রাজবাড়ীর প্রেতাত্মা – আঁখি আক্তার

0
688

#গল্পপোকা_ছোটগল্প_প্রতিযোগিতা_আগস্ট_২০২০
রাজবাড়ীর প্রেতাত্মা
আঁখি আক্তার

দিঘিপুর গ্রামের পরিত্যক্ত রাজবাড়ীর দিঘির পাড়ে প্রতি অমাবস্যার রাতে একটি করে কুমারী মেয়ের লাশ পাওয়া যায় । যাদের প্রত্যেকের বয়স ষোল বছর। তাই এই গ্রামে ষোল বছরের আগেই মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয়। লাশগুলো এতোটাই ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় থাকে যে গ্রামের মানুষের ধারণা এটা কোনো প্রেতাত্মার কাজ। তাই সন্ধ্যার পর কেউ ঘরের বাইর হয় না।

খবরের কাগজে এই অলৌকিক মৃত্যু রহস্যের কাহিনী পড়ে নীল, আঁখি,আশরাফুল ও জান্নাত এই রহস্যের কিনারা খুঁজতে দিঘিপুর গ্রামের উদ্দ্যেশ্যে রওনা হয়। এরা প্রত্যেকেই রহস্যপ্রেমী। রহস্য ভেদ করা পেশা নয়, একরকম নেশা।

গ্রামে প্রবেশ করে ওরা চারজন গ্রামের চারিপাশটা ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকে। আচমকা একটা পাগলের সাথে নীলের ধাক্কা লাগে। পাগলটা বিড়বিড় করে বলতে থাকে, “ওখানে যেও না, ও সবাইকে মেরে ফেলবে।”
কিছুক্ষণের জন্য যেন সবাই থমকে দাঁড়ায়। পাগলটা হি হি হি করে হাসতে হাসতে চলে যায়। ওরা বেশ কিছুক্ষণ পাগলটার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। জান্নাত নীলকে ধাক্কা দিয়ে বলে,”কিরে চল।”

সবাই আবার যার যার মতো গ্রামের সরু পথটা ধরে হাটতে থাকে। পথিমধ্যে ওদের সাথে একজন বয়স্ক লোকের দেখা হয়। আশরাফুল লোকটিকে রাজবাড়ীর কথা জিজ্ঞাসা করতেই লোকটা ভয়ে আতঁকে ওঠে। চোখে মুখে স্পষ্ট আতংকের ছাপ প্রতীয়মান। কিছু না বলেই তিনি দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়।
ওরা আবার আগের মতো চলতে থাকে। চলতে চলতে একটা বট গাছের নিচে বসে পড়ে।
কিছুক্ষণ পর ওদের ঘিরে গ্রামবাসীর ছোট খাট একটা ভিড় দেখা যায়। হয়তো ওদের রাজবাড়ী যাওয়ার খবর এতক্ষণে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। ভীর ঠেলে একজন বয়স্ক ভদ্রলোক ওদের সামনে এসে দাঁড়ায়। কথাবার্তায় বোঝা গেলো ইনি এ গ্রামের মাতব্বর। উনি বেশ বিনয়ী হয়ে বলে,”দেখো বাবারা,জেনে শুনে আগুনে ঝাঁপ দিও না। তোমাদের আগে যারা এসেছে তারা এক রাত পাড় হতেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। ওটা একটা অভিশপ্ত বাড়ি।”

–নীল কৌতূহলবশত জিজ্ঞাসা করে,” অভিশপ্ত মানে?”
মাতব্বর বলতে থাকে,”বহু বছর আগে এই বাড়িটা ছিল রাজা নারায়ন চন্দ্রের। উনি খুব অত্যাচারী শাসক ছিলেন। সর্বদা মহলে মেয়ে নিয়ে পড়ে থাকতো। এই ঘৃণ্য অপরাধ তার স্ত্রী মোহিনী দেবী সহ্য করতে পারেনি। তাই দিঘির জলে নিজের দেহ ত্যাগ করে। তারপর থেকে এই দিঘির পাড়ে কুমারী মেয়েদের লাশ পাওয়া যায়। হয়তো কুমারী মেয়েদের প্রতি ক্ষোপ থেকেই প্রতিশোধ নিচ্ছে। ”

আঁখি কাপা কাপা স্বরে বলে,”আপনারা এতো শিওর হয়ে কি করে বলছেন যে এটা মোহিনীর আত্মা!
কিছু গ্রামবাসী সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেয়, “আমরা নিজ চোখে দেখেছি।”

রাজ বাড়ীর কাহিনী শুনে আঁখি ভীষণ ভয় পেয়ে যায়। কিন্তু নীল,জান্নাত আর আশরাফুল রহস্যের নতুন একটা টুইস্ট খুঁজে পায়। গ্রামবাসীর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ওরা রাজবাড়ীতে থাকার সিদ্ধান্ত দেয়। মাতব্বর সাহেব ওদের খাওয়া দাওয়ার দায়িত্ব নেন।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
গ্রামের লোক ভয়ে আতংকিত হয়ে যে যার মতো চলে যায়। আঁখি, নীল,আশরাফুল আর জান্নাত ধীরে ধীরে রাজবাড়ীর দিকে ধাবিত হয়। রাজবাড়ীর দরজা খুলতেই একটা বিকট আওয়াজ হয়। আঁখি চমকে ওঠে। এরপর ওরা ধীরে ধীরে ভেতরে প্রবেশ করে। লক্ষ্য করে বাড়ির দেয়ালগুলোতে শেওলা পড়ে গেছে। ইটগুলো যেন খসে পড়ছে। মেঝেতে এক গাদা ধূলোর আস্তরণ জমে আছে।
নীল একজন মহিলার পেন্টিং এর সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। ভাবে সম্ভবত এটা মোহিনী দেবীর ছবি। আশরাফুল এগিয়ে এসে বলে, “কি মায়াময়ী চেহারা, ঠিক যেন স্বর্গের অপ্সরা। লোকে একেই ভুত বানিয়ে দিলো!”
জান্নাত হাসতে হাসতে বলে,”কিরে তুই কী এর প্রেমে পড়ে গেলি নাকি?
হঠাৎ ঘাড়ে কিছুর ঠান্ডা স্পর্শ পেতেই আঁখি চিৎকার করে ওঠে।
জান্নাত দৌড়ে আসে। বলে, “কী সমস্যা তোর?”

–আমার ঘাড়ে কিছু একটা আছে।

–“আরে ভীতু। কোনো ভুতপ্রেতে ভর করেনি তোর ঘাড়ে। পেছন ঘুড়ে দেখ লতাপাতা ঝুলছে।”
আঁখি পেছন ঘুড়ে ঝুলন্ত লতাপাতা দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। নীল আর আশরাফ হাসতে হাসতে বলে,”আঁখি, তুই পারিসও বটে। ”

জান্নাত আঁখিকে ধাক্কা দিয়ে বলে,”কিরে এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবি নাকি আমাদের সাথে যাবি? এমনিতেও সন্ধ্যা হয়ে গেছে। ভুত এলে কিন্তু আমরা দায়ী না।”
আঁখি আর কিছু না বলে ওদের পেছন পেছন যেতে থাকে। সবাই মিলে রাজবাড়ীর মাঝখানের মেঝেটা পরিস্কার করতে থাকে। পরিস্কার করার এক পর্যায়ে আঁখি একটা শ্বেত পাথরের টুকরা পায়। সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠে,”আমি কিছু একটা পেয়েছি।”
–পেত্নীর বর পেয়ে গেছিস নাকি! (জান্নাত)
—আরে না,একটা পাথর পেয়েছি। (আঁখি)
—ওওও,এমন ভাব করছিস যেন মণি মুক্তা পেয়ে গেছিস।

নীল আঁখির হাতের পাথরটা খুঁটিয়ে দেখতে থাকে। বলে ওঠে, “আরে এতো ডায়মন্ড।”
নীলের কথা শুনে সবাই চমকে ওঠে।
আশরাফুল পাথরটাকে পর্যবেক্ষণ করে বলে,”এ বাড়িতে কারো যাওয়া আসা নেই অথচ পাথরটা চকচক করছে! ধূলাবালিও লেগে নেই। আশ্চর্য তো!”

ঠিক তখনই বাইরে কারো ডাক শোনা যায়। সম্ভবত মাতব্বর সাহেব ওদের জন্য খাবার পাঠিয়েছে। আশরাফুল খাবারটা আনতে যায়। মাতব্বরের চাকর রহিম মিয়া বলে,”মাতব্বর সাহেব এই গ্রামে দেবতার মতো। হগলের ভালো মন্দ নিয়া চিন্তা করে। আপনারা তার কথা হুনেন,চইলা যান। এই বাড়ী ভালা না।” আশরাফুল কিছু না বলে শুধু একটা মুচকি হাসি দেয়।

সেদিন রাতে খাওয়া দাওয়া করে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই আঁখি ভয়ে গুটিশুটি হয়ে বসে পড়ে। কাল রাতের স্বপ্নের কাহিনী বলতে থাকে। বলে,”মোহিনীর প্রেতাত্মা আমাদের এখান থেকে চলে যেতে বলছে।” আঁখির কথা শুনে সকলে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকে। আজব ব্যাপার হলো আঁখির মতো সবাই এই একই স্বপ্ন দেখেছে। কিন্তু এটা কী করে সম্ভব! নীল আর আশরাফুল কিছুটা ভাবনায় পড়ে যায়।

জান্নাত বলে ওঠে,”দেখ আমরা প্রত্যেকে সেম জিনিস নিয়ে ভাবছি তাই স্বপ্নটাও সেম দেখেছি, সিম্পল।” সবাই জান্নাতের কথায় সম্মত হলো। কিন্তু আঁখি অদূরে পড়ে থাকা একটা মৃত কাককে ইশারা করে বলে,”যদি স্বপ্নই হয়ে থাকে তাহলে এটা এখানে এলো কি করে?” আঁখির মতো সকলেই চমকে উঠলো। কাল রাতের স্বপ্নেও এই কাকটা ছিল। কাকের পাশের দেয়ালটাতে রক্ত দিয়ে লেখা,”চলে যাও।” আঁখি বেশ ভয় পেয়েছিল।

পরেরদিন সকালে ওরা সকলে মিলে রাজবাড়ী আর দিঘির পাড়ের প্রত্যেকটা জিনিস খুঁটিয়ে দেখতে থাকে। সব কিছু স্বাভাবিক। এমন মনে হচ্ছে যেন এখানে কিছুই ঘটেনি। দিনটা ভালোই ভালোই কেটে যায়। রাতে যথারীতি খাবার খেয়ে চারজন ঘুমিয়ে আছে। ঠিক তখনি সাদা রঙের জামা পড়া একটা মেয়ে ওদের সামনে এসে হাজির হয়। ঠিক ছবিতে দেখা মোহিনীর মতো বেশভূষা। জামাটায় রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। ভয়ার্ত মেয়েলী কন্ঠে আবারো সকলকে উদ্দ্যেশ্য করে বলতে থাকে,”চলে যাও।”
তখনই নীল চোখ মেলে তাকায়। নীলকে জাগতে দেখে মেয়েটি দৌড়ে পালায়। নীল মেয়েটাকে ধরার চেষ্টা করে,পিছু নেয়। কিন্তু দিঘির পাড়ে এসেই মেয়েটি যেন হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না। নীল তড়িঘড়ি করে মহলে ফিরে আসে। জল ছিটিয়ে জান্নাত,আঁখি ও আশরাফুলের ঘুম ভাঙায়। আঁখি কাঁদোকাদো গলায় বলে,”আজো ওই স্বপ্নটা দেখেছি। চল না বাড়িতে চলে যায়।”

—স্বপ্ন নয়,এগুলো সত্যি।” নীলের কথা শুনে আঁখির মতো জান্নাত আর আশরাফুলও হতবাক হয়ে যায়।
পরেরদিন সকালে সবাই ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিজ শহরে যাওয়ার স্বিদ্ধান্ত নেয়। যাওয়ার আগে মাতব্বরকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে যায়। মাতব্বর ওদের সিদ্ধান্তে খুব খুশি হয়। ওদের জীবন বেঁচে যাবে এই ভেবেই আশ্বস্ত হয়।

–নীল মাতব্বরের সাথে হাত মেলাতে থাকে। হাতের আংটির দিকে নজর পড়তেই পকেট থেকে পাথরটা বের করে বলে,”এই পাথরটা সম্ভবত আপনার।”
চেয়ারম্যান হাসি হাসি মুখ করে বলে,” হ্যাঁ এটা আমার আংটির পাথর। হারিয়ে গেছিলো। কোথায় পেলে?”
আশরাফুল বলে ওঠে,রাজবাড়ীতে।
মূহুর্তেই মাতব্বরের মুখটা কালো হয়ে উঠলো।
তখন নীল বলে,”কিন্তু আপনি তো এই রাজবাড়ীর ধূলোও মারান না তাহলে রাজবাড়ীতে আপনার আংটির পাথর এলো কোত্থেকে ?”

গ্রামবাসীরা কি ঘটছে দেখার জন্য মাতব্বরের বাড়িতে ভিড় জমায়। ওদের কথা শুনে সকলেই অবাক হয়ে যায়।
আশরাফুল রহিম মিয়ার সামনে গিয়ে বলে,”অনেক সময় শয়তানও দেবতার রুপে আসে। আপনাদের এই রাজবাড়ীর প্রেতাত্মা মাতব্বর সাহেব সয়ং। তিনিই এতদিন যাবত এই হত্যাকান্ডগুলো ঘটিয়ে আসছেন।”
গ্রামবাসীর সাথে সাথে রহিম মিয়াও হতবাক হয়ে যায়। মূহুর্তেই গ্রামে একটা হৈ হুল্লোল শুরু হয়ে যায়। মাতব্বরের মুখটা শুকিয়ে যায়। তিনি আমতা আমতা করতে থাকে। পরক্ষণেই রাগত স্বরে বলে,” কি প্রমাণ আছে তোমাদের কাছে,এই পাথরটার ভিত্তিতে আমাকে খুনি প্রমাণ করতে পারো না। এটা আমার নাও হতে পারে।”

–ওয়েট ওয়েট মাতব্বর সাহেব, আরো প্রমাণ আছে। আমরা পুলিশকে খবর দিয়েছি,পুলিশ এলে আপনিই সব গড়গড় করে বলে নিবেন। (নীল)

-গ্রামবাসী কিছুতেই মাতব্বরকে খুনি মানতে চাইছে না। সকলে সুক্ষ্ম প্রমাণ চাইছে। মাতব্বরও তাদের সাথে সায় দিচ্ছে।

—নীল তখন মাতব্বরকে উদ্দ্যেশ্য করে বলে,”প্রমান তো অনেক কিছুই আছে। প্রথম দিন এই মহামূল্যবান পাথর পাওয়ার পর এটাই ভেবেছিলাম যে এই গ্রামে একমাত্র আপনার কাছেই এটা থাকা সম্ভব। আমাদের গ্রামে আসাতে সব থেকে বেশি অসন্তুষ্ট আপনিই হয়েছিলেন। আমাদেরকে খাবারের নাম করে খাবারের সাথে যে নেশা দ্রব্য মেশাতেন সেটা আমরা প্রথমদিনই টের পেয়েছিলাম। আর পরেরদিনতো বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে। পরেরদিন আমি আপনার দেওয়া খাবার খায়নি। যার ফলে বাকিদের থেকে আমার স্বপ্ন আর বাস্তবের কাহিনী আলাদা। ”

আশরাফুল এগিয়ে এসে বলে,”সেদিন রাতে ঘুম ভাঙার পর আমরা রাজবাড়ীর ছাদে যায়। আপনার বাড়ির দিকে নজর রাখতে গিয়েই দেখলাম,আপনার বাগাতে কিছু একটা লুকানোর চেষ্টা চলছে। তখনি ঘটকা লেগেছিল। তাই আপনার জালেই আপনাকে ফাঁসালাম। আপনার ঘরে গিয়ে মেডিসিন মাখানো রুমাল আপনার নাকের কাছে ধরতেই আপনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে রইলেন। তখন আমরা আপনার ঘর তল্লাশি করি। আপনার ঘরে শখানেক এর বেশি কালো জাদু আর অমরত্ব লাভের বই খুঁজে পেয়েছি। আর আপনার যেই লাল ডায়রি, তাতে মৃত সংখ্যা ও মৃতদের গ্রাম সম্পর্কে জেনেছি। বাগানের গুপ্তস্থানটা দেখার আগেই রহিম মিয়া জেগে যায়। তখন সেখান থেকে পালিয়ে আসি। এখন পুলিশ এসেই না হয় বাগান তল্লাশি করবে।”

মাতব্বর চেঁচাতে চেঁচাতে বললেন,”আমার সাধের বাগানে কেউ হাত দেবে না।”
ঠিক তখনই পুলিশ আসে। পুলিশ এসেই বাগান খুড়তে থাকে। বাগানের কর্নার থেকে একটা বাক্স উদ্ধার করে। বাক্স খুলতেই সেখানে একটা পুঁটলিতে রাখা সেই জামা,নকল চুল আর কিছু তন্ত্র সাধনার জিনিস উদ্ধার করে।

ভীর ঠেলে সেই পাগল এসে মাতব্বরের পাঞ্জাবী টেনে ছিড়ে ফেলে। বলতে থাকে,”তুই আমার মেয়েকে মেরেছিস, না?
মাতব্বর পাগলটাকে দূরে ছিটকে ফেলে দিয়ে বলে,”হ্যাঁ আমিই মেরেছি। আমি অমর হতে চেয়েছিলাম।”
পুলিশ মাতব্বরের হাতে হাতকড়া পড়াতে পড়াতে বলে, অমর হওয়ার তন্ত্রমন্ত্র এবার জেলে গিয়েই করবেন।

(সমাপ্ত)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে