ভালোবাসি_শুধু_তোমায় পর্ব-০৯

0
2530

#ভালোবাসি_শুধু_তোমায় ?❤
#পর্ব : ৯
#লেখিকা : Aye Sha (Koyel Banerjee)

” আমান তোমাকে ডিভোর্স দেবে মীরা! তাও খুব শীঘ্রই। ”

আম্মুর কথা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। চোখের পানিও শুকিয়ে গেছে আমার এখন। স্থির চোখে আম্মুর দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় বললাম,

— আমি এটা বিশ্বাস করি না আম্মু। আপনার ছেলে আর যাই করুক আমাকে কিছুতেই ডিভোর্স দিতে পারে না।

— আমান নিজের থেকে না দিক আমার কথায় দেবে। আমি কিছুতেই আমার ছেলে কে এভাবে কষ্টের মধ্যে থাকতে দিতে পারি না। জোর করে বিয়ে করে তুমি আমার ছেলের জীবন টা শেষ করে দিয়েছো ছয় মাস ধরে। এতোদিন ডিভোর্স দিতে পারেনি বাট এখন তো পারবে।

— আমি বিশ্বাস করিনা। আমান আমাকে কিছুতেই ডিভোর্স দিতে পারেন না।

— ঠিক আছে। আমানের মুখ থেকেই না হয় সত্যিটা শুনে নিয়ো। আমি জানি আমার ছেলে তার আম্মুর ইচ্ছের বিরুদ্ধে যাবে না, এইবার তুমিও জেনে নিয়ো।

আম্মু কথাগুলো বলে চলে গেলেন ঘর থেকে। গতকাল সকাল থেকে আজ সকাল হয়ে গেলো আমানের কোনো খোঁজ নেই। তাই জন্যেই আম্মু এসে আমাকে এই কথাগুলো শুনিয়ে গেলো। আমি শুধু ভাবছি আমান কি সত্যি আমায় ডিভোর্স দিয়ে দেবেন? আমি কি আমর ভুলের শাস্তি এখনও পাইনি? ওনাকে যেমন অপমান করেছি আমাকেও তো কম অপদাস্ত হতে হয়নি সবার সামনে। আমিও তো…. ওনাকে জোর করেছি বিয়ে করতে ভালোবাসি বলেই তো। উনিও তো রাজি হয়েছিলেন আমার জোর করায়।

__অতীত__

সাড়ে তিন বছর কেটে গেছে আমান কে হারিয়েছি আমি। সেই যে আমান আমাকে বাঁচিয়েছিলেন ওই ছেলেটার হাত থেকে আর তার বদলে আমি ওনাকে অপমান করে বদনাম দিয়ে ভার্সিটি ছাড়তে বাধ্য করেছিলাম। তার পর থেকে আর দেখা পায়নি ওনার। ওনার দেখা পেতে গিয়ে তো ….

__মীরাআআ! এই মীরাআআ! অফিসে যাবি না?

হঠাৎ সুমির ডাকে আমার ভাবনায় ছেদ পড়ল। আমি সঙ্গে সঙ্গে নিজের চোখ মুছে স্বাভাবিক হয়ে গেলাম। সুমি আমার কাঁধে আলতো করে হাত রেখে শান্ত গলায় বললো,

— কেন এতো ভাবিস সব সময়? তোকে বারণ করেছি তো এতো ভাবতে। যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন আর এসব ভেবে কি লাভ? তুই যা করেছিস তার মাশুল দিতে গিয়ে তো তুই…

— আমার ভুল শুধরাবে সেদিন যেদিন আমান আমাকে নিজে শাস্তি দেবে। আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি আমানের। কবে উনি আসবেন আর আমায় শাস্তি দেবেন। উনি যেই শাস্তিই দিক না কেন আমার করা ভুলের শাস্তি হিসেবে তা কম হবে। না জেনে বুঝে, অন্যের কথায় বিশ্বাস করে কি সুন্দর হাসতে হাসতে আমি ওনার চরিত্রের উপর আঙুল তুলে, দাগ দিয়ে ভার্সিটি থেকে বার করে দিলাম। আর উনি কি করলেন? উনি সেটা হাসি মুখে মেনে চলে গেলেন? কেন চলে গেলেন উনি? পারলেন না সজোরে সবার সামনে একটা থাপ্পড় মেরে আমাকে সত্যিটা বলতে? পারলেন না নিজের সত্যতা সবার সামনে তুলে ধরতে?

— মীরা, মীরা তুই শান্ত হ। এরম করিস না তোর শরীর খারাপ করবে।

— আর শরীর! বললাম না যতদিন পর্যন্ত আমি আমার উপযুক্ত শাস্তি না পাচ্ছি ততদিন আমার কিচ্ছু হবে না। বাদ দে আমি অফিসে যাচ্ছি।

আমি সুমি কে কথাটা বলে চোখ মুছে বেরিয়ে এলাম। অফিসে এসে চুপ করে বসে আছি এমন সময় পি.এ. এসে খবর দিতে এলেন,

— ম্যাম! আজ আপনার একটা সাইড দেখতে যাওয়ার কথা ছিলো। আপনি যাবেন না?

— ওহ! আমি ভুলে গেছিলাম। আমরা যেই কোম্পানির সাথে কাজ করছি সেটা অনেক বড় কোম্পানি, আমি না গেলে হবে না। লেটস গো।

আমি পি.এ. কে নিয়ে বেরিয়ে পরলাম সাইড দেখার উদ্দেশ্যে। সাইডে এসেই দেখলাম আমরা যেই কোম্পানির সাথে ডিল সাইন করেছি, সেই কোম্পানির মালিকের সাথে একজন পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। ব্যক্তিটির ব্যাক সাইড দেখে কেমন জানো চেনা চেনা লাগলো। ওনারা কথা বলছেন আর আমি এগিয়ে যাচ্ছি, আমি ওদের কাছে এসে পৌঁছাতেই ব্যক্তিটি হেঁটে অন্যদিকে চলে গেলেন। আমি ওনার দিকে যাবো তখন কোম্পানির মালিক আমায় ডাকলেন,

— মিস মীরা! আপনি এসে পড়েছেন?

— হ্যাঁ। ওই লোকটি কে ছিলেন?

— উনি, উনি আমাদের কোম্পানি তে জব করেন।

— ওহ আচ্ছা।

এরপর আমরা সাইড দেখতে লাগলাম। সাইড দেখতে দেখতে হঠাৎই আমার চোখ একজনের উপর স্থির হয়ে গেলো। আমি আর এক মুহুর্ত অপেক্ষা করলাম না ছুটে চলে গেলাম সেই দিকে। “আমান!” বলে জড়িয়ে ধরলাম পিছন থেকে ব্যক্তিকে। উনি আমার দিকেই ফিরে ছিলেন, জানো আমার অপেক্ষা করছিলেন।

— কি করছেন টা কি আপনি ছাড়ুন আমায়।

উনি কথাটা বলতেই আমি ওনাকে ছেড়ে সোজা হয়ে দাঁড়ালো আর ওনার দু গালে হাত রেখে বললাম,

— কোথায় ছিলেন আপনি এতদিন? আমি আপনাকে অনেক খুঁজেছি। আমি, আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছিলাম সেদিন। আপনি আমাকে একবারও শুধরে দিলেন না আমার ভুলটা। আমাকে, আমাকে আপনার ঐ শত্রু আপনার আর আপনার ওই বোনের ছবি পাঠিয়েছিলো, আমি ভেবেছিলাম আপনি হয়তো অন্য কোন মেয়েকে ভালোবাসেন। আসলে, আসলে আমি আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি তাও সেই সাড়ে তিন বছর আগে। প্লিজ, প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি, আপনি আমাকে যা শাস্তি দেবেন আমি সব মাথা পেতে নেব কিন্তু আমার থেকে দূরে যাবেন না আর। প্লিজ আমান!

আমি একনাগাড়ে কথাগুলো বলে গেলাম আমাকে দেখতে পাওয়ার পর জানো আমার মন চঞ্চল হয়ে উঠেছে আমার খালি ভয় লাগছে এই বুঝি আমি আবার হারিয়ে ফেলবো ওনাকে। কিন্তু উনি? উনি একদম শান্ত হয়ে রয়েছেন। আমার হাত উনার গাল থেকে নামিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে শান্ত ভাবে বললেন,

— আমি আর এসব নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। আমি আমার অতীত ভুলে গেছি। আপনি এখন যেতে পারেন এখান থেকে। আপনিতো সাইড দেখতে এসেছেন তাই না সেটাই করুন, আমাকে প্লিজ বিরক্ত করবেন না।

— আমি মানছি আমি অনেক বড় ভুল করেছি। আপনার ভবিষ্যত নষ্ট করে দিয়েছি। তাই জন্য তো বলছি আপনি আমাকে যা শাস্তি দিতে চান দিতে পারেন। আমি সব মাথা পেতে নেব, একটুও বাধা দেবোনা আপনাকে। কিন্তু প্লীজ আপনি আমাকে ছেড়ে যাবেন না। আমি এই সাড়ে তিন বছর তিলে তিলে শেষ হয়ে গেছি আমার অপরাধ বোধে। কুরে-কুরে খেয়েছে আমাকে আপনার ওপর করা সব অপরাধ। প্লিজ আমান, প্লিজ আমার সাথে কথা তো বলুন।

— আমি তো বললাম আমি আমার অতীতকে মনে করতে চাই না মীরা। তুমি প্লিজ যাও এখান থেকে। আমার ভালো লাগছে না এসব নিয়ে কথা বলতে।

আমান আমার হাত ছাড়িয়ে অন্য দিকে চলে গেলেন। কিন্তু আমার কেন যেন খুব আনন্দ হতে লাগলো। আমি ঠিক করে নিলাম এই সুযোগ হাতছাড়া করব না। যে করেই হোক আমানের কাছ থেকে নিজের ভুলের শাস্তি নিয়ে, নিজেকে শুধরে নিয়ে, আমি ওনাকে আমার ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে দেব। ওনার সব রাগ, সব অভিমান আমি আমার ভালোবাসা দিয়ে গলিয়ে দেবো। আমি নিজেকে স্বাভাবিক করে চট করে ওনার কোম্পানির মালিকের সাথে কথা বলতে চলে গেলাম গিয়ে ওনার কোম্পানির মালিক কে বললাম,

— আপনাদের কোম্পানি থেকে কয়েকজন স্টাফ তো আমাদের কোম্পানিতে আসবে ডিলের ব্যাপারে কথা বলতে। একসঙ্গে কাজ করতে হবে তো আমাদেরকে এই প্রজেক্ট এর ব্যাপারে। আমি আপনাদের কোম্পানির কয়েকজন স্টাফকে সিলেক্ট করতে চাইছি। তাদের কাজ আমার ভালো লেগেছে।

— অফকোর্স ম্যাডাম না করার কি আছে এটা তো ভালোই হবে আপনি নিজেই চুজ করে নিন।

আমি উনাকে আমাদের দিকে ইশারা করে বললাম,

— আমান খান! আর তার সাথে উনার পাশে যে দাঁড়িয়ে আছে ওই যে ওই দিকে দেখুন উনার বেস্ট ফ্রেন্ড। ওনাকে পাঠিয়ে দেবেন।

— আপনি ওনার নাম জানলেন কি করে আমি তো আপনাকে ওনার নাম বলিনি? আর উনার পাশে যে দাঁড়িয়ে আছে সে যে ওনার বেস্ট ফ্রেন্ড এটাই বা কি করে জানলেন আপনি?

আমি উনার কথা একটু থতমত খেয়ে গেলাম তবুও নিজের কথা সাজিয়ে নিয়ে উনাকে গুছিয়ে বললাম আসলেই কিছুক্ষণ আগেই আমার ওনার সাথে কথা হল। উনি নিজের পরিচয় দিলেন সঙ্গে ওনার পাশে থাকা ওর বেস্টফ্রেন্ড আরো পরিচয় দিলেন। আমি অবশ্য ওনাকে বলিনি যে আমি চাই উনি আমাদের কোম্পানিতে কাজ করুক। আমি চাই আপনি ওনাকে বলুন এই কথাটা।

— ওকে ম্যাডাম আমি আজকে কোম্পানিতে ফিরেই আমান আর ওনার বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলবো। তারপর আপনাকে জানাবো ওনারা কি চাইছেন।

— এট এনি কস্ট! ওনারা দুজনেই যেন আসে কোম্পানির প্রজেক্ট এর কাজ করতে। এ কথার অন্যথা হলে আমার ঠিক ভালো লাগবে না।

— না না ম্যাডাম আপনি চিন্তা করবেন না। ওরাই ডিলের জন্য যায়।

আমি খুশি হয়ে বাসায় চলে এলাম আর এসেই সুমিকে সবটা বললাম সুমি বললো,

— এটাই তোর জন্য সুযোগ এই সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে আমার ভাইয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে তোকে। নিজের ভুল তোকে শুধরে নিতে হবে মীরা।

— তুই চিন্তা করিস না সুমি আমি তো এই জন্যই আমানকে আসতে বললাম আমাদের কোম্পানিতে কাজ করার জন্য আমি এই সুযোগে সৎ ব্যবহার করব সব ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব।

— সব ঠিক হয়ে যাবে দেখিস তুই শুধু চেষ্টা চালিয়েছে হার মানিস না।

পরেরদিন সকালে যখন অফিসে গেলাম তখন মনটা অস্থির করতে লাগল আমানকে দেখার জন্য। আমি অবশ্য আজকে অনেক আগে আগে চলে এসেছি। ওদের আসার কথা আরো পড়ে। তাই আমি নিজের আগ্রহ চেপে রেখে ওয়েট করতে থাকলাম আমানের। একটা সময় এলো যখন আমার অপেক্ষার অবসান ঘটল।

— মে আই কাম ইন ম্যাডাম?

— ইয়েস অফ কোর্স।

আমি সঙ্গে সঙ্গে ওদের ভিতরে আসতে বললাম। প্রথমে একটু অকয়ার্ড লাগলেও আমান আর ওনার বেস্ট ফ্রেন্ডের স্বাভাবিক আচরণ দেখে আমিও স্বাভাবিক হয়ে গেলাম। ওনাদের সাথে কথা বলা শেষ হতেই ওনারা উঠে গেলেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে বললাম,

— প্লিজ কিছু না খেয়ে যাবেন না। এট লিস্ট কফি?

আমানের বেস্ট ফ্রেন্ড বললেন,

— আমার টাইম হবে না। আমাকে যেতে হবে, নেক্সট দিন নিশ্চয় কফি খেয়ে যাবো।

এই বলে উনি বেরিয়ে গেলেন আর আমান উঠতে নিলেই আমি সঙ্গে সঙ্গে উঠে ওনাকে আবার ধাক্কা মেরে সিটে বসিয়ে দিলাম। উনি রাগী সুরে প্রশ্ন করলেন,

— হোয়াট দ্য হেল আর ইউ ডুয়িং?

— শাট আপ! নো মোর ওয়ার্ডস!

আমি ওনার মুখে আঙুল দিয়ে চুল করিয়ে ওনার মুখের দিকে এগিয়ে গিয়ে আস্তে করে বললাম,

— একদম চুপ করে বসে থাকুন। আজ সাড়ে তিন বছর পর আপনাকে দেখছি। আগে আমাকে মন ভরে দেখতে দিন তারপর আপনি এখান থেকে যেতে পারবেন।

কথাটা বলার পরই আমান পুরোপুরি চুপ করে রইলেন। আমিও ওনার মুখের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম। ওনার দিকে তাকিয়ে রয়েছি আর মনে মনে ভাবছি,

— কেন আমান? কেন আপনি এতটা আলাদা সবার থেকে? যেখানে আমি আপনার ভবিষ্যত নষ্ট করে দিয়েছিলাম প্রায় সেখানে আপনি আমাকে এতদিন পর দেখেও একটা অভিযোগ করলেন না। শুধু বললেন যে আপনি এগুলো মনে করতে চান না। আমার অবহেলা, অপমান সহ্য করে ভালোবেসে গেছে। শুধু আমাকে আর আমি কিছু করতে পারিনি আপনার জন্য। আপনাকে বদনাম করেছি আমি, তাও কি সুন্দর আপনি নিজের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আমি জানি আপনি আরও অনেক উন্নতি করবেন কারণ আপনি তার যোগ্য। আপনার মত মানুষ এই পৃথিবীতে আর একটা হয়না। আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি আমার নিজের ভুল শুধরে আমি আপনাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেবো। আপনি চেয়ে ছিলেন না আপনার মীরু আপনাকে ভালোবাসবে? দেখুন, আজ আপনার মীরু আপনাকে ভীষণ ভালোবাসে।

এসব কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে আমি ওনার মুখের দিকে এতটা এগিয়ে গেছি বুঝতেই পারিনি। যখন ওনার নাকের সাথে আমার নাক স্পর্শ করল তখন উনি ঝট করে আমাকে দূরে সরিয়ে উঠে দাঁড়ালেন আর আমার ঘোর কাটল। উনি আমাকে আর একটা কথা না বলে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলেন। উনার এভাবে বেরিয়ে যাওয়া দেখে আমি একটু হাসলাম আর মনে মনে বললাম,

— সবে তো শুরু আমান এরপর তো আপনাকে অনেক লাভ টর্চার সহ্য করতে হবে। রেডি থাকুন। আপনার মীরু আপনার জন্য কি কি করে, আপনার অভিমান ভাঙ্গানোর জন্য কি কি করে শুধু দেখতে থাকুন আপনি।

আমানের অভিমান ভাঙ্গানোর জন্য খুনসুটি করতে করতে বলা যেতে পারে ওনার উপর লাভ টর্চার করতে করতে বেশ কয়েকটা দিন কেটে গেল। এই কয়েকদিনে আমি অনেক জ্বালাতন করেছি আমানকে। অনেকভাবে কাছে এসেছি ওনার কিন্তু আমান পরিবর্তে শুধু বিরক্তই হয়েছে। আমি তো বলেই দিয়েছি আমি ওনাকে বিয়ে করবো। পরিবর্তে উনি বলেছেন ” এটা সম্ভব নয়।” হুহ! বললেই হলো সম্ভব নয়? আমি হলাম মীরা চৌধুরী! সম্ভব কে অসম্ভব করতে আমি জানি। বিয়ে করবে না মানে? করতেই হবে বিয়ে। আজকে রাতে একটা পার্টি আছে, আমাদের প্রজেক্ট এর কারণে। প্রায় শেষ হয়ে এসেছে আমাদের প্রজেক্ট। দেখা যাক এই পার্টিতে আমি আমানের মন জয় করতে পারি কিনা……………

?
?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে