হৃদয়ে তুমি পর্ব-০৫

0
965

#হৃদয়ে_তুমি
লেখনীতে:Waziha Zainab (নিহা)
পঞ্চম পর্ব

আকাশটা কালো মেঘে ছেয়ে আছে তার সাথে পড়ছে ঝুম বৃষ্টি।জানালা দিয়ে বৃষ্টির কিছু ফোটা এসে আমার গায়ে লাগছে,,,বৃষ্টির এই কয়েকটা ফোটা যেনো আমার শরীরে এক অদ্ভুত অনুভুতি সৃষ্টি করছে।পাখিরা এদিক ও দিক ছোটাছুটি করছে কিছু পাখি ভিজেও গিয়েছে।রাস্তায় কিছু বাচ্চা ছেলে বৃষ্টিতে এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি করছে,,,,যেনো তারা বৃষ্টির সাথে খেলা করছে,,,,
এর মাঝেই আমার পাশে এসে দাড়ালেন উনি।আমি ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেম
“চলুন না বৃষ্টিতে ভিজবো
এবার উনি হালকা কেশে বললেন
” একদম না ওইদিন ভিজে জ্বর বাধিয়েছিলে আজকে আর তোমাকে ভিজতে দেওয়া হবে না
মুহুর্তেই আমার মুখ টা মলিন হয়ে গেলো আমি আবার বললাম
“কতো রোমান্টিক একটা ওয়েদার,,,,চলুন না ভিজবো
এবার উনি আমার কোমরে হাত রেখে আমার নাক টেনে বললেন
” চলো রোমান্টিক ওয়েদারে রোমাঞ্চ করি তাহলে
উনার কথায় আমি চোখ বড় করে বললাম
“মুখে কি কিছুই আটকায় না নাকি
উনি সয়তানি হাসি দিয়ে বললেন
” কয়দিন পর এক ডজন বাচ্চার বাবা হবো এখন মুখ সামলে আর কি করবো

তুমি না ডাকলে আসবো না
কাছে না এসে ভালোবাসবো না
দূরত্ব কি ভালোবাসা বাড়ায়
নাকি চলে যাওয়ার বাহানা বানায়
দূরের আকাশ নীল থেকে লাল

গানটা এতোটুকু বেজেই কেউ কল দেওয়ায় বন্ধ হয়ে গেলো আর ফোনের স্ক্রিনে সেই প্রিয় নাম ভেসে উঠলো। “Ammu”। আম্মুর কল দেখে তাড়াতাড়ি রিসিভ করে বললাম
” আসসালামু আলাইকুম।আম্মু কেমন আছো?আব্বু কেমন আছে
আম্মু হালকা হেসে বললেন
“ওয়ালাইকুম আসসালাম
তোর বাবা ভালোই আছে আর আমরা সবাই ভালো আছি
তুই কেমন আছিস বল”
আমি হেসে বললাম
“হুমম অনেক ভালো আছি।

খাবার টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছি সবাই মিলে_তার মাঝে ফুফা ভাইয়া আর উনাকে উদ্দেশ্য করে বললেন
“নিশান আয়ান_শোন
আমি আর তোর মা কিছুদিনের জন্য ঢাকার বাহিরে যাচ্ছি
উনার কথা শেষ হওয়ার আগেই নিশান ভাইয়া প্রশ্ন ছুড়লেন
“কেনো যাচ্ছো
ফুফা বললেন
” কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে তাই_আর তোর মা ও অনেক দিন ধরে বায়না করছিলো কোথাও যাওয়ার জন্য তাই ভাবলাম
এবার উনি বললেন
“কয়দিন থাকবে তোমরা
ফুফা জবাব দিলেন
” পাঁচ থেকে ছয় দিন

আমার একলা আকাশ থমকে গেছে রাতের স্রোতে ভেসে শুধু তোমায় ভালোবেসে
নিশান ভাইয়া গিটার হাতে এই গানটা গাইলেন_অসম্ভব সুন্দর হয়েছে,,,ছাদে বসে আমরা সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছি,,,,ফুফা ফুফি বাসায় নেই,,,ফুফার ঢাকার বাহিরে একটা কাজ ছিলো যাওয়ার সময় ফুফিকেও নিয়ে গেছে__সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমি উনি ভাইয়া ভাবি আমরা চারজন মিলে আড্ডা দিচ্ছি_
উচলে পড়ছে জোৎস্নার আলো চারজনের মুখেই_এবার এলো আয়ান ভাইয়ার গান গাওয়ার পালা_নিশান ভাইয়া বললেন
‘আয়ান তুই এবার তোর প্রিয় গান টা গাওয়া শুরু কর’
আয়ান ভাইয়া খুব ভালো গান গায়।কিন্তু এই কয়েক বছরে তার সাথে দেখা না হওয়ায় তার গান ও আর শোনা হয় নি
শুধু একটা মাঝে মাঝে মন খারাপ থাকলে শুনতাম_গানটা ভিডিও করেছিলাম দুষ্টুমি করে_

আয়ান ভাইয়া সোজা জানিয়ে দিলেন যে উনি গান গাইবে না
ভাইয়া ভাবি আমি উনি সবাই নিস্তব্ধ_উনার হাত টা আমার পাশেই ছিলো হঠাৎ আমি উনার হাতের উপর হাত রেখে করুন গলায় বললাম
“প্লিজ আমার জন্য হলেও গান গাওয়া শুরু করুণ প্লিজ”

আমার কথায় উনি গিটার হাতে নিয়ে গান গাওয়া শুরু করলেন

“যদি থাকতে তুমি বাচতে আমার লাগতো না কঠিন যদি থাকতে তুমি”
(বাকীটা নিজ দ্বায়িতে ইউটিউব থেকে শুনে নিবেন)
উনার গানের সাথে আমিও মুখ মেলানোর চেষ্টা করছি।

আমাদের জীবনে সুখ শব্দটা চিরস্থায়ী নয়,,,,সুখ চিরকাল থাকে না।দিন বদলায়,,,,সময় বদলায়,,,,মানুষও বদলায়।
মোবাইল হাতে নিয়ে ডাটা অন করতেই মেসেঞ্জারে কোনো ফেইক আইডি থেকে ২ টা ছবি এলো।সাধারণত আমি মেসেঞ্জার কম ইউজ করি কিন্তু আজ কেন জানিনা দেখতে ইচ্ছা হয়েছে ফেইক আইডি থেকে কেমন ছবি সেন্ড করেছে আমায়।আমি বিষ্ময় নিয়ে ফটো দুটো দেখতে মেসেঞ্জারে ডুকলাম।
ছবি দুটো দেখে আমার পুরো দুনিয়া অন্ধকার হয়ে গেলো।
আয়ান ভাইয়ার একটা মেয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ ছবি।এতোটাই ঘনিষ্ঠ যেটা দেখে কোনো স্ত্রী সহ্য করতে পারবে না।।ছবিটা ভালো করে লক্ষ করে বুঝতে পারলাম এটা সেই মেয়ে যাকে আয়ান ভাইয়ার সাথে পার্কে দেখেছিলাম।তারপরও আরো দুই তিন বার ও ওদের একসাথে দেখেছিলাম।উনাকে জিজ্ঞাস করলে বলে স্কুল ফ্রেন্ড।স্কুল ফ্রেন্ড হলে এতো ঘনিষ্ঠ কিভাবে হতে পারে।ছিহ এসব আর ভাবতে পারছি না আমি।মাথা টা ঝিম ধরে আসছে।

আকাশটা কালো মেঘে ভরপুর। চারদিকে বৃষ্টির পানি থৈ থৈ করছে।বৃষ্টির মধ্যে আমি ছাদে দাঁড়িয়ে আছি।বৃষ্টির পানির সাথে আমার চোখের পানি গুলোও উচলে পড়ছে।বার বার শুধু একটা কথা ই মাথায় আসছে “কেনো সে আবার আমাকে ঠকালো”
সেইদিন মনে হয়েছিলো রোমান্টিক ওয়েদার হচ্ছে বৃষ্টির দিন,,,,আর আজ মনে হচ্ছে বেদনাদায়ক দিন হলো বৃষ্টির দিন।বৃষ্টির পানির সাথে তাল মিলিয়ে ছুটে চলছে আমার চোখের নোনা পানি গুলোও। তারা যেনো আজ কোনো বাধা মানছে না।চোখ দুটো কিছুতেই মানছে না।

রাতে শুয়ে আছি একটা কাঁথা গায়ে দিয়ে।প্রচুর ঠান্ডা লাগছে আর অন্যদিকে শরীর টা গরম।
উনি টেবিলে বসে বই পড়ছিলেন_একটুপর উঠে এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন
“কোনো সমস্যা
আমি উত্তর দিলাম না
উনি এবার আমার কপালে হাত দিলেন আর চমকে উঠে ধমক দিয়ে বললেন
“শরীর এতো গরম কেনো নিশ্চই আজকে বাড়িতে ছিলাম না আমি আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছো
আমি চুপ করে শুয়ে রইলাম।উনি একটুপর ফার্মেসী থেকে কিছু জ্বরের ঔষধ নিয়ে এলেন।এতো রাতে ডক্টর পাওয়া মুশকিল তার ফার্মেসী থেকেই ওষধ এনে আমাকে খেতে বললেন কিন্তু আমি কোনো সাড়া দিলাম না।
এবার উনি আমার গাল চেপে ধরে ঔষধ গুলো খাইয়ে দিয়ে নরম গলায় বললেন
” কি হয়েছে কথা বলছো না কেনো
আমি আবার কোনো রেসপন্স করলাম না উনি আবার বললেন
” কি হয়েছে আমি কোনো অন্যায় করেছি,,,,যদি কোনো দোষ করে থাকি তাহলে তোমার যা ইচ্ছা শাস্তি দাও কিন্তু প্লিজ এভাবে কথা না বলে থেকো না।তোমাকে চুপ থাকতে দেখতে ভালো লাগে না,,,
আমি আবার কোনো কিছু বললাম না উনি ঘুমাও গুড নাইট বলে উঠে চলে গেলেন বারান্দায়_এবার আমার চোখ থেকে টুপটুপ করে কয়েক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো।

সকালে উনি ঘুম থেকে উঠে কোনো একটা কাজে বেরিয়ে গেলেন। আমি ভাবিকে বলে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম।ভাবিও আমার সাথে যেতে চাইলেন।কিন্তু আমি বারণ করলাম।
বেশ কিছুদিন ধরেই কোনো খাবারই মুখে তুলতে পারছি না। ভমি ভমি ভাব আসছে।সব খাবারে কেমন যেনো গন্ধ লাগে।কিছু মুখে দিলেই যেনো তা পেট থেকে বেরিয়ে আসবে এমন অবস্থা।
আমি বাসা থেকে বেরিয়ে এলাম হসপিটালের উদ্দেশ্যে। তারপর একটা রিক্সা নিয়েই হসপিটালে পৌছালাম।ডক্টর কিছু পরিক্ষা দিলেন সেগুলো শেষ করে বেরিয়ে এলাম_আর এক মুহুর্তও এখানে দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি আমার নেই_পুরো শরীর যেনো অবোশ হয়ে আছে।শারা শরীর ঝি ঝি করছে

আমি একটা রিক্সা ডেকে বাসায় চলে গেলাম_কালকে সব রিপোর্ট আসবে।কে জানে হয়তো আমার বড়ো কোনো রোগ হয়েছে কি না মরে যাবো কি না।
পরদিন উনাকে বললাম রিপোর্ট গুলো নিয়ে আসতে।উনি বললেন উনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে আমাকে গিয়ে নিয়ে আসতে,,,,আমার শরীরের অবস্থা একদম ভালো নয়।মাথা ব্যাথাও প্রচন্ড করছে।সাহস নিয়ে বেরিয়ে গেলাম হসপিটালের উদ্দেশ্যে।

রিপোর্ট গুলো হাতে পেয়ে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলাম।আমার প্রেগ্ন্যাসির রিপোর্ট।যাতে স্পষ্ট লিখা আছে মা হতে চলেছি আমি।এতো কষ্টের মাঝেও এটা অনেক বড় প্রশান্তি।অজান্তেই নিজের পেটের উপর হাত টা রাখলাম।রিপোর্টে স্পষ্ট লিখা আছে আমার মধ্যে অন্য একটা মানুষের আগমনের কথা।চোখ দিয়ে দুফোটা নোনা পানি গড়িয়ে পড়লো। হয়তো এই পানি কষ্টের না আনন্দের।
মা হবার অনুভুতি সত্যি অন্য রকম,,,,_”ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা বাবা”

রিপোর্ট হাতে নিয়ে আমি সব কষ্টের কথা ভুলে গেলাম।উনাকেও দুই তিনবার কল করেছি কিন্তু উনি কল কেটে দিয়েছে।আমি ভাবলাম হয়তো ব্যাস্ত তাই।আমি একটা ফুলের দোকানে গিয়ে লাল ও সাদা রঙের দুইটা গোলাপ নিলাম। সূর্যের প্রখর তাপের মধ্যে রিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে আছি আমি রাস্তার পাশে।কিন্তু কোনো রিক্সার দেখা মেলে নি। আমি এবার রাস্তার পাশ দিয়ে হাটতে শুরু করলাম। এখান থেকে বাসায় যেতে প্রায় পনেরো মিনিটের মতো লাগবে_কিন্তু এই রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকলে হয়তো আমার মধ্যে থাকা ছোট্টো প্রাণটা কষ্ট হতে পারে ভেবে হাটা শুরু করলাম।
রোদের প্রখর তাপে কপাল থেকে ঘাম ঝরছে। কিছুদূর যাওয়ার পর যা দেখলাম তা দেখে আমার মধ্যে আর আনন্দটা থাকলো না।মুহুর্তেই আবার আমার দুনিয়া অন্ধকার হয়ে গেলো

রাস্তার পাশে পায়ে পা মিলিয়ে উনি আর ছবিতে দেখা মেয়েটা হাটছে। দুজনের হাতে আইস্ক্রিম।একজন অন্যজনের সাথে গল্প করছে।আমি দূর থেকেই বিষয়টা দেখলাম
আমার আর সহ্য হচ্ছে না আমি আর পারছি না এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে।হাত থেকে ফুল গুলো ছুড়ে পেলে দিলাম। আবার হাটা শুরু করলাম।চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়ছে।এক হাতে রিপোর্ট আর অন্য পাত দিয়ে চোখের পানি মুছে কোন রকম বাসার দরজায় গিয়ে পৌছালাম।
দুইবার কলিংবেল চাপতেই নিশান ভাইয়া দরজা খুললেন
আমি দ্রুত গতিতে নিজের ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে দরজা টা লাগিয়ে দিলাম। নিশান ভাইয়া অবাক দৃষ্টিতে তাকেয়ে আছে।
আমি ঘরে গিয়েই রিপোর্ট গুলো আলমারিতে শাড়ির ভাজে রেখে দিলাম।তখনই ভাবি ঘরে এলো
আমি কোনোরকম নিজেকে সামলে হাসার চেষ্টা করে বললাম
“আরে ভাবি তুমি
ভাবি জবাব দিলেন
” আয়ান ফোন করেছিলো
তোমার নাম্বার নাকি বন্ধ তাই আমাকে বলেছে তোমাকে যেনো বলে দিই ও আজকে বাসায় আসতে পারবে না
আমি টলমল চোখ বললাম
“ওহ
ভাবি ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো

২ ঘন্টা যাবৎ ওয়াশরুমে ঝর্ণার নিচে দাঁড়িয়ে আছি।চোখ বেয়ে পড়ছে অজস্র নোনা পানি। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার অগোচরে উনি আমাকে ঠকাচ্ছে।ছিহ লোকটা এতো নিচ মনের মানুষ। বিশ্বাস ঘাতক সে।তাকে বিশ্বাস করে আমি আবারো ঠকেছি। মরে যেতে ইচ্ছে করছে আমার। যদি আমার ভেতর আরেকটা প্রাণ না থাকতো হয়তো এখন আর বেচে থাকতাম না।

প্রেগন্যান্ট থাকা অবস্থায় ডিভোর্স জায়েজ হয় না নয়তো উনাকে ডিভোর্স দিয়ে এতোক্ষনে চলে যেতাম বহুদূরে।ওই মেয়েটার সাথে অবৈধ সম্পর্ক না রেখে ওকে বিয়ে করলেই পারতো।আমাকে কেনো বিয়ে করেছে।কি ক্ষতি করেছিলাম আমি।আমার জীবন সঙ্গে আমার ভেতরের প্রাণটার জীবন টাও উনি নষ্ট করে দিলো।। আমাকে আরো কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে ডিভোর্স এর জন্য।

এই মুহূর্তে হয়তো এমন সংবাদে আমার আনন্দে আত্মহারা হয়ে থাকার কথা ছিলো কিন্তু আমার এখন শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। ভেবেছিলাম উনাকে এই সংবাদ টা দিবো উনি অনেক খুশি হবে। কিন্তু সে যে আমারই চোখের আড়ালে অন্য একটা মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।ভাবতেই চোখ ভরে কান্না আসছে আমার।

ব্যাগ থেকে ফোনটা বের করে আম্মুকে কল করলাম প্রথমবার রিং হতেই ওপাশ থেকে আওয়াজ এলো
“আপু কেমন আছিস
আমি বুঝতে পারলাম যে কল টা নুযহাত রিসিভ করেছে আমি বললাম
” আমি ভালো আছি”আম্মুকে ফোনটা দেয় কথা আছে আম্মুর সাথে”
নুযহাত ভারী কন্ঠ নিয়ে আচ্ছা বলে ফোনটা আম্মুকে দিলো
আমি আবার বললাম
“আম্মু
আম্মু জবাব দিলেন
” হুম,,,ওখানে সব ঠিক আছে তো মা?
আমি বললাম
” হ্যা সব ঠিক আছে আমি বাড়ী আসতে চাই_তুমি আব্বুকে পাঠিয়ে দাও আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য”
আম্মু আশ্চর্য হয়ে বললো
“তুই বাড়ী আসতে চাস
আমি এবার অভিমানি স্বরে বললাম
” ঠিক আছে।। যাবো না তোমাদের বাড়ি।।তোমরা তোমাদের ছোটো মেয়েকে নিয়েই থাকো।।বিয়ে দিয়ে তো পর করে দিয়েছো। এখন আমার ও বাড়ি আসাও বারণ
বলেই কল টা কেটে ফোন অফ করে দিলাম

বিকালে আব্বু এলো আমাকে নিতে।আয়ান ভাইয়া ও ছিলো না তাই যেতে আর অসুবিধা হয় নি।

আমাদের বাড়ীতে থাকা অবস্থায় একদিন আমার শাড়ীর ভাজে একটা ছবি পাই।যেটা তে উনি বরের পোশাকে আর ওই মেয়েটা বউয়ের সাজে।ছবিটা দেখে বুঝতে পারলাম তারা স্বামী স্ত্রী।আবারো বুকের ভেতর থেকে একটা লম্বা শ্বাস বেরিয়ে এলো।কিন্তু চোখে পানি এলো না। চোখের পানি সব শুখিয়ে গেছে।আর কতো সহ্য করতে হবে আমায়।আর কতো??
আমার এই কষ্টের কি অবসান ঘটবে কখনো।নিশান ভাইয়া আমাকে নিতে এলো। আমিও কিছু বললাম না চুপচাপ চলে এলাম।বাসায় এসে ভাবিকে উনার কথা জিজ্ঞাস করায় ভাবি বললো
“আয়ান এখন বাড়ীতেই থাকে না।সন্ধ্যায় বের হয় আর সকালে আসে।এই চারটা দিনে একদিন ও বাড়িতে ছিলো না রাতে
এবার আমি মুখটা মলিন করে বললাম
” ওহ

চলবে__

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে