গল্প:-লাভ_স্টোরি পর্ব:-(০৭)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
!!
আন্টি আপনাকে মীম ডাকছে ওর কাপড় চেন্জ করবে নাকি? ঠিক আছে আমি যাইতেছি।
আমি: ঠিক আছে আন্টি মীমের কাছে গেলো আমি শ্যালোকে একটা কল করলাম রিং বাজতে রিসিব করলো।
শ্যালো: কেমন আছো আর মীমের কি খবর ও কেমন আছে?
আমি: ভালো তবে ওর দুইটা চোখ নষ্ট হয়ে গেছে চোখে কিছু দেখেনা।
শ্যালো: কি বলছো তুমি?
আমি: হ্যা সত্যি বলছি।
শ্যালো: এখন কি করবে তুমি মীম যদি তোমাকে তার জীবনে চাই?
আমি: চাইলে আমি ওর জীবনে থাকবো কেনো যখন চোখে দেখতে পাইছে। তখন তো আমাকে চাইনি আর এখন অন্ধ তাহলে আমাকে চাইবে কেনো?
শ্যালো: তুমি এমন করে বলছো কেনো ওর কি দোষ বলো?
আমি: দেখো তুমি আমাকে ভালোবাসো তাহলে আর কোন সময় এমন কথা বলবেনা
শ্যালো: একটা মেয়ে বিপদে পড়ছে তুমি তাকে সাহায্য করবে। তানা তুমি তার কাছথেকে দুরে চলে যাচ্ছো?আজ যদি আমার এমন হতো তাহলে তো তুমি আমাকে ছেরে চলে যেতে ছিঃ সৌরভ তুমি এমন এখন আমার কথা বলতে ভালো লাগছেনা পরে কথা হবে?
আমি: আরে আমার কথাটা তো শুনবে টু টু কেটে দিলো। কি হলো যার জন্য চুরি করি সেই বলে চুর দুর কিছু ভালো লাগছেনা। যাই রুমে যাই রুমে এসে দেখি মীম মন খারাপ করে বসে আছে। তখনি,,
মীম: সৌরভ আসছো?
আমি: হ্যা আচ্ছা মীম আমি যখন রুমে আসলাম কোন আওয়াজ করিনি। কিন্তু তুমি বুজলে কি করে?
মীম: না এমনি আনুমানিক ভাবে বললাম।
আমি: অন্যা কারো নাম নিতে পারতে কিন্তু আমার নামটাই নিলে এর মানে কি?
মীম: তুমি ছারা কে আসবে রুমে আর তুমি কি বলতে চাইছো শুনি একটু।
আমি: আমার মনে হয় তুমি দেখো কিন্তু না দেখার বান করছো।
মীম: কি বললে আমি দেখে ও না দেখার বান করছি?
আমি: হ্যা তুমি দেখো।
মীম: যদি আমি চোখে দেখতাম তাহলে তোমাকে সত্যি খুন করে ফেলতাম এখন।
আমি: আরে আমি তো দুষ্টমি করে বলছি। হয়ছে আর খুন করে জেলে যেতে হবেনা। কিন্তু মহারানি আপনার মনটা খারাপ কেনো একটু জানতে পারি?
মীম: বলার মুড নাই একটু পর মীম নিজেই বলছে ঠিক তানা রাসেল আমাকে একটা কল করছেনা। আমি অন্ধ বলে আমার সাথে কোন যোগা যোগ করছে না।
আমি: তুমি কল দাও।
মীম: আমি দেখতে পাই নাকি কল দেবো যে?
আমি: তোমার মোবাইল দাও, আমি কল দিয়ে দিতেছি।
মীম: নাও নাম্বার R.love দিয়ে লেখা আছে।
আমি: নাও রিং হচ্ছে।
মীম: কি হলো রিসিব করলোনা কেনো?
আমি: দু তিনবার কল দিয়েছি কিন্তু রাসেল রিসিব করেনি। তাই মীম কান্না করে দিয়েছে। এই তুমি কান্না করছো কেনো? কোন কথা বলছেনা মীম কান্না করে যাচ্ছে। তখনি মীম তোমার ঠোটের নিছে এইটা কি কেমন দেখাছে।
মীম: কি দেখাছে?
আমি: তোমার হাতটা দাও দেখাচ্ছি
মীম: নাও।
আমি: হাতটা ওর ঠোটের নিছে নিয়ে এই খানে কালি লেগে আছে ধরো ধরছো?
মীম: কই আমি কিছু পাইতেছি না তো।
আমি: কিছু নাই তুমি কান্না করছো বলে আমি বলছি। যাতে কান্না বন্ধ করে দেন বুজলেন মহারানি।
মীম: শ্যালো অনেক ভাগ্যবান। আচ্ছা সৌরভ তুমি শ্যালোকে ভালোবাসো অনেক তাইনা?
আমি: হ্যা অনেক ভালোবাসি। আর তুমি ওতো রাসেলকে অনেক ভালোবাসো রাসেল অনেক ভাগ্যবান।
মীম: হয়ছে আর বলতে হবেনা এখন ঘুমাবো।
আমি: ঔষধ খেয়েছো সব?
মীম: এইরে মনে নাই আম্মুকে একটু ঢেকে দেবে?
আমি: না তুমি বসো আমি তোমাকে খাইয়ে দেবো।
মীম: ঠিক আছে।
আমি: হা করো।
মীম: হা কেমন লাগে কি তিতা?
আমি: এমন তো একটু তিতা লাগবে মহারানি। হয়ছে তুমি এখন ঘুমাও আমি ফ্লোরে ঘুমায়তেছি।
মীম: যদি কিছু মনে না করো তাহলে তুমি খাটের উপর ঘুমাতে পারো।
আমি: আমি কিছু মনে করবো কেন আমার তো ভালোই লাগবে?
মীম: তাহলে ঘুমায় আর মাঝে বডার দিয়ে দাও।
আমি: তা তোমার বলতে হবেনা এই বলে দুজনে শুইয়ে পরলাম কখন ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে করতে পারছিনা। সকালে ঘুম থেকে উঠে নামায পড়তে গেলাম। নামায পড়ে এসে দেখি মীম ঘুমাচ্ছে। তাই আর ডাক দিলাম না আমি ফ্রেশহতে বাথরুমে ঢুকলাম একটু পর বের হলাম। দেখি মীম বসে আছে কি হলো ফ্রেশ হবে।
মীম: আম্মুকে ডাক দাও?
আমি: কাপড় চেন্জ করবে?
মীম: না ব্রাশ করবো।
আমি: তাহলে আমি তোমাকে ব্রাশ করে দেয়।
মীম: তুমি দিবে কি ব্যাপার আমাকে এত কেয়ার করছো কেনো?
আমি: জানিনা তবে এইটা আমার কর্তব্য। এখন আসো এই বলে মীমকে ব্রাশ করে দিলাম। আর মুখ দুইয়ে দিলাম।
মীম: ধন্যবাদ আর আমাকে একটু নাস্তার টেবিলে নিয়া যাবে?
আমি: হ্যা চলো হাত ধরে নিয়ে যাবো তখনি মীমের মোবাইল বেজে উঠে। আমি হাতে নিয়া দেখি রাসেল কল করছে।
মীম: কার কল আসছে?
আমি: রাসেল নাও?
মীম: দাও মীম রাসেলের সাথে কথা বলছে। আমি দাড়িয়ে শুনছি ১০ মিনিট কথা বললো মীম।
আমি: কথা বলা শেষ
মীম: হ্যা রাসেল বলছে আমার চোখের ব্যাবস্তা সে করবে। যেভাবে হুক আমার চোখ ভালো করে দিবে?
আমি: তাহলে তো ভালোই হবে। তুমি আবার দেখতে পারবে এখন চলো?
মীম: হ্যা চলো তখনি খাটের সাথে পায়ে বারি খেয়ে পরে যাইতে ছিলো। আর সাথে সাথে আমি ধরে ফেলি।
আমি: সাবধানে আসো বলে আমি মীমকে কোলে তুলে নিলাম।
মীম: কি করছো নামাও আম্মু আব্বু আছে সবাই কি বলবে শুনি?
আমি: কেও কিছু বলবেনা। বলে ওকে কোলে করে নাস্তার টেবিলে নিয়া আসলাম। আন্টি দেখে হাসতেছে মনে মনে কিন্ত প্রকাশ করছে না। নামিয়ে দিয়ে চেয়ারে বসিয়ে দিলাম সবাই নাস্তা করতেছি।
শ্বশুর: সৌরভ আই ব্যাংকে যোগাযোগ করছি। কিন্তু ও নেগিটিভ গ্রোপের রক্তের চোখ পাওয়া যাচ্ছেনা। এখন কি করি বলতো বাবা?
আমি: দেখি না কি হয় আমি যোগাযোগ করবো? তখনি মীম পানির গ্লাসটা ধরতে গিয়ে মগ ফেলে দিয়েছে। আর ওর সব কাপড় বিজিয়ে ফেলছে মীম বুঝতে পারছে পানির মগ টেবিলে পরে গেছে।
মীম: সরি আমি বুঝতে পারি নাই।
শ্বাশুরি: না কিছু হয়নি
আমি: চলো তোমাকে রুমে নিয়া যাই এই বলে মীমকে আবার কোলে করে রুমে নিয়া আসলাম।
মীম: একটা কথা বলবো?
আমি: হ্যা বলো?
মীম: আমাকে কোলে নিলে তোমার কষ্ট হয়?
আমি: কষ্ট কেন হবে আমার তো ভালোই লাগে।
মীম: ভালোলাগে?
আমি: জ্বি মহারানি আমার অনেক ভালোলাগে আচ্ছা তোমার কাপর চেন্জ করতে হবে। আমি আন্টিকে ঢেকে দিচ্ছি আর আমি একটু বের হবো।
মীম: কোথায় যাাবে শ্যালোর সাথে দেখা করতে?
আমি: মনে করো তাই।
মীম: বাসায় অাসার সময় ডির্ভোস পেপারটা নিয়া আইসো।
আমি: কিন্ত এখন তো তুমি দেখতে পাওনা সাইন করবে কিভাবে?
মীম: তা নিয়া তোমার না ভাবলে চলবে তুমি অন্ধ মেয়ের জন্য টেনশন না করলে চলবে।
আমি: আচ্ছা নিয়া আসবো তুমি যা চাইবে তাই হবে।
মীম: তোমাকে আমায় নিয়া ভাবতে হবেনা। আমাকে নিয়া রাসেল ভাবছে ও অনেক যায়গাতে আমার চেখের খোজ করছে। আর তুমি কোথাও কোন যোগযোগ করলেনা? আর এতে বুজা যাই কে বেশি আমাকে নিয়া ভাবে। আর তুমি শ্যালোর সাথে দেখা করতে যাচ্ছো এখন।
আমি: আমি তোমাকে নিয়া ভাবিনা তোমার কথা চিন্তা করিনা?
মীম: করোনা তো আর তুমি করবে বা কেন আমি তোমার কে বাদ দাও এসব এখন তুমি যাও। আসার সময় ডির্ভোস পেপারটা মনে করে নিয়া আইসো।
আমি: দাড়িয়ে ওর কথাগুলো শুনলাম তারপর রুমথেকে বেরিয়ে আসলাম একদম বাহিরে রাস্তায় দিয়ে যায়তেছি তখনি দেখি রাসেল একটা মেয়ের সাথে কথা বলছে। আমি বাইক থামিয়ে কাছে গেলাম তখনি মেয়েটা চলে গেছে।
আমি: রাসেল তুমি এখানে কি করছো?
রাসেল: আমি কোথায় থাকবো তা তোমাকে বলতে হবে?
আমি: না তা বলবে কেন কিন্ত তুমি নাকি মীমকে বলছো মীমের চোখ এনে দিবে?
রাসেল: হ্যা বলছি তো কি হয়ছে এখন চোখ আমি পাবো কোথায়?
আমি: তুমি চোখ কোথায় পাবে এইটা তুমি জানো আমি বলবো কিভাবে?
রাসেল: দেখো আমি একটু ব্যাস্থ আছি পরে তোমার সাথে কথা বলবো। আমার বাসা থেকে আমার জন্য বিয়ে ঠিক করে ফেলছে। এক মাসের মধ্যে বিয়ে এখন কি করবো তুমি বলো?
আমি: এখন তো তাহলে সমস্যা আরো বারছে?
রাসেল: হুম এদিক দিয়ে মীম চোখে দেখতে পাইনা।
আমি: আচ্ছা দেখি আমি কি করতে পারি।
রাসেল: ঠিক আছে আমি যাই পরে কথা হবে।
আমি: ঠিক আছে বলে আমি চলে আসলাম। এখন শ্যালোকে একটা কল করতে হবে। কাল থেকে আমার উপর রেগে আছে কল দিলাম কিন্তু রিসিব হলোনা আরো দু তিনবার কল করলাম তাও রিসিব করেনি। আর কল দিলামনা উকিলের অফিসে যেতে হবে। ডির্ভোসের কাগজটা বাসায় নিতে হবে তখনি শ্যালোর কল আমি রিসিব করতেই বলে,,,
শ্যালো: কল করছো কেনো?
আমি: তুমি এমন করে কথা বলছো কেনো?
শ্যালো: যদি কোন কথা থাকে বলো তানা হলে আমি কল কেটে দেবো?
আমি: তুমি শুধু একবার আমার সাথে দেখা করো প্লিজ?
শ্যালো: তোমার কোন কথা শুনার মত ইচ্ছা আমার নেই। আর তোমার মত ছেলেকে আমি ভালোবাসছি এইটা ভাবলে আমার লজ্জা হয়। যে কিনা বিপদে ফেলে চলে যেতে চাই।
আমি: তুমি এই ভাবে বলোনা শ্যালো আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তুমি এমনটা করোনা আমার সাথে।
শ্যালে: সরি সৌরভ আমি আমার বাবার পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করবো। আর তুমি যদি সত্যি আমাকে ভালোবেসে থাকো তাহলে আমাকে আর কোনদিন ড্রিসট্রাব করেবেনা। বলে কল কেটে দিলো,,,আমি কি করবো কিছু বুঝতে পারতেছিনা। অনেকটা কষ্ট হচ্ছে এতটা কষ্ট হবে আগে জানলে কখনো ভালোবাসতামনা।
কিন্তু কি করার যার জন্য করি চুরি সে বলে আমি চুর। একটু পর মনটাকে নিজে বুজিয়ে উকিলের অফিসে গেলাম।
উকিল: কি ব্যাপার এতদিন পরে কোথায় থেকে আসছেন আরেক জন কোথায়?
আমি: আসতে পারবেনা আপনি আমাকে ডির্ভোসের কাগজ গুলো দেন।
উকিল: আপনি একা নিবেন কাগজ গুলো?
আমি: হ্যা।
উকিল: নেন তবে একটা কথা বলি কিছু মনে করবেনা একটা সম্পর্ক ঘরতে অনেক সহজ কিন্ত টিকিয়ে রাখাটা অনেক কঠিন তাও বলি যদিও আপনার কষ্ট হয় তাও ওর সাথে সংসার করেন কারন জীবনে চলার পথে অনেক কিছু ছাড় দিতে হয়।
আমি: তা আমিও জানি তবে কথাটা বলার জন্য ধন্যবাদ।
উকিল:ওকে ভালো থাকবেন।
আমি: ঠিক আছে আসি এই বলে বের হলাম। আজকে মীমের সাথে শেষ দেখা আর হয়তো কোনদিন মীমকে দেখতে পারবোনা। এই সময় কে কল করলো দেখিতো আরে এই নাম্বার তো ডাক্তরের।
আমি: হেলো ডক্টর বলেন।
ডাক্তার: আপনি একটু মেডিকেল আসবেন কথা আছে।
আমি: হ্যা আসতেছি এই বলে কলকেটে দিলাম। কিছুক্ষন পর মেডিকেল পৌছে সোজা ডক্টরের কেবিনে চলে গেলাম।
ডাক্তার: আপনি আসছেন এখানে বসেন
আমি: জ্বিবি ডক্টর বলেন কি কথা?
ডাক্তার: দেখুন আপনি মীমের হাজবেন্ট বলে কথাটা আপনাকে বলছি।
আমি: জ্বি বলেন?
ডাক্তার: দেখুন যদি আই ব্যাংক থেকে কোনো চোখ এনে মীমকে লাগানো হয়। তবে সেইটা ঠিক হওয়ার চাঞ্জ একে বারে কম।
আমি: তাহলে কি কোন উপাই নাই?
ডাক্তার: আছে যদি কোন ব্যাক্তির চোখ দান করে। আর ঐ চোখ অপেরেশন করে মীমের চোখে ট্রান্সফার করা যায়। তবে এইটা ১০০% ঠিক হবে এতে কোন সমস্যা হবেনা।
আমি: (একটু চুপ থাকার পর আমি বলি) ডাক্তার আমি আমার দুইটা চোখ মীমকে দান করতে চাই।
ডাক্তার: না তা কি করে সম্বব? আপনি তো অন্ধ হয়ে যাবেন এইটা আমার দ্বাড়া সম্বব হবেনা।
আমি: দেখুন আমার রক্তের গ্রোপ ও নেগেটিভ। আর আমি ওকে এভাবে দেখতে পারবোনা প্লিজ আপনার পায়ে পরি। ডক্টরকে অনেক বুজানোর পর রাজি হলোনা। তারপর আমাদের বিয়ের ব্যাপারে সবকিছু বললাম। এবং আমরা দুজনের মধ্যে কি সম্পর্ক আর লাষ্টে ডির্ভোসের কাগজ গুলো দেখানোর পর ডাক্তার বলে,,
ডাক্তার: যে মেয়ে আপনাকে ভালোবাসেনা তাকে কেন আপনি চোখ দিবেন?
আমি: জানি আমাকে ভালোবাসেনা কিন্তু তাতে আমার কি আমি তো ওকে ভালোবাসি প্লিজ ডক্টর আপনি মীমকে ভালো করে তুলেন।
ডাক্তার: ঠিক আছে তবে আপনি মীমকে একটা চোখ দেন। তাহলে আপনারা দুজনে দেখতে পারবেন
আমি: ডক্টর আমি চাই মীম তার দুইটা চোখে দেখুক।
ডাক্তার: দেখো সৌরভ তুমি আমার ছেলের বয়সের হবে। তাই তোমাকে আমি ভালোর জন্য বলছি। আর তোমার চোখে মীমের ঐ চোখটা ট্রান্সফার করে দেব। তাহলে কেউ বুজবেনা তোমার এক চোখে দেখোনা আর মীমকে দেখে কেউ বুজবেনা।
আমি: ঠিক আছে তবে একটা কথা দিবেন ডক্টর।
ডাক্তার: কি কথা বলো?
আমি: চোখটা যে আমি দিতেছি এই কথাটা কেও যেনো না জানতে পারে।
ডাক্তার: কি বলছো তুমি এই কথা আমি না বলে থাকতে পারবোনা।
আমি: প্লিজ ডক্টর আপনার কাছে আমার অনুরুদ। আপনি ছারা কেও এই কথা জানবেনা।
ডাক্তার: ঠিক আছে কাল তাহলে অপেরশন করাবো কি বলো তুমি?
আমি: আমার কোন আপত্তি নাই তবে আরেকটা কথা আপনি এই নাম্বারে একটা কল করে বলেন। আপনি চোখের কথা বলছিলেন যে এখন একটা চোখ পাওয়া গেছে। আপনি রুগিকে আগামীকাল নিয়া আসবেন।
ডাক্তার: কিন্ত নাম্বারটা কার?
আমি: মীম যাকে ভালোবাসে তার ছেলেটার নাম রাসেল। প্লিজ ডক্টর এইটুকু উপকার আমায় করেন।
ডাক্তার: জীবনে এই প্রথম কোন হাজবেন্টকে দেখলাম। যে নিজের স্ত্রীকে তার বয়ফ্রেন্ডকে কাছে পেতে সাহায্য করছে।
আমি: হ্যা আর আমার শ্বশুরকে একটু কল করে বলে দিবেন। এখন আমি যাই তাহলে আগামীকাল কখন আসবো?
ডাক্তার: ১০টা আসবেন ১১টা অপেরেশন।
আমি: ঠিক আছে তবে আমি একটু আগে চলে আসবো মেডিকেল থেকে বেরিয়ে আম্মুকে একটা কল করে কথা বলে নিলাম। আজ মোটামুটি সবাইকে কল করছি শুধু শ্যালোকে ছারা। বড্ড বেশি ইচ্ছে করছে শ্যালোকে দেখতে তাই চলে আসলাম শ্যালোদের বাসার সামনে। অনেক্ষন দাড়িয়ে ছিলাম শ্যালোকে না দেখতে পেরে পরে দারোয়ানের কাছে একটা চিঠি দিয়ে বলছি শ্যালোকে যেনো দিয়ে দেই এই কথা বলে তারপর আমার শ্বশুর বাড়ীতে আসছি আজ রাতটা এখানে আমার শেষ রাত। এরপর কোথাও চলে যাবো একে বারে দুরে কোথাও। এই ভাবতে বাসার ভীতরে ঢুকলাম তখনি
শ্বশুর: সৌরভ মীমের কাল অপেরেশন। ডাক্তার বলছে একটা চোখ পাওয়া গেছে, আপাদত এখন একটা চোখকে অপেরেশন করাবে।
আমি: তাহলে তো ভালোই হবে কিন্তু আমি থাকতে পরবোনা। কারন আমাকে কম্পানির কাজে ২০ দিনের জন্য বাহিরে যেতে হবে।
শ্বশুর: সৌরভ তুমি কি বলছো বাবা? কাল মীমের অপেরেশন আর তুমি কাল বাহিরে যাবে?
আমি: দেখুন যে কোম্পানি আমাকে এতকিছু দিছে। তার বিনিময়ে এইটুকু করতে হবে তখনি,,,
মীম: ওর যেখেনে যাওয়ার ইচ্ছে সেখানে যাক। শুধু শুধু ওকে বলে কি লাব আব্বু যেতেদিন ওকে।
শ্বশুর: কাল কখন যাবে?
আমি: সকাল ৯টার দিকে।
শ্বশুর: আচ্ছা ঠিক আছে যাও, তবে কল করবে কিন্ত?
আমি: হ্যা করবো তখন শ্বশুর চলে গেলো।
মীম: আব্বু চলে গেছে।
আমি: হ্যা ওনি চলে গেছে এখানে শুধু আমি আছি তোমার কিছু লাগবে?
মীম: আমার কিছু লাগবেনা আর তুমি যদি কোথাও নাও যাও। তাহলে তুমি আমার অপেরেশনের সময় থাকবেনা।
আমি: ঠিক আছে থাকবোনা। তবে কথা দিতেছিনা এখন চলো তোমাকে রুমে নিয়া যাই।
মীম: তুমি আমার হাত ছারো আর কোনদিন আমার হাত ধরবেনা। জানো আমার এই একটা চোখ কে খুঁজে বের করছে?
আমি: কে বের করছে?
মীম: রাসেল। আর রাসেল আমাকে কতটা ভালোবাসে তার প্রমান সে দিয়েছে।
আমি: তাহলে তো ভালোই হয়ছে। আচ্ছা আমি রুমে গেলাম এই বলে রুমে চলে আসলাম। আর নিজের সবকিছু গুচিয়ে ব্যাগে নিলাম। একটু পর মীমকে কাজের মেয়েটা রুমে এনে দিয়ে গেলো।
মীম: ডির্ভোসের কাগজটা আনছো?
আমি: হ্যা আনছি।
মীম: তুমি এতো খারাপ সৌরভ আমি কখনো ভাবিনি।
আমি: হ্যা আমি খুব খারাপ এই নাও তোমার কাগজ
মীম: আজকের রাতটা তোমাকে এই রুমে থাকতে দিলাম। তা আমার করুনা করে মনে করো।
আমি: তার জন্য ধন্যবাদ এখন ঘুমাবো। সকালে অনেক কাজ আছে আমার।
মীম: তুমি ফ্লোরে ঘোমাবে খাটে নয়।
আমি: এতদিন ফ্লোরে ঘুমিয়েছি আর আজও পারবো।
ফ্লোরে শুয়ে আছি আর কখন ঘুমিয়ে গেছি খবর নেই। সকালে ফজরের আজান শুনে ঘুম ভাঙ্গলো, নামায পড়তে গেলাম, নামায পড়ে এসে দেখি মীম ঘুমিয়ে আছে। আজ মীমকে শেষ বারের মত দেখে নেই। এত কাছ থেকে আর কোনদিন হয়তো দেখতে পারবোনা। এইরে দেরিহয়ে যাবে তারাতারি রেডিহতে হবে তাই বাথরুমে ঢুকলাম। কিছুক্ষন পর ফ্রেশহয়ে বের হলাম দেখি মীম বসে আছে খাঠের উপর।
মীম: তুমি এখনো যাওনি?
আমি: এইতো এখনি বের হবো তোমাকে একটা কথা বলবো শেষ বারের মত তুমি রাখবে?
মীম: বলো আগে শুনি তারপর ভেবে দেখবো রাখবো কি রাখবোনা। যখনি আমি কথাটা বলেছি তখনি,,,
To be continue,,,
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।) Facebook Id link ???
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept All”, you consent to the use of ALL the cookies. However, you may visit "Cookie Settings" to provide a controlled consent.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checkbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checkbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.