সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-১৯

0
1321

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️
#পর্ব_১৯(রহস্য সমাধান -০১)
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা

বান্ধবীর হলুদের অনুষ্ঠানে জন্য সুন্দর করে সেজে নিলাম।
এদিকে আমান ও রেডি।
–চলুন বের হই
–হুম মাক্স পরে নেও।
–আপনি পরবেন না।
–না।
–কেন?
–এমনি চলো
আমি ওনার কথায় কিছুটা অবাক হলাম
তার পর মাক্স পরে ওনার সাথে বেরিয়ে গেলাম
ঋতুর বাসায় আসার পর দেখলাম ওকে পুতুলের মতো লাগছে।
ছবি তোলা শেষ করে অনুষ্ঠানের শুরু হলো।
বেশ হাসি ঠাট্টা মজার মধ্যে দিয়ে দিন কাটলো।
রাত প্রায় ১০ টা বাজলো বাসায় আসতে।
বাসায় এসে গোসল করে বের হলাম
ভিশন গরম।
তার পর আমান ও ফ্রেশ হলেন,
মিষ্টি আমার কোলের উপর উঠে বসে আছে।
সারা দিন আমাকে ছাড়া থাকেছে তাই।
বিড়াল এবং যে কোন পশুপাখি হয় খুব প্রেশন এবং আদরের খুব জলদি প্রভু ভক্ত হয়ে যায়।
আমি বসে বসে এগুলা ভাবছি হটাৎ আমান আসলেন,
আমি ওনার দিকে তাকালম,
কালো প্যান্ট আর সাদা সার্ট পরা উপরের ৩ টা বোতাম খোলা।
এক হাতা ফোল্ড করা অন্য হাতা ছেড়ে দেওয়া নিচ পর্যন্ত।
চুলে বিন্দু বিন্দু পানি।
চুল মুছতে মুছতে বের হলেন তিনি।
সে যেন ঠিক আমার স্বপ্নের সেই মানুষ টা।
যার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে এভাবে কাটিয়ে দিবো হাজার বছর।
“কোন মানুষ কে যদি সুন্দর না লাগে তবে ভালোবাসসর চোখ দিয়ে দেখো যার উপর আছে সে পৃথিবীতে সব থেকে সুন্দর মানুষের মধ্যে একজন। ”
কেন জানি না ওকে শুধু দেখতেই মন চাইছে ইচ্ছে হচ্ছে না চোখ দুটো অন্য দিকে সরুক।
ভালোবাসি আমি কিন্তু হারাবার ভয় ও করি।
কেন জানি না মনে হয় যদি কোন ঝড় আসে তবে সব তচনচ হয়ে যাবে আমার আনন্দে থাকা সোনার সংসার টা তাসের ঘরের মতো এক ধাক্কাতে শেষ হয়ে যাবে।
ভাবলেই বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে ওঠে।
আমি তো ওর দিকেই তাকিয়ে আছি কিন্তু হটাৎ অনুভব করলাম সে জায়গা বদল করেছে তখন সে আয়নার সামনে ছিল এখন সে আমার সামনে আমার কোলে হাত রেখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি চোখ সরিয়ে নিলাম,
–এতো সময় দেখলে মিষ্টিকে কোল থেকে নামিয়ে শুইয়ে দিলাম তাও টের পাইলে না তোমার সামনে এসে তোমার কাছে বসলাম তাও টের পেলে না।
আর এখন লজ্জা পাচ্ছো কেন?
ওনার কথায় অবাক হলাম কি আজন এতো সময় তাকিয়ে ছিলাম সে এতো কিছু করল টেরও পেলাম না।
যাহ বর তো আমারি আমি তাকাবো না ত কে তাকাবে।
–কি ভাবছো?
–ঘুমোবো।
–হুম।
উনি আমার পাশে শুয়ে পরলেন।
টুপ করে মাথাটা তার বুকে দিলাম।
এটা হলো ভালোবাসা।
তার পর ভিশন শান্তিতে চলে গেলাম ঘুমের রাজ্যে,
সকালে,
ঘুম থেকে উঠে সবার সাথে খাওয়া শেষ করে নিলাম।
দিনটা আমানের সাথে খুনসুটি করে কাটলো।
সন্ধ্যায় রওনা হলাম ঋতুর বাসার দিকে,
লাল রঙের একটা শাড়ি পরেছি।
আমান সব সময়ের মতোই কোর্ট পরেছে কতো বললাম পাঞ্জাবি পরো তাও পরলো না।
ওর নাকি কাজ আছে আজ।
বিয়ে বাড়ি আমাকে পৌঁছে দিয়ে ও কেথাও গেল।
কই গেল বলল না।
ঋতুর সাথে ছবি তোলা হলো অনেক কাজ হলো কিন্তু আমান এলো না এখনো,
ওরা অনেকটা সময় ওর জন্য অপেক্ষা করেছে আমি তো বার বার কল করছি কিন্তু বন্ধ আমার কেমন চিন্তা হতে শুরু করল।
এদিকে ঋতুর বিয়েটা হয়ে গেল।
আমি তখন এক মুহূর্ত দেরি করলাম না।
অভিজিৎ দাদার সাথে বাসায় চলে এলাম।
দাদা বোনের বিয়ের হাজার ব্যাস্ততা ফেলে শুধু মাত্র আমার অস্থিরতা দেখে আমাকে বাসায় পৌঁছে দিলেন,
বাসায় এসে ভেতরে যেতে দেখি বাবা মেঝেতে বসে আছে,
সেই মুহুর্তে আমার পৃথিবীটা কেমন উল্টোপাল্টা হয়ে যাচ্ছিল বাবাকে এই অবস্থায় দেখে,
ভয় হচ্ছে আমান কোথায় ও এলো না কেন কিছুই বুঝতে পারছি না।
আমি ধির পায়ে বাবার কাছে গেলাম,
বাবার কাঁধে হাত দিতে বাবা আমার দিকে তাকালেন,
তার চোখ ভরা পানি।
এক সমুদ্র কষ্ট বুকে।
কিছুই বুঝতে পারছি না হচ্ছে টা কি।
আমি বাবার সামনে বসলাম,
–বাবা
ধির শুরে ডাক দিলাম,
–সব শেষ হয়ে গেল রে মা আমি যে ভয় পাচ্ছিলাম ঠিক তাই হলো।
বাবার কথা শুনে আমার ভেতরে উত্তেজনা আর ভয় দুই বেড়ে যাচ্ছে,
–কি বলছো বাবা কি শেষ হয়েছে।
আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
–আমান আর আমাদের সাথে নেই রে মা।
মুহুর্তে আমার পৃথিবী থমকে গেল।
কি বলছেন বাবা কেন বলছেন।
–বাবা আপনি মজা করছেন এগুলা কেন বলছেন?
আমি বুঝতে পারছি না আপনি কেন আমার সাথে এই মুহুমজা করছেন।
বাবা আমাকে বলুন উনি কই আমাকে পৌঁছে দিয়ে দেখুন একা একা রেখে চলে আসছে আমি এখানে চুপচাপ বসে আছি বাবা আমাকে বলুন ও কই,
–আমার ছেলে কোন প্রোফেসর নয় মা আমার ছেলে এক জন সাইন্টিস্ট,
–সাইন্টিস্ট!
–হ্যাঁ আমার ছেলে সাইন্টিস্ট কিন্তু দুনিয়ার সামনে সে এক জন প্রোফেসর,
–বাবা কি বলছেন এগুলা,
–আজ তোকে সব বলব আর কিছু লুকাব না,
এ লড়াই শুরু হয় ২০ বছর আছে থেকে,
যখন তোর শ্বাশুড়ি মা মারা যায়,
–কিন্তু মা তো ২৪ বছর আগে মারা গেছেন,
–না ওটা ছিল ভুল,
তোর মা আমানের বয়স যখন ৪ তখন মারা যায় তোর মা ছিলেন এক জন সাইন্টিস্ট,
সে গবেষণা করত তার ৩০ বছরের গবেষণার ফল সে, সে দিন পেল যখন সে জানতে পারলো সে এমন কিছু তৈরি করেছে যা দ্বারা যে কোন শক্তিশালী জীবাণু ধ্বংস করা সম্ভব।
যা দ্বারা সে যে কোন নতুন জীবাণু কে মারতে পারবে, কিন্তু কে জানত এই ভ্যাক্সিন তার মৃত্যুর কারন হবে,
অতিত,
ল্যাবে এক্সপ্যারিমেন্ট সভলতার সংবাদ টা আগে আরিফ খানকে ফোন করে জানায় চাঁদনি খান,
–হ্যাঁ আরিফ,
–হ্যাঁ চাঁদনি তুমি কই আমান তো তোমার জন্য কান্নাকাটি করছে,
–ওরে আমার বাচ্চা টা আজ থেকে আমি ওকে সম্পূর্ণ সময় দিবো একটা সুসংবাদ আছে।
–কি,
–আমি সফল হয়েছি এতো দিনের চেষ্টা সব সফল হয়েছে।
–কি বলো এর থেকে খুশির খবর আর কি।
–হ্যাঁ আমি এখানকার মেডিকেল অফিসার কে এ খবর টা দিবো।
–হ্যাঁ দিবে অবশ্যই দিবে কিন্তু তার আগে এক কাজ করো।
–কি কাজ?
–ইরফান খান যে তোমার সব কাজের সঙ্গী ওকে কথাটা বলো।
–কিন্তু আরিফ কেন জানি না মনে হচ্ছে ওদের বলাটা ঠিক হবে না এটা সিক্রেট কাজ যদি এখন পাবলিক জানতে পারে তাহলে অনেকে চেষ্টা করবে এটাকে নষ্ট করার। যারা দেশদ্রোহী তারা কখনো এটাকে তার পরিনামে পৌঁছাতে দিবে না।
দেশ বাসির মঙ্গলের জন্য এটা আমরা তৈরি করেছি আগে মেডিকেল অফিসার কে জানাতে হবে আর যেহেতু এর ফর্মুলা শুধু আমি জানি তাই এটা আমি আমার ছেলেকে জনািয়ে যাবো আর অহনা জানবে (মেডিকেল অফিসার)শুধু।
–আচ্ছা তুমি যা ভালো মনে করো।
–আমি অহনার বাসায় যাচ্ছি তার পর তোমার সাথে কথা বলছি আর আমার আমানকে বলো মা আসছে,
–মা জলদি আসো তোমাকে দেখবো তোমার কোলে উঠবো মা।
পাশ থেকে ৪ বছরের ছোট্ট ছেলেটার কথা শুনে চাঁদনির চোখে পানি চলে আসে,
–সোনা ছেলে আমার আমি আসছি মা আসছে এখনি।
একটু অপেক্ষা করো।
রাখি আরিফ।
–আল্লাহ হাফেজ চাঁদনি।
চাঁদনি খান ফোনটা কেটে দেয়,
ফোন কেটে দিয়ে সামনের দিকে কাঁচের ছোট্ট বোতল টা তুলে এগোতে গেলেই,
চলবে,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে