Crush যখন বর?Season_2Part_46/47/48

0
2445

Crush যখন বর?Season_2Part_46
Writer-Afnan Lara

শিশির তনুর কাছে গিয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে টান দিয়ে লুঙী খুলে ফেললো
তনু-ইস,ছিঃ আপনি কত খারাপ,এমন যদি আমি আপনার সাথে করি?
শিশির-আমি এত ঢিলা করে বাঁধি না যে টান দিলে খুলে যাবে
তনু-আমার লুঙী
শিশির-হাহাহা
তনু লুঙী পরে নিচে নামলো,,
শিশির ল্যাপটপ নিয়ে বসলো,
তনু চুল ছেড়ে দিয়ে শিশিরের দিকে এগিয়ে গেলো,
শিশির চেয়ারে বসা,
তনু গিয়ে শিশিরের কোলে বসলো,
শিশির-কি?হঠাৎ?
তনু গায়ের shirtএর কয়েকটা বোতাম খুলে ফেললো,
তনু-আজ দিখাদে মুজে সাব কারকে
শিশির-উরি মা রে,সূর্য কোনদিকে ডুবছে?
তনু-?
তনু শিশিরের গায়ের shirt ধরে টান দিলো,
চুমু দিতে যাবে
শিশির-বাবু দিব না
তনু ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো,
তনু-আমার এত কিস করার শখ নাই
শিশির তনুর কোমড় টেনে ধরলো
শিশির-কিন্তু আমার আছে,
শিশির কাছে এনে চুলের মুঠি ধরলো,
তনুর মাথা উঁচু করে থুতনিতে কামড় দিলো,
তনু শিশিরকে জড়িয়ে ধরলো
তনু-আমার বাবু চাই
শিশির ও ধরলো,
শিশির-সময় হোক,
তনু রেগে গেলো,উঠে দাঁড়ালো,
তনু-ঠিক আছে,
ততদিন আপনার সাথে আমি থাকবো না,
তনু উঠে বালিশ নিয়ে মুনার রুমে চলে গেলো,
শিশির-যাক,সময় হলে কোলে করে নিয়ে আসবো
তনু মুনার রুমে গিয়ে গালে হাত দিয়ে বসলো
মুনা-একি ভাবী ভাইয়ার পোশাক পরছো কেন?
তনু-ইস ভুলে গেসিলাম
তনু বালিশ রেখে আবার শিশিরের রুমে গেলো,
শিশির আড় চোখে তাকালো,
তনু পা টিপে রুমে ঢুকে আলমারী খুঁজতে লাগলো যদি একটা জামা পায়
শিশির পিছন থেকে খপ করে ধরলো
তনু-এ্যাই কি সমস্যা? ছাড়ুন
শিশির-আমার রুম থেকে কেউ চলে গেলে next time ঢুকলে আর বের হওয়ার chance নাই
তনু-কই কোথাই লিখা আছে?
শিশির-আমার মনের ভিতর
তনু -ছাড়ুন, টাচ করলে বেবি দিতে হবে,আর এটাও আমার মনের ভিতর লিখা আছে
শিশির রাগী লুকে তাকালো,
তনু মুখ বাঁকা করে চলে গেলো,
রাতে ♥
শিশির চুপি চুপি এসে তনুকে নিতে কোলে তুলতে নিলো পারলো না,
ভালো করে তাকিয়ে দেখলো তনু তার এক হাত খাটের stand এর সাথে ওড়না দিয়ে গিট্টু দিয়ে রাখসে,আর তনু এমন গিট্টু দেয় যে জীবনে তনু ছাড়া আর কেউ সেটা খুলতে পারে না,
শিশির-শয়তানের হাড্ডি একটা
শিশির চেষ্টা করলো খুলার পারলো না
তনু জেগে গেলো,চোখ ডলে ডলে উঠে বসলো
তনু শিশিরকে দেখতে পেয়ে বললো
তনু-চোর চোর চোর
শিশির-এই চুপ
মুনা উঠে বসলো
,কই চোর,
শিশির মাথায় হাত দিয়ে বসলো
তনু হাসতেছে,
মুনা-ভাইয়া তুই এত রাতে এখানে কি করস?
শিশির-ঘুরতে আইছি
শিশির উঠে চলে গেলো,তনু হাসতে হাসতে শেষ????
পরেরদিন ♥
তনু খাবার দিতেছে আর শিশির ঘাপুস গুপুস করে খাচ্চে আর তনুর দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে
মা খাবার খেয়ে টিভি দেখতে বসলো,
শিশির যাওয়ার সময় তনুকে টান দিয়ে রুমে নিয়ে গেলো,
তনু-বলসি না টাচ করবেন না একদম
শিশির-ঠিক আছে,
শিশির দুহাত তনুর দুপাশের দেওয়ালে রেখে মুখ নিয়ে তনুর ঠোঁট কামড়ে ধরলো,
তনু চোখ বড়বড় করে তাকালো
তারপর শিশির ঠোঁট চুষে নিলো,
হাত সরিয়ে কলার ঠিক করে চলে যেতে যেতে বললো,ঠিক আছে করলাম না টাচ,হাত দিয়ে না ধরেও আদর করা যায়
তনু রাগ গজগজ করতেছে,
শিশির চলে গেলো,
বিকালে শিশির আসলো
খাবার খাচ্ছে আর তনুর দিকে তাকিয়ে রাক্ষসের মত হালুম করতেছে
তনু-হুহ আমাকে খাবে,আমিও তৈরি হয়ে আছি
তনু রান্নাঘরের কাজ করে পা বারাতেই শিশির হাত দিয়ে আটকালো,
শিশির-মিষ্টি পেলাম না
তনু-আহারে
শিশির টান দিয়ে কাছে নিয়ে এলো,
কিস করতে যাবে তনু দাঁত বের করে তাকিয়ে আছে
শিশির-(কোনো গন্ডগল তো করেছে)কিন্তু কি করসে,নাহ কিস নিয়ে তো কিছু করবে না,
শিশির কিস করতে লাগলো,After 1mnt
শিশির তনুকে ছেড়ে দিলো,
তনুর দিকে চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে বাথরুমে চলে গেলো,
তনু-হাহাহা,বেগুন খায়সি মাত্র,
Mr.শিশির বেগুন খেলে তার গলা চুলকায়,
এমন চুলকায় ঔষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে থাকতে হয়,নইতো পাগল হয়ে যায়,আর কিস করবি, একদম ঠিক হয়সে
তনু উঁকি মেরে দেখতেছে,
শিশির কুলি করতেছে,লবন নিয়ে খেলো তাও চুলকাচ্ছে,
জোরে জোরে শ্বাস নিতেছে,
তনু-হিহি
তনু চলে যাওয়া ধরলো শিশির হাত ধরে ফেললো,ঠোঁট লাল হয়ে আছে শিশিরের,ঘামে চুল ভিজে গেসে
শিশির-আজ ঘুমের ঔষুধ খেয়ে ঘুমাবো না,
আজ আমার জ্বালা তুমি মিটাবা
তনু-শখ কত
শিশির-অনেক
তনু হাত ছাড়িয়ে এক দৌড় মারলো শিশির আঁচলে পা রাখলো আর তনু ঠাস করে নিচে পরলো
শিশির-আজ ছাড়ছি নাহ
শিশির এগিয়ে গেলো,
তনুর দুহাত চেপে ধরলো,
চাপটা জোরে হয়ে গেসে,
তনু চিৎকার দিতে যাবে শিশির তনুর দুই ঠোঁট কামড়ে ধরলো,কিস করলো না কারন কিছুক্ষণ আগে কিস করে অবস্থা খারাপ হয়ে গেসিলো
তনু উু উু শব্দ করতেছে,
রাতে তনু শিশিরের হাতে কামড়িয়ে কামড়িয়ে লাল করে দিসে,তাও রাগ যাচ্ছে না,শিশির আরেক হাতে ফোন টিপতেছে
তনু-বাবু দিবে না আবার পিরিত দেখায়
তনু হাত কামড়িয়ে রক্ত বের করে ফেলসে তাও শিশির কিছু বলতেছে না,চুপচাপ ফোন দেখতেছে
তনু-এ্যা?????
তনু স্যাভলন এনো শিশিরের হাত পরিষ্কার করে দিলো,
শিশির-সময় হলে দিব
তনু-আমার এখন চাই
শিশির-চড় খাবা
তনু-হুহ
তনু বালিশ নিয়ে চলে গেলো
পরেরদিন মুনাকে দেখতে আসলো আবির আর তার পরিবার,সবাই কথা বলতেছে,আবির তনুকে বারবার দেখতেছে,
তনু শিশিরকে আর শিশির তনুকে,
তনু-ইচ্ছে করে ওর বুক ছিড়ে বাবু বের করি
শিশির-বুক ছিড়লে বাবু বের হয় না
তনু-????
তনু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মুনার সাথে কথা বলতেছে,
আবিরের চোখ গেলো তনুর কোমড়ের দিকে,ঘাড় লাল দাগ,লাভ বাইট,আবিরের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো এটা দেখে,কিছু খেলো না
তনু-আরে ভাইয়া সব মুনা বানিয়েছে খান
তনু বলায় আবির একটা পিঠা নিলো,
তনুর কোমড়ের দিকে তাকিয়ে পিঠা গুরাগুরা করে ফেললো
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



Crush যখন বর?
Writer-Afnan Lara
#Season_2
#Part_47
আবির রা চলে গেলো,২দিন পর engagement
মুনা খুশিতে শেষ,,
তনু মুনার এই অবস্থা দেখে হাসতেছে,
শিশির দরজার কোণে দাঁড়িয়ে শিষ দিলো
তনু তাকালো
শিশির-কি?আমার বোনের বিয়ে ঠিক হয়সে ও এখন ওর husband এর সাথে কথা বলবে,তুমি মাঝখানে কি করো, চলো
তনু-আমি যামু না
শিশির এসে তনুর হাত ধরে টানতে লাগলো
তনু গিয়ে খাট ধরে বসলো,
শিশির-মুনা বারান্দার দিকে যা তো,
আবিরের সাথে কথা বল,ভাইয়া তোরে fexi করে দিসি
মুনা-সত্যি???
মুনা বারান্দায় চলে গেলো,
শিশির তনুকে কোলে করে নিয়ে এলো,
তনু-বাবু না দিলে টাচ ও করতে দিমু না
শিশির তনুকে খাটে নামিয়ে দিলো,
শিশির-ওকে করলাম না টাচ,তাও এই রুমে শোও
তনু ঘুমিয়ে গেলো,মাঝখানে কোলবালিশ দিয়ে,,
দেখতে দেখতে engagement এর দিন এসে গেলো,,
সবাই এসেছে,,
তনু মুনাকে সাজিয়ে দিলো,,
তনু নিজে বেগুনি কালারের শাড়ী পরেছে,চুল ছেড়ে দিসে,,
শিশির বাসায় ফুল লাগানোতে ব্যস্ত ছিলো,
তনু টেবিলে খাবার আনতেছে,
শিশির টুপ করে এসে ফুলের মালা দিয়ে তনুকে টান দিয়ে রুমের সাইডে নিয়ে গেলো,
শিশির তনুর মুখ টিপে ধরে কিস করতে লাগলো?
শিশিরের এক হাত তনুর পাশের দেওয়ালে যার কারনে ওকে দেখা যাচ্ছে না,
মুনা-ভাইয়া তনু ভাবীরে দেখছোত?
শিশির তনুকে ছেড়ে দিয়ে বেরিয়ে আসলো,
তারপর তনু বের হলো,
মুনা-ওখানেই ছিলো তো বলস নাই কেন?
শিশির-তোর ভাবীরে আমি দেখি নাই,
শিশির এক দৌড়ে চলে গেলো,
মুনা-ভাবী কুচি খুলে যাচ্ছে,,
তনু -দাঁড়া ঠিক করে দিতেছি,
আবির রা আসলো,,
আবির মুনার রুমে ঢুকতে যাবে তনু দরজার পিছনে ছিলো,
দরজা খুলার সাথে সাথে ঠাস করে নিচে পড়ে গেলো,
আবির-ঠিক আছেন?আমি আসলে দেখি নাই,সরি
আবির তনুর হাত ধরে উঠালো,
তনু-বউরে দেখেন আমি যাই গা
তনু বের হতেই শিশিরের সাথে বারি খেলো,
শিশির-ওদের তো সেট করলা আর আমারে সেট করে দিবে না?
তনু-হুহ,বাবু না দিলে নো সেটিং
শিশির খপ করে হাত ধরে রুমে নিয়ে গেলো,
তনু-এ্যাই,dnt touch me
শিশির-এখন টাচ করার সময় নাই,এক কাজে আনছি
শিশির একটা প্যাকেট তনুর হাতে দিলো,
তনু-ওয়াও, অনেক সুন্দর জামা
শিশির-একদিন পরিও,এখন রেখে দাও,অফিস থেকে আসার সময় চোখে পরসে তাই কিনে নিছি,
তনু উঁচু হয়ে শিশিরের কপালে চুমু খেলো,
তনু-থাংকু
শিশির ধরতে যাবে তনু এক দৌড় দিয়ে চলে গেলো,
আবির আর মুনা আসলো,,engagement শেষ হলো,
দেখতে দেখতে বিয়ের দিন এসে গেলো,সবাই ব্যস্ত,,
তনু মুনাকে সাজাচ্ছে
stage -এ নিয়ে বসানো হলো,,
শিশির-আজ তনুকে বউ বউ লাগতেছে,বিয়ে টা কার?
তনু-আমার??????
শিশির-তাই না?তাহলে তো রাতে বাসর হবে?
তনু-না?
শিশির-মাইয়া ৪দিন ধরে আমাকে ঘুরাইছো,আজ তোমায় ছাড়তেছি না
তনু-বাবু দেওয়া লাগবে
শিশির -দিব না
আবির মুনার সাথে বসে তনুর দিকে তাকিয়ে আছে,
তনু আত্নীয়দের সাথে কথা বলতেছে,আজ আবার আবিরের চোখ তনুর কোমড়ে গেলো নাহ দাগ নেই,
গলার দিকে তাকালো না সেখানেও দাগ নেই,আবির মুচকি হাসলো
শিশির-কি আবির এত খুশি?আমার বোন কিন্তু তোমাকে অনেক ভালোবাসে,ওরে যত্নে রেখো
আবির-অবশ্যই
শিশির চলে গেলো
আবির-মুনা তোমার ভাইয়া আর তোমার ভাবীর মধ্যে সম্পর্ক টা ভালো না?
মুনা-কে বলসে ভালো না,খুব ভালো
আবির-ওহ
রাতে তনু আর শিশির মিলে বাসর ঘর সাজাচ্ছে,
শিশির ফুলের মালা গলায় দিয়ে বসে আছে
তনু-ইহরে ঢং,যেন উনি নতুন জামাই
শিশির-তো কিয়া?আবিরের থেকেও young ?
তনু-কচু
শিশির-দেখতে চাও?
তনু-অন্তত এখানে না
শিশির -এখানেও সমস্যা নাই
শিশির তনুর দিকে এগিয়ে গেলো,
তনু গাঁদা ফুলের পাপড়ি নিয়ে শিশিরের মুখে পুরে দিল
শিশির-ইয়াক,শয়তান মাইয়া,তোমারে আজ আমি সব ফুল খাওয়াবো
শিশির গোলাপ নিয়ে তনুর হাত ধরলো,
শিশির-চলো
তনু-আমি যাব না
শিশির টেনে নিয়ে গেলো,আবির আর মুনাকে রুমে ঢুকিয়ে,
শিশির তনুকে এনে খাটে বসালো
শিশির-ভালো মেয়ের মত হা করো
তনু-ছিঃ আমি খাব না
শিশির-আমার মুখে ফুল দেওয়ার আগে ভাবা উচিত ছিলো

আবির-মুনা শুয়ে পড়ো
আবির বালিশ নিয়ে আরেকদিকে ফিরে শুয়ে পড়লো
মুনা-শুয়ে পড়বো?আজ আমাদের বাসর
আবির -তো??
আবির-শুয়ে পড়ো

(আবিরের মা বাবা নেই,আবিরকে যারা পালন করসে তারা গরীব,,আবির চাকরি পেয়ে একটা hostel এ থাকে,শিশির আবিরকে শিশিরদের বাসায় থাকতে বলসে)
শিশির তনুর শাড়ীতে হাত দিলো,
তনু-বাবু দিতে হবে,নইলে কিন্তু কেঁদে দিব
শিশির-কাঁদো গিয়ে,
শিশির তনুর মুখ টেনে চুমু দিতে লাগলো,
তনু হাত দিয়ে কিল ঘুষি দিতেছে,শিশির হাত চেপে ধরলো,
পরেরদিন ♥
তনু উঠে রান্নাঘরে গেলো,পা বারাতেই ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে গেলো,আবির তনুর উপর
তনু চিৎকার দিতে যাবে আবির মুখ চেপে ধরলো
তারপর হাত ছেড়ে দিলো
আবির-সরি সরি,আমি দেখি নাই আপনাকে
তনু-আমিও দেখি নাই
আবির উঠে তনুর হাত ধরে উঠালো,
আবির -আমি জগিংয়ে যাচ্ছি,বাই
তনু মুনার কাছে গেলো,মুনা কই??
তনু বারান্দায় দেখতে গেলো,মুনা কাঁদতেছে
তনু-কিরে কি হয়সে?কাঁদস কেন?
মুনা তনুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো
মুনা- আবির আমাকে ভালোবাসে না ভাবী
তনু-ও তোকে বলসে?
মুনা-কাল আমাকে এসে এক পাশে শুয়ে পড়তে বলসে,আর একটা কথাও বলেনি
তনু-আরে বোকা,আবির এমনিতেও চাপা স্বভাবের,তারউপর Arrange marriage, তোদের adjust করতে টাইম তো লাগবেই
মুনা-ওহ
তনু রান্না করে টেবিলে আনলো,,হাত দিয়ে ঘাম মুছতেছে আর plate রাখতেছে,
আবির রুমে আসলো,
আবির-মুনা বসে না থেকে ভাবীকে কাজে help করো যাও আমার বাবা মা থাকলে তোমাকে আজ সব রান্না করতে হতো
মুনা-ঠিক আছে
তনু সব ঠিক করে শিশিরের কাছে গেলো,
শিশির ঘুমাচ্ছে,তনু কিছুক্ষণ চেয়ে রইলো,
তনু-ইস এমন একটা শিশির গিফট চেয়ে ছিলাম তাও দিতেছে না,কি হয় দিলে
শিশির তনুকে টান দিয়ে বুকে নিয়ে এলো
শিশির-তুমি সুস্থ হও
তনু-আর কত?আমার বাবু চাই
শিশির-সুস্থ হয়ে নাও একটা কেন পুরা cricket team দিব
তনু-হিহি,আমার কিন্তু ১২টা বেবি চাই,একটাও কম না
শিশির-বাবারে মরে যাবো
তনু-?না দিলে কথা কমু না
শিশির-আগে একটার ঝামেলা শেষ দেন
চলবে

“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


Crush যখন বর?
Writer-Afnan Lara
#Season_2
#Part_48
মুনা আবিরের কাছে আসলো,,ওর পাশে বসলো
আবির ফোন টিপতেছে,
মুনা তাকিয়ে আছে,
আবির-কিছু বলবা?
মুনা-না
আবির আর কিছু বললো না
শিশির খেয়ে অফিস চলে গেলো,
তনু গোসল করে এসে বারান্দায় দাঁড়িয়ে চুল ঝাড়তেছে,
মুনা রান্নাঘরে আবিরের জন্য একটা special item তৈরি করতেছে,
আবির বারান্দায় এসে পাশে তাকাতেই দেখলে তনুদের বারান্দায় তনুকে দেখা যায়,
আবির হা হয়ে তাকিয়ে আছে,
তনুর পেট ঢাকা নেই,পেটে পানি বেয়ে বেয়ে পড়তেছে,
তনুর খেয়াল ও নেই আবির যে তাকিয়ে আছে,
তনু বাইরে তাকিয়ে আছে
আবির এগিয়ে গেলো,
তনু চুল পিছনে দিয়ে দিলো,
হালকা কয়েক ফোঁটা পানি গিয়ে আবিরের গায়ে পড়লো,
আবির পাগল হয়ে যাচ্ছে,,মুনার ডাকে ওর হুস আসলো,
বারান্দা থেকে রুমে চলে এলো,
বিকালে শিশির আসলো,তনু ঘুমাচ্ছে,,
শিশির পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো,
যখন ও এতই চাচ্ছে তো ঠিক আছে,,বাবা হতে আমার কোনো আপত্তি নেই,
তনু শিশিরের স্পর্শে জেগে গেলো,উঠে বসলো
শিশির তনুর মুখ দুহাত দিয়ে ধরলো
তনু-কি স্যার??
শিশির-স্যার?
তনু-হুম স্যার,স্যার রা অনেক কিপটা হয়,আর আপনিও কিপটা,আমাকে বেবি দেন না,???
শিশির -আমি যে জামাটা দিসি পরে নাও
তনু-কেন?
শিশির-পরতে বলসি পরো,
আমি fresh হয়ে আসতেছি
তনু জামাটা নিয়ে পরে নিলো,বাহ অনেক সুন্দর, একটু টাইট,ইস মোটা হয়ে গেসি
শিশির fresh হয়ে বেরিয়ে দেখলো তনু জামা গায়ে দিয়ে ওড়না কুচি করতেছে পরার জন্য
শিশির মুচকি হেসে জড়িয়ে ধরলো পিছন থেকে,
শিশির-ওড়না পরতে হবে না
তনু-বাব্বাহ,এত রোমান্স
শিশির তনুর চুলে মুখ ডুবিয়ে ঘ্রান নিলো,
তনুকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো শিশির
তনু শিশিরের দিকে তাকালো,তনু বুঝেছে আজ শিশির কি চায়
তনু-কেমনে কেমনে
শিশির-ওমনেই,
শিশির তনুকে নিজের দিকে ফিরালো,
তনুর গলায় চুমু দিয়ে তনুর ঠোঁটে চুমু দিলো,
তনুকে কোলে তুলে খাটে নিয়ে গেলো,
এক সময় শিশির তনুর হাত কামড়ে ধরলো,
তনু-মাগো,হাত কামড়ান কেন?
শিশির-অন্য জায়গায় কামড়ালে তা দেখা যাবে,তুমি লজ্জায় পড়বা
তনু-ইহ এমন ভাব যেন আগে কোনোদিন কামড়ায় নাই
শিশির-সেটা ঠিক তবে আজ তুমি জামা পরে আছো,
তনু-?
পরেরদিন ♥
তনু মুনার কাছে গেলো,মুনার মন খারাপ,কারন আবির ওকে কাছে আসতে দেয় না
তনু-দাঁড়া শিশির আসুক
মুনা-না ভাইয়াকে কিছু বলো না,ভাইয়ার মেজাজ গরম হলে মাথা ঠিক থাকে না,
মুনা-তুমি যাই ওর সাথে কথা বলে দেখো
তনু-আমি?আচ্ছা দেখি,
আবির ছাদে বসে ফুল দেখতেছে
তনু-ভাইয়া কি খবর
আবির-ভালো,আপনার ফুল গাছ দেখতেছি
তনু-না আমার না,এগুলা সব শিশিরের
আবির-ওহ
তনু-মুনাকে ভালোবাসেন?
আবির তনুর দিকে তাকালো,হঠাৎ এই প্রশ্ন নির্ঘাত মুনা কিছু বলসে
আবির -হ্যাঁ বাসি
তনু-তাহলে confess করেন না কেন??মুনা আপনাকে অনেক ভালোবাসে,
আবির উঠে দাঁড়ালো,,তনুর কাছে গেলো,
তনু অবাক হলো,কারন আবির অনেক কাছেই এসে দাঁড়িয়েছে,
তনু পিছতে লাগলো,আবির এগতে লাগলো,
তনু যেতে যেতে ছাদের কোনার সাথে লেগে গেল
আবির-পড়ে যাবেন ম্যাম,এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই,নাহয় ভাবীর কথায় আদর করলাম আমার বউরে,
আবির চোখ মেরে চলে গেলো
তনু-?এটা আবার কেমন আচরন,হুহ
আবির রুমে গেলো মুনার কাছে,
তনু রুমে আসলো,,
বারান্দায় এসে দাঁড়ালো,ফুল দেখতে লাগলো,হঠাৎ কেউ এসে ওরে জড়িয়ে ধরেছে,
তনু-বাহ এত তাড়াতাড়ি??
তনুর কাছে টাচ টা অন্যরকম লাগলো,
তনু পিছনে তাকিয়ে আবিরকে দেখে চিৎকার দিলো,আবিরকে ধাক্কা দিয়ে দূরে গিয়ে দাঁড়ালো
আবির-তুমি তো বললা ভালোবাসতে,যাকে ভালোবাসি,আমি তোমাকে ভালোবাসি
তনু-পাগল হয়ে গেসেন,আজব
তনু রুম থেকে বেরিয়ে যেতে নিলো,আবির এসে হাত ধরলো
তনু ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো,
বিকালে শিশির আসলো,
তনু শিশিরকে বলতে যাবে তখনই মুনা এসে শিশিরকে জড়িয়ে ধরলো,
মুনা-ভাইয়া আমি অনেক হ্যাপি
শিশির-কি হয়সে
মুনা-আবির অনেক ভালো
শিশির-জানিতো রে তাইতো তোর সাথে বিয়ে দিসি
মুনা মুচকি হেসে চলে গেলো,
শিশির-তনু কিছু বলবা?
তনু-হুম
শিশির-ওয়েট আমি fresh হয়ে আসি
তনু দাঁড়িয়ে আছে,হঠাৎ কেউ তনুর হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো,
তনুর মুখ চেপে ধরে,
guest রুমে নিয়ে গেলো,
তনু দেখলো এটা আবির, তনু আবিরকে সরিয়ে দৌড় দিতে গেলো,
আবির দরজা লাগিয়ে তনুর হাত চেপে ধরে খাটে বসিয়ে মুখ বেঁধে দিলো,হাত চেপে ধরে আছে,
শিশির বাথরুম থেকে বের হলো,মনে হলো তনু ডাকলো,শিশির রুম থেকে বেরিয়ে এলো নাহ,তনু মেবি রান্নাঘরে
আবির তনুর হাত ও বেঁধে দিলো,তনু কাঁদতেছে,শিশিরের এত কাছে থেকেও শিশিরকে ডাকতে পারছে না তনু
আবির নিজের গায়ের shirt খুললো,
আবির-জানি এখন তোমার সাথে কিছু করতে পারবো না তবে তোমাকে পেতে হলে যা করতে হবে তাই করবো,
আবির শিশিরের ডাক শুনলো,
শিশির সোফার রুমে এসে তনুকে ডাকতেছে
আবির তনুর মুখের বাঁধন আর হাতের বাঁধন খুলে দিয়ে তনুকে গায়ের জোর দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো,যাতে তনুর উঠতে দেরি হয়,তনুর গায়ের থেকে ওড়না নিয়ে ছিঁড়ে আরেক জায়গায় ফেলে দিলো
আবির খালি গায়ে রুম থেকে বের হলো,শিশির দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছে,মুনা ও
আবির শিশিরের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো,
আবির-ভাবী আমাকে রুমে যেতে বললো,আর তারপর
শিশির মারার জন্য হাত উঠালো,
মুনা-ভাইয়া!!
শিশির রুমে গেলো,তনু মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে নিচে,ব্যাথা পেয়েছে মাথায়,
শিশির দেখলো তনুর গায়ে ওড়না নেই,
চলবে♥

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে