কাব্যঃ হুম আমি এখানে,কেন সমস্যা?? (খুব রেগে বল্ল)

তানিশাঃ নাহ সমস্যা কেন হবে??(বেচারির গলা শুকিয়ে গেছে,)

কাব্যঃ চল খেতে চল””

তানিশাঃ হুম চলেন(তানিশা অবাক হয়,কাব্য কিছু বল্ল না কেনো)

—তারপর তারা দুজন মিলে খাবার নিয়ে

কাব্যঃ কী হলো খাচ্ছ না কেন??

তানিশাঃ না মানে, খেতে ইচ্ছে কর করছে না, আপনি খেয়ে নিন না,আমি এখন খাব না

কাব্যঃ না তুমি আগে মুখে দাও,তারপর আমি

তানিশাঃ না না আগে আপনি দেখুন আমার হাতের রান্না কেমন

কাব্যঃ আচ্ছা তাহলে তুমি আমার কাছে এসে বসো

তানিশাঃ কেন???

কাব্যঃ আচ্ছা তাহলে তুমি আমার কাছে এসে বসো

তানিশাঃ কেন???

কাব্যঃ এতো কেন কেন করছ কিসের জন্য,কাছে এসে খাবার সার্ভ কর!!

–তানিশা কাব্যর কাছে এসে খাবার পরিবেশন করে পাশে চেয়ারে বসল

কাব্যঃ শুরু করি(কাব্য জানে যে এই খাবারে অতিরিক্ত ঝাল দেওয়া হয়েছে,সে সব কিছু দেখেছে,,,কিন্ত সে তাও খেতে যাচ্ছে)

তানিশাঃ (খাও চান্দু,আমাকে কষ্ট দেওয়া না,,,কিন্ত খাওয়ার পরে কী হবে? ও তো আর আমাকে ছেড়ে দেবে না,,হায় হায় তানিশা এ তুই কি করলি,মুখে হাত দিয়ে)

–এদিকে কাব্য দ্রুত বেগ এ খেয়ে যাচ্ছে আর চোখ দিয়ে অঝোরে পানি গড়িয়ে পড়ছে,,চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে,যে কেউ দেখে ভয় পাবে,কিন্ত সে সম্পন্ন খাবার শেষ করে ফেলেছে)
.
কাব্যঃ আমার খাওয়া শেষ dear, খুব সুন্দর হয়েছিল রান্না,এতো সুন্দর রান্না আমি কোনদিন খায় নি(রেগে মুখ দিয়ে কথা গুলোও বের হচ্ছে না,,আর ওইদিকে তানিশার তো করুন অবস্থা) এবার তুমি খাও

তানিশাঃ না মানে আমার ক্ষিদে নেই(কী করে থাকবে আমারও যদি আপনার মতো অবস্থা হয়)

কাব্যঃ কী এতো বিড়বিড় করছ,আর ক্ষিদে নেই মানে???? খেতে হবে ব্যাছ(রেগে গিয়ে)

তানিশাঃ (কি করি কি করি,,,,idea) আমি খাব না ব্যাছ খাব না(ঝাড়ি মেরে উঠে চলে যাবে আর তখনই তানিশা তার হাতে টান অনুভব করে)

কাব্যঃ ওটা নাহয় খাবে না,,তাহলে আমারটি তো খেয়েই হবে misses tanisha Mahmud (ডেভিল এর মতো হাসি দিয়ে)

ছোট মানুষ সেভাবে গুছিয়ে লিখতে পারি নাই,,,,ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন প্লিজ ?
,,,,,চলবে,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে