গল্প:-লাভ_স্টোরি পর্ব:-(০৬)

0
2415
গল্প:-লাভ_স্টোরি পর্ব:-(০৬) লেখা_AL_Mohammad_Sourav !! তখনি মোবাইল বেজে উঠলো হাতে নিয়া দেখি শ্বাশুরির নাম্বার। কাম সারছে মীম মনে হয় সবকিছু বলে দিয়েছে।রিসিব করলাম,,,, আমি: আস্সলামু আলাইকুম,,,আন্টি কেমন আছেন? শ্বাশুরি: উলাইকুম আস্সলাম,,,বাবা ভালো আছি তুমি কেমন আছো? আমি: হ্যা আমি ভালো আছি। শাশুরি: তুমি তো সকালে অফিসের জন্য বের হলে। আর বাসায় আসোনি এখন কি তোমার ফ্রেন্ডের বাসায় চলে গেছো? আমি: জ্বি আন্টি ফ্রেন্ডের বাসায় আসছি। পরীক্ষা শেষ হলে চলে আসবো। আচ্ছা আন্টি মীম বাসায় আছে? শ্বাশুরি: হ্যা ওতো আমার সামনে আছে। নাও কথা বলো এই মীম নে তোর সাথে সৌরভ কথা বলবে। মীম: হ্যা বলো? আমি: সরি মীম আমি তখন কথাটা এইভাবে বলতে চাইনি।
মীম: ঠিক আছে পরে কথা বলবো। এই বলে কলটা কেটে দিলো আমি বুঝতে পারছি মীম এখনো আমার সাথে রাগ করে আছে। থাকুক আমার কি? ওতো আমাকে ভালোবাসেনা এখন একটু পড়তে বসলাম কাল পরীক্ষা দুর ভালো লাগছেনা তাই ঘুমিয়ে পরলাম সকালে নামায পড়ে আবার পরতে বসলাম। শ্যালো একবার কল করছে কিন্তু বেশি কথা বলিনাই কারন আমার আজ পরীক্ষা। যাক পরীক্ষা দিলাম অনেক ভালোই হয়ছে। রোজ শ্যালো কল করে খবর নেই, কিন্তু মীম আমাকে একদিনও কল করে নাই। আমিও করিনা দেখতে দেখতে পরীক্ষা শেষ। আগামিকাল বাসায় যাবো তার আগে শ্যালোর সাথে দেখা করবো। তাই শ্যালোকে কল করে বলে দিয়েছি। আর বলছি দেখা করবো শ্যালো অনেক খুশি হয়ছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশহয়ে ব্যাগ গুচিয়ে নিলাম, রুমের চাবিটা দিয়ে দিলাম বাড়ীর মালিকের কাছে। বেলা ১১টা দিকে শ্যালোর সাথে দেখা করলাম। শ্যালো আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরছে। আমি: আরে কি করছো আশেপাশে মানুুষজন দেখছে। শ্যালো: দেখুক আমার কি? কতদিন পর তোমাকে কাছে পেলাম। আমি: মাত্র তো ১ মাস তাতে তুমি এমন করছো! শ্যালো: হ্যা ১ মাস আমার কাছে মনে হচ্ছে কত বছর পর তোমাকে দেখলাম। চলো আজ আমরা লাঞ্চ করি। আমি: চলো কিন্তু যাবো কিভাবে গাড়িতে নাকি বাইকে? শ্যালো: আজ বাইকে যাবো। আমি: চলো শ্যালো আমার পেছনে বসেছে আমি বাইক চালাইতেছি। শ্যালো আমাকে জড়িয়ে রাখছে, (সত্যি কথা বলতে মীম আমার সাথে বাইকে বসলে যতটা ভালো লাগে। শ্যালো বসলে ওতটা ভালো লাগেনা। কিন্ত কেনো? আমিকি মীমকে লাভ করি? না না শ্যালো আমাকে কত ভালোবাসে আমি ওকে কষ্ট দিতে পারবোনা? মনে মনে কথা গুলো বললাম) শ্যালো: থামাও আজ আমরা এখানে লাঞ্চ করবো। আমি: চলো লাঞ্চ করে বের হলাম ৪টা বাজে। দুজনে একটু পার্কে গুড়লাম, সন্ধা ৬টা বাজে চলো তোমাকে বাসায় নামিয়ে আসি। শ্যালো: চলো আমরা দুজনে বাইকে বসলাম। ৪০ মিনিট পর শ্যলোর বাসার সামনে আসলাম। আমি: নামো শ্যালো তারপর নেমে আমাকে জড়িয়ে কিস করলো। শ্যালো: একটা কিস দিবা আমায়? আমি: না বিয়ের পর দিবো। শ্যালো: প্লিজ একটা কিস। আমি: না পরে, এখন যাই তখনি শ্যালো আমাকে কিস করে বলে যাও। ওকে বাই চলে আসলাম শ্বশুর বাড়ীতে রাত ৮টা বাজে বাসার সামনে এলাম। তারপর কলিং বেল চাপ দিলাম, কাজের মেয়েটা গেইট খুলে দিলো। আমি ভিতরে ঢুকলাম দেখি আজ আঙ্কেল আন্টি বসে আছে। আমি সালাম দিয়ে ওদের সাথে কথা বলে নিলাম। তারপর রুমে চলে আসলাম দেখি মীম মোবাইলে কথা বলছে। আমি কোনা কথা না বলে চলে গেলাম ফ্রেশহতে। একটু পর বের হলাম দেখি মীম রুমে নাই আমি খাঠের উপর বসে আছি তখনি মীম এসে বলে,, মীম: তুমি এখানে কি করছো? আমি: কেনো কোথায় থাকবো? মীম: কেনো ১ মাস যার সাথে ছিলে তার কাছে যাও? আমি: মানে কার সাথে ছিলাম? মীম: তুমি কি মনে করো আমি দেখিনাই? আজ তোমার বাইকে শ্যালোকে নিয়ে রাস্তাদিয়া গেছো। আমার বান্দবী আমাকে দেখাইছে। আমি: আজই তো শ্যালোকে নিয়া ঘুরলাম। আর তুমি তো জানো আমি শ্যালোকে ভালোবাসি। মীম: জানি তাই তো আজ থেকে তুমি শ্যালোর সাথে থাকবে। ১ মাসে একটা কল করলেনা তুমি? আমি: কেনো করবো তুমি ওতো কল করোনাই! মীম: কেনো করবো তুমি তো আমার সাথে কথা বলতে চাওনা! আমি: সরি বলছিলাম তাও তুমি কথা বলোনি? মীম: সরি বললে সবকিছু হয় তুমি তো পরে একটা কল করতে পারতে। আমি: কেনো করবো তুমি আমার কে যে তোমাকে কল করবো? মীম: আমি তোমার কেওনা তো ঠিক আছে। যাও এখন তুমি রুম থেকে যাও। আমি: কোথায় যাবো এত রাতে? মীম: আমি জানিনা, যেখানে খুশি সেখানে যাও। আমি: ঠিক আছে সকালে চলে যাবো। এখন বের হলে আন্টিরা সন্দেহ করবে সকালে অফিসের কথা বলে চলে যাবো। মীম: সকালে তুমি কোথায় যাবে না যাবে। এইটা তোমার ব্যাপার এখন তুমি রুম থেকে যাও? আমি: ঠিক আছে আমি আজ বারান্দায় ঘুমায় কাল সকালে চলে যাবো। মীম: ঠিক আছে শুধু আজ রাতটা থাকবে। আমি: ধন্যবাদ তোমাকে, এই বলে বারান্দায় যাইতে ছিলাম তখনি উকিলের কল আসলো। আমি: সালাম দিলাম,,,, বলেন কি জন্য কল করছেন? উকিল: আগামিকাল আপনাদের ডির্ভোস হবে। দুজনে চলে আসবেন সকাল ১০টার দিকে। আমি: ওকে আসবো। বলে কল কেটে দিলাম, মীম সকালে আমাদের দুজনকে উকিল ডাকছে। মীম: কেন? আমি: কাল তুমি মুক্তি পাবে আমার কাছথেকে। মীম: মানে কি বলতে চাচ্ছো তুমি আর উকিল না বলছে ৪ মাস লাগবে। তাহলে এখন ২ মাসে হয়ে যাবে? আমি: হ্যা তাতে তো তোমার খুশি হবার কথা? মীম: হ্যা আমি অনেক খুশি তুমি এখন যাও আমার সামনে থেকে। আমি: যাচ্ছি আর জীবনে তোমার সামনে আসবোনা। শুধু আজ রাতটা আমাকে সহ্য করো। মীম: আমিও তোমার সামনে জঅবনে আসবোনা। আমি: ভালোই হবে শ্যালোকে বিয়ে করে আমি অনেক শুখে থাকবো। মীম: দেখবো কে শুখে থাকে, আমি নাকি তুমি? আমি: হ্যা দেখবো। এই বলে চাদর আর বালিশটা নিতে যাবো তখনি। মীম: চাদর বালিশ নিয়া কোথায় যাবে? আমি: বারান্দায় যাবো। মীম: না তুমি রুমে থাকো। আমি: কি,,,কোথায় থাকবো? মীম: শুনতে পাওনা রুমে থাকবে আজ। আমি: তুমি কি চাও একটু বলবে?
মীম: সবকিছু বলতে পারবোনা তুমি রুমে থাকবে এই বলে রুমথেকে বেরিয়ে যেতে যেতে বললো এসে যেনো দেখি তুমি রুমের ভীতরে শুয়ে আছো। আমি: ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম আর ও চলে গেলো। আমি খাটের উপর শুয়ে রইলাম তখনি এক গ্লাস পানি আমার গায়ের উপরে মীম এনে ডেলে দিলো। আরে এইটা কি হলো পানি দিলে কেন? মীম: কখন ধরে ডাকছি উঠছোনা কেন? আমি: তার জন্য তুমি পানি দিবে? মীম: হ্যা দিবো তোমার সাহস হয় কিভাবে খাটের উপর শুইবার? আমি: এখানে সাহসের কি হলো? তুমি রুমে নাই আমি ফ্লোরে শুইলে কেউ যদি দেখে। তাহলে তোমারি সমস্যা হবে? মীম: কোনো সমস্যা হবেনা তুমি এখন ফ্লোরে ঘুমাও যাও তারাতারি তা না হলে ভালো হবেনা। আমি: আজ রাতটা যা করার করে নাও আর কখনো পাবেনা আমি তোমার সামনে তো তোমার ছায়ার কাছে আসবোনা। মীম: দেখবো আর আমিও তোমার সামনে যাবোনা। এই বলে যেতে লাগলো, আর তখনি পা পিছলে সোজা আমার গায়ের উপর। আর হাতে যে বড় পানির মগটা ছিলে তার সব পানি খাঠের উপর পরে সবকিছু বিজে গেছে আর আমার উপর শুয়ে আছে মীম। আমি: কি হলো তুমি না বলছো আমার সামনে আসবেনা? কিন্তু তুমি তো আমার উপর শুয়ে আছো। মীম: বলছি কাল থেকে। এই যা সব পানি খাঠের উপর, এখন আমি ঘুমাবো কোথায়? আমি: এখন উঠো আমি বিজে গেছি ঠান্ডা লাগছে। মীম: লাগুক তাতে আমার কি? এই বলে উঠে পরলো। আমি: শুনো তুমি আমাকে এভাবে জড়িয়ে ধরবেনা। আমার কেমন কেমন করে আর নিজেকে সামাল দিতে কষ্ট হয়। মীম: কেনো আমার তো কিছু হয়না তোমার কেমন কেমন লাগে কেনো? আমি: তুমি বুঝবেনা,,,(এই বলে চলে গেলাম ফ্রেশহতে একটু পর এসে দেখি। মীম ফ্লোরে শুয়ে আছে আমার বিছানাই) এই তুমি এখানে কেন? মীম: সবকিছু বিজে গেছে এখন দুজনে ফ্লোরে ঘুমাতে হবে। আজ রাতটা তো কাল থেকে তুমি তো আর থাকবেনা। দুজনে একটু কষ্ট করে রাতটা কাটিয়ে দেয়। আমি: ঠিক আছে তবে মাঝে বডার থাকবে। মীম: এইটুকু বিছানাই বডার দিলে তো খালি ফ্লোরে ঘুমাতে হবে? অামি: হলে হবে,, এই বলে কোল বালিশটা মাঝে দিয়ে শুইলাম। একটা কথা বলবো? মীম: হ্যা বলো? আমি: কাল তো আমাদের ডির্ভোস হয়ে যাবে। যদি কোন সময় রাস্তায় দেখা হয় আমার সাথে। তাহলে কথা বলবে নাকি দেখেও না দেখার বান করে চলে যাবে? মীম: কোনে কথা বলবোনা কারন রাসেল আমার পাশে সবসময় থাকবে। আমি ওকে ছারা আর কাওকে দেখতে চায়না। আচ্ছা তুমি কথা বলবে? আমি: তুমি কথা বলবেনা তাহলে আমি বলে কি হবে? মীম: তুমি বলবে কিনা বলো? আমি: দেখাই করবোনা তোমার সাথে। এখন ঘুমাও সকালে উঠতে হবে। (এই বলে ঘুমানো চেষ্টা করলাম আর কখন ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নাই। সকালে ফজরের আজান শুনে ঘুম ভাঙলো। চেয়ে দেখি মীম আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে অাছে) মীমকে অনেক সুন্দর লাগছে। ইচ্ছে করছে ওকে জড়িয়ে ধরে রাখি। কিন্তু না উঠতে হবে নামায পড়তে হবে, তাই ওকে ছারিয়ে নামায পড়তে গেলাম। নামায পড়ে আজ কোথাও যায়নি সোজা বাসায় চলে আসলাম। রুমে এসে দেখি মীম এখনো ঘুমিয়ে আছে। অামি ফ্রেশহতে চলে গেলাম একটু পরে বাথরুমের দরজাটা ধাক্কা দিতেছে। মীম: এই তুমি তারাতারি বের হুও আমার কাজ আছে। আমি: হচ্ছি দু মিনিট। মীম: প্লিজ তারাতারি করো। আমি: বের হয়ে কি হলো এত তারা কিসের? মীম: সরো পরে কথা বলবো বলে সোজা দরজা অফ। আমি: রেডি হয়ে নাস্তার টেবিলে আসলাম দেখি আঙ্কেল বসে আছে। আমি গিয়ে বসলাম নাস্তা করতে। শ্বশুর: বাবা তোমার পরীক্ষা কেমন হয়ছে? আমি: জি আল্লাাহ রহমতে ভালোই হয়ছে? শ্বশুর: তো কবে থেকে আমার সাথে অফিসে যাবে? তখনি,,, মীম: আব্বু যাবে তোমাদের জামাই খুব তারাতারি তোমার সাথে অফিসে যাবে। শ্বশুর: তাহলে তো ভালোই। শ্বাশুরি: কিরে তোর এত দেরি হলো কেন তারাতারি নাস্তা করে নে। মীম: কেন তুমি যাবে কয়? শ্বাশুরি: কোথাও না এখন নাস্তা কর। সবাই নাস্তা করতেছি নাস্তা করা আমার শেষ আমি ব্যাগ আনতে রুমে গেলাম। কারন আর এই বাসায় আসা হবেনা অাজ মীমের সাথে আমার ডির্ভোস। শ্যালোকে কল করে আগে সব বলে দিয়েছি। আর উকেলের অফিসে আসতে বলছি, যেগুলো বেশি প্রয়োজন সেই গুলো নিলাম। আমি নিছে আসলাম দেখি বাহিরে মীম দাড়িয়ে আছে।
আমি: চলো মীম তোমাকে সাথে নিয়া যাই উকিলের কাছে। অাজ শেষ বারের মত তোমাকে বাইকে বসিয়ে নেয়। মীম: তুমি যাও আমি রাসেলকে কল করছি ও আমাকে নিয়া যাবে। আর জার সাথে বাকি জীবনটা কাটাতে হবে তার সাথে যাই। আমি: ওকে তুমি উকিলের কাছে চলে আসো। আমি যাই এই বলে আমি চলে আসলাম। ৩০ মিনিট সময় লাগলো উকিলের অফিসে যেতে দেখি শ্যালো দাড়িয়ে আছে। শ্যালো: কেমন আছো? আমি: ভালো কখন আসলে? শ্যালো: এইতু এখনি মীম কোথায় ও আসনি? আমি: আসবে রাসেলের সাথে। শ্যালো: ভালো চলো ভীতরে বসি? আমি: চলো এই বলে ভীতর ঢুকলাম উকিল আমাকে দেখে বলে। উকিল: চলে আসছেন আরেক জন কোথায়? আমি: আসতেছে কোথায় সাইন করতে হবে বলেন উকিল: আগে আপনার স্ত্রী আসুক তারপর একটু বসেন আপনি। আমি: আচ্ছা বসলাম অনেক্ষন হয়ে গেছে মীম আসছেনা কেন? শ্যালো: সৌরভ মীম এখনো আসে নাই কেন ১২টা ৩০ বাজে। আমি: তাই তো রাস্তায় কিছু হয়নি তো? উকিল: বলছিনা এই মেয়ে আপনাকে ডির্ভোস দেবেনা তাই হয় তো আসছেনা। আমি: আপনি না যেনে কেনে কথা বলছেন? উকিল: আমি চেহারা দেখে বলতে পারি। অামি: কুচু জানেন এই বলতে তখনি আমার মোবাইল বেজে ওঠলো। হাতে নিয়া দেখি শ্বাশুরির নাম্বার। সাথে সাথে রিসিব করলাম। শাশুরি: বাবা তুমি যেখানে থাকোনা কেন তারাতারি ঢাকা মেডিকেল চলে অাসো। মীমের এক্সসিডেন্ট করছে মাথায় প্রচন্ড আগাত পাইছে। এই বলে কল কেটে দিলো। আমি: শ্যালো তুমি বাসায় চলে যাও। মীম এক্সসিডেন্ট করছে ও ঢাকা মেডিকেল আছে। আর উকিলকে বললাম পরে হবে এখন এসবকিছু হবেনা। বলে রওনা দিলাম মেডিকেলের উদ্দেশ্যে। প্রাই ৩০ মিনিট পরে আসলাম। দেখি শ্বশুর শ্বাশুরি দুজনে বসে আছে। শ্বাশুরি কান্না করে চোখ ফোলিয়ে ফেলছে, আমাকে দেখে শ্বশুর জড়িয়ে ধরলো,,, শ্বশুর: তুমি এসেছো বাবা মীমকে বাচাতে হবে। ডাক্তারকে বলো যত টাকা লাগে আমি দেবো। তুবও আমার মেয়েকে যেনো বাচাই। আমি: হ্যা ও বাচবে ওকে বাচতে হবে। কিন্তু কি ভাবে হলো? শ্বাশুরি: আমরা কিছু জানিনা। একজন লোক রাস্তায় থেকে ওর নাম্বার দিয়ে আমাকে কল করছে। তখন ওরা নাকি মীমকে মেডিকেল নিয়া আসছে। তারপর আমি তোমাকে আর ওর আব্বুকে কল করছি। আমি: আচ্ছা মীম এখন কোথায় দেখতে পারবো ওকে? শ্বাশুরি: আই সি উ তে আছে ডাক্তার দেখছে। আমি: ঠিক আছে আপনারা এখানে থাকেন। আমি একটু দেখে আসি কতক্ষন সময় লাগবে। এই বলে সামনে এসে যা দেখলাম নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছিনা। আরে এইতো রাসেল ওতো একদম ঠিক আছে। তাহলে মীমের এক্সসিডেন্ট হলো কিভাবে? মীম তো রাসেলের সাথে ছিলো আমি এগিয়ে গেলাম রাসেলের কাছে। রাসেল আমাকে দেখে চলে যেতে লাগলো। তখনি আমি রাসেলকে ডাক দিলাম। ও শুনে না শুনার বান করে চলে যাচ্ছে। আমি একটু তারাতারি করে ওর কাছে গিয়ে হাত ধরে ফেলসি। কি হলো রাসেল তোমাকে ডাকছি। কিন্তু তুমি চলে যাচ্ছো কেন? রাসেল: কয় শুনিনি তো? আমি: ঠিক আছে এখন বলো মীমের এক্সসিডেন্ট হলো কি করে? রাসেল: আমি কি করে জানবো।মীম তো আমার সাথে ছিলনা। আমি: রাসেল ভালো হবেনা কিন্তু মিথ্যাকথা বললে। রাসেল: সত্যিই বলছি আমার সাথে মীম ছিলনা। আমি: মীম আমাকে বলছে। যে তুমি মীমকে নিয়া উকিলের অফিসে আসবে তাই আমার সাথে ও যাইনি। সত্যিটা বলো তানা হলে আমি কিন্তু তোমাকে ছারবোনা। রাসেল: বলছি, আমি আর মীম এক সাথে বাইকে যেতে ছিলাম তখনি এক্সসিডেন্ট হয়। আর আমার মাথায় হেমল্টেটা ছিলো মীমের মাথা খালি ছিলো। তাই ওর মাথায় অনেক ব্যাথা পাইছে। আমি: তুমি বাইক ভালোবাবে চালাওনি? আর মীমকে হেমল্টেটা দিলেনা কেনো? রাসেল: মীম অবশ্য একবার আমার কাছে হেমল্টেটা চাইছিলো। কিন্তু আমি দেয়নি। আমি: কিন্তু কেনো? রাসেল: আমি বলছি যে বাইক চালাই সে হেমলেট পড়ে। আর মীম বলছিলো তুমি নাকি মীমকে হেমলেট দিতে। তাই আমার রাগ হচ্ছিলো, তখন বাইক জোরে চালাতে গিয়ে ট্রেনের লাইন ক্রস করার সময়। সিঙ্গেল বারের সাথে মীম বাড়ি খাই মাথায়। তখনি এক্সডেন্ট হয়, আমি: এখন ইচ্ছে করছে তোমাকে মেরে মেডিকেল ভর্তি করে দেই। ( তখনি দেখলাম ডাক্তার আই সি উ থেকে বের হলো আমি দৌরে গেলাম ডাক্তরের কাছে) ডাক্তার মীমের কি খবর ও ঠিক আছে তো? ডাক্তার: সবকিছু ঠিক আছে তবে? শ্বাশুরি: তবে কি বলেন? আমি: কি হলো কথা বলছেন না কেনো? ডাক্তার: দেখুন সবকিছু ভালো। তবে মাথায় প্রচন্ড আগাত পাওয়ার কারনে হয় তো, চোখ দুটুর কর্নিয়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমি: বললেন কি ডক্টর? ডাক্তার: হ্যা আমি যা বলছি তাই। তবে এখনো আমি শিউর না বাকিটা ওর জ্ঞান ফেরার পর জানা যাবে। শ্বশুর: জ্ঞান কখন ফিরবে? ডাক্তার: ঘন্ট দুয়েকের মধ্যে ফিরবে। তবে এখানে বেশি লোক বির করা যাবেনা। যে কোন একজন থাকতে পারবেন। আমি: ঠিক আছে আমি থাকবো মীমের কাছে। আর আপনারা চলে যান বাসায়। ওর জ্ঞান ফিরলে আমি কল করবো। শ্বশুর: ঠিক আছে তুমি থাকো আর কিছু দরকার হলে কল করো? আমি: আচ্ছা (ওরা চলে গেলো আর রাসেলকে কোথাও দেখা যাচ্ছেনা) আমি বসে আছি মীমের পাশে। ওর মাথায় বেন্ডিজ করানো চেহারাটা একদম মলিন হয়ে আছে। খুব মায়া হচ্ছে মীমের প্রতি আমার। আর নিজের উপর খুব রাগ হচ্ছে। কেনো আমি মীমকে সাথে নিয়া আসলাম না। আমি জোর করলে ও না করতে পারতোনা। বসে বসে ভাবতেছি তখনি মীমের জ্ঞান ফিরছে। মীম: আমি কোথায় আছি? আমি: তুমি হাসপাতালে আছো? মীম: আমি হাসপাতালে কেনো? আমি: কেন তুমি কোথায় থাকবে তোমার এক্সসিডেন্ট হয়ছে মনে নাই নাকি? মীম: মনে পড়ছে কিন্ত রাসেল কোথায় আর রুমটার সব লাইট অফ করে রাখছো কেন।একদম অন্ধকার দেখাচ্ছে। আমি: বলো কি অন্ধকার লাগছে কিন্তু সব লাইট তো জ্বালানো আছে। আমি সব দেখতে পারতেছি। মীম: আমি কিছু দেখতে পারতেছিনা। আমি: ঠিক আছে তুমি বসো আমি ডাক্তারকে ঢেকে আনছি। (ডাক্তারের কাছে গেলাম আর শ্বাশুরিকে একটা কল করে বলে দিলাম। মীমের জ্ঞান ফিরছে আর ওনারা আসছে বলছে) ডক্টর মীম জ্ঞান ফিরছে কিন্তু ওতো চোখে কিছু দেখতে পারছেনা। ডাক্তার: আমি যা সন্দেহ করছি তাই হয়ছে। চলেন দেখা যাক। আমি: চলেন আমরা মীমের রুমে অাসলাম। ডাক্তার: মীমকে দেখে বলে ওনার চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। ওনি চোখে দেখতে পারবেনা। আমি: কোন দিন দেখতে পারবেনা? ডাক্তার: পাবে যদি ওর রক্তের গ্রোপের চোখ পাওয়া যায়। আর সে চোখ যদি ওর চোখে লাগানো যায়। তবেই দেখতে পারবে, এর মাঝে শ্বশুরা চলে আসছে আর সবকিছু শুনে বলছে। শুশুর: যতটাকা লাগুক সবটাকা আমি দেবো। তাও আমার মেয়ের চোখ আপনি ভালো করে দেন ডক্টর। ডাক্তার: দেখুন আমি চেষ্টা করবো। তবে আপনারা খুজ নেবেন ও নেগিটিভ রক্তের গ্রোপের চোখ পাওয়া যায় কিনা। শ্বশুর: ওকে দেখবো। আমি: মীমকে আমরা বাসায় নিতে পারবো? ডাক্তার: হ্যা পারবেন। আমি: ঠিক আছে সকালে নিয়ে যাবো? ডাক্তার: হ্যা নিয়া জান। আমি চোখের সন্দান পেলে আপনাদের যানাবো। শ্বশুর: ওকে আমরা তাহলে যাই? ডাক্তার: ওকে যান আর কোন সমস্যা হলে জানাবেন। আমি: হ্যা যানাবো। আমরা গাড়িতে উঠে বসলাম, মীমকে আমি হাত ধরে নিয়া আসলাম। মীম আমার পাশে বসে আছে, আর শ্বাশুরিরা পেছনে বসে আছে। ৪৫মিনিট পর বাসায় আসলাম। শ্বাশুরি: আমরা ভিতরে যাই তুমি মীমকে সাথে নিয়া আসো। আমি: ঠিক আছে মীমকে গাড়ি থেকে নামালাম হাত ধরে। তার পর ওকে কোলে করে ভিতরে নিয়া আসলাম। একটু নিছে বসিয়ে, তারপর রুমে নিয়ে যেতে লাগলাম হাত ধরে তখনি। মীম: ছারো আমি নিজেই যেতে পারবো। আমি: তুমি যাবে কিবাবে চোখে তো দেখোনা? মীম: আম্মু আমাকে নিয়া যাবে তুমি হাত ছারো? আমি: ছারবোনা কি করবে? মীম: খুন করে ফেলবো। আমি: তুমি তো চোখে দেখোনা। তাহলে খুন করবে কি করে এই বলে মীমকে কোলে তুলে নিলাম। মীম: কি হচ্ছে ছারো বলছি ভালো হবেনা কিন্তু আমি: যা করবে পরে এখন আমি যা বলবো তুমি তাই করবে? মীম: জ্বি না? আমি: দেখা যাবে। এই বলে মীমকে রুমের ভীতর নিয়া অাসলাম। আর খাটের উপর শুইয়া দিলাম। মীম তুমি সাবধানে থাকবে তোমার মাথায় বেন্ডিজ করানো আছে। মীম: রাসেল কেমন আছে ওতো আমার সাথে ছিলো ওর কিছু হয়নি তো? আমি: ও একদম সুস্থ আছে ওর কিছু হয়নি। মীম: রাসেল আমাকে আর বিয়ে করবেনা কারন আমি তো এখন অন্ধ তাইনা সৌরভ? আমি: দেখো তুমি আবার দেখতে পারবে। আগের মত তোমার চোখ ভালো হয়ে যাবে। মীম: সত্যি তাই যেনো হয় আমি রাসেলকে যেনো জীবন সাথী করে পাই। আমি: পাবে কথা দিলাম তোমার ভালোবাসা তুমি পাবে। মীম: অাচ্ছা আম্মুকে একটু ঢেকে দিবে? আমি: কেনো? মীম: কাপর চেন্জ করবো। আমি: আমি আছিনা দাও চেন্জ করে দিতেছি,,,(দুষ্টুমি করেরে বলছি) মীম: এই ভালো হবেনা কিন্তু গায়ে হাত দিলে আমি কিন্তু চেচাবো! আমি: আরে আমি তো মজা করছি। একটু অপেক্ষা করো আমি ঢেকে দিচ্ছি। এই বলে চলে আসলাম রুম থেকে,,,To be continue,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে