Monday, October 6, 2025







রাত যখন গভীর ২ পর্ব-৫+৬

#রাত_যখন_গভীর
#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
#(jannatul_mawa_moho)
Season:02
Part :০৫
************
প্রিন্স(ইনতিয়াজ) কিছু শব্দ শুনতে পাচ্ছে। কিন্তু,
প্রিন্স বুঝতে পারছে না কিসের শব্দ।

আসলে,সেদিন বড় মাছটা বেশ কিছু মাছ খাওয়ার সময় গাছপালা, লতাপাতা পেটের ভিতরে ঢুকে যায়। যার ফলে সব জিনিস একসাথে ঘর্ষণের সৃষ্টি করছে। তাই শব্দ টা উৎপন্ন হচ্ছে।

প্রিন্স(ইনতিয়াজ) এর আজকে খুব উদ্ভুত লাগছে। মাছটা অস্বাভাবিক ভাবে চলাচল করছে। রীতিমতো একদিক থেকে অন্য দিকে ছুটে চলছে। প্রিন্স মন থেকে চাইছে এই মাছের পেটের থেকে বেরিয়ে আসতে। কিন্তু শেষ মেষ পারবে তো?

হাবিব দুপুরে ওয়াশরুমে গেল।গোসল করবে। তার আগে,
সে প্রাকৃতিক কাজ করছিল। এমন সময়,ওয়াশরুমের গোসল করার অংশ টাতে। একটা মেয়ের কান্না করার শব্দ শুনা যাচ্ছে।হাবিব দের ওয়াশরুম টা অনেক বড়।তাই ভালো ভাবে হাবিব কে কান্না করছে দেখতে পেল না।

অতঃপর,
হাবিব প্রাকৃতিক কাজ শেষ করে আস্তে আস্তে সেদিকে এগিয়ে গেছে।গোসল করার এইদিকে একটা পর্দা আছে। হাবিব কিছু টা দ্বিধা নিয়ে পর্দাটা সরিয়ে দেয়। এমন সময় দেখতে পেল একটা মেয়ে।

লক্ষ্যনিয় বিষয় হচ্ছে,
মেয়ে টার মুখটা চুল দিয়ে ঢেকে রাখা।হাবিব কাছে আসতেই,

মেয়ে টা এবার চুপ হয়ে যায় ।

হাবিব বলেঃ কে আপনি? আমার ওয়াশরুমের মধ্যে কেমনে আসলেন???কি করেছেন এখানে?

মেয়ে টা আস্তে আস্তে তার মুখটা হাবিব এর সামনে আনে।

হাবিব এর সামনে, চুল দিয়ে ঢেকে রাখা, মুখটা এনে,
একটা অট্টহাসি দেয়।
হাবিবের ঘাঁ চমচম করছে।

হঠাৎ করে ওয়াশরুমের লাইট গুলো অন আর অফ হতে লাগলো। হাবিবের ভয়ে শরীর হিম হয়ে যাচ্ছে।
সেই মেয়ে টা আস্তে আস্তে মুখ থেকে চুল গুলো সরিয়ে নেই। হাবিব যা দেখে তা যদি একটা হার্ট এর রোগী দেখতো তাহলে মাস্ট বি হার্ট অ্যাটাক হতো।
অসম্ভব ভয়ংকর একটা মুখ। থুতনি টা ফুলে আছে। চোখ জোড়া লাল,নাক টা চেপ্টা, বণর্না করা যাবে না এমন অদ্ভুত দেখতে।

মেয়ে টা হাবিবের গলা টিপে ধরে। হাবিব আর সহ্য করতে পারে নি।

মাাা মাা মাা মাা বলে,ডাক দেয়। একটু পরে,
সেন্স লেস হয়ে পড়ে।

হাবিব বেঁচে আছে তো?
নাকি বাথরুমে মরা পড়ে আছে?

প্যারানরমাল জিনিস টা কি চাই?

রিনিকে স্ফটিকে দেখতে পাওয়ার পর থেকে কেন এমন হচ্ছে হাবিবের সাথে?

লাবুর পুরো শরীর বাঁকা হয়ে গেছে। মুখ থেকে সাদা সাদা থুথু বের হচ্ছে। চোখ জোড়া বড় বড় করে তাকিয়ে আছে সামনের দিকে। শরীরের কাপড় কিছু টা ছিড়ে গেছে।এমন অবস্থা দেখে রাহাত হুজুর এর মা কিছু টা ভয় পাই। সাথে সাথে অর্ককে ডেকে আনে।

অর্ক একদম বাকশক্তি হারিয়ে ফেলে। অতঃপর লাবু কে কোলে করে বেড রুমে নিয়ে গেল। রাহাত হুজুর এসেছে। অর্ক ও রাহাত হুজুর মিলে দোয়া ও মন্ত্র পড়ে।

একটা পানিয় বানায়।যা লাবুর গায়ে ছিটিয়ে দেয়। লাবু একটু পর জেগে ওঠে। লাবু জেগে উঠার পরেই রাহাত হুজুর ও তার মা ঘরে চলে যায়।

লাবু বলেঃ অর্ক,আমি পানি পান করবো।

আর অনেক খিদে পেয়েছে। কিছু আন?

অর্ক বলেঃ তোমাকে একা রেখে কেমনে যাই?

লাবু বলেঃ তুমি রান্না ঘরে যাও। আমি ভিডিও কলে থাকি।

অর্ক এবার আস্বস্ত হলো।রান্না ঘরে গেল অর্ক।সাথে ভিডিও কলে আছে লাবু।

সব কিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু অর্ক রুম থেকে বেরিয়ে গেছে ৯ মিনিট। তবে ১০ মিনিট হতেই। লাবুর মোবাইলে স্কিনটা কালো হয়ে গেছে।

হঠাৎ করে, মোবাইলে কিছু অস্পষ্ট স্বরে শব্দ বলছে আপনা আপনি।

মোবাইলে শব্দ গুলো ছিলঃ সালছা।মাই হা কো।।সাটোদি হা।

লাবু এসব হিজবিজি কথা বুঝতে পারছে না।একটু পর শব্দ বন্ধ হয়ে গেছে। মোবাইল থেকে আস্তে আস্তে ধোয়া বেরিয়ে আসে। পুরো রুমে ধোঁয়া হয়ে গেছে।

লাবু বারবার মোবাইল ঠিক করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না।এক পর্যায়ে রাগ উঠে গেল লাবুর।
তাই লাবু তার রাগ সামলাতে না পেরে মোবাইলটা কে দূরে ছুড়ে মারে । মোবাইল ছুড়ে মারার সাথে সাথে লাবুর মোবাইল থেকে আস্তে আস্তে কালো ধরনের ধোঁয়ার সাথে কি যেন বের হচ্ছে।

প্রথমে একটা লোমশ হাত বেরিয়ে আসে। আস্তে আস্তে সেই লোমশ প্যারানরমাল জিনিস টা বেরিয়ে আসে।
লাবুর দিকে আসেতে থাকে।
চলে আসতে আসতে, সেটা
একদম লাবুর কাছে চলে আসে। লাবু ভয়ে চুপসে যায়।

লাবু বলেঃ কি চাই?
চলে যান।

সেই প্যারানরমাল জিনিস টা লাবুকে কোন উত্তর না দিয়ে।
লাবুর বুকে স্পর্শ করতে। তার সেই লোমশওয়ালা হাতটা এগিয়ে দেয়। লাবু এতটা ভয় পেয়ে যায়। যে বিছানা থেকে নেমে দৌড়ে
যাওয়ার শক্তি ও হারিয়ে ফেলে। সেই প্যারানরমাল জিনিস টা অলমোস্ট লাবুর স্ফীত অংশে হাত দিয়ে বসেছিল। এটা দেখে লাবু চোখ বন্ধ করে। মনে মনে বলছে, আল্লাহ সহায়তা করো।

কিন্তু লাবু শুনতে পেল, অর্ক বলছে,প্রিয়তমা চোখ জোড়া খুলে দেখো।

তোমার জন্য নাস্তা আনছি।।।আর চোখ বন্ধ করে রাখছো কেন?
ঘুম আসছে নাকি?

ধোঁয়া গুলো আর নেই। মোবাইল টা নিচে পড়ে আছে। তাহলে কি হলো এগুলো!

তাহলে এতক্ষণ ধরে যা ছিল তা কি কল্পনা ?

আর যদি সত্যি হয়!তাহলে,
কি চাই সে প্যারানরমাল জিনিসটা?

আজ যদি অর্ক ঠিক সময় না আস্তো তাহলে কি হতো?
এটা ভাবতেই, লাবুর গাঁ শিহরিত হয়ে উঠে।।।

সুমি ও জান্নাত এতক্ষণ লক্ষ্য করেনি।একটা রক্তের স্রোত বেরিয়ে আসছে তাদের বিছানার নিচের থেকে।
দুজনে বিছানার নিচে উঁকি দেয়।তারা দেখে একটা খোলা চুলের মেয়ে তাদের বিছানার নিচে।কি যেন করছে?
সুমি তাদের রুমের ড্রিম লাইট জ্বালিয়ে দেয়। সেই হালকা আলো তে সুমি ও জান্নাত দেখে ,রাবেয়া কি যেন কটমট করে শব্দ করে খাচ্ছে।

জান্নাত আরেকটু চোখ নাড়িয়ে দেখে পাশে পরে আছে সাদা সাদা লোম।

জান্নাত বলেঃ সুমি আমার সাথে আই?

সুমি জান্নাত এর সাথে তাদের ড্রয়িং রুমে প্রবেশ করে।জান্নাত , সুমিকে তাদের খরগোশ এর খাঁচার দিকে এগিয়ে নিচ্ছে।

সুমি বলেঃ কই নিচ্ছেস?
এই রুমে কেন আনলি?

জান্নাত বলেঃ চুপচাপ সাথে আই।
খাঁচার সামনে আসে।

দু’জনে দেখে তাদের খরগোশ টা নেই।

সুমি বলেঃ আমাদের খরগোশ টা কোথায়?
জান্নাত আবার শোবার ঘরে নিয়ে গেল সুমিকে।

জান্নাত সুমি কে বিছানার নিচে পড়ে থাকা সেই সাদা লোম দেখিয়ে দেয়। তারা এতক্ষণে বুঝতে পারে, এই রক্ত তাদের প্রিয় খরগোশ এর।

সুমি আস্তে আস্তে বলে উঠে,বিছানার নিচে কে?

হালকা লাইটের মধ্যে স্পষ্ট দেখতে পেল, রাবেয়া চোখ জোড়া লাল লাল করে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। এটা দেখে তারা দুজনে এক দৌড় দেয়।

তারা দুজন একদম তাদের বাসার বাইরে চলে আসে। আর নিজেদের লুকিয়ে রাখে একটা ঝোপঝাড়ে।সকাল হলেই তারা বেরিয়ে যাবে।কিন্তু রাবেয়া তখন ঘর থেকে বেরিয়ে আসে!

ভয়ংকর অগোছালো চুল, রক্ত মাখা মুখ।
আর বলছে,কই তোরা?
কই গেলি?
সামনে আই????
কি হবে সুমি ও জান্নাতের সাথে ????
শেষ মেষ কি পারবে রিনির রহস্য উদ্ধার করতে?

জিন রাজা (রশিদ) খুব চিন্তিত। কারণ তার বউ জিন(লোভা) দরজা আটকে বসে আছে। সেদিনের পর থেকে। একদম বের হচ্ছে না।জিন রাজা চিন্তায় পড়ে যায়।

লোভা কি তাহলে ছেলের জন্য আমাদের উপর রেগে আছে?

কিন্তু প্রিন্স যা করলো,তার শাস্তি সে পেয়েছে!তার কর্মের ফল সে পেল।

তাহলে কি লোভা এটা মানতে নারাজ তার ছেলে যে অন্যায় করেছে????
তার কি ধারণা তার ছেলে নির্দোষ?
চলবে….

#রাত_যখন_গভীর
#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
#(jannatul_mawa_moho)
Season:02
Part :০৬
************

তাহলে কি লোভা এটা মানতে নারাজ তার ছেলে যে অন্যায় করেছে????
তার কি ধারণা তার ছেলে নির্দোষ?

প্রিন্স হঠাৎ করে শুনতে পেল কিছু মানুষ কথা বলছে।

তারা বলছে, এই মাছটা বহুত বড় আছে। তই মেলা দামে বেচবার পারোম!

অন্য একজন বলে উঠেঃতুই মিয়া এক্কান কাম কর! এই মাছডা লইয়া, রাজ বাড়িত তুইয়া আই।মেলা ভালো দাম দিবো।

প্রিন্স এর মনে আশার আলো জ্বলে উঠে। তাহলে কি অতি শিগগির মুক্তি পেতে চলছে প্রিন্স(ইনতিয়াজ)???

হঠাৎ করে কিসের জানি পানি এসে পড়েছে রিনির মুখে। অস্পষ্ট স্বরে বলেঃ মা,একটু ঘুমায়। ডিস্টার্ব করো না।
কিন্তু আবার হালকা কিছু পানি এসে রিনির মুখে পড়ে। রিনি রাগী মোড নিয়ে চোখ জোড়া খুলে।
কিন্তু একি এটা কোথায়?
সে তো তার বাসায় ছিল এখানে কেমনে?

পাশে তাকিয়ে দেখে বৃষ্টি হচ্ছে। আর এতক্ষণ তার মুখে বৃষ্টির পানি পড়ছিল।

এমন সময়,
রিনি কার জানি পায়ের শব্দ পেল।সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে দেয় রিনি।রিনি আলতো করে চোখ জোড়া খুলে দেখে, একটা মাঝ বয়সী মহিলা রুমে প্রবেশ করে। রিনি দিকে তাকিয়ে আছে।রিনির দিকে তাকানোর,
সাথে সাথে ভয়ে চুপসে যায় মহিলা ।

মহিলা বলছেঃ হায় হায়। আইজ আমার কি হয়বো।
সাহেব যদি জানতে পারে,রিনি ম্যাডামের মুখে পানি পড়ছে। আমি জানালা বন্ধ করি নাই।আজ আমার চাকরি যাবে।ইয়া আল্লাহ বাঁচাও।

মহিলা টি জানালা বন্ধ করে দেয়। রিনির মুখ আলতো করে টিস্যু দিয়ে মুছে দেয়।
যাওয়ার সময় দরজা বন্ধ করে দেয় আবার।
রিনি চোখ জোড়া খুলে।

রিনি বলেঃকোথায় আমি? কে এই মহিলা?
কোন সাহেব এর কথা বলছে???

সুমি ও জান্নাত ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে আছে। রাবেয়া তাদের হন্য হয়ে খুঁজে যাচ্ছে।

সুমি বলেঃজান্নাত,আজকেই মনে হচ্ছে আমাদের শেষ দিন?ইশ,তোর জিজুর সাথে শেষ দেখা ও হলো না!

জান্নাত বলেঃ হুহ্। মনে হচ্ছে। তুই ঠিক বলছিস।রাবেয়া আমাদের দেখতে পেলে।আমাদের খরগোশ টার মতো করে খেয়ে নিবে।সাথে মানুষের গোশত খাওয়া
উপভোগ করবে।

দুজনের মুখ দিয়ে একটা দীর্ঘ শ্বাস বেরিয়ে আসে।
হঠাৎ, জান্নাত তার কাঁধে কারো স্পর্শ অনুভব করল।

জান্নাত আলতো করে বলেঃ
কে?

দুজনে পিছনে ফিরে দেখতে পেল, মুগ্ধ।

জান্নাত বলেঃ আপনি এখানে কি?
আর এই সময় কেমনে?
আসলে কি আপনি মুগ্ধ?

জান্নাতের কথার যেন ফুলঝুরি ছুটছে।একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছে। কথা বন্ধ ই হচ্ছে না।সেই মূহুর্তে, মুগ্ধ আস্তে করে জান্নাতের মুখ টা চেপে ধরে।

মুগ্ধ বলেঃ
“প্রতিদিন কিছু কিছু ইচ্ছা মরে যায়,
অনিচ্ছাকৃত মরে যেতে হয়
অযত্নে মরে যায়।
প্রতিদিন কিছু কিছু ইচ্ছেরা
নির্বাসিত হতে বাধ্য হয়,
নির্বাসিত হয়।।।

কবিতা টা শুনে জান্নাত গোঙ্গিয়ে উঠে।

মুগ্ধ আবার বলেঃ পৃথিবীতে কেউ কাউকে জায়গা করে দেয় না,জায়গা করে নিতে হয়।মিস জান্নাত ।
আর একদিন সেই জায়গাটা আমি করে নিবো।সেদিন থেকে
তোমার প্রত্যকটা হার্টবিটে আমার নাম ধ্বনিত হবে।

এখন চুপ থাকো।শব্দ করলে রাবেয়া তোমাকে খেয়ে নিবে।সাথে সুমি ও আমাকেও খাবে।

জান্নাত , মুগ্ধের হাতে কামড়ে দেয়। তাও মুগ্ধ হাত সরাই নি।
তখন মুগ্ধ বলেঃ
” হাসাতে পারোনা যখন
কাঁদাতে এসোনা তখন
মন বুঝতে না পারলে
ভুল বুঝাটা ও বারণ””

ভুল বুঝো না আমাকে। তবে এই মূহুর্তে কোন ভাবেই আমি হাত সরাচ্ছি না।

সুমি বলেঃ আমাদের এখন কি করা উচিত?
মুগ্ধ বলেঃ একটু অপেক্ষা কর। রাবেয়া বাসায় প্রবেশ করলে,আমরা কিছু করতে পারবো।ততক্ষণ এইখানে মশার কামড় খেয়ে অপেক্ষা করি।

একটু পর রাবেয়া বাসায় প্রবেশ করে।মুগ্ধ, জান্নাত ,সুমি চুপচাপ বাসায় প্রবেশ করে।

মুগ্ধ বলেঃ এই জান্নাত একদম চুপ থাকবে। অন্যথায় শাস্তি পাবে।

জান্নাত মনে মনে বলছে, অরে আল্লাহ তুই যে সাইকো,মুগ্ধের বাচ্চা, বলা যায় না, কি শাস্তি দিয়ে বসিস।তবে তুরে আমি দেখে নিবো।।।

জান্নাত চুপ হয়ে আছে। সুমি ও পাশে আছে।

মুগ্ধ বলেঃওজু করে নেন। তারপর আপনারা জায়নামাজ বিছিয়ে বসে পড়েন।সাথে কুরআন শরীফ রাখবেন। অবশ্যই,আয়াতের কুরছি পড়বেন।আমি আসছি।

তারা দুজনেই ঠিক বাধ্য মেয়ের মতো তাই করলো।

মুগ্ধ বেশ কিছু বড়োই পাতা আনে।ভালো করে সিদ্ধ করে।রাবেয়া তখন ক্লান্ত হয়ে শরীর টা এলিয়ে দেয় শুবার ঘরে।

মুগ্ধ বলেঃ জান্নাত এই দিকে আস।রাবেয়ার পাশে গিয়ে আগে অল্প করে পানি ঢেলে দিবে।তোমাকে যখন পিছু করবে তখন ওয়াশরুমের দিকে যাবে।আমরা থাকবো ওয়াশরুম এ।

ঠিক তাই করলো জান্নাত ।রাবেয়া ওয়াশরুমের মধ্যে প্রবেশ করে।মুগ্ধ বরই পাতা দিয়ে সিদ্ধ করা সব পানি রাবেয়ার শরীরে ঢেলে দেয়। রাবেয়া মাথা ঘুরে পড়ে যায়। সবাই ধরাধরি করে রুমে আনে।ভোরের আলো ফুটে উঠেছে।

জান্নাত বলেঃ আমি গাড়ি বের করতে বলছি।সুমি কাপড় ঘুছিয়ে নে।কামাল কে ও রেডি হতে বল।আমরা একটু পর-ই রওনা দিবো।এই ভাবে থাকা সম্ভব না।

সুমি বলেঃ ওকে।

মুগ্ধ বলেঃ আমাকে ও নিয়ে যাওয়া যাবে?

জান্নাত বলেঃ একদম ই নিবো না।
সুমি বলেঃ নিয়ে যায়। কারণ ওনি না থাকলে , আমরা এতক্ষণে রাবেয়ার পেটে হজম হয়ে যেতাম।মুগ্ধ ভাইয়া,আপনি ড্রেস নিয়ে আসেন।

মুগ্ধ বলেঃ বোন যেতে দিচ্ছ এটাই অনেক। আমি ড্রস ওইখানের শপিং মলের থেকে কিনে নিবো।

সবাই রেডি। রাবেয়া কে মুগ্ধ ঘুমের ইনজেকশন দিয়েছে।সবাই গাড়ি তে উঠে পড়ে।

মাঝ পথে কামালকে তুলে নেই। সুমি সব খুলে বলে কি কি হয়েছে!!আর মুগ্ধের সাহায্যের কথা ও বলে।কামাল কৃতজ্ঞতা জানাই।

কামাল বলেঃ আমরা চাইলে, হাবিব কে ও সাথে নিতে পারি??
সবাই সম্মতি জানায়। গাড়ি ড্রাইভ করছে মুগ্ধ। ড্রাইভারের নাকি কি সমস্যা হয়ছে। তাই জান্নাত মুগ্ধ কে ড্রাইভার বানায়।
মুগ্ধ গাড়ি তে গান চালিয়ে দিয়েছে।
গান চলছে,,,
মাঝে মাঝে তোর কাছে জেনে শুনে হেরে যায়,
কিছু কথা বলে পেলি, কিছু কথা ছেড়ে যায়।
অচেনা সকাল হোক,উদাসী বিকেল হোক।
বারে বারে মনে হয় তোর হাতে মরে যায়।।।।

গাড়ি চলছে হাবিবের বাসার উদ্দেশ্যে।।তবে জান্নাতের মনে প্রশ্ন জেগে ওঠে। মনের মধ্যে এসব প্রশ্ন ছোট একটা ঝড়ের সৃষ্টি করেছে।।
আচ্ছা, মুগ্ধ রাতে কেমনে আমার বাসায় আসে?
আমি যে বিপদে কেমনে জানলো?
আর কেমনে জানলো, আমরা যে ঝোপঝাডে় আছি?
মুগ্ধ আসলে মানুষ তো?নাকি!!!!!!

হাবিবের মা তার চিৎকার শুনে দৌড়ে আসে।দরজা ভেঙ্গে বের করে হাবিবরকে।নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। ডাক্তার এসে চিকিৎসা করে।হাবিব এখন অনেক টা সুস্থ।

বসে আছে নিজের রুমে। এমন সময়….

চলবে…….

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ