হলদে পাখি পর্ব ০১

0
1828

হলদে পাখি পর্ব ০১
#লেখিকা_তাসনীম_তুষার

ঝিরিঝিরি বাতাসের শব্দ, হাজারো পাখির কিচিরমিচির কলরব আর মোরগের ডাকে আরমোড়া ভেঙে কাঁথার নিচে থেকে চোখদয় বের করে পিটপিট চোখে তাকায় যুথী। কাথা গায়ে গুটিশুটি হয়ে শুয়ে আছে মায়ের পাশে। একটু মাথা উঁচু করে তাকিয়ে দেখে মায়ের আরেকপাশে শুয়ে আছে তার বড় বোন জুঁই। আবার সে গায়ে কাথা জড়িয়ে শুয়ে পড়ে। শুয়ে এদিকে সেদিকে তাকাতেই তার চোখ পড়ে নানুভাইয়ের দিকে। নানুভাই জায়নামাজে বসে নামাজ শেষে এখন কোরআন পড়ছে গুনগুন করে।

নানা কে কখনো চোখে দেখেনি জুঁই এবং যুথী। তাদের মা যখন অনেক ছোট তখনই তাদের নানা পরলোক গমন করেন। তাই বুঝতে শুরু করার বয়স থেকে নানা-নানী বলতে একজনকেই বুঝে ওরা। আর তাইতো নানা-নানী দুইজনের আদর পেতে ওরা নানী কেই “নানুভাই” বলে সম্বোধন করে।

নানুভাইয়ের দিকে তাকিয়েই যুথীর চোখে মুখে আনন্দের ঝলকানি দেখা দেয়। সে পুরো ঘরটা ভালো করে দেখতে থাকে। বিশাল লম্বাটে আয়তকার টিনের চালের একটি ঘর। ঘরের চার দেয়ালও একই রকম ঢেউ খেলানো টিন দিয়ে বানানো, আর মেঝেটা একেবারে মসৃণ মাটির। ঘরের এক প্রান্তে বিশাল একটা খাট, আর আরেক প্রান্তে নানুভাইয়ের নামাজ পড়ার ছোট্ট পাটাতনের মত চৌকি। এছাড়া ঘরের এক পাশের লম্বা দেয়ালে খিড়কি দেয়া তিনটা বড় বড় জানালা, আর অন্য পাশের দেয়াল এ খিড়কি দেয়া একটি কাঠের দরজা। ঠিক তার একটু পাশেই তিনটা কাঠের তৈরি তাক যেখানে নানুভাইয়ের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি আর অনেক গুলো টিনের কৌটো রাখা। ঘরের এক কোণে আছে কাঠের একটি আলমারি আর আছে চাল রাখার জন্য বড়ো একটা মটকা। চারদিকে ঘুরে যুথীর চোখ গেলো এখন উপরের দিকে, ওখানে ঠিক মাথার উপরে ঝুলছে একট পাখা আর ঘরের মাঝ বরাবর একটা সাঁঝবাতি, যদিও গ্রামে বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকেনা।

যুথীর নানুবাড়িতে আরও একটি তিন রুমের একতলা ইটের দালান আছে, যেখানে যুথীর মামা-মামী থাকে। কিন্তু নানুবাড়ি বেড়াতে আসলে জুঁই-যুথীর মা আর ওরা দুই বোন, নানুভাই এর ঘরে থাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তাইতো সকাল বেলা যুথী তার পছন্দের জায়গায় নিজেকে আবিষ্কার করে মনে মনে বেশ খুশি হয় আর ভাবে সপ্ন নয়, সত্যিই সে নানুবাড়ি এসেছে। তখন যুথীর মনে পড়লো, গতকাল রাতে বাবা-মা আর বড় বোন জুঁই এর সাথে ওরা নানুবাড়ি বেড়াতে এসেছে।

হঠাৎ রোদের একরাশ আলো যুথীর চোখেমুখে এসে পড়লে হকচকিয়ে উঠে বসে যুথী। দেখে তার নানুভাই দরজা খুলে দিয়েছে। তিনি তারপর যুথীর পাশে এসে বসলেন এবং যুথীর ললাটে চুমু দিয়ে বললেন,

“বইনে উঠসো? আহো দুয়ারত (উঠানে) যাই। তোমার মায় আরেকটু ঘুমাক।”

যুথী মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায় যদিও সে দুয়ার শব্দটার মানে জানেনা, কিন্তু “যাই” শব্দটি শুনেই বুঝেছে ঘরের বাইরে সে যেতে পারবে। দেরি না করেই তড়িৎ গতিতে তার মাকে টপকে ওপর পাশে যেয়ে কাঁথা তুলে জুঁই এর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে,

“জুঁই, নানুভাইয়ের সাথে বাইরে যাবে?”

জুঁই চোখ কচলাতে কচলাতে এক লাফে উঠে বলে, “চলো।”

জুঁই আর যুথী পিঠাপিঠি দুই বোন, চার বছরের ছোট বড়ো। যুথীর চার আর জুঁই এর চলছে আট বছর বয়স। ভীষন মিল, একজন আরেকজন কে ছাড়া চলতে পারেনা। সব একসাথে করতে হবে তাদের। যদিও জুঁই বড় যুথীর চেয়ে, তবুও যুথী নাম ধরেই ডাকে জুঁই কে । সবাই অনেক চেষ্টা করেও জুঁই কে আপু বলে সম্বোধন করাতে ব্যর্থ হয়েছে। জুঁই এর স্কুল ছুটিতে ঢাকা থেকে নানু বাড়িতে বেড়াতে এসেছে সবাই মিলে।

নানুভাই দুই বোনের দুহাত ধরে উঠোন পেরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে টিউবয়েল এর কাছে, উদ্দেশ্য তাদের সকাল সকাল গোসল করিয়ে দেয়া।

কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকাল, গাছের পাতায় বিন্দু বিন্দু শিশির কণা জমে আছে। কথা বললে মুখ দিয়ে ধোয়া বের হচ্ছে আর এই বিষয়টা খুব উপভোগ করছে জুঁই ও যুথী। দুজনে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছে যে কে বেশি ধোঁয়া সৃষ্টি করতে পারে।

নানুভাই দ্রুত পায়ে তাদের কে টিউবয়েল এর কাছে নিয়ে বলল, “বইনেরা চাপকল (টিউবওয়েল) থেইকা পানি গামলাত ভইরা তমগো দুই বইনেরে অহন নাওয়ায়ে (গোসল) দিমু, এই হানে সুন্দর কইরা খাড়াও। দুষ্টামি কইরোনা। পিছলা জায়গা, পইরা যাইবা নাইলে।”

যুথী তার নানু ভাইয়ের কথা তেমন কিছুই বুঝতে পারেনা, তাই সে তার মতো পানি দিয়ে দুষ্টুমি করেই যাচ্ছে। জুঁই অল্প অল্প বুঝতে পারে গ্রামের ভাষা, তাই যুথী কে বার বার নিষেধ করছে পানি দিয়ে খেলার জন্যে। জুঁই আর যুথীর ঢাকায় জন্ম এবং সেখানেই বেড়ে ওঠা, যে কারণে গ্রামের আঞ্চলিক ভাষা বুঝতে একটু কষ্টই হয় ওদের।

নানুভাই দুবোন কে সাবান দিয়ে গোসল করিয়ে দিচ্ছে আর যুথী গোসলের ফাঁকে চারপাশ তাকিয়ে দেখছে। একটা টিউবওয়েল এবং তার পাশেই বিশাল মোটা ও লম্বা একটি বেল গাছ। মাটিতে ইট বিছিয়ে চারপাশে অনেকখানি জায়গা বর্গাকারে ঢালাই করা, আর টিনের চাল দিয়ে চারদিকে দেঁয়াল দেয়া। দরজাটাও টিনের তৌরী। সাধারণত দরজাটা খোলা থাকে, শুধু গোসলের সময় লাগিয়ে নেয়া হয়। গোসল করার জন্যে আছে সাদা পাথর দিয়ে বাঁধানো বেশ বড় একটি পাটাতন। স্থানীয় গ্রামের ভাষায় টিউবওয়েল কে ঘিরে তৈরি করা এইরকম স্থান টিকে “কল পাড়” বলা হয় কারণ এখানে গোসল করা ছাড়াও খাবার পানি নেয়া থেকে শুরু করে, কাপড় ও থালা বাসন ধোয়া সবই হয় এখানে।

গোসল করতে করতে হঠাৎ গাছ থেকে দুটো বড় পাকা বেল টুপ করে মাটিতে পড়লে জুঁই ও যুথী খুশিতে লাফিয়ে উঠে। গোসল শেষে নানু ভাই তাদের কে ফ্রক পড়িয়ে বেল দুটি ধুয়ে হাতে দিয়ে বলে,
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


“আমার বইনেরা, বেল দুইটা লয়া পাকঘরে যাও, তোমাগো মামী আছে ঐহানে। মামীরে কও বেল ভর্তা কইরা দিতে তোমাগরে। আমি আইতাসি ইট্টু পরেই।”

যুথী ও জুঁই গোসল খানা থেকে বের হয়ে হাতে বেল নিয়ে নানুর ঘরের সামনে উঠোনে ঘুরোঘুরি করছে কিন্তু পাকঘর টা কি জিনিস কিছুতেই বুঝতে পারছেনা। নানুর ঘর থেকে তাদের মা মেহেরুন সবেমাত্র ঘুম থেকে উঠে চুলের খোঁপা বাঁধতে বাঁধতে দরজায় খিড়কি দিয়ে উঠোনে বের হলে, যুথী দৌড়ে গিয়ে বলে,

“আম্মু জানো, আজ কে না নানুভাই গোসল করে দেয়ার সময় দুটো বেল পড়েছে৷ এই দ্যখো কত্ত বড়৷”

যুথীকে থামিয়ে দিয়ে জুঁই বলে,
“আচ্ছা মা পাকঘর টা কি জিনিস? নানুভাই বলেছে পাকঘরে যেতে, কিন্তু আমরা তো খুজেই পাচ্ছিনা৷” ঠোঁট উল্টিয়ে কথা বলাটা শেষ করলে মেহরুন দুবোনের গালে চুমু খেয়ে বলে,

“ঐ যে দেখছো তোমাদের মামী রান্না করছে, ঐটাকে তো আমরা রান্নাঘর বলি তাই না?” যুথী ও জুঁই মাথা নেড়ে হ্যা সূচক সম্মতি জানায়৷

“গ্রামে আমরা এটাকে পাকঘর বলি৷ এখন তোমরা মামীর কাছে যাও আমি হাতমুখ ধুয়ে তারপর আসছি।”

মেহেরুন হাত মুখ ধুয়ে এসে দেখে যুথী ও জুঁই রান্নাঘরের সামনে এসে দাড়িয়ে আছে, তখন তাদের কে ভেতরে নিয়ে বেল দুটো চুলোর পাশে রেখে একটা পিড়ি কাছে টেনে বসতে বসতে বললো,

“ও ভাবী, দেহেন আপনের ভগ্নীদের কাণ্ড, মা বলসে বেল দুটা নিয়া পাকঘরে মামীর কাছে দিতে। কিন্তু এই দুষ্টু গুলান খুইজা পায়না পাকঘর কোনটা।”

মেহেরুন এর কথা শুনে তার ভাবীও হেসে দেয়। নারকেল কুড়োতে কুড়োতে তিনি বলেন,

“আপা আপনের পোলাপান গুলান এক্কেবারে আলাভোলা। আমগো কথা কিছুই বুঝেনা। অনেক সিজিল। আর কি লক্ষ্মী, কইসেন এইহানে বইসা খেলতে, এইহানেই বইয়া কি সুন্দর কইরা খেলতাসে।” দুই ননদ ভাবী কথা গুলো বলছে আর হাসছে।

মেহেরুন এর বড়ো ভাই এর বউ হচ্ছে জলি আক্তার। ননদ ভাবিতে বেশ ভালই মিল। মেহেরুন সম্পর্কে ছোট হওয়া সত্ত্বেও মেহেরুন কে আপা ও আপনি বলে সম্বোধন করে। বেশ আদরও করে যুথী আর জুঁই কে, একেবারে নিজের সন্তানের মতো।

“ভাবী আজকে কি বানাবেন সকালের নাস্তায়? দেন আমিও হাত লাগাই। তাড়াতাড়ি হইবো।”

“আপা, দুলাভাই এর লেইগা আইজ চিতই পিঠা, আর ভাপা পিঠা বানামু। সাথে আলু গরুর গোশতের তরকারি চিতই দিয়া খাওনের লেইগা। আর কিছু লাগলে কন আপা।”

“ভাবী হইয়া যাইবো। দেন আমি চিতই পিঠা চুলায় বসাই। আর আপনের হাতের কাম শেষ হইলে কম ঝাল দিয়া একটু বেলের ভর্তা বানায়ে দিয়েন। দুই বইন খাইবনে।”

দুটো গরম গরম চিতই পিঠা ছাঁচ থেকে তুলে ঠান্ডা করে মেহেরুন দুবোনের হাতে পিঠা দিয়ে জুঁই কে উদ্দেশ্য করে বলে,

“বাবা যাও তো তোমার আব্বুকে ডেকে নিয়ে আসো। তোমার আব্বু কিন্তু ইটের দালানের ঐ যে সব শেষের রুম, সেখানে ঘুমিয়ে আছে। যুথী কে সাথে করে নিয়ে যাও।”

জুঁই যুথীর হাত ধরে রান্নাঘর থেকে বেড়িয়ে সবে মাত্র পা বাড়িয়েছে উঠোনের দিকে, আর অমনি একটা কাক কোথা থেকে এসে ছোবল দিয়ে যূথীর হাত থেকে পিঠা নিয়ে উড়াল দেয়। তৎক্ষণাৎ যুথী ভয় পেয়ে কান্না শুরু করে দেয়। নানুভাই যুথীর কান্না শুনে তড়িঘড়ি করে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরে।

“আমার বইনে ব্যাথা পাইসো? পঁচা কাউয়া তোমার পিঠা লোয়া গেসে? আমি ঐ কাউয়ারে মাইর দিমুনে। কাইন্দনা বইন আমার। আমার লক্ষ্মী বইন, আরেকটা পিঠা দিতাসি তোমারে। আহ আমার লগে।”

বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে, শরীরে তেমন শক্তি নেই কিন্তু নাতনীর কান্না সহ্য করতে পারেনি তাই কোলে করে যুথী কে রান্নাঘরে নিয়ে আসে তার নানুভাই। জুঁই ও পেছন পেছন চলে আসে। ও দিকে কান্না শুনে জুঁই ও যুথীর বাবা মাহ্সিন ও ছুটে চলে আসে বাইরে।

বাবাকে ছুটে আসতে দেখে জুঁই ছুটে যেয়ে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে, তারপর নানা রকম অঙ্গ ভঙ্গি করে বর্ণনা দিয়ে বলতে থাকে যে কিভাবে একটা কাক এসে যুথীর হাত থেকে পিঠা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। সবাই তার বর্ণনা শুনে হাসতে হাসতে খুন।

শীতের সকালে গরম গরম ভাপা পিঠা সাথে চিতই আর আলু গোশতের তরকারি দিয়ে সবাই বেশ ভালোভাবেই ভুরিভোজ করে যে যার মতো ব্যাস্ত হয়ে পরে কাজ নিয়ে। ওদিকে যুথী এবং জুঁই ও বেশ উপভোগ করেছে পিঠা। তারপর তাদের মামী বেল ভর্তা করে দিলে সেটাও বেশ মজা করে খায় দুজনে।

সূর্যের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে যায়। বাড়িতে আজ বেশ সাজ সাজ রব। বাড়িতে জামাই এসেছে তাই চলছে পোলাও কোরমা রান্না যার সুগন্ধ দুর দুর পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। কিন্তু জুঁই যুথীর কোনো মাথা ব্যাথা নেই এসবে। একটু রোদ বাড়তেই তারা মাটির হাড়ি নিয়ে খেলতে বসে যায়। ছুটোছুটি করে নানা রকম ঘাস লতাপাতা জোগাড় করে সেগুলো দিয়ে তারাও রান্না চাপায়।

জুঁই ও যুথীর রান্নার খেলা শেষ হলে সেটা তাদের বাবা মাহসিন কে খাওয়ানোর জন্য তার কাছে গেলে দেখতে পায় তাদের বাবা বাড়ির সীমানায় দাড়িয়ে। এই বাড়ির সীমানাতে প্রচুর গাছগাছালি। এর মাঝে একটি বড় আমগাছ থেকে আম পারছে মাহ্সিন। জুঁই ও যুথী খাওয়ানোর কথা ভুলে বাবার আম পারা দেখে খুশিতে মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আমগুলো জড়ো করে ঝুড়িতে রাখতে ব্যাস্ত হয়ে যায়।

হঠাৎ মাহ্সিন দেখতে পায় সেই আম গাছের ডালে একটা ছোট্ট পাখির ছানা। দুই মেয়েকে কোলে তুলে দেখাতে থাকে সেই হলুদ কালো বর্ণের অপরূপ সুন্দর পাখি টাকে যার লাল দুটো ঠোঁট এবং গাড় লাল বর্ণের চোখ।

“বাবা দেখেছো তোমরা ছোট্ট পাখিটাকে? দেখো কি সুন্দর পাখি!”

যুথী আদুরে কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে, “এটা কি পাখি বাবা? এই পাখি কি পঁচা কাউয়ার মতো?”

পর্ব ২ আসছে …

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে