সমুদ্র বিলাস পর্ব-০২

0
3328

#সমুদ্র_বিলাস
#Rahnuba_mim
পার্ট:২

টিউশনি শেষ করে কুহেলিকা বাসার দিকে পা বাড়ায়।গতকালের কথা মনে হতেই কুহেলিকার চোখের কার্নিশ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।গতকাল তার মা মরতে মরতে বেঁচেছে।ক’সেকেন্ডের জন্য তার মনে হয়েছিলো তার মা মারা গিয়েছে।তখন নিরব ঠিক সময়ে না আসলে কি যে হতো তা আল্লাহ মালুম।কুহেলিকা ইট পাথরের রোডে আনময়ে হাটঁতে লাগলো।তার কাছে ভাড়াও নেই যে সে রিক্সা দিয়ে যাবে।
তখন কুহেলিকার কর্ণকুহরে পরিচিত এক কন্ঠস্বর আসলো।পিছনে তাকিয়ে দেখে নিরব।

নিরব কুহেলিকার একদম কাছে এসে বললো এত রাতে কোথায় থেকে আসছো?

কুহেলিকা মাথা তুলে বলে টিউশনি করিয়ে আসছি?

কুহেলিকার উত্তর শুনে নিরব দাঁড়িয়ে বললো কি!তুমি টিউশনি করাে!

হুম,প্রায় দুইবছর ধরে করছি।

এত পিচ্চি বয়সে টিউশনি করাে।

আমি পিচ্চি হলে তুমি কি?তুমি তো আমার সমবয়সি।

মোটেও না,আমি তোমার চেয়ে একবছরের বড়।

একই কথা।একবছরের বড় মানে সমবয়সি।

নিরব বিনময়ে হাসলো।দুজনেই হাটঁতে লাগলো।দুজনেই মৌনতা।কিছু দূর যাওয়ার পর নিরব খেয়াল করে কয়েকটা ছেলে তাদের পিছনে পিছনে আসছে।নিরব কুহেলিকাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে তুমি খেয়াল করছো কয়েকটা ছেলে আমাদের পিছনে পিছনে আসছে।
অনেকক্ষন ধরেই তো আসছে।

কি করা যাই ,চল দুজনে দৌড় দেই।

দৌড়াবো কেনো?তুমি বরং ছেলেদের মেরে তাড়িয়ে দাও।

আমি চলচিত্রের নায়ক না তাদের সাথে মারামারি করবো।আমার কাছে এখন দৌড় দেওয়াটাই যুক্তিসম্মত লাগছে।

নিরব আর কালবিলম্ব না করে কুহেলিকার হস্ত ধরে দ্রুত হাটঁতে থাকে।একপর্যায়ে দুজনে দ্রুত হেঁটে অন্ধকার এক গলিতে প্রবেশ করে।ছেলেগুলো হঠাৎ তাদের দেখতে না পেয়ে দিশে হারার ন্যায় খুজতে লাগলো।
বন্ধ দোকানের সাথে কুহেলিকা মিশে দাঁড়ায়।নিরব কুহেলিকার দিকে দৃষ্টি দিয়ে দেখে কুহেলিকা ভয়ে কাঁপছে।নিরব মৌনতা ভেঙ্গে বলে ভয়ের কিছু নেই আমি আছি তো।
ছেলেগুলো নিরবের কথার মৃদু শব্দ পেয়ে তাদের দিকে এগুতে থাকে।কুহেলিকা ভয়ে নিরবের হাত দৃঢ় ভাবে মুষ্টিবদ্ধ করে।কারো কোমল হাতের স্পর্শে নিরব কুহেলিকার প্রতি দৃষ্টি দেয়।
ল্যাম্পপোস্টের আলোতে কুহেলিকার অর্ধমুখশ্রী প্রকাশ পাচ্ছে।তার চোখের কার্নিশ সমুদ্রের তরঙ্গমালা নক্ষত্রের ন্যায় দীপ্তি পাচ্ছে।তার চুলের খোঁপা থেকে বেলী ফুলের ঘ্রাণ আসতে লাগলো।নিরব তৎতক্ষনাৎ তার দৃষ্টি সরিয়ে ফেলে।আর কিছুক্ষন তাকিয়ে তাকলে তার নিজের হিতাহিত সেন্স হারিয়ে ফেলবে।
ছেলেগুলো ব্যর্থ হয়ে চলে যায়।চলে যাওয়ার পরপরেই কুহেলিকা খেয়াল করে সে নিরবের হাত অদৃষ্টমূঢ়ের ন্যায় মুষ্টিবদ্ধ করেছে।সে লজ্জায় সাথে সাথে হাত মুষ্টিমুক্ত করে।
মাথা নিচু করে বলে উঠে চল যাওয়া যাক।

নিরব তার নিজের মাঝে ছিলো না।অকস্মাৎ কুহেলিকার বাক্য শুনে মাথা নেড়ে বলে চলো।
দুই কদম চলার পর নিরব ফের বলে তোমার খোঁপা থেকে বেলী ফুলটা খুলবে?না মানে বেলী ফুলে আমার এলার্জি তো।

বেলী ফুলে নিরবের এলার্জি শুনে কুহেলিকা বেলী ফুল খুলে ফেলে।
দুজনেই পুনরায় হাটঁতে লাগলো।নিরব পুনরায় বলে কুহেলিকা জানো রাতে মাথা খোলা রাখলে জীন ভুতে ধরে।

কে তোমাকে এই সব বলছে?যত উদ্ভ্রান্ত কথাবার্তা।

সিরিয়াসলি,আমার এক ফ্রেন্ডের বোনকে ধরছিলো।যারা তপস্বিনী,বেখেয়ালি মত থাকে তাদেরকে আগে ধরে।আমি তোমাকে ভয় দেখানোর জন্য বলছিনা,বরং সাবধানের জন্য।

তপস্বিনী,বেখেয়ালি!আমি আবার তপস্বিনী ও বেখেয়ালি কি করে হলাম?

এই যে রাত দিন চব্বিশ ঘন্টা চুল খোলে রাখো।আর চলাফেরা করোও তপস্বিনী ও বেখেয়ালির মতো।
তাই বলছি কখনো চুল খোলে রাখবে না।

কুহেলিকা বিলম্ব না করে তৎক্ষনাৎ মাথা ঢেকে নেয়।ছোটবেলা থেকে সে ভুতে ভয় পায়।যদি সত্যি সত্যি ভুতে তাকে ধরে।
নিরব কুহেলিকার মাথা ঢাকা দেখে মৃদু হাসলো।মাঝে মাঝে মিথ্যা বলতেই হয়।কুহেলিকার চুলের মনোমুগ্ধকর ঘ্রাণ থেকে বাচাঁর জন্য নিরবের মিথ্যা বলা।
পাঁচ ছয় মিনিট পরপরে দুজনে বাসায় আসে।আহিল কুহেলিকা আর নিরবকে একসাথে দেখে অবাক হয়ে ভ্রু কুচকে পেলে।হঠাৎ সে নিজের বক্ষে বিদ্যুৎময়ী ব্যথা অনুভব করতে থাকে।রাগে সে নিজের হাত মুষ্টিবদ্ধ করে।নিচের দিকে তাকিয়ে নিজের রাগ থামানোর প্রয়াস চালানোর চেষ্টা করতে থাকে।
প্রতিফলে ব্যর্থ হয়ে বলে উঠে নিরব তকে কখন থেকে খুজছি তুই ছিলি কোথায়?

নিরব নিজের রুমের দিকেই যাচ্ছিল।অকস্মাৎ আহিলের প্রশ্নে সে দাঁড়িয়ে বলে ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গিয়ে ছিলাম।

আহিল প্রশ্নোচক্ষু বললো তর ফ্রেন্ড?কানাডায় থাকিস তর বাংলাদেশে ফ্রেন্ড আসলো কোথায় থেকে?

প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের সাথে নিরব বললো কানাডায় থাকলে বাংলাদেশে ফ্রেন্ড থাকবে না এই কেমন কথা।

সারা এসে বলে আহা আহিল কেনো অহেতু নিরবকে প্রশ্ন করছো।দেশে আসছে একটু তো ঘুরাফেরা করবেই।

আহিল আর কিছু না বলে পুনরায় নিজের কাজে মগ্ন হয়।আরো কিছু প্রশ্ন করলে হয়তো নিরব বিষয়টাকে অন্যভাবে নিবে।কিন্তু তার মন একদম মানছে না।কুহেলিকার সাথে নিরবকে দেখে তার শরীর যেনো পুড়ে যাচ্ছে।সে ঠিক করে এই বিষয়ে কুহেলিকাকে প্রশ্ন করবে।

রাতে খাওয়ার সময় নিরব তার বাবা ফয়জুলকে বলে আচ্ছা বাবা কুহেলিকা কেনো টিউশনি করাই?ও তো এই বাড়ির মেয়ে।

ফয়জুলকে কিছু বলতে না দিয়ে রানু বলে উঠে টিউশনি করাবে না তো কি করবে?বসিয়ে বসিয়ে মা মেয়েকে তো খাওয়াতে পারিনা।

কুহেলিকার বাবার যা আছে তা বসে খেয়েও শেষ হবে না।

নিরব তোমার এই সব নিয়ে না ভাবলেও চলবে।

না মা,বিষয়টা নিয়ে ভাবার কথা।আজ আমি কুহেলিকার সাথে না থাকলে কি যে হতো তা আল্লাহই মালুম।

রানু খাওয়া বন্ধ করে বলে মানে!তুমি এতক্ষন কুহেলিকার সাথে ছিলে!

হুম,রাস্তা দেখা হলো তাই দুজনে একসাথে আসলাম।
রানু তখন কিছু বলতে যাবে তখন ফয়জুল চোখে ইশারা করে তাকে চুপ থাকতে বলে।নিরব এতক্ষন কুহেলিকার সাথে ছিলো তা শুনে আহিল অল্প খেয়ে উঠে পড়ে।সারা তা প্রশ্ন করলে সে বলে তার শরীরটা ভালো লাগছে না।
রুমে এসে আহিল পায়চারি করতে থাকে।তার একদম সহ্য হচ্ছে না।কুহেলিকার সাথে অন্য কাউকে সে সহ্য করতে পারছে না।কুহেলিকাকে সে ভালোবাসতো কিন্তু সারার সাথে আগে রিলেশন থাকায় কুহেলিকাকে ছেড়ে দিয়েছে।কুহেলিকার প্রতি তার বিন্দুমাত্র তার ভালোবাসা কমেনি।এটা সারার সাথে বিয়ের আগে না বুজলেও সে আজ বিষয়টা বুজতে পারছে।

রাতের খাবার খেয়ে কুহেলিকা কেশরাশি উন্মুক্ত করে ব্যালকনিতে দাঁড়ায়।হিমশীতল বাতাসে চুল খোলে বাতাস গায়ে লাগানোর মজায় আলাদা।কুহেলিকার চুল বেশ লম্বা,তাই তার চুল বাহুযুগল ও কোমড় আচ্ছন্ন করেছে।বাতাসের প্রবলতার কারণে কিছু দুষ্ট চুল তাকে বিরক্ত করার চেষ্টা করছে।
তার খেয়াল নেই তার প্রতি কারো নেত্রপল্লব পড়েছে।
কুহেলিকার ব্যালকনির বিপরিত পাশে নিরবের ব্যালকনি।সেও শীতের রাতের চন্দ্র দেখার জন্য ব্যালকনিতে আসে।অকস্মাৎ কোনো অপূর্ব রমণী মূর্তি দেখে তার নেত্রপল্লব রমণীর দিকে ন্যস্ত করে।বিরবির করে বলে আমাকে মাতাল করার জন্য তোমার তপস্বিনী রুপেই যথেষ্ট।নিজের একগ্রদৃষ্টি দ্বারা কুহেলিকাকে নিজের গভীরতম প্রদেশে আকর্ষন করে নেয়।।ঐ যে উন্নত ললাট ও বদন দীপ্তি স্তব্ধ মুখখানি উপরে চন্দ্রলোকিত মুর্ছিত হয়ে পড়েছে।ঐ মূখশ্রী যতই নিরবের অন্তরদেশের মধ্যে অঙ্কিত ও পরিস্ফুট হয়ে উঠছে ততই যেনো তার সমস্ত শরীর নিস্পন্দন হয়ে উঠে।এক চিলকে চন্দ্রলোক তার মুখশ্রীর সুন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।মাঝে মাঝে চন্দ্র তার রুপ নিয়ে মেঘের অন্তরালে লুকাচ্ছে।যেনো সে কুহেলিকার রুপে নিজের রুপ প্রকাশ করতে লজ্জিত হচ্ছে।
নিরব একপ্রকার ঘোরের মাঝে পড়ে যায়।ফোনের রিংটনে তার ধ্যান ভাঙ্গে।
ফোন রিসিভ করে বিরক্ত নিয়ে কথা বলতে শুরু করে।
ফোনে কথা বলা শেষ করে পুনরায় তার দৃষ্টি কুহেলিকার ব্যালকনিতে দেয়।কুহেলিকাকে না দেখতে পেরে সে হতাশাগ্রস্ত লোকের ন্যায় নিঃশ্বাস নিয়ে রুমে ঢুকে।এই ক’দিনে যেনো সে কুহেলিকার প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।আগে কখনো তার এমন অনুভতি হয়নি।এই ক’দিনে সে মাঝে মাঝে একপ্রকার ঘোরের মাঝে চলে যায়।

প্রত্যুষে উঠে কুহেলিকা কিচেনে যায়।শীতের সকাল বিধায় কেউ ঘুম থেকে উঠেনি।সে আপন মনে সবার জন্য কফি বানাতে থাকে।কারো পদচলের শব্দ শুনে সে পিছনে তাকায়।আহিলকে প্রত্যুষে দেখে অবাক হয়।
আহিল কুহেলিকার কাছে এসে বলে টিউশনি থেকে কি নিরবের সাথে এসেছে?

কুহেলিকা ছোট্র করে বলে হুম,তো?

কিছু না এমনি প্রশ্ন করলাম।
না দাঁড়িয়ে আহিল চলে যায়।তার অনেক কিছু বলার ছিলো।কিন্তু তার সেই অধিকার নেই।
কফি বানানোর শেষে কুহেলিকা মনিরাকে বলে যা এটা নিরব ভাইয়ার রুমে দিয়ে আয়।

মনিরা চৌদ্দ বয়সের কাজের মেয়ে।সে এতকিছু বুজে না।তাই রানু সারাদিন তাকে কাটায়।ছোট্র হওয়াই মূখ বুজে তা সহ্য করে।
মনিরা কফির মগটা নিয়ে নিরবের রুমে চলে যায়।
কিছুক্ষন পর এসে বলে নিরব ভাইয়া বলছে তুমি কফি নিয়ে যেতে।

আমার যেতে হবে না তুই পুনরায় গিয়ে দিয়ে আস।

না,আমি যাবো না।নিরব ভাইয়ার যে রাগ তাকে দেখলেই আমার ভয় করে।

কুহেলিকা বাক্যব্যয় না করে কফির মগটা নিয়ে নিরবের রুমের দিকে যায়।
দরজাটা আলতো করে খোলে দেখে নিরব ঘুমাচ্ছে।
কুহেলিকা রুমে ঢুকতে ঢুকতে বললো কিছুক্ষন আগেই তো উনি জাগ্রত ছিলো।এত তাড়াতাড়ি আবার ঘুমিয়ে গেলো?

শীতের সূর্যরশ্মি পর্দা বেধ করে রুমে ঢুকেছে।সেই রশ্মি নিরবের মুখশ্রীতে পড়ায় সে নিদ্রায় থেকে ভ্রু কুচকে রেখেছে।হালকা বাতাসে নিরবের চুল মৃদু নড়ে উঠছে।কুহেলিকা কফির মগটা টেবিলে রেখে বললো নিরব ভাইয়া তোমার কফি।
কয়েকবার ডাকাডাকির পর নিরব তন্দ্রার ভাব নিয়ে চোখকে সরু করে বললো ডাকছো কেনো?

তোমার কফি।

তার আগে বলো আগেরবার মনিরাকে পাঠাঁয়ছো কেনো?

যেকোনো একজন তোমার কফি নিয়ে আসলেই তো হয়।

প্রত্যুত্তরে নিরব কিছু না বলে ওয়াশরুমের দিকে যেতে থাকে।কুহেলিকার প্রতি দৃষ্টি দিয়ে বলে প্রতিদিন প্রত্যুষে নিদ্রা থেকে উঠে তোমার মুখশ্রী দেখে চাই।তাই তো ফের তোমার হাতে কফিটা আনলাম।

কথাটা কুহেলিকার কর্ণ অব্দি আসেনি।তাই সে না দাঁড়িয়ে নিরবের রুম ত্যাগ করে।

লতা পাতা দিয়ে ছাদের দেওয়ালগুলো আলিঙ্গ করা।শীতের অবসন্ন রৌদ্র ম্লান হয়ে আসছে।দিগন্তের লঘু হাওয়াটি এলোমেলো করে বয়ছে।নিরব চিলের প্রাচীনের ছায়ায় চুপ করে বসে রইলো।পিছন থেকে পুরুষালি কন্ঠ শুনে নিরব পিছনে তাকায়।আহিলকে হঠাৎ দেখে নিরব সামান্য অবাক হয়।সাধারণত আহিল এমন সময়ে ব্যবসা নিয়ে থাকে।আজ হঠাৎ বাসায় তাও আবার তাকে ডাকছে!এমন ঠান্ডা আবহাওয়ার মাঝেও আহিলের কপালে ঘামের বিন্দু।মুখশ্রীতে ক্লান্তির আবাস।সে নিরবের দিকে দৃষ্টি দিয়ে বলে তকে একটা কথা বলবো রাখবি?

নিরব মৃদু হেসে বলে বড় ভাই হিসাবে যাই বলো তা তো রাখতেই হবে।

আহিল গালভরে হাসলো।নিরবের কাছে হুটহাট আহিলের হাসির কারণ খুজে পাই না।ছোট থেকে সে দেখে আসছে আহিল কারণে অকারণে হাসে।তখন থেকেই নিরব ঠিক করে ভাইয়ার হাসির রোগ আছে।বড় হয়ে ডাক্তার হয়ে প্রথম ভাইয়ের চিকিৎসা করবো।
আহিল বললো কিরে কোথায় হারালি?

না হারায় নি।তুমি বলো।

আহিল তখন যা বলে তা শুনে নিরব রাগান্বিত হয়ে যায়।সে তা শুনতে মুটেও প্রস্তুত ছিলো না।

চলবে,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে