Bestfriend part : 10

0
2517

#Bestfriend
part : 10
writer : Mohona

.

মোহনা : চল মেরি জান…
মেরিন : ট্যারাং ট্যারাং টিক টিক…
২জন নিজেদের চশমা মাথা থেকে চোখে নামালো । ললিপপ মুখে দিলো ।
মোহনা : দুশমন সামনেই আছে । কি ভাবে awwwe ki cute হামলা করা যায় ?
মেরিন : lack of money ..
মোহনা : মানে ?
মেরিন : খুব সহজ । ওই দ্যাখ আগে কেবল মন মতো পছন্দ করছে। পরে pay করবে। যেন বাপের শপিং মল ।
মোহনা : হামম।
মেরিন : এর পকেট মারতে হবে। এরপর এর চোক্ষের সামনে দিয়ে এর পছন্দ করা জিনিস গুলো ছিনিয়ে নিবো। ?।
মোহনা : কিন্তু এই বয়স্ক ভাতা আমরা নিবো কেন ? use করবো কেন ? we r young …
মেরিন : উফফ stupid বয়স্ক ভাতা আমরা just কিনবো। then অন্য বয়স্কদের দিয়ে দিবো। ??।
মোহনা : good idea… দেখনা ভাব কি ? যে বলিউডের নায়িকা বুবলি ।
মেরিন : হায়হায় বলিস কি ? বুবলি বলিউডে কবে গেলো?
মোহনা : ?।
মেরিন : তবে এতো নাম ছেরে বুবলি!!!
মোহনা : তো কি katrina kaif বলবো?
মেরিন : না… ক্যাটরিনা খিটখিট।
২জন : হাহাহা।

.

মেরিন-মোহনা খুব সাবধানে শিখার পার্সটা নিয়ে নিলো। যেখানে টাকা-পয়সা , ক্রেডিট কার্ড , গাড়ির চাবি & মোবাইল ছিলো। শিখা যখন bill pay করতে গেলো তখন লজ্জিত হলো ।

মেরিন : দুনিয়াতে কতো রকমের মানুষ হয়? তাইনারে মিষ্টু?
মোহনা : হ্যারে মেরুন। fraud , thief blah blah…
মেরিন : কিছু মানুষতো এমনও হয় যারা cheater হয়।
মোহনা : ওমা। এই মিষ্টু তুই best old of the year দেখতে চাস? জীবন্ত চলন্ত বৃদ্ধাশ্রম?
মেরিন : আবার জিগায়?
মোহনা : ta da… ওই দেখ লাল রঙের ল্যাম্পপোস্ট সেজে আছেনা । সেই ।
মেরিন : oh wow perfect person for the award … চল অটোগ্রাফ নিয়ে আসি।
শিখা : ওই ওই ওই তোমরা কাকে বুড়ি বলছো?
২জন : যে বুড়ি তাকে?
শিখা : আমি বুড়ি…. আমি বুড়ি… আমি বুড়ি??? ???
মোহনা : দেখ গলা ফাটিয়ে বলছে যে তিনি বুড়ি ।
মেরিন : chill আন্টি। আমরা young । so চোখ দিয়ে দেখেই বুঝেছি আপনি বুড়ি । আর কানেও ভালো শুনি। কারন আমরা young …so আর explain করতে হবেনা।chill মারেন।
মোহনা : lets do shopping মেরুন।
মেরিন : চল।
২জন মিলে শিখার পছন্দের জিনিষগুলোই কিনে নিচ্ছে । শিখা কতোবার না করছে । কিন্তু কে শোনে কার কথা।
শিখা : ছারবোনা আমি তোমাদের বেয়াদব মেয়েরা । অসভ্য ।

২জন মনের সুখে কিনছে। কেনাকাটা শেষ করলো । এরপর কৌশলে শিখার ব্যাগটা ফেরত দিলো। শিখার যেন মাথায় বাজ পরলো । আর তা দেখে মেরিন-মোহনা হেসে কুটিকুটি ।

.

একটুপর…
শিখা রেগে আগুন হয়ে গাড়ি চালাচ্ছে । আর মেরিন-মোহনাকে বকছে । তখন হঠাৎ গাড়ি থেমে গেলো । দেখলো তেল শেষ। শিখা গাড়ি থেকে নেমে গাড়িকে ২-৩টা লাথি মারলো । মেরিন-মোহনা তো শিখাকে follow করছিলো । যেই দেখলো শিখার গাড়ি থেমেছে ওমনি ওরা প্রকট হলো ।
মোহনা : মেরুন কারো কারো তো গাড়িতে পেট্রোল ভরার টাকাই থাকেনা।
মেরিন : গাড়িতে পেট্রোল আছে নাকি নেই সে জন্য তো চেক করতে হয়। আর চেক করতে হলে চোখের জ্যোতি থাকতে হয়। কিন্তু বয়স্ক মানুষদের তো আর সেই ক্ষমতা নেই।
মোহনা : এই দেখ দেখ চুল সব কালো । hair color করেছে।
মেরিন : হামমম।
মোহনা : চল আসল রূপ বের করি।
মেরিন-মোহনা গাড়ি থেকে বের হলো । শিখা কিছুই বুঝতে পারছেনা । মনে করলো ওকে highjack করতে আসছে ।
শিখা : এই মেয়েরা খবরদার সামনে আসবেনা । i will kill both off you…. সরো। আগে বারবেনা।
২জন সামনে গেলো। গিয়ে মোহনা শিখার মাথায় ময়দা ঢেলে দিলো। শিখা পুরো সাদা হয়ে গেলো।
মোহনা : awwwe ki cute….
মেরিন : ভাগ মিষ্টু….
বলেই ২জন দে দৌড়। শিখাও ওদের পিছে দৌড় লাগালো । কিন্তু পারলোনা। ২জন গাড়ি নিয়ে চম্পট দিলো । সবাই যাচ্ছে আর শিখাকে দেখছে আর হাসছে। শিখা সাগর আর রেদোয়ানকে ফোন করলো। ২জন ২দিক থেকে এলো।

.

বাপ-বেটা এসে শিখাকে দেখে অবাক হয়ে গেলো ।
রেদোয়ান : who are u??
সাগর : বাবা its মামনি…
রেদোয়ান: sure…?
সাগর : বাবা…. মামনি তোমার এই হাল কেন?
শিখা : তোর students দের জন্য । ?।
সাগর : আমার students ? এখন তো আমার কোন students ই নেই।
শিখা : নেই মানে কি ? ওই যে সেদিন শপিং মলে তুই যাকে কোলে তুলে পৌছে দিলি?
রেদোয়ান : আমার ছেলে কোনো মেয়েকে কোলে নিলো!!! ?।
শিখা : মেয়ে না মেয়ে শাকচুন্নি। সেদিন ছিলো একা আর আজকে ২জন।
সাগর : মানে?
শিখা সব বলল।
শিখা : আমার তো মনে হয় আমার পার্সটাও ওরাই চুরি করেছিলো ।
সব শুনে রেদোয়ান-সাগর হাসতে হাসতে শেষ ।
শিখা : তোমরা হাসছো?
রেদোয়ান : হাসবো না তো কি করবো? যে খান বাড়ির মেয়েকে আজ পর্যন্ত আমি সামলাতে পারলাম না সে খান বাড়ির মে…
মুহুর্তেই রেদোয়ানের চেহারার রং পাল্টে গেলো। না চাইতেও রেদোয়ান খান বাড়ির নাম নিয়েছে ।
সাগর : চলো চলো বাসায় চলো।

.

পরদিন…
নীড় : hello girls …
মোহনা : ?।
মেরিন : huh…
মোহনা : আপনি এখানে?
নীড় : তুমিই না এখানে আসতে বললে?
মোহনা : ওহ হ্যা ।
মেরিন : তুই আবার একে ডেকেছিস? ?।
মোহনা : হামম। শুনুন আজকে আপনার full & final test…
নীড় : সেদিন না সব শেষ হলো ।
মোহনা : shut up… আর শুনুন ওখান দিয়ে black shirt & black jins পরে ১জন জল্লাদ কুতুবমিনার বের হবে। তাকে ধোলাই দিতে হবে ।
নীড় মনে মনে : oh no… এই মাইয়া তো আমার হাতে সাগরকে পিটানোর বন্দোবস্ত করছে। কি করি কি করি? idea…
নীড় খুব সাবধানে সাগরকে ফোন করলো। করে হাতে রেখে দিলো। সাগর ধরলো।
নীড় : কি বললে মোহনা আরেকবার বলবে? আমি খেয়াল করিনি ।
মোহনা : আপনি কানে কম শোনেন নাকি ? বলেছি black shirt & jins পরে যে বের হবে তাকে awwwe ki cute ধোলাই করতে হবে।
নীড় : তাহলে দোকান থেকে ডিটারজেন্ট কিনে নিয়ে আসি । ?।
মেরিন নীড়ের মাথায় ১টা ঠুয়া মারলো।
মেরিন : মাথামোটা… ডিটারজেন্ট ছারা ধোলাই করেন।
নীড় : ও বুঝেছি…
সাগর : হামমম বুঝেছি । এখন আমার দোস্তকে hire করেছে আমাকে শিক্ষা দেয়ার জন্য ।আজকে মিট করাই যাবেনা। plan বানাতে।নীড় আর আমাকে বসে plan বানাতে হবে । আজকে পেছন দিয়ে বেরিয়ে যাই ।

সাগর নীড়কে call back করলো ।
নীড় : হ্যালো …
সাগর : তুই দারিয়ে থাক। আমি পেছন দিয়ে পালালাম ।
নীড় : why not.. hurry up…
সাগর : হাহাহা।
সাগর রেখে দিলো ।
মোহনা : কি হলো বলছেন না কেন কিছু?
নীড় : ok… রাজী।আর যদি সে black man না আসে ?
মেরিন : আসবেই।
নীড় : যদি না আসে ?
২জন : আসবেই।
নীড় : সেটা তো বুঝলাম । কিন্তু যদিই না আসে !!!
মোহনা : তাহলে আপনি যেটা বলবেন সেটাই হবে ।
নীড় : সত্যি?
মোহনা : awwwe ki cute সত্যি।
মেরিন : মিথ্যা।
নীড়-মোহনা : মানে?
মেরিন : মানে উনি যা বলবে তা হবে কেন?
মোহনা : আরে chill মার জল্লাদ তো বের হবেই। তাইনা।
মেরিন : জানিনা । তবে আজকাল ভাগ্যের ওপর বিশ্বাস নেই। আর তার থেকে বড় কথা i think এই লোকটা black magic জানে?
মোহনা : কি ??? ?।
নীড় : কি যা তা বলছো… মোহনা promise ?
মোহনা : promise …
মেরিন : এই তুই আমার বলি দিচ্ছিস কেন?
মোহনা : তোর এমন কেন মনে হচ্ছে যে তোর বলি দেয়া হবে?
মেরিন : এই লোকটার ওপর আমার বিশ্বাস নেই।
নীড় : আচ্ছা আমাদের কথার চক্করে জল্লাদ না বেরিয়ে যায়।
২জন : তাও ঠিক।

.

আধাঘন্টাপর…
২জন ফুসফুস করে কথা বলতে লাগলো।
মোহনা : ওই মেরুন জল্লাদ বের হচ্ছেনা কেনরে?
মেরিন : জানিনা। আজকে may be বের হবেইনা । তোকে বলেছিলাম না । যে এই লোকটা black magic জানে।
মোহনা : oh my প্রিয় আল্লাহ সত্যি …
মেরিন : হামমম।
২জন নীড়ের দিকে তাকালো । চোখ ছোটছোট করে।
মোহনা ঢোক গিলে
বলল : black magic … সেই সাথে vampire vampire ও চারদিকে বেরেছে। vampire ও হতে পারে। যদি সত্যি vampire হয় তবে আমার এতোদিনের vampire দেখার ইচ্ছা পূরন হবে । awwwe ki cute….
মেরিন : নেহি… জল্লাদ যদি নিজে থেকে বের না হয় আজকে এখন আমি কান ধরে টেনে আনবো।
নীড়-মোহনা : ?।
মেরিন ভেতরে যাওয়া ধরলো ।
মোহনা : ওরে মেরুনরে… দারা জোশ মে আকার হোশ উরাচ্ছিস কেন ? জেনে বুঝে জল্লাদের দরবারে যাচ্ছিস কেন?
মেরিন : মরবো যখন বীরের মতোই মরবো। vampire এর হাতে মরার থেকে জল্লাদের হাতে মরা ভালো।
মেরিন ভবনের ভেতরে ঢুকলো। মোহনাও মেরিনের পিছে পিছে গেলো।

নীড় : এরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আশ্চর্য ।
তখন সাগর নীড়ের কাধে হাত রাখলো।
সাগর : কি রে একা একা হাসছিস?
নীড় : না বোঝার কি আছে । আচ্ছা শোন মোহনা বলেছে যে যদি তুই বের না হস তবে আমি যা বলবো তাই করবে । তো আমি ঠিক করেছি যে আগামী ৩দিন মেরিন-মোহনাকে নিয়ে ঘুরবো। বন্ধও আছে ওদের ।
সাগর : মোহনাকে নিবি কেন ? মোহনা-মেরিন একসাথে থাকলে তোর লাভারগিরি & ডেভিলগিরি কিছুই হবেনা ।
নীড় : হামম। তাহলে কেবল মেরিনকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলি।
সাগর : হামম।
নীড় : কিন্তু খারাপ দেখা যায়না?
সাগর : আরে মোহোপাখির জন্য আমি আছিনা। ?।
নীড় : ?। তাহলে কারেক্ট আছে ।
সাগর : এখন তুই ভেতরে যা। আমাকে না পেয়ে তোর ভয়ে পালাবে।
২জন : ???

.

২জন ভেতরে গিয়ে চিরুনী তল্লাসি করলো। কিন্তু সাগরকে পেলোনা । চলে গিয়েছে শুনলো ।
মোহনা : এখন?
মেরিন : আমি জানিনা। আমি গেলাম।
নীড় : hi girls …
২জন : hi…
মোহনা : বলছিলাম কি …
নীড় : এখন আমি যেটা বলবো সেটাই হবে।
২জন : ?।
নীড় : মোহনা আমি তোমার কাছে ১টা অনুমতি নিতে চাই ।
মোহনা : কককি?
নীড় : আগামী ৩দিনের জন্য আমি মেরিনকে চাই। মানে ওকে নিয়ে ঘুরতে চাই।
মেরিন : না… ???
মোহনা : ও যেতে চায়না।
নীড় : আমি তোমার permission চাই মোহনা।
মোহনা : ও তো যেতে চায়না।
নীড় : মেরিন তুমি যেতে চাওনা ? ভেবে বলছো?
মেরিন : যাবো।
নীড় : এখন মোহনা তুমি কি permission দিবে??
মোহনা : হামম।
নীড় : ok কালকে দেখা হচ্ছে।
নীড় চলে গেলো। মেরিন বাঘের মতো মোহনার দিকে তাকালো।
মোহনা : hi…. কেমছো মাজামা…. ?….
মেরিন মোহনাকে দৌড়ানি দিলো।

.

পরদিন….
মেরিন ঘুম থেকে ওঠার আগে নীড় গাড়ি নিয়ে হাজির । কনিকা মেরিনকে টেনে তুলল। মেরিন গাড়িতে বসলো। বসে বসে ঝিমাতে লাগলো। নীড় মুচকি হাসলো।
নীড় : আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমাতে পারো।
নীড়ের কথা শুনে মেরিনের ঘুম ভেঙে গেলো । আর রাগ উঠে গেলো।
মেরিন : listen মিস্টার চৌধুরী আপনি যদি নিজেকে over smart মনে করেন তাহলে আপনি ভুল। এই আপনাদের মতো ছেলেকে আমি ভালোভাবে চিনি। কেবল মিষ্টু আমার জান বলে। ওকে কিছুতে আমি হারাতে পারবোনা। আর তাই জন্য আপনার সাথে আসা । এরমানে এটা নয় যে আপনি আমার সাথে যা ইচ্ছা তাই করবেন।got it?
নীড় : ভয় পেলাম তো। তোমার রাগটাও crush খাওয়ানোর জন্য যথেষ্ট ? তোমার মায়াবি চোখ ভয়ংকর হয়ে ওঠে। হায় ম্যায় মারজাওয়া ।
মেরিন : ওই শালি ওই একদম আমার সাথে flirt করবিনা… একদম মেরে দিবো।
নীড় : তাই? তোমার হাতে মৃত্যু পাওয়াটা যে ভাগ্য…
মেরিন : ?।
নীড় : by the way … কোথায় যাবে?
মেরিন : জাহান্নামে।
নীড় : ok… as your wish…
বলেই নীড় car start দিলো। প্রচন্ড স্পিডে চালাতে লাগলো। মেরিনের ওরে বাবারে মারে অবস্থা ।
মেরিন : কি করছেন কি ?
নীড় : জাহান্নামে যাচ্ছি।
মেরিন : slow করুন।
নীড় : কেন জাহান্নামে যাবেনা???
মেরিন : না।
নীড় নরমাল করলো। মেরিন জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো। নীড় পানি দিলো ।
মেরিন : huh…

.

অন্যদিকে…
মোহনা : ধুর ভালো লাগেনা । ভাবলাম ৩দিন ছুটি পেয়েছি মেরুনের সাথে কোথাও ঘুরতে যাবো … ওই শালি ঢোলের জন্য সব ভেস্তে গেলো । সব দোষ ওই জল্লাদ কুতুবমিনার দোষ? শালি কোন দিক দিয়ে পালিয়ে গেলো। কাপুরুষ…
সাগর : কে কাপুরুষ?
মোহনা : ওই শালি জল্লাদ কুতুবমিনার।
সাগর : শালি তো i think মেয়েদের কে বলে।
মোহনা : তাতে আমার জামাইর কি?
সাগর : তোমার জামাইর নামটা কি ?
মোহনা : এই কোন শালিরে …
মোহনা পিছে ঘুরলো । দেখলো সাগর ।
মোহনা : সালামালাইকুম …
সাগর : সালামালাইকুম কি ?
মোহনা : আসি টা টা বাই …
বলেই মোহনা যেতে নিলে সাগর হাত ধরে ফেলল।

.

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে