শুভ্র নীলের প্রেমপ্রহর পর্ব-০৪

0
1912

#শুভ্র_নীলের_প্রেমপ্রহর
লেখক- এ রহমান
পর্ব ৪

‘ঈশার বয়ফ্রেন্ড’ কথাটা মধ্য রজনীর নিস্তব্ধ প্রহরে ঝমঝম করে বেজে উঠল। পুরো শহর যেখানে ঘুমের রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে সেখানে কয়েকজন রাত পাখি নিজেদের সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে ব্যস্ত। মধ্য রাতে ছাদে মাদুর পেতে বসেছে এক ঝাক পাখি। গল্প আড্ডা খুনসুটিতে মেতে উঠেছে আশে পাশের পরিবেশ। তাদের এই মত্ত পরিবেশ দেখে অন্ধকারাচ্ছন্ন রাতের প্রাণহীন পরিবেশটাও খিলখিল করে হেসে উঠছে। ঈশানের জন্মদিন উপলক্ষে সারপ্রাইজ পার্টির শেষে তাদের বাড়ির ছাদে চলছে মাঝরাত পর্যন্ত আনন্দ উৎসব।

“আমি তোমাকে অসংখ্যভাবে ভালবেসেছি, অসংখ্যবার ভালবেসেছি। এক জীবনের পর অন্য জীবনেও ভালবেসেছি। বছরের পর বছর, সর্বদা, সব সময়ে।“

কথাগুলো অতি বিস্ময়ে পড়া শেষ করে কাগজটা হাতে তুলে নিয়ে ঈশার দিকে তাকাল ইলু। গম্ভির সরে বলল
–তোর বয়ফ্রেন্ড আছে?

ঈশা তখন মাথা তুলে মধ্য রাতের আকাশে তারা গুনতে ব্যস্ত। ইলুর কথা শুনে হকচকিয়ে গেল। তার দিকে তাকিয়ে মৃদু সরে বলল
–আমার আবার বয়ফ্রেন্ড কোথায়? আছে নাকি? জানতাম না তো।

ইলু হাতের কাগজটা উচু করে ধরে সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল
–তাহলে এটা কি? তোর পড়ার টেবিল থেকে আবিষ্কৃত এই আবেগময় লেখাটা নিশ্চয় আমার না। আর এরকম ভাবে প্রেম করার মত কেউ এখানে উপস্থিত নেই। আর এটাও বলতে পারবি না যে তুই লিখেছিস। কারন তোর হ্যান্ড রাইটিং আমি চিনি।

ঈশা অপ্রস্তুত হয়ে গেলো বেশ। সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। সবার দিকে একবার চোখ চালিয়ে কাগজটা নিতে হাত বাড়াল। তার আগেই ঈশান ছিনিয়ে নিলো সেটা। মনোযোগ দিয়ে দেখছে সে। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে চেষ্টা করছে কার লেখা। অনেকক্ষণ পর্যবেক্ষণের পর কিছুই বুঝতে না পেরে হার মেনে দমে গেলো। হতাশ হয়ে ঈশার দিকে তাকিয়ে বলল
–আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না। এসব কি ঈশা?

ঈশা নড়েচড়ে বসলো। একটু ঝাঝাল কণ্ঠে বলল
–কি যা তা বলছ? এটা আমার না।

ইরিনা মাথাটা একটু এগিয়ে এনে বলল
–আচ্ছা মানলাম তোর না। আর তুই জানিসও না তোকে কে দিয়েছে? কিন্তু কেউ তো একজন তোকে দিয়েছে। সেই ব্যক্তিটা কে?

–আমি কিভাবে বলব কে? আমি তো কিছুই জানিনা। আর ইলু আপু যে এটা আমার টেবিলে পেয়েছে আমি সেটাও জানতাম না। তোমাদের মতো আমিও এখনি জানলাম।

সবার সন্দিহান দৃষ্টি পর্যবেক্ষণ করে ঈশা বুঝতে পারল তার এই যুক্তি কারো কাছেই গ্রহনযোগ্য হয়নি। অসহায় কণ্ঠে আবার বলল
–বিশ্বাস কর। আমি এসবের কিছুই জানিনা।

ঈশার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে সবাই আবার কাগজটার দিকে মনোযোগ দিলো। পিনপতন নিরবতার মাঝেই ইফতি হঠাৎ চেচিয়ে বলল
–আরে আমি জতদুর জানি এটা ইভান ভাইয়া লিখেছে। কারন হ্যান্ড রাইটিং একদম মিলে যাচ্ছে। এটা ইভান ভাইয়ারই লেখা।

–হোয়াট?

সবাই একসাথে চেচিয়ে উঠল। সব মাথা এক জায়গায় জমা হল। কথাটা সবার কাছে কেমন অবিশ্বাস্য। আবার পরিবেশ থমথমে হয়ে উঠল। সবার থেকে বেশী অবাক হয়েছে ঈশা। ইফতির কথা অনুযায়ী যদি সত্যি সত্যি এটা ইভানের লেখা হয়ে থাকে তাহলে তার কি ধরনের রিয়াকশন দেয়া উচিৎ সেটা ভেবেই অকুল দরিয়ায় হাবুডুবু খেতে লাগল ঈশা। মাথা ভনভন করছে তার। বয়ফ্রেন্ড শব্দটা শোনার পরেও ততোটা শক খায়নি যতটা ইফতির কথা শুনে খেয়েছে। শুন্য মস্তিষ্ক নিয়ে পলকহীন চোখে কাগজটার দিকে তাকিয়ে থাকল। গোছানো চিন্তা ভাবনা সব এলোমেলো লাগছে তার।

–ইভান ভাইয়া কোথায়?

–আমাদের বাসায় গেছে। আম্মু ফোন করেছিল ইরা ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি করছে তাই তাকে আনতে গিয়েছে।

ইরিনার প্রশ্নের উত্তরে আনমনেই কথা গুলো বলে থামল ঈশা। ইরা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছিল। হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যেতে উঠে দেখে ঈশা বাসায় নেই। তখন কান্নাকাটি করে। ঈশার মা তাকে থামাতে না পেরে ইভান কে ফোন দেয় তাদের কাছে নিয়ে যেতে। আর তাকে নিতেই যায় ঈশাদের বাড়িতে। ইফতি এবার অবাকের রেশ টেনে বলল
–ঈশা আপুর বয়ফ্রেন্ড নাহলে তাহলে ইভান ভাইয়া কি তার গার্ল ফ্রেন্ডের জন্য লিখেছে?

সবাই ইফতির দিকে তাকাল। আবার নিস্তব্ধ হয়ে গেলো চারপাশ। এবারের বিষয়টা আরও অসম্ভব। এ জিবনেও ইভানের গার্ল ফ্রেন্ড আছে সেটা যে কেউ মানতে নারাজ। ঈশা মোটামুটি আহত হল। অতি বিস্ময়ের মাঝে এখন প্রচণ্ড মন খারাপ হানা দিলো। বিষয়টা মানা এতো সহজ না। আবার সোনিয়ার বিষয়টাও মাথায় ঢুকে গেলো। সব মিলে কেমন জানি তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। ভাবনার মাঝেই সিঁড়িতে পায়ের আওয়াজ পেয়ে সবাই বুঝে গেলো ইভান আসছে। সেদিকে সব দৃষ্টি স্থির করল। ইভান ইরাকে কোলে নিয়ে এসে মাদুরের উপরে বসে পড়ল। কারো দিকে তাকাল না। ইরার হাতে থাকা চকলেট টা খুলে হাতে ধরিয়ে দিলো। ইরা চকলেটটা নিয়ে দুই হাতে ইভানের গলা জড়িয়ে ধরে গালে একটা চুমু দিলো। ইভান ইরার দিকে তাকিয়েই বলল
–একটা চকলেটের জন্য এতো ভালবাসা! মেয়ে মানুষ একটুতেই এমন গলে যায় ধারনা ছিলনা। আমি তো ভেবেছি আমার বউকে প্রতিদিন রাতে একটা করে চকলেট দিবো। না জানি কত আদর করবে।

ইভানের কথা শেষ হতেই চারিদিকে হাসির রোল পড়ে গেলো। কথা শেষ করেই ঈশার দিকে তাকাল ইভান। কিন্তু ঈশার কঠিন দৃষ্টি দেখে ভ্রু কুচকে নিলো। হাজার প্রশ্ন সেই দৃষ্টিতে। ইভান বুঝতে না পেরে পিছনে ঘুরে তাকাল। সবাই ততক্ষনে হাসি থামিয়ে ইভানের দিকে তাকিয়ে আছে। ইভান ভ্রু কুচকে বলল
–কি হয়েছে? এভাবে কেন দেখছিস?

–তোমার গার্ল ফ্রেন্ডের নাম কি ইভান ভাইয়া?

ইলুর কথাটা কানে আসতেই ইভানের মুখভঙ্গি পরিবর্তন হয়ে গেলো। কপালের ভাজ সোজা হয়ে গেলো। চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইভান। কিছুক্ষন ওভাবে তাকিয়ে থেকে বলল
–থাপ্পড় খাওয়ার ইচ্ছা আছে?

ইলু মুহূর্তেই ইভানের থেকে সরে বসলো। দূর থেকেই ঈশানের হাতের কাগজটার দিকে তাক করে নিচু কণ্ঠে বলল
–ঐটা তাহলে কার? কার জন্য লিখেছ।

ইভান ভ্রু কুচকে কাগজটার দিকে তাকাল। হাত বাড়াতেই ঈশান তার হাতে দিয়ে দিলো। সবাই ইভানের দিকে কৌতূহলী চোখে তাকিয়ে আছে। অপেক্ষা করছে উত্তরের। ইভান কাগজটার দিকে তাকিয়ে বলল
–কই পেয়েছিস এটা?

ইলু দূর থেকেই আমতা আমতা করে বলল
–ঈশার টেবিলে।

ইভান চোখ তুলে ঈশার দিকে তাকাল। তার দৃষ্টির কোন পরিবর্তন হয়নি। ইফতি এগিয়ে এসে বলল
–এটা কার ইভান ভাইয়া? তোমার গার্ল ফ্রেন্ডের জন্য?

ইভান তার দিকে তাকিয়ে বলল
–আমার গার্ল ফ্রেন্ডকে দেখেছিস?

ইফতি না সুচক মাথা নাড়াল। ইভান ধমকে উঠল
–তাহলে বারবার একি কথা বলছিস কেন? যা নেই তা নিয়ে এতো মাথা ব্যাথার কারন কি?

–তাহলে কি ঈশার জন্য লেখা?

ইরিনা থেমে থেমে কথাটা বলতেই পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠল। ঈশা চমকে উঠে কঠিন দৃষ্টিতে ইরিনার দিকে তাকাল। সবাই এবার ইভানের দিকে তাকিয়ে আছে। ইভান ভ্রু কুচকে ঈশার দিকে তাকিয়ে বলল
–তুই আমার অগোচরে ঘরে এসে এসব চুরি করিস? কি আজব অবস্থা! ব্যক্তিগত কোন কিছুই সেফ না। এখন তো নিজেকে নিয়েই টেনশন হচ্ছে। রাতে ঘুমাব আর সকালে উঠে দেখব পাশের বাড়িতে! কখন আমার ঘর থেকে আমাকেই চুরি করে নিয়ে যাবে।

হো হো করে সবাই হেসে উঠল। কিন্তু ঈশার মেজাজ চরম খারাপ হল। কথাটা যে তাকে উদ্দেশ্য করে বলা সেটা বুঝতে পেরেই তেতে উঠে বলল
–সিরিয়াসলি! এখন এসব চুরি করার অপবাদও ঘাড়ে নিতে হচ্ছে? এটা কোন চুরি করার জিনিস? এটা শোনার পর আমার মনে হচ্ছে উপর থেকে মই নামুক আর আমি উপরে উঠে যাই।

সবাই আরেক দফা হেসে উঠতেই ইভান বলল
–এটা চুরি করার মতো জিনিস। অবাক হওয়ার কিছুই নাই। চোখে না দেখা সব থেকে মুল্যবান জিনিসটা মনটাই চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে আর এসব! খুব সাভাবিক ব্যপার। তোর দারাই সম্ভব।

ঈশা আরও বেশী রেগে বলল
–দেখ ইভান ভাইয়া। তোমার কোন কিছু চুরি করার ইচ্ছা আমার নাই। আর সব থেকে বড় কথা হচ্ছে প্রয়োজন নাই। আমার যা লাগবে সেটা নিজের অধিকার বসত নিয়ে আসব। কেউ আটকাতে পারবে না।

সবাই হাসাহাসি নিয়ে ব্যস্ত ছিল বলে ঈশার কথা তেমন গুরুত্ত দিলো না। কিন্তু ইভান অমায়িক হেসে তাকাল ঈশার দিকে। ঈশা প্রথমে কিছু বুঝতে না পেরে পরে নিজের বোকা বোকা কথার প্রেক্ষিতে প্রচণ্ড লজ্জা পেল। চোখ নামিয়ে নিলো। এতক্ষন ইরা চুপচাপ চকলেট খাচ্ছিল। ইভানের হাতের কাগজটা নিয়ে মনোযোগ দিয়ে দেখতে দেখতে বলল
–দেখি! দেখি!

সবাই তার দিকে তাকাল। মাত্র পড়ালেখা শিখছে সে। বানান করে পড়তে পারে অনেকটা। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বলল
–এটা তো ইভান ভাইয়ার ঘরে ছিল। আমি পড়তে পারছিলাম না তাই নিয়ে এসেছি বাসায়। ঈশা আপুকে পড়তে দিবো। কিন্তু আপু ছিলনা বলে টেবিলে রেখেছিলাম।

ইরার কথা শুনে সস্তির নিশ্বাস ফেলল সবাই। কিন্তু পরক্ষনেই আবার থম্থমে পরিবেশে ইরিনা চিন্তিত ভঙ্গিতে বলল
–তাহলে কাকে উদ্দেশ্য করে লেখা? এখন তো রহস্যের কিনারা হল না।

ইভান কঠিন দৃষ্টিতে তাকাল তার দিকে। গম্ভির গলায় বলল
–তোরা যে পড়ালেখা করিস না সেটার সত্যতা তোর কথায় প্রমান হল। এটা রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা বিখ্যাত উক্তি। ভাল লেগেছিল তাই আমার ডাইরিতে লিখেছিলাম। ডাইরির পাতাটা ছিঁড়ে গিয়েছিল। আর সেটাই ইরা নিয়ে যায় আমার ঘর থেকে।

সবাই সস্তির নিশ্বাস ফেলল। এতক্ষনে জটিল রহস্যের সমাধান হল। ইভান বিরক্ত হয়ে উঠে দাঁড়াল। ইরাকে নিয়ে নিচে যেতে বলল
–ভাগ্যিস ইরা রহস্যের সমাধান করে দিলো। নাহলে আজ না জানি আমাকে কোন পরিস্থিতিতে পড়তে হত। কার না কার সাথে আমাকে তোরা জুড়ে দিতিস। শেষে দেখা জেত তোদের জন্য আমাকে অগ্নি পরিক্ষা দিতে হচ্ছে।

কথা শেষ করে ইভান নিচে চলে গেলো। ঈশাও কিছুক্ষন বসে থেকে বলল
–আমার ঘুম পাচ্ছে।

ওর কথা শুনে সবাই সম্মতি দিলো। একে একে উঠে নিচে চলে এলো। নিচে এসে দেখে ইভান সোফায় বসে টিভি দেখছে। আর ইরা ওর কোলেই ঘুমিয়ে পড়েছে। ঈশা একটুক্ষণ ইভান কে দেখে কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বলল
–ইভান ভাইয়া। ইরাকে আমার কোলে দাও। আমার পাশে শুয়ে দিবো।

ইভান শান্ত দৃষ্টিতে তাকাল। একটু ভেবে বলল
–চল। আমি দিয়ে আসি।

বলেই ইরাকে কোলে নিয়ে উঠে পড়ল। ঈশা আর কথা বাড়াল না। পাশে হাটতে হাটতে আচমকা ঈশা একটা অপ্রত্যাশিত প্রশ্ন করে বসলো
–আচ্ছা তুমি তখন বললে কেন রাতে ঘুমালে সকালে পাশের বাড়িতে তোমাকে পাওয়া যাবে।

ইভান অতি বিস্ময় নিয়ে তাকাল। যে উদ্দেশ্যে কথাটা সে বলেছিল ঈশা যে সেটা ঠিক সেভাবেই ধরে ফেলেবে সেটা তার ধারনা ছিলনা। ভেবেছিল ঈশা হয়ত বুঝতে পারবে না। বুঝতে পেরেছে ভেবেই নিজের হাসিটা চেপে রেখে সাভাবিক ভাবেই বলল
–ঐ সময় যেহেতু তোর চুরি করার কথা হচ্ছিল। তাই আমাকে চুরি করে তো তোর বাড়িতেই নিয়ে যাবি। নিশ্চয় চুরি করে সোনিয়ার বাড়িতে রেখে আসবি না।

তেলে বেগুনে জলে উঠল ঈশা। কঠিন দৃষ্টিতে তাকাল সে। ইভান বুঝতে পেরে ঠোট চেপে হাসল। ঘরের ভিতরে ঢুকে ইভান ইরাকে বিছানায় শুয়ে দিলো। ঈশা পাশেই দাড়িয়ে আছে। ইভান বের হতে গিয়েও থেমে ঘুরে তাকাল। ঈশা অপেক্ষা করছে কিছু বলবে কিনা সেটা শোনার জন্য। ইভান পকেট থেকে চকলেট বের করে ঈশার দিকে বাড়িয়ে দিলো। ঈশা এক পলক সেটার দিকে দেখে ইভানের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসি দিয়ে নিয়ে নিলো। ইভান দাড়িয়েই ঈশার দিকে তাকিয়ে আছে। ঈশা ঠোটের কোনে চাপা হাসি নিয়ে বলল
–কিছু বলবে?

–ইরাকে চকলেট দিলাম আমাকে রিটার্ন গিফট দিলো। তুই দিলি না যে?

ঈশা কিছু না ভেবেই হাসি মুখে বলল
–কি চাও?

–ইরা যা দিলো।

ইভানের কথা মাথায় ঢুকতেই ঈশার হাসি মিলিয়ে গেলো। স্থির দৃষ্টি অস্থির হয়ে উঠল। মাথা ভনভন করে ঘুরে গেলো। শুকনো ঢোক গিলে চোখ নামিয়ে নিচের দিকে তাকাল। ইভান শব্দ করে হেসে বের হয়ে চলে গেলো।

চলবে………

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে