Crush যখন বর?Season_2Part_37/38/39

0
2548

Crush যখন বর?Season_2Part_37/38/39
Writer-Afnan Lara

শিশির-হাহাহা
তনু-হ্যালো মা তোমার ছেলে আমার কোনো কথাই শুনতেছে না?
মা-?বুঝাস না,আচ্ছা বল যে আমি অসুস্থ
তনু-ঠিক আছে
তনু-আম্মু অনেক অসুস্থ হয়ে গেসে আপনাকে না দেখে,চলুন যাই
শিশির -সত্যি??
তনু-হ্যাঁ
শিশির-উফ মা টাকে নিয়ে আর পারলাম না,রেডি হয়ে নাও,
তনু গিয়ে রেডি হয়ে নিলো,রওনা দিলো দুজনে,,
বাসে ♥
তনু-(আমার কপালে দুঃখ আছে?)
বাসায় এসেই শিশির দৌড়ে মায়ের রুমে গেলো,ওমা একি মা তো একদম ঠিক আছে,তোমার কি হয়েছিলো?
মা -তুই আসতে চাস না দেখে তনুকে দিয়ে মিথ্যা বলিয়েছি,
শিশির তনুর দিকে রাগী লুকে তাকালো,তনু ঢোক গিলে এক দৌড়ে মুনার রুমে চলে গেলো,
শিশির সোজা মুনার রুমে গেলো,
শিশির-মুনা যা আজ তুই আমাদের রুমে ঘুৃমা,,
মুনা-কেন?
শিশির-বলসি তাই,যা
মুনা চলে গেলো,শিশির তনুর দিকে এগিয়ে গেলো,তনু পিছোতে পিছোতে দেওয়ালের সাথে মিশে গেলো,
শিশির-ইচ্ছা করতেছে কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলি
তনু-আসলে মা কইলো?
শিশির-চুপ,
শিশির টান দিয়ে তনুর গয়ের ওড়না ফেলে দিলো,
তনু-আর কখনও মিথ্যা কমু না pls আমাকে মারিয়েন না,আমি অসুস্থ, মাথায় ব্যাথা করে,মাথা ঘুরায়,(তনু বকবক করেই যাচ্ছে)শিশির তনুর মুখ টিপে ধরলো
শিশির-চুপ,একদম চুপ,জানি আমি আপনার শরীরের খবর,আদর করে কষ্ট দিব তাই ওড়না সরাইছি,
শিশির তনুকে খপ করে ধরে কোলে তুলে নিলো,নিয়ে খাটে বসালো,
তনু-আমার ওড়না দেন
শিশির ওড়না নিয়ে ছুঁড়ে মারলো,
তনু-এটা কি হলো
শিশির তনুর মুখে হাত দিলো তনুর,চুপপপপপপ♥
তনু হাত দিয়ে শিশিরকে সরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,,
শিশির তনুর গলায় জোরেসোরে কামড় দিলো,
তনু-আমি রোগী,আর আপনি অত্যাচার করতেছেন,
শিশির-হুম,রোগী অপরাধ করলে তাকে তো শাস্তি পেতেই হবে,
তনু ভ্যা ভ্যা করে কাঁদতেছে,শিশির মুখ ধরে চুমু দিতে লাগলো,তনুর কান্না উধাও,কাঁদে চাইতেছে কিন্তু পারতেছে না,???
সকালে♥
তনু উঠে নাস্তা বানাতে চলে গেলো,
সায়না টেবিলে বসে তার বেবিকে চিকেন সুপ খাওয়াচ্ছে,
মা-দাও ওরে আমি খাওয়াই
সায়না-না না আমার বাবু অন্যের হাতে খাবার খায় না,পরে কেঁদে দিবে,ওর বাপি ঘুমায়,জেগে গেলে disturb হবে,
মা কিছু না বলে রান্নাঘরে আসলো,বাহ সব শেষ??
তনু-?হুম,তুমি বসো আমি খাবার আনতেছি,
মা ডাইনিং-এ গিয়ে বসলো,তনু খাবার এনে দিলো,শিশির এসে দেখলো তনু সায়নাকে খাবার বেড়ে দিচ্ছে,
শিশির-বেবি হলে কি সংসারের বাকি কাজ অন্যজন করবে??আর এটা তো দুধ খাওয়া বেবি না,৫বছরের ছেলে,
সায়না শিশিরের দিকে তাকালো,
তনু-সমস্যা নাই,আমার তাড়াতাড়ি হয়ে গেসে সব,
মা-বুয়া কদিন ধরে আসতে পারে না
শিশির খাবার খেয়ে উঠে চলে গেলো,
তনু পিছন পিছন গেলো,গিয়ে শিশিরের পিছন দিয়ে জড়িয়ে ধরলো,
শিশির-কি চাই?
তনু-আদর
শিশির -কাল রাতেই তো করলাম
তনু-এখন আবার চাই
শিশির তনুর দিকে ফিরে তাকালো,কি হলো বলতো,বেবি নিবা নাকি?আমি কিন্তু এত তাড়াতাড়ি নিব না,বলে দিলাম,আর হ্যাঁ আমি না চাইলে তোমার কিছু করার নাই
তনু-হুহ
তনু চলে যাওয়া ধরলো শিশির টান দিয়ে কাছে আনলো,
তনুর কপালে চুমু দিলো,তারপর ঠোঁটের পাশের সাইডে কামড় দিলো,
শিশির-আসি,অফিসে লেট হচ্ছে,,
শিশির চলে গেলো,
সায়না-হুহ ঢং,বউয়ের জন্য দরদ উতলিয়ে পরছে,আমাকে খোঁচা মারে কতবড় সাহস,শিহাব উঠুক,মজা দেখাবো,
তনু গিয়ে সায়নার ছেলে আরিয়ানের সাথে বসলো,
তনু -তোমার নাম কি বলতো?
আরিয়ান-আরিয়ান
তনু-কিসে পড়ো?
আরিয়ান-কে.জি,ইউ?
তনু-বাব্বাহ,আমি পড়ি না,১২পর্যন্ত পড়সি,
আরিয়ান-ওহ আই সি,
সায়না-ওর সাথে English -এ কথা বলবা,আমি ওরে English শিখাইতেছি,
তনু-ওকে,
শিশির তনুকে কল দিলো,
তনু-হুম বলেন
শিশির-সায়নার সাথে বেশি কথা বলবা না,রুমে এসে বসো,আমি যদি দেখি থাপ্পড় দিব,
তনু-???
সায়না সকালের ঘটনা বানিয়ে বানিয়ে শিহাবকে সব বললো,
সায়না-আমি বাবুর জন্য সুপ বানাইসি, আর বলে আমি তনুকে help করি নাই কেন,,
শিহাব-ওকে বিকালে কথা বলবো,
শিশির বিকালে বাসায় আসলো,Fresh হয়ে এসে ডাইনিং-এ বসলো,
শিহাব-তুই সকালে সায়নাকে কি বলছস?
শিশির-উনি তোরে কি বলসে?
শিহাব-তোর ভাবি আরিয়ানের জন্য সুপ বানাইসে দেখস নাই??
শিশির-সুপ বানাতে গিয়ে tired হয়ে গেসে??আমার বউ যে অসুস্থ সেটা কি জানে না??তারপরেও ও সবার জন্য খাবার তৈরি করেছে,তোর বউ সামান্য সুপ বানিয়েই খালাশ??
শিহাব-আমার বউ কাজ করতে আসেনি
শিশির-আমার বউ ও,এতদিন আমরা আপনাদের ছাড়া ভালই ছিলাম,আপনারা আসছেন,আপনাদের লাগলে বুয়া আনেন,
Next তনু আমার আর মুনা,মায়ের বাদে কারোর জন্য কিছু বানাবে না,তোর বউয়ের জন্য তোর যেমন দরদ আমার বউয়ের জন্য আমার দরদ ও কিন্তু কম না,,বড় ভাইয়ের শিক্ষায় শিক্ষিত আমি,বাট একটা কাজ পারলাম না,মাকে একা রেখে চলে যেতে,
শিশির উঠে রুমে চলে গেলো,
তনু-কি হয়সে,নাহয় ২জনের রান্না বাড়িয়ে করবো
শিশির-কেন করবা??
তনু-বউ তাই
শিশির-না করবা না,ওর বউ অনেক অধিকার ফলাইসে,আর না,
সায়না-তুমি সম্পত্তির দলিলে সাইন করিয়ে নাও আমরা চলে যাবো,মনে রেখো তুমি ৫% বেশি নিবা,দরকার হলে আজ তোমার মায়ের পা টিপে দিও,Emotional black mail করিও,
তনু বসে বসে আচার খাইতেছে,শিশির আড়চোখে তাকিয়ে আছে
তনু-এভাবে তাকাতে হবে না,আমি গর্ভবতী না?
শিশির-???
শিশির এসে হাত থেকে বোতল নিয়ে বারান্দায় চলে গেলো,
তনু-আপনি কি??
শিশির-শয়তান মাইয়া,
তনু-????
শিশির আচার মুখে দিয়ে ফেলে দিলো,এটা কিসের আচার
তনু-রসুনের
শিশির-আগে কইবা না,রসুনের আবার আচার হয় নাকি
তনু-সব কিছুরই হয়,
শিশির-তনুর আচার আছে?আমি খেতে চাই
তনু দৌড় মারা ধরলো শিশির হাত ধরে ফেললো
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


Crush যখন বর?
Writer-Afnan Lara
#Season_2
#Part_38
শিশির -আমার তো এখনও আচার খাওয়া শেষ হয়নি
তনু হাত থেকে বোতল নিয়ে শিশিরের হাতে দিলো,নেন খান,শিশির তাও হাত ছাড়তেছে না
তনু-আর কি??
শিশির-তনু নামের একটা আচার আছে সেটা খাবো,
এটা বলেই তনুকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরলো শিশির,
তনু-মা মা মা
শিশির-মামা?
তনু- না মা
শিশির-নামাবো??কোলেই তো তুললাম না
তনু-ধুর
শিশির তনুর মুখ ধরে কিস করো দিলো,
তনু দুহাত দিয়ে শিশিরের গলা জড়িয়ে ধরলো,,
শিশিরের মনে হলো তনু এলিয়ে পড়তেছে,তনু পড়ে যাওয়া ধরলো শিশির দুহাত দিয়ে ধরে ফেললো,তনু জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে,,শিশির তনুকে এনে খাটে শুইয়ে দিলো,
শিশির-নাহ,এভাবে হলে চলবে না,ওকে ভালো একটা Doctor দেখাতে হবে,,
শিশির রুম থেকে বের হতেই দেখলো শিহাব মায়ের রুমের দিকে যাচ্ছে,,শিশির পিছন পিছন গেলো,
শিহাব গিয়ে মায়ের পা টিপতে লাগলো,
শিশির-নিশ্চয় কিছু চাইবে
মা-হয়সে বাবা,থাক
শিহাব-মা সম্পত্তির ভাগটা করে দাও,আমি কিন্তু ৫% বেশি পাবো
শিশির-জানতাম এমন কিছু হবে,
মা-সেটা তো তোর বাবার হাতে,
শিহাব-ওও,শিহাব উঠে চলে গেলো,
শিশির নিজের রুমে আসলো,,
বাবা-শিহাব, এত কিছুর পর এসব আশা করো কিভাবে?
শিহাব-মানে??
বাবা-আমি শিশির আর মুনার নামে সব সম্পত্তি নমীনি করে দিসি,
শিহাব-Whatttt!
বাবা-আমাদের ছেড়ে ৬বছর ছিলে,আমরা কেমন আছি একবারও খবর নিসো??
শিহাব-তাই বলে এমন করবা??আমি বড় ছেলে তোমাদের,
বাবা লাইন কেটে দিলো,
শিশির রুমে আসলো,তনু উঠে বসে আছে,মাথা ধরে,
শিশির-বেশি ব্যাথা করতেছে?
তনু-হুম,কি হয়েছিলো?
শিশির-কিছু না,,চকলেট খাবা?
তনু-না
শিশির-জীবনে মানা করতো না আর আজ মানা করতেছে,,
শিশির গিয়ে বারান্দার গ্রিলে মাথা ঠেকে দাঁড়িয়ে রইলো,
সব আমার জন্য,আমার ভুলে তনুর এই অবস্থা,
তনু পিছন থেকে শিশিরকে জড়িয়ে ধরলো,
তনু-না কে বলসে??আপনি তো জানতেন না
শিশির-জেনে শুনে এমন করসি,নাহলে আজ তুমি সুস্থ থাকতে,
তনু-এই যে ভালো আছি,,
মা-শিশির শিশির
শিশির দৌড়ে মায়ের কাছে গেলো,
মা-দেখ না শিহাব চলে যাচ্ছে
শিশির-যাক
মা-তুই আটকাতে পারবি আটকা,আমার কসম তুই আটকাবি
শিশির-উফ,
শিশির-শিহাব ভাইয়া
শিহাব-কি?
শিশির-যাইয়েন না,মায়ের কথা ভেবে থাকুন
শিহাব-দরকারর নেই,সব কিছু তো তোরাই পেলি,আমি তো কিছুই পেলাম না,আমি ওদের কিছু হই না,
শিহাব চলে গেলো সায়না আর আরিয়ানকে নিয়ে,
সায়না-দেখো এবার তোমার ছোট ভাই সব সম্পত্তি আমাদের নামে করে দিবে,আমাদের plan কাজে আসবে,
শিশির রুমে আসলো, একি তনু কই,,
শিশির-মুনা তনু কই??
মুনা-ভাবী তো রুমেই দেখ ভালো করে,
শিশির আবার রুমে গেলো,তনু Store -এ উঠসে কম্বল নামানোর জন্য,
শিশির-এ্যাই তুমি এই অসুখের ভিতরে এখানে উঠসো কেন?আমাকে বলো নাই কেন?
তনু-বৃষ্টিতে শীত পড়তেছে খুবববব,
শিশির-আমাকে বলতা শীত কমাই দিতাম
তনু-?
শিশির-এখন নামো
তনু-না
শিশির-তাহলে টেনে নামাবো
তনু-ঠিক আছে নামতেছি,
তনু আরও ভিতরে চলে গেলো,
শিশির বসে আছে,২০মিনিট হয়সে এখনও নামতেছে না কেন?
শিশির উঠে গিয়ে দেখলো তনু Senseless হয়ে গেসে,নিচে শুয়ে আছে, আর মুখ থেকে রক্ত বের হচ্ছে,শিশির চিৎকার দিয়ে তনুকে বুকে নিয়ে এলো,
শিশির-তনু,তনু, কি হয়সে তোমার??
শিশির তনুকে নামিয়ে আনলো,doctor কে কল দিলো,
শিশির-Pls কিছু একটা করেন আমি এখন কি করবো?
Doctor -Immediately উনাকে নিয়ে হসপিটালে চলে আসেন,
শিশির তনুকে নিয়ে হসপিটালে চলে এলো,তনুকে এডমিট করানো হলো,
শিশির -কি হয়সে ওর?
doctor -আপনাকে মানা করসিলাম যে উনাকে বেড থেকে নামতেই দিবেন না, উনি নিশ্চই ভারী কাজ করেছেন,
শিশির-আমার একদম খেয়াল ছিলো নাহ,ও ঠিক হয়ে যাবে তো??
Doctor -We will trying our best
শিশির মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে,কেঁদে দিলো,,ওর জন্য আজ তনুর এমন অবস্থা,
Doctor -iron selain দিয়ে দিসি,ঠিক হয়ে যাবে,Next time pls be careful
শিশির-আমি একবার ওকে দেখবো,
Doctor -Sound করবেন না
শিশির তনুর কাছে গেলো,তনুর মুখ ধরলো,কাঁদতে লাগলো,শিশিরের চোখের পানি তনুর মুখে পরলো,কিন্তু তনুর চোখ খুললো না,তনুর জ্ঞান নেই,
শিশির তনুর পাশে বসে থাকলো,খুব বেশি irresponsible হয়ে গেসিলাম,
বিকালে♥
তনু আস্তে আস্তে উঠে বসলো,
তনু-আমি কই?
শিশির-হসপিটালে,
তনু-কি হয়সে?
শিশির-কিছু না
তনু-কিছু একটা তো হয়েছে,আমি মরে যাবো তাই না?
শিশির একটা ধমক দিলো তনুকে
Nurse শিশিরের দিকে তাকালো even রুমের আশেপাশের সবাই তাকালো,
তনু কেঁদে দিলো,শিশির এসে পাশে বসে চোখ মুছে দিয়ে জড়িয়ে ধরলো,
শিশির-কখনও আর এমন বলবা না,আমার জীবন দিয়ে হলেও তোমাকে বাঁচাবো,
তনু এখনও কাঁদতেছে,
Nurse -উনি এভাবে কাঁদলে আবার জ্ঞান হারাবে,
শিশির-তনু কেঁদো না সব ঠিক হয়ে গেসে,আমি আছি না??
শিশির -এখন বাসায় যাবো,আচার খাবো কেমন??
তনু চোখ মুছে মুচকি হাসলো,,
চলবে♥
(গোটা লিখার পর ফোন হাত থেকে slip খেয়ে নিচে,আমার গল্প উধাও,আবার প্রথম থেকে লিখতে হয়সে?)
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



Crush যখন বর?
Writer-Afnan Lara
#Season_2
#Part_39
শিশির তনুকে নিয়ে বাসায় আসলো,,
শিশির তনুকে আঁকড়ে ধরে খাটের মাঝখানটাই বসে আছে,তনু শিশিরের বুকে মাথা রেখে আয়নায় শিশিরের দিকে তাকিয়ে আছে,
শিশির-তুমি ঠিক হয়ে যাবা,
তনু-হুম,
শিশির তনু কপালে চুমু খেলো,
তনু শিশিরের দিকে তাকিয়ে আছে,ওর চোখ থেকে পানি গড়িয়ে নিচে পড়লো,
শিশির-কাল লাল শাড়ীটা পরবে?
তনু-আচ্ছা
শিশির-লাল লিপ্সটিক লাগিও,
তনু-ওকে
তনু শিশিরের বুকে ঘুমিয়ে গেলো,
সকালে♥
শিশির আস্তে করে তনুকে খাটে শুইয়ে দিয়ে উঠে গেলো,Fresh হয়ে নিয়ে লাল পাঞ্জাবি নিয়ে রেডি হয়ে নিলো,
তনু ঘুম থেকে উঠে চোখ ডলতে ডলতে ওয়ারড্রোবের দিকে তাকালো,
শিশির হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,মুখে সেই বাঁকা হাসি,
শিশির তনুর কাছে এগিয়ে এসে তনুর হাত ধরে উঠালো,
শিশির-রেডি হয়ে নাও
তনু লাল শাড়ীটা খুঁজে রেডি হয়ে নিলো,লিপ্সটিক দিলো ঠোঁটে,
,তনু বেরিয়ে এলো,,শিশির তনুরর দিকে তাকিয়ে থাকলো আনমনা হয়ে,চোখের নিচে হালকা কালো দাগ,ঠোঁটের কোণের হাসিটাতে মিশে আছে যন্ত্রনা,হাত ভরা চুড়ি,হাতটা যেভাবে ঝুলিয়ে রাখা মনে হয় না কখনও এই হাতে শিশিরের চুল টেনেছিলো,শিশিরের চোখে পানি চুপসে আসতেছে,শিশির চোখের পানি আটকালো,তনুর কাছে গিয়ে তনুর হাত ধরলো,
শিশির-চলো আজ একটা জায়গায় যাবো যেখানে আমাদের কেউ Disturb করবে না,
তনু-চলুন,
শিশির তনুকে নিয়ে একটু দূরে নদী দেখতে নিয়ে গেলো,বাতাসে তনুর শাড়ীর আঁচল আর চুল উড়তেছে,শিশির এক হাত দিয়ে তনুর কোমড় জড়িয়ে ধরে আছে,
তনু নদী দেখতেছে,আর হাসতেছে,দূরের নৌকাগুলা দেখতেছে,
আকাশ মেঘলা,বাতাসটা বেড়ে গেসে,
শিশির মুচকি হেসে তনুকে টান দিয়ে নিজের দিকে ফিরিয়ে নিলো,
তনু-কি?(কিছুটা অবাক হয়ে)
শিশির হাঁটু গেড়ে নিচে বসলো,পিছন থেকে গন্ধরাজ ফুলের একটা তোড়া বের করে তনুর দিকে বারালো,
শিশির-আজ কিন্তু পা ব্যাথা করতেছে না,সত্যি সত্যি বসেছি,
গন্ধরাজ ফুল তনুর সবচেয়ে প্রিয়,শিশির সেটা জানে,
শিশির-ভালোবাসি,হ্যাঁ আমি তোমাকে ভালোবাসি,আমি আমার তনুকে ভালোবাসি♥♥♥
তনু খুশিতে মুখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,
শিশির-উত্তর?
তনু-আমিও আপনাকে খুব ভালোবাসি,
তনু শিশিরের হাত থেকে ফুল নিলো,শিশির তনুকে জড়িয়ে ধরলো,
শিশির চোখ বন্ধ করে আছে,বলতে পেরেছে আজ,হালকা লাগতেছে নিজেকে,
সারাদিন মিলে দুজনে ঘুরলো,সন্ধ্যায় বাসায় আসলো,
তনু হাত থেকে চুড়ি খুলতেছে,আর ফুলগুলো দেখতেছে
শিশির-সারাদিন তো ফুলের দিকেই তাকিয়ে ছিলা
তনু-best gift ছিলো এটা,
শিশির-জানি♥
শিশির তনুকে নিজের দিকে ফিরালো,তনুর চোখের নিচে মুছে দিলে,
শিশির-আমার থেকে লুকিয়ে কেঁদে লাভ কি, এই দেহ এর সব কিছুই আমার জানা,কখন কি করে
তনু -ভয় করে আমার,
শিশির-ভয় কিসের আমি আছি না??
তনু শাড়ী খুলার জন্য চলে যেতে লাগলো শিশির হাত ধরে ফেললো,
শিশির-২০১৬সাল,,১৪এপ্রিল, আমি তোমাকে এই সাজে দেখসি,,সেদিন ঠিক করসি তোমাকে বিয়ে করে তোমার গা থেকে শাড়ী খুলবো,তাও এই শাড়ীটা,চাইলে সেদিনও পারতাম কারন তুমি আমাকে ভয় পাইতা,কিন্তু আমি করিনি,এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলাম,
শিশির তনু কাছে এসে নিচে বসে পরলো,তনুর শাড়ীর কুচিতে হাত দিলো,তনু চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে আছে,
শিশির-কি?লজ্জা এখনও যায়নি নাকি?
তনু-উহু
শিশির কুচি খুলে উঠে দাঁড়ালো, তনুকে দাঁড় করিয়ে সে ঘুরে ঘরে তনুর শাড়ী খুলতে লাগলো,
তনু গায়ে হাত দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে,
শিশির-মনে হচ্ছে আজ বাসর রাত
তনু মুচকি হাসলো,
শিশির-হুম হতেও পারে,যদি আমরা মনে করি,
শিশির টেবিল থেকে ফুলগুলো এনে পুরো খাটে মেলে দিলো,
তনুর কাছে এসে কোলে তুলে খাটে নিয়ে গেলো,
গন্ধরাজের ঘ্রানে পুরো রুম ভরে গেসে,শিশির জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে,কারন শিশিরের এখন নেশা লাগতেছে,তনুর ঘ্রান আর ফুলের ঘ্রান মিলিয়ে এমন একটা নেশা হয়সে যা যেকোনো মাদক ছাড়িয়ে যাবে,শিশির পাঞ্জাবি খুলে তনুর দিকে এমন করে তাকালো তনু ভয় পেয়ে গেলো,
তনু-উফ এভাবে তাকান কেন ভয় লাগে আমার
শিশির-নেশা লাগাও কেন
তনু-কিসের
শিশির-তোমার গায়ের
তনু-আমি কোনো perfume দিই নাই
শিশির-জানি,এটা শুধু তোমার নিজের গায়ের ঘ্রান,তাইতো নেশাটা বেশি,
তনু-ককককককি করবেন টাকি
শিশির-তনুর আচার বানিয়ে খেয়ে ফেলবো,
তনু-তাহলে Daily কারে জ্বালাবেন?
শিশির-গিলবো না,
শিশির তনুর মাথা ধরে কাছে এনে ঠোঁটে চুমু দিতে লাগলো,তার আগে হাত দিয়ে লিপ্সটিক মুছে দিলো,শিশির সবসময় এমন করে,ওর মতে লিপ্সটিক খাওয়ার জিনিস না,তাই সেটা সরিয়ে নেয়,♥???
শিশির তনুর কানে কামড় দিয়ে দুল খুলে ফেললো,
শিশির-হুক লাগাও নাই?টানের সাথে চলে আসছে
তনু-হুক খোলার পরই তো romance শুরু করলেন
শিশির-হাহাহা,
শিশির তনুকে শুইয়ে দিয়ে তনুর গলা ধরলো,
শিশির-কবু এ বাঁধন ছেড়ে যেও নাহ♥
তনু-ম
শিশির মুখ চেপে ধরলো
শিশির-মরা ছাড়া আর কোনো কথা নেই?আর একদিন বললে চড় মারবো,
তনু ঘুমায়,শিশির তনুর একহাত শক্ত করে ধরে ঘুমাচ্ছে,
শিশির বাথরুমের দরজায় তালা দিয়ে রাখসে,তনু বাথরুমে গেলে অজ্ঞান হলে যদি শিশির তখন ঘুমে থাকে?
মুনা-ভাইয়া,ভাইয়া মা ডাকতেছে তোরে
তনু উঠে বসলো,
এ্যাই, এ্যাই
শিশির-হুম
তনু-মুনা ডাকে,
শিশিরর উঠতে গেলো তনু আটকালো
তনু-আমকে চাবি দেন,Change করবো,আমার গায়ে কিছু নাই?বাথরুমে তো তালা দিয়ে রাখসেন,,
শিশির চাবি দিল,গিয়ে দরজা খুললো,
মুনা উঁকি মারতেই দেখলো তনু কম্বল গায়ে দিয়ে গুটিশুটি মেরে লুকিয়ে আছে খাটের এক কোনে
মুনা-কি হয়সে?শীত লাগে বেশি, এটা বলেই নিচে তাকাতেই দেখলো তনুর শাড়ী,সব কিছু
মুনা-আচ্ছা পরে আসতেছি
তনু-ইস, কুত্তা আমারে কি শরমে ফেললো?
চলবে♥

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে