মন মহুয়া পর্ব-১৫

0
493

#মন মহুয়া

রাইটার – Farhana Rahaman আয়াত

পার্ট – ১৫

আজ মিরার বৌভাত।
সবাই মিরার শ্বশুর বাড়িতে গেছে কিন্তু মহুয়া থেকে গেলো ফুফুর সাথে। ফুফুর শরীর টা ভালো না।যদিও ফুফু মহুয়াকে অনেকবার বলেছে যেতে কিন্তু মহুয়া বলে মিরা তো আসবেই পরের দিন।ফুফুকে একা রেখে সে যাবেনা।
মিনার ও বাহানা খুঁজে অনেক না যাওয়ার জন্য কিন্তু মিরা বারবার ফোন করে ওকে যেতে বলছে। মহুয়া জোর করে মিনারকে পাঠালো সেখানে।যাওয়ার আগে বারবার বলে গেছে যেনো একা বের না হয়।আর অসুবিধা হলে কল দিতে।

মহুয়া দুপুরে ফুফুকে খাইয়ে নিজেও একটু ঘুমাতে গেলো।হঠাৎ কলিং বেলের আওয়াজ আসে।মহুয়া গিয়ে ডোর ক্যামেরা দিয়ে দেখে একটা ছোট মেয়ে দাড়িয়ে আছে হাতে একটা গিফট বক্স।
মহুয়া দরজাটা খুলে জিজ্ঞেস করে কে সে।হঠাৎ মেয়েটা কিছু না বলেই দৌড়ে চলে যায় আর কেউ একজন মহুয়ার মুখে রুমাল চেপে ধরতেই মহুয়া অজ্ঞান হয়ে যায়।

মিনার অনেকবার ফোন করেও মহুয়াকে না পেয়ে কাউকে না জানিয়ে বাসায় চলে আসে।বাসার দরজা খোলা। মহুয়াকে সবখানে খুজে মিনার কিন্তু পেলোনা।ফুফু নিজের রুমে ঘুমাচ্ছে।মহুয়ার ফোনটা ওর রুমেই আছে।মিনার বেরিয়ে মাঠের দিকে যায়।চারপাশে দেখে কিন্তু পেলো না।মিনার কি করবে বুঝতে পারছে না। তানিয়াকে ফোন করে মিনার।তানিয়াকে জিজ্ঞেস করলো মহুয়া ওর সাথে কিনা।তানিয়া বলে ওর সাথে সকালে কথা হয়েছিলো এরপর আর কথা হয়নি।মিনার ফোন টা রেখে দিতেই তানিয়া ওকে আবার ফোন দিলো।
তানিয়া বলে ভাইয়া আমি আসছি।কথা আছে।
তার আগে আপনি গিয়ে ফাহাদ ভাই কই দেখেন।
তানিয়ার কথা শুনে মিনারের মাথায় এলো ফাহাদের কথা।ও ছাড়া মহুয়ার গায়েব হওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারেনা।মিনার দৌড়ে ফাহাদের বাসায় গেলো।ফাহাদের মা ও গেছে মিরার শ্বশুর বাড়িতে। বাসায় বাইরে তালা ঝুলানো। মিনার ফাহাদ কে কল করে।ফাহাদ ফোন রিসিভ করে কথা বলে।মিনার জিজ্ঞেস করে ফাহাদ কোথায়।ফাহাদ বলে ও মিরার শ্বশুর বাড়িতে। মিনার ফোন রেখে মিলনকে ফোন করে জিজ্ঞেস করলো ফাহাদ সেখানে কিনা।মিলন বলে ফাহাদ এসেছে কিছুক্ষন হলো।
মিনার ফোন টা রেখে সিডিতে বসে পড়ে। কি করবে বুঝতে পারছে না। তানিয়া রিক্সা থেকে নেমে দৌড়ে মিনারের কাছে আসে।মিনার বলে মহুয়াকে পাচ্ছে না।ফাহাদ মিরার শ্বশুর বাড়িতে।
তানিয়া কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে,মহুয়া না বলে ঘরের বাইরে যাওয়ার মেয়ে না।আর আপনি যখন মানা করে গেছেন সেই জায়গায় তো আরো যাবে না।তার মানে ওকে কেউ আটকে রেখেছে।আর সেটা ফাহাদ ভাই।
তানিয়া মিনার কে গায়ে হলুদ এর দিন ঘটে যাওয়া ঘটনাটি বলে।তানিয়া এটাও বলে ফাহাদ ওকে খুব জ্বালাতন করতো।
মিনার রাগে গিজগিজ করছে। বেশি রাগ হচ্ছে মহুয়ার উপর।কেনো বলেনি এসব।বললে আরেকটু সাবধান হতে পারতো।মহুয়াকে এভাবে রেখেই যেতো না।
তানিয়া মিনার কে বলে,ভাইয়া এখন কি করা যায়?
মিনার কিছুই বুঝতে পারছে না।তানিয়া সহ আবারও সবখানে খোঁজ নিলো।সন্ধ্যায় সবাই বাসায় ফিরে আসে।ফুফুও ঘুম থেকে উঠে মহুয়াকে খুজতে থাকে।না পেয়ে ভাবে বাইরে গেছে কাজে হয়তো। রাতে মিনার বাসায় ফিরে। মিনারের মা ওকে দেখে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে।মহুয়া কই?
মিনার কিছু বলতে পারছেনা।ওর মাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়।মিনারের মা কিছু বুঝতে পারছেনা। ওর বাবা, ফুফু আর বাকিরা সবাই ততক্ষনে এসে হাজির।মিনার বলে দুপুর থেকে মহুয়াকে পাওয়া যাচ্ছেনা।মিনারের বাবা ওকে ধমক দিয়ে বলে, এতক্ষণ পর বলছিস এই কথা।মেয়েটা আমাদের ঘরের সম্মান।আমাদের দ্বায়িত্ব। মিনারের মা কান্না করছে।
মিনারের বাবা পুলিশ স্টেশন গেলো কিন্তু ২৪ ঘন্টা না গেলে কিছু করতে পারবেনা জানিয়েছে।

রাত ১টা প্রায়।
মহুয়ার জ্ঞান ফিরেছে অনেক্ষন আগে। কোথায় আছে নিজেও বুঝতে পারছেনা। একটা ঘরে দরজা লাগানো।জানালাও বন্ধ করা।মহুয়া অনেক্ষন দরজা ধাক্কা দেয় কিন্তু কারো সাড়া শব্দ নেই। শরীর টা খুব দূর্বল লাগছে ওর।মাথায় ঝিমঝিম করছে এখনো।দুপুরের পর থেকে না খেয়ে আছে।মাথাও ঘুরছে।
অনেক্ষন পর দরজা খুলে কেও একজন।
মহুয়া তাকিয়ে দেখে ফাহাদ ওর সামনে দাড়িয়ে আছে। ফাহাদকে দেখেই মহুয়ার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে।
ফাহাদ এসে মহুয়ার পাশে বসে। মহুয়া একটু পিছিয়ে যায়। ফাহাদ বলে,
– আরে বার্বিডল তুমি ভয় পাচ্ছো কেনো?দেখো আমি অতটাও খারাপ না।তুমি কেনো ভয় পাচ্ছো?
মহুয়ার কথা যেনো গলা দিয়ে আসছে না।নিচু স্বরে তাও বলে উঠে,
– আমি এখানে কেনো।আমি বাসায় যাবো।আপনি আমাকে কেনো এনেছেন।প্লিজ আমাকে যেতে দিন।
– যেতে দিবো তো।আমি তোমাকে নিজে বাসায় নিয়ে যাবো।কিন্তু আজকে রাতটা পার হোক তারপর।
– মানে?
– ছোট বাবুনি এখন না কাল বুঝবে।
এখন খেয়ে নাও।বাইরে সামলাতে গিয়ে আসতে দেরী হয়ে গেছে। খুব খিদে পেয়েছে তাইনা?
খাইয়ে দি আমি?
– নাহ আমি খাব না।
– আচ্ছা বেশ তুমি নিজেই খাও।আমি একটু আসছি।
ফাহাদ দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে আবার বাইরে গেলো।

মহুয়া চুপচাপ ভাবছে। কিছুতেই খাবে না।না খেয়ে অজ্ঞান হলেও ভালো কিন্তু এই খাবার খাবে না।যদি কিছু মিশিয়ে দিয়ে থাকে ফাহাদ সে ভয়ে।মহুয়া এইটুকু বুঝে গেছে ফাহাদ ওকে কেনো এইখানে এনেছে।খুব কান্না পাচ্ছে কি করবে বুঝতে পারছে না।
মহুয়া চারপাশ দেখতে থাকে।কিছুই পাচ্ছেনা। কি করে পালাবে সেটাই বুঝতে পারছেনা।

তানিয়াও মিনারদের বাসায় থেকে গেলো। তানিয়ার পুরো বিশ্বাস যে একাজ ফাহাদের।কিন্তু ওকে কিভাবে ধরবে বুঝতে পারছেনা। ঘুম আসছে না তাই ছাদে গেলো তানিয়া।সেখানে সিগারেট এর গন্ধে ভরে গেছে।মিনার একটার পর একটা সিগারেট খেয়েই যাচ্ছে।মিলন ও দূরে দাড়িয়ে আছে।মানা করেও মিনার কে থামাতে পারছেনা। তানিয়া গিয়ে মিনারের হাত থেকে সিগারেট টা ফেলে দিলো। মিনারের চোখ লাল হয়ে গেছে পুরো।
তানিয়া বলে,ভাই এখানে দাড়িয়ে সিগারেট খেলেই কি মহুয়া আসবে?
মিনার চুপচাপ হয়ে আছে।
তানিয়া বলে ভাইয়া একটা কাজ করবেন?
– কি?
-ফাহাদ ভাইয়ের লোকেশন টা ফোন দিয়ে জানা যাবে?
মিনারের আগে মিলন ওর ফোন দিয়ে ফাহাদ এর মোবাইল এর লোকেশন ট্র্যাকিং করতে থাকে।কিন্তু লোকেশন তো ওদের বাসার দেখাচ্ছে বলছে।
মিনার বলে,তানিয়া ঘরে যাও।
– আমি যাব না ভাইয়া।আমি ওই ছেলেকে বিশ্বাস করিনা।মিলন একটা কাজ করবে?

তানিয়া বলে, ফাহাদ ভাই অনেক চালাক।কাঁচা কাজ করবেন না।নিচে গিয়ে ওনি এখন বাসায় আছে নাকি বাইরে সেটা একবার চেক করতে হবে।
মিনার আর তানিয়া সিড়িতে দাড়ায়।মিলন ফাহাদের ঘরে কলিং বেল টিপ দিলো।বেশ কিছুক্ষনপর ওর মা এসে দরজা খুলে। জিজ্ঞেস করলো এত রাতে কি হয়েছে?
মিলন বলে, ফাহাদ ভাই কল দিয়ে ডাকলো ওকে।
ফাহাদের মা ঘুম চোখে বেশি কিছু জিজ্ঞেস না করে বলে যাও ওর ঘরেই আছে।মিলন গিয়ে দেখে ফাহাদ কোথাও নেই।বাইরে এসে মিনার কে জানায় ও বাসায় নেই।
সবার আর বুঝতে বাকি রইলো না ফাহাদ এই কাজ করেছে।মিনার ভাবছে ওকে কই খুঁজবে।একবার মহুয়াকে পেলেই হলো তারপর ফাহাদের ব্যবস্থা করবে।

তিন জনই ভাবতে লাগলো।
হঠাৎ মিনার বলে,ফাহাদ আমাদের বুঝতে না দেওয়ার জন্য এত রাতে বেরিয়েছে তারমানে ও আবার ফিরবে। তাও সকাল হওয়ার আগেই।আর আমাদের ওর আসার অপেক্ষা করতে হবে। আন্দাজে এভাবে খুঁজে মহুয়াকে পাওয়া যাবেনা।
তানিয়া বলে,সেটা ঠিক ভাইয়া কিন্তু ততক্ষণে যদি মহুয়ার কোনো ক্ষতি করে দেয়।
মিলন বলে দূর যত আজেবাজে কথা বলো তুমি।কিছু হবেনা।
মিনারেরও মাথায় এটা আসছে ভূল কিছু করবে না তো?
নাহ এভাবে অপেক্ষাও করা ঠিক হবেনা।মিনার তানিয়াকে বাড়িতে পাহারা দিতে বলে মিলনকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে কিন্তু কোথায় যাবে বুঝতে পারছেনা।

মহুয়া জানালা টা খোলার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। হাত ব্যাথা হয়ে গেছে। দরজায় শব্দ পেয়ে বেডে বসে পড়ে।
ফাহাদ এসে হেসে বলে, কি হলো খাওনি এখনো?দেখো এসব করে লাভ নেই।অসুস্থ হলেও এখানেই থাকবে তুমি।তাই বলছি খেয়ে নাও। আর হ্যা আমি তোমায় খুব ভালোবাসি তাই তোমায় অসম্মান করবো না।আমি আসছি।খেয়ে শুয়ে পড়ো।যা হওয়ার কাল হবে।আমাকে এখন যেতে হবে ।আমি সকালে আসবো আবার।ভয় পাওয়ার কিছু নেই।ভোর হতে কয়েকঘন্টা। তারপর তুমি আমার।
ফাহাদ চলে যায়।

মহুয়া উপায় খুঁজে পাচ্ছেনা। কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে।

মিনার আর মিলন চারপাশের সব জায়গায় খুঁজ নিলো ফাহাদকে পাওয়া যায় কিনা।কিন্তু কোনো কাজ হলো না।হঠাৎ তানিয়া কল দিলো বলে ফাহাদ বাসায় ফিরেছে। মিনার অন্তত একটু শান্তি হলো। মিনার আর মিলন গেইটের বাইরে অপেক্ষা করে বাকি রাতটুকু।আর তানিয়াও সিড়িতে বসে সারারাত কাটালো।
দিনের বেলায় কেউ সন্দেহ করবে তাই ফাহাদ ফজরের আযানের পর একটা ব্যাগ নিয়ে আবার বেরিয়ে আসে।আলো ফুটার আগেই চলে আসবে আবার।দরজার কড়া নড়ে উঠতেই তানিয়া সজাগ হয়ে যায় আর মিলন কে মেসেজ দেয়।ফাহাদ খুব দ্রুত পায়ে বেরিয়ে পড়ে। তানিয়াও পিছু নিলো। মিনার আর মিলন ও ফলো করছে। বেশিদূর না।বড় রাস্তা পেরিয়ে যে নির্জন এলাকা তার পাশেই একটা দুতলা বিল্ডিং ফাহাদ উপরের তলায় উঠে যায়।মিনার আর মিলন একে অন্যর দিকে তাকিয়ে বলে এটা তো রাহেলা খালার বাসা।মানে ফাহাদের আপন খালার বাসা।আর ওরা সবাই আমেরিকায় থাকে।এঘর তো বন্ধ থাকে।তারমানে এখানেই ফাহাদের ঘাটি।মিনার তানিয়া আর মিলন কে নিচে অপেক্ষা করতে বলে নিজে আস্তে আস্তে উপরে উঠে। কিন্তু ফাহাদ ঘরটায় দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।

ফাহাদ মহুয়ার রুমে ঢুকতে যায় কিন্তু মহুয়া ফাহাদ বের হওয়ার সাথে সাথেই রুমের দরজা আটকে দিয়েছিলো।ফাহাদ অনেক ডাকে কিন্তু মহুয়া সাড়া দিচ্ছে না।ফাহাদ পড়েছে চিন্তায়।এটা ভাবতেও পারেনি।ফাহাদ দরজা অনেকক্ষন ধাক্কা দিলো।ফাহাদ অনেক ভেবে বাসায় ফিরে গেলো।কারন দরজা খুলার একটা ব্যবস্থা করতে হবে। ভোরের আলোও ফুটে গেছে।
মিনার সবটা আড়ালে দেখছিলো।ফাহাদ যাওয়ার পর এবার মিনার টেনশনে পড়ে গেলো।
মিনার তাড়াতাড়ি করে নিচে গেলো।তানিয়া আর মিলনকে বলে সবটা।সবাই উপরে আসে কিন্তু সমস্যা হলো দরজা খুলবে কি করে।তাও একটা না দুইটা।সিনেমা না যে দরজা ভেংঙে ঢুকবে।আর ভাঙলেও আরও মানুষ লাগবে।অনেক ভাবতে ভাবতে মিনার রেহান আর নাহিদকেও কল দিলো আসার জন্য।১৫ মিনিট পর দুজন একসাথেই চলে আসে। সবটা শুনে রেহান বলে ভাই চল ভেঙে ফেলি।চারজনেই ধাক্কা দিতে দিতে প্রথম দরজা টা ভেঙে ফেলে।ঢুকে সব ঘর চেক করে দেখে।শুধু একটা রুমে দরজা লক করা।মিনার আর তানিয়া অনেক ডাকে মহুয়াকে কিন্তু সাড়া নেই ওর।শেষ পর্যন্ত সেটাও ভেঙে ফেলে সবাই।
সবাই ভিতরে ঢুকে পড়ে। মিনার মহুয়ার মুখ তুলে ডাকতে লাগলো। পাশের টেবিলে খাবারটা রয়েই গেছে।অজ্ঞান হয়ে গেছে মেয়েটা।তানিয়া পানি ছিটাতে থাকে কাজ হলো না।মিনার মহুয়াকে কুলে তুলে নিলো।সবাই রেহানের গাড়িতে করে মহুয়াকে বাসায় নিয়ে আসে।মিলন গেছে ডাক্তার ডাকার জন্য। সবাই মহুয়ার রুমেই আছে। ডাক্তার এসে মহুয়াকে চেক করে দেখে। কিছুই হয়নি টেনশন আর খালি পেটে থাকায় এমন হয়েছে।রেস্টে রাখতে বলে।মিনার গ্লুকোজ এর পানি খাইয়ে দেয় হা করে একটু একটু। কিছুক্ষন পরেই মহুয়ার জ্ঞান ফিরে আসে। মিনারকে কাছে দেখেই কান্না করে জড়িয়ে ধরেছে। সবাই যে আছে খেঁয়াল করেনি।মা বাবা হেসে বাইরে চলে আসে।তানিয়া আর মিলনও ওদের একা ছেড়ে দিয়ে বাইরে আসলো।

চলবে,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে