স্বপ্ন হলেও সত্যি পর্বঃ-১৪

0
950

স্বপ্ন হলেও সত্যি পর্বঃ-১৪
আফসানা মিমি

বেশ কয়েকটা মুহূর্ত দুজনই নীরবতা পালন করলাম। সন্ধ্যার এই নিস্তব্ধ পরিবেশে ঝিঁঝিঁপোকার ডাক আর দুজনের নিঃশ্বাসের শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা যাচ্ছে না। আপু এখনও চুপচাপই বসে আছে। তাই আমিই নীরবতা ভাঙলাম।
—আপু কিছু তো বলো! এভাবে চুপ করে থাকলে হবে?
—আমার চিন্তা বাদ দাও না সানা! আমার কপালে যা লেখা আছে তা কি আর খন্ডাতে পারবো? ভাগ্যে যা আছে তাই মেনে নিতে হবে।
—সবকিছু এভাবে ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিতে নেই আপু। কিছু কিছু সময় নিজের হাতে নিজের ভাগ্য গড়তে হয়। দেখা গেছে তোমার ভাগ্যে তা লেখা আছে কিন্তু তা তোমাকে খেটেখুটে পরিশ্রম করে আদায় করে নিতে হবে। নয়তো তা ইচ্ছে করে তোমার হাতে ধরা দেবে না। তখন কি তুমি একটু চেষ্টা করে দেখবে না তুমি সফল হও কিনা তোমার লক্ষ্যে? চেষ্টা করিলে উপায় হয়। শেষবারের মতো একটাবার চেষ্টা করে দেখো না প্লিজ আপু প্লিজ প্লিজ!
—দ্যাখো সানা, আমা…….

আপুর কথার মাঝখানে বাধা পড়লো মোবাইলের রিংটোনের আওয়াজে। দেখি আম্মু কল দিয়েছে আমার মোবাইলে। আপু বসা থেকে উঠে রেলিং ঘেঁষে দাঁড়ালো। ফোন রিসিভ করে সালাম দিয়ে কথা শুরু করলাম।
—ভালো আছো আম্মু?
—হ্যাঁরে তুই কেমন আছিস?
—আলহামদুলিল্লাহ্। আব্বুর শরীর স্বাস্থ্য ভালো?
—হ্যাঁ আল্লাহর রহমতে ভালোই আছে। তোর পড়াশোনা কেমন চলছে?
—ভালো আম্মু।
—সুহৃদ ফোন দিয়েছিল কালকে নাকি ওর ওখানে চলে যাবি?
—হ্যাঁ আম্মু কালকে বিকেলে ভাইয়া নিতে আসবে।
—সবকিছু গোছগাছ করেছিস তো?
—হ্যাঁ মা কিছু বাকি আছে। কালকের ভেতর করে ফেলবো।
—আচ্ছা শোন তাহলে তোকে একটা কথা বলি!
—হুম বলো!
—আমি আর তোর বাবা ভাবছি তোর ভাইয়ের তো বয়স কম হলো না। আমরা আর কদিনই বা আছি! সময় থাকতে ওর বিয়েটা করিয়ে দেওয়া দরকার না?

আম্মুর মুখে এমন কথা শুনে আপুর দিকে তাকালাম। দেখলাম আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। আমি তাকানোর পর ইতস্তত করে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো। ফোনটা লাউডস্পিকারে দিয়ে দিলাম।
—সুহৃদের জন্য মেয়ে দেখা শুরু করি তাহলে! কি বলিস?

আম্মুর কথাটা শুনতে পেয়ে ব্যালকনির দরজার মুখেই দাঁড়িয়ে পড়লো আপু। আমি দেখেও না দেখার ভান করে কথা কন্টিনিউ করে গেলাম
—কিন্তু আম্মু তার আগে ভাইয়ার সাথে একবার কথা বলে নিলে ভালো হতো না? যেহেতু ভাইয়া বিয়ে করবে!
—আমরা কি ওর খারাপ চাইবো বল? সব বাবা মাই তো সন্তানের ভালো চায়। আমরাও ওর ভালোর কথা ভেবেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন তুই বল মেয়ে দেখা শুরু করবো?
—আম্মু এতো তাড়াহুড়ো করো না। কিছু কিছু ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করা একদম ঠিক না। বিশেষ করে বিয়ের মতো একটা সিরিয়াস ব্যাপারে। ধীরে সুস্থে আগাতে হয়। পুরো জীবনের প্রশ্ন এটা। তাই বলছি ভাইয়াকে আগে জিজ্ঞাসা করো তার কোন পছন্দ আছে কিনা! মানে কাউকে পছন্দ অথবা ভালবাসে কিনা। যদি করে থাকে তাহলে সেই মেয়েটির পরিবারের সাথে কথা বলো। কারন সংসার আমি, তুমি অথবা আব্বু করবে না। ভাইয়ার পছন্দানুযায়ী বিয়ে করালে সুখী হবে ভাইয়া। আর যদি না থাকে তবুও ভাইয়াকে জিজ্ঞাসা করে মেয়ে দেখা শুরু করো।
—আমি বাবা এতো কিছু বুঝি না। যুগে যুগে আরো কত কিছু দেখবো! আমাদের সময় এতো নখরা করতাম না। বাবা মা যাকে বলেছে তাকেই চোখ বন্ধ করে বিয়ে করে নিয়েছি। কই আমি কি সুখী না তোর বাবার সাথে?
—তুমি সুখী বলে যে সবাইই সুখী তেমনটা ভাবার কোন অবকাশ নেই। মা যুগ পাল্টেছে। সাথে পাল্টেছে মানুষের মন মানসিকতা। দেখা যাবে ভাইয়ার পছন্দের গুরুত্ব না দিয়ে তোমাদের পছন্দের কাউকে বিয়ে করালে। তখন যদি সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয় অথবা দুজনার বনিবনা না হয় দোষ হবে তোমাদের। বলবে আমার পছন্দে বিয়ে করলে এমন হতো না। সারাজীবন তোমাদেরকে দোষী ভেবে যাবে। অথচ তোমরা যে তার ভালোর জন্যই এমনটা করেছো সেটা চোখে পড়বে না। তাই সেসব বিবেচনা করেই বলছি ভাইয়াকে আগে জিজ্ঞাসা করে মতামত নাও এ ব্যাপারে। তখন নিশ্চিন্তভাবে আগানো যাবে বিয়ের ব্যাপারটায়।
—তাহলে আর কি তুইই তোর ভাইকে জিজ্ঞাসা কর পছন্দের কেউ আছে কিনা! আমি মা হয়ে কিভাবে জিজ্ঞাসা করি!
—আচ্ছা তুমি চিন্তা করো না। আমি আগে ঐ বাসায় যাই তারপর এ ব্যাপারে বসে খুলাখুলি কথা বলবো, ঠিক আছে?
—আচ্ছা তুই যা ভালো মনে করিস।
—আচ্ছা তাহলে রাখি আম্মু?
—হ্যাঁ রাখ। আর বেশি রাত জাগবি না। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বি।
—আচ্ছা মা আল্লাহ্ হাফেজ।
—ফি আমানিল্লাহ্।

আপু এতোক্ষণ নিঃশব্দে আমার পেছনে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি বেশ টের পাচ্ছিলাম। কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আস্তে করে সরে গেল সেখান থেকে। ভাবছি ভাইয়ার বিয়ের কথা শুনে আপুর ফেইস রিয়েকশনটা কেমন ছিল! তবে যাই হয়ে যাক না কেন ভাইয়ার সাথে আপুকে মিলাবোই, ইনশাআল্লাহ্! দুজনই দু’প্রান্তে বসে থেকে মুখ ফুটে বলতে না পেরে তড়পাচ্ছে। কেউই বলতে পারছে না এখনও আগের মতো করেই দুজন দুজনকে ভালবাসে। হয়তো একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল দুজনের মাঝে। কিন্তু সেই ভুলটা তো বুঝতে পেরেছে, নাকি? ভুল তো মানুষই করে, তাই না? মানুষ যদি ভুল না করতো তাহলে তো সে মানুষ না হয়ে ফেরেশতা হতো। সামান্যতম একটা ভুলের মাশুল কি একটা মানুষ সারাজীবন ধরে দিয়ে যাবে?

আমি আজ চলে যাব বিধায় আন্টি বেশ কয়েক পদের তরকারী রান্না করছেন। তাছাড়া ভাইয়াও আসবে তাই এতো আয়োজন। মনে মনে ভাবছি আর হাসছি শত হলেও ভবিষ্যৎ জামাই। একটু ভালো করে যত্নআত্মী না করলে চলে!

ভাইয়া আসলো দুপুর দেড়টার দিকে। আপু বেশ অনেকক্ষণই হয়েছে উপরে যাওয়ার আন্টির সাথে রান্নার সহযোগিতা শেষে। হয়তো গোসল সেরেই একেবারে নিচে নামবে। ভাইয়া মাথা নিচু করে ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে আছে। দেখলাম আপু নিচে নেমে এদিকেই আসছে। কাছাকাছি আসার পর আমি আপুকে বললাম ভাইয়াকে কোম্পানি দেওয়ার জন্য। তাদেরকে কথা বলার সুযোগ করে দিয়ে নাস্তা রেডি করবার অজুহাতে সেখান থেকে সরে গেলাম।

আপু বেশ কাঁচুমাচু করে বসে আছে সোফার এক কোণে। একটু পর পর ভাইয়ার দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছে। কিন্তু ভাইয়া সেই যে মাথা কুঁজো করে বসে ছিল এখনও সেভাবেই বসে আছে নতুন বউয়ের মতো। ভাইয়ার ওপর রাগ হচ্ছে। আরে সামনে উনার পৃথিবী বসে আছে আর উনি যেন এই দুনিয়াতেই নেই। শেষ পর্যন্ত আপু ইতস্তত করে কথা শুরু করলো। সেদিকে কান বাড়িয়ে শুনতে চেষ্টা করলাম কি বলছে!
—কেমন আছো হৃদ?
ভাইয়া চমকে তাকালো আপুর দিকে। কয়েক পল তাকিয়ে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে কাষ্ঠ গলায় বললো
—ভালো।
—আমাকে জিজ্ঞাসা করবে না কেমন আছি?
—কারো ভালো খারাপ থাকায় আমার কোন যায় আসে না।

ভাইয়ার এমন কথায় মনে হলো আপু কষ্ট পেল। একটু ঝুঁকে চোখের পানিটা মুছে নিল দেখলাম। উফফ ভাইয়াটা না! আরে বেচারি এমনিতেই কষ্টে আছে তার ওপর সেও ভালো ভাবে কথা বলছে না। কি যে করি!
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


—এভাবে কথা বলছো কেন হৃদ?
—আমাকে হৃদ বলে না ডাকলেই বরং খুশি হবো। আমি চাই না যার তার মুখ থেকে এই নামে ডাক শুনতে।
—ক্ষমা করা যায় না আমাকে?
—ঠিক কিসের জন্য ক্ষমা চাচ্ছেন?
—একটু কি ভালো ব্যবহার পাওয়ার যোগ্য না আমি? তোমার কাছে এতোই ঘৃণিত হয়ে গেলাম আমি? আমি মানছি যে আমি ভুল করেছি। শুধু ভুল করিনি বরঞ্চ চরম অন্যায় করেছি আমি। ভুলের ক্ষমা হয় কিন্তু অন্যায়ের কোন ক্ষমা নেই। গত চারটা বছর ধরে অপরাধবোধ আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। কিছুতেই আমি মনের স্বস্তি পাই না। বারবার শুধু একটা কথাই মাথায় ঘূর্ণিপাকের মতো ঘুরতে থাকে যে আমি ন্যায়বিচার করিনি তোমার সাথে। নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে তোমাকে অকূল দরিয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছিলাম। ক্ষমা চাইবার মুখ আমার নেই তবুও……
—আমি সেসব ভুলে গেছি। কারো প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই। অতীতে কি হয়েছিল না হয়েছিল সেসব জাস্ট একটা দুঃস্বপ্ন মনে করে সামনে পথ চলতে শিখে গেছি। কেউ আমার সাথে ভুল কি অন্যায় করেছিল সেসব নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নেই। বরং যা হয়েছে ভালোই হয়েছে। কারো কেরিয়ারের পথে আমি বাধা হয়ে দাঁড়াইনি। নিজের সুখের কথা চিন্তা করে কাউকে বেধে রাখিনি নিজের সাথে। যে যাওয়ার সে যাবেই। ভালবাসার অজুহাত দেখিয়ে কাউকে বেধে রাখার কোন মানেই হয় না। যার যার পথে সে চলবে। সেখানে আমি বাধা দেওয়ার কে?
—শেষবারের মতো একটা সুযোগ…….

আপুর কথা শেষ হওয়ার আগেই ভাইয়া দাঁড়িয়ে গেল। আল্লাহ্! এতো রাগ যে কই থেকে আমদানী করে আল্লাহ্ মালুম! আমি তাড়াতাড়ি করে সেখানে উপস্থিত হলাম নাস্তার ট্রে হাতে করে। এমন একটা ভাব নিলাম যেন এখানে কি ঘটে গেছে সেসব আমি দেখিইনি। আমার অগোচরে আপু চোখের পানিটা মুছে উল্টোপথে হেঁটে আন্টির কাছে চলে গেল। আপু নিজেকে এতো চালাক মনে করো না।

—কি হলো ভাইয়া দাঁড়িয়ে গেলা কেন?
—এমনিই।
—নাও বসো। বসে লেবুর শরবতটা পান করো। ভালো লাগবে।
—চিনি দিয়েছিস?
—না, তুমি তো চিনি ছাড়াই খাও। দিয়ে আনবো?
—না না, চিনি ছাড়াটাই চাইছিলাম।

খাওয়ার টেবিলে আমি বসেছি ভাইয়ার পাশে। ভাইয়ার সামনে বসেছে আপু। আপুর পাশে আঙ্কেল আন্টি। খেতে বসেও লক্ষ্য করছি আপু কাতরতাপূর্ণ চাহনি দিয়ে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু ভাইয়ার এতে কোন হেলদোল নেই। সে যেন এই দুনিয়াতেই নেই। চারপাশে কি হচ্ছে না হচ্ছে তা যেন তার দৃষ্টিগোচরে আসছে না। এতোটা শক্ত মানুষ কিভাবে হতে পারে? কিন্তু আমি জানি ভাইয়া নিজেকে উপর থেকে যতটা কঠিন দেখায় ততটা কঠিন সে না। বরঞ্চ ভেতরটা তুলার মতো নরম।

খাওয়া শেষে পানি খাচ্ছিলাম তখন আপু হঠাৎ আঙ্কেলকে জিজ্ঞাসা করলো
—আব্বু ভাইয়া ফোন দিয়েছিল? পৌঁছেছে?
—হ্যাঁ, ঘন্টাখানেক আগে ফোন দিয়ে বলেছে সুস্থভাবেই পৌঁছেছে।

আঙ্কেলের কথা শুনে নাকে মুখে পানি উঠে মারাত্মকভাবে বিষম খেলাম। একেবারে তালুতে উঠে গেছে। মনে হচ্ছে মগজটা জ্বলছে। চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেল। ভাইয়া তাড়াতাড়ি করে পিঠে ও মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।
—কিরে হঠাৎ বিষম খেলি কেন?
—জানিনা ভাইয়া।
—ধীরেসুস্থে খা।
আন্টি বললেন
—বেশি খারাপ লাগছে মামনি?
—না আন্টি আমি ঠিক আছি।
—যাও রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নাও।

সব আগে থেকেই গোছগাছ করে রেখেছিলাম। সেগুলো ভাইয়া গাড়িতে নিয়ে রাখলো। আমিও রেডি হয়ে নিচে আসার আগে পুরো রুমটা শেষবারের মতো ঘুরে ঘুরে দেখে শেষে ব্যালকনিতে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর চোখদুটো অটোমেটিক শ্রাবণ যে ঘরটায় থাকতো সেখানে চলে গেল। ঘরটা কেমন যেন মৃত্যুপুরীর মতো লাগছে। নীরব, নিস্তব্ধ, কোলাহলমুক্ত মানবহীন এক মৃত্যুপুরী। মুহূর্তেই চোখদুটো ঝাপসা হয়ে এলো। এখানে দাঁড়িয়ে, বসে শ্রাবণকে দেখতাম। খুব কান্না পাচ্ছে তাই ফিরে আসার জন্য ঘুরে দাঁড়ালাম। আবার থেমেও গেলাম। কেন যেন মনে হচ্ছে শ্রাবণ তার ঘরটার বারান্দায় দাঁড়িয়ে কফি পান করছে ঠোঁটের কোণে একটা দুষ্টুমির হাসি ঝুলিয়ে। ঝট করে পেছনে ফিরে তাকালাম। কই কেউ তো নেই এখানে! স্মৃতিপটে নানান দৃশ্য উঁকি দিচ্ছে। পালাতে হবে এখান থেকে, পালাতে হবে! এই স্মৃতিদের ভীড় থেকে পালাতে হবে।

চলবে……..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে