শেষ_পর্যন্ত পার্ট: ২২

0
1887

শেষ_পর্যন্ত

পার্ট: ২২

লেখিকা: সুলতানা তমা

সকালে হঠাৎ চোখেমুখে পানির ছিটায় ঘুম ভেঙে গেলো, ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখি নীলিমা পানির গ্লাস হাতে নিয়ে হাসছে। তাড়াতাড়ি উঠে বসে চারদিকে চোখ বুলালাম, যাক বাবা আশেপাশে আলিফা নেই। এই দৃশ্য যদি ও দেখতো তাহলে আজ আমার কপালে দুঃখ ছিল।
নীলিমা: আমি তো ভেবেছিলাম রাতে ভাবিকে আমার কাছে নিয়ে যাওয়াতে তোমার বুঝি ঘুমই আসবে না কিন্তু তুমি তো দিব্বি ঘুমাচ্ছিলে (কথাগুলো বলেই আবার হাসতেছে। ছোটমা কষ্ট পাবে ভেবে কিছু বলছি না নাহলে রাতে যখন আমাদের রোমান্স মাটি করে দিয়ে আলিফাকে ডেকে নিয়ে গেছিল তখনি বুঝাতাম)
নীলিমা: কথা বলছ না কেন, ব্যাপার কি মনে হচ্ছে বউয়ের জন্য টান নেই
আমি: আগে ঘুম তারপর বউ
নীলিমা: দেখো কখনো আবার বলো না আগে বউ তারপর সব
আমি: তোর এতো পাকনামি করতে হবে না, আলিফা কোথায়
নীলিমা: আছে হয়তো নিচেই
আমি: হুম তুই যা আমি আসছি
নীলিমা: ওকে।

আলিফা রান্না করছে দেখেই তো দুষ্টুমি করতে ইচ্ছে হচ্ছে, আজ তো কোনো বাধা নেই আলিফা তো এখন আমায় ভালোবাসে। রান্নাঘরে গিয়েই আলিফাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরলাম।
আলিফা: কি হচ্ছে রিফাত বাসায় নীলিমা আছে
আমি: তাতে আমার কি আমি তো অন্য কারো বউকে আদর করছি না নিজের বউকেই করছি
আলিফা: ছাড়ো নাহলে কিন্তু ভালো হবে না
নীলিমা: ভাবি (নীলিমার ডাক শুনে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিলাম উফফ সবসময় ও আমাদের রোমান্সে বাধা দিচ্ছে)
আলিফা: হ্যাঁ এসো (আমার দিকে তাকিয়ে একটা ভেঙছি দিলো)
নীলিমা: খাবার গুলো আমি টেবিলে নেই
আলিফা: আমি নিয়ে নিবো সমস্যা নেই
আমি: একটু কাজ করতে দাও বাড়িতে তো ছোটমা সব করে আর ও বসে বসে খেয়ে মোটা হচ্ছে
নীলিমা: কি আমি মোটা
আমি: না তো তুই খুব সুন্দর (যাক বাবা কি এমন বললাম নীলিমা আমার দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে, আলিফাও রেগে গেছে)
এখানে থাকা আর ঠিক হবে না আমি বরং চলে যাই।

খেতে খেতে আলিফার দিকে লক্ষ করছি কিন্তু আলিফা লক্ষ করছে নীলিমার আমার দিকে চাহনি। উফফ এই নীলিমা আমার দিকে এভাবে কেন তাকায়, ও যেভাবে তাকায় তাতে যেকোনো বউ রাগ করবে, আলিফার রাগ করা তো স্বাভাবিক।
নীলিমা: ভাইয়া একটা কথা ছিল
আমি: বল
নীলিমা: আসলে আগামীকাল তো তোমার জন্মদিন তাই তোমাকে জিজ্ঞেস না করেই একটা কাজ করে ফেলছি
আলিফা: কি কাল তোমার জন্মদিন আর আমি জানি না
আমি: তোমাকে জানানোর সুযোগ কোথায় হলো প্লিজ রাগ করোনা
নীলিমা: আরে আবার তোমরা ঝগড়া শুরু করে দিয়েছ আমাকে পুরো কথাটা তো বলতে দাও
আমি: হুম বল
নীলিমা: তোমাকে না জিজ্ঞেস করে আমি পার্টির আয়োজন করে ফেলেছি, আমার সব ফ্রেন্ডসদের আজকে রাতে ইনভাইটও করে ফেলেছি
আমি: মানে কি এতো কিছু করার আগে আমাকে একবার জিজ্ঞেস করবি না। তুই জানিস না আমার জন্মদিনে আমি কোনো পার্টি করি না এতিমখানায় বাচ্চাদের জন্য খাবার নিয়ে যাই।
নীলিমা: ভাইয়া প্লিজ আমার মনে ছিল না সবাইকে ইনভাইট করার পর মনে পড়েছে, প্লিজ রাগ করো না আমি তো কাল চলেই যাবো এই কথাটা রাখো প্লিজ
আলিফা: কি তুমি কাল চলে যাবে
নীলিমা: হ্যাঁ, ভাবি প্লিজ ভাইয়াকে বলো আমার এই রিকুয়েস্ট’টা রাখতে প্লিজ
আলিফা: ঠিক আছে পার্টি হবে
আমি: আলিফা….
আলিফা: থাক না রিফাত একটু সময়ের ব্যাপার
আমি: হুম।

রুমে এসে পায়চারী করছি আর ভাবছি আলিফার মাথায় আসলে কি চলছে, ও নীলিমার কথায় রাজি হয়ে গেলো কেন। যে মেয়ে নীলিমাকে সহ্য করতে পারে না সে নীলিমার কথায় রাজি হয়ে গেলো ভাবতেই তো অবাক লাগছে। হঠাৎ আলিফা এসে আমার শার্টের কলার ধরে চিৎকার শুরু করলো।
আলিফা: তোমার জন্মদিন অথচ আমি জানিনা আর ওই মেয়েটা জানে
আমি: ও আমাদের পরিবারের একজন তাই আগে থেকে জানে
আলিফা: আর আমি তোমার পরিবারের একজন না হুম
আমি: হ্যাঁ তুমিও এই পরিবারের একজন তবে নতুন তাই জানো না প্লিজ আর রাগ করোনা
আলিফা: যাও মাফ করে দিলাম
আমি: মাফ চাইলাম না অথচ মাফ করে দিলা
আলিফা: হিহিহি
আমি: ছাড়াচ্ছি হাসি।
আলিফাকে জরিয়ে ধরে আস্তে আস্তে ওর ঠোঁটের দিকে আমার ঠোঁট এগুচ্ছি তখনি নীলিমা এসে হাজির।
নীলিমা: এই সরি সরি আমার নক করে আসা উচিত ছিল
আমি: রোমান্সটা যখন মাটি করেই দিলি তখন বলে ফেল কেন এসেছিস
নীলিমা: না থাক পরে আসবো যাই।
নীলিমা যাওয়ার সময় আবার আমার দিকে তাকালো, উপরে হাসলেও ওর চোখে মুখে বিরক্তির চাপ। মনে হচ্ছে ও আমাদের এই অবস্থায় দেখতে চায়নি, তাহলে কি আলিফার সন্দেহ ঠিক। আলিফার দিকে তাকালাম জানালার কাছে দাঁড়িয়ে আছে ও কি বিষয়টা লক্ষ করেছে নাকি করেনি।
আমি: আলিফা একটা বিষয় লক্ষ করেছ
আলিফা: কি (তারমানে ও তখন নীলিমার দিকে তাকায়নি, থাকুক আর বলে ওর মন খারাপ করাই না)
আমি: না কিছু না
আলিফা: আচ্ছা কাল তো তোমার জন্মদিন আমাকে কি গিফট দিবে
আমি: জন্মদিন আমার আর গিফট নিবে তুমি
আলিফা: হ্যাঁ বলো কি দিবে
আমি: যখন দেই তখন নাহয় বলবো, তবে এইটুকু জেনে রাখো কাল তোমাকে অনেক বড় একটা গিফট দিবো
আলিফা: দেখা যাবে, ফোন বাজছে যাও রিসিভ করো
আমি: ফোন যে বাজছে লক্ষই করিনি।

তাড়াতাড়ি ফোনটা আনলাম ছোটমা ফোন দিয়েছে, রিসিভ করলাম।
আমি: হ্যাঁ ছোটমা
ছোটমা: এক কাজ কর আলিফা নীলিমাকে নিয়ে বাসায় চলে আয় আমরা এখানেই আছি
আমি: বাসায়
ছোটমা: হ্যাঁ আমতা আমতা করছিস কেন
আমি: আসলে ছোটমা একটু সমস্যা হয়ে গেছে তুমি বাসায় বলো না
ছোটমা: কি হয়েছে
আমি: নীলিমা একটা পার্টির আয়োজন করেছে আজ আসতে পারবো না। প্লিজ বাসায় কাউকে বলোনা।
ছোটমা: ঠিক আছে সকালে চলে আসিস
আমি: ওকে ছোটমা।

আলিফা সাজছে আর আমি বসে বসে দেখছি। পার্টি যখন ভালো লাগে না নিজের বউ কেই দেখি তাহলে। অবশ্য ওকে দেখলে আর অন্য কিছুর প্রয়োজন হবে না, ওকে দেখেই কাটিয়ে দেয়া যাবে হাজারটা শতাব্দী।
আলিফা: এভাবে কি দেখছ
আমি: দেখছি আবার সাথে ভাবছিও
আলিফা: কি
আমি: ভাবছি আয়নায় তোমাকে এতো সুন্দর লাগে কিন্তু আমার সামনে দাঁড়ালে তোমাকে পেত্নীর মতো লাগে কেন
আলিফা: কি বললে
আমি: এমনি বলেছি আর মেরো না প্লিজ।
আলিফা আমার কোনো কথাই শুনছে না বালিশ দিয়ে একের পর এক বারী দিচ্ছে। পাগলী অনেক ক্ষেপে গেছে থামাতে হবে।
বালিশটা ওর হাত থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে ওকে জরিয়ে ধরলাম। একটু আগের চঞ্চল মেয়েটা নিশ্চুপ হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
আমি আস্তে আস্তে গিয়ে ওর দুইটা ঠোঁটে আমার ঠোঁট ডুবিয়ে দিলাম।
আলিফা: উহহ ছাড়ো
আমি: কেন
আলিফা: দিলে তো আমার সাজটা নষ্ট করে
আলিফা: কিচ্ছু নষ্ট হয়নি শুধু লিপস্টিকটা নাই হয়ে গেছে হাহাহা
আলিফা: ফাজি ছেলে
আমি: আবার লিপস্টিক দিলে আবার খাবো
আলিফা: আর সুযোগ দিচ্ছি না
আমি: দেখা যাবে
আলিফা: হুহ।

নীলিমা বলেছিল ছোট একটা পার্টির আয়োজন করেছে আর ওর কয়েকজন ফ্রেন্ডসদের ইনভাইট করেছে কিন্তু এখন তো দেখে অনেক বড় মনে হচ্ছে। নীলিমার এতো ফ্রেন্ডস তাও শহরের কিভাবে সম্ভব ও তো গ্রামে থাকে। নীলিমার কাজ কর্ম সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
নীলিমা: ভাইয়া এখানে একা দাঁড়িয়ে কি করছ ভাবি কোথায়
আমি: আসছে
নীলিমা: তুমি চলো কেক কাটবে আমি ভাবিকে ডেকে আনছি
নীলিমা: হুম।

কেক কেটে প্রথম আলিফাকে খাওয়াতে যাবো নীলিমা আমার হাত ধরে নিজের মুখে কেক নিয়ে নিলো। আশ্চর্য তো, এতো গুলো মানুষের সামনে তাই রাগ দেখালাম না আলিফাও রাগ করলো না।
নীলিমা: ভাইয়া চলো আজ তোমার সাথে ডান্স করবো
আমি: এসব পার্টি ডান্স আমি পছন্দ করিনা
নীলিমা: চলো তো দেখবে ভালো লাগবে (আমার হাত ধরে টানছে দেখে আলিফা এসে নীলিমার হাত সরিয়ে দিলো)
আলিফা: ও তো বলেছে ডান্স পছন্দ করে না আর যদি করতেই হয় আমি তো আছি ওর স্ত্রী
নীলিমা: হুম
আলিফা: তোমাকে আগেই বলেছিলাম এই মেয়ে বজ্জাতের হাড্ডি দেখেছ কেমন রাগ দেখিয়ে চলে গেলো
আমি: তুমিই তো ওর কথায় রাজি হয়ে গেলে নাহলে এসব পার্টি হতো নাকি
আলিফা: ও কাল চলে যাবে এই খুশিতেই তো আমি মেনে নিয়েছিলাম
আমি: যা হবার হয়ে গেছে আর একটু সময়
আলিফা: হুম চলো ডান্স করি
আমি: এই পাগলী এসব আমার ভালো লাগে না
আলিফা: তো এখানে বসে থাকবো নাকি।
“কে বলেছে বেবি তোমাকে বসে থাকতে হবে ও তোমার সাথে ডান্স না করলে কি হয়েছে আমি তো আছি” কথাটা শুনে দুজনেই অবাক হয়ে সামনে তাকালাম। একটি ছেলে নীলিমার ফ্রেন্ড হবে হয়তো, কিন্তু এতো অসভ্য ছেলে নীলিমার ফ্রেন্ড।
ছেলেটা আলিফার হাত ধরে টানছে ইচ্ছে তো হচ্ছে এখানেই খুন করে ফেলি কিন্তু নীলিমার ফ্রেন্ড তাই বেশি কিছু করা যাবে না। ছেলেটার হাত আস্তে সরিয়ে দিয়ে নীলিমাকে ডাকলাম।
নীলিমা: কি হয়েছে ভাইয়া
আমি: তোর এই ফ্রেন্ডকে এখান থেকে নিয়ে যা নাহলে কিন্তু
আলিফা: রিফাত আমি কথা বলছি মাথা গরম করো না।
নীলিমা ছেলেটাকে নিয়ে চলে গেলো, আর একটু হলে তো ওকে আমি খুনই করে ফেলতাম। অসভ্য ছেলে কোথাকার।

আলিফা আর আমি দাঁড়িয়ে গল্প করছি, নীলিমা এসে পাশে দাঁড়ালো হাতে গ্লাস।
নীলিমা: ভাইয়া এইটা খাও মাথা ঠান্ডা হয়ে যাবে
আমি: নীলিমা তুই কি পাগল হয়ে গেছিস আমাকে কখনো ড্রিংক করতে দেখেছিস
নীলিমা: না আসলে তুমি রেগে আছ তাই….
আমি: আমার কথা ছাড় তুই কি ড্রিংক করিস নাকি
নীলিমা: না না এসব তো আমার ফ্রেন্ডসদের জন্য
আমি: ঠিক আছে
নীলিমা: তুমি দাঁড়াও আমি আমাদের তিনজনের জন্য জোস নিয়ে আসছি।

নীলিমা হাতে জোসের গ্লাস নিয়ে আমাদের দিকেই আসছে, আজব মেয়ে তো ও। দেখে বুঝার উপায় নেই ও যে গ্রামের মেয়ে।
নীলিমা: জোস খেতে তো সমস্যা নেই নাও
আলিফা: জোস খেতে সমস্যা হবে কেন আমি তো জোস খুব পছন্দ করি (নীলিমার হাত থেকে গ্লাস নিয়ে একবারেই খেয়ে নিলো। আমি গ্লাসে চুমুক দিতে যাবো আমার হাত থেকে গ্লাস কেড়ে নিয়ে এটাও একবারে খেয়ে নিলো)
নীলিমা: ভাইয়া তুমি আমারটা নাও আমি আমার জন্য আবার নিয়ে আসছি
আমি: ওকে।
অর্ধেক জোস খেতেই মাথা কেমন যেন জিমজিম করছে, আলিফার দিকে তাকালাম ওর তো আমার থেকে খারাপ অবস্থা। আলিফা দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না আমাকে এসে জরিয়ে ধরলো।
আলিফা: রিফাত চলো না ডান্স করি (আরে ও তো পুরো মাতালের মতো কথা বলছে, তাহলে কি জোসে….) নীলিমা: ভাইয়া ভাবিকে সোফায় শুইয়ে দাও তো চলো আমরা ডান্স করি
আমি: আমার মাথা খুব যন্ত্রণা করছে দাঁড়াতে পারছি না আর তুই আছিস ডান্স নিয়ে। (কলিংবেল বাজছে এতো রাতে কে আসলো আবার)

আলিফাকে নিয়ে সোফায় বসে আছি, নীলিমা গিয়ে দরজা খুলে দিলো। ছোটমা এতো রাতে এই বাসায়।
ছোটমা: রিফাত এসব কি হচ্ছে এখানে
আমি: তোমাকে তো সকালে বলেছিলাম
ছোটমা: রিফাত তুই ড্রিংক করেছিস
আমি: নাতো আমি তো জোস খেয়েছি
ছোটমা: হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি তুমি কোন জোস খেয়েছ, বৌমার তো দেখছি একি অবস্থা ও ড্রিংক করেছে নাকি।
আমি: না তো নীলিমা আমাদের জোস খাইয়েছে
ছোটমা: সন্ধ্যার পর থেকেই আমার মনে হচ্ছে এই মেয়ে কিছু একটা প্ল্যান করেছে তাইতো এতো রাতে ছুটে আসতে হয়েছে আমাকে
নীলিমা: কে বলেছিল তোমাকে আসতে, এসে দিলে তো আমার সব প্ল্যান নষ্ট করে। (ওদের আর কোনো কথা আমার কান দিয়ে ঢুকছে না, মাথা খুব যন্ত্রণা করছে)
ছোটমা: রিফাত আলিফাকে নিয়ে রুমে যা
নীলিমা: আম্মু প্লিজ আমার সব প্ল্যান এভাবে নষ্ট করে দিও না
ছোটমা: একদম চুপ, রিফাত যা তুই।
আলিফাকে নিয়ে উঠে দাঁড়ালাম কিন্তু দাঁড়াতে পারছি না। আলিফা সমানে বলে যাচ্ছে “ডান্স করবো ডান্স করবো”
ছোটমা আমাদের দুজনকে রুমে দিয়ে গেলেন।

কোনো ভাবে দরজা লাগিয়ে বিছানায় দফ করে শুয়ে পড়লাম। আলিফা এসে আমাকে জরিয়ে ধরলো। ও তো পুরো মাতাল হয়ে গেছে আমি তো কমই খেয়েছি।
আলিফা: রিফাত একটা সত্যি কথা বলবো
আমি: হ্যাঁ বলো আমি জানি নেশার ঘোরে সবাই সত্যি কথাই বলে
আলিফা: আমি তোমাকে সত্যি ভালোবেসে ফেলেছি, আআমি… (নেশা ভালোই হয়েছে ওর আর কথাই বলতে পারছে না)
উফফফ মাথাটা কেমন যেন করছে আর কিছু ভাবতে পারছি না। আলিফা আমাকে জরিয়ে ধরে আছে দেখে আমিও ওকে জরিয়ে ধরলাম। আলিফার মুখে গলায় চুমুয় চুমুয় ভরিয়ে দিচ্ছি, আলিফা আমার চুল খামছে ধরে আমার ঠোঁটে ওর ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।

চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে