সন্ধ্যালয়ের প্রণয় পর্ব-২১ এবং শেষ পর্ব

0
1886

#সন্ধ্যালয়ের_প্রণয়
#আফসানা_মিমি
| শেষ পর্ব |
❌[কোনোভাবেই কপি করা যাবে না]❌

পাঁচ বছর পর,

কাল পরিবর্তনে সবকিছুরই পরিবর্তন ঘটেছে। সরকার বাড়ির নামডাক আজ সকলের মুখে মুখে। সরকার বাড়ির প্রধান কর্তা গত বছরই পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ছোট্ট নীলিমা এখন ভার্সিটিতে পড়াশোনা করে। আকাশ তার ভালোবাসার মানুষের সাথে সুখে ঘর করছে। সময় পাল্টেছে, মানুষ এসেছে, আপনজন চলে গিয়েছে। সময়ের শ্রোতে সবকিছুই ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে।

শরতের সতেজ সকালের ঠান্ডা বাতাসে মন ভালো হয়ে গিয়েছে নীরব সরকারের। সরকার বাড়ির বাগানে বসে লম্বা নিশ্বাস নিচ্ছেন। বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে নীরব সরকার একটি বসার টেবিলের ব্যবস্থা করান। চারপাশ পর্যবেক্ষণ করে তিনি সামনের চেয়ারের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলেন,

“কেমন লাগছে, বলো? ও হ্যাঁ তুমি তো আমার সাথে রাগ করেছো। কথা বলবে না। আমি তোমার মান এখনই ভেঙে দিচ্ছি। তোমার প্রিয় কফি আনাচ্ছি।”
কিছুক্ষণ পর আওয়াজ করে আব্দুলকে ডাকেন।
” আব্দুল আমাদের কফি কোথায়?”
” আসছি ছোট সাহেব!”

আব্দুল এবাড়িতে নতুন কাজে নিয়োজিত হয়েছে। তার কাজ শুধুমাত্র সকালের। সবাইকে চা-নাশতা পরিবেশন করায় সে। রোজকারের ন্যায় দুই কাপ কফি হাতে হাজির হয় সে। একটাতে কফি ভর্তি গ্লাস অপরটি খালি। অভ্যাস মোতাবেক ভরা পাত্রটি নীরব সরকারের সামনে রাখে আব্দুল এবং খালি পাত্রটি চেয়ারের সামনে রেখে চলে যেতে উদ্যোগ হয় সে ঠিক তখনই নীরব সরকারের আওয়াজ আব্দুলের কানে ভেসে আসে।

” গর্দভ ছেলে! প্রতিদিনের মতো আজও কফিতে চিনি মিশাতে ভুলে গিয়েছিস। ম্যাডামের গ্লাসে ২ চা চামচ চিনি মিশিয়ে নিয়ে যা।”

আব্দুল মাথাকে হ্যাঁ বোধক ইশারা করে। আড়চোখে নীরব সরকারের দিকে তাকিয়ে চিনির পাত্র থেকে 2 চা চামচ চিনি খালি কাপের পাত্রে ঢেলে মিছিমিছি নাড়াচাড়া করে।

আব্দুল চলে আসে সরকারবাড়ির অভ্যন্তরে। প্রধান ফটকে ঢুকতে যেয়েও দাঁড়িয়ে যায় সে। পিছন থেকে দেখতে থাকে, নীরব সরকার একাকী খালি চেয়ারের সাথে কথা বলছে।

আব্দুল আফসোস করে। আশেপাশে প্রতিবেশীর কাছে শুনেছে, বিগত পাঁচ বছর যাবত নীরব সরকার এভাবে একাকী প্রিয়তমা স্ত্রীর কথা স্মরণ করে একা একাই কথা বলে, একা একা হাসে, আবার একা একা চিৎকার করে কান্না করে। সে ভাবে সুমি তার আশেপাশে আছে, তাকে দেখছে, তার কথা শুনছে। আব্দুলের খুব আফসোস হয়। সে কাঁধের গামছা কোমরে প্যাচিয়ে চলে যায় পরের জনের ফরমান পূরণ করতে।

দোতলার উপরে সন্ধ্যার রুমের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। নিলয়ের হাতে গরম কফির মগ। যার মধ্যে থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। সে এতক্ষণ নীরব সরকারকে দেখছিল। প্রত্যেক মানুষই পৃথিবীতে তার পাসাএর কাজ কিছু হলেও পেয়ে থাকে। নীরব সরকারও পাচ্ছে। নিলয় বিগত পাঁচ বছর যাবত সন্ধ্যার ঘরেই থাকে। সন্ধ্যার গন্ধে মিশে থাকে। সে ভাবে, সন্ধ্যা তাকে ভালো নাই বেসেছিল কিন্তু সন্ধ্যাকে তো সে ভালবেসেছিল! সে সবসময় তার আশেপাশেই থাকতে চায়।
কফির কাপে শেষ চুমুক দিয়ে নিলয় তৈরি হয়ে নেয়। নিলয় আজ সন্ধ্যার কাছে যাবে। সন্ধ্যার সাথে অনেক গল্প করবে, সন্ধ্যার হাসি মাখা মুখখানা দেখবে, সন্ধ্যার মাথার কেশবে হাত বুলাবে। নিলয় আরো ভেবে আপনমনে বলে, আচ্ছা! সন্ধ্যাবতীর চুল আগের মতই আছে নাকি আরো লম্বা হয়েছে? সন্ধ্যা কী আগের মতই স্বাস্থবান আছে নাকি একদম রোগা হয়ে গিয়েছে। কি জানি! নিলয়ের সাথে সন্ধ্যার প্রায় পাঁচ বছর যাবত সাক্ষাতে নেই।

নিলয় আজ নীল পাঞ্জাবি পরেছে, শরীরে সুঘ্রাণযুক্ত পারফিউম লাগিয়েছে, হাতে একটি দামি ঘড়ি পরেছে, চুলগুলো জেল দিয়ে সুন্দর করে সেট করে ঘর থেকে বের হয়ে আসে সে।

বিকেল পাঁচটা বাজে দশ মিনিট। সে লম্বা নিশ্বাস ত্যাগ করে মাথার উপরে লেখা সাইনবোর্ডের দিকে একবার দৃষ্টি ঘুরিয়ে নেয়। বড়ো বড়ো অক্ষরে যেখানে লেখা “ভি আই পি উন্মাদ চিকিৎসালয়।”

নিলয় প্রবেশ করতেই দারোয়ান দাঁড়িয়ে যায়। লম্বা করে জোরে সালাম জানায়। সে জানে তার এই সাহেব খুব দয়ালু। প্রতিবার আসলে হাজার পাঁচশত টাকা দিয়ে যায়।
” কেমন আছো নজরুল?”
” ভালাই আছি সাহেব।”
” সবকিছু ঠিকঠাক আছে তো?”
” সব ঠিক আছে। আপনি ভেতরে যান আমি চা নাস্তা পাঠাইয়া দেই।”
” লাগবে না। আরাম করলেই তার দেখা পাই না।”

নজরুল আরো কিছু বলতে চাইছিল। নিলয়ের সাজসজ্জা চোখে পড়ায় কিছু বলেনি। তার মনে হচ্ছে আজও নিলয় মলিন মুখে বের হয়ে আসবে। বিগত পাঁচ বছর এভাবেই চলছে। নজরুলের মনে আছে পাঁচ বছর আগের সেই দিনটির কথা। যেদিন একজন মানসিক রোগীর সাথে আরেকজন পাগলাটে প্রেমিক পাগলামি করছিল।

সেদিন ছিল শুক্রবার। ভি আই পি উন্মাদ চিকিৎসালয়ের সামনে একটি মাইক্রোবাস এসে দাঁড়ায়। সেখান থেকে দুইজন মহিলা একজন সুন্দর মেয়েকে ধরে নামিয়ে আনে। মেয়েটা তখন একটা কথাই বলছিল, ” আমাকে মে’রে ফেল, আমি আমার মায়ের খু’নে’র অপরাধী। আমি সবার অপরাধী।”

শুধু কথাগুলো বলেই মেয়েটি সেদিন ক্ষান্ত হয়নি। দুজন মহিলার কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে নিজেকে আঘাত করতে থাকে। মাইক্রোবাসের পরপর একটি প্রাইভেট কার এসে থেমেছিল সেদিন এবং সেখান থেকে অগোছালো নিলয় বের হয়েছিল। সকলের সামনে সেই মেয়ে অর্থাৎ সন্ধ্যাবতীকে জড়িয়ে ধরেছিল। বারবার মেয়েটাকে শান্ত করতে চেষ্টা করছিল। নজরুল সেদিন আরেকটু এগিয়ে যায়। ছেলে এবং মেয়ের মধ্যকার সম্পর্ক জানতে চেষ্টা করে। তখন শুনতে পায় নিলয়ের বলা প্রতিটা বাক্য,

” আপনার সব দোষ মাফ মিস ঐরাবতী। আপনি শুধু আমার কাছেই থাকবেন। আপনাকে নিয়ে দূরে চলে যাব। নতুন জীবন তৈরী করব। সন্ধ্যার প্রণয়ে মাতাল হবো।”

সন্ধ্যা সেদিন নিলয়কেনিজের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে চিৎকার করে বলছিল,
” মেরে ফেলব, সবাইকে মেরে ফেলব। আমি অপরাধী, আমাকে শাস্তি দাও। আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছি, আমার আমার,,,,,,

সন্ধ্যা থেমে গিয়েছিল পরমুহূর্তে পাগলের ভতো হাসতে হাসতে বলেছিল, ” রাব্বি তোর জীবন নরক বানাবো। তোকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলাব। তোর বাবাকে খুন করব। আমি সবাইকে মেরে ফেলব।”

সন্ধ্যাকে সেদিন থামানোই যাচ্ছিল না। অবশেষে ডাক্তার এসে সন্ধ্যাকে ইনজেকশন দেয়। ছেলে মানুষের চোখ বেয়ে নাকি অশ্রু ঝড়ে না। নিলয় সেদিন কেঁদেছিল। সন্ধ্যাকে নিজের কাছে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল।
নজরুল অতীতের কথা ভেবে দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করে নিজের কাজে চলে যায়।

———————————

ডাক্তার আয়েশার চেম্বারে নিলয় বসে আছে। ডাক্তার মনোযোগ সহকারে সন্ধ্যার ফাইল দেখছে। পুরো ফাইল দেখার পর তার মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠে।
” অভিনন্দন মিস্টার নিলয়। সন্ধ্যার রিপোর্ট তো অনেক ভালো। সে ৭০% সুস্থ। আপনি চাইলে তাকে বাসায় নিতে পারবেন। তবে!”

” মাঝপথে থেমে যাবেন না ডাক্তার। আমার বিচলীত মনের ধৈর্যের পরীক্ষা আর নিবেন না।”

” সন্ধ্যা হয়তো নিজেই চায় না বাহিরের জগতে ফিরে যেতে।”
” কি বলছেন?”

” সন্ধ্যা সবসময় গম্ভীরমুখী হয়ে থাকে। কারোর সাথে কথা বলতে চায় না। এই সমস্যা শুরু হয়েছে বিগত ছয় মাস থেকে। সন্ধ্যার মেডিকেল রিপোর্ট আমরা স্বাভাবিক পেয়েছি কিন্তু তাকে দেখলে মনে হবে সে ভেতর থেকে অসুস্থ। নিজেকে কোন অপরাধবোধের শাস্তি দিচ্ছে।”

” আমি কী আজ সন্ধ্যাবতীর সাথে দেখা করতে পারব?”

ডাক্তার আয়েশা হাসেন। টেবিলের উপর ফাইল গুছিয়ে বলেন,
” বিগত পাঁচ বছর যাবত তো চেষ্টা করেই যাচ্ছেন। পেরেছেন? অভিভাবকদের আটকানোর দায়িত্ব আমাদের নেই। তবে রোগী যদি না চায় তো কি করার।”

নিলয়ের হাসিমাখা মুখ মলিন হয়ে যায়। বুকে খানিক আশা নিয়ে এগিয়ে যায় সন্ধ্যার সাথে দেখা করবে বলে।
সন্ধ্যার কক্ষের সামনে নিলয় দাঁড়িয়ে। অন্তরে অসহনীয় যন্ত্রণা হচ্ছে তার, হৃদপিন্ড খুব জোরে আওয়াজ করছে, হাত পা কাঁপছে। যদি সন্ধ্যা আজও নিলয়ের সামনে না আসে? আজও নিলয়ের পিপাসু মন তৃষ্ণাহীন অবস্থায় ফিরে আসবে? নাহ! নিলয়ের আর সহ্য হচ্ছে না। নিলয় নিজেকে স্বাভাবিক করে সন্ধ্যাকে দুই তিনবার ডাকে।
” সন্ধ্যা, বিগত পাঁচ বছর নিজেকে অনেক শাস্তি দিয়েছো। আমি তোমাকে নিতে এসেছি।”

অপরপাশে সন্ধ্যা নিশ্চুপ। স্বাস্থ্য সবল মেয়েটাকে দেখতে একদম রোগা মনে হচ্ছে। চোখের নীচের কালো দাগ বলছে, সন্ধ্যা নিজেকে শেষ করা ব্যতীত সকল শাস্তি দিয়েছে। সন্ধ্যা দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। চোখ দিয়ে অজস্র পানি ঝড়ছে। সে তার পাপী মূখখানা নিলয়কে দেখাতে চায় না আর না চায় কথা বলতে। সে জানে নিলয় তাকে অনেক ভালোবাসে। বিগত পাঁচ বছরে সন্ধ্যাকে দেখার জন্য ছটফট করছে কিন্তু সন্ধ্যা তো একজন অপরাধী। নিলয় শাস্তি না দিলেও সে শাস্তিপ্রাপ্ত। তাই তো নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে সুস্থ হওয়ার পর থেকে।
সন্ধ্যার প্রত্যুত্তর না পেয়ে নিলয় আবারো বলে,
” দাদাজান বেঁচে নেই সন্ধ্যা। উনি মৃত্যুর আগে তোমাকে অনেক দেখতে চেয়েছিলেন। তখন তুমি অসুস্থ ছিলে। আগামী সপ্তাহে দাদাজানের মৃত্যুবার্ষিকী। তুমি সেখানে থাকবে না?”

নিলয় দুই ঘণ্টা সন্ধ্যার জন্য অপেক্ষা করে। সন্ধ্যা আসে না। সে প্রতিবারের মত এবারও মলিন মুখে ফিরে আসে উন্মাদ চিকিৎসালয় থেকে।
———————————

রাত সাতটা বাজে ত্রিশ মিনিট। নিলয় ছাদে দাঁড়িয়ে দূর নীলিমায় তারা গণনার বৃথা চেষ্টা করছে। নিলয় ছাদের সেই প্রান্তে এসে দাঁড়ায় সেখানে বসে সন্ধ্যার সাথে শত শত গল্প করেছে। আপাতত নিলয় কিছুই করতে চাইছে না। সন্ধ্যার ভাবনায় ডুব দিবে। মনের মতো সন্ধ্যাকে সাজাবে। নিলয়ের ভাবনায় ডুব দেওয়া কেউ হয়তো পছন্দ করেনি তাইতো এই সময়ে তার মুঠোফোন বেজে উঠে। নিলয় বিরক্ত হয় বটে! ফোনের দেয়ালে নজরুল নামটা জ্বল জ্বল করে উঠে। নিলয় স্বাভাবিক, তার কাছে মনে হচ্ছে কোন সুখবর আছে। ফোন রিসিভ করে কানে নিতেই নজরুলের আতঙ্ক ভরা স্বর শুনতে পায় সে,

” সাহেব সব শেষ। সব শেষ সাহেব!”
নিলয় ঘাবড়ে যায়। বিচলিত কন্ঠস্বরে প্রত্যুত্তরে বলে,
” কী হয়েছে? সন্ধ্যা ঠিক আছে?”
নিলয়ের কথায় নজরুলের বিলাপ শুরু হয়। সে বলে,
” শুধু ম্যাডাম না সাহেব! আমার সামনে বড়ো বড়ো আগুনের ফুলকি উড়ছে। ভেতর থেকে সবার আর্তনাদ, চিৎকার কানে আসছে।”

নিলয় ফোন কেটে দেয়। তাৎক্ষনিক রওনা দেয় উন্মাদ চিকিৎসালয়ের উদ্দেশ্যে। নিলয় যতক্ষণে সেখানে পৌঁছে ততক্ষণে সব শেষ। অ্যাম্বুলেন্সের ভীড় জমা পড়েছে, সাংবাদিকদের সংবাদ আদান প্রদানের কাজ চলছে। কেউ বেঁচে নেই। সন্ধ্যা সহ সত্তরজন নিহত হয়েছে। প্রিয়জনদের আর্তনাদে উন্মাদ চিকিৎসালয় শ্মশানে পরিনত হয়েছে। নিলয়ের সামনে সব অন্ধকার হয়ে আসছে। এখান থেকে ঐখানে, এপাড় থেকে ঐপাড়ে দৌঁড়াচ্ছে সে। একমাত্র নজরুলকে অক্ষত অবস্থায় দেখতে পায়। নেলয়কে দেখে ছেলেটা হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে বলে,
“আমার সামনে সবাই মরে গেল স্যার! আমি বাঁচাইতে পারি নাই, আমি বাঁচাইতে পারি নাই।”

নিলয় হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে। চিৎকার করে বলে,
” ফিরে এসো সন্ধ্যাবতী! আমি আরো একবার সন্ধ্যালয়ের প্রণয়ে ডুবে যেতে চাই। সন্ধ্যাহীন নিলয়ের বেঁচে থাকা বৃথা।”

অদূরে কারো মুখে হাসির রেখা ফোটে উঠে। কেউ একজন সরকার বাড়ির ভাঙন দেখে খুশি হয়েছে। সে যেন এমন সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। সন্ধ্যার পরিবারের বিন্যাস দেখে অট্টহাসি হেসে বলে,
” আমি ফিরে এসেছি।”

সমাপ্ত

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে