#কেবিন_নং_থার্টি_সিক্স
পর্ব: ০৭
জাহান আরা
আকাশে মেঘ জমতে শুরু করেছে।বৃষ্টি আসতে দেরি নেই,আমার বুকের ভিতরেও যেনো মেঘের ডাক শোনা যাচ্ছে।
বুকের ভিতরে একটা অচেনা ব্যথা অনুভব করছি।এই ব্যথার নাম কি আমি জানি না।শুধু জানি আজ কিছু একটা হবে।আমার প্রতিশোধ নেবার দিন এগিয়ে আসছে।এক পা এক পা করে আমি সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
মিরপুর বস্তির কাছাকাছি যেতেই গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হলো।কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়াজ নামের একজন ইন্সপেক্টর নেহালের মামা আলতাফ আহাম্মেদকে কল দিলেন।
টার্গেট আমাদের থেকে ১০০ ফুট দক্ষিণে আছে।বস্তির চিপাগলি দিয়ে জীপ আর এগুতে পারলো না।মোড়ের একটা চায়ের দোকানের সামনে জীপ থামালেন ড্রাইভার।
এই প্রথম আমি কোনো বস্তিতে এলাম। চারদিকে ঝুপড়ির মতো অসংখ্য ঘর।
আমি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম।এটাও কি মানুষের জীবন হতে পারে?
বৃষ্টি হওয়ায় জায়গায় জায়গায় পানি জমে কাদা হয়েছে।
ছোট ছোট কতোগুলো ছেলে মেয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে।
ওদের দেখলেই মনে হয় পৃথিবীর কোথাও কোনো কষ্ট নেই,কোনো অশান্তি নেই।ওদের মতো সুখী কোথাও কেউ নেই।ছোট ছোট কবুতরের খাঁচার মতো ঘরে ওরা কি অনাবিল শান্তিতে আছে।অথচ বিরাট অট্টালিকাতে থেকেও কেউ কেউ বুকের ভিতর আগুন পুষে বেড়াচ্ছে।
সৃষ্টিকর্তার হিসেব বড়ই অদ্ভুত!
গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে আমরা সবাই ভিজে যাচ্ছি। আশেপাশের দিকে তাকিয়ে আমি কিছুটা হতাশ হলাম।
এ কেমন জীবন মানুষের!
মাথার উপর পলিথিনের চাউনি দেওয়া,এখানে ওখানে মহিলারা বসে আছে। কেউ রান্না করছে,পাশেই কেউ টয়লেটে যাচ্ছে তার সাথেই কেউ খাবার খাচ্ছে।
স্বাভাবিক অবস্থায় এই দৃশ্য দেখে আমার গা গুলিয়ে উঠতো।কিন্তু আজ তা হচ্ছে না।
আজ আমার মাথায় অন্য চিন্তা। নিয়াজ জানালো টার্গেট আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।কথাটা শুনে পুরো ফোর্স তৎপর হয়ে উঠে। সবার আগে কমিশনার আলতাফ আহাম্মেদ ছুটতে শুরু করে,তার পিছন পিছন বাকী সবাই ছুটতে শুরু করে।
কিছুদূর যাওয়ার পর নিয়াজ জানালো টার্গেট আমাদের থেকে বামে।
বাম পাশে চিপা একটা গলি।একজন মানুষের বেশি চলতে পারবে না এই গলি দিয়ে।কিছুদূর যাবার পর নিয়াজ জানালো আমরা টার্গেট ক্রস করছি।
আলতাফ আহাম্মেদ দাঁড়িয়ে গিয়ে আমাকে ইশারা দিলো।সাথে সাথে আমি ফোন বের করে কল দিলাম সেই নাম্বারে। পাশের ঘরের ভিতর থেকে একজন লোক বের হয়ে এলো মোবাইল হাতে নিয়ে।তারপর হ্যালো হ্যালো বলতে লাগলো।
লোকটার দিকে তাকিয়ে আমরা সবাই হা হয়ে গেলাম।যে লোকটা এলো তিনি হাতে একটা লাঠি,চোখে কালো চশমা পরা,বয়স ৭০+
দেখেই বুঝা যাচ্ছে লোকটা অন্ধ।আমি বিরাট এক ধাক্কা খেলাম দেখে।
আমার মতো সবাই অবাক হয়ে গেছে লোকটা কে দেখে।শিওর হবার জন্য আমি আবারও কল দিলাম।লোকটার ফোন বেজে উঠলো লোকটার।
বুকের ভিতর যে চাপা আনন্দ অনুভব করছিলাম সেই আনন্দ মুহূর্তেই বিষাদে রূপ নিলো।হঠাৎ করেই আমার সারা শরীর অবশ হয়ে আসতে লাগলো। কান্না দলা পাকিয়ে গলায় এসে আটকে গেলো।চারপাশ যেনো থরথর করে কাঁপছে। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলাম।
জ্ঞান ফিরতেই দেখি আমি নেহালের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছি।
নেহাল আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। সামনে বসে আছে কমিশনার আলতাফ আহাম্মেদ।একপাশে সেই অন্ধ লোকটি।
আমার জ্ঞান ফেরার পর আলতাফ আহাম্মেদ আমার সামনে লোকটিকে জিজ্ঞেস করলো,ফোনটা কিভাবে উনি পেয়েছে।
উত্তরে লোকটা জানায়,ট্রাফিক মোড়ে ভিক্ষা করছিলো লোকটি,তখনই গাড়ি থেকে কেউ একজন ফোনটা তার থালায় ফোনটা ফেলে যায়।
বুকের ভিতর দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। একটা কষ্ট যেনো পাথরের মতো চেপে ধরে রেখেছে।
আমার বুক ফেটে কান্না আসছে।কিন্তু কান্না করতে পারছি না।অধিক শোকে পাথরের মতো হয়ে গেছি।
নেহালের চোখ থেকে টপটপ করে কয়েক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো আমার গালে।
আলতাফ আহাম্মেদ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে আমাকে বললেন,”এতো ভেঙে পড়ছো কেনো তোমরা?
ভুলে গেছো কেনো আমাদের হাতে এখনো আরেকটা সুযোগ আছে।”
নেহাল জিজ্ঞেস করলো,”কি সুযোগ মামা?”
মুচকি হেসে আলতাফ আহাম্মেদ বললেন,”মোবাইল না হয় অন্য কাউকে দিয়ে দিয়েছে ওরা কিন্তু সিম কার্ড?
ওটা যার নামে রেজিস্ট্রেশন করা আছে,তা খুব সহজেই বের করে ফেলতে পারবো আমরা। ”
আরেকটা সম্ভাবনা দেখা দিলো।কিছুটা স্বস্তিবোধ করলাম কমিশনার সাহেবের কথা শুনে।
চলবে…..?
#কেবিন_নং_থার্টি_সিক্স
পর্ব:০৮
জাহান আরা
নেহালের মামা কমিশনার আলতাফ আহাম্মেদের হস্তক্ষেপের কারণে খুব দ্রুত সিম কার্ডের সব ইনফরমেশন হাতে পেয়ে যাই আমরা।
রায়ের বাগের কোনো এক শাহজাহান এর নামে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন করা আছে।
সমস্ত ডিটেইলস হাতে পাওয়ার পর একটা ফোর্স নিয়ে আলতাফ আহাম্মেদ পরের দিন সকালেই বের হয়ে যান আমাকে আর নেহাল কে সাথে নিয়ে।
বের হবার আগে তিনি লোকাল থানাকে ইনফর্ম করে দেন বিষয় টা।
দুরুদুরু বুকে যেতে থাকি আমরা সামনের দিকে।গাড়ি যতো এগিয়ে যায়,আমার বুকের ভিতরের কাঁপুনি তত বেড়ে যায়।
তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে আমার আমি টের পেলাম।
নেহাল কে বলতেই নেহাল গাড়ি থামিয়ে এক বোতল মিনারেল ওয়াটার নিলো আমার জন্য।এক চুমুকেই অর্ধেক বোতল শেষ করে ফেললাম আমি।
শনির আখড়ায় থাকাকালীন লোকাল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন কল দিলেন নেহালের মামা কে।শাহজাহান নামক লোকটার সমস্ত ডিটেইলস তিনি জোগাড় করে ফেলেছেন।
আমরা রায়ের বাগ যাওয়ার পর আনোয়ার হোসেন উঠে এলেন আমাদের সাথে গাড়িতে।
কিছুদূর যাওয়ার পর আনোয়ার হোসেন গাড়ি থামানোর নির্দেশ দিলেন।
কিছুদূর পায়ে হেঁটে যাওয়ার পর একটা টেইলার্সের সামনে গিয়ে হাজির হলাম আমরা।
তারপর সবাই ঢুকে পড়লাম ভিতরে।
দুজন লোক বসে সেলাই করছে,একজন কাটিং করছে।যে কাটিং করছে সম্ভবত সেই দোকানের মালিক।আমাদের দেখে সে-ই এগিয়ে এলো।
আনোয়ার হোসেন কিছুটা চিৎকার করে জিজ্ঞেস করলেন,”এই দোকানের মালিক কে?”
আনোয়ার হোসেনের প্রশ্ন শুনে সেলাইয়ের কাজে থাকা একজন মাথা উঁচু করে তাকালো,কিন্তু অন্যজন কোনো দিকে না তাকিয়ে তার কাজ করে যেতে লাগলো।
কাটিং করা লোকটি এগিয়ে এসে বললো,”আমার নাম হাবিবুর রহমান স্যার,আমি এই আনন্দ টেইলার্সের মালিক।”
“এখানে শাহজাহান কে?”
হাবিবুর রহমান নামের লোকটা ইশারা দিয়ে দেখালো কাজে মগ্ন হয়ে থাকা লোকটি কে।
লোকটি কোনোদিকে না তাকিয়ে কাজ করে যেতে লাগলো।
ওসি সাহেব তার সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,”তোর নাম কি রে?”
লোকটা কোনো জবাব দিলো না।
ওসি সাহেব আবারও জিজ্ঞেস করলেন কিন্তু লোকটা কোনো জবাব দিলো না।
টেবিলের উপর জোরে একটা থাপ্পড় দিতেই লোকটা চমকে উঠলো।তারপর মুখ তুলে তাকালো আমাদের দিকে।
ওসি সাহেব আবারও জিজ্ঞেস করলেন কিন্তু লোকটা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। পাশ থেকে হাবিবুর রহমান বললো,”ও বোবাকালা স্যার। কানে ও শুনে না,কথা ও বলতে পারে না। ”
কথাটা শুনে আমার মাথায় আবার বজ্রপাত হলো। কি হচ্ছে এসব আমার সাথে?
প্রথমে যখন ফোনটা পাওয়া গেলো তখন ছিলো এক অন্ধ লোকের কাছে। আর আজ যখন সিম কার্ডের সন্ধান মিললো তখন পাওয়া গেলো এক বোবা লোককে।
আলতাফ আহাম্মেদ আমার মুখের দিকে তাকালেন,আমি তাকিয়ে রইলাম শূন্যের দিকে।মনে হচ্ছে যেনো অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছি আমি।চোখেমুখে সব অন্ধকার।
অন্ধকার গাঢ় থেকে গাঢ়তর হচ্ছে। আমি বুঝতে পারছি আমি জ্ঞান হারাতে চলছি।কিন্তু আমার অবচেতন মন বলছে এখন জ্ঞান হারানো যাবে না।একটা মাস্টার মাইন্ডের ষড়যন্ত্র এখানে।
খপ করে আমি নেহালের হাত ধরে ফেললাম।না,আমি অজ্ঞান হবো না।কিছুতেই না।আমাকে সব খুঁজে বের করতে হবে।
নেহাল আমার হাত শক্ত করে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আলতাফ আহাম্মেদ হাবিবুর রহমান কে জিজ্ঞেস করলেন,”এ কবে থেকে এখানে কাজ করছে?”
“৬ বছর ধইরা কাম করতাছে স্যার।”
মোবাইল থেকে ফোন নাম্বার টা বের করে আলতাফ আহাম্মেদ জিজ্ঞেস করলেন,”এই নাম্বার টা কি চেনো তুমি?”
“জ্বি স্যার,চিনি তো।এইডা তো শাহজাহানের নাম্বার। ওর মোবাইলডা স্যার ৩-৪ মাস আগে চুরি হইয়া গেছে দোকান থাইকা।”
এক অদ্ভুত বিষণ্ণতা আমাকে জেঁকে ধরলো।আমার যেনো সব শেষ। একটা শেষ ভরসা যা ছিলো তা এখন শেষ।
আমি এখন কি করবো?
এই ক্লু ছাড়া তো আমার হাতে আর কিছু ছিলো না।কিন্তু এখন দেখি সেটা ও ভুল।এতোদিন একটা কানাগলিতে ছিলাম আমি।
এখন তো আর কিছু রইলো না আমার হাতে।আমি এখন কোথায় থেকে শুরু করবো?
পরাজিত সৈনিকের মতো টেইলার্স থেকে বের হয়ে এলাম।আমি কোনো যুদ্ধ করি নি তবুও নিজেকে পরাজিত সৈনিক বলে মনে হচ্ছে।
ইচ্ছে করছে আমার চিৎকার করে কাঁদতে। কিন্তু আমি ঠিক করে নিয়েছি আর কাঁদবো না।কিছুতেই কাঁদবো না।আবার ভাবতে হবে আমাকে শুরু থেকে।
আবারও শুরু করবো আমি।আমাকে অভ্র হত্যার সমাধানে পোঁছাতেই হবে।
যে মাস্টার মাইন্ড এতো প্লান করে এসব করছে,সেই মাস্টার মাইন্ডকে আমাকে ধরতে হবে।তার নিখুঁত প্ল্যানের মধ্য থেকে আমাকে খুঁজে বের করতে হবে।
কোনো ক্রাইম-ই পারফেক্ট ক্রাইম হতে পারে না।
প্রচন্ড শরীর কাঁপুনির মধ্যে ও বুঝতে পারছি ভিতরে ভিতরে একটা জেদ আবারও চেপে বসেছে আমার মধ্যে।
বাসায় গিয়ে বাকিটা সময় রুমের দরজা বন্ধ করে বসে রইলাম আমি।আম্মা কে বলে দিলাম আমি বের না হওয়া পর্যন্ত যেনো কেউ আমাকে না ডাকে।আমি কিছুক্ষণ একা থাকতে চাই।
আমার মুখের দিকে তাকিয়েই আম্মা বুঝতে পারলেন বুকের ভিতরে একটা ঝড় বইছে।সেই ঝড় লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে আমাকে প্রতি মুহূর্তে মুহূর্তে।
শুকনো মুখ করে আম্মা ও সরে গেলেন আমার সামনে থেকে।
রুমের মধ্যে পায়চারি করতে লাগলাম উদভ্রান্তের মতো। নিজেকে আমার মানুষ বলে মনে হচ্ছে না। কিছুই করতে পারছি না আমি ঠিক মতো।নিজের স্বামীর হত্যাকারীদেরকে ও খুঁজে বের করতে পারি নি।
ভাবতে ভাবতে ভাবীর কল পেলাম।ইচ্ছে করছে না ফোন রিসিভ করতে। ফোন হাতে নিয়ে রকিং চেয়ারে বসে পড়লাম ধপ করে।ভাবী আবারও কল দিলো।
অনিচ্ছাসত্ত্বেও ভাবীর ফোন রিসিভ করলাম।ওপাশ থেকে ভাবী যা বললো তা শুনে আমার মেজাজ কিছুটা খিটখিটে হয়ে গেলো।
আমার এই ভগ্ন মানসিক অবস্থায় কিভাবে দাওয়াতে যাবো আমি?
তাও আবার কাল!
কিন্তু না করতেও পারছি না।ভাবীর কথার মধ্যেই মা বলে উঠলো আমাকে যেতেই হবে,না হলে মা বাবা কাল সকালে এ বাড়িতে এসে হাজির হবে আমাকে নেয়ার জন্য।
অগত্যা আমি আর না করতে পারলাম না।
কল কাটার আগে ভাবী জিজ্ঞেস করলো আমাকে,”কাজল,একটা কথা জিজ্ঞেস করার ছিলো তোমাকে।”
“কি কথা ভাবী?”
“তুমি বিয়ের পর কি আর পিরিয়ড হয়েছো?”
ভাবীর কথা শুনে আমি কিছুটা অপ্রস্তুত হলাম।এটা কেমন প্রশ্ন!
আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে ভাবী বললো,”কিছু মনে করো না কাজল,আমি আসলে জানতে চাচ্ছিলাম বাই এনি চান্স তুমি প্রেগন্যান্ট কি-না? ”
নিজেকে সামলে নিয়ে আমি জবাব দিলাম,”হলেও দোষের কি ভাবী?”
“কি যে বলো তুমি,এটা একটা বোকামি হয়ে যাবে,তোমার উচিৎ প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা।বাচ্চার বাবা কে না কে তা যদি বাচ্চার মা,বাচ্চা না জানে,সেই বাচ্চা জন্ম দেওয়ার মতো জ্বালা আর কি আছে।এই কাজ করো না কাজল।”
ভাবী ফোন রেখে দিলো।আমি থ হয়ে গেলাম ভাবীর কথা শুনে।কি বললো ভাবী এসব?
আমার বাচ্চার বাবা কে তা নিয়ে ভাবী ভাবছে কেনো?
আমার বাচ্চা হলেও কি ক্ষতি কার?
আমি তো সেকেন্ড ম্যারেজ করতে যাচ্ছি না।মাথাটা ভার ভার লাগতে লাগলো।
রুমের বাতি বন্ধ করে দিয়ে ধ্যানে বসলাম।নিজেকে কিছুটা নিরিবিলি সময় দেওয়া দরকার।মনের মধ্যে একটা খচখচানি রয়ে গেছে।মনে হচ্ছে যেনো একটু ভাবলেই সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
চলবে….???