Bestfriend part : 28

0
2225

#Bestfriend
part : 28
writer : Mohona

.

বাবা-মেয়ের যুদ্ধ শুরু হলো। মেরিন কবিরের সব plan এ পানি ঢেলেই যাচ্ছে। হেরেই যাচ্ছে বারবার। কবির কিছুতেই ভেবে পাচ্ছেনা যে কি করে সাগর-মোহনাকে কিভাবে আলাদা করবে। মেরিন এই বিষয়টা কাউকে জানায়নি। নীড়-সাগর-মোহনা… কাউকে না।

কবির : না জিততে আমাকে হবেই। বোন রক্ষা করতে পারিনি। কিন্তু মেয়েদেরকে রক্ষা করবোই…

মেরিন : এই ঘটনার ১টা অজানা রহস্য আছে। সেটা সামনে আনতে হবেই। সাগর-মোহনাকে আমি আলাদা হতে দিবোনা। তুমি যতোবার চেষ্টা করবে ততোবার ব্যার্থ হবে বাবা ।

.

১মাসপর…
বাবা-মেয়ের লরাইয়ে ১মাস পার হলো। এখনও কবির ব্যার্থ। মেরিনের জন্য সাগর-মোহনা আরো close হয়ে গিয়েছে।

কবির : এবার পানি মাথার ওপর উঠে গিয়েছে । থেমে যাও মামনি। না হলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবেনা।

মেরিন : আমিও বলেছি থেমে যাও বাবা। আমি আগেই বলেছি জিততে তুমি পারবেনা।
কবির : আমি চাইনা তোমার ওপর রাগ করতে মামনি। তাই বন্ধ করো।
মেরিন : আমি তো শুরুই করতে চাইনি বাবা। তুমি give up করো। আর আমাকে surity দাও আমি থেমে যাবো।
কবির : রেদোয়ান চৌধুরী মানুষনা মামনি। আর এমন বাবার ছেলে কখনো ভালো হতে পারেনা।
মেরিন : তোমার ধারনা ভুল। সাগর ভাইয়া মোহনাকে পাগলের মতো ভালোবাসে । তাই অনুরোধ করছি প্লিজ এমন করোনা। আমিও তোমার সাথে বিবাদ করতে চাইনা বাবা। ভুল করলে আমি কাউকেই ছারিনা সেটা জানো। তোমার ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম হবেনা। আর তুমি তো কেবল সাগর-মোহনা কে না আমাকে আর নীড়কেও আলাদা করতে চাইছো।
কবির : হ্যা চেয়েছি। কারন নীড় সাগরের #Bestfriend । আর নীড়-সাগর আমার কলিজার ২টা টুকরার জীবন নিয়ে খেলছে।
মেরিন : enough বাবা। আর কোনো কথানা। তুমি আরেকবার এমন করলে আমি ভুলে যাবো তুমি আমার বাবা…

কবির : মেরিন… অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি বুঝলেনা। যতোক্ষন না সাগর-মোহনা কে আলাদা করতে পারছি ততোক্ষন তুমি বন্দী থাকবে। come…
কবির মেরিনকে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো।
মেরিন : বাবা ছেরে দাও বাবা। না হলে আমি কি করবো নিজেই জানিনা।
কবির : do whatever you want…
কবির মেরিনকে রুমের বাইরে থেকে লক করলো। তখন শুনতে পেলো মেরিন ভেতর থেকেও লক করলো। মেরিন জানালা খুলল।
মেরিন : দারাও বাবা।
কবির ঘুরলো। যা দেখলো তা দেখে কবিরের পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো । কারন মেরিন গান মাথায় ঠেকিয়ে দারিয়ে আছে।

কবির : মামনি…
মেরিন : বেচে থাকতে মিষ্টুর জীবন আর অন্ধকারময় হতে দেখতে পারবোনা। এরথেকে মরে যাবো তাও ভালো। তোমার কাছে আমি হারবোনা বাবা। হারতে আমি ঘৃণা করে…
কবির : মামনি… ফেলে দাও মা। অমন করেনা। বোঝার চেষ্টা করো।
মেরিন : good bye বাবা।
কবির : করবোনা সাগর-মোহনাকে আলাদা … তাও তুমি এমনটা কোরোনা।
মেরিন : মিথ্যা বলছো ।
কবির : সত্যি বলছি ।
মেরিন : আমার কসম খেয়ে বলো। যে তুমি ওদের আলাদা করবেনা। আর কাকাকেও অমনটা করতে দিবেনা ।
কবির : তোমার কসম খেয়ে বলছি। আমি সাগর-মোহনাকে আলাদা করবোনা আর কাউকে করতেও দিবোনা । now give me the gun…
মেরিন দিয়ে দিলো।
কবির : তুমি আজকে যেটা করলে সেটা আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে মামনি। আমি কখনো কল্পনাও করিনি। তোমার ইচ্ছা আমি পূরন করবো তবে জীবনে ১ম আর শেষবার আমি কিছু চাইবো । দিবে?
মেরিন : দিবো।
কবির : promise করো।
মেরিন : promise …
কবির : সাগরের সাথে মোহনার বিয়ে হলে ওই বাড়িতে বউ হয়ে গেলে মিষ্টি মামনি কখনো সুখি হবেনা। হয়তো ওর পরিনতিও শোভার মতো হবে। তোমাকে কথা দিতে হবে যে মিষ্টির দুঃখ দেখেও তুমি নিজের জীবন শেষ করবেনা। আর… সাগরের সাথে মোহনার বিয়ে হলে মোহনার জীবন তো শেষ হবেই। তাই আমি চাইনা যে তোমার সাথেও তাই হয়। মিষ্টির সাথে এমন হোক সেটাও আমি চাইনা। শুধু তোমার জেদের জন্য। anyway … মোহনা যখন সাগরের হচ্ছে তখন মেরিন কখনো নীড়ের হবেনা। ২টা মেয়েকে হারাতে পারবোনা। তোমাকে কথা দিতে হবে যে তুমি নীড়কে ভুলে যাবে। এই ২টা কথা তোমাকে দিতেই হবে। আর রাখতেও হবে।
মেরিন : বববাবাহ… এটা বলতে পারলে?
কবির : সন্তানের ভালোর জন্য বাবারা সব পারে…
মেরিন : বেশ। কথা দিলাম … তবে আমাকে ৭দিন সময় দিতে হবে।
নীড় : দিলাম….

.

পরদিন…
নীড় : সাগর ভাবা যায় খান লেডিরা আমাদেরকে ভালোবাসে!!! অনেক confusion …
সাগর : আমি তো মহা confusion …তোরটা তো তাও directly i love you বলেছে। আর আমারটাতো বলেছে i think i love you 2 বলেছে। তাও ১টা থাপ্পর মেরে ।
নীড় : হ্যা। কপালে কি আছে কে জানে? dangerous ভালোবাসা আমাদের।
সাগর : dangerous pro…

তখন মেরিন-মোহনা এসে নীড়-সাগরের কান মলে দিলো।

নীড়-সাগর : আ… কান ছিরে যাবে তো…. এমন করে কেউ কান টানে?
মেরিন-মোহনা : আমরা তো টানি … হাহাহা।

নীড় : সবই কপাল।
মেরিন : কি বললা?
নীড় : কিছুনা … ?।
সাগর : হাহাহা। ভাবা যায় the নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন কাউকে দেখে ভয় পায়? নীলিমা আন্টি তো heart attack করবে। thanks to the the & the মেরিন বন্যা খান।
মোহনা : সের খান বলো।
মেরিন : হাহাহা। আচ্ছা চলোনা ৪জন মিলে কাল-পরশু কোথাও পিকনিকে যাই।

সাগর : great idea ভাবী সাহেবা। আপনার চরন কোথায়?
নীড় : টেবিলের নিচে যা পেয়ে যাবি।
সাগর : ?।
মোহনা : আচ্ছা তার আগে তুই এটা বল যে ৭দিনের ছুটি নিয়েছিস কেন ?
মেরিন : এমনি…

নীড় : তাহলে কালই যাই চলো।

পরদিন ৪জন মিলে পিকনিকে গেলো।

.

রাতে…
মেরিন : ২দিন হয়েও গেল… আরমাত্র ৫দিন বাকি … তারপর নীড়কে ছেরে দিতে হবে। ভুলে যেতে হবে? কি করে ভুলবো তোমাকে নীড়? আমি যে তোমাকে ভীষন ভালোবাসি নীড়। i love you ডেভিল । খুব কষ্ট হবে । এই ৫টা দিন আমি তোমাকে আর তোমাকে চাই নীড়…

মেরিন নীড়কে ফোন দিলো ।

নীড় : হ্যালো my জান …. কি ব্যাপার এখন ফোন ?
মেরিন : কেন দিতে পারিনা? সময় নষ্ট করলাম?
নীড় : কি যে বলো জান … আমার সব সময়ই তো তোমার।
মেরিন : …
নীড় : এই রাগ করলা ?
মেরিন : উহু…
নীড় : তোমার কন্ঠ এমন লাগছে কেন? ঠিক আছো?
মেরিন : হামম।
নীড় : খারাপ লাগলে ঘুমিয়ে পরো।
মেরিন : বলতে হবেনা তোমার কথা ….
মেরিন রেগে ফোন রেখে দিলো।
নীড় : বনপাখি ব… রাগ করলো। হায়রে।

নীড় তখনই মেরিনদের বাসায় গেলো।

.

৪দিনপর…
মেরিন ৪টা দিন কেবল নীড়ের সাথেই কাটিয়েছে।
মেরিন : আজই ৭দিনের শেষদিন…

নীড়ের ঘুম ভাঙলো । দেখলো মেরিন দারিয়ে আছে । মুখে মিষ্টি হাসি। অনেক অবাক হলো নীড় ।
নীড় : তুমি ?
মেরিন : উঠো। ঘুরতে যাবো।
নীড় : এই কদিন তো আমার কপাল খুলে গেলো।

২জন বের হলো। সন্ধ্যার সময় ২জন নদীর তীরে দারিয়ে আছে ।

নীড় : বনপাখি … ভালোবাসি…
মেরিন : ঘৃণা করি…
নীড় মেরিনের মুখোমুখি হয়ে দারালো।

নীড় : what?
মেরিন কিছু না বলে নীড়ের কলার ধরে টেনে কাছে এনে নীড়ের ঠোট জোরা দখল করে নিলো।

.

পরদিন…
ক্যাম্পাসে…
মোহনা : কিরে তোকে আজকে অন্যরকম লাগছে । কি হয়েছে?
মেরিন : আজকে ধামাকা হবে । সেই লেভেলের entertainment …
মোহনা : মানে?
মেরিন : দেখতেই পাবি। চল ক্লাসে যাই।

ক্লাস শেষে ২জন বের হলো। আর বেরিয়ে দেখে নীড়-সাগর দারিয়ে আছে । মেরিন devil smile দিলো। মোহনা ভীষন অবাক হলো।
মোহনা মনে মনে : মেরুন এমন হাসি দিচ্ছে কেন? ওর এমন হাসি তো ঝড়ের আভাস।
মেরিন মনে মনে : তোর জন্য আমি সব ত্যাগ করতে পারি। আমার সব আনন্দ , সুখ। এমনকি আমার ভালোবাসা নীড়কেও ।

নীড় : জান…
বলেই নীড় মেরিনকে জরিয়ে ধরতে এলো । মেরিন বাধা দিলো। ওরা ৩জন অবাক হলো।
নীড় : কি ব্যাপার আমার জান আবার কেন রাগ করলো? হামম হামম?

মেরিন : আমি আপনার জান কি করে হতে পারি?
নীড় : কুছ তো গারবার হ্যা …
মেরিন : আপনি সবার সামনে আমাকে ভালোবাসি বলতে পারবেন?
নীড় : তুমি বললে টিভিতে live show এ বলবো।
মেরিন : এই ক্যাম্পাসে সবার সামনে বললেই চলবে।
নীড় : ok… তবে রাগ করার কারনটাতো বলো …
মেরিন : বলে দিবো …
নীড় : আগে সবার সামনে ভালোবাসি তো বলুন…

সাগর : মোহো… কি হয়েছে মেরিনের?
মোহনা : জানিনা। সকাল থেকেই ভিন্ন লাগছে। যেমনটা ঢোল ভাইয়াকে ভালোবাসার আগে লাগতো।
সাগর : মানে?
মোহনা : মানে জানিনা। কিন্তু আমার কেমন যেন ১টা feel হচ্ছে।

.

নীড় : attention attention attention … আমি নাতো এখানের student , না teacher , না doctor … তবে হ্যা patient … heart patient … তাও would be doctor মেরিন বন্যা খানের permanent patient …. আমি নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন সবার সামনে ভালোবাসি বলতে চাই আমার ভালোবাসা বনপাখিকে। বলেই নীড় মেরিনের সামনে হাটু গেরে বসলো। ১টা আংটি বের করলো।
নীড় : i love you মেরিন… will you marry me ?
মেরিন devil smile দিয়ে আংটি টা হাতে নিলো। নীড় উঠে দারালো। মেরিন ঠাস করে নীড়কে থাপ্পর মারলো।

সাগর : ২জনই তারছিরা। এও মোহোর মতো থাপ্পর মেরেই accept করবে।
মোহনা : আমার কেন যেন doubt হচ্ছে।

মেরিন : you love me but…. i hate you… ভাবলেন কি করে আমি আপনাকে ভালোবাসবো? marriage proposal accept করবো?
বলেই মেরিন আংটিটা নিচে ফেলে আংটিটা পা দিয়ে পারা দিলো। নীড় অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে। ও কষ্ট পাবে না রাগ করবে বুঝতে পারছেনা ।

মেরিন : আপনি আমাকে ভালোবাসেন আর আমি আপনাকে চরম ঘৃণা করি। আপনি আমার ego hurt করেছেন । তাই আমি আপনাকে ঘৃণা করি। এতোদিন যা করেছি তা কেবল প্রতিশোধ । ভুলে যান আমাকে… good bye…

বলেই মেরিন চলে যাচ্ছে। নীড়ের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেলো।

মোহনা মেরিনের পথ আটকালো।
মোহনা : তুই পাগল হয়ে গিয়েছিস? এসব ফালতু ড্রামার মানে কি?
মেরিন : ড্রামা না এটাই সত্যি। আমি নীড়কে কখনোই ভালোবাসিনি…
মোহনা : মিথ্যা কথা। তুই নীড় ভাইয়াকেই ভালোবাসিস। আমি জানি। আমি দেখেছি।
মেরিন : সেই ভালোবাসা ওর জন্য না। অন্যকারো জন্য ।
বলেই মেরিন চলে গেলো।

সাগর নীড়ের কাধে হাত রাখলো। নীড় সাগরের হাত সরিয়ে চুপচাপ গাড়ি নিয়ে চলে গেলো।

.

মেরিনদের বাসায়…
মেরিন : বাবা … বাবা… বাবা…
কবির : কি হয়েছে?
মেরিন : সাগর-মোহনার বিয়ে করানোর ব্যাবস্থা করো। আমি নীড়কে ছেরে দিয়ে এসেছি। সব ভালোবাসা শেষ করে দিয়ে এসেছি। ভালোবাসাকে জীবীত কবর দিয়েছি । আমি আমার কথা রেখেছি । এবার তোমার পালা বাবা । আশা করি তুমি রাখবে।
কবির : কবির ফয়সাল খান কখনো কথার খেলাপ করেনা। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা কর…
মেরিন : চেষ্টা?
কবির : ok fine… সাগর-মোহনার বিয়ে আমি দিবোই। নিশ্চিন্তে থাকো ।
মেরিন : ধন্যবাদ।
বলেই মেরিন রুমে চলে গেলো।

.

সাগর : মেরিনের এতো সাহস কি করে হলো আমার নীড়ের সাথে এমন করার? হ্যা? বলো। বলো damn it…
সাগরের রাগে মোহনা ভয় পেয়ে গেলো ।
মোহনা : আআমি জানিনা। তততুমি আমার সসসাথে এমন করছো কককেন?
সাগর : কারন মেরিন তোমার #Bestfriend … আর কাজিন।
মোহনা : তো?
সাগর : তুমি সব জানো। মেরিনের নারী-নক্ষত্র সব তুমি জানো। । এটাও জানো। ১মিনিট তোমরা ২জন মিলে এমন কিছু করোনিতো?
মোহনা : মানে?
সাগর : মানে এটাই যে তোমরা ২জনই নীড়কে অপছন্দ করতে । specially তুমি। তুমিই মেরিনকে বাধ্য করছোনা তো এমনটা করতে ?
মোহনা : সাগর…
সাগর : sorry … আসলে মাথা নষ্ট হয়ে গিয়েছে ।
মোহনা : হামমম।

.

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে