Bestfriend part : 25

0
2308

#Bestfriend
part : 25
writer : Mohona

.

সাগরের মুখে হাসি ফুটলো ।
সাগর : মোহোপাগলি… oh no এ না পরে যায়…
বলতে না বলতেই মোহনা সোফা থেকে ধিরিম করে সোফা থেকে পরে গেলো।
সাগর : নে ভাই সাগর আরো ১বস্তা বকা খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হ।
মোহনা : ouch… stupid মার্কা হসপিটাল। একটু বড় সোফা করলে কি হয়? বেডগুলোও ছোট আর সোফা তো টুনিট্যাক। জানেনা আমি আসবো এই হসপিটালে। একটু বড় করলে কি হতো? at least ২দিনের জন্য। ২দিনই পরতে হলো। যত্তোসব হিরো আলম মার্কা আমির খান সোফা ।
সাগর : হাহাহা।
সাগরের হাসি শুনে মোহনা পিছে ঘুরলো।
মোহনা : ওই ওই ওই আপনি হাসছেন কে… একি you are in sense … thanks to my প্রিয় আল্লাহ। ইকটুশখানি সাপে কাটলো। বিষটা বেরও করে ফেললাম । তবুও জ্ঞান ফিরতে এতোক্ষন?
সাগর : ত…
মোহনা : চুপ। আপনার ঢোল বন্ধুকে call মেরেছি….
সাগর : ঢোল বন্ধু মানে?
মোহনা : মানে নীড়…
সাগর মনে মনে : জানলো কি করে?
নীড় : হ্যালো মোহনা…
মোহনা : জল্লাদের জ্ঞান ফিরেছে।
নীড় : কি? সত্যি?
মোহনা : না। মিথ্যা।
নীড় : কি বলছো?
মোহনা : জানিনা…
সাগর : give it to me…
মোহনা দিলো।
সাগর : হ্যালো…

.

রাতে…
সাগর : মোহনা জানলো কি করে যে তুই আমি বন্ধু?
তখন মোহনা পেছন থেকে এসে
বলল: কারন আপনার খবর পেয়ে ডেভিল ঢোল এমন করে ছুটে এসেছিলো , আর এমন ভাবে আমার সাগর আমার সাগর আমাক জান বলে কান্না করছিলো যেন তার জামাই অথবা বউ মরেছে। সেটা দেখে বিশ্বব্রহ্মান জেনে গিয়েছে যে আপনারা বন্ধু । not শত্রু।
নীড়-সাগর : ?।
মেরিন : ছারনা মিষ্টু। বেচারা আজই তো হসপিটাল থেকে ফিরলো।
মোহনা : আরে আমি উনাকে ধরলাম কখন। আর তুইই তো আমাকে গরুর মতো টেনে নিয়ে এলি… huh…
বলেই মোহনা চলে গেলো।
মেরিন : বাচা গেলো।
সাগর : মোহো জানলো কি করে?
মেরিন : সাগর ভাইয়া হাজার হাজার শুকরিয়া করো যে অমন ১টা সময়ে মিষ্টু জানতে পেরেছে। না হলে খবরই ছিলো। ?।
নীড় : তবে i think কিছুটা progress হয়েছে।
মেরিন : may be… কিন্তু যদি হয়েও থাকে তবেও মিষ্টু সেটা ignore করবে। নিজের মনকে বোঝাবে যে।
সাগর : হামম।
নীড় : তাহলে মোহনার মনে আগুনটাও তোমাকেই লাগাতে হবে my dear বনপাখি। চাবি লাগাও।
মেরিন : কি? কিভাবে?
নীড় : জান… you are মেরিন বন্যা খান..
মেরিন : হামম। ?।

.

মোহনা হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছে ।
মেরিন : প্রেমে পরেই গেলি অবশেষে।
মোহনা : what rubbish? কি যা তা বলছিস?
মেরিন : যা সত্যি তাই।
মোহনা : দেখ ২দিন হসপিটালে থেকে আমি অনেক tired । মাথা খাস না।
মেরিন : তুই হসপিটালে ছিলি কেন? সেটা বলতো?
মোহনা : জল্লাদ আমার জন্য বিপদে পরেছে যদিও উনারই দোষ ছিলো তবুও আমাকে বাচাতে গিয়েছিলো। তো আমার responsibility ছিলো তার help করার। তাই ছিলাম। payback । simple ।
মেরিন : হাহাহা। no my জান its not payback। its love…
মোহনা : নিজে প্রেমে পরে সবাইকে সেটা মনে করিসনা ।
মেরিন : ok। করবোনা । তবে তুই বুকে হাত দিয়ে বলতো তুই এখন জল্লাদ কুতুবমিনারের কথা ভাবছিলিনা?
মোহনা মনে মনে : এ কি করে জানলো?
মেরিন : কি রে চুপ কেন?
মোহনা : good morning …
বলেই মোহনা শুয়ে পরলো।
মোহনা মনে মনে : কথা তো সত্য । কিন্তু আমি জল্লাদের কথা ভাবছি কেন?
মেরিন : কাহি পেয়ার না হো যায়ে… কাহি পেয়ার না হো যায়ে…
মোহনা মাথার ওপর বালিশ তুলে কান বন্ধ করে ঘুমাতে চেষ্টা করলো। তবে ঘুমাতে পারলোনা। মেরিন ঘুমিয়ে পরলো। কিন্তু মোহনা সারারাত জেগে রইলো।

.

সকালে…
মোহনার খিটখিটে ভাব দেখে মেরিন বুঝতে পারলো যে মোহনার রাতে ঘুম হয়নি। বছরে ২-১ দিন এমনটা by at any chance হয়।
মেরিন : রাতে ঘুমাসনি কেন ?
মোহনা : তোকে কে বলল যে আমি রাতে ঘুমাইনি।
মেরিন : এখন এটা বলারও দরকার?
মোহনা : ওই যা তো তুই তোর নীড়ের কাছে যা। এমনিতেও এখন বের হওয়ার সময় হয়েছে ।
মেরিন : হামম যাবো । তার আগে কফিটা খেয়েনে ভালো লাগবে। খিটখিটে ভাবটা যাবে।
মোহনা : huh…
মেরিন : শোন আজকে আমারও ১টা গান গাইতে ইচ্ছা করছে।
মোহনা : কি?
মেরিন : হো গেয়া হ্যা তুঝকো তো পেয়ার সাজনা ।
মোহনা : তোর কি মরার শখ হয়েছে ?
মেরিন : হামম। চল। লেট হচ্ছে ।
ওরা বের হলো ।

.

মেরিন : আর কতোক্ষন এখানে বসে থাকবেন বলুন তো। এই vaccine গুলোতো আমার দিতে হবে তাইনা?
নীড় : উফফ তুমি না। দেখো জায়গাটা কি রোমান্টিক। আর তুমি?
মেরিন : আমার কাজ টা কি করবোনা?
নীড় : আর ১০মিনিট বসি প্লিজ?
মেরিন : ok।
নীড় : আচ্ছা তুমি এখনও আমাকে আপনি করে ডাকো কেন? তুমি বললে কি হয়? don’t say যে লজ্জা লাগে।
মেরিন : না আসলে এতোদিনতো আপনি করে বলে এসেছি । তাই।
নীড় : তো? এখন থেকে তুমি করে বলবা।
মেরিন : ok…
নীড় : আচ্ছা শোনো এই সাগর-মোহনাকে গাড়ি আগে কিভাবে বারানো যায়?
মেরিন : জানিনা।
নীড় : i have an idea…
মেরিন : কি?
নীড় : যেমনটা film এ হয় হিরো-হিরোইন জঙ্গলে হারিয়ে যায় । তবে কথা হলো এখানে জঙ্গল নেই তেমন ।
মেরিন : 3rd class idea।
নীড় : কেন আমার বন্ধুকে trust করোনা?
মেরিন : মিষ্টুকে করিনা।
নীড় : মানে?
মেরিন : মানে মিষ্টুর মনে ছেলেদের নিয়ে এমন negative ভাবনা জমে আছে যে ও মনে করবে সাগর ভাইয়াই কিছু করেছে।
নীড় : point আছে। জানো আমার ১টা অনেক cute ইচ্ছা আছে ।
মেরিন : কি?
নীড় : আমাদের ২জোরার বিয়ে হওয়ার পর আমাদের ১টা ছেলে হবে। নাম হবে নির্বন । আর সাগর মোহনার ১টা মেয়ে হবে সাহোনা। নির্বনের সাথে সাহোনার বিয়ে হবে। দারুন হবে বলো।
মেরিন : are you completely mad?
নীড় : only for you।

.

সাগর : আজকে যে এতো চুপচাপ হাটছো? কি হয়েছে?
মোহনা : আমার ইচ্ছা ।
সাগর মনে মনে : আজকে এতো ক্ষেপে আছে কেন?
সাগর : চকোলেট খাবে?
মোহনা : আনতে ভুলে গিয়েছি।
সাগর : আমার কাছে আছে । এই নাও ।
মোহনা নিয়ে খেতে লাগলো।
সাগর : মোহো…
মোহনা : হামম।
সাগর : সাবধানে হাটো। রাতে বৃষ্টি হওয়াতে মাটি পিচ্ছিল হয়ে আছে। পরে যেতে পারো। তারমধ্যে নদীর পাশ দিয়ে হাটছি। একদম নদীতে পরবে । সাতারও কিন্তু জানোনা ।
রাতে ঘুমাতে না পারায় মোহনা খিটখিটে হয়ে আছে । তারমধ্যে সাগরের caring পেচাল শুনে আরো মেজাজ খারাপ হলো। হাটায় ব্রেক মেরে সাগরের দিকে ঘুরলো। চোখ ছোট ছোট করে সাগরের দিকে তাকালো।
সাগর : কি হলো?
মোহনা ২হাত দিয়ে সাগরের বুকে ছোট ছোট ধাক্কা মেরে বলতে
লাগলো : কি সমস্যা টা কি আপনার ? এতো care করেন কেন? কি prove করতে চান? এটাই যে আপনি জল্লাদ না angel ?
সাগর : আরে পরে যাবো তো।
মোহনা : তাতে আমার জামাইর কি? আমার কথার উউ…
২জনে পিছলে পানিতে পরে গেলো।
মোহনা : আআআ… ?.. মেরুন ডুবে গেলাম বাচা। মরে গেলাম….

ওদিকে মেরিনের হিচকি উঠলো।
নীড় : কি হলো?
মেরিন : মমমিষ্টু…
নীড় : মানে?
মেরিন মোবাইল বের করে মোহনাকে ফোন করলো। কিন্তু পানিতে পরে তো সেটা বন্ধ । আর মেরিনের চিন্তা শুরু।
নীড় : কি হয়েছে? এমন করছো কেন?
মেরিন : জানিনা । কিন্তু কেমন যেন লাগছে। আপনি সাগর ভাইয়াকে ১টা ফোন করুননা।
নীড় : relax… করছি ।
নীড় ফোন করলো। সেটাও বন্ধ।
মেরিন : কি হলো?
নীড় : বন্ধ বলছে। আবার try করছি। আরে তুমি কাদছো কেন?
মেরিন : মমমিষ্টু…
নীড় : বসো বসো এখানে। মেরিন ঠিক আছে। যতোক্ষন সাগর আছে মোহনা safe আছে।
মেরিন : কিন্তু…
নীড় : চুপ… চলো ওদের যেদিকে যাওয়ার কথা সেদিকটাতে যাওয়া যাক।
মেরিন : হামমম।

.

মোহনা : বাচা…
সাগর : চুপ… ?..
মোহনা : না ডুবে যাবো । আমি চিল্লাবো।
সাগর : ডুবেছো?
মোহনা : না। ডুবছিনা কেন বলুন তো?
সাগর : stupid …. always তোমার জন্য ঝামেলায় পরি।
মোহনা : আমি কি পরতে বলেছি? ছারুন আমাকে।
সাগর : sure?
মোহনা : হামম।
সাগর ছেরে দিলো। আর মোহনা হাবুডুবু খেতে লাগলো। সাগর আবার ধরে নিয়ে মাটিতে তুলে আনলো।
মোহনা : আমার জামাটা…
সাগর : ধরো জ্যাকেটটা পরো। & no argument…
মোহনা পরে নিলো।
সাগর : এখন চলো back করি ।
মোহনা : কককেন … হা…চি ।
সাগর : এএএইজন্য। হা…চি ।
মোহনা : vaccine হা…চি।
সাগর : আমি পরে বেরিয়ে তততোমার হা…চি আর আমার টা দিয়ে দিবো।
মোহনা : হামম।
২জন চলতে চলতে নীড়-মেরিনকে পেলো। মেরিন দৌড়ে এলো। মোহনাকে জরিয়ে ধরলো।
মেরিন : তুই ঠিক আছিস তো? তোর কিছু হয়নি তো?
মোহনা : না আমি তো ঠিক হা…চি আছি ।
মেরিন : হাচি দিচ্ছিস কেন? কি হয়েছে?
মোহনা সব বলতে লাগলো । সাগরও নীড়কে বলতে লাগলো।

নীড় : বলিস কিরে।
সাগর : হামম।
নীড় : মানতে হবে আত্মার সম্পর্ক।
সাগর : কি যা তা বলিস? আমাদের আত্মার সম্পর্ক হা…চি কেন হবে? আর এসব ভিত্তিহীন।
নীড় : না আমি নিজে দেখলাম। আর আত্মার সম্পর্ক তোর আর মোহনার না। মেরিন আর মোহনার আত্মার সম্পর্ক । মোহনা বিপদে পরেছে আর ওখানে মেরিনের হাল নাজেলহাল….

.

৩দিনপর…
এই ৩দিনে রোজ মোহনার জন্য সাগরকে বিপদে পরতে হয়েছে । আর নীড়-মেরিন জমিয়ে প্রেম করলো। মেরিন ঘুমিয়ে আছে।
মোহনা : আমি জল্লাদের সাথে ধীরে ধীরে attached হয়ে যাচ্ছি কেন ? ভালো লাগে উনার সাথে ঝগড়া করতে। উনার caring , বকা সবই ভালো লাগে। জল্লাদকেও। কিন্তু কেন ? আর মাথার মধ্যে উনিই ঘোরে। ভালো লাগেনা। i need coffee very badly…
মোহনা কফি হাতে নিয়ে বাগানে গেলো। হেটে হেটে কফি খেতে লাগলো ।
সাগর : hello মিস নাগিন ।
মোহনা পিছে ঘুরলো। দেখলো সাগরও হাতে কফি নিয়ে দারিয়ে আছে ।
মোহনা : মিস নাগিন মানে?
সাগর : নাগিন মানে তুমি।
মোহনা : কেন আমি নাগিন কেন হবো ?
সাগর : নাগিনের সাথে তো নাগিনই ছবি তোলে। তাইনা?
মোহনা : huh…
সাগর : তুমি যে আমাকে জল্লাদ বলো আমি কি কিছু বলি? huh বলি?
মোহনা : আপনি তো জল্লাদই।
সাগর : ভালো কথা। পূর্নিমার চাঁদের আলোতে চারদিক ঝলমল করছে । চলো ওই গাছটার নিচে বসে কফি খাওয়া যাক।
মোহনা : কেন?
সাগর : আরে আসোনা।
বলেই সাগর মোহনার হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে বসলো।
মোহনা : আজব তো।
সাগর : হামমম তুমি অনেক আজব।
মোহনা : আপনি আজব।
সাগর : ok fine… আমি আজব। এখন ঝগড়া করতে ইচ্ছা করছেনা। মাথার ওপর ঝলমলে চাঁদ। ঠান্ডা বাতাস। চারপাশে গোলাপ-বেলীর সুবাস । অসম্ভব সুন্দর ১টা মুহুর্ত। lets enjoy ।
মোহনা : বাবা romantic romantic ভাব girlfriend এর অভাব। মিস করছেন বুঝি girlfriend কে?
সাগর : আমার girlfriend নেই ভালোবাসার মানুষ আছে।
কথাটা শুনে মোহনার খারাপ লাগলো।
মোহনা : ওই একই।
সাগর : না এক না। সব girlfriend কে তো আর সারাজীবন কাছে পাওয়া যায়না। আর ভালোবাসার মানুষকে সারাজীবন ভালোবাসা যায়। অনুভব করা যায় … কাছে পাওয়া যায়…

কাছে পাওয়া যায় কথাটা শুনে মোহনার আরও রাগ উঠলো।
মোহনা : কাছে পাওয়া যায়? আপনাদের প্রতিটা ছেলের কাছেই কি ভালোবাসা মানে কাছে আসা? বাজে বাজে ভাবনা? আপনাদের ছেলেদের ভাবনা এতো নোংরা কেন? আপনারা সবাই এক। নোংরা মনের ।
সাগর : তুমি কি আমাকেও অমন মনে করো ?
মোহনা : না মনে করার কোনো কারন নেই।
সাগর : ভালো। রাত অনেক হলো। আসছি।
বলেই সাগর চলে গেলো একরাশ অভিমান নিয়ে।

.

পরদিন…
সাগর মোহনাকে ignore করতে লাগলো।
মোহনা : এর আবার কি হলো? এমন behave করছে?

মেরিন : ওই নীড় তোমার বন্ধুর কাজ দেখে লাগলো ও মিষ্টু কে ignore করছে।
নীড় : হ্যা আমারও তাই লাগছে । কালকে তো সব ঠিকই ছিলো। কি যে হলো।
মেরিন : কিছু করো।
নীড় : দেখি ২দিন। যদি নরমাল না হয় তাহলে আমি আমার সেই old plan ই কাজে লাগাবো।
মেরিন : কোন plan?
নীড় : সাগর-মোহনা ২জনকে অন্তত ১দিনের জন্য সবার থেকে আলাদা করার।

.

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে